জুলাই হত্যা : কোনো মামলারই প্রতিবেদন দেয়নি পুলিশ

অনলাইন ডেস্ক
অনলাইন ডেস্ক
শেয়ার
জুলাই হত্যা : কোনো মামলারই প্রতিবেদন দেয়নি পুলিশ
সংগৃহীত ছবি

জুলাই হত্যাসহ রাজনৈতিক বিভিন্ন ঘটনায় ঢাকায় হওয়া কোনো মামলারই তদন্ত প্রতিবেদন দিতে পারেনি পুলিশ। আদালতে নিয়মিত হাজিরা চললেও মামলায় নেই দৃশ্যমান অগ্রগতি। এমন কী, রিমান্ডের তথ্যও কেস ডাইরিতে সুস্পষ্টভাবে উল্লেখ করা হচ্ছে না বলে জানিয়েছেন আইনজীবীরা। তবে রাষ্ট্রপক্ষের দাবি, স্বাভাবিকভাবেই চলছে মামলার কার্যক্রম।

অভ্যুত্থানকারীরা জানান, মামলা বাণিজ্য ও বিচারহীনতার সংস্কৃতির পুনরাবৃত্তি দেখতে চান না তারা।

এখন পর্যন্ত একটি মামলারও তদন্ত প্রতিবেদন দাখিল করতে পারেনি পুলিশ। অনেক ক্ষেত্রে বাদির সঙ্গে যোগাযোগও করেননি তদন্ত কর্মকর্তা। এরমধ্যে এজাহার থেকে নাম প্রত্যাহারে একের পর এক আবেদন জমা পড়ছে আদালতে।

এমন বাস্তবতায় এসব মামলার ভবিষ্যত নিয়ে প্রশ্ন তুলছেন আইনজীবীরা। 

আরো পড়ুন

ট্রাক-পিকআপ সংঘর্ষ, প্রাণ গেল চালকের

ট্রাক-পিকআপ সংঘর্ষ, প্রাণ গেল চালকের

 

জুলাই-আগস্টে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র-জনতার আন্দোলন দমাতে নির্বিচার গুলিতে প্রাণ হারিয়েছেন অসংখ্য মানুষ। অঙ্গহানিসহ আহত হয়েছে প্রায় ২০ হাজার। এসব ঘটনায় মামলা হলেও ৪ থেকে ৫ মাসেও বিচারে নেই তেমন অগ্রগতি।

 

আইনজীবী ও বিএনপির সহ-আইন বিষয়ক সম্পাদক জয়নুল আবেদীন মেজবাহ বলেন, আমাদের জানা মতে একটা আসামিরও ১৬৪ ধারার জবানবন্দিতে ঘটনা স্বীকার করে জবানবন্দি দিয়েছেন এমন তথ্য আমাদের কাছে নেই। আবার এই যে রিমান্ডে চলছে গ্রেপ্তার চলছে এগুলো আদালতের রুটিন মাফিক কাজ। বাদিপক্ষ সঠিকভাবে যদি সেই প্রমাণ করতে না পারেন, তাহলে বাংলাদেশে এই যে জুলাই-আগস্টে শহীদ হয়েছেন, তাদের হত্যার বিচার হবে বলে আমি মনে করি না।

আইনজীবী শ্রী প্রাণ নাথ বলেন, তদন্তকারীর তদন্তের পর যে রিপোর্টটা আসে, সেই রিপোর্টে বলা হয় গুরুত্বপূর্ণ তথ্য পাওয়া গেছে কিন্তু কী তথ্য পাওয়া গেছে, এ ধরনের কোনো ব্যাখ্যা তার রিপোর্টের কোথাও নেই।

আরো পড়ুন

শেখ হাসিনাসহ ১১ জনের বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা ট্রাইব্যুনালের

শেখ হাসিনাসহ ১১ জনের বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা ট্রাইব্যুনালের

 

তবে মামলা প্রক্রিয়া স্বাভাবিকভাবেই চলছে বলে মনে করেন ঢাকা মহানগর ও দায়রা জজ আদালতের পাবলিক প্রসিকিউটর ওমর ফারুক ফারুকী।

