কোন বয়সে কোন স্বাস্থ্য পরীক্ষা করা অবশ্যই প্রয়োজন

অনলাইন ডেস্ক
অনলাইন ডেস্ক
শেয়ার
কোন বয়সে কোন স্বাস্থ্য পরীক্ষা করা অবশ্যই প্রয়োজন
ছবি : পেক্সেলস

বয়স বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে নানা শারীরিক সমস্যা বাড়তে থাকে। আজ পেটে ব্যথা, তো কাল হাঁটুতে ব্যথা। কী থেকে সমস্যা হচ্ছে, তা জানা বা বোঝার চেষ্টা খুব কম মানুষই করেন। বেশিরভাগেরই অভ্যাস হলো অসুস্থ হলেই নিজে থেকে দেখেশুনে ওষুধ খেয়ে ফেলা।

অথবা চিকিৎসক আগে যে ওষুধ লিখে দিয়েছিলেন, সেগুলোই আবার কিনে খাওয়া। এতে শরীর তো ভালো হয়ই না, বরং সমস্যাগুলো আরো বাড়তে থাকে দিনে দিনে।

এই বিষয়ে মেডিসিন বিশেষজ্ঞদের মত, স্বাস্থ্য পরীক্ষার কোনো নির্দিষ্ট বয়স নেই। যেকোনো বয়সে একাধিক কারণে স্বাস্থ্য পরীক্ষার প্রয়োজন হতে পারে।

যেমন, কোনো অসুখ প্রতিরোধ করতে আগাম সাবধানতার জন্য স্বাস্থ্যপরীক্ষা দরকার, যাকে প্রিভেনটিভ মেজার বলা হয়।

আপনি যদি মনে করেন একেবারে ৪০ বছর বা ৫০ বছরে গিয়ে স্বাস্থ্য পরীক্ষা করাবেন, তাহলে কিন্তু ভুল হবে। তত দিনে নানা জটিল অসুখ ডালপালা মেলতে পারে শরীরে। বছরে এক বার রক্তে শর্করা, হিমোগ্লোবিন, টিএসএইচ, ভিটামিন-ডি, ক্যালশিয়াম, লিপিড প্রোফাইল টেস্ট, উচ্চ রক্তচাপ, ইসিজি, দৃষ্টি ও শ্রবণশক্তি পরীক্ষা করাতেই হবে।

আরো পড়ুন
পুরনো বন্ধুত্ব ভাঙা কখন ইতিবাচক? কখন আবার বন্ধুত্বে ফিরবেন

পুরনো বন্ধুত্ব ভাঙা কখন ইতিবাচক? কখন আবার বন্ধুত্বে ফিরবেন

 

কোন বয়সে কী পরীক্ষা করাবেন

২০ বছর বয়সের পর

  • রক্তচাপ ও কমপ্লিট ব্লাড কাউন্ট (সিবিসি) : রক্তাল্পতা, সংক্রমণ, হাইপারটেনশনের ঝুঁকি আছে কি না ধরা পড়বে।
  • ব্লাড সুগার টেস্ট : প্রি-ডায়াবেটিক কি না জানতে প্রয়োজন।
  • লিপিড প্রোফাইল : রক্তে কোলেস্টেরলের পরিমাণ ও হার্টের স্বাস্থ্য জানতে জরুরি।
  • থাইরয়েড ফাংশন টেস্ট : টি৩, টি৪, টিএসএইচ পরীক্ষা করা হয়, থাইরয়েডের সমস্যা রয়েছে কি না তা ধরার জন্য।
  • ভিটামিন-ডি ও বি১২ টেস্ট : খুবই গুরুত্বপূর্ণ স্বাস্থ্য পরীক্ষা।
এখনকার ছেলেমেয়েরা অস্বাস্থ্যকর খাওয়াদাওয়ায় অভ্যস্ত, তাই ভিটামিনের ঘাটতি হচ্ছে কি না, তা জানা জরুরি।
  • এসটিআই: বিভিন্ন সেক্সুয়ালি ট্রান্সমিটেড ইনফেকশন (এসটিআই) নিয়ে আসা রোগীদের মধ্যে বৃহত্তর অংশই এখন অল্পবয়সি। কম বয়সে যৌনভাবে সক্রিয় হওয়া, একাধিক সঙ্গী থাকা, সুরক্ষা ছাড়াই যৌনমিলন এবং সুরক্ষিত মিলন সম্পর্কে সচেতনতার অভাবেই রোগ বাড়ছে। তাই এই পরীক্ষা করানো খুব জরুরি।
  • আরো পড়ুন
    হজমশক্তি বৃদ্ধির সঙ্গে ওজনও কমাবে পুদিনা পাতা

