দুধের সঙ্গে যা মেশালে ঘুম আসবে তাড়াতাড়ি

জীবনযাপন ডেস্ক
জীবনযাপন ডেস্ক
শেয়ার
দুধের সঙ্গে যা মেশালে ঘুম আসবে তাড়াতাড়ি
সংগৃহীত ছবি

সুস্থ থাকতে হলে একটু স্বাস্থ্যের প্রতি মনোযোগী হতে হয়। আজকাল যেন সকলের কাছে সেটাই বড় চ্যালেঞ্জ হয়ে দাঁড়িয়েছে। দৈনন্দিন ব্যস্ততার মাঝে ঠিক সময়ে অনেকেই খাবার খান না। এই পরিস্থিতিতে কেউ কেউ সুস্থ থাকার জন্য নিজের ডায়েটে স্বাস্থ্যকর জিনিস অন্তর্ভুক্ত করার চেষ্টা করছেন।

অস্বাস্থ্যকর জীবনযাপনের জন্য আজকাল অনেকের মন চঞ্চল হয়ে যাচ্ছে। কারো কারো রাতেও ঘুম আসছে না। এই পরিস্থিতিতে রাতের বেলা দুধের সঙ্গে একটি জিনিস মিশিয়ে খেলেই হবে সমাধান। কেউ যদি রাতের বেলা ঘুমানোর আগে দুধের সঙ্গে মাখানা মিশিয়ে খান তাহলে অনেক উপকার পাবেন।

আরো পড়ুন
আমলকী চায়ের যত গুণ

আমলকী চায়ের যত গুণ

 

মাখানার পুষ্টিগুণ

মাখানাকে সুপার ফুড হিসেবে বিবেচনা করা হয়। কারণ এটি প্রোটিন, ক্যালসিয়াম, অ্যান্টি-অক্সিডেন্ট ও ফাইবার সমৃদ্ধ। আর মাখানা দুধের সঙ্গে মেশানো হলে এর উপকারিতা আরো বেড়ে যায়। ভালো ঘুম এবং সম্পূর্ণ পুষ্টির জন্য মাখানা একটি দুর্দান্ত খাবার।

রাতে ঘুমাতে যাওয়ার আগে মাখানা দুধ পান করলে যে কারো ঘুমের মান উন্নত হতে পারে। একই সময়ে তা স্বাস্থ্যের জন্যও উপকারী। তবে কিছু কিছু মানুষের জন্য তা খাওয়া অতটা ভালো নয়। নিম্নে এ বিষয়ে আলোচনা করা হলো।

আরো পড়ুন
স্বাস্থ্যকর চিকেন সালাদ, রাখতে পারেন ইফতারে

স্বাস্থ্যকর চিকেন সালাদ, রাখতে পারেন ইফতারে

 

মাখানা দুধ পানের উপকারিতা

মাখানায় সেরোটোনিন ও ট্রিপটোফ্যান নামক যৌগ পাওয়া যায়।

যা মানসিক চাপ কমায়। ঘুম ভালো হয়। রাতে এটি পান করলে মন শান্ত থাকে। অনিদ্রার সমস্যা কমে।

মাখানা ও দুধ দুটোই ক্যালসিয়াম ও ফসফরাসের ভালো উৎস। এটি হাড় ও জয়েন্টগুলোকে শক্তিশালী করে। বয়সের সঙ্গে সঙ্গে দেখা দেওয়া হাড়ের সমস্যা প্রতিরোধে সহায়তা করে।

পরিপাকতন্ত্রের জন্য উপকারী। রাতে মাখানা দুধ পান করলে পরিপাকতন্ত্র ঠিক থাকে। এতে উপস্থিত ফাইবার কোষ্ঠকাঠিন্যের সমস্যা দূর করে পেট পরিষ্কার রাখে।

আরো পড়ুন
কানের ফুটো ছোট করবেন যেভাবে

কানের ফুটো ছোট করবেন যেভাবে

 

