শীত-শৈত্যপ্রবাহ নিয়ে যে বার্তা দিল আবহাওয়া অধিদপ্তর

অনলাইন ডেস্ক
অনলাইন ডেস্ক
শেয়ার
শীত-শৈত্যপ্রবাহ নিয়ে যে বার্তা দিল আবহাওয়া অধিদপ্তর

দেশের বিভিন্ন জায়গায় নভেম্বর মাঝামাঝিতে শীত অনুভূত হতে পারে বলে জানিয়েছে আবহাওয়া অধিদপ্তর। সেই সঙ্গে ডিসেম্বর ও জানুয়ারি মাসে কয়েক দফা শৈত্যপ্রবাহ বয়ে যেতে পারে বলেও সংস্থাটি জানিয়েছে। 

গত বুধবার আগামী তিন মাসের দীর্ঘমেয়াদি পূর্বাভাসে এ তথ্য জানানো হয়েছে। 

আরো পড়ুন
এ সপ্তাহে ওটিটির পর্দায় আসছে যেসব সিনেমা-সিরিজ

এ সপ্তাহে ওটিটির পর্দায় আসছে যেসব সিনেমা-সিরিজ

 

এতে বলা হয়েছে, এই সময় সামগ্রিকভাবে দেশে স্বাভাবিক বৃষ্টিপাতের সম্ভাবনা আছে।

বঙ্গোপসাগরে ২ থেকে পাঁচটি লঘুচাপ সৃষ্টি হতে পারে। এর মধ্যে ১ থেকে দুটি নিম্নচাপ অথবা ঘূর্ণিঝড়ে রূপ নিতে পারে।

এ ছাড়া আগামী তিন মাসে দিন ও রাতের তাপমাত্রা ক্রমান্বয়ে হ্রাস পেতে পারে। তবে দিন ও রাতের তাপমাত্রা স্বাভাবিক অপেক্ষা কিছুটা বেশি থাকতে পারে।

একইসময়ে শেষরাত থেকে সকাল পর্যন্ত দেশের উত্তর, উত্তরপশ্চিমাঞ্চল, মধ্যাঞ্চল ও নদনদী অববাহিকায় মাঝারি অথবা ঘন কুয়াশা এবং অন্যত্র হালকা থেকে মাঝারি ধরনের কুয়াশা পড়তে পারে। ঘন কুয়াশার কারণে দিন ও রাতের তাপমাত্রার পার্থক্য কমে আসতে পারে। এতে শীতের অনুভূতি বাড়তে পারে।

আরো পড়ুন
পৃথক স্থানে বিএনপির দুই গ্রুপের পাল্টাপাল্টি বিপ্লব দিবস পালন

পৃথক স্থানে বিএনপির দুই গ্রুপের পাল্টাপাল্টি বিপ্লব দিবস পালন

 

পূর্বাভাসে আরো বলা হয়, নভেম্বর, ডিসেম্বর ও জানুয়ারি মাসে দেশে ৮ থেকে ১০টি মৃদু থেকে মাঝারি ধরনের শৈত্যপ্রবাহ বয়ে যেতে পারে।

তবে উত্তর-পশ্চিমাঞ্চল, উত্তর-পূর্বাঞ্চল ও মধ্যাঞ্চলে ২ থেকে তিনটি তীব্র শৈত্যপ্রবাহে রূপ নিতে পারে। উল্লেখ্য, তাপমাত্রা ৬ ডিগ্রি সেলসিয়াসের নিচে নেমে গেলে তাকে তীব্র শৈত্যপ্রবাহ ধরা হয়। ৬ থেকে ৮ ডিগ্রির মধ্যে থাকলে মাঝারি এবং ৮ থেকে ১০ ডিগ্রি সেলসিয়াসের মধ্যে থাকলে তাকে মৃদু শৈত্যপ্রবাহ বলা হয়।
 

মন্তব্য

আলোচিত শিশু ধর্ষণ মামলার এজাহারে লোমহর্ষক বর্ণনা

অনলাইন ডেস্ক
অনলাইন ডেস্ক
শেয়ার
আলোচিত শিশু ধর্ষণ মামলার এজাহারে লোমহর্ষক বর্ণনা

