বর্ষায় কিছু রোগের সংক্রমণ ঘটে। ঘন ঘন বৃষ্টির ফলে আবহাওয়া আর্দ্র থাকে। ফলে বিভিন্ন রোগের সংক্রমণ ঘটে। সাধারণত বর্ষার ব্যাধিগুলোর মধ্যে চোখের সংক্রমণ বা কনজেক্টিভাইটিস বেশি দেখা যায়।
বর্ষায় কিছু রোগের সংক্রমণ ঘটে। ঘন ঘন বৃষ্টির ফলে আবহাওয়া আর্দ্র থাকে। ফলে বিভিন্ন রোগের সংক্রমণ ঘটে। সাধারণত বর্ষার ব্যাধিগুলোর মধ্যে চোখের সংক্রমণ বা কনজেক্টিভাইটিস বেশি দেখা যায়।
মধু
মধু চোখের সংক্রমণ প্রতিরোধে কার্যকর ভূমিকা রাখে।
গোলাপজল
এ কাজে গোলাপজল খুবই উপকারী।
আলু
আলুর শীতল স্পর্শ আমাদের চোখের জ্বালা কমাতে এবং সংক্রমণ প্রতিরোধে সাহায্য করে।
তুলসীপাতা
তুলসীপাতায় খনিজ, ভিটামিন এবং প্রচুর পরিমাণে পুষ্টিগুণ রয়েছে, যা ব্যাকটেরিয়া ধ্বংস করে। চোখের সংক্রমণ দূর করতে সাহায্য করে। এটি চোখের জ্বালা বা ব্যথা থেকে মুক্তি পেতেও সাহায্য করে। তুলসীপাতা সারা রাত পানিতে ভিজিয়ে রেখে পরের দিন সকালে এই পানি দিয়ে চোখ ধুয়ে ফেলতে হবে। তিন-চার দিন ব্যবহার করলে ব্যথা কিছুটা কমে যাবে।
হলুদ
পুষ্টিগুণ এবং ব্যাকটেরিয়া ধ্বংস করার জন্য এই মসলার বেশ কিছু ওষুধি ব্যবহার রয়েছে। কিন্তু অবাক করার বিষয় হচ্ছে, হলুদ চোখের সংক্রমণ প্রতিরোধেও সাহায্য করতে পারে। এটি চোখের জন্য ম্যাজিকের মতো কাজ করে। হালকা গরম পানিতে এক চিমটি হলুদের গুঁড়া মিশিয়ে সেই পানিতে একটি তুলার পেড ভিজিয়ে রাখুন এবং তা দিয়ে আপনার চোখ মুছে নিন। এটি চোখের চারপাশের ময়লা পরিষ্কার করবে এবং সংক্রমণ প্রতিরোধে সহায়তা করবে।
গ্রিন টি
গ্রিন টি খনিজ, ভিটামিন এবং পুষ্টিগুণে ভরপুর। এটি চোখের ফোলা ভাব ও ব্যথা কমানোর পাশাপাশি আরাম বয়ে আনে। হালকা গরম পানিতে গ্রিন টি ব্যাগ ডুবিয়ে রেখে প্রতিটি চোখের ওপর রাখতে পারেন। অথবা রেফ্রিজারেটরে এই টি ব্যাগগুলো ঠাণ্ডা করে আপনার চোখের ওপর ব্যবহার করুন।
সূত্র : টাইমস অব ইন্ডিয়া
সম্পর্কিত খবর
বর্তমান যুগের জীবনযাত্রার কারণে আমাদের স্বাস্থ্য মারাত্মকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে। যার কারণে আমরা নানা ধরনের রোগে ভুগছি। ডায়াবেটিস, উচ্চ রক্তচাপ, ওজন বৃদ্ধির মতো গুরুতর সমস্যায় ভুগছেন অনেকে।
যারা বেশি শারীরিক পরিশ্রম বা ব্যায়াম করেন না, খাবারের ওপর নিয়ন্ত্রণ নেই এবং মানসিক চাপে থাকেন তাদের উচ্চ রক্তচাপে আক্রান্ত হওয়ার আশঙ্কা বেশি।
চলুন, জেনে নেওয়া যাক কী কী খাবার খেলে আপনি উচ্চ রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণে রাখতে পারেন।
বিটরুট
এটি রক্তনালি শিথিল করে রক্তপ্রবাহ উন্নত করে। এতে বিভিন্ন ধরনের অ্যান্টি-অক্সিডেন্ট রয়েছে।
রসুন
রসুন আমাদের রান্নাঘরে অপরিহার্য একটি উপাদান। এটি বিভিন্ন উপায়ে খাবারে ব্যবহার করতে পারেন।
ডালিম
ডালিমের অ্যান্টি-অক্সিডেন্ট বৈশিষ্ট্য রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণ এবং হৃদযন্ত্রের স্বাস্থ্যের উন্নতিতে সাহায্য করে।
