বাঙালির খাদ্য সংস্কৃতিতে ভাত অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ একটি অংশ। সাধারণ ডাল বা অন্যান্য পদ দিয়েও এটি অনেকের পছন্দের খাবার। অনেকে তো ডাল আর আলুর ভর্তা দিয়ে ভাত খেতে খুব পছন্দ করেন। তবে বাংলাদেশের অধিকাংশ নিম্নবিত্ত মানুষের নিত্য খাবারই এটি।
বাঙালির খাদ্য সংস্কৃতিতে ভাত অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ একটি অংশ। সাধারণ ডাল বা অন্যান্য পদ দিয়েও এটি অনেকের পছন্দের খাবার। অনেকে তো ডাল আর আলুর ভর্তা দিয়ে ভাত খেতে খুব পছন্দ করেন। তবে বাংলাদেশের অধিকাংশ নিম্নবিত্ত মানুষের নিত্য খাবারই এটি।
তবে, সবার প্রিয় এই ভাতে প্রচুর কার্বোহাইড্রেট থাকার কারণে অনেকেই এটি থেকে দূরে থাকার চেষ্টা করেন। এর মধ্যে রয়েছে ওজন কমানোর বা ব্লাড সুগারের সমস্যা। এর পাশাপাশি অনেকের মনে একটি প্রশ্ন জাগে, ভাত খাওয়ার সঠিক সময় আসলে কখন? বিশেষজ্ঞদের মতে, ভাত খাওয়ার নির্দিষ্ট কোনো সময় না থাকলেও এই বিষায় কিছু প্রয়োজনীয় তথ্য রয়েছে।
ভাত খাওয়ার সঠিক সময় কী?
বিশেষজ্ঞদের মতে, ভাত খাওয়ার জন্য কোনো নির্দিষ্ট সময় নেই।
মানসিক চাপের প্রভাব
খাবার খাওয়ার সময় নিয়ে বাড়তি দুশ্চিন্তা করলে শরীরের স্ট্রেস হরমোন কর্টিসলের মাত্রা বেড়ে যায়।
ভাত খেয়ে কীভাবে ওজন নিয়ন্ত্রণ করবেন?
ওজন নিয়ন্ত্রণ করতে ভাত এড়িয়ে না গিয়ে সঠিক পদ্ধতিতে ভাত খাওয়ার অভ্যাস গড়ে তুলতে হবে। ডায়েটিশিয়ানদের মতে, ভাত পুরোপুরি এড়িয়ে চলার প্রয়োজন নেই। তবে সঠিক পরিমাণ ও সঠিক পদ্ধতিতে ভাত খেলে শরীরে নেতিবাচক প্রভাব কমে যায়।
১. নিয়ন্ত্রিত পরিমাণে ভাত খান
প্রতিদিন এক কাপ ভাত খাওয়ার অভ্যাস করুন। এটি অতিরিক্ত ভাত খাওয়ার প্রবণতা এড়িয়ে শরীরের ওজন নিয়ন্ত্রণে সাহায্য করবে।
২. ভাত রান্নার সঠিক পদ্ধতি বেছে নিন
ভাজা ভাতের পরিবর্তে সেদ্ধ বা ভাপ দেওয়া ভাত খান। প্রচুর পানিতে ভাত সেদ্ধ করে সেটি ছেঁকে নিলে অতিরিক্ত স্টার্চ দূর হয়ে যায়।
৩. ভাতের সঙ্গে ফাইবার ও প্রোটিন খান
উচ্চ আঁশযুক্ত সবজি বা চর্বিহীন প্রোটিনের সঙ্গে ভাত খান। এটি শুধু আপনার পেট ভরা রাখতে সাহায্য করে না, বরং অতিরিক্ত খাওয়ার প্রবণতাও কমায়।
সূত্র : আজতক বাংলা
সম্পর্কিত খবর
একটা কুকরছানার ভিডিও, তারপর পুরনো এক বন্ধুর সমুদ্রপাড়ে তোলা ছবি, তারপর একটা ভিডিও মিম, তারপর একটা খবরের ভিডিও, তা-ও পৃথিবীর অন্য প্রান্তের...পছন্দ হলে দেখো, ভালো না লাগলে এড়িয়ে যাও। স্ক্রিনজুড়ে আঙুল চালিয়ে যাওয়া আমাদের অনেকেরই দৈনন্দিন জীবনের অংশ। হয়তো লিফটে নামতে নামতে কয়েক সেকেন্ডের জন্য কিংবা ঘুমানোর আগে একবার হাতে নিয়ে ঘণ্টার পর ঘণ্টা পার। কিন্তু স্ক্রলিং এমন আসক্তিকর কেন? স্নায়ুর ওপর এটা কী প্রভাব ফেলে? কিভাবে এই সমস্যা ঠেকানো যায়?
