ঘুম ঘুম ভাব কাটাতে পারেন যে উপায়ে

অনলাইন ডেস্ক
অনলাইন ডেস্ক
শেয়ার
ঘুম ঘুম ভাব কাটাতে পারেন যে উপায়ে
সংগৃহীত ছবি

সকালে ঘুম ভাঙার পরও অনেক সময় আলস্য কাটতে চায় না। শুয়ে থাকতেই মন চায় আরো অনেক্ষণ। এদিকে আবার কাজে যাওয়ার তাড়া থাকে। এ পরিস্থিতিতে শরীর চাঙ্গা করতে অনুসরণ করতে পারেন বিশেষ টিপস।

অনেকেই আলস্য কাটাতে শুধু চা-কফির কথাই ভাবেন। এ ছাড়াও এমন কিছু পানীয় ও টিপস আছে যা শরীরের ক্লান্তি কাটাতে সাহায্য করে। জেনে নিন সেগুলো।

হালকা গরম পানিতে মধু-লেবুর রস

অনেকেই ওজন কমাতে সকালে খাটি পেটে হালকা গরম পানিতে মধু ও লেবুর রস মিশিয়ে খান।

এ পানীয় শুধু ওজনই কমায় না, ঘুম ঘুম ভাব কাটাতেও এটি বেশ উপকারী। কারণ এতে থাকা মেটাবলিজম বুস্টিং গুণ থাকে। এই পানি দ্রুত রক্তের সঙ্গে মিশে রক্তের প্রবাহ বাড়িয়ে দেয়। এর ফলে নিস্তেজ হয়ে থাকা স্নায়ু কোষগুলি জেগে ওঠে।
তখন ঘুম ঘুম ভাবও কেটে যায়।

একটু অন্যভাবে চা, কফি খেতে পারেন

বেশিরভাগ মানুষই সকালে উঠে চা, কফি  খান। এ ক্ষেত্রে তারা একটু ভুল করেন। আর তা হলো চা বা কফির সঙ্গে চিনি মেশানো। এ কারণে ঘুম আর ক্লান্তি ভাব কাটতে চায় না।

চিনি কার্বোহাইড্রেটের উৎস। ফলে এনার্জি জোগায়। কিন্তু চিনি খুব বেশিক্ষণ এনার্জি জোগাতে পারে না। এ কারণে কিছুক্ষণ পর আবার ক্লান্তিভাব ফিরে আসতে পারে। সে জন্য সকালের  চা খান চিনি ছাড়া  এতে ক্লান্তি ও ঘুম দুটোই কাটবে ক্যাফেইনের গুণে। এ ছাড়া চা-কফির ক্যাফেইন আমাদের মস্তিষ্ককে সজাগ রাখতে বেশ কার্যকর।

পানি পান করুন

পানি ঘুম ঘুম ভাব দূর করার সবচেয়ে ভালো ওষুধ। পানি পান করলে আমাদের দেহের কোষগুলো নতুন করে উজ্জীবিত হয়ে ওঠে। এক গ্লাস পানি পান করে নিন। দেখবেন ঝিম ঝিম ঘুম ধরা ভাব কেটে গেছে। একই সঙ্গে পানি পান করলে মস্তিষ্ক নতুন করে কাজ করার জন্য তৈরি হয়ে যায়।

হাঁটাহাঁটি করুন

বসে থাকলে কিংবা চেয়ারে একটু গা এলিয়ে পড়ে থাকলে ঘুম ঘুম ভাব আরো জেঁকে বসে। তাই পাঁচ মিনিটের জন্য হাঁটতে পারেন। এতে শরীরের আলস্য কেটে যাবে। আর ঘুম ঘুম ভাবও দূর হয়ে যাবে।

চোখেমুখে পানি দিন

চোখে পানির ঝাপটা দিন। চোখে মুখে ঠান্ডা পানির একটু ঝাপটা দিলে মাথা ঝিম ধরা ও শরীরের অলসভাব একেবারে দূর হয়ে যাবে।

কথা বলা

ঘুম ঘুম ভাব নিয়ে চুপচাপ কাজে মনোযোগ দেওয়ার চেষ্টা করলে সেটি সম্ভব নয়। এতে কখনোই এই ঝিম ধরা ভাবটি যাবে না। কারণ চুপচাপ থাকলে আলস্য কাটানোর কোনো কাজই হবে না। এ সময় চাইলে সহকর্মী বা সঙ্গির সঙ্গে কথা বলতে পারেন।

মন্তব্য

সম্পর্কিত খবর

ফ্রিজে বিস্ফোরণ? জানুন কীভাবে দুর্ঘটনা এড়াবেন

জীবনযাপন ডেস্ক
জীবনযাপন ডেস্ক
শেয়ার
ফ্রিজে বিস্ফোরণ? জানুন কীভাবে দুর্ঘটনা এড়াবেন
সংগৃহীত ছবি