দই
দইয়ে ক্যালসিয়াম, ম্যাগনেসিয়াম, পটাশিয়াম ইত্যাদি খনিজ পদার্থ রয়েছে। যা উচ্চ রক্তচাপের রোগীদের জন্য খুবই উপকারী। প্রতিদিন এক কাপ দই খেলে উচ্চ রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণে থাকে।
সূত্র : এশিয়া নেট নিউজ
এবারের রমজান শুরুর আবহাওয়া ছিল বেশ আরামদায়ক। তবে আস্তে আস্তে বাড়ছে গরম। আর এই গরমে সারা দিন রোজা রাখার পর যদি তৃষ্ণা মেটানোর জন্য থাকে ঠাণ্ডা কিছু তাহলে মুহূর্তেই মিলবে প্রশান্তি। তবে খেয়াল রাখতে হবে সেই ঠাণ্ডা পানীয় যেন স্বাস্থ্যকর হয়।
বেলের শরবত একটি জনপ্রিয় পানীয়, যা কেবল সুস্বাদুই নয়, স্বাস্থ্যের জন্যও অত্যন্ত উপকারী। আর তাই প্রতিদিনের ইফতারের অংশ হিসেবে রাখতে পারেন এক গ্লাস ঠাণ্ডা বেলের শরবত।
কোষ্ঠকাঠিন্য, আলসার, ডায়াবেটিস ও আর্থরাইটিসের ব্যথা কমাতে দারুণ কার্যকরী বেল।
উপকরণ
প্রস্তুত প্রণালী
বেল ভালো করে ধুয়ে খোসা ছাড়িয়ে নিন। বেলের গর মসৃণ করে নিন। ঠাণ্ডা পানিতে বেলের গর মিশিয়ে ভালো করে চটকে নিন। তারপর একটি বড়ো ছাঁকনি দিয়ে ছেঁকে নিতে হবে। পানিতে টক দই, চিনি, বিট লবণ ও লেবুর রস মিশিয়ে নিন।
উপকারিতা
বেলের শরবতে প্রচুর পরিমাণে পানি থাকে, যা গরমে শরীর ঠাণ্ডা রাখতে সাহায্য করে। বেলের শরবত পেটের জন্য খুবই ভালো। এটি কোষ্ঠকাঠিন্য, আমাশয় ও অম্বল দূর করতে সাহায্য করে। বেলের শরবতে প্রচুর পরিমাণে ভিটামিন সি থাকে, যা রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বৃদ্ধি করতে সাহায্য করে।
বেলের শরবত ত্বকের জন্য খুবই ভালো। এটি ত্বকের ঔজ্জ্বল্য বৃদ্ধি করতে এবং ব্রণ দূর করতে সাহায্য করে। বেলের শরবতে ক্যালরির পরিমাণ খুব কম থাকে। তাই এটি ওজন কমাতে সাহায্য করে।
বর্তমান বিশ্বে অতিরিক্ত ওজন অন্যতম একটি শারীরিক সমস্যা। অতিরিক্ত ওজনের ফলে অনেকের শরীরে জমা হচ্ছে কোলেস্টেরল। রক্তে কোলেস্টেরলের মাত্রা বাড়লে হতে পারে হৃদরোগের মতো রোগ। মূলত ভুল খাদ্যাভ্যাসের জন্যে দেহে খারাপ বা এলডিএল কোলেস্টেরলের মাত্রা বাড়ে।
চলুন, জেনে নিই কোন ধরনের খাবার খেলে কোলেস্টেরলের মাত্রা নিয়ন্ত্রণে থাকবে।
স্বাস্থ্যকর ফ্যাট
ফ্যাট মানেই খারাপ, এমনটা ভাবার কারণ নেই। ফ্যাটও শরীরের জন্য দরকার।
শস্যদানা
ওটস, বার্লি ও ব্রাউন রাইসে প্রচুর পরিমাণে ফাইবার থাকে। এগুলো রক্তে কোলেস্টেরলের মাত্রা নিয়ন্ত্রণে রাখে এবং ওজন কমায়। এমনকি রক্তে শর্করার মাত্রা নিয়ন্ত্রণ করে।
ডাল
মুগ, মসুর, রাজমা, ছোলা যেকোনো ডালই স্বাস্থ্যের জন্য উপকারী। ডালে প্রচুর পরিমাণে ফাইবার থাকে।
বাদাম ও বীজ
আমন্ড, আখরোট, চিয়া সিড ও কুমড়ার দানা প্রতিদিনের খাদ্য তালিকায় রাখুন। এসব খাবারে ফাইবার, প্রোটিন, অ্যান্টি-অক্সিডেন্ট থাকে। বাদাম ও বীজ খেলে রক্তে কোলেস্টেরলের মাত্রা কমে।
ফল ও সবজি