    হজমশক্তি বৃদ্ধির সঙ্গে ওজনও কমাবে পুদিনা পাতা

     

    ৩০ বছরের পরে

    • ব্লাড সুগার ও কোলেস্টেরল টেস্ট : ত্রিশের পর থেকে ডায়াবেটিসের ঝুঁকি আরো বাড়ে। তাই এই দুটি পরীক্ষা করিয়ে নেওয়া জরুরি।
    • ব্লাড প্রেশার : রক্তচাপ ওঠানামা করছে কি না, তা জানা জরুরি।
    • লিভার ও কিডনি ফাংশন টেস্ট : ফ্যাটি লিভারের সমস্যা হচ্ছে কি না, জানতে লিভার ফাংশন টেস্ট জরুরি। তা ছাড়া আলট্রাসাউন্ড করা যেতে পারে। কিডনির জন্য কিডনি ফাংশন টেস্ট বা রেনাল ফাংশন টেস্ট করানো জরুরি। এ ছাড়া ইউরিনারি অ্যালবুমিন-ক্রিয়েটিনিন রেশিয়ো (ইউএসিআর) টেস্টও করাতে হবে।
    আরো পড়ুন
    কালো রঙের প্লাস্টিক দেহের জন্য ক্ষতিকর কেন

    কালো রঙের প্লাস্টিক দেহের জন্য ক্ষতিকর কেন

     

    ৪০ বছরের পর

    • প্যাপ স্মিয়ার ও এইচপিভি টেস্ট : জরায়ুমুখের ক্যান্সারের আশঙ্কা আছে কি না, তা ধরা পড়বে।
    • ম্যামোগ্রাম: চিকিৎসকের পরামর্শ নিয়ে নারীদের ম্যামোগ্রাম পরীক্ষা এবং স্তনের এমআরআই স্ক্যান করিয়ে নেওয়া খুব জরুরি।
    • চোখ ও দাঁতের পরীক্ষা : মায়োপিয়া, হাইপারোপিয়া ও প্রেসবায়োপিয়া পরীক্ষা করানো উচিত। এই তিনটি পরীক্ষার মাধ্যমেই আপনার দৃষ্টিশক্তির মান কেমন, তা যাচাই করা হয়।
    • হার্টের পরীক্ষা : ইসিজি, ট্রেডমিল টেস্ট, ইকোকার্ডিয়োগ্রাম, কোলেস্টেরল টেস্ট করাতেই হবে। নিয়মিত রক্তের সিরাম, লিপিড পরীক্ষা করাতে হবে। যদি কম বয়সে বাইপাস সার্জারি হয়ে থাকে তাহলে আবার পরীক্ষা করানো দরকার। বাইপাস করালেও হার্ট অ্যাটাকের সম্ভাবনা থেকেই যায়।
    আরো পড়ুন
    পুরনো ও গুরুত্বপূর্ণ মেইল সহজে খুঁজে বের করবে জিমেইল

