পুলিশের পোশাক গোলাপি করার আহ্বান উমামার

অনলাইন ডেস্ক
অনলাইন ডেস্ক
শেয়ার
পুলিশের পোশাক গোলাপি করার আহ্বান উমামার
সংগৃহীত ছবি

পুলিশ, র‍্যাব ও আনসার বাহিনীর পোশাক পরিবর্তনের সিদ্ধান্ত নিয়েছে অন্তর্বর্তী সরকার। দেখা যায়, পুলিশের নতুন পোশাক লোহা (আয়রন), র‍্যাবের পোশাক জলপাই (অলিভ) ও আনসারের পোশাক হবে সোনালি গমের (গোল্ডেন হুইট) রঙের। এর পরেই চলছে পক্ষে-বিপক্ষে নেটিজেনদের আলাপ-আলোচনা। 

এই আলোচনার মধ্যেই বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের কেন্দ্রীয় কমিটির মুখপাত্র উমামা ফাতেমা এক সাক্ষাৎকারের কিছু অংশ স্যোশাল মিডিয়ায় ভাইরাল হয়েছে।

সেখানে পুলিশের পোশাক গোলাপি করার আহ্বান জানিয়েছেন তিনি।

আরো পড়ুন
জাতীয় সরকার করে ৩১ দফা বাস্তবায়ন করবেন তারেক রহমান: আমির খসরু

জাতীয় সরকার করে ৩১ দফা বাস্তবায়ন করবেন তারেক রহমান : আমীর খসরু

 

ভাইরাল হওয়া ভিডিওতে দেখা যায়, এক প্রশ্নের জবাবে উমামা ফাতেমা বলেন, ‘পুলিশের দ্রুততম সময়ে গোলাপি পোশাক দেওয়া উচিত। আমার মনে হয় যে গোলাপি ভালো একটি প্রতীক, পোশাক হিসেবে। গোলাপি একটি আই সুদিং কালার।

তবে পুলিশের সব ইউনিটের জন্য গোলাপি পোশাক দরকার নেই ইঙ্গিত করে তিনি বলেন, ‘যারা মানুষকে অ্যারেস্ট করে তাদের আবার গোলাপি দেওয়ার মানে হয় না। যারা ট্রাফিক কন্ট্রোল করে তাদের ক্ষেত্রে হয়তো গোলাপি পোশাক দেওয়া যায়।’

আরো পড়ুন
বর্ধিত ভ্যাট প্রত্যাহার করায় যেসব পণ্যের দাম কমবে

বর্ধিত ভ্যাট প্রত্যাহার করায় যেসব পণ্যের দাম কমবে

 

উমামা ফাতেমার ওই ভিডিওটি সম্প্রতি ভাইরাল হলেও সাক্ষাৎকারটি উমামা ফাতেমা পুলিশের পোশাকের রং পরিবর্তনের আনুষ্ঠানিক ঘোষণা আসার আগে নাকি পরে দিয়েছেন সেটি নিশ্চিত হওয়া যায়নি।

মন্তব্য

সম্পর্কিত খবর

আরেফিন সিদ্দিকের জানাজা হবে ধানমন্ডিতে, দাফন আজিমপুরে

অনলাইন ডেস্ক
অনলাইন ডেস্ক
শেয়ার
আরেফিন সিদ্দিকের জানাজা হবে ধানমন্ডিতে, দাফন আজিমপুরে
ফাইল ছবি

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের (ঢাবি) সাবেক উপাচার্য অধ্যাপক ড. আ আ ম স আরেফিন সিদ্দিকের জানাজা শুক্রবার (১৪ মার্চ) জুমার নামাজের পর ধানমন্ডি ঈদগাহ মাঠে অনুষ্ঠিত হবে। পরে আজিমপুর কবরস্থানে বাবা-মায়ের কবরের পাশে তাকে দাফন করা হবে।

