বর্তমান সময়ে স্মার্টফোন ছাড়া এক কদম ফেলাও অসম্ভব। অনেকেই এই স্মার্টফোন ছাড়া সময় কাটাতে পারেন না। হয় ওয়েব সিরিজ দেখছেন, নয়তো রিলস বা শর্টস। মোটের ওপর সারাক্ষণ কিছু না কিছু স্ক্রল করেই চলেছেন।
দীর্ঘক্ষণ স্মার্টফোন দেখে মাথা ব্যথা, যেভাবে দূর করবেন
অনলাইন ডেস্ক

দীর্ঘদিনের এই অভ্যাসে চোখের দফারফা। মাথা যন্ত্রণার সমস্যায় ভোগেনও কেউ কেউ। তা সত্ত্বেও ডিজিটাল স্ক্রিন নির্ভরতা কমাতে পারছেন না অনেকেই।
চোখ ভালো রাখতে কী করবেন
বিশেষজ্ঞদের মতে, ২০-২০-২০ নিয়ম মেনে চললে ভালো থাকবে চোখ। তবে, কী এই ২০-২০-২০ নিয়ম?
তারা বলছেন, একটানা ২০ মিনিটের বেশি স্ক্রিনের দিকে তাকাবেন না। তারপর স্ক্রিন থেকে চোখ সরান।
একটানা কম্পিউটার কিংবা মোবাইল ব্য়বহারের ফলে মাথা যন্ত্রণার সমস্যাও হয়।
- এই সমস্যা থেকে রক্ষা পেতে বেশি করে পানি খেতে হবে।
- প্রতিদিন কমপক্ষে ৮-১০ গ্লাস পানি খেতে হবে।
- একটানা বহুক্ষণ কাজ করলে হাতের কাছে পানির বোতল রাখুন। মাঝেমধ্যে অল্প অল্প করে পানিপান করুন।
- শরীরে পানির অভাব দূর করতে খাদ্যাভ্যাসে অবশ্যই শসা, তরমুজ ও কমলালেবু রাখুন।
যতই কাজ থাকুক না কেন, সারাক্ষণ মোবাইল কিংবা কম্পিউটারের দিকে তাকিয়ে থাকবেন না। তাতে বিপদ বাড়বে। দীর্ঘক্ষণ একই অভ্যাস থাকলে বড়সড় শারীরিক সমস্যাও হতে পারে।
সূত্র : সংবাদ প্রতিদিন
সম্পর্কিত খবর

চ্যাটজিপিটির পরামর্শেই সময়মতো চিকিৎসা, রক্ষা পেল দুই জীবন
অনলাইন ডেস্ক

ইনস্টাগ্রামে একটি পোস্টে কনটেন্ট ক্রিয়েটর নাটালিয়া ট্যারিয়েন জানিয়েছেন, কিভাবে মজা করে চ্যাটজিপিটি কে করা একটা সাধারণ প্রশ্নই শেষ পর্যন্ত তার ও তার অনাগত সন্তানের জীবন বাঁচিয়েছে।
তিনি চোয়ালে হালকা টান অনুভব করায় চ্যাটজিপিটি কে প্রশ্ন করেছিলেন এর কারণ সম্পর্কে। যদিও তিনি বিষয়টি খুব একটা গুরুত্ব দিয়ে ভাবেননি। কিন্তু চ্যাটজিপিটি নাটালিয়াকে রক্তচাপ মেপে দেখতে বললো।
নাটালিয়া ভাবলেন হয়তো কিছুক্ষণ পরে ঠিক হয়ে যাবে। কিন্তু কিছুক্ষণ পরে রক্তচাপ আরও বাড়তে থাকে এবং তিনি অসুস্থ বোধ করতে থাকেন। ব্যাপারটি নিয়ে চ্যাটজিপিটিকে আবার প্রশ্ন করা হলে আর্টিফিশিয়াল ইনটেলিজেন্সটি নাটালিয়াকে অ্যাম্বুলেন্স ডাকার পরামর্শ দেয়।
পরবর্তীতে নাটালিয়া হাসপাতালে গেলে তার রক্তচাপ পুনরায় পরীক্ষা করা হয়। দেখা যায় তার রক্তচাপ ২০০/১৪৬ — যা খুবই বিপজ্জনক। তখনই ডাক্তাররা বলেন, ‘আর দেরি নয়, এখনই বাচ্চা ডেলিভারি করতে হবে।’
পরিস্থিতি এতটাই ভয়ানক ছিল যে এক ডাক্তার তাকে বলেন, ‘তুমি যদি হাসপাতালে না এসে রাতে ঘুমিয়ে যেতে, আর হয়তো চোখ খুলতে পারতে না।
তিনি ইন্সটাগ্রাম পোস্টে বলেন, ‘একটা ছোট প্রশ্ন, একটা সাধারণ উপসর্গ। আর সেখান থেকেই আমার আর আমার সন্তানের প্রাণ রক্ষা হল। চ্যাটজিপিটি সত্যিই আমাদের জীবন বাঁচিয়েছে।’
এই ঘটনার মতোই আরেকজন রেডিট-এ জানিয়েছেন, তার ৫ বছরের পুরোনো চোয়ালের সমস্যা চ্যাটজিপিটি কয়েক সেকেন্ডেই সমাধান করে দিয়েছিল।
এই ধরনের ঘটনা সোশ্যাল মিডিয়ায় অনেকের কৌতূহল তৈরি করছে। তবে আমাদের মনে রাখা প্রয়োজন, মাঝে মাঝে আর্টিফিসিয়াল ইনিটেলিজেন্স আমাদের সঠিক সাহায্য করলেও কোনো চিকিৎসকের বিকল্প হতে পারে না।
সূত্র : ইন্ডিয়া টুডে

