দীর্ঘ একমাস সিয়াম সাধনার পর এসেছে ঈদের দিন। সবার মাঝে ছড়িয়ে পড়েছে ঈদ আনন্দ। এই আনন্দ-উৎসব কেবল ঈদের নামাজে সবার সঙ্গে দেখা হওয়ার মাঝেই সীমাবদ্ধ নয়। এর গুরুত্বপূর্ণ একটি অংশ হচ্ছে আতিথেয়তা ও খাবারদাবার।
দীর্ঘ একমাস সিয়াম সাধনার পর এসেছে ঈদের দিন। সবার মাঝে ছড়িয়ে পড়েছে ঈদ আনন্দ। এই আনন্দ-উৎসব কেবল ঈদের নামাজে সবার সঙ্গে দেখা হওয়ার মাঝেই সীমাবদ্ধ নয়। এর গুরুত্বপূর্ণ একটি অংশ হচ্ছে আতিথেয়তা ও খাবারদাবার।
বাড়িতে বাড়িতে তৈরি হয় অনেক ধরণের সুস্বাদু খাবার। ঈদ বলে যে শুধু মিষ্টান্নজাতীয় খাবারেরই আয়োজন হবে, তা কিন্তু না।
ঈদে বিভিন্ন ধরনের সুস্বাদু কাবাব তৈরি করতে পারেন। আর এগুলো করতে পারেন খুব সহজেই। এদের স্বাদ ও সুবাস আপনার ঈদকে আরো বিশেষ করে তুলবে।
গালৌটি কাবাব
গালৌটি কাবাবকে ভারতের লখনউয়ের একটি বিশেষ খাবার হিসেবে বিবেচনা করা হয়। এটি নরম ও মুখে গলে যাওয়ার মতো। এটি বিশেষ মশলা ও পেষ্ট করা গরু বা মুরগির মাংস দিয়ে তৈরি করা হয়। এটি তৈরির জন্য পেঁপের পেস্ট মাংসের সঙ্গে মেশানো হয়।
শামি কাবাব
শামি কাবাব অবশ্যই ঈদে তৈরি করা হয়। এই নরম ও সুস্বাদু কাবাবটি মুরগি বা খাসির মাংসের কিমা, চানা ডাল ও মশলা দিয়ে তৈরি করা হয়। এটি মুচমুচে না হওয়া পর্যন্ত তাওয়ায় ভাজা হয়, যা এর স্বাদকে আরো আশ্চর্যজনক করে তোলে। ধনে-পুদিনা পাতার চাটনির সঙ্গে শামি কাবাব খাওয়া যেতে পারে। এতে এর স্বাদ দ্বিগুণ হয়ে যায়।
হারা ভর কাবাব
ঈদে নিরামিষ খাবারের বিকল্প খুঁজলে হারা ভরার কাবাব একটি দুর্দান্ত বিকল্প হতে পারে। এটি পালং শাক, আলু, সবুজ মটরশুটি ও পনির মিশিয়ে তৈরি করা হয়। এটি কেবল স্বাস্থ্যকরই নয়, দেখতেও খুব আকর্ষণীয়। অতিথিদের সামনে সবুজ চাটনির সঙ্গে পরিবেশন করতে পারেন সুস্বাদু এই তারা ভর কাবাব।
বেসন কাবাব
বেসন কাবাব খেতে খুবই সুস্বাদু। এটি তৈরি করতে প্রথমে বেসন হালকা করে ভেজে নিতে হবে। এতে কিছু গোটা মশলা যোগ করা হয়। কিছু মৌসুমি সবজি মিশিয়ে এটি তৈরি করা যেতে পারে। মেহমানদের সামনে সবুজ চাটনির সঙ্গে পরিবেশন করতে পারেন এই কাবাব।
হালিম কাবাব
হালিম কাবাব সবাই খুব পছন্দ করে। এটি তৈরি করা হয় মাংসের কিমা, মসুর ডাল ও মসলা মিশিয়ে। একটি প্যানে মুচমুচে না হওয়া পর্যন্ত বেক করতে হবে। এটি তার স্বাদের কারণে মানুষের মন জয় করতে পারে।
