ঢাকা-১৮ আসনে গণসংযোগে বিএনপির কফিলউদ্দিন

সুষ্ঠু ভোট হলে ধানের শীষের বিজয় অনিবার্য

নিজস্ব প্রতিবেদক
নিজস্ব প্রতিবেদক
শেয়ার
সুষ্ঠু ভোট হলে ধানের শীষের বিজয় অনিবার্য

ঢাকা-১৮ আসনে বিভিন্ন শ্রেণি-পেশার মানুষের সঙ্গে মতবিনিময় শুরু করেছেন উত্তর বিএনপির যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ও শিল্পপতি এম কফিল উদ্দিন আহম্মেদ। বিভিন্ন ওয়ার্ডে নিয়মিত উঠান বৈঠক, গণসংযোগ ও মতবিনিময় সভা করছেন। ধানের শীষের প্রার্থী হিসেবে সবুজ সংকেতের অপেক্ষায় তিনি।

আজ মঙ্গলবার রাজধানীর ৬ নম্বর সেক্টর সংলগ্ন ফায়েদাবাদ চৌরাস্তা ও টিআইসি কলোনীতে পথসভা করা হয়।

পরে ফায়েদাবাদ চৌরাস্তায় নেতা-কর্মীদের নিয়ে গণসংযোগ করেন কফিল উদ্দিন আহম্মেদ। টিআইসি কলোনী হয়ে রশীদ সুপার মার্কেটে গিয়ে গণসংযোগ শেষ হয়।

সোমবার ৫০ নম্বর ওয়ার্ড বিএনপি ও অঙ্গ সংগঠন আয়োজিত দলের প্রধান বেগম খালেদা জিয়া ও ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের রোগমুক্তি কামনায় আলোচনা সভা ও দোয়া মাহফিলে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন কফিল উদ্দিন আহম্মেদ। এরপর নিখোঁজ বিমানবন্দর ছাত্রদলের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক নিজাম উদ্দিন মুন্নার বাসায় গিয়ে তার মাকে সান্ত্বনা প্রদান করেন তিনি।

একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে ঢাকা-১৮ আসনে ধানের শীষ প্রতীক নিয়ে নির্বাচন করেন জাতীয় ঐক্যফ্রন্টের প্রার্থী শহীদ উদ্দিন মাহমুদ স্বপন। এবার সেখানে কফিল উদ্দিন আহম্মেদ ছাড়াও বিএনপির আরো তিনজন প্রার্থী ভোট করতে আগ্রহ প্রকাশ করেছেন। তারা হলেন, ঢাকা মহানগর উত্তর বিএনপির সহসভাপতি মোস্তাফিজুর রজমান সেগুন, বিএনপিপন্থী ব্যবসায়ী নেতা বাহাউদ্দীন সাদী ও ঢাকা মহানগর উত্তর যুবদলের সভাপতি এস এম জাহাঙ্গীর হোসেন। অন্য প্রার্থীরা এখনো আনুষ্ঠানিকভাবে মাঠে নামেননি।

মঙ্গলবার গণসংযোগে কফিল উদ্দিন আহম্মেদ বলেন, ঢাকা-১৮ আসনের উপ নির্বাচনে ভোটের দিনক্ষণ পেছানোয় কোনো ক্ষতি হয়নি। এই সময়ে আমরা আরো প্রস্তুতি নিতে পারব। আমাদের যেখানে সাংগঠনিক দুর্বলতা আছে, কোথাও বিভেদ থাকলে সেটাও মিটিয়ে ফেলা সম্ভব। দলকে আরো বেশি গুছিয়ে সবাইকে নিয়ে মাঠে নামারও সুযোগও হয়েছে। তবে দীর্ঘদিন ধরে আমাদের নেতা-কর্মীরা মামলা-হামলার কারণে এলাকায় আসতে পারেনি।

তারা এলাকা থেকে বিচ্ছিন্ন ছিল। সামনে উপ নির্বাচনকে কেন্দ্র করে নেতা-কর্মীরা করোনা ভাইরাসের ভেতরেও সামাজিক দূরত্ব বজায় রেখে স্বাস্থ্যবিধি মেনে আমার পক্ষে মাঠে সক্রিয় রয়েছেন। আমরা এই সংসদীয় আসনের বিভিন্ন স্থানে গণসংযোগ করছি। নেতা-কর্মীদের মধ্যে যারা এলাকাছাড়া তারাও এলাকায় আসছেন। এতে এলাকায় একটি ভোট উৎসব বিরাজ করছে। আমরা আশাবাদী দিন যত যাবে আমাদের নেতা-কর্মীরা তত সুসংগঠিত হবে।