ডায়াবেটিস ও হার্টের জন্য ভালো। মাখানায় কম গ্লাইসেমিক সূচক রয়েছে। যা ডায়াবেটিক রোগীদের জন্য নিরাপদ। এটি কোলেস্টেরল কমাতে এবং হার্টের ধমনি পরিষ্কার রাখতে সাহায্য করে।

মাখানা ত্বক ও চুলের জন্য উপকারী। এতে থাকা অ্যান্টি-অক্সিডেন্ট ও অ্যামিনো এসিড ত্বককে উজ্জ্বল করে তোলে। চুল বাড়ে। চুলের স্বাস্থ্য ভালো হয়। এটি বার্ধক্য প্রক্রিয়া ধীর করতে সহায়তা করে।

মাখানাযুক্ত দুধ পান করার অপকারিতা

পেট ফুলে যেতে পারে। মাখানায় ফাইবার বেশি থাকে, তাই এটি বেশি পরিমাণে খেলে পেট ভারী বা ফোলাভাব অনুভূত হতে পারে।

আরো পড়ুন
প্রতিদিনের যে ৬ ভুলে ক্ষতিগ্রস্ত হয় স্নায়ুতন্ত্র

প্রতিদিনের যে ৬ ভুলে ক্ষতিগ্রস্ত হয় স্নায়ুতন্ত্র

 

অ্যালার্জি হতে পারে। কারো কারো মাখানায় অ্যালার্জি হতে পারে, যা ত্বকে ফুটে উঠতে পারে বা পেটের সমস্যা সৃষ্টি করতে পারে।

কেউ যদি ওজন কমানোর কথা ভেবে মাখানা খান, তাহলে খেতে পারেন। মাখনায় ক্যালরি কম থাকে। তবে যদি বেশি পরিমাণে দুধের সঙ্গে কেউ মাখানা খায়, তাহলে ওজন বেড়ে যেতে পারে।

মাখানা দুধ কিভাবে তৈরি করবেন

একটি প্যানে ঘি গরম করে তাতে মাখানা যোগ করুন এবং হালকাভাবে ভাজুন। এরপর মাখনাটি ব্লেন্ড করে নিন। একটি প্যানে দুধ গরম করে তাতে এলাচ গুঁড়া ও কুচি করা ড্রাই ফ্রুটস দিন। এ বার দুধে মাখনা যোগ করুন এবং ৩-৪ মিনিটের জন্য কম আঁচে রান্না করুন। মধু যোগ করতে পারেন। এটি গরম গরম পান করা ভালো।

আরো পড়ুন
ওয়াই-ফাইয়ের তরঙ্গ কি স্বাস্থ্যের জন্য ক্ষতিকর?

ওয়াই-ফাইয়ের তরঙ্গ কি স্বাস্থ্যের জন্য ক্ষতিকর?

 

সূত্র : টিভি ৯ বাংলা

প্রাসঙ্গিক
মন্তব্য

সম্পর্কিত খবর

মসলায় ভেজাল আছে কি না, দেখবেন যেভাবে

জীবনযাপন ডেস্ক
জীবনযাপন ডেস্ক
শেয়ার
মসলায় ভেজাল আছে কি না, দেখবেন যেভাবে
সংগৃহীত ছবি

রান্নায় আলাদা মাত্রা যোগ করে মসলা। কিন্তু অনেক সময়ে খেয়াল করে দেখবেন, পর্যাপ্ত মসলা দেওয়ার পরও রান্নায় তেমন স্বাদ আসে না। যার নেপথ্যে থাকতে পারে ভেজাল মশলার কারসাজি। তা ছাড়া রান্নায় ব্যবহৃত মসলা শুধু স্বাদই বাড়ায় না, অনেক ভেষজ গুণও রয়েছে।

তাই মসলা খাঁটি হওয়া জরুরি। বাজার থেকে কেনা মসলা ভেজাল কি না, কিভাবে বুঝবেন? রইল টিপস।