    পুরনো ও গুরুত্বপূর্ণ মেইল সহজে খুঁজে বের করবে জিমেইল

     
    • হরমোনাল টেস্ট : ত্রিশের পর থেকেই হরমোনের ওঠানামা শুরু হয়। তাই চিকিৎসকের পরামর্শ নিয়ে হরমোনের কিছু পরীক্ষা করিয়ে রাখা জরুরি।
    • বোন ডেনসিটি টেস্ট : হাড়ের স্বাস্থ্য কেমন আছে জানতে চল্লিশের পর বোন মিনারেল ডেনসিটি টেস্ট করাতেই হবে।

    সূত্র : আনন্দবাজার

    মন্তব্য

    সম্পর্কিত খবর

    নিয়মিত ইনস্ট্যান্ট নুডলস খাচ্ছেন? জানুন কী হতে পারে

    অনলাইন ডেস্ক
    অনলাইন ডেস্ক
    শেয়ার
    নিয়মিত ইনস্ট্যান্ট নুডলস খাচ্ছেন? জানুন কী হতে পারে
    সংগৃহীত ছবি

    ক্ষুধা পেলেই অনেকের প্রথম পছন্দ নুডলস। ঘরে হোক বা বাইরে, ইনস্ট্যান্ট নুডলস যেন হাতের নাগালে এক সমাধান। সুস্বাদু এ খাবার তৈরি করতে সময় কম লাগে বলে এর জনপ্রিয়তা আকাশছোঁয়া। বিশেষ করে ছোটদের কাছে তো নুডলস যেন প্রিয় বন্ধু।

    তবে জানেন কি, নিয়মিত ইনস্ট্যান্ট নুডলস খেলে শরীরে ক্ষতির সম্ভাবনা অনেক বেশি? চলুন, জেনে নিই।

    কোথায় বেশি জনপ্রিয় এই খাবার?
    জাপান, দক্ষিণ কোরিয়া, চীন, মেক্সিকো—এই দেশগুলোতে ইনস্ট্যান্ট নুডলস খুব জনপ্রিয়। আমাদের দেশেও এর কদর বাড়ছে তরুণ ও শিশুদের মধ্যে।

    কী বলছে গবেষণা?
    গবেষণায় দেখা গেছে, যারা নিয়মিত ইনস্ট্যান্ট নুডলস খান, তাদের মেটাবলিক সিনড্রোম হওয়ার ঝুঁকি বেশি।

    এটি এমন এক অবস্থা, যা থেকে হৃদরোগ, টাইপ-২ ডায়াবেটিস ও স্ট্রোকের ঝুঁকি বেড়ে যায়।

    নিয়মিত খেলে কী কী সমস্যা হতে পারে?
    ১। গ্যাস ও অ্যাসিডিটি: এই নুডলস হজমে সমস্যা করে, কোষ্ঠকাঠিন্য ও গ্যাসের সমস্যাও বাড়ে।

    ২।

    উচ্চ রক্তচাপ: এতে সোডিয়ামের পরিমাণ বেশি, যা রক্তচাপ বাড়িয়ে দেয়।

    ৩। ওজন বৃদ্ধি: বেশি খেলে বাড়ে শরীরের ওজন। কারণ এতে ক্যালোরি অনেক কিন্তু পুষ্টিগুণ কম।

    ৪।

    পুষ্টির অভাব: এতে প্রোটিন, ফাইবার, মিনারেলস খুবই কম। যা শরীরকে দুর্বল করে।

    ৫। মহিলাদের হরমোন ভারসাম্য নষ্ট হয় ইনস্ট্যান্ট নুডলস বেশি খেলে। পিরিয়ড সংক্রান্ত সমস্যা ও পেটব্যথার সম্ভাবনাও বাড়ে। গর্ভাবস্থায় ইনস্ট্যান্ট নুডলস খাওয়া একেবারেই উচিত নয়। এতে ব্যবহৃত রাসায়নিক ও সংরক্ষক উপাদান গর্ভস্থ শিশুর জন্য ঝুঁকিপূর্ণ।