বোনের বাড়িতে বেড়াতে গিয়ে পাশবিক নির্যাতনের শিকার আট বছরের শিশুটি হাসপাতালে মৃত্যুর সঙ্গে পাঞ্জা লড়ছে। এ ঘটনায় মামলা করেছেন শিশুটির মা। মামলার এজাহারে তিনি অভিযোগ করেন, বড় মেয়ের স্বামীর সহায়তায় তার বাবা (শ্বশুর) শিশুটিকে ধর্ষণ করেন।

শনিবার (৮ মার্চ) বড় বোন ও বাবাকে দিয়ে মাগুরা সদর থানায় এজাহার পাঠান শিশুটির মা।

সেই অনুযায়ী বিকেল ৩টার দিকে মামলা রেকর্ড করা হয়।

মামলার এজাহারে উল্লেখ করা হয়, চার মাস আগে মাগুরা পৌর এলাকার এক তরুণের সঙ্গে শিশুটির বড় বোনের বিয়ে হয়। ওই বাড়িতে বোনের স্বামী, শ্বশুর, শাশুড়ি ও ভাসুর থাকতেন। বিয়ের পর থেকে বড় মেয়েকে অনৈতিক প্রস্তাব দিয়ে আসছিলেন তার শ্বশুর হিঠু শেখ।

বিষয়টি পরিবারের অন্য সদস্যরা জানতেন। এ নিয়ে ঝগড়াও হয়েছে। এমন পরিস্থিতিতে ১ মার্চ বোনের শ্বশুরবাড়িতে বেড়াতে যায় আট বছরের শিশুটি।

এজাহারে উল্লেখ করা হয়, গত বুধবার (৫ মার্চ) রাত ১০টার দিকে খাবার খেয়ে বড় বোন ও তার স্বামীর সঙ্গে একই কক্ষে ঘুমায় শিশুটি।

রাত আড়াইটার দিকে বড় বোন ঘুম থেকে জেগে দেখেন, ছোট বোন পাশে নেই, মেঝেতে পড়ে আছে। তখন শিশুটি বড় বোনকে জানায়, তার যৌনাঙ্গে জ্বালাপোড়া হচ্ছে। কিন্তু বড় বোন মনে করে, শিশুটি ঘুমের মধ্যে আবোলতাবোল বকছে। এরপর সকাল ৬টার দিকে শিশুটি আবার বোনকে যৌনাঙ্গে জ্বালাপোড়ার কথা বলে। কারণ জিজ্ঞেস করলে সে বোনকে জানায়, রাতে দুলাভাই (বোনের স্বামী) দরজা খুলে দিলে তার বাবা (শ্বশুর) তার মুখ চেপে ধরে তার কক্ষে নিয়ে ধর্ষণ করেন।
সে চিৎকার করতে গেলে তার গলা চেপে ধরা হয়। পরে তাকে আবার বোনের কক্ষের মেঝেতে ফেলে রেখে যান।

আরো বলা হয়, ঘটনা জানার পর শিশুটির বড় বোন তার মাকে মুঠোফোনে বিষয়টি জানাতে গেলে তার স্বামী মুঠোফোন কেড়ে নিয়ে তাকে মারধর করেন। এ কথা কাউকে বললে শিশুটিকে হত্যার হুমকি দেন এবং তাদের দুই বোনকে আলাদা দুটি কক্ষে আটকে রাখেন। সকালে এক নারী প্রতিবেশী বাড়িতে এলে বোনের ভাসুর দরজা খুলে দেন। তখন শিশুটির মাথায় পানি দিয়ে সুস্থ করানোর চেষ্টা করা হয়। সকাল সাড়ে ১০টার দিকে শিশুটি আরো অসুস্থ হয়ে পড়লে বোনের শাশুড়ি অন্য প্রতিবেশীদের সহায়তায় মাগুরা ২৫০ শয্যাবিশিষ্ট হাসপাতালে নিয়ে যান। সেখানে গিয়ে মেয়েটিকে জিনে ধরেছে বলে চিকিৎসকদের জানান। তবে চিকিৎসক ও অন্যরা বিষয়টি টের পেলে শাশুড়ি হাসপাতাল থেকে পালিয়ে যান। পরে বাদী হাসপাতালে যান।