হলুদ গুঁড়া

হলুদে ভেজাল হিসেবে প্রায়ই রঙিন কৃত্রিম পদার্থ মেশানো হয়। পরীক্ষার জন্য সামান্য ভেজা হাতে এক চিমটে হলুদ গুঁড়ো নিয়ে ঘষতে থাকুন।

যদি হাতের রং বেশি উজ্জ্বল হয় তাহলে হলুদ ভেজাল হতে পারে। একইসঙ্গে পানিতে হলুদ মেশালে যদি সঙ্গে সঙ্গে পানির রং পরিবর্তন হয়ে যায় তাহলেও সেই হলুদ খাঁটি নাও হতে পারে।

আরো পড়ুন
স্বাস্থ্যকর চিকেন সালাদ, রাখতে পারেন ইফতারে

স্বাস্থ্যকর চিকেন সালাদ, রাখতে পারেন ইফতারে

 

মরিচের গুঁড়া

আজকাল মরিচের গুঁড়ায় ইটের গুঁড়া বা লাল রং মেশাতে দেখা যায়। এ ক্ষেত্রে পরীক্ষা করতে এক গ্লাস পানিতে মরিচের গুঁড়া মিশিয়ে নাড়তে থাকুন।

যদি তৎক্ষণাৎ পানিতে লাল রং ছড়িয়ে পড়ে, তবে তা ভেজালযুক্ত। অন্যদিকে যদি মরিচের গুঁড়া থিতিয়ে পড়ে পানি স্বচ্ছ থাকে তাহলে সেটি খাঁটি হয়। 

ধনে গুঁড়া

অনেক সময়ে ধনে গুঁড়াতে কাঠের গুঁড়া, রং কিংবা বিভিন্ন ধরনের ভেজাল জিনিস মেশাতে দেখা যায়। এ ক্ষেত্রে সামান্য পরিমাণ ধনে গুঁড়া নিয়ে হাতে ঘষতে থাকুন। যদি অদ্ভুত গন্ধ পান কিংবা রং পরিবর্তন হতে থাকে তাহলে সেটি ভেজাল হতে পারে।

আরো পড়ুন
ওয়াই-ফাইয়ের তরঙ্গ কি স্বাস্থ্যের জন্য ক্ষতিকর?

ওয়াই-ফাইয়ের তরঙ্গ কি স্বাস্থ্যের জন্য ক্ষতিকর?

 

জিরা গুঁড়া

জিরার গুঁড়াতে কৃত্রিম চক পাউডার মেশানো হয়। যা চিহ্নিত করতে এক গ্লাস পানিতে খানিকটা জিরা ফেলুন। যদি কিছু অংশ পানিতে ভেসে থাকে বা পানির রং পরিবর্তন হয়, তবে বুঝবেন এতে ভেজাল আছে।

গোলমরিচ

গোলমরিচের মধ্যে অনেক সময়ে শুকনো পেঁপের বীজ মেশানো হয়। কেনার আগে এক টুকরো গোলমরিচ চেপে দেখে নেবেন। যদি সহজেই ভেঙে যায়, তবে তা ভেজালযুক্ত হতে পারে। এ ছাড়া এক গ্লাস পানিতে সামান্য গোলমরিচ দিন। গোলমরিচ খাঁটি হলে তা পানির নিচে ডুবে থাকবে। আর ভেজাল গোলমরিচ ওপরে ভেসে উঠবে।

আরো পড়ুন
আমলকী চায়ের যত গুণ

আমলকী চায়ের যত গুণ

 

সূত্র : আজকাল

মন্তব্য

খেজুর দিয়েই রোজা ভাঙা হয় কেন

জীবনযাপন ডেস্ক
জীবনযাপন ডেস্ক
শেয়ার
খেজুর দিয়েই রোজা ভাঙা হয় কেন
সংগৃহীত ছবি

ইফতারে খেজুর খাওয়ার রীতি অনেক পুরোনো। কখনো কি ভেবে দেখেছেন কেন রোজা ভাঙার জন্য ইফতারে সবার আগে কেন খেজুরই খাওয়া হয়? মহানবী হজরত মুহাম্মদ (সা.) এর প্রিয় খাবারের একটি ছিল খেজুর। তিনি নিজেও ইফতার করতেন খেজুর দিয়েই। এর পিছনে বৈজ্ঞানিক কারণও আছে।

