দুধের সঙ্গে চিয়া সিড, ভালো নাকি খারাপ

জীবনযাপন ডেস্ক
জীবনযাপন ডেস্ক
শেয়ার
দুধের সঙ্গে চিয়া সিড, ভালো নাকি খারাপ
সংগৃহীত ছবি

সকাল বা বিকেলের নাশতায় অনেকে অনেক কিছু খেয়ে থাকেন। তবে কেউ কেউ দুধের সঙ্গে বিভিন্ন জিনিস মিশিয়ে খেয়ে থাকেন। স্বাস্থ্যসচেতন মানুষজন এখন ওট্স, চিয়া সিড, কিনোয়াসহ বিভিন্ন খাবারে ভরসা রাখেন।

ব্যস্ত জীবনে রকমারি খাবারের ঝক্কি এড়াতে ওট্স, ফল, দুধ মিশিয়ে ব্লেন্ড করে নিলেই তৈরি হয়ে যায় স্মুদি।

তাতে বাদাম, রকমারি বীজ যোগ করলে পুষ্টিগুণ যেমন বাড়ে, স্বাদও বৃদ্ধি পায়।

কিন্তু বানানো সহজ হলেও এই যে সব রকম খাবার একসঙ্গে মিশিয়ে খাওয়ার প্রবণতা, তা কি স্বাস্থ্যের জন্য ভালো? ওট্‌সে ফাইবার থাকে, চিয়া সিডও ফাইবার সমৃদ্ধ, আবার আপেলসহ ফলেও থাকে ডায়েটরি ফাইবার। এত ফাইবার একসঙ্গে খাওয়া কি ভালো? চলুন, জেনে নেওয়া যাক।

আরো পড়ুন
স্বাস্থ্যকর চিকেন সালাদ, রাখতে পারেন ইফতারে

স্বাস্থ্যকর চিকেন সালাদ, রাখতে পারেন ইফতারে

 

পুষ্টিবিদদের মতে, ফাইবারের অনুপাত ঠিক রেখে ওট্স ও চিয়া সিড খাওয়া যেতেই পারে।

তবে সকলের ক্ষেত্রে এক নিয়ম চলবে না। ১০০ গ্রাম চিয়া সিডে ৩৫ গ্রাম ডায়েটরি ফাইবার রয়েছে। অন্যদিকে ১০০ গ্রাম ওটসে ফাইবার আছে ৯ থেকে ১০ গ্রাম। কেউ যদি ২ টেবিল চামচ চিয়া সিড খান তাহলে ১০০ গ্রাম ওটসের সমতুল্য ফাইবার পাবেন।

পুষ্টিবিদরা আরো বলছেন, প্রোটিন, ফাইবার কিংবা ভিটামিন— সবটাই খেতে হবে প্রয়োজনমতো, শরীর বুঝে। যেমন চিয়া সিড। প্রচুর পরিমাণে ফাইবার ছাড়াও এতে রয়েছে ফ্যাটি এসিড, অ্যান্টি-অক্সিড্যান্ট এবং অন্যান্য পুষ্টিগুণ। তবে ভালো মানেই যত ইচ্ছা খাওয়া চলে না। কিংবা ফাইবার সকলের স্বাস্থ্যের পক্ষে সমান লাভজনক না-ও হতে পারে।

হজম সংক্রান্ত সমস্যা থাকলে বেশি ফাইবার খাওয়া ঠিক হবে না।

আরো পড়ুন
আমলকী চায়ের যত গুণ

আমলকী চায়ের যত গুণ

 

ওট্স-চিয়ার স্বাস্থ্যক্ষেত্রে উপযোগিতা

ওট্‌সে থাকে বিটা গ্লুকান, যা রক্তে খারাপ কোলেস্টরলের মাত্রা কমাতে সাহায্য করে, হার্টের স্বাস্থ্য ভালো রাখে। স্থূলতাও নিয়ন্ত্রণে রাখতে সাহায্য করে ওট্স। অন্যদিকে চিয়া সিড ওজন কমানোর জন্য অনেকেই খান। ফলে দুধ বা দইয়ের সঙ্গে ওট্স, পরিমিত চিয়া সিড, বাদাম মিলিয়ে খেলে পেট ভরা খাবার হতে পারে।

দুধের সঙ্গে কি চিয়া বীজ খাওয়া ভালো?

