কখন ভাত খেলে বাড়বে না ওজন

জীবনযাপন ডেস্ক
জীবনযাপন ডেস্ক
শেয়ার
কখন ভাত খেলে বাড়বে না ওজন
সংগৃহীত ছবি

বাঙালির খাদ্য সংস্কৃতিতে ভাত অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ একটি অংশ। সাধারণ ডাল বা অন্যান্য পদ দিয়েও এটি অনেকের পছন্দের খাবার। অনেকে তো ডাল আর আলুর ভর্তা দিয়ে ভাত খেতে খুব পছন্দ করেন। তবে বাংলাদেশের অধিকাংশ নিম্নবিত্ত মানুষের নিত্য খাবারই এটি।

তবে, সবার প্রিয় এই ভাতে প্রচুর কার্বোহাইড্রেট থাকার কারণে অনেকেই এটি থেকে দূরে থাকার চেষ্টা করেন। এর মধ্যে রয়েছে ওজন কমানোর বা ব্লাড সুগারের সমস্যা। এর পাশাপাশি অনেকের মনে একটি প্রশ্ন জাগে, ভাত খাওয়ার সঠিক সময় আসলে কখন? বিশেষজ্ঞদের মতে, ভাত খাওয়ার নির্দিষ্ট কোনো সময় না থাকলেও এই বিষায় কিছু প্রয়োজনীয় তথ্য রয়েছে।

ভাত খাওয়ার সঠিক সময় কী?

বিশেষজ্ঞদের মতে, ভাত খাওয়ার জন্য কোনো নির্দিষ্ট সময় নেই।

দিনে বা রাতে যখন খুশি ভাত খেতে পারেন। ভাত খাওয়ার সময় নিয়ে অযথা নিয়ম তৈরি করা মানসিক চাপের কারণ হয়ে দাঁড়ায়। এই মানসিক চাপ শরীরের ওপর বিরূপ প্রভাব ফেলে।

আরো পড়ুন
এবার ফেসবুক-ইনস্টাগ্রামে স্ট্যাটাস শেয়ার করা যাবে হোয়াটসঅ্যাপ থেকেই!

এবার ফেসবুক-ইনস্টাগ্রামে স্ট্যাটাস শেয়ার করা যাবে হোয়াটসঅ্যাপ থেকেই!

 

মানসিক চাপের প্রভাব

খাবার খাওয়ার সময় নিয়ে বাড়তি দুশ্চিন্তা করলে শরীরের স্ট্রেস হরমোন কর্টিসলের মাত্রা বেড়ে যায়।

কর্টিসল বৃদ্ধি হলে শরীরে চর্বি জমা হয়, চিনির লোভ বাড়ে এবং হজম ও ঘুমের সমস্যা দেখা দেয়। তাই ভাত খাওয়ার সময় নিয়ে চাপ না নিয়ে সচেতনভাবে খাদ্যগ্রহণ করাই ভালো।

ভাত খেয়ে কীভাবে ওজন নিয়ন্ত্রণ করবেন?

ওজন নিয়ন্ত্রণ করতে ভাত এড়িয়ে না গিয়ে সঠিক পদ্ধতিতে ভাত খাওয়ার অভ্যাস গড়ে তুলতে হবে। ডায়েটিশিয়ানদের মতে, ভাত পুরোপুরি এড়িয়ে চলার প্রয়োজন নেই। তবে সঠিক পরিমাণ ও সঠিক পদ্ধতিতে ভাত খেলে শরীরে নেতিবাচক প্রভাব কমে যায়।

১. নিয়ন্ত্রিত পরিমাণে ভাত খান

প্রতিদিন এক কাপ ভাত খাওয়ার অভ্যাস করুন। এটি অতিরিক্ত ভাত খাওয়ার প্রবণতা এড়িয়ে শরীরের ওজন নিয়ন্ত্রণে সাহায্য করবে।

