বিগত সরকারের আমলে বিদ্যা ও মেধার স্বীকৃতি ছিল না : ড. দেবপ্রিয়

নিজস্ব প্রতিবেদক
নিজস্ব প্রতিবেদক
শেয়ার
বিগত সরকারের আমলে বিদ্যা ও মেধার স্বীকৃতি ছিল না : ড. দেবপ্রিয়

বিগত সরকারের আমলে বিদ্যা ও মেধার স্বীকৃতি ছিল না মন্তব্য করে নাগরিক প্লাটফর্মের আহ্বায়ক ও সেন্টার পলিসি ডায়লগের (সিপিডি) সম্মানীয় ফেলো ড. দেবপ্রিয় ভট্টাচার্য বলেছেন, চাটুকারদের বেশি মূল্যায়ন করা হয়েছে। তার বড় উদাহরণ সুপ্রিম কোর্ট। 

আরো পড়ুন
ক্যারিবীয় চ্যালেঞ্জে আত্মবিশ্বাসী বাংলাদেশের তরুণরা

ক্যারিবীয় চ্যালেঞ্জে আত্মবিশ্বাসী বাংলাদেশের তরুণরা

 

রবিবার রাজধানীর শেরেবাংলা নগরের বঙ্গবন্ধু আন্তর্জাতিক সম্মেলন কেন্দ্রে সিটিজেন প্ল্যাটফর্ম ফর এসডিজি আয়োজিত নাগরিক সম্মেলনে তিনি এ কথা বলেন। অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন সুপ্রিম কোর্টের প্রধান বিচারপতি সৈয়দ রেফাত আহমেদ।

দেবপ্রিয় ভট্টাচার্য বলেন, সরকার বদল হলেই রাষ্ট্র পরিবর্তন হয় না। যেই মানুষগুলো কষ্টে আছে, তাদের কথা তুলে ধরলে এবং পরিবর্তন নিয়ে আসলেই শাসন ও ব্যবস্থার পরিবর্তন হয়। জুলাই বিপ্লবের প্রতি সম্মান জানাতে হলে আগের সরকারের সময়ের মতো পাচার লুটপাট বন্ধ করতে হবে। সমাজে সুশাসন প্রতিষ্ঠা করতে হবে।

পিছিয়ে পড়া মানুষের মূল্যায়ন করতে হবে। 

আরো পড়ুন
কিরণকে বহনকারী প্রিজনভ্যানে ঝাড়ুপেটা, ডিম ও জুতা নিক্ষেপ

কিরণকে বহনকারী প্রিজনভ্যানে ঝাড়ুপেটা, ডিম ও জুতা নিক্ষেপ

 

তিনি বলেন, সুবিধাবঞ্চিত মানুষদের আগামী দিনে এগিয়ে নেওয়া না হলে ৫ আগস্ট যারা প্রাণ দিয়েছে ও ত্যাগ করেছে, তা কোনো কাজে আসবে না।

এ সময় প্রধান বিচারপতি সৈয়দ রেফাত আহমেদ বলেন, আমরা এক ধ্বংসস্তূপের ওপর দাঁড়িয়ে আছি। বিগত বছরগুলোতে সততার বদলে সততা, অধিকারের বদলে বঞ্চনা, বিচারের বদলে নিপীড়ন, আশ্রয়ের বদলে নির্যাতনকে স্বাভাবিক ঘটনা হিসেবে দেখা হয়েছে।

অথচ এরকম রাষ্ট্র আমরা চাই না। ছাত্র-জনতার বিপ্লব নির্যাতিত ও নিপীড়িত মানুষের পাশে দাঁড়ানোর অপার সুযোগ করে দিয়েছে।

আরো পড়ুন
গ্রামীণ চরিত্র করতেই বেশি পছন্দ করি

গ্রামীণ চরিত্র করতেই বেশি পছন্দ করি

 

অনুষ্ঠানে এসডিজি বিষয়ক মুখ্য সমন্বয়ক লামিয়া মুর্শেদ বলেন, অন্যায় সেখানে হবে, সেখানে সোচ্চার হতে হবে। এসডিজিতে যে অগ্রগতি তুলে ধরা হয়েছে, টা পুনর্বিবেচনা করা হবে বলেও জানান তিনি।

