হাঁটার সময় যেসব ভুলে শরীরের ক্ষতি

জীবনযাপন ডেস্ক
জীবনযাপন ডেস্ক
শেয়ার
হাঁটার সময় যেসব ভুলে শরীরের ক্ষতি
সংগৃহীত ছবি

শরীরকে সক্রিয় রাখার সহজ ও সুবিধাজনক পদ্ধতি হল হাঁটা। তাই অনেকেই এটিকে সুস্বাস্থ্যের চাবিকাঠি হিসেবে বেছে নেন। তবে হাঁটার সময় কিছু ভুল অভ্যাস শরীরের জন্য ক্ষতিকর হতে পারে। এই ভুলগুলো শরীরের উপর নেতিবাচক প্রভাব ফেলতে পারে।

চলুন, জেনে নিই।

ভুল পেশির ব্যবহার
দীর্ঘ সময় হাঁটার পর কোমরের নিচের অংশে ব্যথা অনুভব করলে, এটি ভুল পেশির ব্যবহারের কারণে হতে পারে। অনেকেই নিতম্বের ফ্লেক্সর পেশি অতিরিক্ত ব্যবহার করেন। যা পেশিতে টান ধরিয়ে দেয়।

এর পরিবর্তে, পিঠ ও পায়ের কাফ পেশি ব্যবহার করলে হাঁটা আরও সহজ হবে।

পায়ের পাতার সমতল অংশ ফেলে হাঁটা
হাঁটার সময় যদি পায়ের সমতল অংশ মাটিতে পড়ে তা হলে আপনি ভুল করছেন। এই অভ্যাসকে প্যাসিভ ফুট স্ট্রাইক বলা হয়। যা হাঁটুতে ঝাঁকুনির সৃষ্টি করে ক্ষতির সম্ভাবনা বাড়ায়।

তাই আগে গোড়ালি ও পরে পায়ের গোড়া মাটিতে দিয়ে হাঁটুন।

হাঁটার সময় মাথার অবস্থান
ফোনে বা রাস্তার দিকে তাকিয়ে হাঁটলে শরীরের ভঙ্গি খারাপ হয়। এর ফলে কাঁধ, পিঠ ও মেরুদণ্ডে চাপ পড়ে। খারাপ ভঙ্গির কারণে শরীরের অক্সিজেন সরবরাহে সমস্যা হতে পারে। সঠিক ভঙ্গিতে হাঁটার জন্য মাথা ও মেরুদণ্ড সমান্তরাল রেখে হাঁটুন।

হাঁটার সময় হাতের অবস্থান
হাত স্থির রেখে হাঁটার পরিবর্তে, হাত দুলিয়ে হাঁটুন। এতে আপনার শরীরের ভারসাম্য বজায় থাকবে এবং পেশিগুলি সচল থাকবে। 

ভুল জুতার ব্যবহার
হাঁটার জন্য উপযুক্ত জুতা পরা জরুরি। ভুল জুতা ব্যবহার করলে গাঁটে ব্যথা হতে পারে এবং পায়ের পাতায় দীর্ঘমেয়াদী সমস্যা সৃষ্টি হতে পারে।

বড় বড় পা ফেলে হাঁটা
অনেকে মনে করেন, বড় পা ফেললে হাঁটা আরো কার্যকর হবে। কিন্তু আসলে এটি ভুল। বড় পা ফেলা আপনার গাঁটে চাপ সৃষ্টি করে। স্বাভাবিকভাবে হাঁটাই সবচেয়ে ভালো।

সূত্র : আনন্দবাজার পত্রিকা

মন্তব্য

সম্পর্কিত খবর

যেভাবে অ্যালোভেরা ব্যবহার করলে বেশি কার্যকর

জীবনযাপন ডেস্ক
জীবনযাপন ডেস্ক
শেয়ার
যেভাবে অ্যালোভেরা ব্যবহার করলে বেশি কার্যকর
সংগৃহীত ছবি

ত্বকের জন্য উপকারী অ্যালোভেরা এমনই একটি উপাদান, যা বাজারে সাশ্রয়ী মূল্যে পাওয়া যায়। আবার বাড়িতেও অল্প যত্ন করলেই ভালো ডিভিডেন্ড দেয় এই গাছ। স্বাস্থ্যের জন্যও খুবই উপকারী এই ভেষজ। অ্যালোভেরার রস খাওয়া থেকে শুরু করে আঘাত লাগলে এবং ক্ষতস্থানে লাগানো পর্যন্ত, এটি স্বাস্থ্যকর ত্বক ও চুলের জন্যও ব্যবহার করা যেতে পারে।