আরো পড়ুন
বয়স্কদের সুস্থতায় যা করণীয়

বয়স্কদের সুস্থতায় যা করণীয়

 

২. ভাত রান্নার সঠিক পদ্ধতি বেছে নিন

ভাজা ভাতের পরিবর্তে সেদ্ধ বা ভাপ দেওয়া ভাত খান। প্রচুর পানিতে ভাত সেদ্ধ করে সেটি ছেঁকে নিলে অতিরিক্ত স্টার্চ দূর হয়ে যায়।

৩. ভাতের সঙ্গে ফাইবার ও প্রোটিন খান

উচ্চ আঁশযুক্ত সবজি বা চর্বিহীন প্রোটিনের সঙ্গে ভাত খান। এটি শুধু আপনার পেট ভরা রাখতে সাহায্য করে না, বরং অতিরিক্ত খাওয়ার প্রবণতাও কমায়।

আরো পড়ুন
শীতের রাতে ত্বকের যত্নে যা করবেন

শীতের রাতে ত্বকের যত্নে যা করবেন

 

সূত্র : আজতক বাংলা

মন্তব্য

সম্পর্কিত খবর

ফেসিয়ালের সময় চোখ শসা দিয়ে ঢেকে রাখা হয় কেন

জীবনযাপন ডেস্ক
জীবনযাপন ডেস্ক
শেয়ার
ফেসিয়ালের সময় চোখ শসা দিয়ে ঢেকে রাখা হয় কেন
সংগৃহীত ছবি

রূপচর্চা বা ফেসিয়ালের সময় কিছুক্ষণ চোখে শসা দিয়ে রাখেন অনেকেই। এভাবে দশ মিনিট চোখ বন্ধ করে বিশ্রাম নিলে নাকি ত্বকের যত্ন হবে। অনেকের মনেই প্রশ্ন জাগতে পারে আসলেই কি কোনো উপকার হয় এতে? বৈজ্ঞানিক ব্যাখ্যায় কী আছে, তা জানুন এই প্রতিবেদনে।

বিশেষজ্ঞদের মতে, শসার উপকার অনেক।

এতে রয়েছে অনেক প্রয়োজনীয় ভিটামিন ও খনিজ আছে। এতে থায়ামিন, রিবোফ্লোবিন, ভিটামিন বি৬, ক্যালসিয়াম ও ম্যাগনেশিয়ামের মতো উপাদান থাকে। এ ধরনের উপাদান শরীরের জন্য যেমন দরকারি, তেমনি দৃষ্টিশক্তি বাড়াতেও কার্যকর। চোখের যত্নে শসার অত্যন্ত কার্যকরী উপাদান।
এ ছাড়া শসায় আছে প্রদাহনাশক উপাদান, যা চোখের চারপাশের ফোলা ভাব কমায়। ফলে সারা দিনের ক্লান্তির ছাপ দূর হতে পারে কয়েক মিনিটেই। এ ছাড়া রয়েছে আরো অনেক উপকারিতা।

আরো পড়ুন
প্রতিদিন বাদাম খেলে শরীরে হবে যে পরিবর্তন

প্রতিদিন বাদাম খেলে শরীরে হবে যে পরিবর্তন

 
  • শসায় আছে অ্যাসকরবিক ও ক্যাফেইক অ্যাসিড, যা চোখের চারপাশের ফোলাভাব কমাতে সাহায্য করে।
ব্যবহারের আগে শসা কেটে আগে কিছুক্ষণ ফ্রিজে রেখে দিন। এর ফলে চোখ বিশ্রাম পাবে। একই সঙ্গে ফিরবে চোখের আর্দ্রতা।
  • সূর্যের ক্ষতিকর রশ্মির কারণে পুড়ে যাওয়া ত্বকে শসা ব্যবহার করতে পারেন। এর জন্য শসা কেটে স্লাইস করে মুখে লাগাতে পারেন।
  • অথবা শসা বেটে এর রস মুখে লাগিয়ে ১৫ মিনিট পর ধুয়ে ফেলুন। কিংবা শসার রস দিয়ে আইস কিউব বানিয়ে মুখে ঘষুন।
  • শসায় থাকা অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট ও সিলিকা ত্বকের ডার্ক সার্কেল বা চোখের নিচের কালো দাগ দূর করে। তবে এই কালো দাগ সাময়িক দূর হলেও স্থায়ী সমাধান নয়। চোখের চারপাশে কালো দাগ আস্তে আস্তে হালকা করে শসা। মুখের সৌন্দর্য ধরে রাখতেও শসা গুরুত্বপূর্ণ।
  • আরো পড়ুন
    চোখের স্বাস্থ্য ভালো রাখবে যে তিন সবজি