মন্তব্য

একনজরে আজকের কালের কণ্ঠ (১৩ ফেব্রুয়ারি)

অনলাইন ডেস্ক
অনলাইন ডেস্ক
শেয়ার

দুবাই পৌঁছেছেন প্রধান উপদেষ্টা

অনলাইন ডেস্ক
অনলাইন ডেস্ক
শেয়ার
দুবাই পৌঁছেছেন প্রধান উপদেষ্টা
প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ ইউনূস দুবাই পৌঁছালে তাকে স্বাগত জানান আমিরাতের ক্রীড়ামন্ত্রী আহমদ বেলহুল আল ফালাসি । ছবি: সংগৃহীত

ওয়ার্ল্ড গভর্নমেন্টস সামিটে যোগ দিতে দুই দিনের সফরে দুবাই পৌঁছেছেন প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূস। একই অনুষ্ঠানে যোগ দিতে প্রধান উপদেষ্টার সফর সঙ্গী হয়েছেন পররাষ্ট্র উপদেষ্টা এম. তৌহিদ হোসেন, প্রেস সচিব শফিকুল আলম, উপ-প্রেস সচিব আজাদ মজুমদারসহ একটি প্রতিনিধি দল।

বুধবার (১২ ফেব্রুয়ারি) দুবাই স্থানীয় সময় রাত ১১টা ২ মিনিটে তাদের বহনকারী এমিরেটস এয়ারলাইন্সের ইকে-৫৮৭ ফ্লাইট দুবাই আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর টার্মিনাল থ্রিতে অবতরণ করে।

বিমানবন্দরে সংযুক্ত আরব আমিরাতের ক্রীড়ামন্ত্রী আহমদ বেলহুল আল ফালাসি প্রধান উপদেষ্টাকে স্বাগত জানান।

এ সময় সংযুক্ত আরব আমিরাতে বাংলাদেশের রাষ্ট্রদূত তারেক আহমেদ এবং ঢাকায় আমিরাতের রাষ্ট্রদূত আব্দুল্লাহ আলি খাসাইফ আল হামুদি, দুবাই কনস্যুলেটের কনসাল জেনারেল রাশেদুজ্জামান উপস্থিত ছিলেন।

এর আগে বুধবার ঢাকা থেকে সন্ধ্যা ৭টা ৪৫ মিনিটে প্রধান উপদেষ্টাকে বহনকারী বিমান হজরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর ত্যাগ করে।

বৃহস্পতিবার তিনি সামিটে অংশ নেবেন। সম্মেলনে বৈশ্বিক বিভিন্ন চ্যালেঞ্জ মোকাবিলা ও বৈশ্বিক বিভিন্ন ইস্যুতে বাংলাদেশের অবস্থান তুলে ধরার কথা রয়েছে প্রধান উপদেষ্টার।

এবারের সম্মেলনে বিশ্বের অন্তত ৩০ দেশের রাষ্ট্র ও সরকারপ্রধান অংশ নেবেন। ৮০টির বেশি আন্তর্জাতিক সংস্থা, ১৪০টি সরকারি প্রতিনিধি দল, ৬ হাজারের বেশি অংশগ্রহণকারী ও শীর্ষস্থানীয় বিশেষজ্ঞরা উপস্থিত থাকবেন। 

সফর শেষে আগামী শুক্রবার (১৪ ফেব্রুয়ারি) প্রধান উপদেষ্টার এমিরেট্স এয়ারলাইন্সের একটি বিশেষ ফ্লাইটে দেশে ফেরার কথা রয়েছে।

মন্তব্য

আহত শিক্ষার্থীর মৃত্যু : আ. লীগ নিষিদ্ধের দাবিতে ছাত্র-জনতার কফিন মিছিল

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিনিধি
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিনিধি
শেয়ার
আহত শিক্ষার্থীর মৃত্যু : আ. লীগ নিষিদ্ধের দাবিতে ছাত্র-জনতার কফিন মিছিল
সংগৃহীত ছবি

গাজীপুরে মুক্তিযুদ্ধবিষয়ক সাবেক মন্ত্রী আ ক ম মোজাম্মেল হকের বাড়িতে হামলায় বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সক্রিয় সদস্য আবুল কাশেম (১৭) মারা গেছে। এ ঘটনায় দায়ীদের বিচার এবং আওয়ামী লীগ নিষিদ্ধের দাবিতে কফিন মিছিল করেছে ছাত্র-জনতা। 

