আজ শুক্রবার ১০ লাখ রোহিঙ্গা কক্সবাজারে ক্যাম্পে সফররত জাতিসংঘ মহাসচিব অ্যান্তনিও গুতেরেস ও প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূসের সঙ্গে ইফতার করবেন। তারা একসঙ্গে মোনাজাত ও ইফতারে অংশ নেবেন। প্রধান উপদেষ্টা এ অনুষ্ঠানের আয়োজন করছেন বলে জানিয়েছেন তার প্রেসসচিব শফিকুল আলম।
বৃহস্পতিবার (১৩ মার্চ) রাতে নিজের ভেরিফায়েড ফেসবুক আইডিতে শফিকুল আলম আরো বলেন, ‘মায়ানমারের রাখাইনে উদ্ভূত পরিস্থিতি বিবেচনা করে সীমান্ত নিরাপত্তা, স্থিতিশীলতা এবং শান্তি রক্ষা করার জন্য পদক্ষেপ নেওয়া উচিত।
সীমান্তের ওপারে সক্রিয় শক্তিগুলোর সাথে যোগাযোগ বজায় রাখা হচ্ছে।’
তিনি বলেন, ‘রোহিঙ্গা সমস্যার সমাধান তাদের মায়ানমারে টেকসই প্রত্যাবাসনের মধ্যে নিহিত। এটি আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ের সর্বোচ্চ অগ্রাধিকার হওয়া উচিত। বাংলাদেশ এই লক্ষ্যে নিরলসভাবে কাজ করে যাচ্ছে।
’
শফিকুল আলম লিখেছেন, ‘বাংলাদেশ দীর্ঘ ৮ বছর ধরে ১.২ মিলিয়ন রোহিঙ্গা শরণার্থীকে আশ্রয় দিয়ে আসছে। সাম্প্রতিক মাসগুলিতে প্রায় ৮০,০০০ রোহিঙ্গা বাংলাদেশে প্রবেশ করেছে। জোরপূর্বক বাস্তুচ্যুত রোহিঙ্গাদের আশ্রয় দেওয়া বাংলাদেশের সামর্থ্যের বাইরে।’
তিনি বলেন, ‘রোহিঙ্গাদের প্রতি আন্তর্জাতিক সহায়তা আরো খারাপের দিকে মোড় নিয়েছে।
যার ফলে রোহিঙ্গাদের দৈনিক খাদ্য রেশন কমানোর সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। এটি তাদের পুষ্টির অবস্থা, বিশেষ করে নারী ও শিশুদের উপর মারাত্মক প্রভাব ফেলবে। এর ফলে ক্যাম্পের ভেতরে এবং স্থানীয় সম্প্রদায়ের নিরাপত্তা ও সুরক্ষা সহ গুরুতর সামাজিক ও নিরাপত্তাগত প্রভাব পড়বে। আমরা সমস্ত দাতা এবং জাতিসংঘের প্রতি আমাদের আবেদন পুনর্ব্যক্ত করছি যাতে রোহিঙ্গাদের সহায়তাকে সর্বোচ্চ অগ্রাধিকার দেওয়া হয় এবং তাদের সহায়তা যাতে হ্রাস না পায় তা নিশ্চিত করা যায়।’
তিনি আরো বলেন, ‘রাখাইন রাজ্যের ভয়াবহ মানবিক পরিস্থিতির আলোকে, বাংলাদেশ জাতিসংঘের নেতৃত্বে মানবিক সহায়তা প্রদানের বিষয়টি ইতিবাচকভাবে বিবেচনা করবে।
’
শফিকুল আলম লিখেছেন, ‘আমরা আশা করি, জাতিসংঘ মহাসচিব রোহিঙ্গা সম্প্রদায়কে আশার বার্তা দেবেন যে, তারা শিগগিরই মর্যাদা ও নিরাপত্তার সাথে তাদের স্বদেশে ফিরে যেতে সক্ষম হবে ও তাদের সকল অধিকার সম্পূর্ণরূপে প্রতিষ্ঠিত এবং সম্মানিত হবে। আমরা আরো অনুরোধ করব যে, মহাসচিব তাদের দ্রুত প্রত্যাবাসনের লক্ষ্যে অগ্রগতি অর্জনের জন্য তার ব্যতিক্রমী নেতৃত্ব দেবেন এবং নিশ্চিত করবেন যে রোহিঙ্গাদের প্রতি আন্তর্জাতিক সহায়তার কোনো বিরূপ প্রভাব পড়বে না।’