গরমে এসি ও ফ্রিজের কম্প্রেসার ফেটে বিস্ফোরণের ঘটনা প্রায়ই ঘটে থাকে। এসব দুর্ঘটনা এড়াতে সতর্কতা অবলম্বন করা জরুরি। কীভাবে এমন বিস্ফোরণ ঘটে এবং কীভাবে তা থেকে বাঁচা যায়, জেনে রাখা প্রয়োজন।

ত্রুটিপূর্ণ তারের সংযোগ
পুরনো রেফ্রিজারেটরের তারের সংযোগ ভালো করে পরীক্ষা করুন।

খারাপ তারের কারণে কম্প্রেসার অতিরিক্ত গরম হতে পারে। যা বিস্ফোরণের কারণ হতে পারে।

ফ্রিজের জন্য সঠিক জায়গা
ফ্রিজের পিছনে যদি দেয়াল থাকে, তবে সেখানে কিছুটা জায়গা রেখে রাখুন। সঠিক বায়ু চলাচল না হলে ফ্রিজ গরম হয়ে বিস্ফোরণের সম্ভাবনা তৈরি হতে পারে।

পুরনো রেফ্রিজারেটর
১০ বছরের বেশি পুরনো রেফ্রিজারেটরের নিয়মিত পরীক্ষা করা উচিত। পুরনো কম্প্রেসারে সমস্যা হলে, তা বিস্ফোরণের কারণ হতে পারে।

শর্ট সার্কিট
শর্ট সার্কিটের কারণে রেফ্রিজারেটরে বিস্ফোরণ ঘটতে পারে। তাই নিয়মিত সার্ভিসিং করা উচিত, অন্তত বছরে দুইবার।

সূত্র : টিভি নাইন বাংলা

মন্তব্য

জেনে নিন হার্ট অ্যাটাকের কয়েকটি লক্ষণ

জীবনযাপন ডেস্ক
জীবনযাপন ডেস্ক
শেয়ার
জেনে নিন হার্ট অ্যাটাকের কয়েকটি লক্ষণ
সংগৃহীত ছবি

হৃদরোগ পৃথিবীর অন্যতম প্রধান মৃত্যুর কারণ। এর মধ্যে অনেক মৃত্যুই ঘটে সঠিক সময়ে চিকিৎসা না নেওয়ার কারণে। হার্ট অ্যাটাকের প্রাথমিক লক্ষণগুলো যদি সময়মতো চিহ্নিত করা যায়, তবে অনেক ক্ষেত্রেই রোগীকে সুস্থ করা সম্ভব। কিন্তু বেশিরভাগ মানুষ এই লক্ষণগুলো উপেক্ষা করেন।

চলুন, জেনে নিই হার্ট অ্যাটাকের কিছু সাধারণ লক্ষণ। 

বুকে ব্যথা বা অস্বস্তি: বুকের মাঝখানে বা বাম দিকে চাপ, ব্যথা, চেপে ধরা বা জ্বালাপোড়া অনুভূত হতে পারে। এই ব্যথা কয়েক মিনিট স্থায়ী হতে পারে বা বারবার ব্যথা ফিরে আসতে পারে।

শরীরের উপরের অংশে ব্যথা: বুকের ব্যথার সঙ্গে বাহু, ঘাড়, পেট, পিঠ বা চোয়ালে ব্যথা হতে পারে।

শ্বাসকষ্ট: বুকে ব্যথা ছাড়াও শ্বাসকষ্ট হতে পারে। হৃদযন্ত্রের কার্যকারিতা কমে গেলে অক্সিজেন সরবরাহ কমে যায়, ফলে শ্বাসকষ্ট হয়।

বমি বমি ভাব বা বমি: হার্ট অ্যাটাকের সময় অনেকের ক্ষেত্রে বমি বা বমি বমি ভাব হতে পারে।

অতিরিক্ত ঘাম: কোনো কারণ ছাড়াই হঠাৎ ঠান্ডা ঘাম হতে পারে, সঙ্গে মাথা ঘোরা বা মাথাব্যথা হতে পারে।

অস্বাভাবিক ক্লান্তি: হঠাৎ দুর্বল বা অতিরিক্ত ক্লান্তি অনুভব হতে পারে।

মহিলাদের ক্ষেত্রে কিছু ভিন্ন লক্ষণও দেখা যেতে পারে, যেমন পেটে ব্যথা, পিঠে ব্যথা, বা চোয়ালে ব্যথা।

