ঢাকা, সোমবার ২১ এপ্রিল ২০২৫
৭ বৈশাখ ১৪৩২, ২১ শাওয়াল ১৪৪৬

ঢাকা, সোমবার ২১ এপ্রিল ২০২৫
৭ বৈশাখ ১৪৩২, ২১ শাওয়াল ১৪৪৬

এ বছরই বিশ্বের বৃহত্তম ডিজিটাল ক্যামেরা চালুর প্রস্তুতি

  • ক্যামেরাটির আয়নার আকার ৮.৪ মিটার
  • খরচ হয়েছে ১৬৫ মিলিয়ন ডলার
  • মেগাপিক্সেল হবে ৩২০০
ডয়চে ভেলে
ডয়চে ভেলে
শেয়ার
এ বছরই বিশ্বের বৃহত্তম ডিজিটাল ক্যামেরা চালুর প্রস্তুতি
চিলির অরা অবজারভেটরিতে রাখা ক্যামেরাটির আয়নার আকার ৮.৪ মিটার৷ এতে খরচ হয়েছে ১৬৫ মিলিয়ন ডলার৷ যুক্তরাষ্ট্রের জ্বালানি মন্ত্রণালয় এর খরচ দিচ্ছে। ছবি : এএফপি

মহাবিশ্ব সম্পর্কে আরো ভালোভাবে জানতে বিশ্বের সবচেয়ে বড় ডিজিটাল ক্যামেরা তৈরি করা হচ্ছে। এটি দিয়ে মহাবিশ্বের এইচডি ভিডিও ধারণ সম্ভব হবে। ফলে মহাবিশ্বের আরো খুঁটিনাটি জানা যাবে।

চলতি বছরই চিলির অরা অবজারভেটরিতে ক্যামেরাটি স্থাপন করতে কাজ করে যাচ্ছেন বিজ্ঞানীরা।

ক্যামেরাটির আয়নার আকার ৮.৪ মিটার। এতে খরচ হয়েছে ১৬৫ মিলিয়ন ডলার। যুক্তরাষ্ট্রের জ্বালানি মন্ত্রণালয় এ খরচ দিচ্ছে। ক্যালিফোর্নিয়ায় স্ট্যানফোর্ড বিশ্ববিদ্যালয়ের স্ল্যাক গবেষণাগারে এটি তৈরি করা হয়েছে।

চিলির অরা অবজারভেটরির ভাইস প্রেসিডেন্ট আলেহান্দ্রো ফোইগট বলেন, ‘আজকাল বিজ্ঞানীরা নির্দিষ্ট কিছু পর্যবেক্ষণ করতে বলেন। কারণ তাদের একটি তত্ত্ব রয়েছে, যা তারা প্রমাণ করতে চান। তাই টেলিস্কোপটি আকাশের একটি নির্দিষ্ট স্থানে, একটি নির্দিষ্ট সময়ে, কয়েক ঘণ্টার জন্য বা কয়েক রাতের জন্য নির্দেশিত করা হয়। আমরা যা করতে যাচ্ছি তা হলো, সব কিছুর ছবি তোলা।

এগুলো আমরা রিয়েল টাইমে দিতে পারব। তখন বিজ্ঞানীরা সেগুলো দিয়ে তাদের নিজস্ব অনুমান ও থিসিস তৈরি করতে সক্ষম হবেন।’

ইতিমধ্যে ১৪৪ মেগাপিক্সেলের টেস্ট ক্যামেরা দিয়ে পাওয়া ফল সবাইকে অবাক করেছে। নতুন ক্যামেরার মেগাপিক্সেল হবে তিন হাজার ২০০। ফলে অসাধারণ দৃশ্য দেখা যাবে।

এই প্রকল্পের মাধ্যমে তোলা একটি ছবি দেখাতে ৪০০টি আলট্রা এইচডি টিভি স্ক্রিন লাগবে।

অরা প্রকল্পের সায়েন্টিফিক ডিরেক্টর স্টুয়ার্ট কর্ডার বলেন, ‘আমরা মহাবিশ্বের রঙিন ছবি থেকে এইচডি ভিডিওর দিকে যাচ্ছি, অর্থাৎ সাদাকালোর যুগ পেছনে ফেলে যাচ্ছি। আমরা রঙিন ছবি থেকে সরাসরি এইচডি ভিডিওর দিকে যাচ্ছি।’