লিডস বেকেট ইউনিভার্সিটির সাইকোলজি বিভাগের সিনিয়র লেকচারার এইলিশ ডিউকের মতে, ‘প্রথমে যেটা বুঝতে হবে, ফোন হাতে নিয়ে স্ক্রিন অন করা, তারপর স্ক্রলিং চালিয়ে যাওয়া স্বয়ংক্রিয়ভাবে একের পর এক ঘটে যায়।
‘কয়েক বছর আগে আমরা একটা গবেষণা চালিয়েছিলাম।
স্ক্রিনের আলোটা জ্বলে ওঠার সঙ্গে সঙ্গেই সেলফোন অ্যাপ্লিকেশনগুলোর অত্যাধুনিক ডিজাইন আর আমাদের মস্তিষ্কের মধ্যে একটা মেলবন্ধন রচিত হয় যেন, যা মস্তিষ্ককে সক্রিয় করে তোলে। এন ওয়াই ইউ ল্যাঙ্গনের সাইকিয়াট্রির অধ্যাপক আরিয়েন লিংয়ের মতে, স্ক্রলিংয়ের মতো অভ্যাসের জন্য আমরা মানুষের স্বভাবকে দায়ী করি বটে, কিন্তু পরিবেশগত কারণেও এই অভ্যাসের মাত্রা বৃদ্ধি পায়।
অধ্যাপক লিংয়ের ব্যাখ্যা, মানুষ স্বভাবগত কারণেই কৌতূহলী। চারপাশে কী ঘটছে, জানার আগ্রহ প্রবল তার। সেই কারণেই মানুষ খবর পড়ে, রাস্তায় দুর্ঘটনা দেখলে থামে। এটা বিবর্তনেরই অংশ, যার কারণে মানবজাতি টিকে আছে। আর সেলফোন নির্মাণই করা হয়েছে এমনভাবে, যেন আমাদের প্রয়োজনীয় সব তথ্য নিরবচ্ছিন্নভাবে সরবরাহ করে যেতে পারে।
অবিরাম সুখানুভূতির খোঁজে
আমাদের মস্তিষ্ক পুরস্কারপ্রিয়। স্নায়ুতন্ত্রের নির্দিষ্ট কিছু স্থানের কাজই যৌনতা, মাদক, জুয়ার মতো আনন্দের অনুভূতি নিয়ে। একবার তেমন সুখানুভূতি পেলে বারবার মস্তিষ্ক এটা পেতে চায়। অধ্যাপক ডিউক ব্যাখ্যা করেন, ‘আমরা যদি কিছু সত্যিই উপভোগ করে থাকি, আমাদের মস্তিষ্ক সেই অভিনব অনুভূতিটা চায়, সেই সুখের অনুভূতি চায়।’
এটি মস্তিষ্কের রিওয়ার্ড সিস্টেম (পুরস্কারব্যবস্থা) নামে পরিচিত। ঠিক এই প্রক্রিয়াটিই কোনো ব্যক্তিকে অ্যালকোহলের মতো দ্রব্যে আসক্ত করে তোলে।
‘অনেকের ক্ষেত্রেই, ফোন তেমন অভিনবত্ব নিয়ে আসে।’ বিশেষ করে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে সব সময়ই কিছু না কিছু সুখদায়ী উপাদান থাকে : একটি ছবি, ভিডিও, টুইট বা মেসেজ।
কিন্তু মস্তিষ্কের আরেকটা অংশ আছে, যে সুখানুভূতি ও তাৎক্ষণিক পুরস্কারের এই প্রবণতা ঠেকাতে চায়। সামনের দিকের এই অংশের নাম প্রিফ্রন্টাল কর্টেক্স। এই অংশটি আবেগপ্রবণতাকে রুখে দিয়ে, ভারসাম্যপূর্ণ সিদ্ধান্ত নেওয়ায় ভূমিকা রাখে। এর কারণেই আপনি স্ক্রলিং থামাবেন কিংবা চেয়ারে অলস বসে না থেকে ঘরদোর পরিষ্কারের মতো কাজ শুরু করবেন।