এদিকে শিশুটিকে উন্নত চিকিৎসার জন্য ঢাকা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতাল থেকে ঢাকার সিএমএইচ হাসপাতালে স্থানান্তর করা হয়েছে। শনিবার বিকেলে এ তথ্য জানান ঢামেক হাসপাতালের উপপরিচালক আশরাফুল আলম।

তিনি বলেন, মেডিক্যাল বোর্ডের সুপারিশক্রমে ও সমাজকল্যাণ উপদেষ্টার নির্দেশনা অনুয়ায়ী শিশুটিকে ঢাকা সিএমএইচে স্থানান্তর করা হয়েছে। 

প্রসঙ্গত, গত বুধবার (৫ মার্চ) রাতে শহরের নিজনান্দুয়ালী এলাকায় বোনের বাড়িতে বেড়াতে এসে ধর্ষণ ও হত্যা চেষ্টার শিকার হয় মেয়েটি।

প্রাসঙ্গিক
মন্তব্য

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে নতুন সংগঠনের আত্মপ্রকাশ

অনলাইন ডেস্ক
অনলাইন ডেস্ক
শেয়ার
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে নতুন সংগঠনের আত্মপ্রকাশ
সংগৃহীত ছবি

নির্যাতন, নিপীড়ন ও বঞ্চনার অবসান ঘটিয়ে বাংলাদেশের নারীদের অধিকার ও মর্যাদা প্রতিষ্ঠা এবং ক্ষমতায়নের লক্ষ্যকে সামনে রেখে আন্তর্জাতিক নারী দিবসে আত্মপ্রকাশ করেছে জাতীয় বিপ্লবী পরিষদের নারী সংগঠন বিপ্লবী নারী পরিষদ।

এ সংগঠনের নেতৃত্বে রয়েছেন জুলাইয়ে রাজধানীর উত্তরায় রাজপথের সংগ্রামী রোটারিয়ান রাবেয়া আক্তার ও শহীদ রানা তালুকদারের মা রুবি বেগম।

শনিবার সন্ধ্যায় ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের রাজু ভাস্কর্যে সংগঠনটির ২৩ সদস্যবিশিষ্ট কেন্দ্রীয় আহ্বায়ক কমিটি ঘোষণা করা হয়েছে বলে এক বিবৃতিতে জানানো হয়েছে। 

আরো পড়ুন
আ. লীগের ‘রাজাকার ন্যারেটিভ’ ভেঙে দিয়েছেন মেয়েরা : সামান্তা শারমীন

আ. লীগের ‘রাজাকার ন্যারেটিভ’ ভেঙে দিয়েছেন মেয়েরা : সামান্তা শারমিন

 

কমিটিতে লেখক ও প্রকাশক সুলতানা আক্তারকে উপদেষ্টা, রোটারিয়ান রাবেয়া আক্তারকে আহ্বায়ক ও  রুবি বেগমকে সদস্যসচিব করা হয়েছে।

এ ছাড়া কমিটিতে লাইলী বেগম ও নুসরাত রহমানকে জ্যেষ্ঠ যুগ্ম আহ্বায়ক; খুরশিদা মামুন, তামিমা জোবায়দা ও মেহেরুন্নেসা যুগ্ম আহ্বায়ক; শারমিন জাহান, নাসরিন আক্তার, অবনি আক্তার ও সুচি কুমকুম তৃপ্তিকে সহকারী সদস্য সচিব; রাবেয়া সুলতানা, তাহামিনা আকন্দ ও আফতিহা জাহান আমরিনকে সমন্বয়ক; মোসা. মাহমুদা খাতুন, জাকিয়া জাফরিন তন্নী, জয়নব আশ শিফা, মরিয়ম, সাহিদা সুলতানা তামান্না, ইসরাত জাহান জ্যোতি, তাহমিনা বেগম ও শামসুনাহার বীথিকে সদস্য করা হয়েছে।

মন্তব্য

সাংবাদিকদের জন্য নিরাপদ ও স্বাধীন পরিবেশ জরুরি : কাদের গনি চৌধুরী

নিজস্ব প্রতিবেদক
নিজস্ব প্রতিবেদক
শেয়ার
সাংবাদিকদের জন্য নিরাপদ ও স্বাধীন পরিবেশ জরুরি : কাদের গনি চৌধুরী
ছবি : কালের কণ্ঠ