    স্বাস্থ্যকর বিকল্প কী?
    ইনস্ট্যান্ট নুডলস খেতে ইচ্ছে হলে বাড়িতে নিজে তৈরি করুন। গম বা আটার নুডলস বেছে নিন। সঙ্গে দিন নানা ধরনের সবজি। রেডিমেড মসলার বদলে ব্যবহার করুন ঘরোয়া মসলা।

    সূত্র : ওয়ান ইন্ডিয়া বাংলা

    মন্তব্য

    নিত্যদিনের যেসব অভ্যাসে এড়াতে পারেন হৃদরোগের ঝুঁকি

    অনলাইন ডেস্ক
    অনলাইন ডেস্ক
    শেয়ার
    নিত্যদিনের যেসব অভ্যাসে এড়াতে পারেন হৃদরোগের ঝুঁকি
    সংগৃহীত ছবি

    জীবনযাত্রা যদি সঠিক হয় তবেই কমবে হৃদরোগের ঝুঁকি। তবে আধুনিক যুগে কাজের ব্যস্ততার কারণে আমরা সঠিক সময় খাওয়াদাওয়া করি না। এ ছাড়া সময়ের কাজ সময়ে করি না। এমন অনিয়মিত জীবনযাত্রার কারণে অনেক সময় হৃদরোগের ঝুঁকি বাড়তে পারে।

    দিন দিন হৃদরোগে আক্রান্তের সংখ্যা বাড়ছে। এর মধ্যে এসব রোগী আবার উচ্চ রক্তচাপ, ডায়াবেটিস ও স্থূলতার রোগেও ভুগছেন। চিকিৎসকরা জানান, ২০৩৫ সালের মধ্যে হার্টের রোগীর সংখ্যা অকল্পনীয়ভাবে বাড়বে।

    এমন রোগ থেকে বাঁচতে জীবনযাত্রায় পরিবর্তন আনতে হবে।

    কেমন পরিবর্তন আনবেন জীবনযাত্রায়, তা জানাতেই আজকের প্রতিবেদন। চলুন, জেনে নেওয়া যাক।

    আরো পড়ুন
    গরমে কোন কোন রোগের ঝুঁকি বেশি, কিভাবে সুস্থ থাকবেন

    গরমে কোন কোন রোগের ঝুঁকি বেশি, কিভাবে সুস্থ থাকবেন

     

    কী কী পরিবর্তন করবেন

    আপনি যদি হার্টের রোগ কমাতে চান, তাহলে আপনার জীবনযাত্রায় পরিবর্তন আবশ্যক। নিত্যদিন যদি এই জীবনধারার পরিবর্তন আনতে পারেন, তাহলে আপনার হার্ট অ্যাটাকের ঝুঁকি কমবে।

    ডায়েট খাবার খাবেন

    হার্ট ভালো রাখতে ডায়েট করে খাবার খান। প্রচুর পরিমাণে খাওয়াদাওয়া করা এড়িয়ে চলুন। নিত্যদিনের খাদ্য তালিকায় ফলমূল, সবজি, গোটা শস্য, চর্বিবিহীন প্রোটিন রাখুন, অর্থাৎ সুষম খাদ্যের দিকে বিশেষ নজর দিন।

    ট্র্যান্স ফ্যাট জাতীয় খাবার

    ট্র্যান্স ফ্যাট জাতীয় খাবার এড়িয়ে চলুন। জলপাইয়ের তেল, অ্যাভোকাডো, বাদাম ইত্যাদি খাওয়ার চেষ্টা করুন।

    এতে আপনার উচ্চ রক্তচাপ কমবে। আর উচ্চ রক্তচাপ কমাতে লবণ কম খেতে হবে।

    আরো পড়ুন
    সময়মতো লাঞ্চ-ডিনার না করলে স্বাস্থ্যের যে ক্ষতি

    সময়মতো লাঞ্চ-ডিনার না করলে স্বাস্থ্যের যে ক্ষতি

     

