ঢাকা, শুক্রবার ২৫ এপ্রিল ২০২৫
১২ বৈশাখ ১৪৩২, ২৫ শাওয়াল ১৪৪৬

ঢাকা, শুক্রবার ২৫ এপ্রিল ২০২৫
১২ বৈশাখ ১৪৩২, ২৫ শাওয়াল ১৪৪৬
রিভিউ

রোমাঞ্চ, রহস্য ও মানবিক আবেগের এক অনবদ্য মিশ্রণ—'অফিসার অন ডিউটি'

তন্ময় রহমান
তন্ময় রহমান
শেয়ার
রোমাঞ্চ, রহস্য ও মানবিক আবেগের এক অনবদ্য মিশ্রণ—'অফিসার অন ডিউটি'
সংগৃহীত ছবি

তিনজন নারীকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য থানায় নিয়ে আসা হয়। তাদের মধ্যে একজনের গলার চেইন চুরি হয়েছে বলে অভিযোগ। বাকি দুজনকে জিজ্ঞাসাবাদ করা হলেও কেউ কিছু স্বীকার করছে না। এমন সময় থানায় প্রবেশ করেন একজন পুলিশ কর্মকর্তা।

তিনি তার রুমে যাচ্ছিলেন, কিন্তু অন্য পুলিশ সদস্যদের কথোপকথন শুনে দাঁড়িয়ে যান এবং ঘটনা জানতে চান। সব শুনে তিনি তিনজন নারীর একজনকে চেইন ফেরত দেওয়ার নির্দেশ দেন। কিন্তু সেই নারী চুরির কথা অস্বীকার করেন। এতে রাগান্বিত হয়ে তিনি নারীর চুলের মুঠি ধরে তার পেটে জোরে লাথি মারেন।
এরপরই নারীর আরেক সঙ্গী চুরির কথা স্বীকার করে চেইনটি বের করে দেন।

এই ঘটনার মধ্য দিয়ে শুরু হয় 'অফিসার অন ডিউটি' সিনেমার গল্প। কেরালার হরিশঙ্কর নামে একজন বদমেজাজি পুলিশ কর্মকর্তা, যিনি অতীতের এক দুঃসহ স্মৃতি নিয়ে বেঁচে আছেন। তার মেয়ের আত্মহত্যার ঘটনা তাকে গভীরভাবে প্রভাবিত করেছে।

পুলিশ বিভাগে তার আচরণের কারণে তাকে সাময়িক বরখাস্ত এবং নিম্ন পদায়ন করা হয়েছিল। বহিষ্কারাদেশ শেষে কাজে ফেরার প্রথম দিনেই তার হাতে আসে এই চেইন চুরির মামলা। 

তদন্ত করতে গিয়ে তিনি আবিষ্কার করেন, এটি কোনো সাধারণ চুরির ঘটনা নয়। এর পেছনে জড়িয়ে আছে আরও গভীর রহস্য। চেইন হারানো কয়েকজন তরুণীর অন্তরঙ্গ মুহূর্তের ভিডিও ফাঁস হওয়া এবং তাদের আত্মহত্যার ঘটনা গল্পকে আরও জটিল করে তোলে।

হরিশঙ্করের ব্যক্তিগত জীবনের টানাপড়েন এবং তার মেয়ের আত্মহত্যার সঙ্গে এই মামলার কি কোনো সম্পর্ক আছে? এই প্রশ্নের উত্তর খুঁজতে গিয়ে গল্প একের পর এক মোড় নেয়, যা দর্শকদের শেষ পর্যন্ত আটকে রাখে।

নেটফ্লিক্সে মুক্তি পাওয়া এই সিনেমাটি পরিচালনা করেছেন জিতু আশরাফ। এটি তার প্রথম সিনেমা, তবে তার নির্মাণশৈলী এবং গল্প বলার দক্ষতা তাকে একজন প্রতিশ্রুতিশীল নির্মাতা হিসেবে প্রতিষ্ঠিত করেছে। সিনেমাটি অ্যাকশন থ্রিলার হলেও এটি শুধু বিনোদনের মধ্যে সীমাবদ্ধ নেই। গল্পের পরতে পরতে জড়িয়ে আছে সামাজিক সমস্যা, মানবিক আবেগ এবং রোমাঞ্চকর উপাদান। 