বৃহস্পতিবার (১৩ মার্চ) রাত সাড়ে ১১টার দিকে আরেফিন সিদ্দিকের ছোট ভাই সাইফুল্লাহ সিদ্দিক ইব্রাহিম কার্ডিয়াক হাসপাতালে আয়েজিত সংবাদ ব্রিফিংয়ে এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।

এর আগে, রাত ১০টা ৪৫ মিনিটে কর্তব্যরত চিকিৎসক অধ্যাপক আরেফিন সিদ্দিককে মৃত ঘোষণা করেন।

মস্তিষ্কে স্ট্রোক ও রক্তক্ষরণজনিত কারণে ইব্রাহিম কার্ডিয়াক হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় তিনি মারা যান।

পরিবার সূত্র জানায়, অধ্যাপক আরেফিন সিদ্দিক ইব্রাহিম কার্ডিয়াক হাসপাতালে নিউরোসার্জন অধ্যাপক নজরুল ইসলামের তত্ত্বাবধানে চিকিৎসাধীন ছিলেন। গত ৬ মার্চ ঢাকা ক্লাবে (রমনায়) দাঁড়িয়ে কথা বলার সময় হঠাৎ তিনি পড়ে যান। এরপর তাকে ইব্রাহিম কার্ডিয়াক হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়।

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের গণযোগাযোগ ও সাংবাদিকতা বিভাগের সাবেক চেয়ারম্যান অধ্যাপক আ আ ম স আরেফিন সিদ্দিককে ২০০৯ সালে বিশ্ববিদ্যালয়টির ২৭তম উপাচার্য হিসেবে নিয়োগ দেওয়া হয়।

২০১৭ সালে তিনি উপাচার্যের দায়িত্ব পালন শেষ করে আবারও গণযোগাযোগ ও সাংবাদিকতা বিভাগে অধ্যাপক হিসেবে যোগ দেন। ২০২০ সালের জুন মাসে বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষকতা থেকে অবসরে যান তিনি।

মন্তব্য

১০ লাখ রোহিঙ্গার সঙ্গে ইফতার করবেন জাতিসংঘ মহাসচিব ও প্রধান উপদেষ্টা

অনলাইন ডেস্ক
অনলাইন ডেস্ক
শেয়ার
১০ লাখ রোহিঙ্গার সঙ্গে ইফতার করবেন জাতিসংঘ মহাসচিব ও প্রধান উপদেষ্টা
সংগৃহীত ছবি

আজ শুক্রবার ১০ লাখ রোহিঙ্গা কক্সবাজারে ক্যাম্পে সফররত জাতিসংঘ মহাসচিব অ্যান্তনিও গুতেরেস ও প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূসের সঙ্গে ইফতার করবেন। তারা একসঙ্গে মোনাজাত ও ইফতারে অংশ নেবেন। প্রধান উপদেষ্টা এ অনুষ্ঠানের আয়োজন করছেন বলে জানিয়েছেন তার প্রেসসচিব শফিকুল আলম।

বৃহস্পতিবার (১৩ মার্চ) রাতে নিজের ভেরিফায়েড ফেসবুক আইডিতে শফিকুল আলম আরো বলেন, ‘মায়ানমারের রাখাইনে উদ্ভূত পরিস্থিতি বিবেচনা করে সীমান্ত নিরাপত্তা, স্থিতিশীলতা এবং শান্তি রক্ষা করার জন্য পদক্ষেপ নেওয়া উচিত।

সীমান্তের ওপারে সক্রিয় শক্তিগুলোর সাথে যোগাযোগ বজায় রাখা হচ্ছে।’

তিনি বলেন, ‘রোহিঙ্গা সমস্যার সমাধান তাদের মায়ানমারে টেকসই প্রত্যাবাসনের মধ্যে নিহিত। এটি আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ের সর্বোচ্চ অগ্রাধিকার হওয়া উচিত। বাংলাদেশ এই লক্ষ্যে নিরলসভাবে কাজ করে যাচ্ছে।