    ওমেগা থ্রি ফ্যাটি এসিড

    শরীরে যাতে কোলেস্টেরলের মাত্রা না বেড়ে যায় সেই ক্ষেত্রে চর্বিবিহীন মাছ, তিসির বীজ, আখরোট ইত্যাদি খান । ওমেগা-থ্রি ফ্যাটি এসিড যুক্ত খাবার খাদ্য তালিকায় রাখুন। এতে আপনার শরীর ভালো থাকবে।

    ব্যায়াম

    শরীরকে সক্রিয় রাখুন অর্থাৎ নিত্যদিন ব্যায়াম করুন কিংবা সকালবেলা উঠে হাঁটুন। এতে আপনার হৃদরোগের ঝুঁকি কিছুটা হলেও কমবে। সপ্তাহে ১৫০ মিটার ব্যায়াম করুন। না হলে হাঁটুন, না হলে সাইকেল চালান। এতে আপনার ওজন বাড়বে না। এ ছাড়া শরীরে বাড়তি ফ্যাটও কমতে থাকবে।
     
    জাংক ফুড

    অনেকেই বর্তমান সময় বাইরের জাংক ফুড খেয়ে তাদের ওজন বাড়িয়ে ফেলেন। ওজনকে কখনোই বাড়তে দেবেন না। এতে রক্তচাপ, ডায়াবেটিসের ঝুঁকি বাড়তে থাকবে। আর এর থেকেই হৃদরোগের ঝুঁকি বাড়ে। তাই বাইরের খাবার খাওয়া এড়িয়ে চলুন।

    আরো পড়ুন
    এসি রুমে বসেই ধূমপান, হতে পারে যে বিপদ

    এসি রুমে বসেই ধূমপান, হতে পারে যে বিপদ

     

    খাবার হজম

    খাওয়াদাওয়া যাতে ভালোভাবে হজম হয়, সেদিকে নজর রাখুন। শরীরকে হাইড্রেট রাখুন। প্রচুর পরিমাণে পানি খান। নিত্যদিন সাত থেকে আট গ্লাস পানি খাওয়ার চেষ্টা করুন।

    ধূমপান

    ধূমপান ও অ্যালকোহল থেকে দূরে থাকুন। আপনি যদি ধূমপানে আসক্ত থাকেন, তাহলে চিকিৎসকের পরামর্শ নিয়ে দ্রুতই ধূমপান ত্যাগ করুন। নারী-পুরুষ কারোরই ধূমপান করা উচিত নয়। এতে হার্টের রোগ বাড়ে।

    মানসিক চাপ

    মানসিক চাপ নেওয়া এড়িয়ে চলুন। সকালবেলা ঘুম থেকে উঠে ধ্যান করুন। গভীরভাবে শ্বাস নিন। যোগ ব্যায়াম করুন। এতে আপনার মানসিক চাপ কমবে। শরীর সুস্থ থাকবে। প্রায় সময় রক্তচাপ, কোলেস্টেরল ও সুগার পরীক্ষা করুন।

    আরো পড়ুন
    পপকর্ন লাংস কী, যে কারণে সাবধান হবেন ধূমপায়ীরা

    পপকর্ন লাংস কী, যে কারণে সাবধান হবেন ধূমপায়ীরা

     

    চিকিৎসকের পরামর্শ

    আপনার যদি শরীর কখনো খারাপ লাগে কিংবা বুকে ব্যথা হয়, তাহলে দেরি না করে চিকিৎসকের পরামর্শ নিন। হার্টের রোগ ধরা পড়লে দ্রুতই চিকিৎসকের পরামর্শ নিয়ে ওষুধ খান। তাহলে দ্রুত সুস্থ হবেন।