বাংলাদেশ ফেডারেল সাংবাদিক ইউনিয়নের মহাসচিব কাদের গনি চৌধুরী বলেছেন, ‘স্বাধীন সাংবাদিকতা গণতন্ত্রের মূল স্তম্ভ হলেও এটি এখন বহুমাত্রিক চ্যালেঞ্জের মুখোমুখি। রাজনৈতিক, অর্থনৈতিক, আইনি ও ক্ষমতামুখী সাংবাদিকতা সাংবাদিকদের স্বাধীনভাবে কাজ করার ক্ষেত্রে বড্ড অন্তরায় সৃষ্টি করছে। সাংবাদিকদের জন্য একটি নিরাপদ ও স্বাধীন পরিবেশ তৈরি করা অত্যন্ত জরুরি।’ 

শনিবার (৮ মার্চ) বিকেলে সাংবাদিক ইউনিয়ন বগুড়ার বার্ষিক সাধারণ সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব বলেন।

আরো পড়ুন
আগামীকাল বিএনপির ইফতার মাহফিল স্থগিত

আগামীকাল বিএনপির ইফতার মাহফিল স্থগিত

 

কাদের গনি চৌধুরী বলেন, “সাংবাদিকদের সুরক্ষায় কোনো আইন নেই। এই যখন অবস্থা, তখন সাংবাদিকদের একটি অংশ সেলফ সেন্সরশিপে চলে গিয়ে নিজেকে আত্মরক্ষার চেষ্টা করছে। আমাদের প্রশ্ন হলো, সাংবাদিকতা কি অপরাধ? জনস্বার্থে তথ্য অনুসন্ধান এবং তা প্রকাশ করতে গিয়ে কেন সাংবাদিকেরা ‘অপরাধী’ হিসেবে চিহ্নিত হবেন? সাংবাদিকদের জন্য একটি নিরাপদ ও স্বাধীন পরিবেশ খুবই জরুরি।”

তিনি বলেন, ‘বাংলাদেশে গণমাধ্যমের সামনে যে কয়েকটি চ্যালেঞ্জ তার মধ্যে অন্যতম হচ্ছে এ পেশার স্বাধীনতা।

গণমাধ্যমের স্বাধীনতা না থাকলে সত্য তুলে ধরা যায় না। আর সত্য লেখা না গেলে বিশ্বাসযোগ্যতা থাকে না। বিশ্বাসযোগ্যতা না থাকলে পাঠক বা দর্শক প্রত্যাখ্যান করেন।’

তিনি বলেন, ‘সাংবাদিকদের বিবেকের মাধ্যমে পরিচালিত হতে হবে।

অপসাংবাদিকতা, হলুদ সাংবাদিকতা ,তথ্য সন্ত্রাস পরিহার করে সত্যনিষ্ঠ সাংবাদিকতা করতে হবে। সঠিক তথ্য জেনে নিয়ে সংবাদ প্রকাশ না করলে মানুষ বিভ্রান্ত হয়, সংবাদমাধ্যমের প্রতি মানুষ আস্থা হারিয়ে ফেলে। সাংবাদিকদের সবচেয়ে বড় চ্যালেঞ্জগুলোর একটি হলো সাধারণ মানুষের আস্থা অর্জন করা। আজকের তথ্য-প্রযুক্তির যুগে ভুয়া খবর বা প্রপাগান্ডা খুব সহজেই ছড়িয়ে পড়ে। ফলে অনেকেই প্রকৃত সাংবাদিকতা এবং ভুয়া সংবাদ বিভ্রান্তিতে পড়েন।
গুজব, মিথ্যা আর চেক অ্যান্ড ব্যালান্স ছাড়া সোশ্যাল মিডিয়ার তথ্য সমাজ তথা রাষ্ট্রে বিশৃঙ্খলা বাড়াচ্ছে। তাই সাংবাদিকদের আরো সচেতন হতে হবে।’