বিচারে কোনো উদারতা দেখানো হচ্ছে না বলেও জানান পাবলিক প্রসিকিউর।
 
তিনি আরো বলেন, সরকারের উদারনীতি একটা জায়গায় আছে সেটা হলো, এ মামলায় যারা নিরপরাধ তাদের গ্রেপ্তার করা হচ্ছে না। আবার যারা অপরাধী ঘুরে বেড়াচ্ছেন, তাদের আইনের মাধ্যমে মামলায় গ্রেপ্তার করা হচ্ছে। রিমান্ডে যে তথ্য পাওয়া যাচ্ছে সেগুলো প্রকাশ করবেন না তদন্ত কর্মকর্তারা। সেখানে আদালতের নির্দেশনা দেওয়ার কোনো ক্ষমতা নেই। যখন পুলিশ রিপোর্ট আসবে, তখন আদালতের ক্ষমতায় চলে আসবে।    
 
গণঅভ্যুত্থানে নেতৃত্ব দেওয়া ছাত্রনেতারা বলছেন, অভিযোগ গঠনে কালক্ষেপণ, মামলা বাণিজ্য ও বিচারহীনতার সংস্কৃতির পুনরাবৃত্তি দেখতে চান না তারা।

আরো পড়ুন

ডাকসুর গঠনতন্ত্র সংস্কারে একমত ছাত্রসংগঠনগুলো

ডাকসুর গঠনতন্ত্র সংস্কারে একমত ছাত্রসংগঠনগুলো

 


 
বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের আহ্বায়ক হাসনাত আব্দুল্লাহ বলেন, '৪ থেকে ৫ মাস পেরিয়ে গেলেও মামলার কোনো অগ্রগতি আমরা দেখতে পাইনি। একটা মামলারও অভিযোগপত্র দেয়া হয়নি। সেটা অত্যন্ত দুঃখজনক যে আমরা সুবিচার নিশ্চিতের জন্য যে লড়াই সংগ্রাম করছি, সেখানে মামলা হওয়ার জন্য মামলা হওয়া আর সুবিচাার নিশ্চিত হওয়ার জন্য মামলা তার মধ্যে পার্থক্য রয়েছে।'

আমাদের পক্ষ থেকে আহ্বান জানাই যে, 'মামলা কোনো গুরুত্ব নেই সেই মামলা যেন না হয়। আর যে মামলাগুলো গুরুত্ব রয়েছে তার ন্যায় বিচার দেখতে চাই।' ন্যায়বিচার প্রতিষ্ঠায় অন্তর্বর্তী সরকারসহ সংশ্লিষ্টদের যথাযথ উদ্যোগ নেওয়ার আহ্বান তার।

মন্তব্য

সম্পর্কিত খবর

দলগুলো অন্তঃসংঘাত বন্ধ করলে সঠিক সময়ে সংসদ নির্বাচন : উপদেষ্টা মাহফুজ

অনলাইন ডেস্ক
অনলাইন ডেস্ক
শেয়ার
দলগুলো অন্তঃসংঘাত বন্ধ করলে সঠিক সময়ে সংসদ নির্বাচন : উপদেষ্টা মাহফুজ
সংগৃহীত ছবি

অন্তর্বর্তী সরকারের তথ্য ও সম্প্রচার উপদেষ্টা মাহফুজ আলম বলেছেন, রাজনৈতিক দলগুলো অন্তঃসংঘাত বন্ধ করলে সঠিক সময়ে জাতীয় সংসদ নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে।

শুক্রবার (২১ মার্চ) জুলাই অভ্যুত্থানে আহত ও নিহতদের স্মরণে রাজধানীতে নোফেল সোসাইটি আয়োজিত দোয়া ও ইফতার মাহফিলে তিনি এ মন্তব্য করেন।

উপদেষ্টা মাহফুজ আলম বলেন, নির্বাচনের আগে হত্যাকারীদের বিচার ও সংস্কার দৃশ্যমান হবে। ’৭২ ও ’৭৫-এ দিল্লি থেকে আওয়ামী লীগকে ক্ষমতায় বসানো হয় এবং সেখান থেকে তাদের নিয়ন্ত্রণ করা হয়েছে বলে অভিযোগ করেন তিনি।