    চোখের স্বাস্থ্য ভালো রাখবে যে তিন সবজি

     
    • শসা হচ্ছে একটি প্রাকৃতিক ময়েশ্চারাইজার। চোখের চারপাশের চামড়া পুরো শরীরের মধ্যে সবচেয়ে পাতলা। চোখের চারপাশে শসা দিয়ে রাখলে এই ত্বক আর্দ্র হয়। এতে ত্বক কুঁচকে যাওয়া বা বলিরেখা দূর হয়।
    • চোখের নিচের চামড়া ঝুলে পড়া ঠেকাতে সাহায্য করে শসা। এর জন্য শসার পেস্ট বানিয়ে তাতে মধু, ল্যাভেন্ডার তেল মিশিয়ে চোখের নিচে হালকা করে লাগাতে হবে। এভাবে ১০ থেকে ১৫ মিনিট রেখে দিতে হবে। পরে ভেজা কাপড় দিয়ে তা মুছে ফেলতে হবে। এতে চোখ ফোলা ভাব কমবে।
    • শসার জুসে থাকা ফাইটোকেমিক্যাল কোলাজেন উৎপাদনে সাহায্য করে। আর কোলাজেন হচ্ছে আঁশের মতো এক ধরনের প্রোটিন, যা ত্বকের স্থিতিস্থাপকতার জন্য দায়ী। এ ছাড়া এটি সেলুলাইট দূর করে।
    • শসার রসের সঙ্গে লেবুর রস মিশিয়ে মুখে লাগিয়ে ১৫ মিনিট পর ধুয়ে ফেলুন। নিয়মিত এই প্যাক ব্যবহারে আপনার ত্বক হবে উজ্জ্বল ও দাগহীন।
    আরো পড়ুন
    সামান্য জ্বর-সর্দিতেই অ্যান্টিবায়োটিক? হতে পারে যে বিপদ

    সামান্য জ্বর-সর্দিতেই অ্যান্টিবায়োটিক? হতে পারে যে বিপদ

     
    • শসার রস ত্বকে টোনারের কাজ করে। এই রসের সঙ্গে গোলাপজল, মধু ও লেবুর রস মিশিয়ে মুখে লাগান। ১৫ মিনিট পর শুকিয়ে গেলে পানি দিয়ে মুখ ধুয়ে ফেলুন। এটি কোঁচকানো ভাব দূর করে ত্বক টানটান করে।
    মন্তব্য

    বাড়িতে তৈরি করুন সবার পছন্দের আলুর দম

    জীবনযাপন ডেস্ক
    জীবনযাপন ডেস্ক
    শেয়ার
    বাড়িতে তৈরি করুন সবার পছন্দের আলুর দম
    সংগৃহীত ছবি

    যেকোনো উৎসব বা সকাল বিকেলের নাশতায় পছন্দের পদ রান্না করতে ভালোবাসেন নারীরা। শীতের এই সময়ে বাজারে পর্যাপ্ত নতুন ও পুরাতন আলু পাওয়া যায়। এই নতুন আলুর স্বাদই অন্যরকম। আর এই নতুন আলু দিয়ে রান্না করতে পারেন আলুর দম।