বিএফইউজে মহাসচিব বলেন, ‘সাংবাদিকদের মধ্যে বিভক্তির কারণে ভয়ভীতি মাথায় রেখে সাংবাদিকদের কাজ করতে হচ্ছে। বিভাজনের কারণে সাংবাদিকরা এই ভয়-ভীতি থেকে নিজেদের বের করতে পারেন না। আগে ইউনিয়ন যখন একটা ছিল। চাকরি গেলে বা কোনো চাপের মুখে পড়লে বা প্রতিষ্ঠান পাওনাদি না দিলে মালিকদের সঙ্গে দেন-দরবারের জন্য বা অধিকার নিশ্চিত করতে গেলে তার পাশে নেতারা আছেন, এই ভরসাটুকু পেলে পরিস্থিতি অন্য রকম হয়ে যেত। এখন অনৈক্যের কারণে ইউনিয়ন সেভাবে ভূমিকা রাখতে পারছে না। তাই সংকট উত্তরণের জন্য ঐক্যের কোনো বিকল্প নেই।’

আরো পড়ুন
আরব প্রস্তাবে সমর্থন মুসলিম ও ইউরোপীয় নেতাদের

আরব প্রস্তাবে সমর্থন মুসলিম ও ইউরোপীয় নেতাদের

 

সাংবাদিকদের এই নেতা বলেন, “‘আমরা-ওরা’, এসব বিভাজন আগের সাংবাদিকতায় ছিল না। ইদানীং এটা বড্ড বেড়ে গেছে। এক বলয়ের সাংবাদিকরা অন্য বলয়ের সঙ্গে এক টেবিলে বসেনও না। ইদানীং সাংবাদিকদের প্রথমেই একটি জার্সি গায়ে দিতে হয়। অর্থাৎ তুমি সরকারি দলের কিংবা বিরোধী দলের এ রকম কিছু একটা হতে হবে। খুব কম সাংবাদিকই আজকের সাহস করে বলতে পারছেন ‘আমি কোনো রাজনৈতিক দলের পৃষ্ঠপোষক নই, আমার গায়ে কোনো জার্সি নেই, আমি কেবল দেশের সংবাদমাধ্যম প্রতিনিধি’। আগেও সাংবাদিকরা রাজনৈতিক মতাদর্শ লালন করতেন, কিন্তু সাংবাদিক হিসেবে থাকতেন পুরো নিরপেক্ষ। এখন সাংবাদিকদের কেউ কেউ দলদাসের ভূমিকায় অবতীর্ণ।”

তিনি বলেন, ‘নিজেদের কারণে অনেক ক্ষেত্রে সাংবাদিকরা মর্যাদা হারাচ্ছেন। যখন কোনো একজন ব্যক্তি কোনো প্রতিষ্ঠানে কাজ করছেন, তিনি তখন তিনি প্রতিষ্ঠানের কর্মচারী। কিন্তু যখন কোনো সাংবাদিক কোনো প্রতিষ্ঠানের সঙ্গে যুক্ত হন, তখন তিনি ওই প্রতিষ্ঠানের কর্মচারী নন। তিনি ওই প্রতিষ্ঠানে মিডিয়ার প্রতিনিধি। আমরা যেন সাংবাদিক থাকি, কর্মচারী হয়ে না যাই। ক্ষমতাশালীদের অপকর্মগুলো সাংবাদিকরা তুলে না ধরলে এসব অপকর্মের লাগাম পরানোর কাজটি করবেন কী করে। তাহলে তো অপকর্ম বাড়তেই থাকবে। সমাজ ভেঙে পড়বে।’

তিনি আরো বলেন, ‘এত প্রতিবন্ধকতার মধ্যেও সাংবাদিকরা দমে যেতে পারেন না। সাংবাদিকদের মোটা বেতন নেই; ঈদ-পূজায় বোনাসের নিশ্চয়তা নেই, অবসরের পর নিশ্চিন্ত জীবনযাপনের মতো পেনশন নেই; ক্যালেন্ডারে লাল কালি দিয়ে দাগিয়ে দেওয়া ছুটি তো নেই-ই। কটা দিন ছুটি নিয়ে পরিবারকে নিয়ে একটু ঘুরে বেড়ানোর কোনো সুযোগ নেই। উৎসবের দিনেও সংবাদ সংগ্রহে কিংবা প্রচার-প্রকাশে ব্যস্ত থাকতে হয়। তার পরও নিরলসভাবে কাজ করে যান সাংবাদিকরা।’

