অস্বাস্থ্যকর জীবনযাপন অনেক জটিল রোগের জন্ম দিচ্ছে, যার মধ্যে অস্টিওপোরোসিস অন্যতম। এই রোগে হাড় দুর্বল ও ভঙ্গুর হয়ে পড়ে। প্রাথমিকভাবে কব্জি, নিতম্ব বা মেরুদণ্ডে হঠাৎ ফ্র্যাকচার হয়ে যেতে পারে। হাড়ের ঘনত্ব কমে যাওয়ায় এটি ঘটে।
অস্টিওপোরেসিস কেন হয়? জেনে নিন কারণ
অনলাইন প্রতিবেদক

চিকিৎসকদের মতে, হরমোনের ভারসাম্যহীনতা ও শরীরে গুরুত্বপূর্ণ পুষ্টির ঘাটতির কারণে এ রোগ হয়। বিশেষ করে মহিলাদের মধ্যে এই রোগের প্রকোপ বেশি।
অস্টিওপোরোসিসের কারণ
অর্থোপেডিক বিশেষজ্ঞদের মতে, মেনোপজ-পরবর্তী সময়ে নারীদের মধ্যে হরমোন ইস্ট্রোজেনের পরিমাণ কমে যায়। এই হরমোন হাড়কে রক্ষা করে, তাই এর ঘাটতি অস্টিওপোরোসিসের ঝুঁকি বাড়ায়।
প্রতিরোধের উপায়
নিয়মিত স্বাস্থ্য পরীক্ষা করতে হবে,
প্রতিদিন অন্তত ৩০ মিনিট হাঁটুন,
১৫-২০ মিনিট রোদে থাকুন যাতে শরীরে ভিটামিন ডি তৈরি হয়,
দিনে অন্তত ৪৫ মিনিট হালকা ব্যায়াম করুন,
প্রয়োজনে ফিজিওথেরাপি নিন।
খাদ্যাভ্যাসে যা রাখতে পারেন
ক্যালসিয়াম ও প্রোটিন সমৃদ্ধ খাবার,
ডাল, ভুট্টা, মটরশুটি খাদ্যতালিকায় রাখু্ন,
দুধ, দই, পনিরের মতো দুগ্ধজাত পণ্য গ্রহণ করুন,
মৌসুমি ফল ও সবুজ শাকসবজি বেশি করে খাওয়া ভালো,
অস্টিওপোরোসিস প্রতিরোধে নিয়মিত ব্যায়াম ও পুষ্টিকর খাবারই সবচেয়ে কার্যকর উপায়। হাড়ের যত্ন নিন, সুস্থ থাকুন।
সূত্র : নিউজ ১৮ বাংলা
সম্পর্কিত খবর

