বর্তমান সময়ে আমরা সকলেই ব্যস্ত। আর এই কর্মব্যস্ততায় ওজন বৃদ্ধি একটি সাধারণ সমস্যা। যা প্রত্যেক ১০ জনের মধ্যে ৬ জনের থাকে। তাই শরীরের অতিরিক্ত চর্বি ঝরাতে সকলেই নানা উপায় অবলম্বন করেন।
বর্তমান সময়ে আমরা সকলেই ব্যস্ত। আর এই কর্মব্যস্ততায় ওজন বৃদ্ধি একটি সাধারণ সমস্যা। যা প্রত্যেক ১০ জনের মধ্যে ৬ জনের থাকে। তাই শরীরের অতিরিক্ত চর্বি ঝরাতে সকলেই নানা উপায় অবলম্বন করেন।
ওজন কমানোর জন্য সবচেয়ে ব্যয়বহুল ডায়েট গ্রহণ করেও লাভ পান না অনেকেই। এতে কোনো ক্ষতি নেই, তবে আপনি এই সমস্যার সমাধান বাড়ির রান্নাঘরেই পাবেন। আপনার রান্নাঘরে উপস্থিত কিছু প্রাকৃতিক উপাদানকে বুদ্ধির সঙ্গে কাজে লাগাতে পারেন।
আজকের প্রতিবেদনে এমন কিছু ভেষজ পানীয় সম্পর্কে জানাবো, যা রাতের খাবারের পরে খেলে স্থূলতার সমস্যা থেকে মুক্তি পাওয়া যায়। এই পানীয়গুলির মাধ্যমে আপনার শরীরের চর্বি দ্রুত গলবে, সঙ্গে শরীরে উপস্থিত টক্সিনও দূর করতে পারবেন। চলুন তাহরে জেনে নেওয়া যাক কী সেই পানীয়।
লেবু পানি ও মধু
লেবুর পানিতে উপস্থিত ভিটামিন সি ওজন কমাতে খুবই সহায়ক।
পুদিনা চা
পুদিনা হজমশক্তি বাড়াতে পরিচিত। এটি থেকে তৈরি পানীয় পেটের চর্বি কমাতেও কার্যকর প্রমাণিত।
আদা চা
জিঞ্জেরল নামক একটি যৌগ আদার মধ্যে পাওয়া যায়। যা বিপাক বৃদ্ধি করতে পারে। তাই রাতের খাবারের পর আদা চা পান করাও উপকারী। এটি তৈরি করতে আদা পানিতে ফুটিয়ে তাতে কিছুটা মধু বা লেবুর রস মিশিয়ে নিন। রাতের খাবারের পর এই চা পান করলে দ্রুত ওজন কমানো যায়।
বেসিল চা
বেসিল অর্থাৎ তুলসীতে এমন অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট ও অ্যান্টিইনফ্লেমেটরি বৈশিষ্ট্য রয়েছে যা ওজন কমাতে উপকারী হতে পারে। তুলসী চা বানাতে তুলসী পাতা পানিতে ফুটিয়ে তাতে কিছু মধু বা লেবুর রস মেশান। আপনি যদি প্রতিদিন রাতের খাবারের পর এই চা পান করে পারেন। এটি আপনার স্থূলতা অল্প সময়ের মধ্যেই কমিয়ে দেবে।
গ্রিন টি
রাতের খাবারের পর গ্রিন টি পান করলেও ওজন কমানো যায়। এতে উপস্থিত ক্যাটেচিন নামক যৌগ মেটাবলিক রেট বাড়ায়। এরজন্য পানিতে গ্রিন টি ফুটিয়ে নিন এবং তারপরে সামান্য মধু ও লেবুর রস যোগ করুন।
সূত্র : বোল্ডস্কাই
সম্পর্কিত খবর