টেলিস্কোপটি স্থির পর্যবেক্ষণ থেকে হাজার গুণ গতিশীল পর্যবেক্ষণের দিকে যাবে। অরা অবজারভেটরির নেটওয়ার্ক ইঞ্জিনিয়ার হ্যারনান স্টকব্রান্ড বলেন, ‘রাতের পর রাত পাওয়া ছবিগুলো বিশ্লেষণ করে সিস্টেমটি শনাক্ত করতে সক্ষম হবে, কোনো তারা বিস্ফোরিত হলো কি না, এটি সুপার নোভা হয়ে গেল কি না, কিংবা কোনো তারা জ্বলা বন্ধ করে দিল কি না। গ্রহাণুর মতো কিছু পৃথিবীর দিকে এগিয়ে আসছে কি না, তা-ও জানা যাবে।’

ধারণা করা হয়, বর্তমানে আমরা মহাবিশ্বের মাত্র ৫ শতাংশ সম্পর্কে জানি। ক্যামেরাটি যখন কাজ শুরু করবে তখন বাকি ৯৫ শতাংশ সম্পর্কেও জানা যাবে বলে আশা করা হচ্ছে।

আলেহান্দ্রো বলেন, ‘আয়না ও ক্যামেরার এই সমন্বিত ব্যবস্থার সুবিধা হলো আপনি খুব দূরে দেখতে পারবেন, অথবা আপনি খুব ক্ষীণ বস্তু দেখতে সক্ষম হবেন, যেগুলো কোনো টেলিস্কোপে দেখা যায় না, মানুষের চোখেতো নয়ই। যেহেতু এটি প্রতি রাতে অনেক দ্রুত চলাচল করবে, তাই এটি অনেক ছবি তুলতে সক্ষম হবে, যেগুলো ১০ বছর ধরে তুলনা করা সম্ভব হবে। ফলে এই বস্তুগুলো কিভাবে পরিবর্তিত হচ্ছে এবং কিভাবে নক্ষত্র ও গ্রহগুলোর গতিবিধি, জীবন ও মৃত্যুতে পরিবর্তন হচ্ছে তা দেখা যাবে। কিভাবে তারা জন্ম নেয়, কিভাবে বিলুপ্ত হয়, কিভাবে তারা কাজ করে ইত্যাদি।’

চলতি বছরেই ক্যামেরাটি চালু করতে কাজ করছেন বিজ্ঞানীরা।

মন্তব্য

সম্পর্কিত খবর

জিমেইলের তথ্য চুরির নতুন ফাঁদ, সতর্ক করে যা বলছে গুগল

অনলাইন ডেস্ক
অনলাইন ডেস্ক
শেয়ার
জিমেইলের তথ্য চুরির নতুন ফাঁদ, সতর্ক করে যা বলছে গুগল
সংগৃহীত ছবি

দাপ্তরিক, ব্যবসায়িক কিংবা ব্যক্তিগত কাজে অতি গুরুত্বপূর্ণ হয়ে উঠেছে জিমেইল। তবে যতই দিন যাচ্ছে ততই জিমেইল ব্যবহারকারীদের নানা সমস্যার সম্মুখীন হতে হচ্ছে। বিশেষ করে ভাইরাস অ্যাটাক, হ্যাকিং, স্প্যাম সবমিলিয়ে জিমেইল অ্যাকাউন্ট সুরক্ষিত রাখাও বেশ কঠিন। 

এবার জিমেইলের হুবহু বার্তা পাঠিয়ে ব্যবহারকারীদের তথ্য চুরি করছে সাইবার অপরাধীরা।

এমন সম্ভাবনায় সতর্কবার্তা জারি করেছে গুগল।

সম্প্রতি জিমেইল জানিয়েছে, তাদের নাম ব্যবহার করে হ্যাকিং শুরু করেছে সাইবার অপরাধীর দল। নতুন কায়দায় জিমেইল হ্যাকিংয়ের বিষয়টি সামনে এনেছেন সফটওয়্যারের প্রযুক্তিবিদ নিক জনসন। এ নিয়ে এক্স হ্যান্ডলে একটি পোস্টে তিনি লিখেছেন, ‘‘গুগলের অফিশিয়াল ই-মেইল ক্লোন করে সেখান থেকে গ্রাহকদের বার্তা পাঠাচ্ছে সাইবার অপরাধীরা।

