দক্ষিণ কোরিয়ার বিশ্বখ্যাত প্রতিষ্ঠান ইয়াংওয়ান করপোরেশনের চেয়ারম্যান কিহাক সাংকে সম্মানসূচক নাগরিকত্ব দিয়েছে বাংলাদেশের অন্তর্বর্তী সরকার। বাংলাদেশের শিল্প ও অর্থনীতির বিকাশে অসামান্য অবদান রাখার স্বীকৃতিস্বরুপ তাকে এই সম্মাননা দেওয়া হয়েছে।
বুধবার (৯ এপ্রিল) রাজধানীর সিটি হোটেলে বাংলাদেশ বিনিয়োগ সম্মেলনে কিহাককে নাগরিকত্ব সনদ তুলে দেন প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ ইউনূস। এ সময় কিহাকসহ মোট পাঁচ ব্যক্তি ও প্রতিষ্ঠানকে এ সম্মাননা দেওয়া হয়।
এর আগে, গত শতাব্দীর মাঝামাঝিতে প্রথমবারের মতো বাংলাদেশে এসেছিলেন কিহাক। বাংলাদেশের তৈরি পোশাক খাত (আরএমজি) ও টেক্সটাইল খাতের বিকাশে অগ্রণী ভূমিকা রেখেছিলেন তিনি।
এই খাতগুলোতে প্রথমবারের মতো বিনিয়োগ করেছিলেন তিনি। পরবর্তীতে তাকে অনুসরণ করে অনেক কোরিয়ান বাংলাদেশের অর্থনীতিতে বিনিয়োগ করেন।
তৈরি পোশাক ও টেক্সটাইল খাতে ইয়াংওয়ান করপোরেশনের পাশাপাশি অন্যান্য কোম্পানিও চট্রগ্রাম ইপিজেড, ঢাকা ইপিজেড ও কোরিয়ান ইপিজেডে বিনিয়োগ করে। ফলে দেশের অর্থনীতিতে সুবাতাস বইতে শুরু করে। সক্রিয় হয়ে ওঠে অর্থনৈতিক অঞ্চল বা ইপিজেডগুলো।
এই সম্মাননা পেয়ে কিহাক বলেন, ‘সম্মানসূচক নাগরিকত্ব পেয়ে আমি খুবই সম্মানিত বোধ করছি।
এছাড়াও বিনিয়োগে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখার জন্য ফেব্রিক লাগবে কোম্পানি, ওয়াল্টন, বিকাশ ও স্কয়ার ফার্মাসিউটিক্যালসকে ‘এক্সিলেন্স ইন ইনভেস্টমেন্ট’ পুরষ্কার তুলে দেন প্রধান উপদেষ্টা।
এ সময় বিভিন্ন খাতে বিনিয়োগ প্রসঙ্গে দেশি-বিদেশি বিনিয়োগকারীদের মতামত জানতে বাংলাদেশের আগ্রহের কথা তুলে ধরে বক্তব্য দেন বাংলাদেশে যুক্তরাজ্যের বাণিজ্যদূত ব্যারোনেস রোজি, ইন্ডিটেক্সের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা অস্কার গার্সিয়া মাসিরাস ও অ্যাপেক্স ফুটওয়্যারের ব্যবস্থাপনা পরিচালক সৈয়দ নাসিম মনজুর।
পুরষ্কার ও সম্মাননা প্রদান অনুষ্ঠানে আরও উপস্থিত ছিলেন অন্তর্বর্তী সরকারের অর্থ উপদেষ্টা ড. সালেহউদ্দিন আহমেদ, পররাষ্ট্র উপদেষ্টা তৌহিদ হোসেন, বাণিজ্য উপদেষ্টা শেখ বশিরউদ্দীন, আইন উপদেষ্টা ড. আসিফ নজরুল, বাংলাদেশের বিনিয়োগ উন্নয়ন কর্তৃপক্ষের (বিডা) নির্বাহী চেয়ারম্যানসহ অনেকে।