কানচাকো বোবান হরিশঙ্করের চরিত্রে অসাধারণ অভিনয় করেছেন। একজন বদমেজাজি, দুঃসহ অতীত বয়ে বেড়ানো পুলিশ অফিসারের ভূমিকায় তিনি একদম প্রাণবন্ত। তার অভিনয়ে হরিশঙ্করের যন্ত্রণা, ক্রোধ এবং দায়িত্ববোধ স্পষ্টভাবে ফুটে উঠেছে। প্রিয়ামনি হরিশঙ্করের স্ত্রীর চরিত্রে অভিনয় করেছেন, তবে তার চরিত্রটি খুবই সংক্ষিপ্ত। তবুও তিনি তার উপস্থিতি দিয়ে দর্শকদের মনে জায়গা করে নিয়েছেন। খল চরিত্রে তরুণ অভিনেতারা তাদের হিংস্রতা এবং চাউনির মাধ্যমে গল্পে প্রাণ সঞ্চার করেছেন। তাদের অভিনয়ে কিশোর গ্যাং কালচারের ছাপ স্পষ্ট।

সিনেমাটির সিনেমাটোগ্রাফি এবং সঙ্গীত গল্পের মেজাজকে আরও শক্তিশালী করেছে। কেরালার প্রাকৃতিক সৌন্দর্য এবং থ্রিলের মিশ্রণ দর্শকদের জন্য এক চোখজুড়ানো অভিজ্ঞতা তৈরি করেছে। গল্পের গতি এবং নির্মাণশৈলী দর্শকদের শুরু থেকে শেষ পর্যন্ত বেঁধে রাখে। প্রতিটি দৃশ্য, সংলাপ এবং ঘটনা পরতে পরতে রোমাঞ্চ তৈরি করে। সিনেমাটি বিনোদনের মোড়কে একটি গভীর সামাজিক বার্তা দিতে সক্ষম হয়েছে।

'অফিসার অন ডিউটি' শুধু একটি থ্রিলার সিনেমা নয়, এটি একটি গভীর মানবিক গল্প যা সমাজের অন্ধকার দিকগুলোর প্রতি আলোকপাত করে। কানচাকো বোবানের অসাধারণ অভিনয়, জিতু আশরাফের দক্ষ পরিচালনা এবং গল্পের রোমাঞ্চকর গতি এই সিনেমাকে একটি অবশ্য-দেখা সিনেমায় পরিণত করেছে। নেটফ্লিক্সে মুক্তি পাওয়া এই সিনেমাটি দর্শকদের জন্য এক অনবদ্য অভিজ্ঞতা বয়ে আনবে।

মন্তব্য

সম্পর্কিত খবর

কান উৎসবে আদনান আল রাজীবের সিনেমা

বিনোদন প্রতিবেদক
বিনোদন প্রতিবেদক
শেয়ার
কান উৎসবে আদনান আল রাজীবের সিনেমা
সংগৃহীত ছবি

৭৮তম কান আন্তর্জাতিক চলচ্চিত্র উৎসবের মূল প্রতিযোগিতা বিভাগে জায়গা করে নিয়েছে বাংলাদেশের সিনেমা ‘আলী’। আদনান আল রাজীব পরিচালিত ১৫ মিনিট দৈর্ঘ্যের সিনেমাটি লড়বে স্বল্পদৈর্ঘ্য বিভাগে।

আজ শুক্রবার দুপুরে চলতি বছরের উৎসবে স্বল্পদৈর্ঘ্য বিভাগে মনোনীত সিনেমার তালিকা প্রকাশ করে কান উৎসব কর্তৃপক্ষ। 

আদনান আল রাজীব পরিচালিত স্বল্পদৈর্ঘ্য সিনেমাটির প্রযোজনা করেছেন বাংলাদেশের তানভীর হোসেন ও ফিলিপাইনের ক্রিস্টিন ডি লিওন।

সিনেমাটির লাইন প্রোডাকশন কোম্পানি ‘রানআউট ফিল্মস’।

May be an image of text that says 'X集 XELLAK FESTIVAL FESTIVALDECANNES DE LDECANN ES OFFICIAL IAL 2025OFFICIALSELECTION LSELEO SELECTI ALSELECTION SHORT FI SHORTFILMSCOMPETITION COMP ETITION'

আদনান আল রাজীব জানান, ২০২৪ সালের নভেম্বরে সিলেটে হয়েছে এর দৃশ্যধারণ। গল্পের সামান্য ধারণা দিয়ে নির্মাতা বলেন, ‘ব্যক্তিজীবনের ভেতর দিয়ে আমরা একটা অনিবার্য সত্যকে আবিষ্কার করার চেষ্টা করেছি। সহজ-সরল-সুন্দর ঢঙেই কাজটি করার চেষ্টা ছিল আমাদের।

