ঢাকা, বুধবার ২৬ ফেব্রুয়ারি ২০২৫
১৩ ফাল্গুন ১৪৩১, ২৬ শাবান ১৪৪৬

ঢাকা, বুধবার ২৬ ফেব্রুয়ারি ২০২৫
১৩ ফাল্গুন ১৪৩১, ২৬ শাবান ১৪৪৬

আজ থেকে ফের পণ্য বিক্রি করছে টিসিবি

নিজস্ব প্রতিবেদক
নিজস্ব প্রতিবেদক
শেয়ার
আজ থেকে ফের পণ্য বিক্রি করছে টিসিবি
ফাইল ছবি

চলতি অর্থবছরের প্রথম কিস্তির পণ্য বিক্রি শুরু করছে ট্রেডিং করপোরেশন অব বাংলাদেশ। আজ সোমবার (৫ জুলাই) থেকে ঈদুল আজহা ও করোনা পরিস্থিতিতে বাজার স্থিতিশীল রাখতে পণ্য বিক্রি শুরু হচ্ছে।

আগের মতোই এবারও ভোজ্য তেল সয়াবিন, চিনি ও মসুর ডাল- এই তিন পণ্য ভ্রাম্যমাণ ট্রাকের মাধ্যমে বিতরণ করবে টিসিবি। রাজধানীসহ দেশব্যাপী আগের তুলনায় ৫০টি ট্রাক বাড়িয়ে ৪৫০ জন ডিলারের মাধ্যমে ট্রাকে করে পণ্য বিক্রি করা হবে বলে গতকাল এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে টিসিবি জানিয়েছে।

আগামী ২৯ জুলাই পর্যন্ত পণ্য বিক্রি চলবে।

এসব পণ্যের দাম আগের মতোই থাকবে। এ ক্ষেত্রে খোলাবাজারের তুলনায় প্রতি কেজি পণ্যে ৪৯ টাকা পর্যন্ত কমে পাবে সাধারণ মানুষ। সবচেয়ে চাহিদার পণ্য সয়াবিন তেলেই বেশি সাশ্রয় হবে ক্রেতাদের।

কারণ বাজারে বোতলজাত এক লিটার সয়াবিন তেল কিনতে ১৪৯ টাকা লাগে। টিসিবি বিক্রি করবে ১০০ টাকা লিটার। মসুর ডাল কিনতে লাগে ৯০ টাকা কেজি, টিসিবির দাম ৫৫ টাকা কেজি। পার্থক্য দাঁড়ায় ৩৫ টাকা।
বাজারে চিনি বিক্রি হয় ৭০ টাকা কেজি, টিসিবির দাম ৫৫ টাকা। অর্থাৎ কেজিপ্রতি ১৫ টাকা সাশ্রয়। এর আগে গত ৬ থেকে ১৭ জুন ১১ দিন পণ্য বিক্রি করে টিসিবি।

এ সময় উল্লিখিত তিন পণ্যই ঢাকাসহ দেশব্যাপী ৪০০ ভ্রাম্যমাণ ট্রাকের মাধ্যমে বিক্রি করা হয় । প্রতিটি ট্রাকে এক হাজার লিটার তেল, ৭০০ কেজি চিনি ও ৪০০ কেজি মসুর ডাল দেওয়া হয়।

এবারও একই পরিমাণ পণ্য দেওয়া হচ্ছে।

ক্রেতারা বলছে, নিত্যপণ্যের দাম ক্রমান্বয়ে বাড়তে থাকায় টিসিবির পণ্যে অনেকটাই সাশ্রয় হচ্ছে। তবে কম সময় পণ্য বিতরণ হয় বলে সবাই কেনার সুযোগ পায় না। এ ছাড়া ট্রাকেও পণ্য কম থাকে। এতে লাইনে দাঁড়ানো অনেককেই হতাশ হয়ে বাড়ি ফিরতে হয়।

গতকাল মুগদা বাজারে কথা হয় শেখ আবদুল্লাহ নামের একজনের সঙ্গে। তিনি বলেন, 'যখন বাজারের সঙ্গে টিসিবির পণ্যমূল্য পাঁচ কিংবা ১০ টাকার পার্থক্য ছিল তখনই ব্যাপক চাহিদা ছিল। এখন তো বাজারের সঙ্গে ৪০ থেকে ৫০ টাকা পার্থক্য। বাজার থেকে পণ্য কিনতে গেলে এখন মাসের খরচে কুলিয়ে উঠতে পারি না। তাই সরকারের উচিত এই সময়টাতে বেশি করে পণ্য বিতরণ করা।'