তিনি আরো বলেন, নিকট অতীতে নির্বাচন কমিশনের প্রশ্নবিদ্ধ ভূমিকায় তারা সারা জাতির আস্থা হারিয়েছে। দিনের ভোট আগের দিন রাতে করে সারাবিশ্বেই তারা কালিমা লেপন করেছে। আশা করি, আসন্ন নির্বাচনে তারা নিরপেক্ষ ভূমিকা পালন করবেন। জনগণকে তাদের সাংবিধানিক ভোটাধিকার প্রয়োগের পরিবেশ সৃষ্টি করবেন। সুষ্ঠু ভোট হলে আমি ধানের শীষের প্রার্থী হিসেবে এই আসনটি বিএনপিকে উপহার দিতে চাই। এই আসনে ধানের শীষের বিজয় অনিবার্য। আশা করি, দল আমাকে সেই সুযোগ প্রদান করবে।

এ সময় দক্ষিণ খান বিএনপির সাংগঠনিক সম্পাদক গিয়াসউদ্দিন, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক জাহাঙ্গীর আলম ভূইয়া, উত্তরা পূর্ব থানার সিনিয়র সহসভাপতি শাহীন চৌধুরী, ৫০নং ওয়ার্ড সাধারণ সম্পাদক আমান উল্লাহ আমান, জাহিদ মাস্টার, এসএম হান্নান, সালাউদ্দিন আহমেদ, ছাত্রদল নেতা আবদুল আজিজ, আনিসুর রহমানসহ শতাধিক নেতা-কর্মী উপস্থিত ছিলেন।

মন্তব্য

‘ধর্ষণ’ শব্দের ব্যবহার নিয়ে ডিএমপি কমিশনারের বক্তব্যের সমালোচনা টিআইবির

নিজস্ব প্রতিবেদক
নিজস্ব প্রতিবেদক
শেয়ার
‘ধর্ষণ’ শব্দের ব্যবহার নিয়ে ডিএমপি কমিশনারের বক্তব্যের সমালোচনা টিআইবির
সংগৃহীত ছবি

ধর্মান্ধতা ও ধর্মীয় অপব্যাখ্যাকে পুঁজি করে নারী ও কন্যাশিশুর বহুমাত্রিক অধিকার হরণ করা হচ্ছে বলে জানিয়েছেন ট্রান্সপারেন্সি ইন্টারন্যাশনাল বাংলাদেশ (টিআইবি)’র নির্বাহী পরিচালক ড. ইফতেখারুজ্জামান।

তিনি বলেন, আমাদের রাষ্ট্র পরিচালনার দায়িত্বে যারা থাকে, তাদের আচরণে, কথায়-বার্তায়, চর্চায় কিন্তু আমরা নারীবান্ধব অবস্থা দেখতে পাই না। খুবই দুঃখজনক বিষয়।

রবিবার (১৬ মার্চ) জাতীয় সংসদ ভবনের সামনে ‘নারী ও শিশুর প্রতি সহিংসতা বন্ধ করুন, এখনই!’ শীর্ষক মানববন্ধনে এসব কথা বলেন ড. ইফতেখারুজ্জামান।

 

তিনি অভিযোগ করেন, ঢাকা মহানগর পুলিশের (ডিএমপি) কমিশনার শেখ মো. সাজ্জাত আলী ‘ধর্ষণ’ শব্দটি ব্যবহার না করার অনুরোধের মাধ্যমে বাস্তবে ধর্ষকের পক্ষ নিচ্ছেন। যে প্রতিষ্ঠানের ওপর সবচেয়ে বেশি নারীর অধিকার হরণের প্রতিরোধ করার দায়িত্ব, সেই আইনপ্রয়োগকারী সংস্থা তথা পুলিশ; পুলিশের একজন ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা ‘ধর্ষণ’ শব্দটা ব্যবহার না করতে গণমাধ্যমকে যখন অনুরোধ করেন, তখন আমাদের অবাক হতে হয়। তাদের এই অবস্থানের প্রতি ঘৃণা প্রকাশ করতে হয়। কারণ এর মাধ্যমে ধর্ষকের সুরক্ষা দেওয়ার উপায় সৃষ্টি করে দেওয়া হচ্ছে।