‘আলী’ সিনেমাটির মূল প্রোডাকশন কোম্পানি ‘ক্যাটালগ’। ‘ক্যাটালগ’ মূলত আদনান আল রাজীব, তানভীর হোসেন, ক্রিস্টিন ডি লিওন ও আরভিন বেলারমিনোর নির্মাণপ্রতিষ্ঠান। দক্ষিণ ও দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়ার চলচ্চিত্র নির্মাণে সংযোগ স্থাপনের উদ্দেশ্যে তৈরি হয়েছিল ক্যাটালগ। এরই অংশ হিসেবে বাংলাদেশ থেকে আদনানের পরিচালনায় ‘আলী’ এবং ফিলিপাইন থেকে আরভিন ও কাইলার যৌথ পরিচালনায় ‘আগাপিতো’ নির্মিত হয়েছিল।

যার সহপ্রযোজক হিসেবে আছেন আদনান আল রাজীব ও তানভীর হোসেন। দুটি চলচ্চিত্রই জায়গা করে নিয়েছে কানের মূল প্রতিযোগিতায়। লড়বে পাম দ’রের জন্য।

মন্তব্য

জেমস থেকে শাকিব, বিচ্ছেদের পরও আর কাউকে মন দিতে পারেননি যেসব তারকা

বিনোদন প্রতিবেদক
বিনোদন প্রতিবেদক
শেয়ার
জেমস থেকে শাকিব, বিচ্ছেদের পরও আর কাউকে মন দিতে পারেননি যেসব তারকা
সংগৃহীত ছবি

শোবিজ তারকাদের নিয়ে ভক্ত অনুরাগীদের আগ্রহের অন্ত নেই। তাদের সবকিছু নিয়েই ভক্তদের কৌতুহল। প্রিয় তারকা কি খাচ্ছেন, কি পরছেন, কাকে ফলো করছেন, কাকে মন দিচ্ছেন; সবকিছু। এসব কৌতুহলের মধ্যে প্রিয় তারকার ব্যক্তিজীবন নিয়েও জানতে চান তারা, যার মধ্যে সবচেয়ে বেশি আকর্ষণ থাকে প্রেম ও বিয়েতে।

সব ভালোর মধ্যেও কিছু খবর ভক্তদের মন ভেঙে দেয়ে। তারকাদের সংসার ভাঙ্গার খবর মেনে নিতে পারেন না ভক্তরা। ঢাকাই শোবিজে অনেক তারকাই দীর্ঘদিন সংসার করেও সেটি টিকিয়ে রাখতে পারেননি।  

জেমস 

ভালোবেসে ১৯৯১ সালে মডেল ও অভিনেত্রী কানিজ রাবেয়া রথিকে বিয়ে করেছিলেন নগরবাউল জেমস।

কিন্তু সে সংসার টেকেনি, ২০০৩ সালে বিচ্ছেদ হয় তাদের। এরপর জেমস বিয়ে করেন বেনজির সাজ্জাদকে। বেনজিরকে বিয়ে করার জন্য জেলেও যেতে হয়েছিল জেমসকে। এতকিছুর পর সে সংসারও টিকল না এই মহাতারকার।
দুই বিচ্ছেদের পর আর কার সঙ্গেই সংসার শুরু করতে পারেননি জেমস।  

শাকিব খান 

ঢাকাই সিনেমার শীর্ষ এই নায়ক ২০০৮ সালে ভালোবেসে গোপনে বিয়ে করেছিলেন অপু  বিশ্বাসকে। তাদের সংসারে একটি সন্তানও রয়েছে, আব্রাম খান জয়। ২০১৮ সালে একটি টেলিভিশন চ্যানেলে লাইভে এসে সেই বিয়ের খবর জানিয়েছিলেন অপু, যা পছন্দ হয়নি শাকিব খানের। এর তিন মাসের মধ্যেই ডিভোর্স দেন অপু।

 

এরপর তার জীবনে আসে আরেক নায়িকা শবনম বুবলী। ২০১৮ সালের জুলাইয়ে তাকে বিয়ে করেন শাকিব। সে সংসারেও একটি ছেলে সন্তান রয়েছে, নাম শেহজাদ খান বীর। এরপর বুবলীকে ডিভোর্স দেন নায়ক। এক সাক্ষাতকারে নায়ক স্পষ্ট জানিয়ে দেন, অপু এবং বুবলী দুজনেই তার কাছে অতীত। এরপর এই নায়ক আর কারো সঙ্গে এখনো ঘর বাধেন নি। 