 

রোজায় দীর্ঘসময় আমরা খাবার ও পানীয় থেকে বিরত থাকি। এতে পুষ্টির অভাবে আমাদের শরীর ক্লান্ত হয়ে পড়ে। তাই শরীরে দ্রুত শক্তি ফিরে পেতে অনেকেই ইফতারে খেজুর খান। সারা দিন না খেয়ে থাকার ফলে আমাদের এমন কিছু খাবারের প্রয়োজন হয়, যা শরীরে পুষ্টি জোগাবে।

সেই সঙ্গে জোগাবে কর্মশক্তিও। এ কারণেই রোজার সময় খেজুরের গুরুত্ব অনেকটাই বেড়ে যায়।

আরো পড়ুন
স্বাস্থ্যকর চিকেন সালাদ, রাখতে পারেন ইফতারে

স্বাস্থ্যকর চিকেন সালাদ, রাখতে পারেন ইফতারে

 

নানা পুষ্টিগুণ সমৃদ্ধ খেজুরে আছে ক্যালরি, প্রোটিন, ক্যালসিয়াম, ফাইবার, আয়রন, ফসফরাস, পটাশিয়ামসহ নানা প্রাকৃতিক উপাদান। এ ছাড়া আর কী উপকারে আসে এই খেজুর।

চলুন, জেনে নেওয়া যাক—

হৃদরোগের ঝুঁকি 

খেজুরে প্রচুর পরিমাণে অ্যান্টি-অক্সিডেন্ট থাকে, যা হৃদরোগের ঝুঁকি কমায়। এ ছাড়া হৃৎপিণ্ডের সবচেয়ে নিরাপদ ওষুধ খেজুর।

ক্যান্সার প্রতিরোধ 

পুষ্টিগুণে সমৃদ্ধ ও প্রাকৃতিক আঁশে পূর্ণ খেজুর ক্যান্সার প্রতিরোধ করে। তাই যারা নিয়মিত খেজুর খান, তাদের ক্যান্সারের ঝুঁকিটাও অনেক কম থাকে।

আরো পড়ুন
ওয়াই-ফাইয়ের তরঙ্গ কি স্বাস্থ্যের জন্য ক্ষতিকর?

ওয়াই-ফাইয়ের তরঙ্গ কি স্বাস্থ্যের জন্য ক্ষতিকর?

 

উচ্চ রক্তচাপ

খেজুরে থাকা আয়রন ও ফাইবার কোলেস্টেরল নিয়ন্ত্রণ করতে পারে।

প্রচুর পটাসিয়াম পাওয়া যায় খেজুর থেকে। এটি উচ্চ রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণে রাখে। এ ছাড়া মাত্র কয়েকটি খেজুর ক্ষুধার তীব্রতা কমিয়ে দেয় এবং পাকস্থলীকে কম খাবার গ্রহণে উদ্বুদ্ধ করে। অল্পতেই শরীরের প্রয়োজনীয় শর্করার ঘাটতি পূরণ করে। 

এনার্জি

খেজুরের পুষ্টিগুণ প্রচুর। সুগারের পরিমাণ এত বেশি থাকে খেজুরে যে এক কামড়েই অনেকটা এনার্জি পাওয়া যায়। এর মধ্যে আয়রন, পটাশিয়াম, ক্যালসিয়াম, ফাইবার, গ্লুকোজ, ম্যাগনেশিয়াম ও সুক্রোজ থাকে। যে কারণে খেজুর খাওয়ার মাত্র ৩০ মিনিটের মধ্যে শরীরে এনার্জি বেড়ে যায়।

এসিডিটি

দীর্ঘক্ষণ না খেয়ে থাকলে সাধারণত এসিডিটি হয়। যার থেকে অস্বস্তি হতে থাকে। খেজুর শরীরে এসিডের মাত্রা বশে রেখে অস্বস্তি কমায়।