এই যে মস্তিষ্কের দুই ধরনের ক্রিয়াকর্ম, এগুলোর মধ্যে সব সময় ভারসাম্য বজায় থাকে না। অধ্যাপক ডিউকের ভাষ্য, যারা মোবাইল স্ক্রিনে ডুবে থাকেন, তাদের ক্ষেত্রে ‘মস্তিষ্কের যুক্তিনির্ভর অংশ যেটা আবেগ নিয়ন্ত্রণ করে, সেটা ঠিকঠাক কাজ করে না। সুখানুভূতির আকাঙ্ক্ষায় আচ্ছন্ন হয়ে যায়।’ তরুণদের ক্ষেত্রে এটা বেশি হয়।
অধ্যাপক এইলিশ ডিউক বলেন, ‘কিশোর-তরুণদের রিওয়ার্ড সার্কিট সব সময় প্রস্তুত হয়ে থাকে, যেন একটা সতর্কাবস্থা। কিন্তু ২৩-২৪ বছরের আগে প্রিফ্রন্টাল কর্টেক্স অপরিণত অবস্থায় থাকে। ফলে কিছু আবেগ সামাল দিতে পারে না। যেমন ফোনের নেশা।’
সময় জ্ঞানের বিলোপ
স্ক্রলিংয়ের সময় মানুষ একটা প্রবাহর মধ্যে ঢুকে যায় বলে মনে করেন অধ্যাপক ডিউক। সাইকোলজিতে ‘ফ্লো’ বা ‘ফ্লো স্টেট’ বলতে এমন অবস্থা বোঝায়, যখন কেউ কোনো কাজে পুরোপুরি মগ্ন হয়ে যেতে পারে। টিকটকের মতো অ্যাপগুলোর অ্যালগরিদমে ক্রমাগত পরিবর্তন ঘটতে থাকে। ব্যবহারকারীর আগ্রহ অনুযায়ীই তাতে কন্টেন্ট দেওয়া হয়। ফলে তার মনোযোগ পুরোপুরি এতে নিবদ্ধ হয়ে পড়ে।
অধ্যাপক ডিউক যোগ করেন, ‘ওরা আপনার পুরো মনোযোগটা কেড়ে নেবে। আর আপনি একটা সময়-জ্ঞানহীন দশায় পড়ে যাবেন। দুই ঘণ্টা ধরে যে জড় পদার্থের মতো বসে আছেন, বুঝতেও পারবেন না। হয়তো কুকুরের ভিডিও দেখেই সময়টা অপচয় হয়ে গেছে।’
মানুষ কিভাবে মস্তিষ্ক স্ক্রলিংয়ে তীব্রভাবে আসক্ত হতে শুরু করে, সেটা একটা রূপকের মাধ্যমে বোঝানোর চেষ্টা করেছেন ড. আরিয়েন লিং। ‘কোনো পথে অনেকবার আসা-যাওয়া হলে, পথটা আমাদের কাছে সহজ হয়ে যায়। আমরা অনায়াসেই হেঁটে চলে যাই। যদি কেউ টানা স্ক্রলিং করতে থাকে, ব্যাপারটা তার কাছে হয়ে যায় ‘ডিফল্ট এক্সপেরিয়েন্স’ (অনায়াস অভিজ্ঞতা)। ফলে অন্যদিকে সময় আর মনোযোগ দেওয়া কঠিন হয়ে যায়।’
