বাংলাদেশপন্থীদের অবশ্যই মুক্তিযুদ্ধপন্থী হতে হবে : মাহফুজ

শেয়ার
বাংলাদেশপন্থীদের অবশ্যই মুক্তিযুদ্ধপন্থী হতে হবে : মাহফুজ
সংগৃহীত ছবি

বাংলাদেশের অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের উপদেষ্টা মাহফুজ আলম বলেন, ‘মুক্তিযুদ্ধ মানে বাংলাদেশ, ছাত্র-জনতার অভ্যুত্থান মানে বাংলাদেশ। বাংলাদেশপন্থীদের অবশ্যই মুক্তিযুদ্ধপন্থী হতে হবে। তবে এটাও সত্য যে মুক্তিযুদ্ধ করা অনেকেই ফ্যাসিস্ট ও তাঁবেদার হয়ে উঠেছিল। আজ তারা ছাত্র-জনতার কাছে পরাজিত হয়েছে।

মঙ্গলবার (২৮ জানুয়ারি) সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ফেসবুকে প্রকাশ করা এক পোস্টে তিনি এ কথা বলেন। 

মুক্তিযুদ্ধের পর কী হয়েছে, তা নিয়ে সমালোচনা করুন। ইতিহাস পর্যালোচনা করুন। কোনো সমস্যা নেই।

এমনকি মুক্তিযুদ্ধের সময়ে কী কী ঘটেছে, তা নিয়েও তর্ক উঠতে পারে। কিন্তু সেসবই হবে মুক্তিযুদ্ধকে মেনে নিয়ে। যেমন, শেখ মুজিবের ফ্যাসিস্ট হয়ে ওঠা নিয়ে আমরা বলব। উনি ফ্যাসিস্ট ছিলেন।
কিন্তু বাংলাদেশের জন্মে অনেক জাতীয় নেতৃত্বের মতো উনার অবদান অনস্বীকার্য। তাই আমরা ’৭২-পূর্ব শেখ মুজিবুর রহমানকে প্রাপ্য গুরুত্ব দেব।

আরো পড়ুন
চাঁদার হাত বদল হয়েছে, চাঁদাবাজি বন্ধ হয়নি: সারজিস

চাঁদার হাত বদল হয়েছে, চাঁদাবাজি বন্ধ হয়নি: সারজিস

 

মুক্তিযোদ্ধাদের একাংশ ফ্যাসিস্ট হতে পারেন, কিন্তু মুক্তিযুদ্ধ ছিল আপামর জনগণের লড়াই। মুক্তিযোদ্ধাদের একাংশের ফ্যাসিস্ট, ইসলামফোবিক ও খুনি হয়ে ওঠার কারণে আপনি খোদ মুক্তিযুদ্ধ বা সব মুক্তিযোদ্ধাকে অস্বীকার কিংবা প্রশ্নবিদ্ধ করতে পারেন না। এটা রাষ্ট্রের ভিত্তির সাথে গাদ্দারি! 

আমরা ভুলে যাই, মুক্তিযুদ্ধের পরবর্তী ১০ বছরের ইতিহাস ছিল, ফ্যাসিস্ট মুজিববাদী মুক্তিযোদ্ধা ও ভারতবিরোধী, দেশপ্রেমিক মুক্তিযোদ্ধাদের মধ্যকার লড়াইয়ের ইতিহাস।

কিন্তু সে জন্য আধিপত্যবাদবিরোধী কোনো মুক্তিযোদ্ধা খোদ মুক্তিযুদ্ধকে অস্বীকার করার দুঃসাহস করেননি। এখানেই পিকিংপন্থীদের সাথে অন্যদের তফাত। 

এ দেশের মানুষের রক্তক্ষয়ী সংগ্রাম ও বাংলাদেশের জন্মকে স্বীকার করেই এ দেশে রাজনীতি করতে হবে। এর কোনো ব্যত্যয় হলে আপনাদের আমরা বাংলাদেশের পক্ষের, গণ-অভ্যুত্থানের পক্ষের শক্তি হিসেবে মেনে নেব না। 

আরো পড়ুন
রোজা শুরুর সম্ভাব্য তারিখ জানাল আরব আমিরাত

রোজা শুরুর সম্ভাব্য তারিখ জানাল আরব আমিরাত

 