দইয়ের কাবাব
ঈদে যদি হালকা ও সুস্বাদু কিছু চেষ্টা করতে চান তাহলে দই কাবাব তৈরি করুন। এটি পাতলা দই, রুটির টুকরো ও মসলা দিয়ে তৈরি করা হয়। এই কাবাবটি বাইরে থেকে মুচমুচে এবং ভেতর থেকে ক্রিমি, যা সকলেরই পছন্দ। সবুজ চাটনির সঙ্গে গরম গরম পরিবেশন করুন। এটি বেশ সুস্বাদু ৷
ঈদে মেহমানদের আতিথেয়তায় চমৎকার একটি খাবার হতে পারে ভিন্ন স্বাদের বিভিন্ন কাবাব। তাই মেহমানদের আপ্যায়নের ক্ষেত্রে অন্যান্য খাবারের সঙ্গে এই সুস্বাদু কাবাবগুলো রাখতেই পারেন।
সম্পর্কিত খবর
হৃদরোগ পৃথিবীর অন্যতম প্রধান মৃত্যুর কারণ। এর মধ্যে অনেক মৃত্যুই ঘটে সঠিক সময়ে চিকিৎসা না নেওয়ার কারণে। হার্ট অ্যাটাকের প্রাথমিক লক্ষণগুলো যদি সময়মতো চিহ্নিত করা যায়, তবে অনেক ক্ষেত্রেই রোগীকে সুস্থ করা সম্ভব। কিন্তু বেশিরভাগ মানুষ এই লক্ষণগুলো উপেক্ষা করেন।
চলুন, জেনে নিই হার্ট অ্যাটাকের কিছু সাধারণ লক্ষণ।
বুকে ব্যথা বা অস্বস্তি: বুকের মাঝখানে বা বাম দিকে চাপ, ব্যথা, চেপে ধরা বা জ্বালাপোড়া অনুভূত হতে পারে। এই ব্যথা কয়েক মিনিট স্থায়ী হতে পারে বা বারবার ব্যথা ফিরে আসতে পারে।
শরীরের উপরের অংশে ব্যথা: বুকের ব্যথার সঙ্গে বাহু, ঘাড়, পেট, পিঠ বা চোয়ালে ব্যথা হতে পারে।
শ্বাসকষ্ট: বুকে ব্যথা ছাড়াও শ্বাসকষ্ট হতে পারে। হৃদযন্ত্রের কার্যকারিতা কমে গেলে অক্সিজেন সরবরাহ কমে যায়, ফলে শ্বাসকষ্ট হয়।
বমি বমি ভাব বা বমি: হার্ট অ্যাটাকের সময় অনেকের ক্ষেত্রে বমি বা বমি বমি ভাব হতে পারে।
অতিরিক্ত ঘাম: কোনো কারণ ছাড়াই হঠাৎ ঠান্ডা ঘাম হতে পারে, সঙ্গে মাথা ঘোরা বা মাথাব্যথা হতে পারে।
অস্বাভাবিক ক্লান্তি: হঠাৎ দুর্বল বা অতিরিক্ত ক্লান্তি অনুভব হতে পারে।
মহিলাদের ক্ষেত্রে কিছু ভিন্ন লক্ষণও দেখা যেতে পারে, যেমন পেটে ব্যথা, পিঠে ব্যথা, বা চোয়ালে ব্যথা।
এই লক্ষণগুলোর মধ্যে কোনোটি অনুভব করলে দেরি না করে দ্রুত হাসপাতালে যাওয়াই শ্রেয়। চিকিৎসা শুরু করার সাথে সাথে জীবন বাঁচানোর সম্ভাবনা অনেক বাড়ে।
সূত্র : আজকাল
আমাদের শরীর থেকে অতিরিক্ত বর্জ্য পদার্থ বের করার প্রধান দায়িত্ব পালন করে কিডনি। তবে কিছু খাবারের কারণে এই গুরুত্বপূর্ণ অঙ্গটি মারাত্মক ক্ষতির সম্মুখীন হতে পারে। চলুন, জেনে নিই এমন কিছু খাবারের তালিকা, যা কিডনির জন্য অত্যন্ত ক্ষতিকর।