কোনো অবস্থায় এটা গ্রহণযোগ্য হতে পারে না। এ বক্তব্য প্রত্যাখ্যান করা উচিত।

প্রসঙ্গত, গত শনিবার রাজধানীর তেজগাঁওয়ে একটি সংবাদপত্রের ভবনে আয়োজিত অনুষ্ঠানে ডিএমপি কমিশনার শেখ মো. সাজ্জাত আলী গণমাধ্যমে ‘ধর্ষণ’ শব্দটি ব্যবহার না করার অনুরোধ জানান। তিনি বলেন, ‘আমি দুটি শব্দ খুব অপছন্দ করি, এর মধ্যে একটি হলো ‘ধর্ষণ’।

আপনাদের কাছে অনুরোধ, এটা ব্যবহার করবেন না। আপনারা ‘নারী নির্যাতন’ বা ‘নিপীড়ন’ বলবেন। আমাদের আইনেও নারী ও শিশু নির্যাতন বলা হয়েছে। যে শব্দগুলো শুনতে খারাপ লাগে, সেগুলো আমরা না বলি।

খুনিকে চোর বলতে পারবেন না উল্লেখ করে ইফতেখারুজ্জামান বলেন, পুলিশকে তো আমি আনসার বলতে পারব না।

পুলিশ পুলিশই। পুলিশ যেভাবে কলঙ্কিত করেছে নিজেদের, সে কারণে কী মানুষ বলেছে ‘পুলিশ’ শব্দটা ব্যবহার করা যাবে না? সেই পুলিশ কীভাবে ধর্ষণ শব্দটা ব্যবহার করা যাবে না, এ ধরনের মন্তব্য রাখতে পারে। সেটি আমাদের কাছে বোধগম্য নয়। ধর্ষণ ঘটনা আরো জোরালোভাবে প্রচারের জন্য গণমাধ্যমকর্মীদের প্রতি আহ্বান জানান তিনি।

বৈষম্যবিরোধী আন্দোলনের পর নতুন বাংলাদেশে অতীতের চর্চার কোনো পরিবর্তন হয়নি বলে মন্তব্য করেন ইফতেখারুজ্জামান। তিনি বলেন, দেশে নারী ও কন্যাশিশুর নির্যাতন ও ধর্ষণ নিত্যনৈমিত্তিক ঘটনা হয়ে দাঁড়িয়েছে। সম্প্রতি এর মাত্রা উদ্বেগজনক হারে বেড়েছে। ঘরে-বাইরে, কর্মক্ষেত্র, শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানসহ সর্বত্রই কন্যাশিশুসহ সব বয়সী নারী ভয়াবহ সহিংসতার শিকার হচ্ছেন। নৃশংসতার মাত্রা ও সংখ্যা বিবেচনায় নারীর প্রতি সহিংসতায় দেশবাসী আতঙ্কে আছে। এই পরিস্থিতি কোনোভাবেই গ্রহণযোগ্য নয়।

টিআইবির আউটরিচ অ্যান্ড কমিউনিকেশনের সহকারী সমন্বয়ক সাইমুম মৌসুমীর সঞ্চালনায় মানববন্ধনে আরো বক্তৃতা করেন অ্যাসোসিয়েশন ফর ল্যান্ড রিফর্ম ইন বাংলাদেশের (এএলআরডি) নির্বাহী পরিচালক শামসুল হুদা, মানবাধিকারকর্মী মহুয়া পাল, নাগরিক উদ্যোগের লাকী আক্তার প্রমুখ।

মন্তব্য

সাশ্রয়ী দামে আধুনিক ফার্নিচার সরবরাহ করবে সরকার : রিজওয়ানা

অনলাইন ডেস্ক
অনলাইন ডেস্ক
শেয়ার
সাশ্রয়ী দামে আধুনিক ফার্নিচার সরবরাহ করবে সরকার : রিজওয়ানা
সংগৃহীত ছবি

সরকার সাশ্রয়ী দামে টেকসই ও আধুনিক ডিজাইনের ফার্নিচার সরবরাহের উদ্যোগ নিয়েছে বলে জানিয়েছেন পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তন মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা সৈয়দা রিজওয়ানা হাসান। তিনি বলেছেন, ‘এজন্য বাংলাদেশ বনশিল্প উন্নয়ন করপোরেশনের (বিএফআইডিসি) আধুনিকায়ন করা হচ্ছে।’