আমন্ড ভিজিয়ে রাখলে কি পুষ্টিগুণ বাড়ে?
অনলাইন ডেস্ক

ড্রাই ফ্রুটসকে শরীরের জন্য খুবই উপকারী বলে ভাবা হয়। এদের মধ্যে আমন্ডের এক ধরনের জাদুকরী গুণ রয়েছে। এই বাদাম ভিটামিন, খনিজ, ফাইবার, স্বাস্থ্যকর চর্বিসহ অনেক পুষ্টির একটি ভালো উৎস। এতে থাকা ভিটামিন এ, সি এবং ই ত্বকের জন্য অনেক উপকারী।
আমন্ড খাওয়ার আগে ভিজিয়ে রাখার পরামর্শ দেওয়া হয়। ভিজিয়ে খেলে নাকি আমন্ডের পুষ্টিগুণ বৃদ্ধি পায়। এ কথা কতটুকু সত্য, কেন ভিজিয়ে রাখা হয়, চলুন জেনে নেওয়া যাক।
আমন্ড প্রকৃতিতে গরম, তাই ভিজিয়ে রাখলে শরীরের জন্য ক্ষতিকর নয়।
এনজাইম নিঃসৃত হয়
আমন্ডে প্রচুর পরিমাণে পুষ্টি উপাদান রয়েছে, যা আপনার হজমশক্তি বাড়ায়। অন্যদিকে, এগুলোকে ভিজিয়ে রাখলে বাদামে উপস্থিত লিপেজ বের হয়, যা একটি এনজাইম। এটি চর্বি হজমে সাহায্য করে। তাই বাদাম ভিজিয়ে রাখলে শরীরের চর্বি হজম করা সহজ হয়।
ম্যাগনেসিয়াম বাড়াতে সাহায্য করে
আমন্ডে থাকা ম্যাগনেসিয়াম হাড় মজবুত করতে সাহায্য করে।
হার্টের স্বাস্থ্যের উন্নতি হয়
যেহেতু আমন্ডে মনোস্যাচুরেটেড ফ্যাট, ভিটামিন ই ও ম্যাগনেসিয়াম থাকে, তাই এটি খারাপ কোলেস্টেরল কমায় এবং ভালো কোলেস্টেরল বাড়ায়, যার ফলে হার্টের স্বাস্থ্যের উন্নতি হয়।
ওজন কমাতে সহায়ক
আমন্ডে এমন পুষ্টি রয়েছে যা আপনাকে ওজন কমাতে সাহায্য করতে পারে। কারণ এই বাদাম বিপাককে ত্বরান্বিত করে। এগুলো প্রোটিন ও ফাইবারের একটি ভালো উৎস, যা ওজন নিয়ন্ত্রণে সাহায্য করতে পারে।
সূত্র : আজতক বাংলা

আজ বিশ্ব ম্যালেরিয়া দিবস, প্রতিরোধের উপায়
অনলাইন ডেস্ক

বিশ্ব ম্যালেরিয়া দিবস আজ ২৫ এপ্রিল। ম্যালেরিয়া একটি মশাবাহিত বিপজ্জনক রোগ। মশার থেকে মানুষের দেহে এ রোগ সংক্রমণের জন্য, একটি আনোফেলিস মশার কামড়ই যথেষ্ট। এ রোগের জীবাণু মানুষের রক্তক্ষরণে ঢুকে লিভারে বাড়া শুরু করে এবং শরীরের রেড ব্লাড সেলসকে (আরবিসি) আক্রমণ এবং ধ্বংস করে।
এই রোগে সাধারণত কাঁপুনি দিয়ে জ্বর আসে, সেইসঙ্গে মাথাব্যথা, বমি, শ্বাসকষ্ট ইত্যাদি উপসর্গও দেখা দেয়। ম্যালেরিয়াকে মোটেও হালকাভাবে নেবেন না। বরং সঠিক সময়ে চিকিৎসকের কাছে গিয়ে প্রয়োজনীয় পরীক্ষা-নীরিক্ষার মাধ্যমে চিকিৎসা করান।