কাদের গনি চৌধুরী বলেন, ‘ইতিহাসের ছত্রে ছত্রে যেখানেই রাষ্ট্রের দমন-পীড়ন কিংবা অত্যাচার হয়েছে, সেখানেই চিন্তাশীল মানুষদের প্রতিরোধ এসেছে। সাংবাদিকরা এ চিন্তাশীলদের বার্তা পৌঁছে দিয়েছেন সমাজের বুকে। তাই তাদের কাজে থাকে সুন্দর আর সত্য সৃষ্টির গভীর উন্মাদনা। পাশাপাশি প্রতিদিন নতুন কিছু জানার, জানাবার, নতুন কিছু শেখার এবং অন্য কিছু করার ভীষণ রকম তাগিদও আছে সাংবাদিকতায়। সে তাগিদেই সব ঝুঁকি, সব কষ্ট এড়িয়ে দুঃসাহস দেখাতে পারেন সাংবাদিকরা। সত্য অনুসন্ধানে পরিপূর্ণ হয়ে ওঠে তাদের অদম্য মানসিকতার সব চাহিদা। এ জন্য সাংবাদিকদের বলা হয়, সমাজের ওয়াচডগ। ভারত এবং বাংলাদেশে সবচেয়ে বেশি ফেক সাংবাদিকতা হয়েছে।
বিগত ফ‍্যসিস্ট সৈরাচার সরকার তার প্রমাণ। অসত‍্য লেখা বর্জন করতে না পারলে সাংবাদিকতা সংকটের মুখে পড়বে।

সাংবাদিক ইউনিয়ন বগুড়ার সভাপতি গণেশ দাসের সভাপতিত্বে ও সাধারণ সম্পাদক এস এম সঞ্চালনায় অন্যদের মধ্যে বক্তব্য রাখেন বিএফইউজের সহকারী মহাসচিব ড. সাদিকুল ইসলাম স্বপন, বিএফইউজে নির্বাহী পরিষদ সদস্য মির্জা সেলিম রেজা, বগুড়া প্রেস ক্লাবের আহ্বায়ক ওয়াসিকুর রহমান বেচাল, সদস্যসচিব সবুর শাহ লোটাস, মমিনুর রশিদ শাইন, মতিউল ইসলাম সাদিসহ অন‍্যরা।

মন্তব্য

ভিসাপ্রত্যাশী বাংলাদেশিদের যা জানাল মার্কিন দূতাবাস

অনলাইন ডেস্ক
অনলাইন ডেস্ক
শেয়ার
ভিসাপ্রত্যাশী বাংলাদেশিদের যা জানাল মার্কিন দূতাবাস
প্রতীকী ছবি

সাম্প্রতিক আপডেটের কারণে ভিসার সময়সূচি নির্ধারণের ওয়েবসাইটে নিজেদের ই-মেইল ঠিকানাগুলো পরিবর্তন করেছে ঢাকায় মার্কিন দূতাবাস।

গত বৃহস্পতিবার মার্কিন দূতাবাসের ভেরিফায়েড ফেসবুক পেজে এ তথ্য জানানো হয়।

এক পোস্টে দূতাবাস বলেছে, ‘অনুগ্রহ করে লক্ষ করুন, সাম্প্রতিক আপডেটের কারণে আমাদের ভিসার সময়সূচি নির্ধারণের ওয়েবসাইটে আমাদের ই-মেইল ঠিকানাগুলো পরিবর্তিত হয়েছে।’

গ্রাহকসেবা প্রতিনিধির সঙ্গে ই-মেইলের মাধ্যমে যোগাযোগ করতে নতুন ঠিকানায় যোগাযোগের জন্য বলা হয়েছে।

এর মধ্যে ভিসাসংক্রান্ত প্রশ্নের জন্য support-bangladesh@usvisascheduling.com এবং যুক্তরাষ্ট্রের নাগরিকদের প্রশ্নের জন্য support-acs-bangladesh@usvisascheduling.com ই-মেইল ঠিকানা ব্যবহারের জন্য বলা হয়েছে।

মন্তব্য

সর্বশেষ সংবাদ