ঢাকা, শনিবার ২৬ এপ্রিল ২০২৫
১২ বৈশাখ ১৪৩২, ২৬ শাওয়াল ১৪৪৬

ঢাকা, শনিবার ২৬ এপ্রিল ২০২৫
১২ বৈশাখ ১৪৩২, ২৬ শাওয়াল ১৪৪৬

মঙ্গল শোভাযাত্রার নাম পরিবর্তন নিয়ে যা বললেন সংস্কৃতি উপদেষ্টা

অনলাইন ডেস্ক
অনলাইন ডেস্ক
শেয়ার
মঙ্গল শোভাযাত্রার নাম পরিবর্তন নিয়ে যা বললেন সংস্কৃতি উপদেষ্টা
সংগৃহীত ছবি

সংস্কৃতি মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা মোস্তফা সরয়ার ফারুকী বলেছেন, ‘পহেলা বৈশাখ বা নববর্ষের মঙ্গল শোভাযাত্রার নাম পরিবর্তন হবে কি না, সে বিষয়ে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় (ঢাবি) সিদ্ধান্ত নেবে।’

আজ মঙ্গলবার (৮ এপ্রিল) দুপুরে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের সম্মেলনকক্ষে বাংলা নববর্ষ ১৪৩২ উদযাপন উপলক্ষে আইন-শৃঙ্খলা রক্ষা সংক্রান্ত বৈঠক শেষে সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে এ মন্তব্য করেন তিনি।

আরো পড়ুন
মাদারীপুর প্রাথমিক শিক্ষা অফিসে দুদকের অভিযান

মাদারীপুর প্রাথমিক শিক্ষা অফিসে দুদকের অভিযান

 

মোস্তফা সরয়ার ফারুকী বলেন, ‘আগামী ১০ এপ্রিল ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের একটা সভা হবে, সেখানে এ বিষয়ে সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে। সভা শেষে প্রেস ব্রিফিংয়ে সিদ্ধান্তের কথা ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় জানাবে।

তবে নাম পরিবর্তন নিয়ে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে আজকে কোনো আলোচনা হয়নি।’

চৈত্রসংক্রান্তি ও নববর্ষ উপলক্ষে ঢাকাসহ দেশজুড়ে বাঙালি ও অন্যান্য জাতিগোষ্ঠীর কী কী অনুষ্ঠান হচ্ছে এর হাইলাইটগুলো নিয়ে আগামীকাল একটা সংবাদ সম্মেলন হবে জানিয়ে তিনি বলেন, ‘সেখানে আমরা লিখিত আকারে বিস্তারিত দিয়ে দেব কোথায় কখন কী হবে।’

আরো পড়ুন
৪৪তম বিসিএসের চূড়ান্ত ফল ৩০ জুনের মধ্যে

৪৪তম বিসিএসের চূড়ান্ত ফল ৩০ জুনের মধ্যে

 

মঙ্গল শোভাযাত্রা কী নাম দিয়ে পালন করা হবে জানতে চাইলে উপদেষ্টা বলেন, ‘ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সংশ্লিষ্ট সবার সঙ্গে আলোচনা করা হয়েছে। তারাই আলোচনার মাধ্যমে নাম ঠিক করে আপনাদের জানাবেন।

নাম পরিবর্তন হবে কি হবে না, তা ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় জানাবে। যেহেতু ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় শোভাযাত্রাটা করে, তাই তারাই নির্ধারণ করবে।’

এর আগে ফারুকী বলেন, ‘এ বছর শোভাযাত্রা আরো বেশি ইনক্লুসিভ হবে। এবারের শোভাযাত্রায় বাঙালিসহ অন্য ২৬টি জাতিগোষ্ঠী অংশ নেবে।

এটা সরকারি উদ্যোগে হবে।’

মন্তব্য

সম্পর্কিত খবর

পোপ ফ্রান্সিসকে শ্রদ্ধা জানাতে সেন্ট পিটার্স ব্যাসিলিকায় প্রধান উপদেষ্টা

অনলাইন ডেস্ক
অনলাইন ডেস্ক
শেয়ার
পোপ ফ্রান্সিসকে শ্রদ্ধা জানাতে সেন্ট পিটার্স ব্যাসিলিকায় প্রধান উপদেষ্টা
সংগৃহীত ছবি

