গীতিকবি সিকান্দার আবু জাফরের জন্মদিন আজ

অনলাইন ডেস্ক
অনলাইন ডেস্ক
শেয়ার
গীতিকবি সিকান্দার আবু জাফরের জন্মদিন আজ

প্রখ্যাত সাহিত্যিক, সাংবাদিক ও গীতিকবি সিকান্দার আবু জাফরের আজ জন্মদিন। তার পুরো নাম সৈয়দ আল্ হাশেমী আবু জাফর মুহম্মদ বখ্ত সিকান্দার।

সিকান্দার আবু জাফর ১৯১৯ খ্রিস্টাব্দের ১৯ মার্চ (আজকের এই দিনে) সাতক্ষীরা জেলার তেঁতুলিয়া গ্রামে জন্মগ্রহণ করেন। তাদের আদি নিবাস ছিল পাকিস্তানের পেশোয়ারে।

সেখান থেকে তাঁর পিতামহ মাওলানা সৈয়দ আলম শাহ হাশেমী ওই গ্রামে এসে বসতি স্থাপন করেন।

আরো পড়ুন

জগন্নাথপুর-আউশকান্দি মহাসড়কে ঢাকাগামী ২ বাসে ডাকাতি

জগন্নাথপুর-আউশকান্দি মহাসড়কে ঢাকাগামী ২ বাসে ডাকাতি

 

আবু জাফর স্থানীয় তালাবিদ ইনস্টিটিউট থেকে প্রবেশিকা এবং কলকাতার রিপন কলেজ থেকে আইএ পাস করেন। কলকাতার মিলিটারি অ্যাকাউন্টস বিভাগে তিনি পেশাগত জীবন শুরু করেন এবং পরে সিভিল সাপ্লাই অফিসে চাকরি করেন। সত্যেন্দ্রনাথ মজুমদারের ‘গ্লোব নিউজ এজেন্সি’ নামক সংবাদ সংস্থায়ও তিনি কিছুকাল কাজ করেন।

 

আবু জাফর ১৯৫০ খ্রিস্টাব্দে কলকাতা থেকে ঢাকায় আসেন এবং বিভিন্ন সময়ে দৈনিক নবযুগ, ইত্তেফাক, সংবাদ ও মিল্লাত পত্রিকায় সাংবাদিকতা করেন। তিনি মাসিক সমকাল পত্রিকার প্রতিষ্ঠাতা সম্পাদক ছিলেন।

আরো পড়ুন

এতিমের কোটি টাকা আত্মসাতের অভিযোগ সমাজসেবা কর্মকর্তার বিরুদ্ধে

এতিমের কোটি টাকা আত্মসাতের অভিযোগ সমাজসেবা কর্মকর্তার বিরুদ্ধে

 

ষাটের দশকে পূর্ব বাংলায় বাঙালি জাতীয়তাবাদ ও বাঙালি সংস্কৃতিচর্চার যে ধারা গড়ে ওঠে, আবু জাফর ছিলেন তার অন্যতম পৃষ্ঠপোষক। ১৯৭১ খ্রিস্টাব্দে মুক্তিযুদ্ধের সময় তিনি স্বাধীনতা, দেশপ্রেম ও বিপ্লবের চেতনাসম্পন্ন অনেক গান রচনা করেন।

তার রচিত ‘আমাদের সংগ্রাম চলবেই’ গানটি মুক্তিযুদ্ধের সময় জনগণকে বিশেষভাবে অনুপ্রাণিত করেছিল। 

তার উল্লেখযোগ্য গ্রন্থ : 

উপন্যাস পূরবী, নতুন সকাল; ছোটগল্প মাটি আর অশ্রু; কবিতা প্রসন্ন শহর, তিমিরান্তিক, বৈরী বৃষ্টিতে, বৃশ্চিক-লগ্ন, বাংলা ছাড়ো; নাটক সিরাজ-উদ-দৌলা, মহাকবি আলাউল; সঙ্গীত মালব কৌশিক।

তার অনূদিত গ্রন্থ: 