এবার মেটা ও এক্সের সঙ্গে সরাসরি প্রতিদ্বন্দ্বিতায় নামবে ওপেনএআই?
রয়টার্স

ওপেনএআই এক্সের মতো নিজেদের একটি সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম তৈরির কাজ করছে। একাধিক ঘনিষ্ঠ সূত্রের বরাত দিয়ে মঙ্গলবার দ্য ভার্জ জানিয়েছে এ খবর জানিয়েছে। প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, এই অভ্যন্তরীণ প্রোটোটাইপটি মূলত চ্যাটজিপিটির ছবি তৈরির ফিচারকে কেন্দ্র করে তৈরি হয়েছে, যেখানে একটি সোশ্যাল ফিড রয়েছে।
ওপেনএআইয়ের প্রধান নির্বাহী (সিইও) স্যাম অল্টম্যান ব্যক্তিগতভাবে বাইরের কিছু মানুষের কাছে এই প্রকল্প নিয়ে মতামত চাইছেন, যা এখনো প্রাথমিক পর্যায়ে রয়েছে।
রয়টার্স থেকে এ বিষয়ে মন্তব্য জানতে চাওয়া হলেও কম্পানিটি তাৎক্ষণিকভাবে কোনো উত্তর দেয়নি।
এই সম্ভাব্য পদক্ষেপটি অল্টম্যান ও ধনকুবের ইলন মাস্কের মধ্যে উত্তেজনা আরো বাড়িয়ে তুলতে পারে। মাস্ক এক্সের মালিক ও ওপেনএআইয়ের সহপ্রতিষ্ঠাতা, যিনি ২০১৮ সালে প্রতিষ্ঠানটি ছাড়েন।
সম্প্রতি তাদের বিরোধ আরো তীব্র হয়েছে। ফেব্রুয়ারিতে মাস্কের নেতৃত্বে একদল বিনিয়োগকারী ওপেনএআইয়ের নিয়ন্ত্রণ নেওয়ার জন্য ৯৭.৪ বিলিয়ন ডলারের একটি অপ্রত্যাশিত প্রস্তাব দিয়েছিলেন, যা অল্টম্যান ‘না ধন্যবাদ’ বলে দ্রুত প্রত্যাখ্যান করেন।
এ ছাড়া গত বছর মাস্ক ওপেনএআই ও অল্টম্যানের বিরুদ্ধে মামলা করেন।
ওপেনএআই যদি এই সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম চালু করে, তবে তারা সরাসরি ফেসবুকের মালিক মেটার সঙ্গে প্রতিদ্বন্দ্বিতায় নামবে।
উল্লেখ্য, মেটা ও এক্স—দুই প্রতিষ্ঠানের কাছেই বিপুল পরিমাণ তথ্য রয়েছে, যা ব্যবহারকারীরা তাদের প্ল্যাটফরমে প্রকাশ করেন এবং এগুলোই এআই মডেল প্রশিক্ষণের জন্য ব্যবহার করা হয়।