দুধে অনেকেই চিয়া সিড ভিজিয়ে খান। পানি বা দুধে বীজ ভিজিয়ে নিলে সেটি নরম হয়ে যায়। চিবাতেও সুবিধা হয়। একই সঙ্গে দুধে থাকা প্রোটিন, ক্যালসিয়াম, ভিটামিন এ, ডি-সহ নানা রকম পুষ্টিগুণ চিয়া সিডের সঙ্গে যুক্ত হয়।

আরো পড়ুন
ওয়াই-ফাইয়ের তরঙ্গ কি স্বাস্থ্যের জন্য ক্ষতিকর?

ওয়াই-ফাইয়ের তরঙ্গ কি স্বাস্থ্যের জন্য ক্ষতিকর?

 

তবে পুষ্টিবিদদের মতে, দুধের সঙ্গে চিয়া সিড ভিজিয়ে খেলে যেমন উপকার আছে, তেমন কিছু ক্ষতিকর দিকও রয়েছে। চিয়া সিডের ডায়েটরি ফাইবার দুধের পুষ্টিগুণ শোষণের পথে বাধা হয়ে দাঁড়াতে পারে। শুধু দুধের ভিটামিন, খনিজ পেতে হলে তার সঙ্গে ফাইবার জাতীয় খাবার যোগ না করাই ভালো।

যাদের দুধ হজমে সমস্যা হয়, তারা পানিতে ভিজিয়ে চিয়া সিড খেতে পারেন।

আরো পড়ুন
আলু-পেঁয়াজ একসঙ্গে রাখলে কী ক্ষতি

আলু-পেঁয়াজ একসঙ্গে রাখলে কী ক্ষতি

 

সূত্র : আনন্দবাজার

মন্তব্য

সম্পর্কিত খবর

ঈদের ছুটিতে কী করবেন?

আনিসুর বুলবুল
আনিসুর বুলবুল
শেয়ার
ঈদের ছুটিতে কী করবেন?
সংগৃহীত ছবি

পবিত্র ঈদুল ফিতর মানেই আনন্দ, উৎসব আর প্রিয়জনের সঙ্গে সময় কাটানোর এক অনন্য উপলক্ষ। এবারের ঈদ আরও একটু বিশেষ, কারণ অনেকে পাচ্ছেন দীর্ঘ ৯ দিনের ছুটি। ব্যস্ত শহুরে জীবনে এমন ছুটি পাওয়া সত্যিই বিরল। তাই এই সময়টাকে শুধু বিশ্রামে কাটিয়ে দেওয়া নয়, বরং স্মরণীয় করে তোলার জন্য একটু পরিকল্পনা করা জরুরি।

কেউ ফিরবেন নাড়ির টানে, কেউ ছুটবেন প্রকৃতির ডাকে, আবার কেউ হয়তো থেকে যাবেন শহরের ফাঁকা রাস্তায় এক অদ্ভুত প্রশান্তি খুঁজতে।

নাড়ির টানে শেকড়ে ফেরা

ঈদ মানেই তো শেকড়ের টান! কর্মব্যস্ত জীবনের ফাঁকে যারা গ্রামে ফেরা হয়ে ওঠে না, ঈদের ছুটিতে তারা ছুটবেন জন্মভূমির পথে। ট্রেন, বাস, লঞ্চের জানালায় মুখ রেখে শৈশবের স্মৃতিচারণ, পথের ধুলোয় খুঁজে ফেরা হারিয়ে যাওয়া দিনগুলো—সবই যেন এক অবর্ণনীয় অনুভূতি। গ্রামের খোলামেলা পরিবেশ, খেলার মাঠ, নদীর ধারে বসে গল্প করা, আত্মীয়স্বজনের সঙ্গে দেখা হওয়া—সবকিছুতেই থাকে এক অন্যরকম উষ্ণতা।