আর এ গণ-অভ্যুত্থান, মুক্তিযুদ্ধের পরে ফ্যাসিস্ট  মুজিববাদী প্রকল্পের বিরুদ্ধে অভ্যুত্থান, বাকশাল ২.০-এর বিরুদ্ধে অভ্যুত্থান, কিন্তু মুক্তিযুদ্ধেরই ঐতিহাসিক ধারাবাহিকতা। এ গণ-অভ্যুত্থানে বরং শেখ পরিবার ও মুজিববাদী প্রকল্প থেকে মুক্তিযুদ্ধ রিক্লেইমড হলো। 

বাংলাদেশপন্থীদের অবশ্যই মুক্তিযুদ্ধপন্থী হতে হবে, তবে এটাও সত্য যে মুক্তিযুদ্ধ করা অনেকেই ফ্যাসিস্ট ও তাঁবেদার হয়ে উঠেছিল। আজ তারা ছাত্র-জনতার কাছে পরাজিত হয়েছে।  মুক্তিযুদ্ধের বিরুদ্ধে যারা যাবেন, তারা ও মজলুম বাংলাদেশিদের বিরুদ্ধে যাওয়ার কারণে অতীতে পরাজিত হয়েছেন, সামনেও পরাজিত হতে বাধ্য। 

আরো পড়ুন
হার না মানা ৫ নারী পেলেন বিশেষ সম্মাননা

হার না মানা ৫ নারী পেলেন বিশেষ সম্মাননা

 

জুলাই সুযোগ নিয়ে এসেছে জাতিকে ঐক্যবদ্ধ করার। লীগের সাথে বিচারকার্য সম্পন্ন করে রিকন্সাইল করতেও আমরা আগ্রহী ছিলাম। অথচ দিল্লির আশ্রয়ে থেকে দেশবিরোধী চক্রান্ত করাকেই তারা বেছে নিল। আপনারাও ইতিহাসের বিরুদ্ধে অবস্থান নেবেন না। জাতিকে বিভাজন থেকে রক্ষা করতে অবশ্যই ’৭১ ও ’২৪ কে নিঃশর্ত ও নিরঙ্কুশ মেনে এগোতে হবে 

পুনশ্চ, জুলাই বাংলাদেশের ধর্ম-বর্ণ-লিঙ্গ-নির্বিশেষে ছাত্র নেতৃত্বে সর্বজনের অভ্যুত্থান। মধ্যপন্থী ও ভবিষ্যতমুখী এ অভ্যুত্থানে ডান-বাম, চরম বা নরম পন্থার আশ্রয় নেই। সুতরাং বাইরের আসকারায় কেউ জুলাই বিপ্লবীদের ট্যাগ বা হুমকি দেওয়ার চেষ্টা করবেন না। বরং জুলাই বিপ্লবীদের সাথে মৈত্রী করুন। 

জুলাই গণ-অভ্যুত্থানের লাইনে আছে,  ইতিহাসের পক্ষে আছে, আপনারা জুলাইয়ের ছাত্র নেতৃত্বকে হুমকি দেওয়া ব্যক্তিরা ইতিহাসের উল্টো দিকে হাঁটছেন। আসুন, জাতিকে ঐক্যবদ্ধ রাখি এবং রাষ্ট্র সংস্কার করে গণতান্ত্রিক প্রক্রিয়ায় সবাই মিলে অংশগ্রহণ করি।

মন্তব্য

সম্পর্কিত খবর

মানবাধিকার সুরক্ষায় মৃত্যুদণ্ডের বিধান বাতিলসহ ৯ দফা সুপারিশ

নিজস্ব প্রতিবেদক
নিজস্ব প্রতিবেদক
শেয়ার
মানবাধিকার সুরক্ষায় মৃত্যুদণ্ডের বিধান বাতিলসহ ৯ দফা সুপারিশ

মানবাধিকার সুরক্ষায় বিদ্যমান আইন সংশোধনের মাধ্যমে মৃত্যুদণ্ডের বিধান বাতিল, যাবজ্জীবন কারাদণ্ডের বিধান সংশোধনসহ ৯ দফা সুপারিশ করেছে বাংলাদেশ মানবাধিকার কমিশন (বিএইচআরসি)। 

কমিশনের পক্ষ থেকে বলা হয়েছে, এই সুপারিশ মানবাধিকারকর্মীসহ দেশের ১৭ কোটি মানুষের দাবি। আগামী ৪ সপ্তাহের মধ্যে অন্তর্বর্তী সরকার এই সুপারিশ কার্যকর না করলে মানববন্ধন, অবস্থান ধর্মঘট ও স্মারকলিপি প্রদানের কর্মসূচি পালন করা হবে।