রোমান ক্যাথলিক ধর্মগুরু পোপ ফ্রান্সিসের অন্ত্যেষ্টিক্রিয়ার আগে শ্রদ্ধা জানাতে ভ্যাটিকানের সেন্ট পিটার্স ব্যাসিলিকায় প্রবেশ করেছেন প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক মুহাম্মদ ইউনূস।

শুক্রবার (২৫ এপ্রিল) বাংলাদেশ সময় সন্ধ্যা ৬টা ২০ মিনিটের দিকে প্রধান উপদেষ্টা ও তার সফরসঙ্গীদের বহনকারী বিমানটি রোমে পৌঁছায়। সেখানে ইতালিতে নিযুক্ত বাংলাদেশের রাষ্ট্রদূত প্রধান উপদেষ্টাকে স্বাগত জানান।

বিশ্বের প্রথম লাতিন আমেরিকান পোপ, পোপ ফ্রান্সিসের শেষকৃত্য হতে চলেছে আগামীকাল শনিবার সেন্ট পিটার্স ব্যাসিলিকার সামনে উন্মুক্ত প্রাঙ্গণে।

এই অন্ত্যেষ্টিক্রিয়ায় যোগ দেবেন বিশ্বের নানা দেশের নেতারা।

যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প ও ফ্রান্সের প্রেসিডেন্ট ইমানুয়েল মাখোঁ অন্ত্যেষ্টিক্রিয়ায় অংশ নেবেন বলে জানিয়েছেন। তা ছাড়া অন্য বিশ্বনেতাদের মধ্যে ফ্রান্সিসের জন্মভূমি আর্জেন্টিনার প্রেসিডেন্ট হাভিয়ের মিলি, ব্রাজিলের প্রেসিডেন্ট লুইজ ইনাসিও লুলা ডি সিলভা অন্ত্যেষ্টিক্রিয়ায় অংশ নেবেন।

চার্চের সর্বোচ্চ ধর্মীয় ব্যক্তিদের উপস্থিতিতে এ অনুষ্ঠানের নেতৃত্ব দেবেন ক্যাথলিক চার্চের কার্ডিনাল কলেজের ডিন জিওভান্নি বাত্তিস্তা রে।

জানা গেছে, শেষকৃত্যের শেষে তিনি ‘চূড়ান্ত সমর্পণ প্রার্থনা’ পাঠ করবেন, যার মাধ্যমে আনুষ্ঠানিকভাবে পোপকে ঈশ্বরের হাতে সমর্পণ করা হবে।

এরপর পোপের মরদেহ নিয়ে যাওয়া হবে রোমের সান্তা মারিয়া মেজিওর ব্যাসিলিকায়, যেখানে তাকে সমাহিত করা হবে।

পোপ ফ্রান্সিস প্রথা ভেঙে সেন্ট পিটার্সের বদলে রোমের সান্তা মারিয়া ব্যাসিলিকায় সমাহিত হওয়ার ইচ্ছা প্রকাশ করেছিলেন। সেখানে পোপ ফ্রান্সিসের বহু পূর্বসূরির সমাধি আছে।

 

৮৮ বছর বয়সী পোপ ফ্রান্সিস চলতি বছরের প্রথম দিকে দুইবার নিউমোনিয়ায় আক্রান্ত হয়ে পাঁচ সপ্তাহ হাসপাতালে ছিলেন।

প্রায় এক মাস আগে তিনি হাসপাতাল থেকে ভ্যাটিক্যানের বাসায় ফিরেছিলেন। ইস্টার সানডে উপলক্ষে রবিবার সেন্ট পিটার্স স্কয়ারেও হাজির হয়েছিলেন। কিন্তু তার পরদিন সকালে ভ্যাটিকান তার মৃত্যুর খবর জানায়।

মন্তব্য

কাতার সফরকে স্বপ্নের মত বললেন চার ক্রীড়াবিদ

অনলাইন ডেস্ক
অনলাইন ডেস্ক
শেয়ার
কাতার সফরকে স্বপ্নের মত বললেন চার ক্রীড়াবিদ
সংগৃহীত ছবি

