বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর সদস্যদের অক্লান্ত পরিশ্রমের ফলে রাঙামাটি, খাগড়াছড়ি ও বান্দরবান জেলায় বিভিন্ন সড়ক নির্মাণ করার কারণে পাহাড়ি জনপদে শিক্ষার হার বৃদ্ধি পেয়েছে, বাজার অর্থনীতি ও বিপণন সফলতার মুখ দেখেছে, স্বাস্থ্যসেবায় সূচক উন্নত হয়েছে, চাষাবাদ বেড়েছে, জীবনধারায় পরিবর্তন এসেছে এবং কর্মসংস্থান তৈরির মাধ্যমে দারিদ্র্যের হার কমেছে। সর্বোপরি পার্বত্য তিন জেলায় আর্থ-সামাজিক উন্নয়নে পরিবর্তনের সঙ্গে সঙ্গে পাহাড়ে এসেছে উন্নয়ন ও প্রাণের স্পন্দন। বর্তমানে সেনাবাহিনীর তত্ত্বাবধানে রাঙামাটি, খাগড়াছড়ি ও বান্দরবানের দুর্গম সীমান্ত এলাকায় এক হাজার ৩৬ কিলোমিটার দীর্ঘ সীমান্ত সড়ক নির্মাণের প্রকল্পটি সম্পন্ন হলে পার্বত্য জেলাগুলোর সীমান্ত নিরাপত্তা নিশ্চিতের পাশাপাশি যোগাযোগব্যবস্থা, ব্যবসা-বাণিজ্যের প্রসার, শিল্প, শিক্ষা, স্বাস্থ্য, তথ্য-প্রযুক্তি, পর্যটন ও আর্থ-সামাজিক অবস্থার উন্নয়নে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করবে।
বাংলাদেশের বিদ্যুতের বাড়তি চাহিদা মেটানোর লক্ষ্যে রূপপুর পারমাণবিক বিদ্যুত্ কেন্দ্র মেগাপ্রজেক্টটি হাতে নেওয়া হয়েছে। পারমাণবিক বিদ্যুত্ কেন্দ্রটির নির্মাণকাজ, রক্ষণাবেক্ষণ, পারমাণবিক জ্বালানি পরিবহন এবং প্রতিরক্ষার দায়িত্বে নিয়োজিত রয়েছে বাংলাদেশ সেনাবাহিনী, যা বাংলাদেশের মানুষের কাছে দেশের সেনাবাহিনীর ভাবমূর্তি উজ্জ্বল করেছে। সেনাবাহিনী অত্যন্ত সুষ্ঠু ও সুন্দরভাবে জাতীয় পরিচয়পত্র তথা ভোটার আইডি কার্ড, মেশিন রিডেবল পাসপোর্ট এবং মেশিন রিডেবল ভিসা তৈরির ব্যাপারে সরকারের গৃহীত প্রকল্প বাস্তবায়নের গুরুত্বপূর্ণ দায়িত্ব পালন করছে।
বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর তত্ত্বাবধানে দেশে সর্বপ্রথম চট্টগ্রাম থেকে ঢাকা পর্যন্ত পাইপলাইনে জ্বালানি তেল পরিবহনের প্রকল্পটি চলমান। প্রজেক্টটি সফল হলে জ্বালানি তেলের দাম কমার সম্ভাবনা রয়েছে।
২০১৭ সাল থেকে চট্টগ্রাম শহরের জলাবদ্ধতা দূরীকরণের প্রকল্পটি সেনা সদস্যরা দক্ষতা ও আন্তরিকতার সঙ্গে বাস্তবায়নের দায়িত্ব পালন করছেন। প্রকল্পটি বাস্তবায়িত হলে জলাবদ্ধতার অভিশাপ থেকে চট্টগ্রাম নগরবাসী মুক্তি পাবে। উপরোক্ত প্রকল্পগুলো বাস্তবায়নের মাধ্যমে জাতি গঠনমূলক কর্মকাণ্ডে বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর অংশগ্রহণ দেশের উন্নয়নে অগ্রগামী ভূমিকা রাখারই উদাহরণ।
বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের পর থেকে অদ্যাবধি বাংলাদেশ সেনাবাহিনী দেশের সার্বভৌমত্ব রক্ষা, সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতি বজায় রাখা, দেশের জনগণের জান-মাল ও রাষ্ট্রীয় গুরুত্বপূর্ণ স্থাপনার (কেপিআই) নিরাপত্তা প্রদানসহ সার্বিক পরিস্থিতি স্থিতিশীল রাখতে নিরলসভাবে কাজ করে যাচ্ছে। সম্মানিত সেনাবাহিনী প্রধানের দিকনির্দেশনা অনুসরণ করে দেশের ৬২টি জেলায় সেনা সদস্যরা আইন-শৃঙ্খলা রক্ষায় অন্তর্বর্তী সরকারের সংশ্লিষ্ট মন্ত্রণালয়, আইন-শৃঙ্খলা রক্ষা বাহিনী, স্থানীয় প্রশাসন, বিভিন্ন সংস্থা, গণমাধ্যম এবং সাধারণ জনগণের সঙ্গে সম্পৃক্ত হয়ে সমন্বিত প্রচেষ্টার মাধ্যমে সার্বক্ষণিক সক্রিয়ভাবে দায়িত্ব পালন করছেন।
অপারেশন উত্তরণের আওতায় সেনাবাহিনীর সদস্যরা মোতায়েন থেকে পার্বত্য চট্টগ্রামে শান্তি-শৃঙ্খলা রক্ষা এবং সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতি বজায় রাখার পাশাপাশি নানা ধরনের জনকল্যাণমূলক কর্মকাণ্ডে নিয়োজিত থেকে মানুষের জীবনযাত্রার মান উন্নত করতে সহায়তা করছেন। বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর ঐকান্তিক প্রচেষ্টার ফলে পাহাড়ি জনপদ একটি উন্নত জীবনযাত্রার দিকে ক্রমান্বয়ে এগিয়ে যাচ্ছে। সেনাবাহিনী কক্সবাজার জেলায় মায়ানমার থেকে আসা রোহিঙ্গাদের জন্য এফডিএমএন ক্যাম্প এলাকায় অস্থায়ী আশ্রয়কেন্দ্র নির্মাণ, ত্রাণসামগ্রী বিতরণ, চিকিত্সাসেবাসহ সার্বিক নিরাপত্তা বজায় রাখার দায়িত্ব পালন করে দেশের ভাবমূর্তি আরো উজ্জ্বল করে তুলেছে।
জাতিসংঘের শান্তি রক্ষা মিশনে ১৯৮৮ সালে ইরান-ইরাক মিলিটারি অবজারভেশন গ্রুপ মিশনে মাত্র ১৫ জন সেনা পর্যবেক্ষক প্রেরণের মাধ্যমে জাতিসংঘ শান্তি রক্ষা মিশনে বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর সদস্যরা শান্তিরক্ষী পরিবারের সদস্য হন। আন্তর্জাতিক শান্তি, স্থিতিশীলতা ও নিরাপত্তা রক্ষার ক্ষেত্রে বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর সদস্যরা জাতিসংঘ শান্তি রক্ষা মিশনে নিঃস্বার্থ আত্মত্যাগ, কর্মদক্ষতা, মানবিক মনোভাব ও পেশাদারির মাধ্যমে বাংলাদেশের জন্য বয়ে আনছেন সম্মান ও মর্যাদা। জাতিসংঘের শান্তি রক্ষা মিশনে সুনামের সঙ্গে কাজ করে শুধু সেসব দেশে শান্তি ফিরিয়েই আনেননি, আর্থ-সামজিক ক্ষেত্রসহ পুনর্বাসনক্ষেত্রে এনেছেন বৈপ্লবিক পরিবর্তন, যা বিশ্ববাসীর কাছে বাংলাদেশের ভাবমূর্তি অত্যন্ত উজ্জ্বল করেছে। বিশ্বশান্তি রক্ষায় অদ্যাবধি সেনাবাহিনীর ১২৫ জন সদস্য প্রাণ দিয়েছেন।
চিকিৎসাসেবার মান উন্নয়নের লক্ষ্যে সিএমএইচ ঢাকা সম্প্রসারণ ও আধুনিকীকরণের (ক্যান্সার সেন্টার, বার্ন ইউনিট, ফার্টিলিটি সেন্টার) ফলে সশস্ত্র বাহিনীর সদস্যসহ দেশের বিশিষ্ট ব্যক্তিদের আধুনিক চিকিৎসাসেবা প্রদান সম্ভব হচ্ছে। বর্তমানে ঢাকা সিএমএইচ থেকে বেসামরিক ব্যক্তিদের প্যাথলজিক্যাল পরীক্ষাসেবা প্রদান করা হচ্ছে। দক্ষ জনশক্তি তৈরিতে এবং চিকিৎসা শিক্ষার ক্ষেত্র প্রসারিত করার লক্ষ্যে সেনাবাহিনীর তত্ত্বাবধানে আর্মড ফোর্সেস মেডিক্যাল কলেজ (এএফএমসি) এবং পাঁচটি আর্মি মেডিক্যাল কলেজ বগুড়া, চট্টগ্রাম, কুমিল্লা, যশোর ও রংপুর সেনানিবাসে প্রতিষ্ঠা করা হয়েছে। এ ছাড়া বাংলাদেশে সেবিকাদের ঘাটতির বিষয় বিবেচনায় এনে বাংলাদেশের জাতীয় স্বাস্থ্যসেবা খাতে সুদক্ষ ও মানসম্পন্ন নার্স তৈরির জন্য বাংলাদেশ সেনাবাহিনীতে পাঁচটি আর্মি নার্সিং কলেজ প্রতিষ্ঠা করার প্রশাসনিক অনুমোদনপ্রাপ্ত হয়েছে এবং এরই মধ্যে দুটি আর্মি নার্সিং কলেজে এই শিক্ষা কার্যক্রম শুরু হয়েছে।