আজ রবিবার জাতীয় প্রেস ক্লাবে এক সংবাদ সম্মেলনে এই সুপারিশ তুলে ধরা হয়।

সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্য তুলে ধরেন কমিশনের সেক্রেটারি জেনারেল বীর মুক্তিযোদ্ধা ড. সাইফুল ইসলাম দিলদার। কমিশনের সভাপতি বীর মুক্তিযোদ্ধা ইঞ্জিনিয়ার কাজী রেজাউল মোস্তফার সভাপতিত্বে সংবাদ সম্মেলনে উপস্থিত ছিলেন কমিশনের ডেপুটি গভর্নর আবু মাসুম ফয়সাল, অ্যাডভোকেট নাসির উদ্দিন, মুক্ত রহমান, সিরাজুল ইসলাম বিপ্লব, বকুল চন্দ্র রায় প্রমুখ।

সংবাদ সম্মেলনে উত্থাপিত ৯ দফা সুপারিশে বলা হয়, অন্তর্বর্তীকালীন সরকারকে অবশ্যই একটি নিরপেক্ষ বিচার বিভাগীয় তদন্ত কমিটি গঠন করে বিগত দিনে নিহত, নিখোঁজ (গুম) এবং আহত ক্ষতিগ্রস্ত মানবাধিকারকর্মীদের নামের তালিকা তৈরি ও নির্যাতনকারীদের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা নিতে হবে। 

সুপারিশে আরো বলা হয়, জাতীয় মানবাধিকার কমিশনের আইন প্রণয়ন করে সাধারণ মানুষ যেন ন্যায়বিচার পেতে পারে এমন কমিশন গঠন করতে হবে।

দেশের প্রকৃত ও সিনিয়র মানবাধিকারকর্মীদের কমিশনের সর্বস্তরের কমিটিগুলোতে সম্পৃক্ত করতে হবে। বিগত স্বৈরাচার সরকার এবং কামাল উদ্দিন বাহিনীর হাতে নির্যাতিত মানবাধিকারকর্মীদের উপযুক্ত ক্ষতি পূরণ দিতে হবে। 

আরো বলা হয়, জাতীয় মানবাধিকার কমিশনের সরাসরি হস্তক্ষেপে ও চাপ দিয়ে বাংলাদেশ মানবাধিকার কমিশনের তিনটি রেজিস্ট্রেশন স্থগিত রয়েছে, যা মানবাধিকারের চরম লঙ্ঘন। স্থগিত নিবন্ধনগুলো পুনরায় চালুর লক্ষ্যে প্রশাসনিক হস্তক্ষেপ করতে হবে।

স্বৈরাচার সরকারের দোসর সরকারি কর্মকর্তা ও কর্মচারি এবং ফরমায়েশি বিচারপতি ও বিচারকদের তালিকা তৈরি করে অবিলম্বে তাদের অপসারণ করতে হবে। যেকোনো মামলার বিচারকার্য ৯০ কর্মদিবসের মধ্যে সম্পন্ন করতে হবে।

সংবাদ সম্মেলনে বলা হয়, মানবাধিকারকর্মীদের নির্যাতনের প্রধান নির্দেশদাতা স্বৈরাচার প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। এ ছাড়া সাবেক আইনমন্ত্রী আনিসুল হক, সাবেক আইনসচিব গোলাম সারওয়ার, ডিবি পুলিশ প্রধান হারুন-উর-রশীদ, পুলিশের তেজগাঁও জোনের উপ-পুলিশ কমিশনার, ইন্সপেক্টর মাসুদ রানা, তেজগাঁও থানার ওসি ইন্সপেক্টর অপূর্ব হাসান এবং সর্বোপরি জাতীয় মানবাধিকার কমিশনের সাবেক চেয়ারম্যান ড. কামাল উদ্দিন আহম্মেদ এবং তার পরিষদ ও অফিসে কর্মরত কর্মকর্তা ও কর্মচারীরা মানবাধিকার কর্মীদের নির্যাতনে সরাসরি দায়ী। তাদের বিচার ও শাস্তি নিশ্চিত করতে হবে।

মন্তব্য

নির্বাচনব্যবস্থায় আস্থা ফেরাতে কাজ করছে কমিশন : ইসি সানাউল্লাহ

নওগাঁ প্রতিনিধি
নওগাঁ প্রতিনিধি
শেয়ার
নির্বাচনব্যবস্থায় আস্থা ফেরাতে কাজ করছে কমিশন : ইসি সানাউল্লাহ
ইসি আবুল ফজল মো. সানাউল্লাহ। ছবি : কালের কণ্ঠ

