আমাদের শরীরের জন্য একটি অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ খনিজ হচ্ছে ক্যালসিয়াম। হাড় ও দাঁতের সুস্থতা, পেশির কার্যকারিতা ঠিক রাখতে সাহায্য করে এই খনিজ। বিশেষজ্ঞদের মতে, প্রাপ্তবয়স্কদের প্রতিদিন ৭০০ মিলিগ্রাম ক্যালসিয়াম গ্রহণ করা উচিত। দুগ্ধজাত খাদ্যকে ক্যালসিয়ামের প্রধান উৎস হিসেবে ধরা হয়।
দুধে ফ্যাট বেশি থাকায় অনেকে দুধ খেতে চান না। তাই তারা ক্যালসিয়ামের ঘাটতিতে ভোগেন। তবে এই ক্যালসিয়ামের ঘাটতি দূর করবে কিছু ফল। কী সেই ফল, তা জানুন আজকের প্রতিবেদনে।
কমলালেবু : শুধু ভিটামিন সি নয়, ক্যালসিয়ামেও সমৃদ্ধ কমলালেবু। ১০০ গ্রাম কমলালেবুতে প্রায় ৪৩ মিলিগ্রাম ক্যালসিয়াম থাকে। এটি রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়ায় ও হাড়ের স্বাস্থ্য ঠিক রাখে।
আরো পড়ুন
নারকেলের দুধে কী উপকার, জেনে খাচ্ছেন তো?
ডুমুর : ডুমুরে প্রচুর পরিমাণে পটাশিয়াম, ফাইবার ও অ্যান্টি-অক্সিডেন্ট থাকে।
আধা কাপ ডুমুরে প্রায় ১৮০ মিলিগ্রাম ক্যালসিয়াম পাওয়া যায়। এটি হজম ক্ষমতা বাড়ায় এবং হৃদরোগের ঝুঁকি কমাতে সহায়তা করে।
কিউই : ভিটামিন সি-এর একটি দারুণ উৎস হলো কিউই, যা ত্বকের স্বাস্থ্য ও কোলাজেন উৎপাদনে সহায়তা করে। এতে প্রায় ৬০ মিলিগ্রাম ক্যালসিয়াম থাকে। ফলে হাড়ের স্বাস্থ্য রক্ষায় গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে এই ফল।
পেঁপে : ১০০ গ্রাম পেঁপেতে প্রায় ৩০ মিলিগ্রাম ক্যালসিয়াম থাকে। এটি হজম প্রক্রিয়া উন্নত করতে এবং হাড়ের স্বাস্থ্য রক্ষায় সহায়তা করে।
বেরি ফল : স্ট্রবেরি, রাসবেরি ও ব্লুবেরির মতো বেরিজাতীয় ফলে ক্যালসিয়াম, ফাইবার ও অ্যান্টি-অক্সিড্যান্ট থাকে, যা হাড়ের স্বাস্থ্য ঠিক রাখে এবং রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়ায়।
আরো পড়ুন
নতুন যে আপডেট নিয়ে আসছে টেলিগ্রাম
আপেল : আপেলে প্রচুর পরিমাণে ফাইবার ও ক্যালসিয়াম থাকে, যা হাড়ের স্বাস্থ্য ও হজম প্রক্রিয়া উন্নত করতে সহায়তা করে।
আঙুর : ক্যালসিয়াম ও অ্যান্টি-অক্সিড্যান্ট সমৃদ্ধ আঙুর হাড়ের স্বাস্থ্য ও হৃদরোগের ঝুঁকি কমাতে সহায়তা করে।
আম : আমে ভরপুর মাত্রায় ভিটামিন সি ও ক্যালসিয়াম থাকে, যা রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বৃদ্ধি ও হাড়ের স্বাস্থ্য রক্ষায় সহায়তা করে।
আনারস : আনারসে ক্যালসিয়াম ভিটামিন সি, জিংক, ফসফরাস, ম্যাংগানিজ রয়েছে। রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়াতে এবং সংক্রমণের ঝুঁকি কমাতে সাহায্য করে।
আরো পড়ুন
ধূমপানে কি চুল পড়ার সমস্যা বাড়ে?
সূত্র : আজকাল