যাদুর কলস, সেন্ট লুইয়ের সেতু, রুবাইয়াৎ : ওমর খৈয়াম ইত্যাদি।

তিনি নাটকে বাংলা একাডেমি পুরস্কার এবং একুশে পদক (মরণোত্তর) লাভ করেন। ১৯৭৫ খ্রিস্টাব্দের ৫ আগস্ট তিনি মৃত্যুবরণ করেন।

মন্তব্য

সম্পর্কিত খবর

সালেক খোকনের মুক্তিযুদ্ধভিত্তিক নতুন বই ‘১৯৭১: রণাঙ্গনের লড়াই’

অনলাইন ডেস্ক
অনলাইন ডেস্ক
শেয়ার
সালেক খোকনের মুক্তিযুদ্ধভিত্তিক নতুন বই ‘১৯৭১: রণাঙ্গনের লড়াই’

স্বাধীনতার মাসেই প্রকাশিত হয়েছে লেখক ও মুক্তিযুদ্ধবিষয়ক গবেষক সালেক খোকন-এর নতুন গবেষণাগ্রন্থ ‘১৯৭১: রণাঙ্গনের লড়াই’। মুক্তিযুদ্ধ আমাদের অস্তিত্বের ইতিহাস, আমাদের শেকড়। উনিশ শ একাত্তরে মুক্তির লড়াইয়ে আমাদের বিজয়ের পেছনে ছিল বহু মুক্তিযোদ্ধার দুঃসাহসী অংশগ্রহণ। ‘১৯৭১: রণাঙ্গনের লড়াই’ আদতে মুক্তিযুদ্ধকালীন ১১টি সেক্টরের শতাধিক লড়াইয়ের রক্তাক্ত স্মৃতি, যুদ্ধের প্রামাণ্য দলিল; সেই সাথে ৮৫টি আলোকচিত্রের এক গ্রন্থিত রূপ।

 

তৃণমূলে পাঁচ বছরের অধিককাল মুক্তিযুদ্ধভিত্তিক গবেষণার এক পরম ফসল এই গ্রন্থ। যেখানে লেখক মূলত যোদ্ধার চোখে দেখার চেষ্টা করেছেন মুক্তিযুদ্ধের রণাঙ্গনকে। এ গ্রন্থের রচনাগুলো শিকড়সন্ধানী ও সুখপাঠ্য কিন্তু বেদনাবহ, যা যে কোনো পাঠককে সচেতনভাবেই নিয়ে যাবে একাত্তরের গহিনে। মুক্তিযুদ্ধের অনন্যদলিল ‘১৯৭১: রণাঙ্গনের লড়াই’ সেই সব বাঙালির সংগ্রহে রাখার মতো, যারা দেশকে নিয়ে ভাবেন, দেশকে ভালোবাসেন প্রজন্ম থেকে প্রজন্মে।

‘১৯৭১: রণাঙ্গনের লড়াই’ বইটি প্রকাশ করে কথাপ্রকাশ। বইটি নিয়ে কথাপ্রকাশের কর্ণধার জসিম উদ্দিন বলেন, ‘এদেশে যে কজন গুণী মানুষ একক প্রচেষ্টায় গবেষকের দৃষ্টিতে মুক্তিযুদ্ধের বিস্মৃত ইতিহাস তুলে আনার নিরলস প্রয়াস চালিয়ে যাচ্ছেন, তাঁদের মধ্যে সালেক খোকন অগ্রগণ্য। নিভৃতচারী এ লেখক এক যুগেরও অধিক সময় ধরে মুক্তিযুদ্ধে আমাদের গৌরব, বেদনা ও সাহসের ইতিহাস শোনাতে ব্রতী হয়েছেন, যা ছিল অন্তরালে।বরাবরের মতো এবারও সালেক খোকনের গবেষণাধর্মী বই পাঠকদের কাছে ‍তুলে ধরতে পেরে আমরাও আনন্দিত।