অতিরিক্ত লবণ
খাবারে বেশি লবণ খাওয়ার অভ্যাস কিডনির জন্য ক্ষতিকর।
প্রসেসড ফুড বা প্যাকেটজাত খাবার
চিপস, ইনস্ট্যান্ট নুডলস, প্যাকেটজাত সস বা স্ন্যাকস এসব খাবারে প্রচুর সোডিয়াম, চিনি ও প্রিজারভেটিভ থাকে। যা কিডনির কার্যক্ষমতা ধীরে ধীরে কমিয়ে দেয়।
ফাস্টফুড ও জাঙ্কফুড
বার্গার, পিৎজা, ফ্রেঞ্চ ফ্রাইয়ের মতো ফাস্টফুডে অতিরিক্ত সোডিয়াম, ট্রান্স ফ্যাট ও প্রিজারভেটিভ থাকে।
চিনি ও মিষ্টি খাবার
অতিরিক্ত চিনি রক্তে গ্লুকোজের পরিমাণ বাড়ায়, যা ডায়াবেটিসের ঝুঁকি বাড়ায়। ডায়াবেটিস হলে কিডনির উপর মারাত্মক প্রভাব পড়ে এবং কার্যকারিতা কমে যায়।
সফট ড্রিঙ্ক ও এনার্জি ড্রিঙ্ক
এই ধরনের পানীয়তে ফসফরাস থাকে, যা কিডনির স্বাভাবিক কাজকর্মে বাধা দেয়।
বেশি প্রোটিনযুক্ত খাবার
ওজন কমাতে বা মাসল বাড়াতে বেশি প্রোটিন খাওয়ার ফলে কিডনির উপর চাপ পড়ে। বিশেষত কিডনির সমস্যা থাকলে, অতিরিক্ত প্রোটিন গ্রহণ করলে দেহের জন্য তা ক্ষতিকর হতে পারে। তাই প্রোটিন খাওয়ার সময় পর্যাপ্ত পানি পান করতে ভুলবেন না।
অতিরিক্ত ওষুধ খাওয়া
অনেকেই ব্যথানাশক বা অ্যান্টিবায়োটিক নিয়মিত খেয়ে থাকেন, যা কিডনির উপর ক্ষতিকর প্রভাব ফেলতে পারে।
এভাবে নিয়মিত ভুল খাদ্যাভ্যাস কিডনির ক্ষতি করতে পারে, তাই সচেতন হয়ে খাবার নির্বাচন করুন।
সূত্র : আজতাক বাংলা
সামাজিক মাধ্যমের দিকে চোখ রাখলেই এখন দেখা যায়, তেল ছাড়া মাছ, মাংস, তরকারি রান্না করার কৌশল। পরোটা হোক বা সবজি, কীভাবে তেল ছাড়া সুস্বাদু খাবার রান্না করা যায়, তা নিয়ে বর্তমানে অনেক আলোচনা হচ্ছে। অনেকের মতে, সুস্থ থাকতে গেলে জীবন থেকে তেল বাদ দেওয়া উচিত। এমনকি ওজন কমানোর সময় অনেকে ভোজ্য তেল ও চিনি এড়িয়ে চলেন।
কিন্তু প্রশ্ন উঠছে, তেল ছাড়া টানা দুই সপ্তাহ খাবার খেলে সত্যিই কি ওজন কমবে এবং তার উপকারিতা হবে? পুষ্টিবিদদের মতে, তেল নিয়ে সব ধারণা সঠিক নয়। তেল একেবারে বাদ দিলে শরীরের জন্য তা ক্ষতিকর হতে পারে। ভোজ্য তেল পুরোপুরি বাদ দিলে এবং ফ্যাট জাতীয় খাবার কম খেলে হজম ও বিপাকের উপর নেতিবাচক প্রভাব পড়তে পারে।
তেল শরীরে কী প্রভাব ফেলে?