অ্যালোভেরা অনেক শক্তিশালী অ্যান্টি-অক্সিডেন্টে সমৃদ্ধ। আয়ুর্বেদে অ্যালোভেরা অনেক ওষুধ তৈরিতে ব্যবহৃত হয়। নানা ভাবে ব্যবহার করতে পারেন এই গাছ। অ্যালোভেরা কোন কোন কাজে লাগে? দেখে নিন এই প্রতিবেদনে।

প্রাকৃতিক জিনিসের ব্যবহার আপনার স্বাস্থ্য, ত্বক ও চুলের জন্য বেশি উপকারী বলে মনে করা হয়। এতে ক্ষতির সম্ভাবনাও খুব কম। সে কারণেই চিরকাল এসব উপাদান অনেক বেশি ব্যবহার করতে বলা হয়।

আরো পড়ুন
সকালে ঘুম থেকে ওঠার পর মুখ ফোলা থাকে কেন

সকালে ঘুম থেকে ওঠার পর মুখ ফোলা থাকে কেন

 

কী উপকার

যাদের ত্বক বেশি শুষ্ক, অ্যালোভেরা তাদের জন্যও একটি চমৎকার উপাদান।

এর জন্য অ্যালোভেরা জেলের সঙ্গে মধু, গোলাপ জল ও দুই থেকে তিন ফোঁটা নারকেল তেল মিশিয়ে লাগান। এতে ত্বক নরম হয় এবং শুষ্ক ভাব কমে।

খুশকি চুল পড়ার একটি বড় কারণ। এ থেকে মুক্তি পেতে, দই ও লেবুর সঙ্গে অ্যালোভেরা মিশিয়ে লাগাতে পারেন। এ ছাড়া যেকোনো মৃদু স্ক্রাবের সঙ্গে কিছু অ্যালোভেরা জেল মিশিয়ে মাথার ত্বকে ম্যাসাজ করুন, তারপর চুল ধুয়ে ফেলুন।

এটি খুশকিও কমায়। সপ্তাহে একবার এটি করলে আপনি দ্রুত খুশকি থেকে মুক্তি পেতে পারেন।

অ্যালোভেরার হাইড্রেটিং বৈশিষ্ট্য রয়েছে, যা ত্বকের পাশাপাশি চুলকেও আর্দ্রতা প্রদান করে। উপকারিতা বাড়ানোর জন্য, দই ও ডিমের সঙ্গে অ্যালোভেরা মিশিয়ে চুলে লাগান। এই হেয়ার প্যাকটি লাগানোর পর প্রথমবারেই দারুণ ফলাফল পাবেন।

আরো পড়ুন
সাপ্লিমেন্টের বিকল্প হতে পারে যেসব খাবার

সাপ্লিমেন্টের বিকল্প হতে পারে যেসব খাবার

 

কিভাবে ব্যবহার করলে ভালো ফল পাবেন

ত্বকে প্রাকৃতিক উজ্জ্বলতা সকলের পছন্দ। ভিটামিন-ই ক্যাপসুলের সঙ্গে অ্যালোভেরা মিশিয়ে মুখ থেকে ঘাড়ে লাগান। ২০ থেকে ২৫ মিনিট পর মুখ পরিষ্কার করুন। সপ্তাহে দুই থেকে তিনবার এই প্যাকটি ব্যবহার করলে কয়েক দিনের মধ্যেই মুখের দাগ ও ব্রণ কমতে শুরু করে এবং ত্বক পরিষ্কার হয়ে যায়। এটি ত্বককেও টানটান করে।

আরো পড়ুন
চুলের হারানো উজ্জ্বলতা ফেরাবে যেসব খাবার

চুলের হারানো উজ্জ্বলতা ফেরাবে যেসব খাবার

 

সূত্র : টিভি ৯ বাংলা

মন্তব্য

রক্তে শর্করার মাত্রা নিয়ন্ত্রণে রাখবে যেসব ফল

জীবনযাপন ডেস্ক
জীবনযাপন ডেস্ক
শেয়ার
রক্তে শর্করার মাত্রা নিয়ন্ত্রণে রাখবে যেসব ফল
সংগৃহীত ছবি

