জাতিসংঘের মহাসচিব আন্তোনিও গুতেরেস আগামী মার্চের মাঝামাঝি সময়ে বাংলাদেশ সফর করবেন এবং কক্সবাজার শরণার্থী শিবিরে রোহিঙ্গাদের দেখতে যাবেন বলে জানিয়েছেন জাতিসংঘের মায়ানমারবিষয়ক বিশেষ দূত জুলি বিশপ।
রবিবার (২৩ ফেব্রুয়ারি) রাষ্ট্রীয় অতিথি ভবন যমুনায় প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক মুহাম্মদ ইউনূসের সঙ্গে সাক্ষাৎকালে জাতিসংঘের দূত এ তথ্য জানান।
বৈঠকে তারা বাংলাদেশে বসবাসরত জোরপূর্বক বাস্তুচ্যুত দশ লাখের বেশি রোহিঙ্গাদের মানবিক সহায়তার জন্য নতুন দাতা খোঁজা এবং এর স্থায়ী সমাধানের নতুন উপায় খোঁজার আলোচনা করেন।
ড. ইউনূস বলেছেন, জাতিসংঘ চলতি বছরের শেষের দিকে রোহিঙ্গা সংকট নিয়ে একটি আন্তর্জাতিক সম্মেলন আয়োজন করবে।
জুলি বিশপকে গুরুত্বপূর্ণ এই সম্মেলনে কেন্দ্রীয় ভূমিকা পালন করার আহ্বান জানান।
মালয়েশিয়া ও ফিনল্যান্ড সম্মেলনের সহ-সহায়ক হিসেবে কাজ করবে বলে জানিয়ে প্রধান উপদেষ্টা বলেন, ‘আপনার ভূমিকা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ।’
গৃহযুদ্ধ বিধ্বস্ত মায়ানমারের রাখাইন রাজ্যে মানবিক সংকট নিরসনে এবং পশ্চিম মায়ানমার থেকে পালিয়ে আসা নতুন শরণার্থীদের আগমন রোধে জাতিসংঘের এই বিশেষ দূতের সহায়তা কামনা করেন অধ্যাপক ইউনূস। বৈঠকে মার্কিন পররাষ্ট্রনীতির নতুন দিকনির্দেশনা নিয়ে অনিশ্চয়তার পর রোহিঙ্গা শরণার্থীদের জন্য আরো দাতাগোষ্ঠীর সন্ধান বিষয়েও তারা আলোচনা করেন।
জুলি বিশপ রোহিঙ্গা বিষয়ক জাতিসংঘের আন্তর্জাতিক সম্মেলনকে সফল করার প্রয়োজনীয়তার ওপর জোর দেন। তিনি বলেন, ‘এটি দশকব্যাপী সংকটের টেকসই সমাধানের জন্য অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ।’
তিনি আরো জানান, জাতিসংঘের মহাসচিব আন্তোনিও গুতেরেস আগামী মার্চের মাঝামাঝি বাংলাদেশ সফর করবেন এবং কক্সবাজারের শরণার্থী শিবিরে পরিদর্শন করবেন।
এর আগে পররাষ্ট্র উপদেষ্টা মো. তৌহিদ হোসেনের সঙ্গে বৈঠক করেন জাতিসংঘ মহাসচিবের এই বিশেষ দূত।
রবিবার (২৩ ফেব্রুয়ারি) পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে অনুষ্ঠিত ওই বৈঠক শেষে তিনি বলেন, রোহিঙ্গা সংকট সমাধানে মায়ানমার সরকার ও বিদ্রোহী সংগঠনসহ সব গোষ্ঠীর সঙ্গে আলোচনা অব্যাহত রেখেছে জাতিসংঘ।