    পরিবারের ছোট-বড় সকলের পছন্দ আলুর দম। সকাল, বিকেল কিংবা সন্ধ্যার নাস্তায়, স্কুলের টিফিনে অথবা ভাত বা পোলাওয়ের সঙ্গে বেশিরভাগ বাড়িতেই রান্না হয় আলুর দম।

    চাইলে যখন-তখন আলুর দমের স্বাদ নিতে পারেন আপনিও। মজার এই রেসিপিটি রান্না করা খুবই সহজ।

    জেনে নিন কীভাবে রান্না করবেন।

    আরো পড়ুন
    ঘরেই তৈরি করুন পছন্দের পাস্তা

    ঘরেই তৈরি করুন পছন্দের পাস্তা

     

    উপকরণ

    ছোট আলু-১৫০ গ্রাম
    টমেটো-১০০গ্রাম
    পেঁয়াজ কুচি-২টি (মাঝারি)
    ধনেগুঁড়া-৫ গ্রাম
    আদাবাটা-১০গ্রাম
    কাঁচা মরিচ বাটা-৫গ্রাম (স্বাদ অনুযায়ী)
    ভাজা জিরেগুঁড়া-৫ গ্রাম
    হলুদ গুঁড়া- ৫গ্রাম
    মরিচ গুঁড়া-৫গ্রাম
    ঘি-৫০গ্রাম
    লবণ-চিনি (স্বাদমতো)
    ধনেপাতা কুচি সামান্য

    আরো পড়ুন
    দ্রুত খাবার খেলে কী হয়?

    দ্রুত খাবার খেলে কী হয়?

     

    প্রণালি

    প্রথমে আলু সেদ্ধ করে নিন। একটি কড়াইতে ঘি গরম করে তাতে সেদ্ধ করা আলু অল্প লবণ-হলুদ দিয়ে হালকা ভেজে তুলে নিন। এবার একই কড়াইতে অল্প ঘি দিয়ে তাতে প্রথমে আদা ও কাঁচামরিচ বাটা দিয়ে ভালো করে নাড়ুন।

    অল্প ভাজা হলে তাতে পেঁয়াজকুচি মেশান। সোনালি রং করে ভাজুন।

    আলুর দম

    এবার সেদ্ধ করা ভাজা আলু দিন। তাতে একে-একে ধনেগুঁড়া, হলুদ গুঁড়া ও মরিচের গুঁড়া ভালোভাবে মিশিয়ে নিন। কষে এলে অল্প পানি দিন।

    এবার তাতে টমেটো কুচি, ভাজা জিরে গুঁড়া ও স্বাদমতো লবণ-চিনি দিয়ে ভালো করে নাড়িয়ে নিন। ঢাকনা দিয়ে অল্প আঁচে ৪ মিনিট রান্না করুন। হালকা গা মাখা হয়ে এলে ধনেপাতা কুচি ও অল্প ঘি ছড়িয়ে নামিয়ে নিন। এবার গরম গরম পরিবেশন করুন আলুর দম।

    মন্তব্য

    যেসব কারণে ছিন্ন হতে পারে বন্ধুত্বের সম্পর্ক

    জীবনযাপন ডেস্ক
    জীবনযাপন ডেস্ক
    শেয়ার
    যেসব কারণে ছিন্ন হতে পারে বন্ধুত্বের সম্পর্ক
    সংগৃহীত ছবি

    পৃথিবীর সবচেয়ে সুন্দর সম্পর্কগুলোর মধ্যে একটি হচ্ছে বন্ধুত্ব। যার সঙ্গে আমরা দুঃখ-কষ্ট ও সুখের মুহূর্তগুলো ভাগাভাগি করতে পারি। তবে সময়ের ব্যবধানে অনেক বন্ধুত্বে ফাটল ধরে। এমনও হয়, কাছের বন্ধুদের সঙ্গে সময় কাটাতে আর আগের মতো আনন্দ পাওয়া যায় না।