প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক মুহাম্মদ ইউনূসের সঙ্গে রাষ্ট্রীয় সফর কাতার থেকে ফিরে শুক্রবার (২৫ এপ্রিল) বিকেলে ফরেন সার্ভিস একাডেমিতে অনুষ্ঠিত এক সংবাদ সম্মেলনে ওই সফরের রোমাঞ্চকর অভিজ্ঞতা নিয়ে কথা বলেছেন জাতীয় নারী ফুটবল দলের অধিনায়ক আফিদা খন্দকার, ফুটবলার শাহিদা আক্তার রিপা, ক্রিকেটার সুমাইয়া আকতার ও শারমিন সুলতানা। 

প্রধান উপদেষ্টার সঙ্গে কাতার সফরকে স্বপ্নের মত বললেন এই চার জাতীয় নারী ক্রীড়াবিদ। 

আফিদা খন্দকার বলেন, ‘আমরা খুবই খুশি হয়েছি যে, প্রধান উপদেষ্টার সঙ্গে  সফরসঙ্গী হিসেবে আমরা কাতারে গিয়েছি চারজন। বাংলাদেশের ক্রীড়াঙ্গন থেকে আমরা চারজন যাবার সুযোগ পেয়েছি।

এটা আমাদের জন্য বড় পাওয়া। আমাদের দেশের ফুটবল বা ক্রিকেট বা অন্যান্য যেসব খেলা আছে সেগুলো যেন আমরা কাতারের সামনে তুলে ধরতে পারি। তারা আমাদের সাথে কাজ করার প্রতিশ্রুতি এবং সব ধরনের সহযোগিতা করার আশ্বাস দিয়েছে।’

ক্রিকেটার সুমাইয়া আকতার বলেন, ‘আমরা যখন দেশের বাইরে যাই।

তখন ভিআইপি সুবিধা পাই। কিন্তু এবার প্রধান উপদেষ্টার সাথে আমরা গিয়েছি। আমরা অন্যরকম সুবিধা পেয়েছি। আমরা সেখানে অনেক ব্যস্ত সময় কাটিয়েছি।
প্রধান উপদেষ্টার অনেক অনুষ্ঠান নির্ধারিত ছিল। সেখানে অনুষ্ঠানে প্রধান উপদেষ্টার  বক্তব্য শোনার জন্য অনেক মানুষকে দাঁড়িয়ে থাকতে দেখেছি । আমাদের যে ধরনের সুযোগ-সুবিধা দেওয়া হয়েছে সেটি বলে প্রকাশ করা যাবে না। আমরা এই সফর নিয়ে অনেক বেশি খুশি।’

দোহায় আর্থনা সম্মেলনের ফাঁকে প্রধান উপদেষ্টার সঙ্গে এক বৈঠকে বাংলাদেশের নারী খেলোয়াড়দের জন্য সুযোগ-সুবিধা বৃদ্ধির প্রতিশ্রুতিও দেন কাতার ফাউন্ডেশনের সিইও শেখ হিন্দ বিনত হামাদ আল থানি।

কাতারে ফুটবল বেশি জনপ্রিয়। ক্রিকেট বিষয়ে খুব বেশি ধারণা নেই তাদের। কাতারের স্কুল পর্যায়ে ক্রিকেট শুরু হয়েছে। কাতার ফাউন্ডেশনের সিইও শেখ হিন্দকে ক্রিকেট সর্ম্পকে ধারণা দেন দুই ক্রিকেটার ক্রিকেটার সুমাইয়া আকতার ও শারমিন সুলতানা। 

এ বিষয়ে শারমিন সুলতানা বলেন, ‘আসলে সেখানে ক্রিকেট জনপ্রিয় না। ক্রিকেট নিয়ে তাদের ধারণা কম। আমাদের কথা শুনে তারা ক্রিকেট নিয়ে আগ্রহী হয়ে উঠে। শেখ হিন্দ বলেছেন, তারাও ক্রিকেট শুরু করবে। তারা বর্তমানে স্কুল পর্যায়ে ক্রিকেট শুরু করেছে। তারা চিন্তা ভাবনা করছে, কীভাবে পরের ধাপে যেতে পারে এবং আন্তর্জাতিক পর্যায়ে খেলতে পারে। এটি নিয়ে তারা বেশি উৎসাহী ছিল।’