জুলাই অভ্যুত্থানের পক্ষের শক্তিকে অন্তঃকোন্দলে ব্যস্ত না থেকে সবাইকে এক থাকার আহ্বানও জানান তথ্য উপদেষ্টা।

মন্তব্য

বিমসটেক সম্মেলনের ফাঁকে ইউনূস-মোদি বৈঠকের সম্ভাবনা ‘ক্ষীণ’

অনলাইন ডেস্ক
অনলাইন ডেস্ক
শেয়ার
বিমসটেক সম্মেলনের ফাঁকে ইউনূস-মোদি বৈঠকের সম্ভাবনা ‘ক্ষীণ’
সংগৃহীত ছবি

বাংলাদেশের অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূস ও ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি আগামী মাসে থাইল্যান্ডে অনুষ্ঠিতব্য বিমসটেকের শীর্ষ সম্মেলনে যোগ দেবেন। সেখানে দুই দেশের প্রধানের দেখা হওয়ার সুযোগ থাকলেও আনুষ্ঠানিক বৈঠকের সম্ভাবনা কম বলে জানিয়েছে ভারতীয় সংবাদমাধ্যম হিন্দুস্তান টাইমস। গতকাল বৃহস্পতিবার সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিদের বরাতে এ খবর জানিয়েছে সংবাদমাধ্যমটি।

ষষ্ঠ বিমসটেক সম্মেলনে যোগ দিতে দুই নেতার ২ এপ্রিল থেকে ৪ এপ্রিল ব্যাংকক সফর করার কথা রয়েছে।

সম্মেলনের ফাঁকে দুই দেশের সরকারপ্রধানের বৈঠকের জন্য দিল্লিকে আনুষ্ঠানিক অনুরোধ করেছে ঢাকা। গতকাল ভারতীয় সংবাদমাধ্যম এএনআইকে এ তথ্য জানিয়েছিলেন বাংলাদেশের অন্তর্বর্তী সরকারের পররাষ্ট্র উপদেষ্টা তৌহিদ হোসেন।

নাম প্রকাশ না করার শর্তে বিষয়টির সঙ্গে সম্পৃক্ত তিনজন ব্যক্তি হিন্দুস্তান টাইমসকে বলেছেন, দ্বিপাক্ষিক সম্পর্কের বর্তমান অবস্থা দুই দেশের শীর্ষ নেতৃত্বের মধ্যে বৈঠকের জন্য অনুকূল নয়।

তাদের একজন অবশ্য বলেন, ‘সাক্ষাৎ বা শুভেচ্ছা বিনিময়ের সম্ভাবনা উড়িয়ে দেওয়া যায় না।

কারণ শীর্ষ সম্মেলনে অংশগ্রহণকারী সকল নেতা বেশ কয়েকবার একে অপরের সঙ্গে থাকবেন। তবে এর চেয়ে বেশি কিছু আশা করা যায় না।’

আরেকজন বলেন, ‘আনুষ্ঠানিক বৈঠক করা কঠিন বলে মনে হচ্ছে। বিশেষ করে যখন ঢাকায় অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের কেউ কেউ প্রায়ই ভারতের বিরুদ্ধে কথা বলছেন।

এই পরিস্থিতি বৈঠকের জন্য উপযুক্ত নয়।’

বৃহস্পতিবার এএনআইকে পররাষ্ট্র উপদেষ্টা মো. তৌহিদ হোসেন বলেন, ‘বিমসটেক শীর্ষ সম্মেলনের ফাঁকে দুই নেতার মধ্যে দ্বিপক্ষীয় বৈঠক আয়োজনের চেষ্টা চলছে। এ নিয়ে আমরা ভারতের সঙ্গে কূটনৈতিক যোগাযোগ করেছি।’

এদিকে, আগামী ২৮ মার্চ চীনের প্রেসিডেন্ট শি জিন পিংয়ের সঙ্গে সাক্ষাতের কথা রয়েছে প্রধান উপদেষ্টা ড. ইউনূসের।