ভ্রমণপিপাসুদের জন্য বিশেষ সময়

যারা ঈদের পরের দিনগুলোতে ভ্রমণের পরিকল্পনা করছেন, তাদের জন্যও এই ছুটিটা দারুণ সুযোগ। দেশের বিভিন্ন পর্যটনকেন্দ্র যেমন কক্সবাজার, বান্দরবান, সেন্ট মার্টিন, সুন্দরবন বা সিলেটের চা-বাগান—সব জায়গাতেই এখন ঈদের আনন্দ দ্বিগুণ হবে। আবার যারা শহর ছাড়তে চান না, তারা ঢাকার আশেপাশে সাভার, মধুপুর, পদ্মার পাড়, বা কোনও রিসোর্টে গিয়ে কিছুটা মানসিক প্রশান্তি নিতে পারেন।

শহরের নীরব রূপের আনন্দ

অনেকেই ব্যস্ত জীবনে ক্লান্ত হয়ে পড়েছেন, ঈদের ছুটিতে তাই আর কোথাও যেতে চান না।

ঢাকাসহ বড় শহরগুলোতে ঈদের সময় মানুষ কমে যায়, আর তখনই শহর তার এক অন্যরকম রূপ মেলে ধরে। ফাঁকা রাস্তায় হাঁটতে হাঁটতে শৈশবের শহরকে নতুন করে আবিষ্কার করা যায়। প্রিয়জনদের সঙ্গে রেস্টুরেন্টে গিয়ে নিরিবিলি আড্ডা দেওয়া, সিনেমা দেখা, বা কোনো বইয়ের দোকানে ঢুঁ মারা—এগুলোও কিন্তু দারুণ অভিজ্ঞতা হতে পারে।

পরিবারের সঙ্গে সময় কাটানো—সবচেয়ে বড় আনন্দ

বছরের অনেক সময় আমরা কাজের চাপে পরিবারের সঙ্গে সময় দিতে পারি না। এই ছুটিটা হতে পারে সেই শূন্যতা পূরণের মোক্ষম সুযোগ।

বাবা-মায়ের সঙ্গে বসে গল্প করা, ভাইবোনের সঙ্গে ছোটবেলার স্মৃতি রোমন্থন করা, পুরনো বন্ধুদের সঙ্গে দেখা করা—এসবই ঈদের আনন্দকে পরিপূর্ণ করে তোলে।

সামাজিক দায়িত্ব ও আত্মার প্রশান্তি

ঈদ শুধু আনন্দের জন্য নয়, বরং এটি আত্মার প্রশান্তিরও উপলক্ষ। ঈদের ছুটিতে যদি সম্ভব হয়, আশেপাশের অসহায় মানুষদের খোঁজ নেওয়া, তাদের পাশে দাঁড়ানো কিংবা কাউকে একবেলা খাওয়ানোর ব্যবস্থা করাও হতে পারে সবচেয়ে বড় আনন্দের উৎস। এতিমখানা বা বৃদ্ধাশ্রমে কিছু সময় কাটানো, পথশিশুদের জন্য কিছু করার চেষ্টা করলেও ঈদের আনন্দ অন্য মাত্রা পাবে।

শেষ কথা

ঈদুল ফিতরের দীর্ঘ ছুটি কেবল বিশ্রামের সময় নয়, বরং এটি হতে পারে সম্পর্কের বন্ধন দৃঢ় করার, নতুন জায়গা আবিষ্কারের, মনের প্রশান্তি খোঁজার এক দুর্দান্ত সুযোগ। পরিকল্পনাহীনভাবে সময় পার না করে বরং এমন কিছু করুন যা আপনার হৃদয়ে দীর্ঘদিন স্মৃতি হয়ে থাকবে। ঈদের আনন্দ হোক সবার জন্য, প্রিয়জনদের সঙ্গে ভাগ করে নেওয়া ছোট ছোট মুহূর্তগুলোই হোক সবচেয়ে দামী উপহার।

ঈদ মোবারক! 