সব ধরনের শাকসবজি ও ফল স্বাস্থ্যের জন্য উপকারী। শাকসবজির মধ্যে প্রচুর পরিমাণে ফাইবার রয়েছে। যা কোলেস্টেরলের মাত্রা কমায়।
সূত্র : এই সময়
চলছে রমজান মাস। এই সময়ে আমরা দিনের বেলায় উপবাস থেকে সন্ধ্যায় ইফতার করি। সারা দিন উপবাস থাকায় ইফতারে অনেকে অনেক রকম খাবার রাখেন। তবে অনেক আগে থেকেই আমাদের দেশে ইফতারে ছোলা-মুড়ি খাওয়ার প্রচলন রয়েছে।
শুধু রোজার ইফতারেই নয়, বছরের অন্যান্য সময়ও এই খাবার খেয়ে থাকেন বাঙালিরা। ছোলার অনেক গুণ আমরা জানলেও মুড়ির গুণাগুণ আমরা কতটা জানি। তবে চলুন, আজ জেনে নিই মুড়ি কি আসলেই আমাদের জন্য উপকারী, নাকি ক্ষতিকর।
মধ্যবিত্ত পরিবারে ভাতের পরেই অন্যতম একটি খাবার হলো মুড়ি। চা, দুধ, চানাচুর, চপ সিঙারা দিয়ে মুড়ি, এমনকি অনেকে মাংসের ঝোলেও মুড়ি মিশিয়ে খান। এখন প্রশ্ন হলো এত মুড়ি খাওয়া কি স্বাস্থ্যের জন্য আদৌও ভালো? ইউরিক এসিড বেড়ে যাওয়া ছাড়া আর কী হতে পারে এই খাবার খেলে—
প্রতিদিন মুড়ি খেলে ব্লাডপ্রেশার নিয়ন্ত্রণে থাকে। এতে সোডিয়াম প্রায় থাকেই না।
মুড়ি খেলে ক্যান্সারের ঝুঁকি কমে। এতে আছে ইনসলিউবল ফাইবার। যা ক্যান্সারের কোষকে ধ্বংস করে। এই ফাইবার অন্ত্র দিয়ে মলের মাধ্যমে বেরিয়ে যায়। তখন শরীরের কিছু ক্ষতিকর কোষকে সঙ্গে নিয়ে বের হওয়ার ফলে কোলন ক্যান্সারের সম্ভাবনা কয়েকগুণ কমে যায়।
শরীরে কোলেস্টেরলের মাত্রা বেশি থাকলে অনেক গুরুতর অসুখ পিছু নিতে পারে। এমনকি হার্টের অসুখ এবং স্ট্রোক পর্যন্ত হতে পারে। এই রোগে ভুক্তভোগীরা নিশ্চিন্তে মুড়ি খেতে পারেন। খারাপ ফ্যাটের পরিমাণ খুব কম থাকে এতে। তাই কোলেস্টেরল বাড়ে না। তবে মুড়িতে তেল দেবেন না, এতে সমস্যা বাড়তে পারে।
মুড়িতে নিয়াসিন, ফাইবার, ভিটামিন ডি, ক্যালসিয়াম, আয়রনের মতো প্রচুর গুরুত্বপূর্ণ উপাদান রয়েছে। তাই দেহে পুষ্টির ঘাটতি থাকলে তা পূরণ করতে পারে মুড়ি। আপনার হজমের সমস্যা থাকলে মুড়ি খান নিশ্চিন্তে। এটি সহজে এসিডিটি হতে দেয় না। পেটের সমস্যাতেও শুকনো বা পানি মুড়ি ভীষণ উপকারী। ক্যালরির পরিমাণ খুব কম থাকে।
অল্প খিদেতে অনায়াসেই মুড়ি খেতে পারেন, তাতে আলাদা করে বাড়তি কোন ক্যালরি যোগ হয় না। নাশতা হিসেবে খেলেও ওজন থাকে নিয়ন্ত্রণে। তা ছাড়া মুড়িতে প্রচুর পরিমাণে ভিটামিন বি ও খনিজ লবণ থাকায় এটি রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়ায়। নিয়মিত মুড়ি চিবিয়ে খেলে হার্ট অ্যাটাকের ঝুঁকি কমে যায়। দাঁত ও মাড়ির স্বাস্থ্যও ভালো থাকে।
মুড়িতে আছে ক্যালসিয়াম ও আয়রন, যা হাড় শক্ত রাখতে সাহায্য করে। যারা পেটের সমস্যায় ভুগছেন বা উচ্চ রক্তচাপের অসুখে ভুগছেন তারা নিশ্চিন্তে ডায়েটে রাখুন এই খাবার। তাই এত দিন যারা মুড়ির নাম শুনলেই নাক সিঁটকে থাকতেন তারা আজ থেকেই খেতে শুরু করুন। ফল মিলবে হাতেনাতে।
সূত্র : আজকাল