মনোরোগ বিজ্ঞানের রোগনির্ণয়ের বইয়ে সেলফোন আসক্তি বলে কিছু নেই। তাই ফোনের কোন মাত্রার ব্যবহার স্বাস্থ্যসম্মত সেটারও কোনো মানদণ্ড নেই। ব্যক্তির জীবনের অন্যান্য ক্ষেত্রে মোবাইল ফোন ব্যবহারের নেতিবাচক প্রভাব পড়ে কি না, সেটা দিয়েই সীমারেখাটা মাপা হয় বলে জানাচ্ছেন অধ্যাপক ডিউক।
১. নির্দিষ্ট সময় স্ক্রিন থেকে দূরে থাকা
অধ্যাপক লিং বলেন, ‘ফোন থেকে নিজেকে দূরে রাখার চেষ্টা বেশ কাজে দেয়।’ ফোন ছাড়া হাঁটতে বের হওয়ার ব্যাপক উপকারিতা নিয়ে অনেক গবেষণা হয়েছে বলে জানান তিনি। অধ্যাপক ডিউকও একমত, ‘ফোনটা সরিয়ে রেখে একটা বিরতি নিতে পারলে দারুণ হয়। সেই সময়টা হাঁটতে কিংবা জিমে যেতে পারেন।’
২. বাস্তব দুনিয়ায় মিথস্ক্রিয়া বাড়ানো
ফোন দিয়ে করা হয়—এমন কাজগুলো ফোন ছাড়াই করার চেষ্টা করলে, স্ক্রলিং অপেক্ষাকৃত স্বাস্থ্যকর উপায়ে করা সম্ভব। এইলিশ ডিউক বলেন, ‘কয়েক বছর আগে এক গবেষণায় আমরা দেখেছি, যারা সাধারণ ঘড়ি পরেন আর যারা সেলফোনে সময় দেখেন তাদের মধ্যে বিস্তর ফারাক।’
অনিচ্ছায় হলেও যারা সেলফোনে সময় দেখেন, তারা স্ক্রলিংয়ে আটকে পড়েন। যেমন ‘কিছু একটা পড়ার সময় অনলাইনে না থেকে যদি পড়া যায়, সেটা অসাধারণ ব্যাপার।’
৩. গতিপথ পরিবর্তন করা
কোনো অ্যাপে ঢোকা বা সেটা ব্যবহারের সময় কি আমরা ভাবি কেন এটা করছি? এসব ক্ষেত্রে আরো সচেতন হতে পারলে মনকে নিয়ন্ত্রণ করা সম্ভব। লিং বলেন, ‘ফোন হাতে নেওয়ার তাড়না অনেকটা ক্ষুধার মতো। আপনি বুঝতে পারেন যে খিদেটা পেয়েছে। মস্তিষ্ক জানান দিচ্ছে। অনেকক্ষণ হলো ডোপামিন নিঃসরণ হয়নি, চলো শুরু করা যাক। তারপর খিদেটা ঢেউয়ের মতো বাড়তে পারে। কিন্তু আপনি সেই তাড়নাটা নিয়ন্ত্রণ করতে পারেন। নিজেকে বলতে পারেন, বুঝতে পারছি ফোনটা দেখতে খুব ইচ্ছে করছে। কিন্তু না দেখলেও তো পারি।’
আয়ুর্বেদিক মূল যষ্টিমধুর কথা অনেকে শুনেছেন। গলা ব্যথা ও কাশির জন্য এটিকে কার্যকর ওষুধ হিসেবে ধরা হয়। আয়ুর্বেদে এর অনেক উপকারিতা উল্লেখ করা হয়েছে। যষ্টিমধু খাওয়া কেবল কাশি নিরাময়েই সাহায্য করে না, বরং আরো অনেক সমস্যায়ও সাহায্য করে।
আয়ুর্বেদে যষ্টিমধুর উপকারিতা
আয়ুর্বেদে যষ্টিমধুর অনেক উপকারিতা উল্লেখ করা হয়েছে। এতে অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট, প্রদাহ ও জীবাণুবিরোধী বৈশিষ্ট্য রয়েছে। যা শুধু গলার সংক্রমণ দূর করে না, রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতাও বাড়ায়।