ওই বার্তায় থাকছে একটি লিঙ্ক। ই-মেইলটি হুবহু হওয়ায় গ্রাহকরা সন্দেহ ছাড়াই লিংকটিতে ক্লিক করছেন। এতে হ্যাকারদের ফাঁদে পড়ছেন তারা।

ওই লিংকে ক্লিক করার সঙ্গেই ক্লোন করা একটি ওয়েব পেজে গ্রাহককে নিয়ে যাচ্ছে সাইবার অপরাধীরা।

সেখানেই ফাঁস হয়ে যাচ্ছে ব্যবহারকারীর যাবতীয় তথ্য। বিষয়টি স্বীকার করে নিয়েছে গুগল। মার্কিন সংস্থাটি জানিয়েছে, এই ধরনের বিপদ এড়াতে শীঘ্রই সুনির্দিষ্ট একটি সুরক্ষা ব্যবস্থা চালু করা হবে। তার আগে গ্রাহকদের বাড়তি সতর্কতা নেওয়ার পরামর্শ দেওয়া হয়েছে।

জিমেল অ্যাকাউন্ট সুরক্ষিত রাখতে গ্রাহকদের বেশ কয়েকটি বিষয়ের দিকে নজর রাখতে বলেছে গুগল।

 সেগুলো হলো :

১.সংস্থার নামে আসা যাবতীয় ই-মেইল এবং সেখানে থাকা লিঙ্কে ক্লিক না করা;

২. সকল গ্রাহককে দুই ধাপে সুরক্ষা বিধি মেনে চলা;

৩. নিয়মিত পাসওয়ার্ড বদল এবং জটিল পাসওয়ার্ড তৈরি করা।

মন্তব্য

চ্যাটজিপিটির সঙ্গে ব্যক্তিগত কথা, হতে পারে যে বিপদ

অনলাইন ডেস্ক
অনলাইন ডেস্ক
শেয়ার
চ্যাটজিপিটির সঙ্গে ব্যক্তিগত কথা, হতে পারে যে বিপদ
সংগৃহীত ছবি

স্মার্টফোনের মাধ্যমে এখন সবার হাতে হাতে পৌঁছে গিয়েছে ডিপসিক, চ্যাটজিপিটিসহ সব এআই। হাতের কাছে পৌঁছে যাওয়ায় সব কাজ এখন সহজ হয়ে গেছে। কৌতূহলী হয়ে অনেকে মনের কোণে লুকিয়ে থাকা প্রশ্নও নির্দ্বিধায় জিজ্ঞাসা করে বসেন। দিয়ে দেন নানা ব্যক্তিগত তথ্যও।

সেই সঙ্গে এআই যদি কোনো তথ্য জানতে চায় সেটিও দিয়ে দেন না বুঝেই।

চ্যাটজিপিটিকে ব্যক্তিগত তথ্য দিলে যে মারাত্মক বিপদের সম্মুখীন হওয়া লাগতে পারে সেটি এখনো আন্দাজ করতে পারেননি অনেকেই। ব্যক্তিগত তথ্য জানালে কী ক্ষতি হতে পারে—তা জানাতেই আজকের প্রতিবেদন। চলুন, জেনে নেওয়া যাক।

চ্যাটজিপিটি যত ইচ্ছে ব্যবহার করলেও ভুলেও কিছু তথ্য প্রকাশ করবেন না। এতে মারাত্মক বিপদে পড়তে পারেন।

আরো পড়ুন
এআই প্রশিক্ষণে বই ব্যবহার ‘করেছে’ মেটা

এআই প্রশিক্ষণে বই ব্যবহার ‘করেছে’ মেটা

 

ব্যক্তিগত আইডি নম্বর : নিজের পুরো নাম, জন্ম তারিখ, ঠিকানা, জন্ম নিবন্ধন নম্বর, পাসপোর্ট নম্বর, ভোটার আইডির তথ্য কখনো চ্যাটজিপিটিকে দেবেন না।

