বর্তমানে কোমরের ব্যথায় ভোগে না, এমন মানুষ খুঁজে পাওয়া দুষ্কর। বিশেষ করে নারীরা। কোমরের ব্যথায় ভোগা মানুষের সংখ্যা দিন দিন যেন বাড়ছে। তবে অন্য সব জায়গার ব্যথার থেকে কোমরের ব্যথা একটু বেশি যন্ত্রণাদায়ক।
বর্তমানে কোমরের ব্যথায় ভোগে না, এমন মানুষ খুঁজে পাওয়া দুষ্কর। বিশেষ করে নারীরা। কোমরের ব্যথায় ভোগা মানুষের সংখ্যা দিন দিন যেন বাড়ছে। তবে অন্য সব জায়গার ব্যথার থেকে কোমরের ব্যথা একটু বেশি যন্ত্রণাদায়ক।
তবে এই সমস্যা অনেক কারণেই হতে পারে।
ওজন নিয়ন্ত্রণে রাখুন :
সুস্থ থাকার জন্য ওজন নিয়ন্ত্রণে রাখা অতি গুরুত্বপূর্ণ। নিয়মিত কোমর ব্যথা হলে অবশ্যই ওজনের দিকে নজর দিতে হবে। বিশেষজ্ঞরা বলছেন, অনেক ক্ষেত্রে ওজন নিয়ন্ত্রণের বাইরে চলে গেলে এই সমস্যা দেখা দিতে পারে। যত দিন যাবে সেই ব্য়থা আরো বাড়তে পারে।
গরম পানির ব্যাগ ব্যবহার করুন :
কোমর ব্যথায় যেসব ঘরোয়া টোটকা আরাম দিতে পারে তার মধ্যে অন্যতম হলো গরম পানির ব্যাগ ব্যবহার। কোমরে ব্যথা হলে গরম পানির ব্যাগ দিলে আরাম পাওয়া যাবে। তবে মনে রাখবেন, গরম পানির ব্যাগ ব্যবহারের আগে একটু সরিষার তেলও ম্যাসাজ করে নেবেন। এতে যন্ত্রণা কমবে সহজেই।
নিয়মিত ব্যায়াম করুন :
ব্যায়াম সুস্বাস্থ্য বজায় রাখতে সক্ষম। কোমরে ব্যথা থেকে মুক্তি পেতে চাইলে নিয়মিত ব্যায়ামের বিকল্প নেই। তবে প্রথমে হালকা ব্যায়াম দিয়ে শুরু করতে পারেন। ধীরে ধীরে তা বেশি সময় ধরে করার চেষ্টা করুন। তবে অনেক সময় ব্যথা হলে ব্যায়াম করতে নিষেধ করা হয়। তাই আগে চিকিৎসকের পরামর্শ নিন।
ইউক্যালিপটাসের তেল ব্যবহার করুন
কোমরের ব্যথা থেকে মুক্তি দিতে পারে ইউকেলিপটাসের তেল। এই তেল ব্যবহারে দ্রুত আরাম পাওয়া যাবে। ইউক্যালিপটাস তেল যন্ত্রণা কমাতে দারুণ সাহায্য করে। সেই সঙ্গে বাতের যন্ত্রণা থেকেও মুক্তি দিতে সাহায্য করে।
ক্যালসিয়াম ও ম্যাগনেশিয়াম জাতীয় খাদ্য :
ক্যালসিয়াম ও ম্যাগনেশিয়াম জাতীয় খাদ্য প্রতিদিন নিয়ম করে খেলে কোমরের ব্যথা থেকে মুক্তি পেতে পারেন। নিয়ম করে দুধ, ঘি, চিজ, ফল, শাক-সবজি, বাদাম ইত্যাদি খেতে হবে।