মন্তব্য

সম্পর্কিত খবর

শিল্পে গ্যাসের মূল্যবৃদ্ধির গণশুনানি চলছে

অনলাইন ডেস্ক
অনলাইন ডেস্ক
শেয়ার
শিল্পে গ্যাসের মূল্যবৃদ্ধির গণশুনানি চলছে
সংগৃহীত ছবি

শিল্পে গ্যাসের মূল্যবৃদ্ধি নিয়ে গণশুনানি করছে বাংলাদেশ এনার্জি রেগুলেটরি কমিশন (বিইআরসি)। রাজধানীর বাংলামোটরে বিয়াম অডিটোরিয়ামে বুধবার সকাল ১০টায় শুরু হয় এই শুনানি। 

চলতি বছরের শুরুতে পাইকারি গ্যাসের দাম বাড়াতে প্রস্তাব দেয় পেট্রোবাংলা। প্রতিষ্ঠানটির প্রস্তাবের পর গ্রাহক পর্যায়ে খুচরায় গ্যাসের দাম বাড়নোর আবেদন করে তিতাস গ্যাস কম্পানিসহ সরকারি ছয়টি বিতরণ কম্পানি।

আবেদনে শিল্প কারখানায় ব্যবহৃত গ্যাসের দাম ৩০ টাকা থেকে বাড়িয়ে ৭৫ টাকা ৭২ পয়সা এবং ক্যাপটিভের দাম ৩১ টাকা ৫০ পয়সা থেকে বাড়িয়ে ৭৫ টাকা ৭২ পয়সা করার প্রস্তাব করা হয়।

আরো পড়ুন
ইজিবাইক খাদে পড়ে প্রাণ গেল কলেজছাত্রের

ইজিবাইক খাদে পড়ে প্রাণ গেল কলেজছাত্রের

 

ছয় কম্পানি গ্যাসের দাম বাড়ানোর যুক্তি হিসেবে বেশ কয়েকটি বিষয় সামনে এনেছে। প্রতিষ্ঠানগুলো বলছে, গ্যাসের দাম বাড়ানো না হলে এলএনজি আমদানি করতে গিয়ে সরকারকে চলতি বছর বিশাল টাকা ভর্তুকি দিতে হবে। বর্তমানে দেশে গ্যাসের চাহিদা রয়েছে ৪ হাজার মিলিয়ন ঘনফুট।

দেশি গ্যাস ফিল্ডগুলো থেকে আসছে অর্ধেকের মতো। আর ২৫ শতাংশ এলএনজি আমদানি করে জোগান দেওয়া হচ্ছে।

এদিকে পেট্রোবাংলা গ্যাসের দাম বাড়ানোর প্রস্তাবে বলছে, প্রতি ঘনমিটার এলএনজির বর্তমান আমদানি মূল্য পড়ছে ৬৫ টাকা ৭০ পয়সা। ভ্যাট-ট্যাক্স ও অন্যান্য চার্জ যোগ করলে তা দাঁড়ায় ৭৫ টাকা ৭২ পয়সা।

এজন্য দামের পার্থক্য কমাতে গ্যাসের মূল্য বাড়াতে হবে।

আরো পড়ুন
প্রথমবারের মতো অর্থহীনের একক কনসার্ট, অপেক্ষায় শ্রোতারা

প্রথমবারের মতো অর্থহীনের একক কনসার্ট, অপেক্ষায় শ্রোতারা

 

এতে আরো বলা হয়, দেশি গ্যাস সরবরাহের পরিমাণ ক্রমেই কমে যাওয়ায় শিল্প ও ক্যাপটিভ বিদ্যুতে সর্বাধিক প্রভাব পড়েছে। চাহিদা মেটাতে দেশি গ্যাসের সঙ্গে ২৫ শতাংশ এলএনজি আমদানি করে সরবরাহ করা হচ্ছে। আগামীতে এলএনজি আমদানির পরিমাণ আরো বাড়বে। 

পেট্রোবাংলার প্রস্তাব পাওয়ার পর বিতরণ কম্পানিগুলোর কাছে প্রস্তাব চেয়ে চিঠি দেয় বিইআরসি।

পরে পেট্রোবাংলার নির্দেশনা অনুসরণ করে কম্পানিগুলো প্রস্তাব জমা দেয়। বিইআরসির কারিগরি মূল্যায়ন কমিটি এখন এসব প্রস্তাব মূল্যায়ন করছে।