আরিফিন শুভ

ভালোবেসে ২০১৫ সালে ফ্যাশন ডিজাইনার অর্পিতার সঙ্গে বিয়ের পিঁড়িতে বসেছিলেন আরিফিন শুভ। অর্পিতার বাড়ি ওপার বাংলা কলকাতায়। তিনি বিয়ের প্রায় আট বছর আগে থেকে ঢাকায় কর্মরত ছিলেন। হঠাৎ করেই গেল বছরে তাদের বিচ্ছেদের খবর সামনে আসে। গত ২০ জুলাই স্ত্রী অর্পিতার সঙ্গে সাড়ে নয় বছরের দাম্পত্যজীবনের বিচ্ছেদ হয়েছে বলে জানান আরিফিন শুভ। এরপর তিনি আর বিয়ে করেননি। 


শরিফুল রাজ

২০২১ সালে অক্টোবরে ভালোবেসে পরীমনিকে বিয়ে করেন শরিফুল রাজ। ২০২২ সালের ১০ জানুয়ারি পরীমনি নিজের গর্ভাবস্থার ব্যাপারে গণমাধ্যমকে জানানোর আগ পর্যন্ত তারা বিবাহের খবর গোপন রাখেন। পরে ২২ জানুয়ারি তারা পুনরায় বিয়ের আনুষ্ঠানিকতা সম্পন্ন করেন। ২০২২ সালের ১০ আগস্ট পুত্র সন্তানের বাবা হন রাজ। রাজ ও পরীর সন্তানের নাম শাহীম মুহাম্মদ রাজ্য। মনের অমিল, বনিবনা না হওয়ায় ২০২৩ সালে সেপ্টেম্বরে বিচ্ছেদ ঘটে তাদের। বিচ্ছেদের পর এখনও কারো সঙ্গে সংসার পাতেননি এই নায়ক।

মন্তব্য

আমেরিকা গিয়ে যেভাবে বদলে গেলেন পিয়া বিপাশা

বিনোদন প্রতিবেদক
বিনোদন প্রতিবেদক
শেয়ার
আমেরিকা গিয়ে যেভাবে বদলে গেলেন পিয়া বিপাশা
পিয়া বিপাশা। ছবি ইন্সটাগ্রাম

ছোট পর্দার পরিচিত মুখ ছিলেন পিয়া বিপাশা। কিন্তু হুট করেই নাই হয়ে গেলেন। পরে জানা গেল অভিনেত্রী আমেরিকায়। সেই থেকে এখন তিনি আমেরিকানই হয়ে গেছেন।

২০১২ সালে লাক্স প্রতিযোগিতার মাধ্যমে শোবিজ অঙ্গনে পা রাখেন পিয়া বিপাশা। এ প্রতিযোগিতায় সেরা দশে পৌঁছানোর পর হঠাৎ ক্যাম্পেইন বুথ থেকে বেরিয়ে যান তিনি। এরপর বিজ্ঞাপনে নাম লেখান। 

পরের বছর ২০১৩ সালে ‘দ্বিতীয় মাত্র’ নাটকে তাহসান খানের বিপরীতে অভিনয় করেন।

এটি তার অভিষেক নাটক। পিয়া বিপাশা বড় বড় প্রতিষ্ঠানের পণ্যের বিজ্ঞাপনে মডেল হয়েছেন। নাটকে নাম লেখানোর প্রথম সারির সব অভিনেতার সঙ্গেও জুটি বেঁধে হাজির হয়েছেন ছোট পর্দায়। এ তালিকায় রয়েছেন— আফরান নিশো, জিয়াউল ফারুক অপূর্ব, রিয়াজ, আহমেদ রুবেল, আফজাল হোসেন, চঞ্চল চৌধুরীর মতো অভিনেতারা।

চলচ্চিত্রেও অভিষিক্ত হন তিনি।  ২০১৬ সালে ‘রুদ্র দ্য গ্যাংস্টার’ চলচ্চিত্রে অভিষেক ঘটে। এতে স্ক্রিন শেয়ার করেন এবিএম সুমনের সঙ্গে। অ্যাকশন ঘরানার এ সিনেমা পরিচালনা করেন সায়েম জাফর ইমামি। তারপর ডজনখানেক সিনেমায় চুক্তিবদ্ধ হন পিয়া।

কিন্তু অজানা কারণে কোনো কোনো সিনেমা থেকে বাদ পড়েন; আবার কোনোটি থেকে স্বেচ্ছায় সরে যান এই অভিনেত্রী।

আরো পড়ুন
শাবানার যে ইচ্ছা পূরণ হয়নি

শাবানার যে ইচ্ছা পূরণ হয়নি

 