চ্যাটজিপিটি যদি এসব তথ্য মজুত না করেও রাখে তবু ডেটা চুরির ঝুঁকি কিন্তু থেকেই যায়।

আপনার ব্যক্তিগত তথ্য ব্যবহার করে অপরাধ ঘটাতে পারেন অপরাধীরা, তাতে আপনি বিপাকে পড়তে পারেন।

আর্থিক ও ব্যাংকের তথ্য : নিজের ব্যাংকের তথ্য, লেনদেনসংক্রান্ত তথ্য বা নথি কখনোই চ্যাটজিপিটিকে দেবেন না। ব্যাংক অ্যাকাউন্ট, ডেবিট কার্ড, ক্রেডিট কার্ড, লেনদেনসংক্রান্ত কোনো রকম তথ্য প্রকাশ করবেন না। যে হারে সাইবার জালিয়াতি বাড়ছে, তাতে বিপদে পড়তে পারেন আপনিও। ব্যবসাসংক্রান্ত তথ্য, এমনকি নিজের কোনো আইডিয়াও শেয়ার করবেন না।

সব কিছু হাতছাড়া হতে পারে, যা থেকে আইনি জটিলতা বাড়তে পারে ভবিষ্যতে।

আরো পড়ুন
ফোনে থার্ড পার্টি অ্যাপ ব্যবহারে সাবধান হবেন যে কারণে

ফোনে থার্ড পার্টি অ্যাপ ব্যবহারে সাবধান হবেন যে কারণে

 

পাসওয়ার্ড ও গোপন নম্বর : গুরুত্বপূর্ণ পাসওয়ার্ড, নিজের সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম সংক্রান্ত তথ্যও চ্যাটজিপিটির হাতে না যাওয়াই ভালো। বরং পাসওয়ার্ডসহ টু ফ্যাক্টর অথেন্টিকেশন পদ্ধতি ব্যবহার করুন, যাতে পাসওয়ার্ড দেওয়ার পর মোবাইল নম্বর বা মেইলের মাধ্যমে পুনরায় কোড নম্বর দেওয়া বাধ্যতামূলক হয়। এ ছাড়া পাসওয়ার্ড যেন সহজ না হয়।

ব্যক্তিগত তথ্য : চ্যাটজিপিটিকে এখন জীবনসঙ্গীর বিকল্প হিসেবেও দেখছেন কেউ কেউ। মনের সব অনুভূতি, অতীত চ্যাটজিপিটির সঙ্গে তাই শেয়ার করে নিতে পিছপা হচ্ছেন না তারা।

কিন্তু মানুষের মতো এআই অনুভূতিশীল নয়। শেখানো বুলি আওড়ে বা সংগৃহীত তথ্য ব্যবহার করে সাময়িক সান্ত্বনা জোগালেও আপনার একান্ত ব্যক্তিগত অনুভূতি, তথ্য কিন্তু হাতছাড়া হয়ে গেল। নিজের কাজসংক্রান্ত তথ্যও চ্যাটজিপিটির সঙ্গে শেয়ার করবেন না।

আরো পড়ুন
হোয়াটসঅ্যাপের ছবি-ভিডিও সেভ হবে কি না, সিদ্ধান্ত নেবে প্রেরক

হোয়াটসঅ্যাপের ছবি-ভিডিও সেভ হবে কি না, সিদ্ধান্ত নেবে প্রেরক

 

সূত্র : এবিপি লাইভ

মন্তব্য

নাগরিক অধিকার হিসেবে ইন্টারনেটের স্বীকৃতি এ মাসেই

অনলাইন ডেস্ক
অনলাইন ডেস্ক
শেয়ার
নাগরিক অধিকার হিসেবে ইন্টারনেটের স্বীকৃতি এ মাসেই
প্রতীকী ছবি

এ মাসেই ইন্টারনেটকে নাগরিক অধিকার হিসেবে স্বীকৃতি দেওয়া হবে বলে জানিয়েছেন প্রধান উপদেষ্টার বিশেষ সহকারী ফয়েজ আহমেদ তৈয়্যব।

শনিবার টেলিকম অ্যান্ড টেকনোলজি রিপোর্টার্স নেটওয়ার্কের (টিআরএনবি) আয়োজনে ইন্টারনেট ‘সেবার সমস্যা, সম্ভাবনা ও করণীয়’ শীর্ষক এক গোলটেবিল বৈঠকে তিনি এ কথা বলেন।