চিকিৎসার পাশাপাশি কিছু খাবার খেয়েও এ রোগ প্রতিরোধ করা সম্ভব।
পুষ্টিকর খাবার
এমন খাবার যা হজম করতে তেমন সমস্যা হবে না অথচ শরীরে পুষ্টি জোগাবে। তরল খাবার বেশি করে খাবেন যেমন- গ্লুকোজ পানি, আখের রস, ডাবের পানি, লেবুর রস।
প্রোটিন যুক্ত খাবার
প্রোটিন শরীরকে শক্তি দেয়।
ভেষজ গুণ সম্পন্ন মশলা
ম্যালেরিয়ার সময় আজওয়ান ভেজানো পানি খেলে হজমের সমস্যা মেটে। মেথি ভেজানো পানিও পেট ঠান্ডা করে। শরীরের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়াতে হলুদেরও জুড়ি মেলা ভার।
প্রচুর পানি খাওয়া
পানির কোনো বিকল্প নেই। ম্যালেরিয়ার সময় নিয়ম মেনে প্রচুর পরিমাণে পানি খান। একজন প্রাপ্তবয়স্ক মানুষের দিনে প্রায় তিন থেকে সাড়ে তিন লিটার পানি খাওয়া প্রয়োজন।
বাদাম
ছোট্ট ছোট্ট বাদামে প্রচুর পরিমাণে শক্তির উপাদান থাকে, যা আপনার শরীরকে মজবুত করে। এমনি না খেতে পারলে দুধ বা স্যালাডের সঙ্গে মিশিয়ে নিয়েও খেতে পারেন বাদাম। বাদামে রয়েছে নানা ঔষধি গুণ। ম্যালেরিয়ার মধ্যে বাদাম খেলে এটি শরীরকে শক্তি দেয়ার পাশাপাশি জ্বর কমিয়ে আনতেও সাহায্য করে।
জাম্বুরা
ম্যালেরিযার অব্যর্থ ওষুধ কুইনিন প্রাকৃতিকভাবেই থাকে জাম্বুরায়। এটি ম্যালেরিয়ার জীবাণু ধ্বংস করে দ্রুত এবং শরীরের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়িয়ে দেয় বহুগুণ। জাম্বুরা সেদ্ধ করে এর রস খেলে ম্যালেরিয়া সেরে যাবে দ্রুতই।
দারুচিনি
ম্যালেরিয়ায় শরীরে যে অসহ্য ব্যথাবোধ হয়, সেটি সারাতে সাহায্য করে দারুচিনির গুড়া। এতে আছে সিনামেলডিহাইড নামের এক ধরনের উপাদান, যা শরীরের ব্যথাকে কমিয়ে আনতে সাহায্য করে।
আদা
আদার রস ম্যালেরিয়ার ঘন ঘন বমি হওয়ার প্রবণতাকে কমিয়ে আনে। সেইসঙ্গে এটি রোগীর রুচিও বাড়ায়। তবে ম্যালেরিয়া হোক বা না হোক, প্রতিদিনকার খাবারের তালিকায় পুষ্টিকর খাবার থাকলে আর নিয়ম মেনে তা খেলে শরীরের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়বেই।