তিনি আরও বলেন, ‘আমার বিশ্বাস, নতুন এ বইটির লেখাগুলো পাঠককে চুম্বকের মতো নিয়ে যাবে ঐতিহাসিক একাত্তরের গহিনে, পাঠক পাবেন একটা পুরো জীবন; যে জীবন যোদ্ধার, স্বপ্নের, লড়াই ও দর্শনের। যা যে-কোনো বয়সী পাঠকের মনে উন্মেষ ঘটাবে দেশ ও মানুষের প্রতি প্রদীপ্ত অঙ্গীকার। ‘১৯৭১: রণাঙ্গনের লড়াই’ বইটি মুক্তিযুদ্ধের এক অনন্য দলিল।মুক্তিযুদ্ধের সত্যিকার বস্তুনিষ্ঠ ইতিহাস জানার সীমাবদ্ধতা কাটাতে এ বইটি বিশেষ সহায়ক ভূমিকা রাখবে।’

সালেক খোকন তৃণমূলে মুক্তিযুদ্ধভিত্তিক গবেষণায় যুক্ত রয়েছেন বহু বছর ধরে।

তাঁর রচিত ‘যুদ্ধদিনের গদ্য ও প্রামাণ্য’ গ্রন্থটি ২০১৫ সালে মুক্তিযুদ্ধভিত্তিক মৌলিক গবেষণাগ্রন্থ হিসেবে ‘কালি ও কলম তরুণ কবি ও লেখক’ পুরস্কার এবং ‘৭১-এর আকরগ্রন্থ’ গ্রন্থটি ব্র্যাক ব্যাংক-সমকাল সাহিত্য পুরস্কার-২০২১ অর্জন করে। সালেক খোকনের গবেষণাগ্রন্থের সংখ্যা ৩৬টি। আর নতুন এ বইটি মুক্তিযুদ্ধভিত্তিক তার ১৬তম বই।

তার রচিত রচিত আলোচিত গ্রন্থগুলোর মধ্যে গৌরব ও বেদনার একাত্তর, খেতাবপ্রাপ্ত ত্রিশ বীর, বীরত্বে একাত্তর, একাত্তরের গল্পগাথা, ১৯৭১:বিজয়ের গৌরবগাথা, অপরাজেয় একাত্তর, ১৯৭১: রক্ত মাটি ও বীরের গদ্য, ১৯৭১: যাঁদের ত্যাগে এলো স্বাধীনতা, ১৯৭১: রক্তমাখা যুদ্ধকথা, ১৯৭১: যাঁদের রক্তে সিক্ত এই মাটি, যুদ্ধাহতের ভাষ্য, রক্তে রাঙা একাত্তর উল্লেখযোগ্য।

‘১৯৭১: রণাঙ্গনের লড়াই’ বইটির প্রচ্ছদ করেছেন সব্যসাচী হাজরা। ৪৮৬ পৃষ্ঠার এ বইটির মুদ্রিত মূল্য ৮০০টাকা। পাওয়া যাবে সারা দেশের বই বিপনিগুলোতে।

মন্তব্য

বিশ্ব কবিতা দিবস আজ

অনলাইন ডেস্ক
অনলাইন ডেস্ক
শেয়ার
বিশ্ব কবিতা দিবস আজ
সংগৃহীত ছবি

আজ বিশ্ব কবিতা দিবস। বিশ্বের আনাচকানাচে ছড়িয়ে-ছিটিয়ে থাকা কবি ও কবিতা পাঠকদের দিন আজ। ১৯৯৯ সালে ২১ মার্চকে বিশ্ব কবিতা দিবস হিসেবে ঘোষণা করে ইউনেসকো।

এই দিবস পালনের উদ্দেশ্য হলো— বিশ্বব্যাপী কবিতা পাঠ, রচনা, প্রকাশনা ও শিক্ষাকে উৎসাহিত করা।

আরো পড়ুন

এলএনজি আনতে ৪২৭০ কোটি ঋণ নিচ্ছে সরকার, গ্যারান্টার বিশ্বব্যাংক

এলএনজি আনতে ৪২৭০ কোটি ঋণ নিচ্ছে সরকার, গ্যারান্টার বিশ্বব্যাংক

 