রবিবার (১৬ মার্চ) সচিবালয়ে বিএফআইডিসির কর্মকর্তাদের সঙ্গে এক সভায় এসব কথা জানান তিনি।

উপদেষ্টা বলেন, ‘করপোরেশনের সব ফার্নিচারের ডিজাইন ও পরিকল্পনায় পরিবর্তন আনা হচ্ছে।

ফলে এখন থেকে ক্রেতাদের পছন্দ মতো যেকোনো ডিজাইনের আসবাবপত্র তৈরি করা সম্ভব হবে।’

তিনি বলেন, ‘বিএফআইডিসিকে আধুনিক করতে প্রথমে সীমাবদ্ধতা চিহ্নিত করতে হবে। রাবার গাছের উৎপাদন বাড়াতে উন্নতমানের ক্লোন আনতে হবে। এ ছাড়া সুপারি পাতা, বাঁশ ও বেত দিয়ে পরিবেশবান্ধব পণ্য তৈরি করে সিঙ্গেল-ইউজ প্লাস্টিকের বিকল্প আনতে হবে।

আরো পড়ুন
ধোঁয়াশায় ঢালিউড নায়কদের পারিশ্রমিক

ধোঁয়াশায় ঢালিউড নায়কদের পারিশ্রমিক

 

সভায় পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তন মন্ত্রণালয়ের সচিব ড. ফারহিনা আহমেদ, বিএফআইডিসির চেয়ারম্যান নাসির উদ্দীন, পরিচালক (পরিকল্পনা ও উন্নয়ন) মো. জহিরুল ইসলাম, পরিচালক (উৎপাদন ও বাণিজ্য) সাইফুল ইসলাম, পরিচালক (অর্থ) ড. মোহাম্মদ মাসুদুর রহমান ভূঁইয়া, এনডিসি ও বিএফআইডিসির সচিব জাহান আরা উপস্থিত ছিলেন।

মন্তব্য

বাণিজ্য উপদেষ্টার সঙ্গে ইরানের রাষ্ট্রদূতের সাক্ষাৎ

নিজস্ব প্রতিবেদক
নিজস্ব প্রতিবেদক
শেয়ার
বাণিজ্য উপদেষ্টার সঙ্গে ইরানের রাষ্ট্রদূতের সাক্ষাৎ
বাণিজ্য উপদেষ্টার সঙ্গে ইরানের রাষ্ট্রদূতের সাক্ষাৎ

বাণিজ্য উপদেষ্টা শেখ বশিরউদ্দীনের সঙ্গে বাংলাদেশে নিযুক্ত ইরানের রাষ্ট্রদূত মানসুর চাভোশি সৌজন্য সাক্ষাৎ করেছেন। রবিবার (১৬ মার্চ) সচিবালয়ে বাণিজ্য উপদেষ্টার অফিসকক্ষে এ সাক্ষাৎ অনুষ্ঠিত হয়। সাক্ষাৎকালে তারা দ্বিপক্ষীয় সম্পর্কোন্নয়ন ও বাণিজ্য-বিনিয়োগ বৃদ্ধি  নিয়ে বিস্তারিত আলোচনা করেন।

বাণিজ্য উপদেষ্টা বলেন, বাংলাদেশের সঙ্গে ইরানের ট্রেড ভলিউম সক্ষমতার চেয়ে ছোট।

উভয় দেশেরই প্রচুর রপ্তানি সম্ভাবনা রয়েছে। বাণিজ্যিক সম্পর্কোন্নয়ন দুই দেশেকেই লাভবান করবে উল্লেখ করে। এ সময় বাণিজ্য উপদেষ্টা বাংলাদেশে কৃষি ফার্মিং খাতে ইরানকে বিনিয়োগ বাড়ানোর আহ্বান জানান। 

আরো পড়ুন
নন-ক্যাডার শূন্য পদে নিয়োগের তথ্য চেয়ে জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ের চিঠি

নন-ক্যাডার শূন্য পদে নিয়োগের তথ্য চেয়ে জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ের চিঠি

 