বিশ্বজুড়ে হোয়াটসঅ্যাপে বিভ্রাট, বার্তা পাঠাতে পারছেন না ব্যবহারকারীরা!
অনলাইন ডেস্ক

বিশ্বব্যাপী জনপ্রিয় মেসেজিং অ্যাপ হোয়াটসঅ্যাপ ব্যবহারে বিভ্রাট দেখা দিয়েছে। ১২ এপ্রিল সন্ধ্যা থেকে রাত পর্যন্ত সিঙ্গাপুরসহ বিভিন্ন দেশে হাজার হাজার ব্যবহারকারী অভিযোগ করেছেন। এ সময়ে তারা বার্তা পাঠাতে পারেননি এবং স্ট্যাটাস আপলোড করতেও ব্যর্থ হয়েছেন।
ডাউনডিটেক্টর সিঙ্গাপুর জানিয়েছে, সেখানে স্থানীয় সময় রাত ১০টা ৫০ মিনিটে সর্বোচ্চ ১,৯৬৪টি অভিযোগ পাওয়া যায়।
পার্শ্ববর্তী দেশগুলোতেও একই সমস্যার মুখোমুখি হয়েছে ব্যবহারকারীরা। ডাউনডিটেক্টরের ইন্দোনেশিয়া সাইটে স্থানীয় সময় রাত ১০টা ৩৭ মিনিটে ১,৭৪৩টি এবং মালয়েশিয়া সাইটে স্থানীয় সময় ১০টা ৪১ মিনিটে ৯৪৪টি অভিযোগ জমা পড়ে। এ ছাড়া মূল ডাউনডিটেক্টর সাইটে স্থানীয় সময় রাত ১০টা ৫২ মিনিটে সর্বোচ্চ ৩,২৯১টি অভিযোগ পাওয়া যায়।
গুগল ট্রেন্ডসে সিঙ্গাপুরের স্থানীয় সময় ৭টা ৫২ মিনিটে ‘হোয়াটসঅ্যাপ ডাউন’ অনুসন্ধানটি হঠাৎ বেড়ে যায় এবং রাত ১০টা থেকে ১১টার আগ পর্যন্ত আবারও বেড়ে যায়।
ভারতের বিভিন্ন সংবাদমাধ্যমও জানিয়েছে, সে দেশের ব্যবহারকারীরা বার্তা পাঠাতে বা স্ট্যাটাস আপলোড করতে পারছিলেন না।
মিস্টার ব্রাউন নামে পরিচিত সিঙ্গাপুরের ব্লগার লি কিন মুন ফেসবুকে বলেন, “মনে হচ্ছে হোয়াটসঅ্যাপ ডাউন। আমাদের ‘শুভ রাত্রি’ পোস্টগুলো আগামীকাল পাঠাতে হবে।
সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম এক্সে, ভারত, ইন্দোনেশিয়া ও ভিয়েতনামের ব্যবহারকারীরা লোকেশন যোগ করে জানান, তারাও এই সমস্যার মুখোমুখি হয়েছেন।
তাদের আপলোড করা স্ক্রিনশটগুলোতে বার্তার পাশে বিস্ময়বোধক চিহ্ন দেখা গেছে, যা নির্দেশ করে বার্তাগুলো পাঠানো যায়নি।
চলতি বছরের মার্চ মাসে, মেটার মালিকানাধীন আরো দুটি অ্যাপ, ফেসবুক ও ইনস্টাগ্রাম দুই ঘণ্টা ধরে বিশ্বব্যাপী পরিষেবা বিঘ্নের সম্মুখীন হয়।
রয়টার্স জানায়, এ ঘটনায় অনেক ব্যবহারকারী তাদের সামাজিক মাধ্যম অ্যাকাউন্ট থেকে স্বয়ংক্রিয়ভাবে লগ আউট হয়ে যান এবং পুনরায় লগইন করতে পারেননি।
ওই সময় ফেসবুকের একজন মুখপাত্র বলেন, নিয়মিত রক্ষণাবেক্ষণের সময় একটি কমান্ড ইস্যু করায় প্ল্যাটফরমটির ব্যাকবোন নেটওয়ার্কের সংযোগ বিচ্ছিন্ন হয়ে যায়।
সূত্র : দ্য স্ট্রেইটস টাইমস