মন্তব্য

প্রধান উপদেষ্টাকে জাতিসংঘ মহাসচিবের চিঠি, যা লেখা আছে

অনলাইন ডেস্ক
অনলাইন ডেস্ক
শেয়ার
প্রধান উপদেষ্টাকে জাতিসংঘ মহাসচিবের চিঠি, যা লেখা আছে
সংগৃহীত ছবি

প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূসের চলমান সংস্কার প্রচেষ্টার প্রতি তার দৃঢ় সমর্থন প্রকাশ করেছেন জাতিসংঘ মহাসচিব আন্তোনিও গুতেরেস। সংস্কার প্রচেষ্টার প্রতি সমর্থন জানিয়ে ড. ইউনূসকে চিঠি দিয়েছেন জাতিসংঘের মহাসচিব।

আজ বুধবার প্রধান উপদেষ্টার ভেরিফায়েড ফেসবুক পেজে জাতিসংঘের মহাসচিবের চিঠি শেয়ার করা হয়েছে।

প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ ইউনূসকে ২৫ ফেব্রুয়ারি পাঠানো ওই চিঠিতে গুতেরেস জানান, রোহিঙ্গা সংকটের কারণে বাংলাদেশ ও এ অঞ্চলের ওপর পড়া প্রভাব এবং রাখাইনে ক্রমবর্ধমান মানবিক সংকট নিয়ে তিনি বাংলাদেশের প্রধান উপদেষ্টার উদ্বেগের সঙ্গে একমত।

চিঠিতে তিনি বলেন, ‘রোহিঙ্গাদের নিরাপদ ও স্বেচ্ছামূলক প্রত্যাবর্তনের জন্যে উপযোগী পরিবেশ তৈরি করাসহ মিয়ানমারের সংকটের একটি রাজনৈতিক সমাধানের উদ্দেশ্যে আঞ্চলিক অংশীদার, দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়ার দেশগুলোর জোট (আসিয়ান) ও অন্যান্য সংশ্লিষ্ট পক্ষগুলোর সঙ্গে আমি আমার বিশেষ দূতের মাধ্যমে ঘনিষ্ঠভাবে কাজ চালিয়ে যাব।’

আরো পড়ুন
জুনায়েদের পর নতুন দল থেকে সরে দাঁড়ালেন রাফে

জুনায়েদের পর নতুন দল থেকে সরে দাঁড়ালেন রাফে

 

জাতিসংঘ মহাসচিব আরো বলেন, তিনি জাতিসংঘের বাংলাদেশ ও মিয়ানমারভিত্তিক কর্মী দলকে নির্দেশনা দেওয়ার জন্য তার সিনিয়র কর্মকর্তাদের আহ্বান জানিয়েছেন, যেন তারা রাখাইন সম্প্রদায়ের জন্য মানবিক ও জীবিকার সহায়তা আরো বাড়াতে পারে।

তিনি আশ্বস্ত করেন যে জাতিসংঘ এই ইস্যুতে অগ্রাধিকারভিত্তিতে কাজ করবে, যার মধ্যে জরুরি ত্রাণ সমন্বয়কারী ও মিয়ানমারের আবাসিক ও মানবিক সমন্বয়কারীর মাধ্যমে রাখাইনসহ সারা মিয়ানমারে নিরাপদ, দ্রুত, টেকসই ও বাধাহীন মানবিক সহায়তা পৌঁছানোর ব্যবস্থা নিশ্চিত করাও অন্তর্ভুক্ত থাকবে।

গুতেরেস আশা প্রকাশ করেন যে ‘রোহিঙ্গা মুসলিম ও মিয়ানমারের অন্যান্য সংখ্যালঘুদের পরিস্থিতি নিয়ে উচ্চ পর্যায়ের সম্মেলন বিশ্বব্যাপী নতুন করে মনোযোগ আকর্ষণ এবং রোহিঙ্গা ও অন্যান্য সংখ্যালঘুদের জন্য আরো বিস্তৃত সমাধান বের করতে সাহায্য করবে।

আরো পড়ুন
কে হচ্ছেন পরবর্তী তথ্য উপদেষ্টা? আলোচনায় যার নাম

কে হচ্ছেন পরবর্তী তথ্য উপদেষ্টা? আলোচনায় যার নাম

 

তিনি আরো বলেন, জাতিসংঘের ব্যবস্থা কীভাবে প্রক্রিয়াটিকে সর্বোত্তম সমর্থন করতে পারে তা বোঝার জন্য সদস্য রাষ্ট্রের পরামর্শ অনুসরণ করে আমরা সম্মেলনের সম্মত ফলাফল এবং পরিকল্পনার জন্য অপেক্ষা করছি।’