শফিকুল আলম লিখেছেন, ‘বাংলাদেশ দীর্ঘ ৮ বছর ধরে ১.২ মিলিয়ন রোহিঙ্গা শরণার্থীকে আশ্রয় দিয়ে আসছে। সাম্প্রতিক মাসগুলিতে প্রায় ৮০,০০০ রোহিঙ্গা বাংলাদেশে প্রবেশ করেছে। জোরপূর্বক বাস্তুচ্যুত রোহিঙ্গাদের আশ্রয় দেওয়া বাংলাদেশের সামর্থ্যের বাইরে।’

তিনি বলেন, ‘রোহিঙ্গাদের প্রতি আন্তর্জাতিক সহায়তা আরো খারাপের দিকে মোড় নিয়েছে।

যার ফলে রোহিঙ্গাদের দৈনিক খাদ্য রেশন কমানোর সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। এটি তাদের পুষ্টির অবস্থা, বিশেষ করে নারী ও শিশুদের উপর মারাত্মক প্রভাব ফেলবে। এর ফলে ক্যাম্পের ভেতরে এবং স্থানীয় সম্প্রদায়ের নিরাপত্তা ও সুরক্ষা সহ গুরুতর সামাজিক ও নিরাপত্তাগত প্রভাব পড়বে। আমরা সমস্ত দাতা এবং জাতিসংঘের প্রতি আমাদের আবেদন পুনর্ব্যক্ত করছি যাতে রোহিঙ্গাদের সহায়তাকে সর্বোচ্চ অগ্রাধিকার দেওয়া হয় এবং তাদের সহায়তা যাতে হ্রাস না পায় তা নিশ্চিত করা যায়।’

তিনি আরো বলেন, ‘রাখাইন রাজ্যের ভয়াবহ মানবিক পরিস্থিতির আলোকে, বাংলাদেশ জাতিসংঘের নেতৃত্বে মানবিক সহায়তা প্রদানের বিষয়টি ইতিবাচকভাবে বিবেচনা করবে।

শফিকুল আলম লিখেছেন, ‘আমরা আশা করি, জাতিসংঘ মহাসচিব রোহিঙ্গা সম্প্রদায়কে আশার বার্তা দেবেন যে, তারা শিগগিরই মর্যাদা ও নিরাপত্তার সাথে তাদের স্বদেশে ফিরে যেতে সক্ষম হবে ও তাদের সকল অধিকার সম্পূর্ণরূপে প্রতিষ্ঠিত এবং সম্মানিত হবে। আমরা আরো অনুরোধ করব যে, মহাসচিব তাদের দ্রুত প্রত্যাবাসনের লক্ষ্যে অগ্রগতি অর্জনের জন্য তার ব্যতিক্রমী নেতৃত্ব দেবেন এবং নিশ্চিত করবেন যে রোহিঙ্গাদের প্রতি আন্তর্জাতিক সহায়তার কোনো বিরূপ প্রভাব পড়বে না।’

মন্তব্য

বিমানবাহিনীর প্রশিক্ষণ বিমানের জরুরি অবতরণ

অনলাইন ডেস্ক
অনলাইন ডেস্ক
শেয়ার
বিমানবাহিনীর প্রশিক্ষণ বিমানের জরুরি অবতরণ
সংগৃহীত ছবি

বাংলাদেশ বিমানবাহিনীর একটি গ্রব-১২০টিপি প্রশিক্ষণ বিমান জরুরি অবতরণ করেছে।

বৃহস্পতিবার (১৩ মার্চ) দুপুর ১২টা ৫৫ মিনিটে নিয়মিত প্রশিক্ষণ শেষে দুর্ঘটনায় পতিত হলে যশোর বিমানবন্দরে জরুরি অবতরণ করে বিমানটি।

আন্তঃবাহিনী জনসংযোগ পরিদপ্তর (আইএসপিআর) জানায়, বিমানটি বিমানবাহিনী ঘাঁটি বীরশ্রেষ্ঠ মতিউর রহমান হতে বেলা ১২টা ১৮ মিনিটে  প্রশিক্ষণের উদ্দেশ্যে উড্ডয়ন করে।