এর আগে, ফেব্রুয়ারিতে ওমানের রাজধানী মাস্কাটে ৮ম ভারত মহাসাগর সম্মেলনের সাইডলাইনে ভারতের পররাষ্ট্রমন্ত্রী এস জয়শঙ্করের সঙ্গে উপদেষ্টা তৌহিদের বৈঠক হয়।

মন্তব্য

ঈদযাত্রায় সড়কপথে শৃঙ্খলায় কঠোর অবস্থানে সরকার

বাসস
বাসস
শেয়ার
ঈদযাত্রায় সড়কপথে শৃঙ্খলায় কঠোর অবস্থানে সরকার
ফাইল ছবি

পবিত্র ঈদুল ফিতর উপলক্ষে সড়ক পথে ঘরমুখো মানুষের যাত্রা নিরাপদ, নির্বিঘ্ন করতে নানা উদ্যোগ নিয়েছে সরকার ও বিভিন্ন সেবাদানকারী প্রতিষ্ঠানগুলো। ঈদ যাত্রা উপলক্ষে নতুন সেতু ও সড়ক খুলে দিয়েছে সরকার। যানজট নিরসন, যাত্রী নিরাপত্তা, টিকিটের অতিরিক্ত দাম ও টিকিট কালোবাজারি বন্ধসহ নানা উদ্যোগ নিয়েছে সংশ্লিষ্ট প্রতিষ্ঠানগুলো।

এবারের ঈদ যাত্রায় অন্যান্য বারের মতো যেন বিড়ম্বনা তৈরি না হয়, সে জন্য সারাদেশে একযোগে কাজ করবে বাংলাদেশ হাইওয়ে পুলিশ।

৩ হাজার ৯৯১ কিলোমিটার মহাসড়কে ১০১৮টি চেকপোস্ট ও টহলে থাকবে হাইওয়ে পুলিশ ও বাংলাদেশ পুলিশের বিভিন্ন ইউনিটের সদস্যরা। ঈদ যাত্রাকে বছরের সবচেয়ে গুরত্বপূর্ণ অনুষ্ঠান হিসেবে দেখছে ঢাকা মহানগর পুলিশের ট্রাফিক বিভাগ।

ঈদ উপলক্ষে আগামী ২৫ মার্চ হতে ‘ঈদ স্পেশাল সার্ভিস’ চালু করছে বাংলাদেশ সড়ক পরিবহন কর্পোরেশন (বিআরটিসি)। ২০ মার্চ হতে বিআরটিসি’র ডিপো থেকে অগ্রিম টিকেট বিক্রি শুরু হয়েছে এবং আগামী ৫ এপ্রিল পর্যন্ত ঈদ সার্ভিসের বাস চলাচল করবে।

সঙ্গে বাস রিজার্ভের সুবিধাও রেখেছে বিআরটিসি।

সড়কপথে ঈদযাত্রাকে নির্বিঘ্ন ও নিরাপদ করতে সারাদেশে ব্যাপক প্রস্তুতি নিয়েছে বাংলাদেশ পুলিশের হাইওয়ে ও ঢাকা মহানগর পুলিশের ট্রাফিক বিভাগ। সারাদেশে তাদের কাজকে আরো গতিশীল করতে সড়ক-মহাসড়কে কাজ করবে জেলা পুলিশ, যা অন্যান্যবারের চেয়ে ব্যতিক্রম। আর ঈদে যাত্রী পরিবহনের সুবিধার্থে ঢাকার মূল সড়কগুলোয় ট্রাক চলাচল বন্ধ রাখবে ঢাকা মহানগর পুলিশের ট্রাফিক বিভাগ।

সারাদেশের ৩ হাজার ৯৯১ কিলোমিটার মহাসড়কে নিরাপত্তা জোরদার করার লক্ষ্যে হাইওয়ে পুলিশ ৩৭৭টি চেকপোস্ট এবং জেলা পুলিশ ১১৪টি চেকপোস্ট ও ৫২৭টি টহল দল পরিচালনা করবে।