কাশি ও গলা ব্যথা : যষ্টিমধুর রসে ব্রঙ্কোডাইলেটর বৈশিষ্ট্য রয়েছে, যা কাশি ও ব্রঙ্কাইটিসের মতো সমস্যায় সাহায্য করে। কাঁচা যষ্টিমধু চিবিয়ে খেলে কাশি থেকে মুক্তি পাওয়া যায়। যষ্টিমধুর পানি পান করলে গলা ব্যথা উপশম হয়।
রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়ায় : যষ্টিমধুতে কিছু এনজাইম থাকে, যা শরীরে লিম্ফোসাইট ও ম্যাক্রোফেজ তৈরিতে সাহায্য করে।
পিরিয়ডের ব্যথায় : নারীদের পিরিয়ডের সময় খিঁচুনি এবং মেনোপজের সময় ঘটে যাওয়া সমস্যা থেকে মুক্তি দেয় এই যষ্টিমধু রস। শুধু তা-ই নয়, অনেক সময় স্বাস্থ্য বিশেষজ্ঞরা পিসিওএস এবং পিসিওডি-তে যষ্টিমধুর রস খাওয়ার পরামর্শ দেন। এটি শরীর থেকে টেস্টোস্টেরনের মাত্রা কমাতে সাহায্য করে।
ত্বকের জন্য : ত্বকের অ্যালার্জি ও ফোলাভাব কমাতে যষ্টিমধুর রস অনেক সাহায্য করে। যষ্টিমধুর রসের সাহায্যে ত্বকে ব্রণের সমস্যা কমানো যায়।
এসিডিটি ও বদহজম : যষ্টিমধুর শিকড় চুষলে এসিড রিফ্লাক্স, বুকজ্বালা ও বদহজম থেকে মুক্তি পাওয়া যায়। ২০১৭ সালের একটি গবেষণায় দেখা গেছে, প্রতিদিন যষ্টিমধুর রস খাওয়া এসিড রিফ্লাক্সের জন্য বেশি কার্যকর।
ক্যান্সারবিরোধী বৈশিষ্ট্য : ক্যান্সার বিশেষজ্ঞদের মতে, যষ্টিমধুর মূল নির্দিষ্ট ধরনের ক্যান্সারের বিরুদ্ধে কার্যকর।
হাঁপানি : ২০১৯ সালের একটি গবেষণা অনুসারে, যষ্টিমধুর মূলে গ্লাইসাইরিজিন পাওয়া গেছে, যা হাঁপানিতে উপশম দিতে পারে।
দাঁত ক্ষয় : প্রতিদিন যষ্টিমধুর পানি দিয়ে দাঁত ধুয়ে ফেললে অথবা যষ্টিমধুর মূল চুষলে দাঁতের ক্ষয় রোধ করা যায়। শুধু তা-ই নয়, এটি দাঁতের ব্যথা ও মুখের দুর্গন্ধও দূর করে।
সূত্র : হিন্দুস্তান টাইমস
শীতে পিপাসা কম লাগে বলে অনেকেই পানি কম খান। কিন্তু পরিমাণ মতো পানি না খেলে দেখা দিতে পারে ডিহাইড্রেশন। এ ছাড়া কিডনি ভালো রাখার জন্য পরিমাণ মতো পানি খাওয়া প্রয়োজন। বিশেষজ্ঞদের মতে, এই সময়ে কিডনিকে অতিরিক্ত কাজ করতে হচ্ছে।