ইরানের রাষ্ট্রদূত মানসুর চাভোশি বলেন, ইরান বাংলাদেশের ভালো বন্ধু রাষ্ট্র।

সংস্কৃতি, ধর্ম ও ভাষার মিল দুই দেশের মানুষকে শক্ত বন্ধনে আবদ্ধ করলেও বাণিজ্যিক সম্পর্ক দীর্ঘদিনেও শক্ত ভিত পায়নি। এখন বাংলাদেশের সঙ্গে বাণিজ্যিক সম্পর্ক আরো জোরদার করতে ইরান আগ্রহী।

বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের সচিব মাহবুবুর রহমান, রপ্তানি উন্নয়ন ব্যুরোর ভাইস চেয়ারম্যান মো. আনোয়ার হোসেন ও ইরান দূতাবাসের সেক্রেটারি ফর ইকনমিক অ্যাফেয়ার্স মাহমুদ খোশরাভি এ সময় উপস্থিত ছিলেন।

মন্তব্য

নন-ক্যাডার শূন্য পদে নিয়োগের তথ্য চেয়ে জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ের চিঠি

অনলাইন ডেস্ক
অনলাইন ডেস্ক
শেয়ার
নন-ক্যাডার শূন্য পদে নিয়োগের তথ্য চেয়ে জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ের চিঠি

সরকারি চাকরিতে বিপুলসংখ্যক পদ খালি থাকলেও সে সব শূন্য পদে নিয়োগে কার্যকর উদ্যোগ নেই। এ অবস্থায় মন্ত্রণালয়, বিভাগ এবং অধীন দপ্তর/সংস্থাগুলোতে ৯ম থেকে ১২তম গ্রেডের নন-ক্যাডার শূন্য পদে নিয়োগের তথ্য চেয়েছে জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়।

শনিবার (১৫ মার্চ) এ বিষয়ে বাংলাদেশ ব্যাংকের গভর্নর, মন্ত্রণালয় ও বিভাগের সিনিয়র সচিব/সচিব, বিভাগীয় কমিশনার ও জেলা প্রশাসকদের কাছে জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয় থেকে চিঠি পাঠানো হয়েছে।

চিঠিতে বলা হয়, ‘সরকারি কর্মচারীদের পরিসংখ্যান, ২০২৩ অনুযায়ী ৯ম থেকে ১২তম গ্রেড পর্যন্ত সরকারের অনুমোদিত নন-ক্যাডার শূন্য পদের সংখ্যা প্রায় এক লাখ ৭২ হাজারটি।

এর মধ্যে ৪৩তম থেকে ৪৭তম বিসিএস পর্যন্ত নন-ক্যাডার (৯ম-১২তম গ্রেড) ৬ হাজার ২৬৯টি পদে নিয়োগে ইতোমধ্যে বাংলাদেশ পাবলিক সার্ভিস কমিশনে অধিযাচন পাঠানো হয়েছে।

এতে বলা হয়, জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ের ২০২৪ সালের ২ ডিসেম্বরের একটি স্মারকে সব মন্ত্রণালয়/বিভাগ ও অধীন দপ্তর/সংস্থার শূন্যপদ পূরণে দ্রুত ব্যবস্থা গ্রহণ করে জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়কে অবহিত করার জন্য অনুরোধ জানানো হলেও গৃহীত পদক্ষেপ সন্তোষজনক মর্মে প্রতীয়মান হয় না।

‘ছাত্র-জনতার গণ-অভ্যুত্থানের মাধ্যমে বর্তমান অন্তর্বর্তীকালীন সরকার জনগণের প্রত্যাশা পূরণ এবং শিক্ষিত তরুণদের বেকারত্ব লাঘবে নিরলসভাবে কাজ করে যাচ্ছে। কিন্তু, বর্ণিত তথ্যমতে বিপুল সংখ্যক শূন্যপদ থাকা সত্ত্বেও তা পূরণে কার্যকর পদক্ষেপ পরিলক্ষিত হচ্ছে না’ বলে জানানো হয় চিঠিতে।

এ অবস্থায় ‘ছক’ মোতাবেক আগামী সাত কার্যদিবসের মধ্যে বাংলাদেশ ব্যাংক এবং সকল মন্ত্রণালয়/বিভাগ, অধীনস্থ দপ্তর/সংস্থার নন-ক্যাডার (৯ম-১২তম গ্রেড) শূন্য পদগুলোর তথ্য (ওয়ার্ড ফাইলসহ) পাঠানোর জন্য অনুরোধ জানায় জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়।

মন্তব্য

সর্বশেষ সংবাদ