জাতিসংঘ মহাসচিব পুনরায় নিশ্চিত করেন যে জাতিসংঘ বাংলাদেশকে দৃঢ় সংহতি জানাচ্ছে এবং অধ্যাপক ইউনূসের নেতৃত্বে চলমান পরিবর্তন প্রক্রিয়াকে সমর্থন দিচ্ছে।

তিনি ৪ ফেব্রুয়ারি ২০২৫ তারিখে অধ্যাপক ইউনূসের পাঠানো চিঠির জন্য ধন্যবাদ জানান, যা ৭ ফেব্রুয়ারি জাতিসংঘ মহাসচিবের সঙ্গে বৈঠকের সময় প্রধান উপদেষ্টার রোহিঙ্গা সংকট ও অগ্রাধিকার বিষয়ক উচ্চ প্রতিনিধি খলিলুর রহমান তাকে পৌঁছে দেন।

মন্তব্য

জুনেই বাজেট ঘোষণা করা হবে : অর্থ উপদেষ্টা

অনলাইন ডেস্ক
অনলাইন ডেস্ক
শেয়ার
জুনেই বাজেট ঘোষণা করা হবে : অর্থ উপদেষ্টা
সংগৃহীত ছবি

অর্থ উপদেষ্টা ড. সালেহউদ্দিন আহমেদ বলেছেন, এখন মূল্যস্ফীতি ৯ শতাংশের ঘরে আছে। ঈদের পর মূল্যস্ফীতি ৭ থেকে ৮ শতাংশের ঘরে নিয়ে আসার চেষ্টা করছি। যা বাজেটের আগে আরো কমবে। জুনেই বাজেট ঘোষণা করা হবে।

কত তারিখে হবে সেটা পরে জানানো হবে। বাজেটের আগে মূল্যস্ফীতির সংখ্যা যৌক্তিক পর্যায়ে নিয়ে আসার চেষ্টা করছি।

গতকাল মঙ্গলবার (২৫ ফেব্রুয়ারি) সচিবালয়ে ক্রয় সংক্রান্ত উপদেষ্টা পরিষদের বৈঠক শেষে তিনি এসব বলেন।

আরো পড়ুন
মদ্যপ অবস্থায় কনের বান্ধবীকে মালা পরালেন বর, অতঃপর...

মদ্যপ অবস্থায় কনের বান্ধবীকে মালা পরালেন বর, অতঃপর...

 

ড. সালেহউদ্দিন আহমেদ বলেন, ‘রমজানকে সামনে রেখে বাজারে সব ধরনের পণ্যের সরবরাহ স্বাভাবিক রাখার চেষ্টা করছে সরকার।

এখন পর্যন্ত কোনো পণ্যের ঘাটতি নেই। যদি কোনো ব্যবসায়ী তেলসহ অন্যান্য পণ্য মজুদ করে রাখে তাদের ব্যাপারে কঠোর অবস্থানে সরকার। রমজানে বিদ্যুৎ সরবরাহ স্বাভাবিক রাখার চেষ্টা করছে সরকার। লোডশেডিং কমিয়ে মানুষকে স্বস্তি দিতে ক্রয় সংক্রান্ত উপদেষ্টা পরিষদ এবং অর্থনৈতিক উপদেষ্টা পরিষদের বৈঠকে এক কার্গো করে এলএনজি আমদানির সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে।

ট্রাম্পের বক্তব্যের বিষয়ে অর্থ উপদেষ্টা বলেন, ‘বাংলাদেশের একটি প্রতিষ্ঠানকে ২৯ মিলিয়ন ডলার অনুদান দেওয়া হয়েছে ট্রাম্পের এই বক্তব্য সত্যতা নিয়ে কাজ করবে এনজিও ব্যুরো, অর্থ মন্ত্রণালয় নয়। তবে টাকাটা কোন খাতে ব্যয় করা হয়েছে সেটাই মুখ্য বিষয়। মোটিভেশনের জন্য এই টাকা ব্যয় হতে পারে না। তবে উন্নয়নের কাজে ব্যয় হতে পারে।’

আরো পড়ুন
ফেনীর ছাগলনাইয়ায় যুবকের লাশ উদ্ধার

ফেনীর ছাগলনাইয়ায় যুবকের লাশ উদ্ধার

 

তিনি বলেন, ‘আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি নিয়ে উদ্বিগ্ন রয়েছেন দেশের ব্যবসায়ীরা।

কারণ, আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি স্বাভাবিক না থাকলে অর্থনৈতিক অবস্থার ওপর এর প্রভাব পড়বে। সরকার বিষয়টি গুরুত্বের সঙ্গে দেখছে।’ শিগগিরই আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি স্বাভাবিক হয়ে আসবে বলে জানান তিনি।