    তাই অনেকে তাদের এড়িয়ে চলার চেষ্টা করেন। এমন হওয়ার পেছনে রয়েছে বেশ কয়েকটি কারণ। আজকের প্রতিবেদনে জানবেন সে সম্পর্কে—

    সময় পরিবর্তন

    সময়ের সঙ্গে সঙ্গে মানুষের পরিবর্তন আসে। অতীতে যেসব বিষয় বন্ধুত্বকে দৃঢ় করেছিল, এখন তা আর প্রাসঙ্গিক নাও মনে হতে পারে।

    ফলে একসময়ের বন্ধুরা আর আগের মতো একে অপরের সঙ্গে যোগাযোগ রাখেন না বা এড়িয়ে যেতে চান।

    আরো পড়ুন
    চোখের স্বাস্থ্য ভালো রাখবে যে তিন সবজি

    চোখের স্বাস্থ্য ভালো রাখবে যে তিন সবজি

     

    প্রয়োজনীয়তা

    অনেক বন্ধুই আছেন যারা শুধু প্রয়োজনের সময়ই খোঁজ নেন। বাকি সময় কোনো যোগাযোগ রাখেন না। এ ধরনের সম্পর্ক ধীরে ধীরে আমাদের কাছে গুরুত্ব হারায়।

    ঈর্ষা

    বন্ধুরা সাধারণত অন্য বন্ধুর সাফল্যে খুশি হন, তবে অনেকে আছেন অন্য বন্ধুর সাফল্যে ঈর্ষান্বিতও হন। এ ধরনের ঈর্ষাপ্রবণ বন্ধুরা ধীরে ধীরে সম্পর্ককে বিষাক্ত করে তোলে। যার কারণে তাদের থেকে দূরে থাকতে চায় অনেকে।

    আগ্রহের ভিন্নতা

    একই ধরনের আগ্রহ থাকলে বন্ধুত্ব শক্তিশালী হয়। কিন্তু সময়ের সঙ্গে সঙ্গে আগ্রহ বদলে গেলে বন্ধুত্বের সাধারণ ভিত্তিটাও দুর্বল হয়ে পড়ে।

    অতীতের স্মৃতি

    অনেক বন্ধুই আমাদের অতীতের অংশ। কেউ কেউ আবার বারবার সেই পুরোনো স্মৃতি মনে করিয়ে দেয়, যা ভবিষ্যতের দিকে মনোযোগ দিতে বাধা দেয়। এ কারণে অনেক সময় তাদের এড়িয়ে চলা হয়।

    আরো পড়ুন
    প্রতিদিন বাদাম খেলে শরীরে হবে যে পরিবর্তন

    প্রতিদিন বাদাম খেলে শরীরে হবে যে পরিবর্তন

     

    সূত্র : হিন্দুস্তান টাইমস

    প্রাসঙ্গিক
    মন্তব্য

    ডায়াবেটিস নিয়ন্ত্রণের সহজ উপায়

    জীবনযাপন ডেস্ক
    জীবনযাপন ডেস্ক
    শেয়ার
    ডায়াবেটিস নিয়ন্ত্রণের সহজ উপায়
    সংগৃহীত ছবি

    ডায়াবেটিসকে বলা হয়ে থাকে নীরব ঘাতক। এই রোগের আক্রান্তদের শরীর ধীরে ধীরে ভেতর থেকে ক্ষতিগ্রস্ত হওয়া শুরু করে। ডায়াবেটিক রোগীদের রক্তে শর্করার পরিমাণ বেশি থাকলে হৃদপিণ্ড, লিভার, কিডনি ও অন্যান্য অঙ্গের ওপর বিরূপ প্রভাব পড়ে। তাই, রক্তে শর্করার মাত্রা হঠাৎ বৃদ্ধি ও হ্রাস এড়ানো খুবই গুরুত্বপূর্ণ।