ওজন কমাতে অনেকের পছন্দ গ্রিন টি। এর অ্যান্টিঅক্সিড্যান্ট গুণের কারণে এটি ওজন কমাতে সাহায্য করে। তবে শুধুমাত্র গ্রিন টি নয়, আরো কয়েকটি ভেষজ চা রয়েছে যা শরীরে বাড়তি মেদ ঝরাতে সাহায্য করে। চলুন, জেনে নিই তেমনই কয়েকটি ‘ম্যাজিক’ চায়ের কথা।
পেপারমিন্ট টি
ঘন ঘন ক্ষুধা পাওয়ার প্রবণতা কমাতে পেপারমিন্ট টি দারুণ কার্যকরী। এটি ক্যালোরি ঝরাতেও সাহায্য করে। এক মুঠো পুদিনা পাতা গরম পানিতে ৫ মিনিট ফুটিয়ে নিলেই তৈরি হয়ে যাবে এই চা। নিয়মিত খেলে ওজন দ্রুত কমাতে সাহায্য করবে।
অশ্বগন্ধা চা
এই চা মানসিক চাপ কমাতে সাহায্য করে। মানসিক চাপ বাড়লে শরীরে কর্টিসল হরমোনের ক্ষরণ বাড়ে। যার ফলে মেদ জমতে পারে না।অশ্বগন্ধা চা মানসিক চাপ কমিয়ে শরীরে মেদ কমাতে সাহায্য করে।
হোয়াইট টি
হোয়াইট টি হলো সবচেয়ে কম প্রসেসড চা। যার ফলে গ্রিন টি-র চেয়ে বেশি অ্যান্টিঅক্সিড্যান্ট থাকে। এটি হজমে সাহায্য করার পাশাপাশি শরীরে ফ্যাট কোষ জমতে বাধা দেয়।
সূত্র : এই সময়
গরমের তীব্রতায় শরীর অসুস্থ হওয়ার আশঙ্কা বেড়ে গেছে। পর্যাপ্ত পরিমাণে পানি পান না করলে শরীর ডিহাইড্রেটেড হয়ে যেতে পারে, আর রোদে বেশি সময় কাটালে হিট স্ট্রোকের ঝুঁকি থাকে। গরমে পেট খারাপ ও ডায়রিয়ার সমস্যাও বাড়তে পারে। এসব সমস্যা থেকে বাঁচতে গরমের মৌসুমে কী খাবেন আর কোন খাবারগুলো এড়িয়ে চলবেন, তা জানা খুবই গুরুত্বপূর্ণ।
গরমে যেসব খাবার এড়িয়ে যাবেন
গরমে শরীরের হাইড্রেশন বজায় রাখতে লেবুর শরবত খাওয়া যেতে পারে। খেয়াল রাখবেন অতিরিক্ত লবণ ও নোনতা স্ন্যাকস এসময় না খাওয়াই ভালো। এসব খাবার দেহের রক্তচাপ বাড়িয়ে হিট স্ট্রোকের ঝুঁকি তৈরি করতে পারে।
গরমে কী খাবেন
শরীরকে হাইড্রেটেড রাখার পাশাপাশি তাপমাত্রা নিয়ন্ত্রণে সাহায্য করবে এমন খাবার খাওয়া উচিত। পান্তা ভাত, ডাবের পানি, টক দই গরমের জন্য আদর্শ। ডাবের পানি শরীরে ইলেকট্রোলাইটের মাত্রা বজায় রাখতে সাহায্য করে, শরীরকে ঠান্ডা রাখতে সহায়ক। টক দইও গরমে শরীরের তাপমাত্রা নিয়ন্ত্রণে রাখতে সহায়তা করে।
এই সময়ে গ্রীষ্মকালীন ফল অবশ্যই ডায়েটে রাখতে হবে।
সূত্র : এই সময়
জীবনের প্রতিটি দিন নতুন কিছু সম্ভাবনা ও চ্যালেঞ্জ নিয়ে আসে আর প্রতিটি দিন আমাদের একটু একটু করে শিখতে ও বিকশিত হতে সাহায্য করে। আজ ৯ এপ্রিল, ২০২৫ দিনটি আপনার জন্য কেমন হতে পারে, কীভাবে সামলাবেন জীবন ও কাজের চ্যালেঞ্জগুলো, সেটি জানতে হলে পড়ুন আজকের রাশিফল।