পুষ্টিবিদদের মতে, এই সময় খাদ্যতালিকায় এমন কিছু খাবার রাখা প্রয়োজন, যা বিকল্প পথে শরীরে পানির জোগান দেবে। কী সেই খাবার, চলুন, জেনে নিই।
মিষ্টি আলু
মিষ্টি আলুতে ভিটামিন এ, সি, ফাইবার ও পটাশিয়াম রয়েছে।
রসুন
যেকোনো খাবারের স্বাদ বৃদ্ধিতে রসুনের ভূমিকা যথেষ্ট।
পালং শাক
আয়রন, ম্যাগনেশিয়ামসহ আরো নানা খনিজে সমৃদ্ধ পালং শাক। তাই যাদের কিডনিতে স্টোনের সমস্যা রয়েছে তাদের খাদ্যতালিকায় অবশ্য পালং শাক থাকা প্রয়োজন। চচ্চড়ি কিংবা সেদ্ধ বা ভাজি করে পালং শাক খেতে পারেন।
বিট
শীতকালে বাজারে কমবেশি বিট নজরে পড়ে। পুষ্টিবিদদের মতে, শীতকালীন খাদ্যতালিকায় বিট থাকা খুব ভালো। কারণ, বিটের খাদ্যগুণ অনেক। বিট খুব দ্রুত হজম হয়। তেমনই আবার রক্ত পরিশুদ্ধ করার কাজেও শীতকালীন এই সবজির জুড়ি মেলা ভার। হাই ফাইবার যুক্ত বিটকে তাই সালাদ কিংবা স্যুপ হিসেবে খেতে বলছেন বিশেষজ্ঞরা।
ক্র্যানবেরি
প্রস্রাবে সংক্রমণ মূলত কিডনির সমস্যার প্রাথমিক লক্ষণ। তাই এ সমস্যা রুখতে খাদ্যতালিকায় ক্র্যানবেরি রাখা প্রয়োজন। পুষ্টিবিদদের মতে, প্রতিদিন এক গ্লাস করে ক্র্যানবেরির জুস খেতে পারেন। আর নয়তো ক্র্যানবেরি ফল হিসেবে চিবিয়ে খেতে পারেন। তাতে কিডনির সমস্যা হওয়ার সম্ভাবনা কমবে অনেকটাই।
সূত্র : সংবাদ প্রতিদিন
খাবারের সঙ্গে অনেকেই সালাদ খেয়ে থাকেন। আর এই সালাদে দিয়ে থাকেন কাঁচা পেঁয়াজ। আবার অনেকে ভাতের সঙ্গে শুধুই কাঁচা পেঁয়াজ খেয়ে থাকেন। আর এতে শরীরও ডিহাইড্রেটেড হয় না।
কাঁচা পেঁয়াজ খেলে কী কী উপকার পাবেন, কিভাবে আপনার শরীর ভালো থাকবে, দেখে নিন একনজরে—
সালাদে কাঁচা পেঁয়াজ কেন দেওয়া হয়
তবে, কাঁচা পেঁয়াজ খেলে উপকার হলেও পেঁয়াজের রস খেলে কিন্তু শরীরে অনেক সমস্যা দেখা দিতে পারে। কাঁচা পেঁয়াজের রস না খাওয়াই স্বাস্থ্যের পক্ষে ভালো। বিশেষত যাদের পেটের সমস্যা রয়েছে, খুবই গ্যাস-অম্বল হয়, তারা দূরে থাকুন পেঁয়াজের রস থেকে। এ ছাড়া নিজের শরীর-স্বাস্থ্যের ওপর ঘরোয়া টোটকা প্রয়োগ করার আগে অবশ্যই চিকিৎসকের পরামর্শ জরুরি। নাহলে খুব সামান্য ব্যাপার থেকে গুরুতর অসুস্থ হয়ে যাওয়ার সম্ভাবনা থাকবে।
সূত্র : এবিপি লাইভ