আদা :
কোমরের ব্যথায় আদা দারুণ কার্যকর। কারণ এতে প্রচুর পরিমাণে পটাশিয়াম থাকে। মূলত পটাশিয়ামের অভাবে নার্ভের সমস্যা দেখা দেয়। তাই প্রতিদিন নিয়মিত আদা খেলে কোমরের যন্ত্রণা অনেকটা কমে যেতে পারে।
এ ছাড়া অ্যালোভেরার শরবত প্রতিদিন নিয়ম করে খেলে কোমরের ব্যথা কমে যেতে পারে।
সূত্র : বোল্ডস্কাই
সম্পর্কিত খবর
গরমের দিনে ত্বকের যত্নে আপনি অনেক কিছু না করলেও, সানস্ক্রিন ব্যবহার না করে চলবে না। রোদের মধ্যে বাইরে বের হওয়ার আগে ত্বকে সানস্ক্রিন না লাগালে ত্বক পুড়ে যেতে পারে, তৈরি হতে পারে নানা ধরনের সমস্যা। শুধু প্রাপ্তবয়স্করাই নন, বাচ্চাদের ত্বকেও সানস্ক্রিন ব্যবহার করা জরুরি। তবে অবশ্যই বেছে নিতে হবে তাদের জন্য নিরাপদ ও মানসম্মত পণ্য।
এই গরমে সানস্ক্রিন কেন ব্যবহার করবেন? ত্বকের কোন কোন সমস্যা থেকে এটি আপনাকে বাঁচাবে? চলুন, জেনে নিই।
রোদে পোড়া থেকে বাঁচায় সানস্ক্রিন
রোদে বের হলে ত্বকে পড়ে যায় ট্যান বা কালচে দাগ। বিশেষ করে গাল, কপাল, গলা, হাত-পায়ের উন্মুক্ত অংশে এই দাগ বেশি দেখা যায়। সানস্ক্রিন ত্বকের ওপর একটি সুরক্ষা স্তর তৈরি করে, যা রোদের UV রশ্মি থেকে ত্বককে রক্ষা করে।
র্যাশ ও অ্যালার্জি প্রতিরোধ করে
কড়া রোদে অনেকের ত্বকে র্যাশ, চুলকানি বা অ্যালার্জির সমস্যা হয়। নিয়মিত সানস্ক্রিন ব্যবহারে ত্বক রোদে পোড়ার হাত থেকে বাঁচে, ফলে সানবার্ন ও ত্বকে চুলকানি কমে।
সূর্যের ক্ষতিকর রশ্মি থেকে সুরক্ষা
সূর্যের অতি বেগুনি রশ্মি আমাদের ত্বকের গভীরে প্রবেশ করে কোষ ক্ষয় করে।
ত্বকে বলিরেখা পড়া রোধ করে
অল্প বয়সেই অনেকের ত্বকে বলিরেখা দেখা দেয়, যার অন্যতম কারণ সূর্যের রশ্মি। সানস্ক্রিন নিয়মিত ব্যবহার করলে ত্বকের ইলাস্টিসিটি বজায় থাকে, বলিরেখা পড়ার সম্ভাবনা কমে এবং ত্বক থাকে টানটান ও তরতাজা।
ত্বকের রং ও উজ্জ্বলতা ধরে রাখে
সানস্ক্রিন ত্বকে কালো দাগ, ছোপ ও পিগমেন্টেশন পড়তে দেয় না।
কী ধরনের সানস্ক্রিন ব্যবহার করবেন?