ইউনেসকোর অধিবেশনে এই দিবস ঘোষণা করার সময় বলা হয়েছিল, ‘এই দিবস বিভিন্ন জাতীয়, আঞ্চলিক ও আন্তর্জাতিক কবিতা আন্দোলনগুলোকে নতুন করে স্বীকৃতি ও গতি দান করবে।’

এর আগে অক্টোবর মাসে বিশ্ব কবিতা দিবস পালন করা হতো। প্রথমদিকে কখনো কখনো ৫ অক্টোবর এই উৎসব পালিত হলেও বিংশ শতাব্দীর শেষভাগে রোমান মহাকাব্য রচয়িতা ও সম্রাট অগস্টাসের রাজকবি ভার্জিলের জন্মদিন স্মরণে ১৫ অক্টোবর এই দিবস পালনের প্রথা শুরু হয়।

আরো পড়ুন

রায়পুরায় আধিপত্য নিয়ে সংঘর্ষ, নিহত ২

রায়পুরায় আধিপত্য নিয়ে সংঘর্ষ, নিহত ২

 

অনেক দেশে আজও অক্টোবর মাসের কোনো দিন জাতীয় বা আন্তর্জাতিক কবিতা দিবস পালন করা হয়।

এই দিবসের বিকল্প হিসেবে অক্টোবর অথবা নভেম্বর মাসের কোনো দিন কবিতা দিবস পালনেরও প্রথা আছে।

মন্তব্য

‘দেশ পাণ্ডুলিপি পুরস্কার ২০২৪’ পাচ্ছেন ২০ গুণীজন

নিজস্ব প্রতিবেদক
নিজস্ব প্রতিবেদক
শেয়ার
‘দেশ পাণ্ডুলিপি পুরস্কার ২০২৪’ পাচ্ছেন ২০ গুণীজন
সংগৃহীত ছবি

বাংলা ভাষা ও সাহিত্যে বিভিন্ন ক্ষেত্রে যারা কাজ করছেন তাদের সম্মানীত করতে বিগত বছরের মতো এবারও ‘দেশ পাণ্ডুলিপি পুরস্কার ২০২৪’ প্রদান করবে দেশ পাবলিকেশন্স। এ লক্ষ্যে পাণ্ডুলিপি আহ্বান করেছিল দেশ। এ আহ্বানে দুই শতাধিক পাণ্ডুলিপি জমা হয়। এরই মধ্য থেকে জুরি বোর্ডের মাধ্যমে প্রতিটি বিষয়ে দুই প্রজন্মের দুজন করে ১০ বিষয়ে ২০ জনকে চূড়ান্ত নির্বাচন করা হয়।

 

সম্প্রতি ‘দেশ পাণ্ডুলিপি পুরস্কার ২০২৪’ ঘোষণা করা হয়। এ বছর পুরস্কারের জন্য বিভিন্ন শাখায় মনোনীত হয়েছেন ২০ গুণীজন। বিজ্ঞপ্তিতে একজন করে দেওয়ার কথা উল্লেখ থাকলেও পরে ১০টি বিষয়ে ২০ গুণীজনকে পুরস্কার দেওয়ার চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নেয় কর্তৃপক্ষ। এবার দেশ পাণ্ডুলিপি পুরস্কার দেওয়া হবে উপন্যাস, ছোটগল্প, কবিতা, গবেষণা, মৌলিক প্রবন্ধ, অনুবাদ, থ্রিলার, রহস্য উপন্যাস, নাটক ও কিশোর উপন্যাস, শিশুতোষ গল্প এবং ছড়া।