মন্তব্য

সাহরিতে যে খাবারগুলো এড়িয়ে চলবেন

জীবনযাপন ডেস্ক
জীবনযাপন ডেস্ক
শেয়ার
সাহরিতে যে খাবারগুলো এড়িয়ে চলবেন
সংগৃহীত ছবি

রমজান মাসে পুষ্টিকর সাহরি সারা দিনের রোজার শক্তি জোগায়। তাই সাহরিতে কিছু খাবার এড়িয়ে চলা উচিত, যা রোজার সময় অস্বস্তি, পানিশূন্যতা ও শারীরিক দুর্বলতা সৃষ্টি করতে পারে।

চলুন, জেনে নিই কোন ধরনের খাবার সাহরিতে এড়িয়ে চলা জরুরি।

তীব্র মসলাদার খাবার
সাহরিতে তীব্র মসলাদার খাবার খেলে সারা দিন তৃষ্ণা অনুভব হতে পারে।

এর ফলে পেটে অস্বস্তি হতে পারে। বিশেষ করে মরিচ, তেল ও ঘি দিয়ে রান্না করা খাবার খাওয়া পরিহার করুন।

ভাজা খাবার
ভাজা খাবার সাহরিতে খাওয়া উচিত নয়। কারণ এটি অতিরিক্ত তৃষ্ণা সৃষ্টি করে।

যার ফলে গলা শুকিয়ে যেতে পারে, যা রোজার সময় বেশ অস্বস্তিকর।

চকোলেট বা চিনিযুক্ত খাবার
সাহরিতে বেশি মিষ্টি বা চকোলেট খাওয়া থেকে বিরত থাকুন। এগুলো শরীরকে পানির ঘাটতি অনুভব করাতে সক্ষম।

দুধের সঙ্গে সাইট্রাস বা লবণাক্ত খাবার
দুধের সঙ্গে সাইট্রাস বা নোনা খাবার খাওয়া থেকে বিরত থাকুন।

কারণ এটি পেটের সমস্যা তৈরি করতে পারে। এর ফলে পেটে অস্বস্তি অনুভূত হতে পারে।

সাহরিতে এসব খাবার এড়িয়ে চললে আপনার রোজা রাখা আরো সহজ ও আরামদায়ক হবে।

মন্তব্য

ডায়াবেটিক রোগীরা কি রোজা রাখতে পারবেন?

জীবনযাপন ডেস্ক
জীবনযাপন ডেস্ক
শেয়ার
ডায়াবেটিক রোগীরা কি রোজা রাখতে পারবেন?
সংগৃহীত ছবি

রমজান মাস মুসলমানদের জন্য একটি পবিত্র মাস। যাদের ডায়াবেটিস রয়েছে, তাদের জন্য রোজা রাখার প্রক্রিয়াটি তুলনামূলক কঠিন। 

ডায়াবেটিক রোগীদের রক্তের শর্করা স্তর স্বাভাবিক রাখতে হয়। যেন হাইপোগ্লাইসেমিয়া (নিম্ন রক্ত শর্করা) এবং হাইপারগ্লাইসেমিয়া (উচ্চ রক্ত শর্করা) না হয়।

 