গতকাল বুধবার বিকেল ৩টার দিকে ঢাকা মেডিক্যাল কলেজ (ঢামেক) হাসপাতালের নিবিড় পরিচর্যা কেন্দ্রে (আইসিইউ) চিকিৎসাধীন অবস্থায় মৃত্যু হয় আবুল কাশেমের। সে গাজীপুরের বোর্ডবাজারের দক্ষিণ কলমেশ্বর এলাকার মৃত জামাল হোসেনের ছেলে।

রাত ৯টায় কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারে তার জানাজা অনুষ্ঠিত হয়। জানাজা শেষে আওয়ামী লীগের বিচার ও রাজনৈতিক দল হিসেবে নিষিদ্ধের দাবিতে কফিন মিছিল করে ছাত্র-জনতা। মিছিলটি শাহবাগে যাওয়ার পর এক সংক্ষিপ্ত সমাবেশ হয়। সেখানে আওয়ামী লীগ নিষিদ্ধ এবং জুলাই গণহত্যার জন্য দলটির দায়িত্বশীলদের বিচারের দাবি জানানো হয়।
 

আবুল কাশেমের জানাজায় বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের মুখপাত্র হাসনাত আবদুল্লাহ, জাতীয় নাগরিক কমিটির সদস্যসচিব আখতার হোসেনসহ বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের নেতারা উপস্থিত ছিলেন। 

এ সময় হাসনাত আবদুল্লাহ বলেন, ‘জাতিসংঘের প্রতিবেদনে হাসিনা হত্যাকাণ্ডের সঙ্গে সরাসরি জড়িত সেটা প্রকাশিত হয়েছে। ছয় মাস পরেও বিপ্লবীদের শহীদ হওয়ার ঘটনা এ দেশে ফ্যাসিবাদবিরোধী দলগুলোর জন্য সামগ্রিক ব্যর্থতা। সরকার এখন পর্যন্ত আওয়ামী লীগকে নিষিদ্ধ করতে পারেনি।

তিনি বলেন, ‘বিগত সময়ে শেখ হাসিনা দেশের সার্বভৌমত্ব বিকিয়ে এ দেশকে ভাড়া দিয়ে রেখেছিলেন। ৫ আগস্টের বিজয়ের পর এই ভূখণ্ডের দখল আমরা পেয়েছি। দ্রুততম সময়ের মধ্যে আইনি প্রক্রিয়ায় আওয়ামী লীগকে নিষিদ্ধ করে এই ভূখণ্ডের নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে হবে।’

জাতীয় নাগরিক কমিটির সদস্যসচিব আখতার হোসেন বলেন, ‘এ দেশে আওয়ামী লীগের রাজনীতি করার আর বিন্দুমাত্র অধিকার নেই। আওয়ামী লীগ যদি অপ্রীতিকর ঘটনা ঘটানোর চেষ্টা করে, তবে শেষ রক্তবিন্দু পর্যন্ত লড়ে যাব।

সরকারের কাছে আবেদন, আর কোনো নয়ছয় নয়, আওয়ামী লীগের রাজনীতিকে চিরতরে নিষিদ্ধ ঘোষণা করতে হবে।’

বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সদস্যসচিব আরিফ সোহেল বলেন, ‘আমরা জুলাইয়ের একজন সৈনিক বেঁচে থাকলেও আওয়ামী লীগের কবর রচনা করতে লড়াই চালিয়ে যাব। আওয়ামী লীগকে শুধু নিষিদ্ধ করলেই হবে না, যারা বিভিন্নভাবে তাদের পক্ষ নিচ্ছে, প্রত্যেককে চিহ্নিত করে গ্রেপ্তার করতে হবে। যদি সরকার তা না করে বিপ্লবী ছাত্র-জনতা বিপ্লবকে সম্পন্ন করতে সে দায়িত্ব নিজেদের হাতে তুলে নেবে।’

ঢাকা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালের পুলিশ ক্যাম্পের ইনচার্জ (পরিদর্শক) মো. ফারুক বলেন, আহত আবুল কাশেম শহীদ তাজউদ্দীন মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে চিকিত্সাধীন ছিল। পরে অবস্থার অবনতি হলে তাকে উন্নত চিকিত্সার জন্য গত শুক্রবার রাত ২টায় ঢামেক হাসপাতালে নিয়ে আসা হয়। চিকিৎসাধীন অবস্থায় তার মৃত্যু হয়েছে। 

বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের গাজীপুর শাখার মুখপাত্র বশির আহমেদ বলেন, গত শুক্রবার রাতে সাবেক মন্ত্রী আ ক ম মোজাম্মেল হকের বাড়িতে ডাকাতি হচ্ছে এমন সংবাদ পেয়ে সেখানে যান বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের স্থানীয় শিক্ষার্থীরা। সেখানে তাঁরা আওয়ামী লীগ ও এর অঙ্গসংগঠনের নেতাকর্মীদের হামলার শিকার হন। হামলায় ১৫ জন গুরুতর আহত হয়েছিলেন। এর মধ্যে কয়েকজনকে ঢামেক হাসপাতালে পাঠানো হয়। 

পুলিশ জানিয়েছে, হামলার ঘটনায় ২৩৯ জনের নাম উল্লেখসহ আরো ২০০ থেকে ৩০০ জনের বিরুদ্ধে মামলা করা হয়েছে। সম্প্রতি পুলিশের অভিযানে ১২৯ জন আসামিকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে।

‘আমাকে নিয়া যাও’ : ‘আমাকে নিয়া যাও, এখানে ভালো লাগছে না’—এটাই আবুল কাশেমের শেষ কথা ছিল বলে জানিয়েছেন তার চাচাতো ভগ্নিপতি সজীব আহমেদ শাহীন। গত মঙ্গলবার বিকেলে শাহীন ঢামেক হাসপাতালের আইসিইউতে কাশেমকে দেখতে গেলে সে এ কথা বলেছিল। 

ফুফু নাসিমা আক্তার বলেন, ‘বহুত আক্ষেপ নিয়া ছেলেটা বিদায় নিল। কাশেমের বাবার দুই স্ত্রী ছিল। কাশেমের বয়স যখন চার-পাঁচ, তখন নিরুদ্দেশ হন তার মা রেখা আক্তার। এর পর থেকে দাদি আলেকজানের কাছে কাশেম ও তার দুই ভাই-বোন বড় হয়েছে। চার বছর আগে দাদি ও দুই বছর আগে বাবা মারা গেলে ভাই-বোনেরা এতিম হয়ে পড়ে। ৫ আগস্ট শেখ হাসিনার পতনের দিন আত্মহত্যা করে বড় ভাই হাসেম (২৫)। কিছুদিন পর হাসেমের স্ত্রী চলে যায় বাপের বাড়ি। তার পর থেকে ছোট বোন সুরভি (১৩) সৎ বড় ভাইদের সংসারে থাকে। দাদির রেখে যাওয়া বাড়িতে থাকত কাশেম।’

মন্তব্য

বিদেশি সংবাদমাধ্যমে হাসিনার মানবাধিকার লঙ্ঘনের খবর

অনলাইন ডেস্ক
অনলাইন ডেস্ক
শেয়ার
বিদেশি সংবাদমাধ্যমে হাসিনার মানবাধিকার লঙ্ঘনের খবর
সংগৃহীত ছবি

বাংলাদেশে গত বছরের জুলাই আন্দোলনের ঘটনাপ্রবাহ বিশ্লেষণ করে জাতিসংঘের মানবাধিকারবিষয়ক হাইকমিশনারের দপ্তর (ওএইচসিএইচআর) এক প্রতিবেদন দিয়েছে। আজ বুধবার প্রতিবেদনটি প্রকাশিত হয়।

এই প্রতিবেদনে বিগত শেখ হাসিনার নেতৃত্বাধীন আওয়ামী লীগ সরকারের মানবাধিকার লঙ্ঘনের চিত্র উঠে এসেছে। আন্তর্জাতিক গণমাধ্যমগুলো এ বিষয়ে খবর প্রকাশ করেছে।

বিবিসির শিরোনাম— ‘জাতিসংঘ বলছে, বাংলাদেশে বিক্ষোভকারীদের দমন-পীড়ন মানবতাবিরোধী অপরাধ হতে পারে।’