প্রশিক্ষণ বিমানটির দুইজন বৈমানিক গ্রুপ ক্যাপ্টেন মোল্লা মোহাম্মদ তহিদুল হাসান ও স্কোয়াড্রন লিডার আহমদ মুসা নিরাপদ ও সুস্থ আছেন।

দুর্ঘটনার কারণ উদঘাটনের জন্য ইতোমধ্যে বিমান বাহিনীর একটি উচ্চ পর্যায়ের তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়েছে।

মন্তব্য

ঢাবিতে আছিয়ার গায়েবানা জানাজা ও কফিন মিছিল

বাসস
বাসস
শেয়ার
ঢাবিতে আছিয়ার গায়েবানা জানাজা ও কফিন মিছিল
বৃহস্পতিবার রাতে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের (ঢাবি) ভিসি চত্বর এলাকায় গায়েবানা জানাজায় অংশ নেন উপাচার্য। ছবি : বাসস

মাগুরায় পাশবিক নির্যাতনের শিকার সেই শিশুটির মৃত্যুতে শোক প্রকাশ করে গায়েবানা জানাজা ও কফিন মিছিল করেছে ধর্ষণবিরোধী মঞ্চ। বৃহস্পতিবার (১৩ মার্চ) রাতে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের (ঢাবি) ভিসি চত্বর এলাকায় গায়েবানা জানাজা অনুষ্ঠিত হয়।

পরে প্রতীকী কফিন নিয়ে শিক্ষার্থীরা রাজু ভাস্কর্য পর্যন্ত মিছিল করেন। জানাজার নামাজ পড়ান ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী ও জাতীয় নাগরিক পার্টির কেন্দ্রীয় যুগ্ম সদস্যসচিব তারেকুল ইসলাম।

গায়েবানা জানাজায় উপস্থিত ছিলেন ঢাবি উপাচার্য অধ্যাপক নিয়াজ আহমেদ খান। জানাজা শেষে তিনি বলেন, ‘এই শিশুর মৃত্যু আমাদের নাড়িয়ে দিয়ে গেছে। দ্রুত সময়ে এই ভয়াবহ হত্যার বিচার হবে এবং ন্যায্যতা প্রতিষ্ঠিত হবে বলে আমরা আশা করছি। শিশুটির জন্য পুরো জাতি দোয়া করছে।

এই শিশুটির মতো আর কোনো মেয়ের সঙ্গে যেন এমন না ঘটে।’

গণতান্ত্রিক ছাত্র সংসদ ঢাবি শাখার আহ্বায়ক আবদুল কাদের বলেন, ‘এই শিশুর হত্যার ন্যায়বিচার প্রতিষ্ঠায় আমরা দৃঢ়প্রতিজ্ঞ। এমন খুনের বিচার মৃত্যুদণ্ড ছাড়া আর কিছু হতে পারে না।’

তিনি বলেন, ‘এ হত্যাকারীর মৃত্যুদণ্ড এবং সাহায্যকারীদের আইন অনুযায়ী সর্বোচ্চ শাস্তি নিশ্চিত করতে হবে।

আগামীর বাংলাদেশে ধর্ষণকে কেবল শারীরিক শ্লীলতাহানি হিসেবে নয়, হত্যার সমপরিমাণ নিকৃষ্ট অপরাধ হিসেবে বিবেচনা করতে হবে।’

গত ৬ মার্চ মাগুরায় বোনের বাড়ি বেড়াতে গিয়ে পাশবিক নির্যাতনের শিকার হয় শিশুটি। বৃহস্পতিবার দুপুরে সম্মিলিত সামরিক হাসপাতালে (সিএমএইচ) চিকিৎসাধীন অবস্থায় শিশুটি শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করে।

মন্তব্য

সর্বশেষ সংবাদ