চলুন, জেনে নেওয়া যাক রমজানে ডায়াবেটিক রোগীরা রোজা রাখতে পারবেন কি না।

যারা নিয়ন্ত্রিত টাইপ-২ ডায়াবেটিসে আক্রান্ত, ইনসুলিন ব্যবহার করেন না এবং যাদের রক্তে শর্করা স্তর স্বাভাবিক। তারা ডাক্তারের পরামর্শ নিয়ে রোজা রাখতে পারবেন। এ ছাড়া যাদের তীব্র হাইপোগ্লাইসেমিয়া বা ডায়াবেটিসজনিত জটিলতা (যেমন কিডনি বা হার্টের রোগ) নেই তারাও রোজা রাখতে পারবেন।

 

অন্যদিকে যারা নিয়ন্ত্রিত টাইপ-২ ডায়াবেটিসে আক্রান্ত তাদের রোজা রাখার ব্যাপারে কিছু সতর্কতা অবলম্বন করতে হবে। এ ডায়াবেটিসে আক্রান্ত রোগীরা হাইপোগ্লাইসেমিয়া বা হাইপারগ্লাইসেমিয়ায় ভুগছেন। এ ছাড়া গর্ভবতী মহিলারা যারা গর্ভকালীন ডায়াবেটিসে আক্রান্ত বা যাদের ডায়াবেটিসের জটিলতা রয়েছে, রোজা রাখতে চাইলে তাদের চিকিৎসকের পরামর্শ নিতে হবে।

সূত্র : সার্কেল ডিএনএ

মন্তব্য

চুলের যত্নে সরিষার তেল

জীবনযাপন ডেস্ক
জীবনযাপন ডেস্ক
শেয়ার
চুলের যত্নে সরিষার তেল
সংগৃহীত ছবি

মাছ বা মাংসে রেসিপিতে সরিষার তেল ব্যবহার করলে রান্নার স্বাদ অনেক মজাদার হয়। সরিষার তেলের ঝাঁঝালো গন্ধ ও স্বাদ অনেকের প্রিয়।  
রান্নার পাশাপাশি চুলের যত্নেও সরিষার তেল উপকারী। এ তেলে রয়েছে অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট, আয়রন, ক্যালশিয়াম, ভিটামিন এ, ডি ও কে।

যা চুলের বিভিন্ন সমস্যার সমাধান করতে সাহায্য করে। বাইরের ধুলাবালির কারণে চুল ক্ষতিগ্রস্ত হয়। সরিষার তেলের সঠিক ব্যবহারে চুলের অনেক সমস্যার সমাধান সম্ভব।

সরিষার তেল ও কারিপাতা
আধা কাপ সরিষার তেলের সঙ্গে কয়েকটি কারিপাতা ফুটিয়ে নিন।

তেল ঠাণ্ডা হলে এটি মাথার ত্বক এবং চুলের গোড়ায় ভালো করে মালিশ করুন। সপ্তাহে তিন দিন এই তেল ব্যবহার করলে চুলের গোড়া শক্তিশালী হয়ে চুল ঘন, কালো ও লম্বা হবে।

সরিষার তেল ও আমলকী
সরিষার তেলের সঙ্গে ২ চা চামচ আমলকীর পাউডার মিশিয়ে মাথায় মাখুন। কিছুক্ষণ অপেক্ষা করে চুলে লাগিয়ে রাখুন।

সপ্তাহে দুই-তিন দিন ব্যবহারে চুলের ঘনত্ব বাড়বে এবং পাকা চুলের সমস্যাও কমে যাবে।

সরিষার তেল ও নারকেলের দুধ
দুই চামচ সরিষার তেলের সঙ্গে কয়েক চামচ নারকেল দুধ মিশিয়ে চুলে ভালো করে মালিশ করুন। এই মিশ্রণ মাথার ত্বকের রক্ত সঞ্চালন বাড়িয়ে চুল নরম ও ঝলমলে করবে।

সূত্র : এই সময়

প্রাসঙ্গিক
মন্তব্য

সর্বশেষ সংবাদ