আরো পড়ুন
জাতিসংঘের প্রতিবেদনে র‍্যাব-এনটিএমসি বিলুপ্তির সুপারিশ

জাতিসংঘের প্রতিবেদনে র‍্যাব-এনটিএমসি বিলুপ্তির সুপারিশ

 

খবরে বলেছে, বাংলাদেশের সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ও তার সরকার ক্ষমতায় টিকে থাকার জন্য পরিকল্পিত ও প্রাণঘাতী সহিংসতার আশ্রয় নিয়েছিল, যা ‘মানবতাবিরোধী অপরাধ’ হিসেবে বিবেচিত হতে পারে বলে জানিয়েছে জাতিসংঘ। জাতিসংঘের মানবাধিকার তদন্তকারীরা গণবিক্ষোভের বিরুদ্ধে ক্ষমতাচ্যুত সরকারের নৃশংস দমন-পীড়নের অভিযোগ এনেছেন, যেখানে তাদের মতে নিরাপত্তা বাহিনীর হাতে প্রায় এক হাজার ৪০০ জন নিহত হয়েছেন।’

আল জাজিরার শিরোনাম— ‘বাংলাদেশের বিগত সরকার মানবতাবিরোধী অপরাধের জন্য দায়ী হতে পারে, এমনটি বলছে জাতিসংঘ।

খবরে বলেছে, ‘বাংলাদেশে গত বছরের ১ জুলাই থেকে ১৫ আগস্টের মধ্যে ঘটে যাওয়া ঘটনার তদন্ত প্রতিবেদন প্রকাশ করে জাতিসংঘের মানবাধিকার দপ্তর জানিয়েছে যে, তাদের কাছে যুক্তিসঙ্গত প্রমাণ রয়েছে যে ওই সময়ে হত্যা, নির্যাতন, আটক এবং অন্যান্য অমানবিক কার্যকলাপের মাধ্যমে মানবতাবিরোধী অপরাধ সংঘটিত হয়েছে।’

রয়টার্সের শিরোনাম— ‘বাংলাদেশে বিক্ষোভ দমন অভিযানে গুরুতর মানবাধিকার লঙ্ঘনের প্রতিবেদন দিয়েছে জাতিসংঘ।’

খবরে বলেছে, ‘বাংলাদেশের বিগত সরকার ও নিরাপত্তা বাহিনীর কর্মকর্তারা গত বছর আন্দোলনকারীদের বিরুদ্ধে পরিকল্পিতভাবে গুরুতর মানবাধিকার লঙ্ঘন করেছিলেন— এমনটি জানিয়েছেন জাতিসংঘের মানবাধিকার প্রধান।’

ফ্রান্স২৪ এর শিরোনাম— ‘বাংলাদেশের সাবেক সরকার মানবতাবিরোধী অপরাধের জন্য দায়ী হতে পারে, বলছে জাতিসংঘ।

খবরে বলেছে, গত আগস্টে অভ্যুত্থানে ক্ষমতাচ্যুত হন সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। ক্ষমতাচ্যুত হওয়ার আগে তার সরকার বিক্ষোভকারীদের ওপর দমন-পীড়ন চালিয়েছিল, যার মধ্যে শত শত বিচারবহির্ভূত হত্যাও অন্তর্ভুক্ত ছিল বলে জানিয়েছে জাতিসংঘ। জাতিসংঘের মানবাধিকার দপ্তর (ওএইচসিএইচআর) জানায়, তাদের কাছে ‘যুক্তিসঙ্গত প্রমাণ’ রয়েছে যে সেখানে হত্যা, নির্যাতন, আটক এবং অন্যান্য অমানবিক কর্মকাণ্ডের মাধ্যমে মানবতাবিরোধী অপরাধ সংঘটিত হয়েছে। 

বুধবার জেনেভায় বাংলাদেশে জুলাই-আগস্টের অভ্যুত্থানে মানবাধিকার লঙ্ঘনের বিষয়ে তথ্যানুসন্ধান প্রতিবেদন প্রকাশ উপলক্ষে এক সংবাদ সম্মেলনের আয়োজন করা হয়। এতে প্রতিবেদনের নানা তথ্য তুলে ধরেন জাতিসংঘের মানবাধিকারবিষয়ক হাইকমিশনার ভলকার তুর্ক।

প্রাসঙ্গিক
মন্তব্য

সর্বশেষ সংবাদ