<p>টিভি দেখতে গেলে বা স্ক্রিনের সামনে কাজ করতে গেলে অনেক সময় চোখ দিয়ে পানি পড়ে, লাল হয়ে যায় চোখ, ফুলে যায়, চোখ কড়কড় করে, ঘাড়ে ও পিঠে ব্যথা করে। সর্বক্ষণ স্ক্রিনের দিকে তাকিয়ে থাকলে এমন সব সমস্যা হয়ে থাকে। আর এই সব সমস্যাকে ‘কম্পিউটার ভিশন সিনড্রোম’ বা সিভিএস বলা হয়।</p> <p> </p> <p><strong>সমস্যা</strong></p> <p>♦ একনজরে একদিকে বেশিক্ষণ তাকিয়ে থাকার কারণে দৃষ্টিশক্তির ওপরে চাপ তৈরি হচ্ছে। ফলে রক্ত চলাচল কম হয়। এ কারণে প্রতি ১০০ জনের মধ্যে প্রায় ৭০ জন ভিশন সিনড্রোমের শিকার। এমন সময় চোখে সামান্য আলো পড়লেই বিরক্ত লাগে।</p> <p>♦ বেশিক্ষণ কম্পিউটারের দিকে তাকিয়ে থাকলে চোখ খসখস করে, ডাক্তারি ভাষায় যাকে ‘ড্রাইআই’ বলা হয়।</p> <p>♦ অভিভাবক যদি সচেতন না হন, তাহলে বাচ্চাদের চোখ ট্যারা হয়ে যাওয়ারও আশঙ্কা থাকে।</p> <p> </p> <p><strong>সমাধান</strong></p> <p>♦ কম্পিউটার স্ক্রিন অর্থাৎ মনিটর থেকে নির্দিষ্ট দূরত্বে বসে কাজ করতে হবে। মনিটরের উচ্চতা ও চোখের মধ্যে সামঞ্জস্য থাকলে ঘাড়ে ব্যথার হাত থেকেও রেহাই পাওয়া যাবে।</p> <p>♦ কম্পিউটার স্ক্রিনের কনট্রাস্ট ও ব্রাইটনেস অ্যাডজাস্ট করা। বেশি ঝলমলে রং থেকে চোখকে বাঁচায় কনট্রাস্ট। ব্রাইটনেস কম করলে চোখের পক্ষে তা আরামদায়ক।</p> <p>♦ অফিসের কাজের ফাঁকে মাঝেমধ্যে চোখকে আরাম দেওয়া প্রয়োজন। প্রতি আধাঘণ্টায় পাঁচ থেকে ১০ মিনিটের বিরতি নিতে হবে।</p> <p>♦ কম্পিউটারে কাজ করার জন্য নির্দিষ্ট চশমা পাওয়া যায়, সেটা পরে কাজ করাই ভালো।</p> <p>♦ কিছুক্ষণ বিরতিতে চোখে পানির ঝাপটা না দিয়ে বরং বিশেষজ্ঞের পরামর্শ নেওয়া এবং পরামর্শ অনুযায়ী চোখে আই ড্রপ ব্যবহার করা।</p> <p>♦ ঘরের মধ্যে প্রয়োজনমতো আলো জ্বালিয়ে কাজ করা। স্ক্রিন ব্যবহারের সময় বারবার চোখের পাতা ফেলতে হবে (অন্তত ২০ বার) আর এসবেও সমস্যা সমাধান না হলে ডাক্তারের পরামর্শ নিতে হবে।</p> <p>♦ ঘুমোতে যাওয়ার আগে দীর্ঘক্ষণ মোবাইল ফোনসেট ব্যবহার না করা।</p> <p>♦ প্রতি ২০ মিনিট কম্পিউটার অথবা মোবাইল ফোনসেট ব্যবহারের পর কম করে হলেও ২০ সেকেন্ড দূরে তাকিয়ে থাকতে হবে।</p> <p> </p> <p><em>পরামর্শ দিয়েছেন</em></p> <p><strong><em>ডা. শরমীন সোহেলী</em></strong></p> <p><em>সিনিয়র কনসালট্যান্ট</em></p> <p><em>বসুন্ধরা আই হসপিটাল অ্যান্ড রিসার্চ ইনস্টিটিউট, ঢাকা</em></p>