নির্বাচন কমিশনার ব্রিগেডিয়ার জেনারেল (অব.) আবুল ফজল মো. সানাউল্লাহ বলেছেন, ‘নির্বাচনব্যবস্থার প্রতি মানুষের আস্থা ফিরিয়ে আনতে কাজ করছে নির্বাচন কমিশন। মানুষ যাতে স্বাচ্ছন্দ্যে নিজেদের পছন্দের জনপ্রতিনিধি নির্বাচন করতে পারে, সেটাও নিশ্চিত করা হবে।’

রবিবার (২ জানুয়ারি) দুপুরে নওগাঁ জেলা প্রশাসনের সম্মেলনকক্ষে তথ্য সংগ্রহকারী, সুপারভাইজার ও নতুন ভোটারদের সঙ্গে মতবিনিময় সভা শেষে সাংবাদিকদের এসব কথা বলেন তিনি।

আবুল ফজল মো. সানাউল্লাহ বলেন, ইতোপূর্বে ভোটার তালিকার তথ্য নিয়ে সমালোচনা ছিল।

সুষ্ঠু নির্বাচনের ক্ষেত্রে একটি সুন্দর, স্বচ্ছ এবং বিতর্ককহীন ভোটার তালিকা দরকার। এর অংশ হিসেবে কমিশন ভোটার তালিকা হালনাগাদ কর্মসূচি শুরু করেছে। ভোটার তালিকা হালনাগাদের সময় যাতে নির্ভুলভাবে তথ্য সংগ্রহ ও প্রকাশ করা যায়, সে জন্য সঠিক তথ্য সংগ্রহের আহ্বান জানান সংশ্লিষ্টদের।

আওয়ামী লীগ নির্বাচনে অংশ নিতে পারবে কি না, এমন প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, ‘এটি সম্পূর্ণ একটি রাজনৈতিক ঐকমত্য প্রক্রিয়ার বিষয়।

এ ছাড়া বিচারিক একটা বিষয় রয়েছে যদি আদালতে গড়ায়। এটি নির্বাচন কমিশনের বিষয় নয়। তফসিল ঘোষণা পর যেসব নিবন্ধিত রাজনৈতিক দল থাকবে তখন সে বিষয়ে সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে।’

এ সময় জেলা প্রশাসক আব্দুল আউয়াল, পুলিশ সুপার সফিউল সারোয়ার, নওগাঁ পৌরসভার প্রশাসক টি এম এ মমিন ও জেলা নির্বাচন অফিসার আব্দুল মোত্তালিবসহ প্রশাসনের অন্য কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।

প্রাসঙ্গিক
মন্তব্য

মহার্ঘ ভাতা নিয়ে নতুন তথ্য জানালেন জনপ্রশাসন সচিব

অনলাইন ডেস্ক
অনলাইন ডেস্ক
শেয়ার
মহার্ঘ ভাতা নিয়ে নতুন তথ্য জানালেন জনপ্রশাসন সচিব
সংগৃহীত ছবি

সরকারি কর্মকর্তা-কর্মচারীদের মহার্ঘ ভাতা নিয়ে ভিন্ন ভিন্ন তথ্য উঠে এসেছে। প্রথমে জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ের সিনিয়র সচিব মোখলেস উর রহমান জানান, আগামী ৩০ জুনের মধ্যে মহার্ঘ ভাতা ঘোষণা করা হবে। তবে তিনি ভাতার পরিমাণ সম্পর্কে কিছু জানাননি।

গত ৯ জানুয়ারি বৃহস্পতিবার সচিবালয়ে গণমাধ্যমকর্মীদের এ কথা বলেন তিনি।

পরে অবশ্য অর্থ উপদেষ্টা সালেহউদ্দিন আহমেদ দেন অন্য তথ্য। গত ২৮ জানুয়ারি মঙ্গলবার সচিবালয়ে তিনি বলেন, সরকারি কর্মকর্তা ও কর্মচারীদের মহার্ঘ ভাতা দেওয়ার বিষয়ে কে ঘোষণা দিয়েছে আমি জানি না।

আরো পড়ুন
কারাগারের লোগো থেকে নৌকা বাদ, যুক্ত হলো চাবি ও ব্যাটন

কারাগারের লোগো থেকে নৌকা বাদ, যুক্ত হলো চাবি ও ব্যাটন

 