ডায়াবেটিক রোগীরা কি মিষ্টি আলু খেতে পারবেন?
অনলাইন ডেস্ক

স্বাদে খুবই মিষ্টি এই আলু আমাদের শরীরের জন্য অসাধারণ উপকারিতাও প্রদান করে। এটি অত্যন্ত পুষ্টিকর একটি সবজি। ভিটামিন, খনিজ ও অ্যান্টি-অক্সিডেন্ট সমৃদ্ধ হওয়ায় এটি খাওয়া আপনার স্বাস্থ্যের জন্য খুবই উপকারী। প্রতিদিন এটি খেলে রক্তে শর্করার মাত্রা নিয়ন্ত্রণে থাকে।
তবে প্রশ্ন হচ্ছে ডায়াবেটিক রোগীরা এই আলু খেতে পারবেন কি না। বিশেষজ্ঞরা জানাচ্ছেন, মিষ্টি হওয়া সত্ত্বেও মিষ্টি আলুর গ্লাইসেমিক সূচক কম। এটি ধীরে ধীরে রক্তে শর্করার মাত্রা বাড়ায়, যার ফলে ডায়াবেটিক রোগীরাও সীমিত পরিমাণে এটি খেতে পারেন।
এ ছাড়া মিষ্টি আলু খাওয়ার আরো অনেক স্বাস্থ্য উপকারিতা রয়েছে। কিভাবে আপনি এই স্বাস্থ্য উপকারিতাগুলো পেতে পারেন, জেনে নিন সেগুলো—
ভিটামিন এ সমৃদ্ধ : মিষ্টি আলু বিটা-ক্যারোটিনে সমৃদ্ধ। এটি শরীরে ভিটামিন এ-তে রূপান্তরিত হয়।
হজমশক্তি উন্নত করে : মিষ্টি আলুতে প্রচুর পরিমাণে ফাইবার থাকে। এটি হজমশক্তি উন্নত করতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে। এটি কোষ্ঠকাঠিন্য দূর করার পাশাপাশি অন্ত্রকে সুস্থ রাখে।
ওজন কমাতে সাহায্য করে : মিষ্টি আলু একটি কম ক্যালরিযুক্ত খাবার, যা আপনার ওজন কমাতে সাহায্য করতে পারে। আপনি যদি এটি খাদ্যতালিকায় অন্তর্ভুক্ত করেন তাহলে এটি আপনার পেট দীর্ঘ সময় ধরে ভরা রাখবে। এই কারণেই এটি ওজন কমায়।
ত্বকের জন্য উপকারী : মিষ্টি আলুতে প্রচুর পরিমাণে ভিটামিন-সি এবং অ্যান্টি-অক্সিডেন্ট রয়েছে। এগুলো ত্বককে সুস্থ রাখতে সহায়ক। এটি বলিরেখা কমাতে এবং ত্বককে উজ্জ্বল করতে সাহায্য করে।
রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়ায় : মিষ্টি আলুতে উপস্থিত অ্যান্টি-অক্সিডেন্টগুলো শরীরকে ফ্রি র্যাডিক্যাল থেকে রক্ষা করে। এটি রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা শক্তিশালী করে। খাদ্যতালিকায় এটি অন্তর্ভুক্ত করলে ঠাণ্ডা, কাশি এবং অন্যান্য সংক্রমণের বিরুদ্ধে লড়াই করতে সাহায্য করে।
হার্ট সুস্থ রাখে : মিষ্টি আলুতে পটাশিয়াম ও ম্যাগনেসিয়ামের মতো খনিজ থাকে, যা রক্তচাপকে ভারসাম্যপূর্ণ রাখে। হৃৎপিণ্ডের স্বাস্থ্যকে সমর্থন করে। এটি কোলেস্টেরল নিয়ন্ত্রণেও সাহায্য করে।
হাড় মজবুত করে : মিষ্টি আলুতে ভিটামিন এ, সি, বি৬, পটাশিয়ামের মতো প্রয়োজনীয় পুষ্টি উপাদান থাকে। এ ছাড়া মিষ্টি আলু আয়রনের উৎস। এই সমস্ত পুষ্টি উপাদান আপনার হাড়কে শক্তিশালী করে।
কিভাবে খাবেন
- আপনি এটি সিদ্ধ করে লবণ ও লেবু যোগ করে খেতে পারেন।
- তন্দুরি স্টাইলে ভাজি করেও খাওয়া যেতে পারে।
- টিক্কা বা কাটলেটও তৈরি করতে পারেন।
- মিষ্টি আলুর চাট তৈরি করাও একটি দুর্দান্ত বিকল্প।
সূত্র : ইটিভি

‘সান অ্যালার্জি’ কেন হয়, কিভাবে প্রতিরোধ করবেন
অনলাইন ডেস্ক

কয়েক দিন আবহাওয়া ঠাণ্ডা থাকার পর আবার পাল্লা দিয়ে বাড়ছে রোদের তীব্রতা। কাজের প্রয়োজনে বাইরে বের হতেই হচ্ছে। এই সময়ে রোদে ঘুরে বেড়ালে ‘হিট স্ট্রোক’এর পাশাপাশি ‘সান অ্যালার্জি’রও ঝুঁকি থাকে।
রোদ থেকে বাড়ি ফিরেই গায়ে লাল লাল র্যাশ দেখতে পান অনেকেই।
কেন হয় ‘সান অ্যালার্জি’
চিকিৎসকদের মতে, মূলত রোদের কারণেই এমন অ্যালার্জি হয়। অনেকেই জানতে চান, সানস্ক্রিন মাখলে সান অ্যালার্জি ঠেকানো যায় কি না।
ঝুঁকি কমাতে কী করবেন
সান অ্যালার্জির ঝুঁকি কমাতে কী কী সাবধানতা অবলম্বন করা জরুরি, তা জানিয়েছেন চিকিৎসকরা।
- অ্যালার্জির কারণ যেহেতু রোদ, তাই দিনে কম বের হওয়ার পরামর্শ দিচ্ছেন চিকিৎসকরা।
- গরমে তেলমশলাদার খাবার কম খেতে হবে। অত্যধিক মশলাদার খাবার শরীরে অ্যালার্জির কারণ হতে পারে।
সূত্র : এই সময়