গরমের দিনে অন্তত এসপিএফ ৩০ যুক্ত সানস্ক্রিন ব্যবহার করুন। দীর্ঘ সময় রোদে থাকলে এসপিএফ ৫০ বেছে নিন। শিশুদের জন্য আলাদা ফর্মুলার কেমিক্যাল-ফ্রি, হাইপোঅ্যালার্জেনিক সানস্ক্রিন ব্যবহার করুন।
শুধু গরমে নয়, সারা বছরই সানস্ক্রিন ব্যবহার করা উচিত। কারণ সূর্যের অতিবেগুনি রশ্মি বছরের প্রতিটি দিনেই থাকে, এমনকি মেঘলা দিনেও।
সূত্র : এবিপি
আমাদের শরীরের সঠিক কার্যকারিতার জন্য প্রয়োজনীয় ভিটামিন ও খনিজ উপাদানগুলোর মধ্যে পটাশিয়াম একটি অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ উপাদান। এটি মূলত স্নায়ুতন্ত্র, পেশি ও শরীরের তরল বা ফ্লুইড ব্যালান্স বজায় রাখতে সাহায্য করে। তবে যেভাবে এর ঘাটতি আমাদের শরীরের ওপর খারাপ প্রভাব ফেলে, ঠিক তেমনই পটাশিয়ামের অতিরিক্ত মাত্রাও হতে পারে স্বাস্থ্যের জন্য বিপজ্জনক। চলুন, জেনে নিই শরীরে পটাশিয়ামের মাত্রা স্বাভাবিকের চেয়ে বেড়ে গেলে কী ধরনের সমস্যা দেখা দিতে পারে।
পেশিতে দুর্বলতা ও টান
পটাশিয়ামের মাত্রা বেড়ে গেলে পেশিতে নানা সমস্যা দেখা দেয়। প্রথমেই হাত-পা দুর্বল লাগে, যেন কোনো শক্তি নেই। অবসন্নতা অনুভব হয়, হাত-পা অবশ হয়ে যেতে পারে। অনেক সময় আচমকা পেশিতে টান ধরতে পারে বা ঝনঝন ভাব হতে পারে, যা অনেকটা ইলেকট্রিক শকের মতো অনুভূত হয়।
স্নায়ুতন্ত্রের সমস্যা
এই উপাদানটির অতিরিক্ত প্রভাব স্নায়ুতন্ত্রে সরাসরি প্রভাব ফেলে। বেশি পটাশিয়াম শরীরে পক্ষাঘাতের (প্যারালিসিস) ঝুঁকি পর্যন্ত বাড়িয়ে দিতে পারে। স্নায়বিক দুর্বলতা ও অস্বাভাবিক অনুভূতি দেখা দিতে পারে।
বমি বমি ভাব ও অরুচি
পটাশিয়ামের মাত্রা বেড়ে গেলে বমির অনুভূতি হতে পারে।
শ্বাসকষ্ট ও ক্লান্তিভাব
শরীরে অতিরিক্ত পটাশিয়ামের প্রভাবে হঠাৎ করে শ্বাসকষ্ট দেখা দিতে পারে। অল্প পরিশ্রমেই হাঁপিয়ে যেতে পারেন। পাশাপাশি সারাক্ষণ ক্লান্তি ও ঝিমিয়ে থাকার মতো অবস্থা তৈরি হয়, এমনকি পর্যাপ্ত বিশ্রামের পরেও।
হৃদস্পন্দনের সমস্যা
সবচেয়ে চিন্তার বিষয় হলো হৃদযন্ত্রের ওপর পটাশিয়ামের প্রভাব।
শরীরে পটাশিয়ামের মাত্রা স্বাভাবিকের তুলনায় বেড়ে গেলে তা একাধিক গুরুতর শারীরিক সমস্যার সৃষ্টি করতে পারে। তাই নিয়মিত স্বাস্থ্য পরীক্ষা ও ডাক্তারের পরামর্শ মেনে চলা অত্যন্ত জরুরি।
সূত্র : এবিপি
প্রাচীনকাল থেকেই আমাদের দেশে মাটির পাত্র ব্যবহারের প্রচলন রয়েছে। একসময় প্রায় প্রতিটি ঘরেই মাটির ঘড়া বা কলসে পানি রাখা হতো। যদিও আধুনিক জীবনে ফ্রিজের ঠাণ্ডা পানি সেই জায়গা দখল করে নিয়েছে, তবে বিশেষজ্ঞরা বলছেন, স্বাস্থ্যের পক্ষে মাটির পাত্রের পানি অনেক বেশি উপকারী। চলুন, জেনে নিই কী কী উপকার।