এবার যারা পুরস্কার পাচ্ছেন সেই গুণীজনরা হলেন— ‘অর্ধশতদল' কবিতার পাণ্ডুলিপির জন্য পুরস্কার পেয়েছেন কবি রহমান হেনরী। ‘হাতিমের শহর’-এর পাণ্ডুলিপির জন্য ফেরদৌস মাহমুদ। প্রবন্ধে পেয়েছেন দুই প্রজন্মের দুই প্রবন্ধকার ‘কবিতা নিয়ে আলাপ’ তারেক রেজা, ‘কথাসাহিত্যে আন্তর্জাতিকতা’ শাহমুব জুয়েল। কথাসাহিত্য বিভাগে উপন্যাস ‘বাউল’ সৈয়দা আঁখি হক, ‘হেরেমের আধেক চাঁদ’ মাইনুল ইসলাম মানিক।
কথাসাহিত্য ছোটগল্প ‘পরিযায়ী প্রাণ’ রুমা বসু, ‘বেনাপোল এক্সপ্রেস’ ছোটগল্প পাণ্ডুলিপির জন্য নূরে জান্নাত। গবেষণায় পেয়েছেন দুই গবেষক ‘গোয়ালগ্রাম গণহত্যা’ পাণ্ডুলিপির জন্য ইমাম মেহেদী এবং ‘চল্লিশের দশকের লোকসাহিত্য ও লোকসংস্কৃতি’ পাণ্ডুলিপির জন্য বঙ্গ রাখাল। অনুবাদ সাহিত্য সাকার বেইট, মূল : আইজাক আসিমভ, অনুবাদ : সোহরাব সুমন ও প্রিটি লিটল কিলার, মূল : সিডনি অ্যালান, অনুবাদ : সাদিয়া ইসলাম বৃষ্টি। 

বর্তমান পাঠকের আগ্রহ থ্রিলারে। তাই এবার নতুন যুক্ত করা হয়েছে এই বিভাগ।

থ্রিলার উপন্যাস ‘কাজলরেখা রহস্য’ বিশ্বজিৎ দাস, ‘পরীতমা’ ফরিদুল ইসলাম নির্জন। এবার নাটকে পেয়েছেন দুই প্রজন্মের দুই নাট্যকার ‘একগুচ্ছ শ্রুতিনাটক’ স্বপন ভট্টাচার্য, ‘বুক পকেটে জীবন ও অন্যান্য নাটক’ আহমেদ তাওকীর। শিশুসাহিত্য কিশোর উপন্যাস ‘কুটিচাচার গোয়েন্দা অভিযান’ দীপু মাহমুদ ও ছোটগল্প ‘স্কুলে জাদুকর এসেছিল’ নুরুল ইসলাম বাবুল। ছড়া উপন্যাস ‘লাল বক সাদা বক’ মাসুম আওয়াল। ছড়ার পাণ্ডুলিপি ‘আলোর পাখি নাম জোনাকি’ দেওয়ান বাদল। 

সবাইকে অভিনন্দন জানিয়ে প্রকাশক অচিন্ত্য চয়ন বলেন, ‘জানুয়ারিতে ঘোষণা দেওয়ার কথা থাকলেও অনিবার্য কারণবশত হয়নি। সে জন্য দুঃখ প্রকাশ করছি।’ 

দেশ পাণ্ডুলিপি পুরস্কারের জন্য মনোনীতদের নাম ঘোষণা করে তিনি আরো বলেন, ‘চেতনায় ঐতিহ্য’— এ স্লোগান ধারণ করে সুনামের সঙ্গেই যুগ পেরিয়ে তেরো বছরে পদার্পণ করেছে ‘দেশ’। এ সময়ের মধ্যেই প্রকাশনাশিল্পে পাণ্ডুলিপির নান্দনিক পরিচর্যায় একটি স্বতন্ত্রধারা সৃষ্টি করতে সক্ষম হয়েছে প্রতিষ্ঠানটি। বাংলা সাহিত্যের বিভিন্ন ক্ষেত্রে যারা কাজ করে যাচ্ছেন, তাদের সহযাত্রী হতে আমাদের এ প্রয়াস। আগামী মাসে দেশ সাহিত্য উৎসবে মনোনীতদের হাতে পুরস্কার তুলে দেওয়া হবে। দেশ পাবলিকেশন্স সব সময় তরুণদের নিয়ে কাজ করছে, আগামীতেও করতে চায়। আরেকটি বিষয় জানিয়ে রাখছি, আগে যারা নির্বাচিত হয়েছিলেন, তাদের পুরস্কার চলতি বছরের সঙ্গে প্রদান করা হবে। সবাই পাশে থাকবেন আশা করছি। দেশ এগিয়ে দেতে চায় আপনাদের সহযোগিতা নিয়ে। সবার প্রতি কৃতজ্ঞতা। আপনাদের পরামর্শ আমাদের পথ চলাকে আরো সুগম করবে।

