<p style="text-align:justify">১৯ জুলাই শুক্রবার। দুপুর পৌনে ২টা। রাজধানীর যাত্রাবাড়ী গোলাপবাগ এলাকায় বৈষম্যবিরোধী আন্দোলনে যোগ দিয়েছিলেন প্রাইভেট কারচালক আব্দুল্লাহ বাবু (২২)। মিছিলের সামনের দিকেই ছিলেন বাবু। হঠাৎ কোয়ার্টারের ভেতর থেকে বেরিয়ে এসেই আন্দোলনকারীদের ওপর গুলি চালাতে শুরু করে পুলিশ। মিছিলের সামনে থাকায় কিছু বুঝে ওঠার আগেই কপাল ও দুই চোখে গুলিবিদ্ধ হন তিনি। পরে সেখান থেকে তাকে রক্তাক্ত অবস্থায় উদ্ধার করে হাসপাতালে নিয়ে যান সহযোদ্ধারা। কপালে বিদ্ধ গুলি চিকিৎসকরা বের করতে পারলেও চোখে বিদ্ধ গুলি বের করা যায়নি। এর বেশ কয়েক দিন পর চিকিৎসকরা জানান, বাবুর একটি চোখ নষ্ট হয়ে গেছে। অন্য চোখটিও ঝুঁকিতে আছে। চোখের আলো ফিরে পেতে এক হাসপাতাল থেকে অন্য হাসপাতালে ঘুরছেন গাড়িচালক বাবু। পাননি সরকারি-বেসরকারি কোনো সহায়তা। </p> <div class="d-flex justify-content-center"> <div class="col-12 col-md-10 position-relative"><strong>আরো পড়ুন</strong> <div class="card"> <div class="row"> <div class="col-4 col-md-3"><img alt="বিএনপির দুই নেতাকে পিটিয়ে জখম, ১২ জনের নামে মামলা" height="66" src="https://cdn.kalerkantho.com/public/news_images/2024/10/26/1729932645-c005d30e68ead18896af0d4a883b410d.jpg" width="100" /></div> <div class="col-8 col-md-9"> <p>বিএনপির দুই নেতাকে পিটিয়ে জখম, ১২ জনের নামে মামলা</p> </div> </div> </div> <a class="stretched-link" href="https://www.kalerkantho.com/online/country-news/2024/10/26/1439345" target="_blank"> </a></div> </div> <p style="text-align:justify">আব্দুল্লাহ বাবু ময়মনসিংহের গৌরীপুর উপজেলার ডৌহাখলা ইউনিয়নের কলতাপাড়া গ্রামের আব্দুল বারেকের (৫৫) ছেলে। বাবা-মাকে নিয়ে ঢাকার দক্ষিণ কেরানীগঞ্জ থানার ইকুরিয়া এলাকায় থাকেন তিনি। দুরারোগ্য রোগে আক্রান্ত হয়ে গাড়িচালক বাবা স্টিয়ারিং তুলে দেন ছেলে বাবুকে। এর পর থেকে বাবুর আয়েই চলছিল সাত সদস্যের সংসার। আন্দোলনে বাবু চোখ হারানোর পর ফের জীবনযুদ্ধে নেমেছেন বাবা। এক অনিশ্চিত ভবিষ্যৎ তাড়া করছে এই পরিবারটিকে।</p> <div class="d-flex justify-content-center"> <div class="col-12 col-md-10 position-relative"><strong>আরো পড়ুন</strong> <div class="card"> <div class="row"> <div class="col-4 col-md-3"><img alt="আগুন থেকে বাঁচতে জানালা থেকে মা ও শিশু লাফ, মৃত ৪" height="66" src="https://cdn.kalerkantho.com/public/news_images/2024/10/26/1729931842-5a32696612a54098f2f0d9ff3ec7e163.gif" width="100" /></div> <div class="col-8 col-md-9"> <p>আগুন থেকে বাঁচতে জানালা থেকে মা ও শিশু লাফ, মৃত ৪</p> </div> </div> </div> <a class="stretched-link" href="https://www.kalerkantho.com/online/world/2024/10/26/1439341" target="_blank"> </a></div> </div> <p style="text-align:justify">আজ শনিবার দুপুরে রাজধানীর আগারগাঁও জাতীয় চক্ষুবিজ্ঞান ইনস্টিটিউট হাসপাতালে কথা হয় বাবুর সঙ্গে। তিনি কালের কণ্ঠকে বলেন, গত ১৯ জুলাই বাসা থেকে বের হয়ে জুমার নামাজ আদায় করেন তিনি। পরে আন্দোলনকারীরা একটি মিছিল বের করলে তিন সেই মিছিলে যোগ দেন। হঠাৎ পাশে পুলিশ কোয়ার্টার থেকে একদল পুলিশ সদস্য বের হয়ে অতর্কিতে গুলি ছুড়তে শুরু করে। এ সময় গুলিবিদ্ধ হয়ে অনেকেই মাটিতে লুটিয়ে পড়েন। তাদের মধ্যে বাবুও ছিলেন। যন্ত্রণায় সড়কে কাতরাতে থাকলে তার এক বন্ধু তাকে উদ্ধার করে হাসপাতালে নিয়ে যায়।</p> <div class="d-flex justify-content-center"> <div class="col-12 col-md-10 position-relative"> <div class="d-flex justify-content-center"> <div class="col-12 col-md-10 position-relative"><strong><strong>আরো পড়ুন</strong></strong> <div class="card"> <div class="row"> <div class="col-4 col-md-3"><strong><img alt="বাজার পরিদর্শনে গিয়ে যা দেখলেন আসিফ মাহমুদ" height="66" src="https://cdn.kalerkantho.com/public/news_images/2024/10/26/1729932612-d6d55a82f7452d28747769bddd786a39.jpg" width="100" /></strong></div> <div class="col-8 col-md-9"> <p><strong>বাজার পরিদর্শনে গিয়ে যা দেখলেন আসিফ মাহমুদ</strong></p> </div> </div> </div> <strong><a class="stretched-link" href="https://www.kalerkantho.com/online/national/2024/10/26/1439344" target="_blank"> </a></strong></div> </div> </div> </div> <p style="text-align:justify">তিনি জানান, হাসপাতালে এক সপ্তাহ চিকিৎসা শেষে চিকিৎসক জানায়— তাঁর বাঁ চোখ নষ্ট হয়ে গেছে। ডান চোখে দ্রুত অস্ত্রোপচার না করলে সেটিও নষ্ট হয়ে যাবে। যতই দিন যাচ্ছে, সীমিত হয়ে আসছে ডান চোখের আলোও। সারাক্ষণ মাথা ব্যথা করে, শরীরে থাকে জ্বর। রাতে যন্ত্রণায় ঘুমাতে পারি না। </p> <p style="text-align:justify">বাবু বলেন, চোখের আলোর মতো জীবনও অন্ধকার হয়ে যাচ্ছে। আমি আলো দেখতে চাই। মা-বাবা, স্ত্রী-সন্তানকে নিয়ে সুস্থভাবে বাঁচতে চাই।</p>