    সূত্র : ওয়ানইন্ডিয়া

    মন্তব্য

    অস্টিওপোরেসিস কেন হয়? জেনে নিন কারণ

    অনলাইন প্রতিবেদক
    অনলাইন প্রতিবেদক
    শেয়ার
    অস্টিওপোরেসিস কেন হয়? জেনে নিন কারণ
    সংগৃহীত ছবি

    অস্বাস্থ্যকর জীবনযাপন অনেক জটিল রোগের জন্ম দিচ্ছে, যার মধ্যে অস্টিওপোরোসিস অন্যতম। এই রোগে হাড় দুর্বল ও ভঙ্গুর হয়ে পড়ে। প্রাথমিকভাবে কব্জি, নিতম্ব বা মেরুদণ্ডে হঠাৎ ফ্র্যাকচার হয়ে যেতে পারে। হাড়ের ঘনত্ব কমে যাওয়ায় এটি ঘটে।

    চিকিৎসকদের মতে, হরমোনের ভারসাম্যহীনতা ও শরীরে গুরুত্বপূর্ণ পুষ্টির ঘাটতির কারণে এ রোগ হয়। বিশেষ করে মহিলাদের মধ্যে এই রোগের প্রকোপ বেশি।

    অস্টিওপোরোসিসের কারণ
    অর্থোপেডিক বিশেষজ্ঞদের মতে, মেনোপজ-পরবর্তী সময়ে নারীদের মধ্যে হরমোন ইস্ট্রোজেনের পরিমাণ কমে যায়। এই হরমোন হাড়কে রক্ষা করে, তাই এর ঘাটতি অস্টিওপোরোসিসের ঝুঁকি বাড়ায়।

    এছাড়া অপুষ্টি ও হরমোনের অন্যান্য অসামঞ্জস্যতাও হাড় দুর্বল করে দেয়।

    প্রতিরোধের উপায়
    নিয়মিত স্বাস্থ্য পরীক্ষা করতে হবে,
    প্রতিদিন অন্তত ৩০ মিনিট হাঁটুন,
    ১৫-২০ মিনিট রোদে থাকুন যাতে শরীরে ভিটামিন ডি তৈরি হয়,
    দিনে অন্তত ৪৫ মিনিট হালকা ব্যায়াম করুন,
    প্রয়োজনে ফিজিওথেরাপি নিন।

    খাদ্যাভ্যাসে যা রাখতে পারেন
    ক্যালসিয়াম ও প্রোটিন সমৃদ্ধ খাবার,

    ডাল, ভুট্টা, মটরশুটি খাদ্যতালিকায় রাখু্ন,

    দুধ, দই, পনিরের মতো দুগ্ধজাত পণ্য গ্রহণ করুন,

    মৌসুমি ফল ও সবুজ শাকসবজি বেশি করে খাওয়া ভালো,

    অস্টিওপোরোসিস প্রতিরোধে নিয়মিত ব্যায়াম ও পুষ্টিকর খাবারই সবচেয়ে কার্যকর উপায়। হাড়ের যত্ন নিন, সুস্থ থাকুন।

    সূত্র : নিউজ ১৮ বাংলা

    মন্তব্য

    সুইসাইড ডিজিজ কী, এর ফলে কী হয়

    অনলাইন ডেস্ক
    অনলাইন ডেস্ক
    শেয়ার
    সুইসাইড ডিজিজ কী, এর ফলে কী হয়
    সংগৃহীত ছবি

    সুইসাইড ডিজিজ। নাম শুনলে মনে হতে পারে হয়তো কোনো মানসিক রোগ। মানসিক অবসাদের ফলে বারবার আত্মহত্যা করার চেষ্টা করার মতো। তবে বিষয়টা মোটেও তেমন নয়।

    বরং এই রোগের সঙ্গে মনের খুব একটা সংযোগ নেই। বিষয়টা একটা দৈহিক রোগ।

    এই রোগে আক্রান্ত হলে মুখের এক পাশে শুরু হয় তীব্র ব্যথা। যা কখনো কখনো রীতিমতো অসহনীয় হয়ে ওঠে।