বর্তমানে বিশ্ব বাস্তবতাকে অনুধাবন করে নারীশিক্ষায় গুরুত্বপূর্ণ অবদান রাখার পাশাপাশি সেনাবাহিনীর মতো চ্যালেঞ্জিং পেশায় নারী অফিসার এবং পরবর্তী সময়ে নারী সৈনিক নিয়োগের মধ্য দিয়ে বাংলাদেশ সেনাবাহিনী নারীর সামর্থ্য ও যোগ্যতাকে সমাজে প্রতিষ্ঠিত করেছে, যা নারীর ক্ষমতায়নে অনন্য দৃষ্টান্ত হয়ে থাকবে। বর্তমানে সেনাবাহিনীতে নারী অফিসাররা বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ দায়িত্ব অত্যন্ত দক্ষতার সঙ্গে পালন করছেন। এ ছাড়া আর্মি মেডিক্যাল কোরের নারী অফিসাররা অত্যন্ত দক্ষতা ও সুনামের সঙ্গে তাঁদের পেশাগত দায়িত্ব পালন করছেন। এর ফলে একদিকে যেমন নারীরা স্বাবলম্বী হচ্ছেন, অন্যদিকে তাঁরা তাঁদের মেধা ও প্রতিভা দিয়ে সামরিক বাহিনীর চ্যালেঞ্জিং কাজগুলো দক্ষতার সঙ্গে সম্পন্ন করছেন।
পেশাগত দায়িত্ব পালনের পাশাপাশি আর্তমানবতার সেবায় বন্যা, ঘূর্ণিঝড়, জলোচ্ছ্বাস, ভূমি/পাহাড়/ভবন ধস, মহামারি ইত্যাদি বিভিন্ন দুর্যোগকবলিত অঞ্চলে ব্যাপক প্রাণহানি ও ক্ষয়ক্ষতি রোধকল্পে সেনাবাহিনী যেভাবে আন্তরিকতা ও দায়িত্ববোধ নিয়ে বিপর্যস্ত মানুষের পাশে দাঁড়ায়, তা দেশবাসীর কাছে প্রশংসিত হয়েছে। কভিড-১৯ মহামারি চলাকালে জীবনের ঝুঁকি নিয়ে বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর চিকিৎসকরা ও বিভিন্ন টহলদল সারা দেশে গণসচেতনতা বৃদ্ধি, চিকিত্সাসামগ্রী বিতরণ, লকডাউন নিশ্চিতকরণ, কোয়ারেন্টিন সুবিধা স্থাপন, কভিড আক্রান্ত ব্যক্তিদের চিকিত্সা পরিচালনা করেছে।
২০২৪ সালে ফেনী, নোয়াখালী, লক্ষ্মীপুর, কুমিল্লা, চট্টগ্রাম, খাগড়াছড়ি, সিলেট, মৌলভীবাজার, হবিগঞ্জ ও সুনামগঞ্জে বন্যা ও বন্যা-পরবর্তী পরিস্থিতি মোকাবেলায় সেনা সদস্যরা আটকে পড়া বন্যাকবলিত মানুষের উদ্ধারকাজ পরিচালনা, ত্রাণ কার্যক্রম, খাদ্য ও পানি বিতরণ, চিকিত্সাসেবা পরিচালনা, বাঁধ নির্মাণে সহায়তা এবং পুনর্বাসনের মতো মানবিক সহায়তা প্রদান করে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করেন। ২০০৭ সালে ভয়াবহ ঘূর্ণিঝড় সিডর, ২০০৯ সালে আইলা ও অতি সম্প্রতি আম্ফানের সময় সেনাবাহিনীর ভূমিকা হয়েছে জনগণের কাছে প্রশংসিত। ২০১৭ সালের জুন মাসে পাহাড়ধসে পার্বত্য তিন জেলার যোগাযোগব্যবস্থা বিচ্ছিন্ন হয়ে গেলে সেনাবাহিনী কঠোর পরিশ্রম করে যোগাযোগব্যবস্থা পুনরুদ্ধার অভিযান, পাহাড়ধসে ক্ষতিগ্রস্তদের খাবার, পানি ও চিকিত্সাসেবা প্রদান করে জনগণের সেবায় নিজেদের নিয়োজিত করে জাতীয় পরিমণ্ডলে সেনাবাহিনীর ভাবমূর্তি উজ্জ্বল করেছে। বাংলাদেশের বন্ধুপ্রতিম অনেক দেশ যেমন— মায়ানমার, চীন, জাপান, শ্রীলঙ্কা, নেপাল, হাইতি, তুরস্ক, মিসর ও মালদ্বীপে প্রাকৃতিক দুর্যোগ মোকবেলায় সশস্ত্র বাহিনীর সদস্যরা নিয়োজিত হয়ে দক্ষতার সঙ্গে দুর্যোগ মোকাবেলা করে বিশ্ববাসীর নজর কেড়েছেন।
বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর নিরলস পরিশ্রমে পার্বত্য তিন জেলায় যোগাযোগ সুবিধা, নিরাপত্তা নিশ্চিতকরণ, অবকাঠামো নির্মাণ এবং রাত্রিযাপনের সুবিধা তৈরি হওয়ায় সৌন্দর্যপিপাসু হাজারো মানুষ এখন পার্বত্য তিন জেলায় বিভিন্ন দুর্গম স্থানে ভ্রমণ করার সুযোগ পাচ্ছে। সেনাবাহিনীর উদ্যোগে নির্মিত নীলগিরি, সাজেক, থানচি, রাঙামাটি ও কাপ্তাই লেকে রিসোর্ট এবং ৮০ কিলোমিটার দীর্ঘ অতি গুরুত্বপূর্ণ কক্সবাজার টেকনাফ মেরিন ড্রাইভটি পর্যটনশিল্প বিকাশে অগ্রণী ভূমিকা পালন করছে। রেমাক্রী, বড়পাথর, নাফাখুম জলপ্রপাত, শুভলং জলপ্রপাত, বগা লেক, আলুটিলা, চিম্বুক, স্বর্ণমন্দির প্রভৃতি এলাকায় পর্যটকদের নিরাপত্তাবিধানের মাধ্যমে পর্যটনশিল্প অনেক সম্প্রসারিত হয়েছে। একই সঙ্গে স্থানীয় পাহাড়ি ও বাঙালিদের কর্মসংস্থানের পাশাপাশি তাদের আর্থ-সামাজিক উন্নয়নে ব্যাপক অবদান রাখছে।
জাতীয় পর্যায়ে লোকসানি প্রতিষ্ঠান বাংলাদেশ মেশিন টুলস ফ্যাক্টরি (বিএমটিএফ) ২০০০ সালে এবং বাংলাদেশ ডিজেল প্লান্ট লিমিটেড ২০০৭ সালে বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর কাছে হস্তান্তরের পর কাজের গুণগত ও কারিগরি মান নিয়ন্ত্রণের পাশাপাশি যথাযথ তদারকির কারণে সেগুলো লাভজনক প্রতিষ্ঠানে পরিণত হয়েছে। বাংলাদেশ সেনাবাহিনী পরিচালিত সেনা কল্যাণ সংস্থা নির্ভেজাল দ্রব্য বাজারে সরবরাহ করে জাতীয় খাদ্য নিরাপত্তা নিশ্চিতকল্পে অবদান রাখছে। দরিদ্র ভূমিহীন জনগোষ্ঠীকে পুনর্বাসিত করার লক্ষ্যে আশ্রয়ণ প্রকল্পে স্বল্প বাজেটের মধ্যে সেনাবাহিনীর তত্ত্বাবধানে অত্যন্ত দক্ষতা ও সুনামের সঙ্গে ব্যারাক নির্মাণ করে সুষ্ঠুভাবে স্থানীয় প্রশাসনের কাছে হস্তান্তর করায় জাতীয় পরিমণ্ডলে সেনাবাহিনীর ভাবমূর্তি উজ্জ্বল হয়েছে।
বাংলাদেশের উন্নয়নের ক্রমবর্ধমান অগ্রযাত্রায় অবদান রাখার জন্য দেশপ্রেমিক সেনাবাহিনীর সদস্যরা বদ্ধপরিকর ও প্রতিশ্রুতিবদ্ধ। এরই মধ্যে আপামর জনসাধারণের হূদয়ে দেশপ্রেমিক সেনাবাহিনীর জন্য আছে দৃঢ় বিশ্বাস, ভরসা আর ভালোবাসা। এ অর্জন সত্যিই অতুলনীয়। দেশের সার্বিক উন্নয়নের অংশীদার হতে পেরে সেনা সদস্যরা গর্বিত ও আনন্দিত। সৃষ্টিকর্তার কাছে আমাদের প্রার্থনা, আমাদের উত্তরসূরিদের মতো জাতীয় উন্নয়ন ও অগ্রগতিতে আমরা যেন হতে পারি জাতীয় আস্থা ও নির্ভরতার প্রতীক।
লেখক : কর্নেল এ এস এম নাছের, পিএসসি, জি+, সেনাবাহিনী কর্মকর্তা