আরো পড়ুন
আমলকী চায়ের যত গুণ

আমলকী চায়ের যত গুণ

 

বেশি খাওয়া

সারা দিন না খেয়ে থাকলে খাওয়ার সময় বেশি খেয়ে ফেলার প্রবণতা তৈরি হয়। তাই খেজুর খেয়ে রোজা ভাঙলে এর মধ্যে থাকা জটিল কার্বোহাইড্রেট হজম হতে বেশি সময় নেয়। ফাইবার থাকার কারণে পেট ভরা লাগে। তাই বেশি খাওয়ার আগেই পেট ভরে যায়। 

হজম

অনেকক্ষণ না খেয়ে থাকলে তা পৌষ্টিকতন্ত্রের কার্যকারিতায় ব্যাঘাত ঘটায়। কোষ্ঠকাঠিন্যের সমস্যাও হতে পারে। খেজুর শরীরে উৎসেচক ক্ষরণে সাহায্য করে। ফলে হজম ভালো হয়।

খেজুর হলো রোজা ভাঙার সর্বোত্তম উপায়। তবে ইফতারে যদি খেজুর না পাওয়া যায়, তাহলে পানি  পান করা উচিত। কারণ উভয়ই বিশুদ্ধ ও নিরাময়কারী।

আরো পড়ুন
আলু-পেঁয়াজ একসঙ্গে রাখলে কী ক্ষতি

আলু-পেঁয়াজ একসঙ্গে রাখলে কী ক্ষতি

 
মন্তব্য

দুধের সঙ্গে চিয়া সিড, ভালো নাকি খারাপ

জীবনযাপন ডেস্ক
জীবনযাপন ডেস্ক
শেয়ার
দুধের সঙ্গে চিয়া সিড, ভালো নাকি খারাপ
সংগৃহীত ছবি

সকাল বা বিকেলের নাশতায় অনেকে অনেক কিছু খেয়ে থাকেন। তবে কেউ কেউ দুধের সঙ্গে বিভিন্ন জিনিস মিশিয়ে খেয়ে থাকেন। স্বাস্থ্যসচেতন মানুষজন এখন ওট্স, চিয়া সিড, কিনোয়াসহ বিভিন্ন খাবারে ভরসা রাখেন।

ব্যস্ত জীবনে রকমারি খাবারের ঝক্কি এড়াতে ওট্স, ফল, দুধ মিশিয়ে ব্লেন্ড করে নিলেই তৈরি হয়ে যায় স্মুদি।

তাতে বাদাম, রকমারি বীজ যোগ করলে পুষ্টিগুণ যেমন বাড়ে, স্বাদও বৃদ্ধি পায়।

কিন্তু বানানো সহজ হলেও এই যে সব রকম খাবার একসঙ্গে মিশিয়ে খাওয়ার প্রবণতা, তা কি স্বাস্থ্যের জন্য ভালো? ওট্‌সে ফাইবার থাকে, চিয়া সিডও ফাইবার সমৃদ্ধ, আবার আপেলসহ ফলেও থাকে ডায়েটরি ফাইবার। এত ফাইবার একসঙ্গে খাওয়া কি ভালো? চলুন, জেনে নেওয়া যাক।

আরো পড়ুন
স্বাস্থ্যকর চিকেন সালাদ, রাখতে পারেন ইফতারে

স্বাস্থ্যকর চিকেন সালাদ, রাখতে পারেন ইফতারে

 

পুষ্টিবিদদের মতে, ফাইবারের অনুপাত ঠিক রেখে ওট্স ও চিয়া সিড খাওয়া যেতেই পারে।

তবে সকলের ক্ষেত্রে এক নিয়ম চলবে না। ১০০ গ্রাম চিয়া সিডে ৩৫ গ্রাম ডায়েটরি ফাইবার রয়েছে। অন্যদিকে ১০০ গ্রাম ওটসে ফাইবার আছে ৯ থেকে ১০ গ্রাম। কেউ যদি ২ টেবিল চামচ চিয়া সিড খান তাহলে ১০০ গ্রাম ওটসের সমতুল্য ফাইবার পাবেন।