ফয়েজ আহমেদ তৈয়্যব বলেন, ‘দেশে ইন্টারনেট সেবার মান নিকৃষ্ট এবং দামও বেশি।’ এ সময় ইন্টারনেটের ব্যান্ডউইথ সর্বনিম্ন ১০ এমবিপিএস করার ঘোষণা দেয় আইএসপি অ্যাসোসিয়েশন।

 

বৈঠকে ইন্টারনেটের দাম ও সেবাসংক্রান্ত নানা সমস্যার তুলে ধরেন অংশীজনরা। ইন্টারনেট সেবার লাইসেন্স জটিলতা নিরসন, পরিচালন ব্যয় কমানো, অ্যাকটিভ শেয়ারিং ব্যবস্থা চালুর দাবি জানান তারা। বৈঠকে ইন্টারনেট সার্ভিস প্রভাইডার অ্যাসোসিয়েশনের সভাপতি গ্রাহক পর্যায়ে ইন্টারনেটের ব্যান্ডউইডথ বাড়ানো ঘোষণা দেন। 

আইএসপিএবি সভাপতি ইমদাদুল হক বলেন, ‘সরকারের যে উদ্দেশ্য বিশেষ করে ২০ এমবিপিএস, আসলে অদূর ভবিষ্যতে ২০ এমবিপিএসও সম্ভব হবে না, আরো বেশি সেবা আমরা দিতে চাই।

আর আজ থেকে ৫ এমবিপিএসের প্যাকেজটা আমরা রাখব না। এটা ১০ এমবিপিএস হবে।’

ইন্টারনেট সেবার মান বাড়াতে সংস্কারের কথা জানান বিটিআরসির চেয়ারম্যান অবসরপ্রাপ্ত মেজর জেনারেল এমদাদ উল বারী। তিনি জানান, এত দিন ইন্টারনেট ব্যবসার জন্য রাজনৈতিক বিবেচনায় লাইসেন্স দেওয়া হয়েছে।

ক্ষুদ্র ব্যবসায়ীদের লাইসেন্সের বদলে রেজিস্ট্রেশন নিয়ে ব্যবসার সুযোগ দেওয়া হবে।

বিটিআরসি চেয়ারম্যান বলেন, ‘ফিক্সড টেলিকমিউনিকেশনের একটা লাইসেন্স হবে। এই লাইসেন্সে আপনি কোথায় ইন্টারনেট দেবেন, থানায় দেবেন নাকি জেলায় দেবেন, এটা আপনার ওপর নির্ভর করবে। যারা ক্ষুদ্র ব্যবসায়ী, অত বিনিয়োগ নেই, তাদের জন্য আমরা লাইসেন্সিংও বাতিল করে দিতে চাই। আপমরা চাই, সিম্পলি রেজিস্ট্রেশন করে, কল সেন্টার যে রকম হয়, যাতে যে কেউ এ ব্যবসায় চলে আসতে পারে।

বাংলাদেশে ইন্টারনেট সেবা নিকৃষ্ট উল্লেখ করে প্রধান উপদেষ্টার বিশেষ সহকারী বলেন, ‘ইন্টারনেট যেন আর কোনো সরকার চাইলেই বন্ধ করতে না পারে সে জন্য এটিকে স্বীকৃতি দিতে যাচ্ছে নাগরিক অধিকার হিসেবে।’

ফয়েজ আহমেদ তৈয়্যব বলেন, ‘বাংলাদেশে যে ইন্টারনেট কোয়ালিটি, এটা পৃথিবীর সবচেয়ে নিকৃষ্ট। এই নিকৃষ্ট পণ্য আপনি একটা মধ্য মানের ভ্যালুতে বিক্রি করেন। আপনি যদি এখানে কোয়ালিটি বাড়ান তাহলে বর্তমান বেঞ্চমার্কে এলে এটার দাম অনেক বেশি পড়ে। পৃথিবীর বহু দেশ এটাকে বেসিক হিউম্যান রাইটস হিসেবে ডিক্লেয়ার করেছে। আমরাও আমাদের সাইবার সিকিউরিটি অর্ডিন্যান্সে, যেটা এ মাসে পাস হবে, সেখানে ইন্টারনেটকে নাগরিক অধিকার হিসেবে স্বীকৃতি দিতে যাচ্ছি।’