তেলে থাকা ফ্যাট ভিটামিন এ,ডি,ই,কে শোষণে সাহায্য করে।
আর কী প্রভাব পড়বে শরীরে?
ত্বকের সজীবতা এবং লালিত্য ফ্যাট থেকেই আসে। তেল ফ্যাটি অ্যাসিড সরবরাহ করে। যদি শরীর প্রয়োজনীয় ফ্যাট না পায়, তবে ত্বক শুষ্ক হয়ে যেতে পারে এবং চুলের ঔজ্জল্য কমে যাবে।
শরীরের শক্তি উৎপাদনেও ফ্যাটের ভূমিকা রয়েছে। তেল পুরোপুরি বাদ দিলে মানুষের কাজের ক্ষমতা কমে যেতে পারে। ফ্যাটি অ্যাসিডের অভাব হলে নিউরোট্রান্সমিটারেও তার প্রভাব পড়তে পারে।
পুষ্টিবিদদের মতে, তেল ছাড়াও শরীরকে ফ্যাটি অ্যাসিডের জোগান দেওয়া সম্ভব। কেউ যদি কাঠবাদাম, আখরোট, মুরগির মাংস বা ডিম খাবারে রাখেন, তবে শরীর প্রয়োজনীয় ফ্যাট পেয়ে যাবে। বাদাম, বিভিন্ন ধরনের বীজ ও সামুদ্রিক মাছে ওমেগা-৩ ফ্যাটি অ্যাসিড পাওয়া যায়। যা শরীরের জন্য উপকারী। তবে রান্নায় ভোজ্য তেল ব্যবহার করা সবচেয়ে ভালো। যেমন সরিষার তেল, সূর্যমুখী তেল, অলিভ অয়েল, সয়াবিন তেল, রাইসব্র্যান তেল এগুলো ব্যবহার করা যেতে পারে।
সূত্র : আনন্দবাজার পত্রিকা
ওজন কমাতে অনেকের পছন্দ গ্রিন টি। এর অ্যান্টিঅক্সিড্যান্ট গুণের কারণে এটি ওজন কমাতে সাহায্য করে। তবে শুধুমাত্র গ্রিন টি নয়, আরো কয়েকটি ভেষজ চা রয়েছে যা শরীরে বাড়তি মেদ ঝরাতে সাহায্য করে। চলুন, জেনে নিই তেমনই কয়েকটি ‘ম্যাজিক’ চায়ের কথা।
পেপারমিন্ট টি
ঘন ঘন ক্ষুধা পাওয়ার প্রবণতা কমাতে পেপারমিন্ট টি দারুণ কার্যকরী। এটি ক্যালোরি ঝরাতেও সাহায্য করে। এক মুঠো পুদিনা পাতা গরম পানিতে ৫ মিনিট ফুটিয়ে নিলেই তৈরি হয়ে যাবে এই চা। নিয়মিত খেলে ওজন দ্রুত কমাতে সাহায্য করবে।
অশ্বগন্ধা চা
এই চা মানসিক চাপ কমাতে সাহায্য করে। মানসিক চাপ বাড়লে শরীরে কর্টিসল হরমোনের ক্ষরণ বাড়ে। যার ফলে মেদ জমতে পারে না।অশ্বগন্ধা চা মানসিক চাপ কমিয়ে শরীরে মেদ কমাতে সাহায্য করে।
হোয়াইট টি
হোয়াইট টি হলো সবচেয়ে কম প্রসেসড চা। যার ফলে গ্রিন টি-র চেয়ে বেশি অ্যান্টিঅক্সিড্যান্ট থাকে। এটি হজমে সাহায্য করার পাশাপাশি শরীরে ফ্যাট কোষ জমতে বাধা দেয়।
সূত্র : এই সময়