এই লক্ষণগুলোর মধ্যে কোনোটি অনুভব করলে দেরি না করে দ্রুত হাসপাতালে যাওয়াই শ্রেয়। চিকিৎসা শুরু করার সাথে সাথে জীবন বাঁচানোর সম্ভাবনা অনেক বাড়ে। 

সূত্র : আজকাল

মন্তব্য

অল্প বয়সে কিডনি নষ্ট হয় যেসব খাবারে

জীবনযাপন ডেস্ক
জীবনযাপন ডেস্ক
শেয়ার
অল্প বয়সে কিডনি নষ্ট হয় যেসব খাবারে
সংগৃহীত ছবি

আমাদের শরীর থেকে অতিরিক্ত বর্জ্য পদার্থ বের করার প্রধান দায়িত্ব পালন করে কিডনি। তবে কিছু খাবারের কারণে এই গুরুত্বপূর্ণ অঙ্গটি মারাত্মক ক্ষতির সম্মুখীন হতে পারে। চলুন, জেনে নিই এমন কিছু খাবারের তালিকা, যা কিডনির জন্য অত্যন্ত ক্ষতিকর।

অতিরিক্ত লবণ
খাবারে বেশি লবণ খাওয়ার অভ্যাস কিডনির জন্য ক্ষতিকর।

লবণে থাকা সোডিয়াম রক্তচাপ বাড়িয়ে কিডনির উপর চাপ ফেলে, যা কিডনি বিকল হওয়ার ঝুঁকি বাড়াতে পারে।

প্রসেসড ফুড বা প্যাকেটজাত খাবার
চিপস, ইনস্ট্যান্ট নুডলস, প্যাকেটজাত সস বা স্ন্যাকস এসব খাবারে প্রচুর সোডিয়াম, চিনি ও প্রিজারভেটিভ থাকে। যা কিডনির কার্যক্ষমতা ধীরে ধীরে কমিয়ে দেয়।

ফাস্টফুড ও জাঙ্কফুড
বার্গার, পিৎজা, ফ্রেঞ্চ ফ্রাইয়ের মতো ফাস্টফুডে অতিরিক্ত সোডিয়াম, ট্রান্স ফ্যাট ও প্রিজারভেটিভ থাকে।

এসব খাবার কিডনিতে টক্সিন জমিয়ে তার কার্যকারিতা কমিয়ে দেয়।

চিনি ও মিষ্টি খাবার
অতিরিক্ত চিনি রক্তে গ্লুকোজের পরিমাণ বাড়ায়, যা ডায়াবেটিসের ঝুঁকি বাড়ায়। ডায়াবেটিস হলে কিডনির উপর মারাত্মক প্রভাব পড়ে এবং কার্যকারিতা কমে যায়।

সফট ড্রিঙ্ক ও এনার্জি ড্রিঙ্ক
এই ধরনের পানীয়তে ফসফরাস থাকে, যা কিডনির স্বাভাবিক কাজকর্মে বাধা দেয়।

নিয়মিত এসব পানীয় খেলে কিডনিতে পাথর হওয়ার ঝুঁকি বাড়ে।

বেশি প্রোটিনযুক্ত খাবার
ওজন কমাতে বা মাসল বাড়াতে বেশি প্রোটিন খাওয়ার ফলে কিডনির উপর চাপ পড়ে। বিশেষত কিডনির সমস্যা থাকলে, অতিরিক্ত প্রোটিন গ্রহণ করলে দেহের জন্য তা ক্ষতিকর হতে পারে। তাই প্রোটিন খাওয়ার সময় পর্যাপ্ত পানি পান করতে ভুলবেন না।

অতিরিক্ত ওষুধ খাওয়া
অনেকেই ব্যথানাশক বা অ্যান্টিবায়োটিক নিয়মিত খেয়ে থাকেন, যা কিডনির উপর ক্ষতিকর প্রভাব ফেলতে পারে।

প্রয়োজন ছাড়া ওষুধ খাওয়া কিডনির কার্যকারিতা কমিয়ে দেয়।

এভাবে নিয়মিত ভুল খাদ্যাভ্যাস কিডনির ক্ষতি করতে পারে, তাই সচেতন হয়ে খাবার নির্বাচন করুন।

সূত্র : আজতাক বাংলা

মন্তব্য

তেল ছাড়া রান্না, উপকারী কি না?