ডায়াবেটিক রোগ বিশেষজ্ঞদের মতে, সঠিক পুষ্টিগুণসমৃদ্ধ খাবার গ্রহণের মাধ্যমে রক্তে শর্করার মাত্রা নিয়ন্ত্রণে রাখা সম্ভব। কিছু নির্দিষ্ট ফল রয়েছে, যেগুলো ইনসুলিনের সংবেদনশীলতা বাড়াতে এবং রক্তে শর্করার ওঠানামা রোধ করতে সহায়তা করে। শর্করার মাত্রা নিয়ন্ত্রণে কোন কোন ফল খাবেন, চলুন জেনে নেওয়া যাক।

বেরি

বেরিজাতীয় ফলের মধ্যে উচ্চ পরিমাণে আঁশ, অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট ও ভিটামিন রয়েছে, যা রক্তে শর্করার মাত্রা ধীরে বাড়াতে সাহায্য করে এবং ইনসুলিন সংবেদনশীলতা উন্নত করে।

তাই শর্করার মাত্রা কমাতে ব্লুবেরি, স্ট্রবেরি, রাস্পবেরি ও ব্ল্যাকবেরি খান।

আপেল

এটি ডায়াবেটিক রোগীদের জন্য ভালো একটি ফল। বিশেষ করে এর খোসাসহ খাওয়া হলে তা উচ্চ পরিমাণে আঁশ সরবরাহ করে। যে কারণে শর্করার শোষণ ধীর হয় এবং অন্ত্রের স্বাস্থ্যও ভালো থাকে।

এতে থাকা পলিফেনল উপাদান রক্তে শর্করার মাত্রা নিয়ন্ত্রণে রাখতে বেশ সাহায্য করে।

আরো পড়ুন
সকালে ঘুম থেকে ওঠার পর মুখ ফোলা থাকে কেন

সকালে ঘুম থেকে ওঠার পর মুখ ফোলা থাকে কেন

 

সিট্রাস বা টক ফল

কমলা ও অন্যান্য সিট্রাস ফল ভিটামিন সি ও অ্যান্টি-অক্সিডেন্ট সমৃদ্ধ। ইনসুলিন সংবেদনশীলতা বাড়ায় এবং রক্তে শর্করার স্থিতিশীলতা বজায় রাখতে এ ধরনের ফল খাওয়ার পরামর্শ দিয়েছেন বিশেষজ্ঞরা। তবে ফলের রসের পরিবর্তে সম্পূর্ণ ফল খাওয়াই ভালো, কারণ এতে আঁশ বেশি থাকে।

অ্যাভোকাডো

এটি কম শর্করাযুক্ত ফল, যাতে থাকে স্বাস্থ্যকর চর্বি ও আঁশ। এই দুই উপাদানে পরিপূর্ণ ফলটি রক্তে শর্করার ওঠানামা রোধ করে এবং ইনসুলিন প্রতিরোধ ক্ষমতা কমাতে সাহায্য করে।

নাশপাতি

নাশপাতি আঁশ ও অ্যান্টি-অক্সিডেন্ট সমৃদ্ধ, যা রক্তে শর্করার মাত্রা নিয়ন্ত্রণে সাহায্য করে এবং হজম প্রক্রিয়াকে উন্নত করে। এটি নিয়মিত খেলে ডায়াবেটিক রোগীদের জন্য বেশ উপকারী হতে পারে।

আরো পড়ুন
সাপ্লিমেন্টের বিকল্প হতে পারে যেসব খাবার

সাপ্লিমেন্টের বিকল্প হতে পারে যেসব খাবার

 

চেরি

চেরিতে থাকা অ্যান্থোসায়ানিন নামক উপাদান রক্তে শর্করার মাত্রা কমাতে কার্যকর ভূমিকা রাখে।

এটি প্রদাহ কমায় এবং ইনসুলিন কার্যকারিতা বৃদ্ধি করে। তবে অতিরিক্ত চিনি যোগ করা চেরিজাতীয় খাবার কোনোভাবেই খাওয়া যাবে না। এতে উপকারের পরিবর্তে হবে অপকার।

কিউই

কিউই ফল কম গ্লাইসেমিক ইনডেক্সযুক্ত। আর এতে প্রচুর পরিমাণে আঁশ ও ভিটামিন সি থাকে। এটি শর্করার শোষণ ধীর করে এবং হজম সহায়ক এনজাইম সরবরাহ করে। এটিও ডায়াবেটিক রোগীদের জন্য উপকারী।

পেয়ারা

পেয়ারা উচ্চ আঁশ ও ভিটামিন সি সমৃদ্ধ, যা রক্তে শর্করার মাত্রা নিয়ন্ত্রণে রাখতে সহায়ক। এ ছাড়া পেয়ারা পাতার রসও শর্করা নিয়ন্ত্রণে ভালো ভূমিকা রাখে।