    এমনকি কথা বলা, হাসা, খাবার বা পানি খাওয়াটাও হয়ে ওঠে অসহনীয়। মুখে পানির ঝাপটা দেওয়া, শেভ করা, দাঁত ব্রাশ করার সময় হয় ব্যথা। মোট কথা ব্যথায় ব্যথায় অস্থির হয়ে ওঠে জীবন।

    প্রতিদিনের স্বাভাবিক কাজের সময়ই ব্যথা শুরু হওয়ার ঝুঁকি থাকে।

    এ রোগে আক্রান্ত ব্যক্তির ব্যথার ধরন ভীষণ কষ্টদায়ক বলে কেউ কেউ একে সুইসাইড ডিজিজ বলে থাকেন। তবে চিকিৎসাবিজ্ঞানের পরিভাষায় এই রোগের নাম ‘ট্রাইজেমিনাল নিউরালজিয়া’।

    আরো পড়ুন
    এসি রুমে বসেই ধূমপান, হতে পারে যে বিপদ

    এসি রুমে বসেই ধূমপান, হতে পারে যে বিপদ

     

    কী হয় এই রোগের প্রভাবে

    মুখের স্বাভাবিকতার জন্য যেসব স্নায়ু কাজ করে, তারই একটি হলো ট্রাইজেমিনাল স্নায়ু। কোনো কারণে এই স্নায়ুর ওপর চাপ সৃষ্টি হলে তীব্র ব্যথা অনুভূত হয়। হয়তো একটি ধমনি ওই স্নায়ুকে বেশ চেপে রাখে।

    সেই চাপের কারণেই তীব্র ব্যথা অনুভব করেন রোগী। কোনো টিউমার যদি স্নায়ুটিকে চাপ দেয়, তাহলেও এমনটা হতে পারে। অন্যান্য কিছু স্নায়বিক রোগেও এমন সমস্যা সৃষ্টি হতে পারে।

    কেন এই স্নায়ুর ওপর অস্বাভাবিক চাপ সৃষ্টি হয়, অধিকাংশ ক্ষেত্রে তার কোনো সুনির্দিষ্ট কারণ খুঁজে পাওয়া যায় না। নির্দিষ্ট কোনো জীবনপদ্ধতি এর জন্য দায়ী নয়। যে কেউ এ রোগে আক্রান্ত হতে পারেন। তবে এ রোগে আক্রান্ত মানুষের সংখ্যা খুব একটা বেশি নয়।

    আরো পড়ুন
    সানস্ক্রিন খাবেন, নাকি মাখবেন? কোনটিতে উপকার

    সানস্ক্রিন খাবেন, নাকি মাখবেন? কোনটিতে উপকার

     

    কী করবেন

    ঘরোয়া চিকিৎসায় এই ব্যথা থেকে মুক্তি পাওয়া যাবে না। এর জন্য প্রয়োজন বিশেষ ধরনের ওষুধ। জীবনধারায় কোনো পরিবর্তন এনে রোগের তীব্রতা কমানো সম্ভব হয় না। সুস্থ থাকতে তাই ওষুধ সেবন ছাড়া অন্য কোনো উপায় নেই। মনে রাখবেন এটা এক ধরনের স্নায়ু জনিত রোগ। তাই ফেলে না রেখে অবিলম্বে চিকিৎসকের সঙ্গে যোগাযোগ করুন।

    আরো পড়ুন
    বৈশাখে বাড়িতে রান্না করতে পারেন কয়েক পদের ইলিশ

    বৈশাখে বাড়িতে রান্না করতে পারেন কয়েক পদের ইলিশ

     

    সূত্র : টিভি নাইন বাংলা

    মন্তব্য

    সর্বশেষ সংবাদ