মেষ (২১ মার্চ-২০ এপ্রিল): কাজে কিছুটা স্থবিরতা থাকতে পারে। কোনো জরুরি সিদ্ধান্ত নেওয়ার প্রয়োজন হতে পারে।
বৃষ (২১ এপ্রিল-২০ মে): আজ দিন ভালো কাটবে। বিশেষ কোনো সামাজিক মর্যাদা বৃদ্ধি পাবে।
মিথুন (২১ মে-২০ জুন): গৃহকর্মে ব্যস্ত থাকতে পারেন।
কর্কট (২১ জুন-২০ জুলাই): কোনো যোগাযোগে উৎসাহিত হবেন। অনেক দিন পড়ে থাকা কাজের অগ্রগতি হবে।
সিংহ (২১ জুলাই-২১ আগস্ট): কোনো কাজে আর্থিকভাবে লাভবান হওয়ার সুযোগ পাবেন। নিজের কাজে অন্যকে খুশি করতে পারবেন। দিনটিকে ভালো করতে আপনার লুকানো গুণাবলি ব্যবহার করুন। সুস্থ থাকুন।
কন্যা (২২ আগস্ট-২২ সেপ্টেম্বর) : পেশাগত ক্ষেত্রে শুভ কোনো দিক উন্মোচিত হতে পারে। ভবিষ্যতের জন্য রঙিন স্বপ্ন দেখতে। পারেন। আশপাশের সব লোক আপনার জন্য শুভ নয়। প্রতিকূল পরিস্থিতির হঠাৎ পরিবর্তনের ইঙ্গিত রয়েছে।
তুলা (২৩ সেপ্টেম্বর-২২ অক্টোবর): আজ কাজে কিছু অপ্রত্যাশিত বাধার সম্মুখীন হতে পারেন। আপনার প্রাকৃতিক অন্তর্দৃষ্টি ব্যবহার করে বাধাবিঘ্ন কাটানোর চেষ্টা করুন। অপ্রয়োজনীয় ব্যয় থেকে দূরে থাকুন। দিনের শেষে ভালো বোধ করবেন।
বৃশ্চিক (২৩ অক্টোবর-২১ নভেম্বর): বাড়িতে কোনো শুভ কাজ হতে পারে। কর্মস্থলে দক্ষতার জন্য সুনাম পাবেন। আয়ের কিছু ব্যবহৃত উৎস খুঁজে পাওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে, যা ভবিষ্যতের আর্থিক স্থিতিশীলতার পথ প্রশস্ত করতে পারে।
ধনু (২২ নভেম্বর-২০ ডিসেম্বর): পেশাগত কাজে অগ্রগতি হবে। ব্যবসায় নতুন কাজের সূচনা হতে পারে। কর্মরতদের পদোন্নতিসংক্রান্ত জটিলতার প্যাঁচ খুলতে পারে। পরিবেশ পক্ষে থাকবে। পূর্বপরিকল্পনাগুলোকে নতুন করে দেখতে হবে।
মকর (২১ ডিসেম্বর-১৯ জানুয়ারি): বিদেশসংক্রান্ত কোনো যোগাযোগ সফল হতে পারে। কাজের দিক থেকে একটি স্থির দৃষ্টিভঙ্গি আপনাকে আপনার লক্ষ্যের কাছাকাছি নিয়ে যাবে। আত্মবিশ্বাসকে আপনার পথপ্রদর্শক হতে দিন।
কুম্ভ (২০ জানুয়ারি-১৮ ফেব্রুয়ারি): প্রতিকূল অবস্থার মধ্যেও ভালো কিছু হতে পারে। প্রত্যাশা পূরণে বাধা দূর হবে। নিকটজনের সমস্যায় কিছুটা উদ্বেগ থাকতে পারে। কোনো ধরনের হতাশা বা ডিপ্রেশনকে পাত্তা না দিয়ে কাজের গতি বাড়ান।