সরকারি চাকরিজীবীরা মহার্ঘ ভাতা পাচ্ছেন কি-না, এমন প্রশ্নে অর্থ উপদেষ্টা বলেন, মহার্ঘ ভাতার বিষয়ে এখনো আমরা কোনো সিদ্ধান্ত নেইনি।

এবার সেই মহার্ঘ ভাতা নিয়ে নতুন তথ্য দিলেন জনপ্রশাসনের সিনিয়র সচিব মোখলেস উর রহমান।

তিনি বলেন, মহার্ঘ ভাতা দেওয়া হবে কি হবে না, সে সিদ্ধান্ত অর্থ মন্ত্রণালয়ের। এটা জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ের সিদ্ধান্ত নয়।

রবিবার (২ ফেব্রুয়ারি) বেসরকারি টেলিভিশন নিউজ টোয়েন্টিফোরকে এ তথ্য জানিয়েছেন জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ের সিনিয়র সচিব। তিনি বলেছেন, অর্থ মন্ত্রণালয় যেটা বলবে, সেটা সরকারের কথা।

এটার জন্য অপেক্ষা করেন।

তিনি আরো বলেন, ‘আমার মনে হয়, আমরা কারও কথায় গুজবে কান না দিয়ে অর্থ মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা যেটা বলবেন, অর্থ মন্ত্রণালয় যেটা বলবে, সেটা আমাদের সবার জন্য প্রযোজ্য।’ 

আরো পড়ুন
জাতীয় নিরাপদ খাদ্য দিবস আজ

জাতীয় নিরাপদ খাদ্য দিবস আজ

 

এছাড়া চার বিভাগকে চারটি প্রদেশের সুপারিশ করেছে জনপ্রশাসন সংস্কার কমিশন। তথ্যটি নিশ্চিত করে তিনি বলেন, ঢাকা, চট্টগ্রাম, খুলনা এবং রাজশাহী-দেশের পুরনো এই চার বিভাগকে চারটি প্রদেশ করার সুপারিশ করেছে সংস্কার কমিশন।

মোখলেস উর রহমান জানান, আগামী ৫ ফেব্রুয়ারি জনপ্রশাসন সংস্কার কমিশন তাদের সুপারিশ জমা দেবেন প্রধান উপদেষ্টার কাছে।

তিনি এও জানিয়েছেন, ১৮২ পৃষ্ঠার সুপারিশে একটি জনবান্ধব জনপ্রশাসন তৈরির বিষয়গুলোকে গুরুত্ব দেওয়া হয়েছে।

প্রাসঙ্গিক
মন্তব্য

কারাগারের লোগো থেকে নৌকা বাদ, যুক্ত হলো চাবি ও ব্যাটন

অনলাইন ডেস্ক
অনলাইন ডেস্ক
শেয়ার
কারাগারের লোগো থেকে নৌকা বাদ, যুক্ত হলো চাবি ও ব্যাটন
সংগৃহীত ছবি

কারা অধিদপ্তরের লোগো পরিবর্তন করা হয়েছে। নতুন লোগোতে নৌকা প্রতীক বাদ দেওয়া হয়েছে। সেই স্থানে যুক্ত করা হয়েছে চাবি ও ব্যাটনের (লাঠি) চিহ্ন। আজ রবিবার (২ ফেব্রুয়ারি) দুপুরে সহকারী কারা মহাপরিদর্শক (উন্নয়ন) মো. জান্নাত-উল-ফরহাদ এ তথ্য জানান।

তিনি বলেন, সম্প্রতি স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় কারা অধিদপ্তরের পূর্ববর্তী লোগো পরিবর্তন করে নতুন লোগো প্রতিস্থাপনের নির্দেশনা জারি করেছে। এখন থেকে নতুন লোগো ব্যবহৃত হবে।

পুরনো লোগোতে দেখা যায়, ওপরে শাপলা ও দুই পাশে পাটপাতা, মাঝে পালতোলা নৌকা এবং নিচে বি ডি জে লেখা।
নতুন লোগোতে দেখা গেছে, মাঝে শুধু পালতোলা নৌকা বাদ দেওয়া হয়েছে।

পালতোলা নৌকা বাদ দিয়ে কারা অধিদপ্তরের চাবি ও ব্যাটনের চিহ্ন দেওয়া হয়েছে।

প্রাসঙ্গিক
মন্তব্য

সর্বশেষ সংবাদ