বৈঠকে বিশেষজ্ঞরা বলেন, ‘আগামী ৫ থেকে ১০ বছর পর সরকার ইন্টারনেট সেবার মান কোথায় নিতে চায় তার পরিকল্পনা এখনই নিতে হবে।’

মন্তব্য

চ্যাটজিপিটির পরামর্শেই সময়মতো চিকিৎসা, রক্ষা পেল দুই জীবন

অনলাইন ডেস্ক
অনলাইন ডেস্ক
শেয়ার
চ্যাটজিপিটির পরামর্শেই সময়মতো চিকিৎসা, রক্ষা পেল দুই জীবন
সংগৃহীত ছবি

ইনস্টাগ্রামে একটি পোস্টে কনটেন্ট ক্রিয়েটর নাটালিয়া ট্যারিয়েন জানিয়েছেন, কিভাবে মজা করে চ্যাটজিপিটি কে করা একটা সাধারণ প্রশ্নই শেষ পর্যন্ত তার ও তার অনাগত সন্তানের জীবন বাঁচিয়েছে।

তিনি চোয়ালে হালকা টান অনুভব করায় চ্যাটজিপিটি কে প্রশ্ন করেছিলেন এর কারণ সম্পর্কে। যদিও তিনি বিষয়টি খুব একটা গুরুত্ব দিয়ে ভাবেননি। কিন্তু চ্যাটজিপিটি নাটালিয়াকে রক্তচাপ মেপে দেখতে বললো।

তিনি রক্তচাপ মেপে দেখলেন, তা স্বাভাবিকের চেয়ে অনেকটাই বেশি।

নাটালিয়া ভাবলেন হয়তো কিছুক্ষণ পরে ঠিক হয়ে যাবে। কিন্তু কিছুক্ষণ পরে রক্তচাপ আরও বাড়তে থাকে এবং তিনি অসুস্থ বোধ করতে থাকেন। ব্যাপারটি নিয়ে চ্যাটজিপিটিকে আবার প্রশ্ন করা হলে আর্টিফিশিয়াল ইনটেলিজেন্সটি নাটালিয়াকে অ্যাম্বুলেন্স ডাকার পরামর্শ দেয়।

পরবর্তীতে নাটালিয়া হাসপাতালে গেলে তার রক্তচাপ পুনরায় পরীক্ষা করা হয়। দেখা যায় তার রক্তচাপ ২০০/১৪৬ — যা খুবই বিপজ্জনক। তখনই ডাক্তাররা বলেন, ‘আর দেরি নয়, এখনই বাচ্চা ডেলিভারি করতে হবে।’

পরিস্থিতি এতটাই ভয়ানক ছিল যে এক ডাক্তার তাকে বলেন, ‘তুমি যদি হাসপাতালে না এসে রাতে ঘুমিয়ে যেতে, আর হয়তো চোখ খুলতে পারতে না।

নাটালিয়ার ছেলে এখন সুস্থ, তিনিও ভালো আছেন।’

তিনি ইন্সটাগ্রাম পোস্টে বলেন, ‘একটা ছোট প্রশ্ন, একটা সাধারণ উপসর্গ। আর সেখান থেকেই আমার আর আমার সন্তানের প্রাণ রক্ষা হল। চ্যাটজিপিটি সত্যিই আমাদের জীবন বাঁচিয়েছে।’

এই ঘটনার মতোই আরেকজন রেডিট-এ জানিয়েছেন, তার ৫ বছরের পুরোনো চোয়ালের সমস্যা চ্যাটজিপিটি কয়েক সেকেন্ডেই সমাধান করে দিয়েছিল।

এই ধরনের ঘটনা সোশ্যাল মিডিয়ায় অনেকের কৌতূহল তৈরি করছে। তবে আমাদের মনে রাখা প্রয়োজন, মাঝে মাঝে আর্টিফিসিয়াল ইনিটেলিজেন্স আমাদের সঠিক সাহায্য করলেও কোনো চিকিৎসকের বিকল্প হতে পারে না।

সূত্র : ইন্ডিয়া টুডে

মন্তব্য

সর্বশেষ সংবাদ