আরো পড়ুন
চুলের হারানো উজ্জ্বলতা ফেরাবে যেসব খাবার

চুলের হারানো উজ্জ্বলতা ফেরাবে যেসব খাবার

 

পিচ ও পাম

এই দুই ফল আঁশ ও অ্যান্টি-অক্সিডেন্ট সমৃদ্ধ। এটি বিপাকক্রিয়া নিয়ন্ত্রণ করে এবং রক্তে শর্করার মাত্রা স্থিতিশীল রাখতে সাহায্য করে।

তরমুজ

তরমুজ উচ্চ জলীয় উপাদানসমৃদ্ধ ও কম ক্যালরিযুক্ত ফল। তবে এতে প্রাকৃতিক শর্করা থাকায় পরিমিত পরিমাণে খাওয়া উচিত। তরমুজ খাওয়ার সময় সঙ্গে প্রোটিনযুক্ত খাবার যেমন- বাদাম খেলে এটি শর্করার শোষণ ধীর করতে সাহায্য করবে।

সঠিক পরিমাণে ফল খাওয়া এবং ব্যালান্সড ডায়েট সুষম খাদ্যাভ্যাস অনুসরণ করা ডায়াবেটিস নিয়ন্ত্রণের অন্যতম প্রধান কৌশল বলে মনে করেন বিশেষজ্ঞরা। তাই ডায়াবেটিক রোগীদের খাদ্য তালিকায় এসব ফল থাকলে অবশ্যই খাওয়ার সময় পরিমাণ ও সময়ের দিকে নজর দেওয়া জরুরি।

আরো পড়ুন
পুরনো বন্ধুত্ব ভাঙা কখন ইতিবাচক? কখন আবার বন্ধুত্বে ফিরবেন

পুরনো বন্ধুত্ব ভাঙা কখন ইতিবাচক? কখন আবার বন্ধুত্বে ফিরবেন

 
মন্তব্য

সহজে তৈরি করুন মালাই কুলফি

জীবনযাপন ডেস্ক
জীবনযাপন ডেস্ক
শেয়ার
সহজে তৈরি করুন মালাই কুলফি
সংগৃহীত ছবি

গ্রীষ্ম শুরু না হতেই গরমে একেবারে নাজেহাল অবস্থা। শুধু ঠাণ্ডা পানিতে যেন আর মন ভরছে না। মন চায় আরো নতুন কিছু। যেটা শরীরের সঙ্গে মনও ঠাণ্ডা করে দেবে।

আপনার এই সাধের স্বাদ পূরণ করতে পারে একমাত্র কুলফিই।

তাই খুব সহজেই বাড়িতে তৈরি করে নিন মালাই কুলফি। লাগবে শুধু লিচু। চলুন, জেনে নিই কিভাবে বানাবেন মালাই কুলফি।

যা যা লাগবে

  • দুধ ৩ কাপ
  • কনডেন্সড মিল্ক ১ টিন
  • অ্যারারুট ২ টেবিল চামচ
  • লিচুর টুকরো থেকে বের করে নেওয়া রস ১ কাপ
  • ২টি মারি বা থিন অ্যারারুট বিস্কুটের গুঁড়া
  • খোয়াক্ষীর ১০০ গ্রাম।
আরো পড়ুন
গরমে হিটস্ট্রোক থেকে বাঁচতে কী খাবেন

গরমে হিটস্ট্রোক থেকে বাঁচতে কী খাবেন

 

প্রণালী

দুধ ও কনডেন্সড মিল্ক একসঙ্গে মিশিয়ে আঁচে বসান এবং ক্রমাগত নাড়তে থাকুন। অল্প পানিতে অ্যারারুট গুলে রাখুন। দুধ ফুটে উঠলে অ্যারারুট মেশান ও নেড়েচেড়ে দুধটা আরো একটু ফুটিয়ে নিন।

এবারে আঁচ থেকে নামিয়ে ঠাণ্ডা করে খোয়াক্ষীর মেশান। 
একেবারে ঠাণ্ডা হলে লিচুর রস ও বিস্কুটের গুঁড়া মিশিয়ে একবার তারের ফেটানি দিয়ে ফেটিয়ে নিন।

এর আগে কুলফির ছাঁচগুলো ডিপ ফ্রিজে রেখে ১ ঘণ্টা ধরে ঠাণ্ডা করে রাখবেন। ফ্রিজের রেগুলেটরও সবচেয়ে ঠাণ্ডা পয়েন্টে ঘুরিয়ে রাখুন। এইবার ছাঁচের ইঞ্চি খালি রেখে কুলফির মিশ্রণ পুরিয়ে নিন ও ডিপ ফ্রিজে ৪-৫ ঘণ্টা ধরে জমতে দিন।