মীন (১৯ ফেব্রুয়ারি-২০ মার্চ): আপনি আজ শক্তি, সাহসিকতা এবং সংকল্পে পরিপূর্ণ থাকবেন। কোনো আর্থিক সুবিধা পেতে পারেন। প্রতিযোগিতামূলক কাজে জয়ের আশা রাখতে পারেন। পরিবারের সবার সঙ্গে সুসম্পর্ক বজায় রাখুন।
আহমেদ মাসুদ, বিশিষ্ট অকাল্ট সাধক, আন্তর্জাতিক খ্যাতিসম্পন্ন জ্যোতিষী, ফেংশুই ও বাস্তু বিশেষজ্ঞ। যোগাযোগ: ০১৭১১০৫৭৩৭৭ই-মেইল: amasud9995@gmail.com www.astrologerahmedmasud.com
ত্বকের জন্য উপকারী অ্যালোভেরা এমনই একটি উপাদান, যা বাজারে সাশ্রয়ী মূল্যে পাওয়া যায়। আবার বাড়িতেও অল্প যত্ন করলেই ভালো ডিভিডেন্ড দেয় এই গাছ। স্বাস্থ্যের জন্যও খুবই উপকারী এই ভেষজ। অ্যালোভেরার রস খাওয়া থেকে শুরু করে আঘাত লাগলে এবং ক্ষতস্থানে লাগানো পর্যন্ত, এটি স্বাস্থ্যকর ত্বক ও চুলের জন্যও ব্যবহার করা যেতে পারে।
অ্যালোভেরা অনেক শক্তিশালী অ্যান্টি-অক্সিডেন্টে সমৃদ্ধ। আয়ুর্বেদে অ্যালোভেরা অনেক ওষুধ তৈরিতে ব্যবহৃত হয়। নানা ভাবে ব্যবহার করতে পারেন এই গাছ। অ্যালোভেরা কোন কোন কাজে লাগে? দেখে নিন এই প্রতিবেদনে।
প্রাকৃতিক জিনিসের ব্যবহার আপনার স্বাস্থ্য, ত্বক ও চুলের জন্য বেশি উপকারী বলে মনে করা হয়। এতে ক্ষতির সম্ভাবনাও খুব কম। সে কারণেই চিরকাল এসব উপাদান অনেক বেশি ব্যবহার করতে বলা হয়।
কী উপকার
যাদের ত্বক বেশি শুষ্ক, অ্যালোভেরা তাদের জন্যও একটি চমৎকার উপাদান।
খুশকি চুল পড়ার একটি বড় কারণ। এ থেকে মুক্তি পেতে, দই ও লেবুর সঙ্গে অ্যালোভেরা মিশিয়ে লাগাতে পারেন। এ ছাড়া যেকোনো মৃদু স্ক্রাবের সঙ্গে কিছু অ্যালোভেরা জেল মিশিয়ে মাথার ত্বকে ম্যাসাজ করুন, তারপর চুল ধুয়ে ফেলুন।
অ্যালোভেরার হাইড্রেটিং বৈশিষ্ট্য রয়েছে, যা ত্বকের পাশাপাশি চুলকেও আর্দ্রতা প্রদান করে। উপকারিতা বাড়ানোর জন্য, দই ও ডিমের সঙ্গে অ্যালোভেরা মিশিয়ে চুলে লাগান। এই হেয়ার প্যাকটি লাগানোর পর প্রথমবারেই দারুণ ফলাফল পাবেন।
কিভাবে ব্যবহার করলে ভালো ফল পাবেন
ত্বকে প্রাকৃতিক উজ্জ্বলতা সকলের পছন্দ। ভিটামিন-ই ক্যাপসুলের সঙ্গে অ্যালোভেরা মিশিয়ে মুখ থেকে ঘাড়ে লাগান। ২০ থেকে ২৫ মিনিট পর মুখ পরিষ্কার করুন। সপ্তাহে দুই থেকে তিনবার এই প্যাকটি ব্যবহার করলে কয়েক দিনের মধ্যেই মুখের দাগ ও ব্রণ কমতে শুরু করে এবং ত্বক পরিষ্কার হয়ে যায়। এটি ত্বককেও টানটান করে।
সূত্র : টিভি ৯ বাংলা