যানজট নিরসনে সারাদেশে ৬৪টি ‘ব্লাক স্পট’ চিহ্নিত করেছে হাইওয়ে পুলিশ। এসব এলাকায় পুলিশের অতিরিক্ত সদস্য কাজ করবে। এছাড়া যেসব এলাকায় সংস্কার কাজ ও বাজারের জন্য যানজট লেগে যায়, সেসব এলাকায় স্থানীয় প্রশাসনকে নিয়ে কাজ করা কথা জানিয়েছে হাইওয়ে পুলিশ। এর পাশাপাশি সড়কের নিরাপত্তা নিশ্চিত ও যানচলাচল নির্বিঘ্ন করতে মোবাইল কোর্ট পরিচালনা করবে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ।

হাইওয়ে পুলিশ জানায়, সারাদেশের চেকপোস্টগুলো লাইভ ভিডিও’র মাধ্যমে কেন্দ্র থেকে পর্যবেক্ষণ করা হবে। পুলিশের ৮টি রেঞ্জের ডিআইজিগণ এসব চেকপোস্ট তদারকি করবেন। ইতোমধ্যে এলেঙ্গা, চট্টগ্রাম হাইওয়ে, মহিপাল ও নোয়াখালীসহ সড়কে ডাকাতির ঘটনায় অভিযুক্তদের ধরতে সক্ষম হয়েছে পুলিশ। 

ঢাকা মহানগর পুলিশের অতিরিক্ত কমিশনার (ট্রাফিক) খোন্দকার নাজমুল হাসান বাসস’কে বলেছেন, ঢাকা থেকে যেন বাস সহজে বের হতে পারে সেজন্য আমরা নানা উদ্যোগ নিয়েছি। ঢাকায় প্রবেশ ও বহির্গমনে যেন কোনো প্রতিবন্ধকতা তৈরি না হয় সেজন্য আমরা ব্যবস্থা নিয়েছি। যাত্রী পরিবহনের সুবিধার্থে ঈদের তিন দিন আগে থেকে সড়কে ট্রাক-লরি চলাচল নিষিদ্ধ থাকবে। প্রয়োজনে এক টনের পিকআপ ট্রাকগুলোর চলাচলও বন্ধ করে দেওয়া হবে। 

বাংলাদেশ হাইওয়ে পুলিশের প্রধান ও অতিরিক্ত পুলিশ মহাপরিচালক মো. দেলোয়ার মিঞা বাসস’কে বলেছেন, এবারের ঈদে আমরা যাত্রীদের নিরাপত্তা নিশ্চিতে কাজ করে যাবো। একইসাথে যানজট নিরসনে আমরা কাজ করছি। যাত্রীদের মধ্যে নিরাপত্তার কোনো শঙ্কা যেন না থাকে সেজন্য আমরা সারাদেশের মহাসড়কে টহল, চেকপোস্টসহ নিরাপত্তা জোরদার করছি। এবার সুন্দর ঈদ যাত্রা নিশ্চিত করার বিষয়ে আমরা আশাবাদী।

প্রাসঙ্গিক
মন্তব্য

লিবিয়া প্রবাসীদের জন্য দূতাবাসের জরুরি বার্তা

অনলাইন ডেস্ক
অনলাইন ডেস্ক
শেয়ার
লিবিয়া প্রবাসীদের জন্য দূতাবাসের জরুরি বার্তা
সংগৃহীত ছবি

লিবিয়ায় সাম্প্রতিক সময়ে অবৈধ অভিবাসনের সংখ্যা ব্যাপক হারে বৃদ্ধি পাওয়ায় স্থানীয় জনগণের মধ্যে তীব্র অসন্তোষ ও উদ্বেগের সৃষ্টি হয়েছে। এই পরিস্থিতিতে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমসহ বিভিন্ন প্ল্যাটফর্মে অভিবাসন-বিরোধী মনোভাব প্রকাশ পাচ্ছে, পাশাপাশি লিবিয়ার বিভিন্ন শহরে বিক্ষোভ ও প্রতিবাদ কর্মসূচি পালিত হচ্ছে। উদ্ভূত পরিস্থিতি মোকাবেলায় লিবিয়া সরকার সীমান্ত নিরাপত্তা জোরদার, শহরের প্রবেশপথ ও প্রধান সড়কগুলোতে কঠোর তদারকি, অবৈধ অভিবাসীদের প্রত্যাবাসন এবং মানবপাচার চক্রের বিরুদ্ধে অভিযান তীব্র করার নির্দেশ জারি করেছে। 