২০২২ সালের ফুটবল বিশ্বকাপের ফাইনাল অনুষ্ঠিত হয়েছিল কাতারের লুসাইলের লুসাইল আইকনিক স্টেডিয়ামে। ওই স্টেডিয়ামও ঘুরে দেখেছেন বাংলাদেশর নারী ক্রীড়াবিদরা। লুসাইল স্টেডিয়ামে অভিজ্ঞতা নিয়ে আফিদা বলেন, ‘লুসাইল স্টেডিয়ামের সব কিছুই আমরা ঘুরে দেখেছি। মাঠে ঘুরেছি। ওই মাঠে আর্জেন্টিনা শিরোপা জিতে উল্লাস করেছে। আমরা ড্রেসিংরুমেও গিয়েছি। সেখানে ওয়ার্ম-আপের জন্য আলাদা ব্যবস্থা আছে। ড্রেসিংরুমের খেলোয়াড়দের অন্যান্য সুবিধাগুলো দেখে আমাদের খুবই ভালো লেগেছে।’

সংবাদ সম্মেলনে আরও উপস্থিত ছিলেন প্রধান উপদেষ্টার উপ-প্রেস সচিব আবুল কালাম আজাদ মজুমদার। 

চার ক্রীড়াবিদের কাতার সফর ভিন্ন মাত্রা পেয়েছে উল্লেখ করে তিনি বলেন, ‘আমরা মনে করি, চার ক্রীড়াবিদের কাতারে যাওয়ার মধ্য দিয়ে একটি আলাদা মাত্রা পেয়েছে।

সাধারণত সরকারি সফরে দ্বিপাক্ষিক আলোচনা হয়ে থাকে। এবারও বিভিন্ন বিষয় নিয়ে আলোচনা হয়েছে। এবার যদি ক্রীড়াবিদরা না যেত, তাহলে ক্রীড়া নিয়ে আলোচনা হতো না। আমাদের এই ক্রীড়াবিদরা এবার সফরে যাওয়াতে তাদের নিয়ে আলাদাভাবে আগ্রহ সৃষ্টি এবং আলোচনা শুরু হয়েছে। আমরা মনে করি, এটি শুরু। কাতারে যারা স্পোর্টস কর্মকর্তা আছেন তাদের সাথে প্রধান উপদেষ্টা নিজে সরাসরি কথা বলেছেন। কাতার ফাউন্ডেশন স্পোর্টসের জন্য অনেক বড় ফ্যাক্টর।

সারা বিশ্বে ক্রীড়াঙ্গনে অনেক ক্ষেত্রেই তাদের বিনিয়োগ আছে এবং আমরা বিশ্বাস করি যে, এই সফরের মধ্যে দিয়ে তাদের সাথে যোগাযোগ স্থাপিত হল, এই যোগাযোগের ধারাবাহিকতায় ভবিষ্যতে আমরা ক্রীড়াক্ষেত্রে অনেক গুরুত্বপূর্ণ সহযোগিতা পাব।

মন্তব্য

তামাকজনিত রোগে বছরে দেড় লাখের বেশি মানুষের মৃত্যু

নিজস্ব প্রতিবেদক
নিজস্ব প্রতিবেদক
শেয়ার
তামাকজনিত রোগে বছরে দেড় লাখের বেশি মানুষের মৃত্যু
সংগৃহীত ছবি

‘বাংলাদেশে তামাকজনিত রোগে প্রতিবছর প্রায় ১ লাখ ৬১ হাজার মানুষ মৃত্যুবরণ করছেন। যা জাতির জন্য মারাত্মক হুমকি বলে জানিয়েছেন বক্তারা।’ বৃহস্পতিবার বিকেলে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ড. সিরাজুল ইসলাম লেকচার হলে আয়োজিত এক সেমিনারে এ তথ্য জানানো হয়। 

আহ্ছানিয়া মিশন ইয়ুথ ফোরাম ফর হেলথ অ্যান্ড ওয়েলবিয়িং-এর আয়োজনে ‘তামাক নিয়ন্ত্রণ আইনকে শক্তিশালীকরণ এবং তামাকমুক্ত জাতি গঠনে যুব সমাজের ভূমিকা শীর্ষক’ যুব সেমিনারে বক্তারা বলেন, তামাক নিয়ন্ত্রণ আইন অনেক পুরনো এবং বর্তমান সময়ের প্রেক্ষাপটে তা কার্যকরভাবে তামাকজাত পণ্যের বিস্তার রোধ করতে পারছে না।