আরো পড়ুন
গরমে বাইরে থেকে এসেই ঠাণ্ডা পানি দিয়ে গোসল, ভালো নাকি খারাপ

গরমে বাইরে থেকে এসেই ঠাণ্ডা পানি দিয়ে গোসল, ভালো নাকি খারাপ

 

সূত্র : টিভি ৯ বাংলা

মন্তব্য

হজমশক্তি বৃদ্ধির সঙ্গে ওজনও কমাবে পুদিনা পাতা

জীবনযাপন ডেস্ক
জীবনযাপন ডেস্ক
শেয়ার
হজমশক্তি বৃদ্ধির সঙ্গে ওজনও কমাবে পুদিনা পাতা
সংগৃহীত ছবি

গ্রীষ্মে প্রায় প্রতিটি খাবারের স্বাদ বাড়াতে পুদিনা পাতার ব্যবহার করেন গৃহিণীরা। এই ঋতুতে এই পাতা শরীরে শীতলতা প্রদান করে এবং অনেক রোগ থেকে রক্ষা করে। ভিটামিন-সি, প্রোটিন, মেনথল, ভিটামিন-এ, কপার, কার্বোহাইড্রেটের মতো পুষ্টি উপাদান পাওয়া যায় এই পাতায়।

গ্রীষ্মে মানুষ প্রায়শই বমি বমি ভাব, জ্বালাপোড়া, গ্যাস ইত্যাদির সমস্যায় পড়েন।

এই পাতা ব্যবহার করে আরাম পেতে পারেন। জেনে নেওয়া যাক পুদিনা পাতার অন্যান্য উপকারিতা।

পাচনতন্ত্রের জন্য উপকারী : পুদিনা হজমের সমস্যার প্রাকৃতিক প্রতিকার হতে পারে। এটিতে অ্যান্টিসেপটিক বৈশিষ্ট্য রয়েছে।

যা বদহজম দূর করতে সাহায্য করে। পুদিনার পানিও পেটের পীড়া নিরাময় করে। তাই গরমে পেটের সমস্যা থেকে মুক্তি পেতে পুদিনার পানি পান করুন।

আরো পড়ুন
সকালে ঘুম থেকে ওঠার পর মুখ ফোলা থাকে কেন

সকালে ঘুম থেকে ওঠার পর মুখ ফোলা থাকে কেন

 

হাঁপানিতে কার্যকর : হাঁপানি রোগীদের জন্য পুদিনা খুবই উপকারী।

এতে উপস্থিত অ্যান্টি-ইনফ্লেমেটরি বৈশিষ্ট্য নাকের অস্বস্তি থেকে মুক্তি দেয়। হাঁপানির সমস্যা থাকলে পুদিনার পানি দিয়ে ভাপ খেতে পারেন।

ঠাণ্ডা দূর করে : পুদিনা পাতা সর্দি-কাশি থেকে মুক্তি দিতেও সাহায্য করে। ভিটামিন-সি, ভিটামিন-এ, অ্যান্টি-ব্যাকটেরিয়াল গুণাবলি পাওয়া যায় এগুলোর মধ্যে। এর জন্য পুদিনা দিয়ে তৈরি চা পান করতে পারেন।

যা আপনাকে ঠাণ্ডা থেকে মুক্তি দিতে পারে।

মাথা ব্যথা উপশম : পুদিনা পাতার শক্তিশালী ও সতেজ সুগন্ধ মাথা ব্যথা কমাতে সাহায্য করতে পারে। এর জন্য পুদিনা তেল বা মিন্ট বাম দিয়ে ম্যাসাজ করতে পারেন। যার কারণে মাথা ব্যথা উপশম করা যায়।

আরো পড়ুন
শিশুদের মুখ থেকে লালা পড়ে কেন

শিশুদের মুখ থেকে লালা পড়ে কেন

 

ওজন কমাতে সাহায্য করে : পুদিনা পাতা ওজন কমাতেও সহায়ক। এর জন্য পুদিনা পাতার একটি পানীয় তৈরি করুন, তারপর এতে লেবুর রস ও কালো গোল মরিচের গুঁড়া যোগ করুন। প্রতিদিন খালি পেটে এই পানীয়টি পান করতে পারেন। এটি আপনার ওজন কমাতে সাহায্য করবে।

সূত্র : ইটিভি

মন্তব্য

সর্বশেষ সংবাদ