পুষ্টিবিদরা আরো বলছেন, প্রোটিন, ফাইবার কিংবা ভিটামিন— সবটাই খেতে হবে প্রয়োজনমতো, শরীর বুঝে। যেমন চিয়া সিড। প্রচুর পরিমাণে ফাইবার ছাড়াও এতে রয়েছে ফ্যাটি এসিড, অ্যান্টি-অক্সিড্যান্ট এবং অন্যান্য পুষ্টিগুণ। তবে ভালো মানেই যত ইচ্ছা খাওয়া চলে না। কিংবা ফাইবার সকলের স্বাস্থ্যের পক্ষে সমান লাভজনক না-ও হতে পারে।

হজম সংক্রান্ত সমস্যা থাকলে বেশি ফাইবার খাওয়া ঠিক হবে না।

আরো পড়ুন
আমলকী চায়ের যত গুণ

আমলকী চায়ের যত গুণ

 

ওট্স-চিয়ার স্বাস্থ্যক্ষেত্রে উপযোগিতা

ওট্‌সে থাকে বিটা গ্লুকান, যা রক্তে খারাপ কোলেস্টরলের মাত্রা কমাতে সাহায্য করে, হার্টের স্বাস্থ্য ভালো রাখে। স্থূলতাও নিয়ন্ত্রণে রাখতে সাহায্য করে ওট্স। অন্যদিকে চিয়া সিড ওজন কমানোর জন্য অনেকেই খান। ফলে দুধ বা দইয়ের সঙ্গে ওট্স, পরিমিত চিয়া সিড, বাদাম মিলিয়ে খেলে পেট ভরা খাবার হতে পারে।

দুধের সঙ্গে কি চিয়া বীজ খাওয়া ভালো?

দুধে অনেকেই চিয়া সিড ভিজিয়ে খান। পানি বা দুধে বীজ ভিজিয়ে নিলে সেটি নরম হয়ে যায়। চিবাতেও সুবিধা হয়। একই সঙ্গে দুধে থাকা প্রোটিন, ক্যালসিয়াম, ভিটামিন এ, ডি-সহ নানা রকম পুষ্টিগুণ চিয়া সিডের সঙ্গে যুক্ত হয়।

আরো পড়ুন
ওয়াই-ফাইয়ের তরঙ্গ কি স্বাস্থ্যের জন্য ক্ষতিকর?

ওয়াই-ফাইয়ের তরঙ্গ কি স্বাস্থ্যের জন্য ক্ষতিকর?

 

তবে পুষ্টিবিদদের মতে, দুধের সঙ্গে চিয়া সিড ভিজিয়ে খেলে যেমন উপকার আছে, তেমন কিছু ক্ষতিকর দিকও রয়েছে। চিয়া সিডের ডায়েটরি ফাইবার দুধের পুষ্টিগুণ শোষণের পথে বাধা হয়ে দাঁড়াতে পারে। শুধু দুধের ভিটামিন, খনিজ পেতে হলে তার সঙ্গে ফাইবার জাতীয় খাবার যোগ না করাই ভালো।

যাদের দুধ হজমে সমস্যা হয়, তারা পানিতে ভিজিয়ে চিয়া সিড খেতে পারেন।

আরো পড়ুন
আলু-পেঁয়াজ একসঙ্গে রাখলে কী ক্ষতি

আলু-পেঁয়াজ একসঙ্গে রাখলে কী ক্ষতি

 

সূত্র : আনন্দবাজার

মন্তব্য

ঈদের আগে বাড়িতেই তৈরি করুন সুস্বাদু কিশমিশ

জীবনযাপন ডেস্ক
জীবনযাপন ডেস্ক
শেয়ার
ঈদের আগে বাড়িতেই তৈরি করুন সুস্বাদু কিশমিশ
সংগৃহীত ছবি