মন্তব্য

৬ মাসে অর্থনীতি যে অবস্থায় কামব্যাক করেছে তা মিরাকল : প্রেস সচিব

অনলাইন ডেস্ক
অনলাইন ডেস্ক
শেয়ার
৬ মাসে অর্থনীতি যে অবস্থায় কামব্যাক করেছে তা মিরাকল : প্রেস সচিব
সংগৃহীত ছবি

প্রধান উপদেষ্টার প্রেস সচিব শফিকুল আলম বলেছেন, দেশের অর্থনীতি কলাপস হওয়ার মতো অবস্থায় ছিল। তবে ছয় মাসে ইকোনমি যে অবস্থায় কামব্যাক করেছে তা মিরাকল। 

বুধবার (২৭ ফেব্রুয়ারি) রাজধানীর শেরেবাংলা নগরের এনইসি সম্মেলন কক্ষে ডেভেলপমেন্ট জার্নালিস্ট ফোরাম অব বাংলাদেশ (ডিজেএফবি) আয়োজিত ‘ডিজেএফবি টক’ অনুষ্ঠানে তিনি এসব কথা বলেন।

শফিকুল আলম বলেন, ব্যাংকের টাকা চুরি হয়েছে।

আওয়ামী লীগের সাবেক মন্ত্রী সাইফুজ্জামানের নিজের জন্য টানেল হয়েছে। দেশের অর্থনীতি কলাপস হওয়ার মতো অবস্থায় ছিল, ছয় মাসে ইকোনমি যে অবস্থায় কামব্যাক করেছে তা মিরাকল। আমরা এমন এক ইকোনমিক ব্যবস্থা পেয়েছিলাম যেখানে জমিদারের মতো হাতে কিছু টাকা পেয়েছি তা বাজে কাজে ব্যবহার হয়েছে। অপচয়কে ট্যাকেল দিতে ট্যাক্স বাড়ানো হয়েছে।
বাজেটের বড় অংশ বৈদেশিক ঋণ পরিশোধে যাচ্ছে।

তিনি বলেন, এনার্জি খাতে ডিসিপ্লিন ফিরিয়ে আনা দরকার। স্টেট স্পন্সরশিপ করে ডাকাতি হয়েছে এ খাতে। বিদ্যুৎ খাতে স্থায়ী সমাধানের জন্য কাজ করছি।

বড় বড় পাওয়ার কোম্পানির সঙ্গে কথা হচ্ছে। আমরা গ্যাসের জন্য প্রচুর পরিমাণে কূপ খনন করতে চাই।

বৈদেশিক বিনিয়োগ আনতে চট্টগ্রাম বন্দরের দক্ষতা বাড়ানো হবে জানিয়ে প্রেস সচিব বলেন, চট্টগ্রাম বন্দরের দক্ষতা বাড়ানো হবে। এই পোর্টের দক্ষতা না বাড়লে ইনভেস্টমেন্ট বাড়বে না। রি-এক্সপোর্ট করতে গেলে চট্টগ্রামের দক্ষতা আরও বাড়াতে হবে।

এজন্য বিশ্বের বড় বড় কোম্পানির সঙ্গে কথা হচ্ছে। আমরা চাই চট্টগ্রামের প্রতিটি পোর্ট উন্নয়ন করতে, তাহলে সরাসরি বৈদেশিক বিনিয়োগ বাড়বে।

তিনি বলেন, এনার্জি সিস্টেমে দক্ষ না হলে কেউ বিনিয়োগ করবে না। পাওয়ার সিস্টেমে ডাকাতির বন্দোবস্ত করা হয়েছে। দেশে বিনিয়োগ দরকার, সেটা করা হয়নি। রেভিনিউ সিস্টেম করছেন তা ভালো ছিল না। হাতে টাকা নাই, যা তা খরচ করেছে বিগত সরকার।

৫৬০টি মডেল মসজিদে বেশি ব্যয় করা হয়েছে, যা আরো কম টাকায় করা যেত মন্তব্য করে তিনি বলেন, আপনার টাকা নাই কিন্তু আপনি মসজিদ করবেন। সরকার কেন মসজিদ করবে? গণমাধ্যমে দেখলাম একটি মসজিদ করতে ১৫-১৬ কোটি টাকা খরচ করেছে। কিন্তু এই মসজিদ পাড়ার কমিটিগুলো ৩ কোটি টাকায় করতে পারত। চুরির একটা উৎসব চলেছে।

মন্তব্য

সর্বশেষ সংবাদ