    খাদ্যাভ্যাস ও সুষম জীবনযাত্রার মাধ্যমে চিনি নিয়ন্ত্রণ করা সম্ভব, এর জন্য চিকিৎসকের সঙ্গে পরামর্শ করা উচিত।

    বিশেষজ্ঞদের মতে, ডায়াবেটিসে আক্রান্ত হলে রোগীর রক্তে শর্করার মাত্রা হঠাৎ করে বাড়তে বা কমতে শুরু করবে। আর এই পদ্ধতির মাধ্যমে সহজেই আপনার রক্তে শর্করার মাত্রা নিয়ন্ত্রণ করতে পারেন।

    পুষ্টিবিদদের মতে, আপনার রক্তে সুগারের মাত্রা যত বেশি হবে তত শরীরের ওপর খারাপ প্রভাব ফেলবে।

    একজন ডায়াবেটিক রোগীর সুগারের এই ওঠানামা এড়ানো উচিত। তাই খাদ্যাভ্যাস ও জীবনযাত্রায় এই পরিবর্তনগুলো আনা প্রয়োজন।

    আরো পড়ুন
    প্রতিদিন কাঁচা পেঁয়াজ খেলে শরীরে হতে পারে যে পরিবর্তন

    প্রতিদিন কাঁচা পেঁয়াজ খেলে শরীরে হতে পারে যে পরিবর্তন

     

    বাজরা

    খাদ্যতালিকায় যতটা সম্ভব বাজরা অন্তর্ভুক্ত করুন। গম ও ভাত যতটা সম্ভব এড়িয়ে চলুন।

    এর পরিবর্তে জোয়ার, বাজরা, রাগির আটা এবং এই ফসলগুলো ব্যবহার করে তৈরি করা খাবার খাওয়া যেতে পারে, এদের গ্লাইসেমিক সূচক খুব কম। যা ডায়াবেটিক রোগীদের সুগারের বৃদ্ধি থেকে রক্ষা করে।

    মিষ্টি খেতে চাইলে এই খাবারগুলো খান

    ডায়াবেটিক রোগীরা প্রায়শই মিষ্টি খেতে চান। কখনো এমন হলে পেট ভরে যাওয়ার পরেই মিষ্টি খাবার খান। প্রাকৃতিক চিনিযুক্ত খাবার খাওয়ার চেষ্টা করুন।

    মিষ্টি খাওয়ার আগে কিছু ফাইবারযুক্ত খাবার খাওয়া খাওয়া ভালো।

    আরো পড়ুন
    প্রতিদিন বাদাম খেলে শরীরে হবে যে পরিবর্তন

    প্রতিদিন বাদাম খেলে শরীরে হবে যে পরিবর্তন

     

    কার্বোহাইড্রেট খাওয়া এড়িয়ে চলুন

    খাদ্যতালিকায় অন্যান্য খাবার অন্তর্ভুক্ত করুন। শুধু কার্বোহাইড্রেট, পোহা, উপমা, রুটি, ভাত বা ইডলি নয়, এই খাবারগুলোতে কিছু প্রোটিন যোগ করতে ভুলবেন না। খাদ্যতালিকায় দই, পনির, চিকেন, ডিম বা বাদামের মতো কিছু চর্বির উৎসও অন্তর্ভুক্ত করুন।

    খাবারের পর ১৫ মিনিট হাঁটা

    ডায়াবেটিক রোগীদের প্রতিবার খাবারের পর অন্তত ১৫ মিনিট হাঁটা উচিত। বিশেষ করে ব্রেকফাস্ট, দুপুরের খাবার ও রাতের খাবারের মতো ভারী খাবারের পরে। এটি আপনার রক্তে শর্করার মাত্রা নিয়ন্ত্রণে রাখতে সাহায্য করে।

    আরো পড়ুন
    লিভার খারাপের প্রাথমিক লক্ষণ যেগুলো

    লিভার খারাপের প্রাথমিক লক্ষণ যেগুলো

     

    সূত্র : ইটিভি

    মন্তব্য

    সর্বশেষ সংবাদ