জীবনযাপন ডেস্ক
জীবনযাপন ডেস্ক
শেয়ার
তেল ছাড়া রান্না, উপকারী কি না?
সংগৃহীত ছবি

সামাজিক মাধ্যমের দিকে চোখ রাখলেই এখন দেখা যায়, তেল ছাড়া মাছ, মাংস, তরকারি রান্না করার কৌশল। পরোটা হোক বা সবজি, কীভাবে তেল ছাড়া সুস্বাদু খাবার রান্না করা যায়, তা নিয়ে বর্তমানে অনেক আলোচনা হচ্ছে। অনেকের মতে, সুস্থ থাকতে গেলে জীবন থেকে তেল বাদ দেওয়া উচিত। এমনকি ওজন কমানোর সময় অনেকে ভোজ্য তেল ও চিনি এড়িয়ে চলেন।

তাই স্বাস্থ্য সচেতন হয়ে অনেকেই নিয়মিত রান্নায় তেল বাদ দিচ্ছেন অথবা খুব সামান্য তেল ব্যবহার করছেন।

কিন্তু প্রশ্ন উঠছে, তেল ছাড়া টানা দুই সপ্তাহ খাবার খেলে সত্যিই কি ওজন কমবে এবং তার উপকারিতা হবে? পুষ্টিবিদদের মতে, তেল নিয়ে সব ধারণা সঠিক নয়। তেল একেবারে বাদ দিলে শরীরের জন্য তা ক্ষতিকর হতে পারে। ভোজ্য তেল পুরোপুরি বাদ দিলে এবং ফ্যাট জাতীয় খাবার কম খেলে হজম ও বিপাকের উপর নেতিবাচক প্রভাব পড়তে পারে।

একজন সুস্থ প্রাপ্তবয়স্ক পুরুষের দিনে ৩০ মিলিলিটার বা ৫-৬ চা চামচ তেল প্রয়োজন। অপরদিকে নারীদের জন্য এই পরিমাণ ১৫ মিলিলিটার বা ৩ চা চামচ হতে পারে। তেল না থাকলে নানা শারীরিক সমস্যা হতে পারে।’

তেল শরীরে কী প্রভাব ফেলে?
তেলে থাকা ফ্যাট ভিটামিন এ,ডি,ই,কে শোষণে সাহায্য করে।

ফ্যাটে দ্রবীভূত ভিটামিনগুলোর উপকারিতা পেতে হলে স্বাস্থ্যকর ফ্যাট খাওয়া জরুরি। যদি শরীরে একেবারে তেল না থাকে তবে বদহজম, পেটফাঁপা ইত্যাদি সমস্যা দেখা দিতে পারে। তেল বাদ দিলে ক্যালোরি কমে যায়, ফলে ওজন কমানোর জন্য এটি কার্যকর হলেও ক্ষুধা ও হরমোনের ভারসাম্যে প্রভাব পড়তে পারে। যদি প্রয়োজনীয় ফ্যাটি অ্যাসিড শরীরে না পৌঁছায় তবে ভিটামিন সি এর শোষণ কম হবে এবং রোগপ্রতিরোধ ক্ষমতা কমে যাবে। এ ছাড়া ভিটামিন ডি এর অভাবে হাড়ের স্বাস্থ্যও ক্ষতিগ্রস্ত হতে পারে।

আর কী প্রভাব পড়বে শরীরে?
ত্বকের সজীবতা এবং লালিত্য ফ্যাট থেকেই আসে। তেল ফ্যাটি অ্যাসিড সরবরাহ করে। যদি শরীর প্রয়োজনীয় ফ্যাট না পায়, তবে ত্বক শুষ্ক হয়ে যেতে পারে এবং চুলের ঔজ্জল্য কমে যাবে।

শরীরের শক্তি উৎপাদনেও ফ্যাটের ভূমিকা রয়েছে। তেল পুরোপুরি বাদ দিলে মানুষের কাজের ক্ষমতা কমে যেতে পারে। ফ্যাটি অ্যাসিডের অভাব হলে নিউরোট্রান্সমিটারেও তার প্রভাব পড়তে পারে।

পুষ্টিবিদদের মতে, তেল ছাড়াও শরীরকে ফ্যাটি অ্যাসিডের জোগান দেওয়া সম্ভব। কেউ যদি কাঠবাদাম, আখরোট, মুরগির মাংস বা ডিম খাবারে রাখেন, তবে শরীর প্রয়োজনীয় ফ্যাট পেয়ে যাবে। বাদাম, বিভিন্ন ধরনের বীজ ও সামুদ্রিক মাছে ওমেগা-৩ ফ্যাটি অ্যাসিড পাওয়া যায়। যা শরীরের জন্য উপকারী। তবে রান্নায় ভোজ্য তেল ব্যবহার করা সবচেয়ে ভালো। যেমন সরিষার তেল, সূর্যমুখী তেল, অলিভ অয়েল, সয়াবিন তেল, রাইসব্র্যান তেল এগুলো ব্যবহার করা যেতে পারে।

সূত্র : আনন্দবাজার পত্রিকা

মন্তব্য

সর্বশেষ সংবাদ