শুল্কযুদ্ধে কতটা বাড়তে পারে আইফোনের দাম?
অনলাইন প্রতিবেদক

বিশ্বজুড়ে জনপ্রিয় গ্যাজেট—যেমন ফোন, ল্যাপটপ, ট্যাবলেট, স্মার্টওয়াচ—এসবের দাম অনেক বেড়ে যেতে পারে। কারণ প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প চীনা পণ্যের ওপর ১২৫% শুল্ক বসিয়েছেন। এতে সবচেয়ে বেশি আলোচনায় এসেছে আইফোন ও এর নির্মাতা প্রতিষ্ঠান অ্যাপল। বিশ্লেষকরা বলছেন, এই শুল্কের প্রভাবে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে আইফোনের দাম কয়েক শ ডলার পর্যন্ত বেড়ে যেতে পারে।
আইফোন কোথায় তৈরি হয়?
কাউন্টার পয়েন্ট রিসার্চের তথ্যে জানা গেছে, যুক্তরাষ্ট্রে বিক্রির জন্য তৈরি হওয়া আইফোনের ৮০% তৈরি হয় চীনে, বাকি ২০% ভারতে। চীননির্ভরতা কমাতে অ্যাপল ইতিমধ্যে তাদের উৎপাদন ভারতে ও ভিয়েতনামে সরিয়ে নিতে শুরু করেছে। সম্প্রতি অ্যাপল ৬০০ টনের বেশি আইফোন ভারতে তৈরি করে বিশেষ ফ্লাইটে যুক্তরাষ্ট্রে পাঠিয়েছে। ভারত থেকে পণ্য আমদানিতে এখনই শুল্ক বসেনি, তাই বর্তমান পরিস্থিতিতে দেশটি অ্যাপলের জন্য লাভজনক বিকল্প হয়ে উঠছে।
অ্যাপল কতটা ঝুঁকিতে রয়েছে?
ট্রাম্প প্রশাসনের মতে, এই শুল্ক নীতির লক্ষ্য হলো—দেশীয় উৎপাদন বাড়ানো। কিন্তু প্রযুক্তি পণ্যের ক্ষেত্রে যেহেতু অনেক যন্ত্রাংশ ও প্রসেস বিদেশে হয়, তাই সব কিছু মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে এনে তৈরি করা সহজ নয়। অ্যাপল জানিয়েছে, তারা যুক্তরাষ্ট্রে ৫০০ বিলিয়ন ডলার বিনিয়োগ করবে। তবে বিশ্লেষক ড্যান আইভস বলছেন, উৎপাদনের ১০% চীন থেকে যুক্তরাষ্ট্রে সরিয়ে আনতে আরো তিন বছর ও ৩০ বিলিয়ন ডলার লাগবে, তা-ও বড় ধরনের ঝুঁকি নিয়ে।
আইফোনের দাম কি সত্যিই বাড়বে?
এখনো অ্যাপল নিশ্চিতভাবে বলেনি যে শুল্কের বাড়তি খরচ গ্রাহকদের ওপর পড়বে কি না। যদি শুল্কের পুরো খরচ গ্রাহকের ওপর পড়ে, তাহলে চীনে তৈরি ২৫৬ জিবি আইফোন ১৬ প্রো ম্যাক্সের দাম এক লাখ ৪৫ হাজার থেকে বেড়ে দুই লাখ ৪৩ হাজার টাকা হতে পারে। এ ছাড়া ভারতে তৈরি ১২৮ জিবি আইফোন ১৬ প্রো-এর দাম বাড়তে পারে মাত্র ৫%, এক লাখ ২১ হাজার থেকে এক লাখ ২৭ হাজার টাকা। আর মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে আইফোন তৈরি হলে তার দাম গিয়ে দাঁড়াতে পারে প্রায় চার লাখ ২৫ হাজার টাকা পর্যন্ত।
সূত্র : বিবিসি