এসবের মধ্যেই বিবাহবন্ধনে আবদ্ধ হন পিয়া বিপাশা। এ সংসারে একটি কন্যা সন্তান রয়েছে। কিন্তু সংসার জীবনেও ছন্দপতন ঘটে। ভেঙে যায় পিয়ার প্রথম বিয়ে। তারপর বিরতি নিয়ে ফের সম্পর্কে জড়ান তিনি। যদিও এ প্রেমের বিষয়ে তেমন তথ্য প্রকাশ করেননি। কয়েক বছর পর এ সম্পর্ক থেকেও বেরিয়ে আসেন এই অভিনেত্রী।

ঢাকার একটি ছেলের সঙ্গে বেশ কয়েক বছর সম্পর্কে ছিলেন পিয়া বিপাশা। বিয়ের পরিকল্পনাও করেছিলেন। এ বিষয়ে পিয়াকে প্রশ্ন করা হলে গণমাধ্যমকে বলেছিলেন— ‘হ্যাঁ একজনের সঙ্গে প্রেম ছিল। কিন্তু তার সঙ্গে মতের মিল হয়নি, তাই প্রেম টেকেনি। তার সঙ্গে বিয়ের সিদ্ধান্ত থেকেও সরে এসেছি।’

এ সম্পর্ক থেকে বেরিয়ে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের নাগরিক রিজবেইয়ের সঙ্গে সম্পর্কে জড়ান পিয়া। চার মাসের জানাশোনার পর ২০১৯ সালের ২১ জুলাই পারিবারিকভাবে বাগদান সারেন পিয়া। কীভাবে পরিচয় হলো ছেলের সঙ্গে? এ বিষয়ে পিয়া বিপাশা বলেছিলেন,‘আমার বেশ কয়েকজন কাজিন যুক্তরাষ্ট্রে থাকেন। আমার এক ভগ্নিপতির সঙ্গে ওই ছেলের বন্ধুত্বপূর্ণ সম্পর্ক। সেই সূত্র ধরে ছেলের সঙ্গে পরিচয়। পরিচয়ের পর থেকেই দুজনের দুজনকে পছন্দ হয়।’

আরো পড়ুন
ময়ূখকে গাধা বললেন ঋত্বিক চক্রবর্তী

ময়ূখকে গাধা বললেন ঋত্বিক চক্রবর্তী

 

এরপর প্রেমিককে বিয়ে করে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের নিউ ইয়র্কে স্থায়ীভাবে বসবাস করছেন পিয়া বিপাশা। এরপর মিসেস ওয়ার্ল্ডে অংশ নেন তিনি। পিয়া দ্বিতীয় বাঙালি নারী যে এ প্রতিযোগিতায় অংশ নেন। পিয়া জানান, নিউ ইয়র্কে অবস্থিত তার স্বামী, শ্বশুর-শাশুড়ি—সবাই অনুষ্ঠানটিতে লড়ার জন্য সহযোগিতা করেছেন। এ প্রতিযোগিতায় অংশ নিতে গিয়ে নিজেকে বদলে ফেলার মিশনে নামেন পিয়া বিপাশা; কমিয়ে ফেলেন ওজন।

সামাজিক মাধ্যমে দারুণ সক্রিয় পিয়া বিপাশা। ইনস্টাগ্রামে একের পর ছবি পোস্ট করে নেটিজেনদের নজরে থাকছেন আলোচিত এই মডেল। 

মন্তব্য

চেনা যায় এই অভিনেতাকে?

বিনোদন প্রতিবেদক
বিনোদন প্রতিবেদক
শেয়ার
চেনা যায় এই অভিনেতাকে?
সংগৃহীত ছবি

রোগা পাতলা, লম্বা চুল পরনে টি শার্টের ওপের স্ট্রাইপ শার্ট এবং কালো জিন্স। সম্প্রতি এমন লুকেরই একটি ছবি সোশ্যাল মিডিয়াতে ঘুরে বেড়াচ্ছে। কেউ কেউ মন্তব্য করছেন, হৃদয় খানের মতো লাগছে।

শুক্রবার দুপুরে নিজের ফেসবুকে দুই সময়ের দুটি ছবি পোস্ট করেন ছোট পর্দার জনপ্রিয় অভিনেতা ফারহান আহমেদ জোভান।

তার একটি ছবি প্রায় ১৫ বছর আগের, ২০১০ সালের। সেই ছবিটি ঘিরেই চলছে মন্তব্যে কাটা ছেড়া।

May be an image of 1 person, smiling and tree

ছবি দুটো পোস্ট করে অভিনেতা লিখেছেন, ‘তুমি কুৎসিত নও, তুমি কেবল দরিদ্র।’ এরপর সময়ও উল্লেখ করে তিনি।

লিখেন, ২০১০-২০২৫। 

মন্তব্য

সর্বশেষ সংবাদ