মন্তব্য
স্বরণ

পল্লীকবির ৪৯তম মৃত্যুবার্ষিকী আজ

অনলাইন ডেস্ক
অনলাইন ডেস্ক
শেয়ার
পল্লীকবির ৪৯তম মৃত্যুবার্ষিকী আজ
সংগৃহীত ছবি

পল্লীকবি জসীমউদ্দীনের ৪৯তম মৃত্যুবার্ষিকী আজ (১৪ মার্চ)। ১৯০৩ সালের ১ জানুয়ারি ফরিদপুর জেলার তাম্বুলখানা গ্রামে মাতুলালয়ে জন্মগ্রহণ করেন তিনি। তার পৈতৃক নিবাস একই জেলার গোবিন্দপুর গ্রামে। পিতা আনসারউদ্দীন মোল্লা ছিলেন একজন স্কুলশিক্ষক।

 

পল্লীকবির মৃত্যুবার্ষিকী উপলক্ষে আজ শুক্রবার সকাল ১০টায় রাজধানীর কমলাপুরে তাঁর বাড়িতে বক্তৃতা প্রশিক্ষণ কেন্দ্র আয়োজিত এক আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়। অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন কবি শাহজাহান আবদালী।  আলোচনা সভায় পল্লীকবির কর্মময় জীবন নিয়ে আলোচনা করেন দেশের নবীন-প্রবীণ কবি-সাহিত্যিকসহ শিক্ষাবিদগণ।

আরো পড়ুন
গলায় ছুরি ধরে স্কুলছাত্রীকে ধর্ষণের অভিযোগ

গলায় ছুরি ধরে স্কুলছাত্রীকে ধর্ষণের অভিযোগ

 

শৈশবে ফরিদপুর হিতৈষী স্কুলে জসীমউদ্দীনের প্রাতিষ্ঠানিক শিক্ষা শুরু হয়।

তারপর ফরিদপুর জেলা স্কুল থেকে প্রবেশিকা, রাজেন্দ্র কলেজ থেকে আইএ ও বিএ এবং কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে বাংলা ভাষা ও সাহিত্যে তিনি এমএ পাস করেন।

জসীমউদ্দীনের কর্মজীবন শুরু হয় পল্লীসাহিত্যের সংগ্রাহক হিসেবে। স্নাতকোত্তর শ্রেণিতে অধ্যয়নকালে দীনেশচন্দ্র সেনের আনুকূল্যে কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃক এ কাজে তিনি নিযুক্ত হন। এমএ পাস করার পর থেকে ১৯৩৭ সাল পর্যন্ত তিনি উক্ত বিশ্ববিদ্যালয়ে দীনেশচন্দ্র সেনের অধীনে রামতনু লাহিড়ীর গবেষণা সহকারী ছিলেন।

আরো পড়ুন
আলু বোঝাই ট্রাকের চাপায় নিহত ১

আলু বোঝাই ট্রাকের চাপায় নিহত ১

 

১৯৩৮ সালে তিনি ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের বাংলা বিভাগে লেকচারার পদে যোগদান করেন। ১৯৪৩ সাল পর্যন্ত চাকরি করার পর ১৯৪৪ সাল থেকে তিনি প্রথমে বঙ্গীয় প্রাদেশিক সরকার এবং পরে পূর্ব পাকিস্তান সরকারের প্রচার বিভাগের কর্মকর্তা হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন। ১৯৬২ সালে এখান থেকে ডেপুটি ডাইরেক্টর হিসেবে অবসরগ্রহণ করেন।