তারা জানান, তামাকজনিত রোগে প্রতিবছর প্রায় ১ লাখ ৬১ হাজার মানুষ মৃত্যুবরণ করছেন, যা একটি জাতির জন্য মারাত্মক হুমকি।

সেমিনারে দ্রুত তামাক নিয়ন্ত্রণ আইনের সংশোধনের প্রয়োজনীয়তা তুলে ধরেন তরুণরা। এ সময় তারা বেশ কয়েকটি দাবি উপস্থাপন করেন। প্রধান দাবিগুলো হলো- সকল ধরণের তামাকজাত পণ্যের প্রদর্শন ও বিজ্ঞাপন সম্পূর্ণভাবে নিষিদ্ধ করা, ভেপ/ই-সিগারেটের মতো নতুন পণ্যের ব্যবহার নিষিদ্ধ করা, পাবলিক প্লেসে ধূমপানের জন্য নির্ধারিত স্থান বা স্মোকিং জোন নিষিদ্ধ করা, বিড়ি-সিগারেটের খূচরা শলাকা বিক্রি নিষিদ্ধ করা, তামাক কম্পানির সামাজিক দায়বদ্ধতা কর্মসূচি বা সিএসআর কার্যক্রম নিষিদ্ধ করা এবং তামাকের মোড়কের সচিত্র সতর্কবার্তা ৯০ শতাংশ করা।

আরো পড়ুন
‘গাবতলী টার্মিনালে আন্তঃজেলা বাস প্রবেশে নির্মাণ হবে আলাদা রোড’

‘গাবতলী টার্মিনালে আন্তঃজেলা বাস প্রবেশে নির্মাণ হবে আলাদা রোড’

 

সেমিনারের পূর্বে অংশগ্রহণকারীরা প্রতীকী হিসেবে তামাক নিয়ন্ত্রণ আইনের দাবিতে পদযাত্রা ও স্বাক্ষর অভিযান পরিচালনা করেন, যা সরকারের প্রতি তামাক নিয়ন্ত্রণ আইন সংশোধনের আহ্বান হিসেবে পাঠানো হবে। সেমিনারের মূল উদ্দেশ্য ছিল বাংলাদেশে তামাক নিয়ন্ত্রণ আইন দ্রুত ও কার্যকরভাবে সংশোধনের দাবি তুলে ধরা এবং তরুণ প্রজন্মকে এই আন্দোলনের অংশ করে তোলা।

অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি ছিলেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য প্রফেসর ড. নিয়াজ আহমদ খান। তিনি ঢাকা আহছানিয়া মিশনের ইয়ুথ ফোরাম তামাক নিয়ন্ত্রণ আইন শক্তিশালীকরণের লক্ষ্যে আইন সংশোধনের যে দাবি জানিয়েছে তার প্রতি সম্পূর্ণ একমত পোষণ করেন।

এতে বিশেষ অতিথি ছিলেন স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ মন্ত্রণালয়ের স্বাস্থ্যসেবা বিভাগে অতিরিক্ত সচিব (বিশ্বস্বাস্থ্য অনুবিভাগ) শেখ মোমেনা মনি। তিনি বলেন, সরকার ইতিমধ্যে তামাক নিয়ন্ত্রণ আইন সংশোধন এবং মাঠ পর্যায়ে বাস্তবায়নের উদ্যোগ নিয়েছে।

অনুষ্ঠানে অতিথি হিসেবে আরো বক্তব্য দেন- ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সমাজবিজ্ঞান বিভাগের সহযোগী অধ্যাপক ও সহকারী প্রক্টর মুহাম্মদ মাহবুব কায়সার এবং ডেপুটি এটর্নি জেনারেল ও বাংলাদেশ সুপ্রীম কোর্ট আইনজীবী সমিতির সাধারণ সম্পাদক মো. মাহফুজুর রহমান মিলন। 