এরই ধারাবাহিকতায় লিবিয়ার আইনশৃঙ্খলা বাহিনী অবৈধ অভিবাসীদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা গ্রহণ শুরু করেছে এবং বিভিন্ন শহরে তাদের আটকের খবর পাওয়া যাচ্ছে।

বিশেষ করে রমজান মাসের পর থেকে অবৈধ অভিবাসীদের ব্যাপক আকারে আটক এবং প্রত্যাবাসন কার্যক্রম শুরু হওয়ার আশঙ্কা রয়েছে।

শুক্রবার (১২ মার্চ) লিবিয়ায় বাংলাদেশ দূতাবাসের ফেসবুক পেজে এক পোস্টে এ তথ্য জানানো হয়।

পোস্টে বলা হয়, এমন পরিস্থিতিতে লিবিয়ায় বসবাসরত সকল প্রবাসী বাংলাদেশিকে প্রয়োজনীয় সতর্কতা অবলম্বনের পরামর্শ দেওয়া হচ্ছে। প্রবাসীদের চলাফেরা সীমিত রাখা, নিজের পাসপোর্ট ও নিয়োগকর্তার আইডি কার্ড সবসময় সঙ্গে রাখা এবং নিয়োগকর্তা ও স্থানীয় কয়েকজন লিবিয়ান শুভাকাঙ্ক্ষীর সঙ্গে সার্বক্ষণিক যোগাযোগ বজায় রাখা জরুরি।

এছাড়া অহেতুক বাহিরে বা বাজারে দলবেঁধে ঘোরাঘুরি ও জনসমাগম এড়িয়ে চলা, প্রতিবেশী ও স্থানীয় জনগণের সঙ্গে সৌহার্দ্যপূর্ণ আচরণ বজায় রাখা এবং আবাসস্থল যথাসম্ভব পরিষ্কার-পরিচ্ছন্ন রাখা উচিত। একইসঙ্গে প্রবাসীদের লিবিয়ার আইন, রীতিনীতি, সংস্কৃতি ও ধর্মীয় মূল্যবোধের প্রতি সর্বোচ্চ সম্মান প্রদর্শন করা প্রয়োজন। জরুরি প্রয়োজনে প্রবাসীদের বাংলাদেশ দূতাবাসের সঙ্গে যোগাযোগ রাখার আহ্বান জানিয়েছে দূতাবাস।

উল্লেখ্য, বাংলাদেশ ও লিবিয়া দুটি ভ্রাতৃত্বপূর্ণ মুসলিম দেশ এবং দুই দেশের দ্বিপাক্ষিক সম্পর্ক দীর্ঘদিন ধরে সুদৃঢ়।

লিবিয়ায় প্রবাসী বাংলাদেশিরা সার্ভিস সেক্টর, স্বাস্থ্য, নির্মাণ ও অবকাঠামো খাতে দক্ষতা ও নিষ্ঠার মাধ্যমে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রেখে আসছেন। ফলে বাংলাদেশিরা লিবিয়ার সাধারণ জনগণ, নিয়োগকর্তা এবং সরকারের আস্থা অর্জন করতে সক্ষম হয়েছেন। এই প্রেক্ষাপটে বাংলাদেশ দূতাবাস লিবিয়া সরকারের বিশেষত পররাষ্ট্র, স্বরাষ্ট্র ও শ্রম মন্ত্রণালয়ের সঙ্গে ইতোমধ্যে বৈঠক করে প্রবাসীদের সুরক্ষা নিশ্চিত করার জন্য পদক্ষেপ গ্রহণ করেছে।

এছাড়াও দূতাবাস লিবিয়ার সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের সঙ্গে সার্বক্ষণিক যোগাযোগ রক্ষা করে প্রবাসী বাংলাদেশিদের নিরাপত্তা ও কল্যাণ নিশ্চিত করতে সচেষ্ট রয়েছে।

প্রাসঙ্গিক
মন্তব্য

সর্বশেষ সংবাদ