জসীমউদ্দীনের কবিত্ব শক্তির প্রকাশ ঘটে ছাত্রজীবনেই। কলেজজীবনে ‘কবর’ কবিতা রচনা করে তিনি বিপুল খ্যাতি অর্জন করেন।

বিশ্ববিদ্যালয়ে অধ্যয়নকালেই তার এ কবিতাটি প্রবেশিকা বাংলা সংকলনে অন্তর্ভুক্ত হয়।

তার প্রথম কাব্যগ্রন্থ ‘রাখালী’ প্রকাশিত হয় ১৯২৭ সালে। তার প্রধান গ্রন্থগুলো হলো: নকশী কাঁথার মাঠ, সোজন বাদিয়ার ঘাট, রঙিলা নায়ের মাঝি, মাটির কান্না, সুচয়নী, পদ্মা নদীর দেশে, ভয়াবহ সেই দিনগুলিতে, পদ্মাপার, বেদের মেয়ে, পল্লীবধূ, গ্রামের মায়া, ঠাকুর বাড়ির আঙিনায়, জার্মানির শহরে বন্দরে, বাঙালির হাসির গল্প, ডালিম কুমার ইত্যাদি।

তার নকশী কাঁথার মাঠ কাব্যটি দ্য ফিল্ড অব অ্যামব্রয়ডার্ড কুইল্ট এবং বাঙালির হাসির গল্প গ্রন্থটি ফোক টেলস অব ইস্ট পাকিস্তান নামে ইংরেজিতে অনূদিত হয়েছে। বাংলা কবিতার ধারায় জসীম উদ্দীনের স্থানটি বিশিষ্ট। গ্রাম-বাংলার ঐতিহ্য ও লোকজীবন জসীম উদ্দীনের কবিতায় নতুন রূপ লাভ করেছে। তার কবিতায় দেশের মাটির সাক্ষাৎ উপলব্ধি ঘটে। এ জন্য ‘পল্লীকবি’ হিসেবে তার বিশেষ ও স্বতন্ত্র পরিচিতি রয়েছে।

আরো পড়ুন
শাহরুখের ‘কিং’-এ অভিষেকের নতুন রূপ, আসছে বড় ধামাকা

শাহরুখের ‘কিং’-এ অভিষেকের নতুন রূপ, আসছে বড় ধামাকা

 

জসীম উদ্দীন বাংলাদেশ সরকারের একুশে পদক ও স্বাধীনতা পুরস্কারে (মরণোত্তর, ১৯৭৮) ভূষিত হন। 

এদিকে ফরিদপুরে নানা আয়োজনের মধ্য দিয়ে পল্লীকবি জসিম উদ্দিনের ৪৯তম মৃত্যুবার্ষিকী পালিত হয়েছে। আজ শুক্রবার (১৪ মার্চ) সকাল ১০টায় কবির বাড়ির আঙ্গিনায় জেলা প্রশাসন ও জসিম ফাউন্ডেশনের আয়োজনে আলোচনা সভা ও দোয়া অনুষ্ঠিত হয়। 

এর আগে, কবির সমাধিতে শ্রদ্ধা নিবেদন করেন জেলা প্রশাসন, জেলা পুলিশ ও প্রেসক্লাবসহ বিভিন্ন সংগঠন। 

ফরিদপুর অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক মিন্টু বিশ্বাসের সভাপতিত্বে আলোচনা সভায় বক্তব্য দেন, জেলা প্রশাসক মো. কামরুল হাসান মোল্যা, পুলিশ সুপার মোহাম্মদ আব্দুল জলিল, কবিপুত্র খুরশিদ আনোয়ার প্রমুখ।

এ সময় কবিকে স্মরণীয় করে রাখতে তার গল্প, কবিতা, উপন্যাস চর্চার তাগিদ দেন বক্তারা। পরে কবির রুহের মাগফিরাত কামনায় দোয়া অনুষ্ঠিত হয়।

মন্তব্য

সর্বশেষ সংবাদ