আহ্ছানিয়া মিশন ইয়ুথ ফোরাম ফর হেলথ অ্যান্ড ওয়েলবিয়িংয়ের সমন্বয়কারী মারজানা মুনতাহার সভাপতিত্বে সেমিনারে মূল প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন জাতীয় যুব উন্নয়ন ইনস্টিটিউটের নির্বাহী পরিষদ সদস্য আব্দুল্লাহ্ আল মামুন। যুব বক্তা হিসেবে বক্তব্য দেন বাংলাদেশ মেডিক্যাল স্টুডেন্টস সোসাইটির সভাপতি ডা. ইফতেখার আহমেদ সাকিব ও ইয়ুথ ইনফ্লুয়েন্সার শামীম হোসেন।

অনুষ্ঠানের শুরুতে স্বাগত বক্তব্য দেন আহছানিয়া মিশন ইয়ুথ ফোরাম ফর হেলথ অ্যান্ড ওয়েলবিয়িংয়ের সদস্য মো. তাসনিম হাসান আবির।

প্রাসঙ্গিক
মন্তব্য

৩৪তম বিসিএস অল ক্যাডার অ্যাসোসিয়েশনের নতুন কমিটি গঠন

অনলাইন ডেস্ক
অনলাইন ডেস্ক
শেয়ার
৩৪তম বিসিএস অল ক্যাডার অ্যাসোসিয়েশনের নতুন কমিটি গঠন
সংগৃহীত ছবি

দীর্ঘ নয় বছর পর ৩৪তম বিসিএস অল ক্যাডার অ্যাসোসিয়েশনের নতুন কমিটি গঠিত হয়েছে। এতে সভাপতি হয়েছেন রূপগঞ্জের উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা সাইফুল ইসলাম জয় এবং সাধারণ সম্পাদক হয়েছেন তেজগাঁও ডিভিশনের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার জুয়েল রানা।

শুক্রবার (২৫ এপ্রিল) অফিসার্স ক্লাব ঢাকায় এই কমিটি গঠন করা হয়।

আরো পড়ুন

৩ মের আগেই নারী কমিশনের প্রতিবেদন প্রত্যাহারের আলটিমেটাম

৩ মের আগেই নারী কমিশনের প্রতিবেদন প্রত্যাহারের আলটিমেটাম

 

৩৪তম বিসিএস অল ক্যাডার অ্যাসোসিয়েশনের এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়- এক জরুরি বিশেষ সভা বাংলাদেশ অফিসার্স ক্লাব মিলনায়তনে অনুষ্ঠিত হয়।

সভায় ব্যাচের নতুন কমিটি গঠনসংক্রান্ত আলোচনা শেষে তিন সদস্যের নির্বাচন কমিশন গঠন করা হয়; যাতে প্রধান নির্বাচন কমিশনার হিসেবে মানসুর আলী, ডিসিটি ট্যাক্স ক্যাডার এবং সদস্য হিসাবে আবিদুর রহমান, সিনিয়র সহকারী সচিব, প্রধান উপদেষ্টার স্বাস্থ্য বিষয়ক বিশেষ সহকারীর একান্ত সচিব এবং রাসেল মনির অতিরিক্ত পুলিশ সুপার, বাংলাদেশ পুলিশ।  

পরবর্তীতে ঐকমত্যের ভিত্তিতে নির্বাচনের মাধ্যমে দুই সদস্যদের কমিটি গঠনের বিষয়ে সর্বসম্মতিক্রমে সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়। কমিটিতে সভাপতিত্ব করেন মো. আজিজুর রহমান, সিনিয়র সহাকারী সচিব, পরিকল্পনা কমিশন। শিক্ষা ক্যাডারের কর্মকর্তা মোস্তাফিজুর রহমান মিঠু নতুন সভাপতি কমিটির নাম প্রস্তাব করেন।

সর্বসম্মতিক্রমে এই প্রস্তাব গৃহিত হয়।

নতুন কমিটির সভাপতি সাইফুল ইসলাম জয় জানান, এই কমিটি জুলাই স্পিরিটকে ধারণ করে দেশের উন্নয়নে কাজ করবে। আর সাধারণ সম্পাদক জুয়েল রানা জানান বিপ্লব পরবর্তী নতুন বাংলাদেশে আমরা কোনো বৈষম্যকে প্রশ্রয় দিব না। 

প্রাসঙ্গিক
মন্তব্য

সর্বশেষ সংবাদ