বাজারে এখন মিষ্টি ও তাজা আঙুর পাওয়া যায়। এই তাজা আঙুর দিয়ে আপনি চাইলে সহজেই ঘরে কিশমিশ তৈরি করতে পারেন। ঘরে তৈরি কিশমিশ খেতে খুবই সুস্বাদু। সামনে আসছে ঈদুল ফিতর।

এই ঈদে সবার ঘরের সেমাই, ফিরনি, পায়েশসহ বিভিন্ন মিষ্টান্নের আয়োজন করা হয়ে থাকে। আর এসবে ব্যবহার হয়ে থাকে কিশমিশ।

কালো বা সবুজ যেকোনো আঙুর থেকে কিশমিশ তৈরি করতে পারেন। ঘরে তৈরি কিশমিশ দীর্ঘদিন সংরক্ষণ করা যায়।

আজ আমরা আপনাদের জানাব কিভাবে বাড়িতেই তৈরি করবেন সুস্বাদু কিশমিশ। চলুন, জেনে নেওয়া যাক।

আরো পড়ুন
স্বাস্থ্যকর চিকেন সালাদ, রাখতে পারেন ইফতারে

স্বাস্থ্যকর চিকেন সালাদ, রাখতে পারেন ইফতারে

 

বাড়িতে আঙুর থেকে কিশমিশ তৈরির পদ্ধতি

প্রথম ধাপ : আঙুর থেকে কিশমিশ তৈরি করতে প্রথমে তাজা, রসালো ও মিষ্টি আঙুর বেছে নেওয়া উচিত। প্রথমে আঙুরগুলো পরিষ্কার পানি দিয়ে ২-৩ বার ভালো করে ধুয়ে নিন।

এবার আঙুরের সব ডাঁটা তুলে আলাদা করে নিন।

দ্বিতীয় ধাপ : এবার একটি পাত্রে কিছু পরিমাণ পানি ঢেলে গ্যাসে গরম করার জন্য রাখুন। পাত্রে যতটা সম্ভব আঙুর দিন। এবার ছাঁচটি কুকারে সেট করুন এবং আঙুরগুলোকে হালকা হলুদ ও নরম না হওয়া পর্যন্ত ভাপে রাখুন। এটি করতে আপনার ৫ মিনিট সময় লাগবে।

তৃতীয় ধাপ : এবার একটি পাত্রে সমস্ত আঙুর রাখুন। তারপর একটি পরিষ্কার কাপড় রোদে বিছিয়ে দিন। চাইলে কাপড়ের নিচে খবরের কাগজও রাখতে পারেন। এবার সব আঙুর একটু ফাঁক ফাঁক করে রোদে শুকাতে দিন।

আরো পড়ুন
আমলকী চায়ের যত গুণ

আমলকী চায়ের যত গুণ

 

চতুর্থ ধাপ : আঙুর শুকাতে সময় নেয়। আঙুর কিশমিশে পরিণত হতে প্রায় ২-৩ দিন সময় লাগে। প্রতিদিন উজ্জ্বল রোদে শুকাতে হবে। তিন দিনের মধ্যে একেবারে তাজা ও হলুদ কিশমিশ প্রস্তুত হয়ে যাবে। আপনি এই কিশমিশ এমনি খেতে পারেন বা যেকোনো খাবারে ব্যবহার করতে পারেন।

এভাবে সহজে বাড়িতেই আঙুর থেকে কিশমিশ তৈরি করতে পারেন। কম দামে ভাঙা আঙুর কিনুন, আর সেগুলোই তাজা কিশমিশ তৈরিতে ব্যবহার করুন। প্রস্তুত কিশমিশগুলো একটি কাচের জারে সংরক্ষণ করুন। এই কিশমিশগুলো বেশিদিন নষ্ট হবে না।

আরো পড়ুন
আলু-পেঁয়াজ একসঙ্গে রাখলে কী ক্ষতি

আলু-পেঁয়াজ একসঙ্গে রাখলে কী ক্ষতি

 

সূত্র : আজতক বাংলা

মন্তব্য

সর্বশেষ সংবাদ