গরমে শরীর ঠাণ্ডা রাখে
মাটির পাত্রে রাখা পানি স্বাভাবিকভাবে ঠাণ্ডা থাকে। কোনও বিদ্যুৎ বা কৃত্রিম ঠাণ্ডার প্রয়োজন হয় না। এটি শরীরের তাপমাত্রা নিয়ন্ত্রণে সাহায্য করে এবং গ্রীষ্মকালে অতিরিক্ত গরম থেকে রক্ষা করে।
গলা ব্যথা, সর্দি-কাশির সম্ভাবনা কমায়
ফ্রিজের অতিরিক্ত ঠাণ্ডা পানি অনেক সময় গলা বসে যাওয়া, কাশি বা সর্দির কারণ হয়ে দাঁড়ায়।
হজমশক্তি বাড়াতে সাহায্য করে
প্রতিদিন মাটির পাত্রে রাখা পানি পান করলে হজমশক্তি উন্নত হয়। অ্যাসিডিটি, গ্যাস, কোষ্ঠকাঠিন্যের মতো সমস্যাও অনেকটাই কমে। তাই খাবার হজমে সহায়ক এক সহজ উপায় এটি।
পাচনতন্ত্র রাখে সুস্থ
বিশেষজ্ঞদের মতে, ফ্রিজের অতিরিক্ত ঠাণ্ডা পানি আমাদের পাচনতন্ত্রে বিরূপ প্রভাব ফেলতে পারে। কিন্তু মাটির পাত্রের পানি সেই সমস্যার থেকে মুক্ত রাখে এবং দীর্ঘমেয়াদে শরীর সুস্থ রাখে।
কোনো রাসায়নিক নেই
মাটির পাত্র প্রাকৃতিক উপায়ে তৈরি হয়, যেখানে কোনও ধরনের কেমিক্যাল বা ক্ষতিকর উপাদান ব্যবহৃত হয় না। ফলে পানি বিশুদ্ধ থাকে এবং শরীরে কোনও ক্ষতি করে না।
সূত্র : ওয়ান ইন্ডিয়া
আমেরিকান হার্ট অ্যাসোসিয়েশনের মতে, সুস্থ থাকতে হলে সপ্তাহে অন্তত ১৫০ মিনিট হাঁটা প্রয়োজন। চিকিৎসকরাও বলছেন, দিনে ৩০ মিনিট হাঁটলেই দেহের রক্তচাপ ও শর্করা নিয়ন্ত্রণে থাকে, ওজনও কমে। তবে শুধু হাঁটলেই হবে না—হাঁটার সময় ও তার আগে কিছু বিষয় মাথায় রাখা জরুরি। নইলে উপকারের বদলে হতে পারে উল্টো ক্ষতি।
ঘুম থেকে উঠে সঙ্গে সঙ্গে হাঁটতে যাবেন না
অনেকে ঘুম থেকে উঠে মুখ ধুয়েই হাঁটতে বেরিয়ে পড়েন। এটা ভুল। ঘুমের পর শরীর ডিহাইড্রেটেড থাকে, তাই প্রথমেই এক গ্লাস পানি পান করতে হবে।
একেবারে খালি পেটে হাঁটবেন না
হাঁটার আগে ভারী খাবার না খেলেও একেবারে খালি পেটে বেরিয়ে পড়া ঠিক নয়। এতে রক্তে শর্করার মাত্রা কমে যেতে পারে, ক্লান্তি আসতে পারে। তাই হাঁটার আগে হালকা কিছু খেয়ে নিন—যেমন ভেজানো বাদাম, কলা বা এক গ্লাস স্মুদি।
চা-কফি খেয়ে হাঁটতে যাওয়া নয়
অনেকের সকালে ঘুম ভাঙতেই চা বা কফি খাওয়ার অভ্যাস রয়েছে। কিন্তু তারপর হাঁটতে বেরোনো বিপজ্জনক হতে পারে। খালি পেটে চা-কফি খেলে গ্যাস বা অম্বল হতে পারে। পাশাপাশি চা-কফি শরীরকে আরও ডিহাইড্রেট করে, আর হাঁটার সময় ঘাম হওয়ার কারণে শরীর থেকে আরও পানি বেরিয়ে যায়। ফলে শরীরে পানির ঘাটতি তৈরি হয়, যা স্বাস্থ্যের পক্ষে খারাপ।
সূত্র : এই সময়