<p>কোয়ান্টাম স্কেল অতি ক্ষুদ্র। এমন ক্ষুদ্র পর্যায়ে ক্লাসিক্যাল হিসাব-নিকাশ বাস্তবসম্মত নয়। এক্ষেত্রে স্বাভাবিক মানের তুলনায় অসীম মান বেশি পাওয়া যায়। এই ধরনের জটিল হিসাব নিকাশের জন্য বিশেষ এক গাণিতিক পদ্ধতির দরকার ছিল। যা ‘রিনরমালাইজেশন’ বা সরলীকরণ নামে পরিচিত।</p> <p>একটা উদাহরণ দেওয়া যাক। গতিশীল চার্জযুক্ত কণা নিজের চারপাশে একটা তড়িৎচুম্বক ক্ষেত্র তৈরি করে। যেমনটা ইলেকট্রনেও দেখা যায়। সেই ক্ষেত্রটি উৎস ইলেকট্রনের ওপরেও একটা বল প্রয়োগ করে। যা সেলফ-ফোর্স বা স্ব-শক্তি নামে পরিচিত।</p> <div class="d-flex justify-content-center"> <div class="col-12 col-md-10 position-relative"><strong>আরো পড়ুন</strong> <div class="card"> <div class="row"> <div class="col-4 col-md-3"><img alt="শূন্য থেকে মহাবিশ্ব কি সম্ভব? কী বলেছিলেন স্টিফেন হকিং?" height="66" src="https://cdn.kalerkantho.com/public/news_images/2024/10/24/1729760001-f872b4a0e2e2f55b8483f40e2e0ed8c0.jpg" width="100" /></div> <div class="col-8 col-md-9"> <p>শূন্য থেকে মহাবিশ্ব কি সম্ভব? কী বলেছিলেন স্টিফেন হকিং?</p> </div> </div> </div> <a class="stretched-link" href="https://www.kalerkantho.com/online/science/2024/10/24/1438664" target="_blank"> </a></div> </div> <p>কিন্তু এই শক্তির পরিমাণ কত? সমস্যা বাধে স্ব-শক্তির হিসেবের সময়। ইলেকট্রন একটি পয়েন্ট পার্টিকেল। বাংলায় যাকে বলে বিন্দুকণা। বিন্দুকণার নির্দিষ্ট কোনো আকার নেই, মাত্রাও নেই। আবার ইলেকট্রন নিজেই এই তড়িৎচুম্বক ক্ষেত্রের উৎস। ফলে ইলেকট্রন আর তড়িৎচুম্বক ক্ষেত্রের মধ্যে দূরত্ব শূন্য।</p> <p>ক্লাসিকাল সূত্রে শূন্য দূরত্বে ফলাফল পাওয়া যায় অসীম। কারণ দূরত্ব দিয়ে ভাগ করতে হয় শক্তির সূত্রকে। যার অর্থ দাঁড়ায়, ইলেকট্রন নিজের তৈরি তড়িৎচুম্বক ক্ষেত্র দ্বারা অসীম পরিমাণ শক্তি অনুভব করছে। যা অবাস্তব।</p> <div class="d-flex justify-content-center"> <div class="col-12 col-md-10 position-relative"><strong>আরো পড়ুন</strong> <div class="card"> <div class="row"> <div class="col-4 col-md-3"><img alt="মহাকাশে ভেঙে পড়েছে বোয়িংয়ের স্যাটেলাইট" height="66" src="https://cdn.kalerkantho.com/public/news_images/2024/10/24/1729765101-f0332da067fa9949b49d12258935a8a5.jpg" width="100" /></div> <div class="col-8 col-md-9"> <p>মহাকাশে ভেঙে পড়েছে বোয়িংয়ের স্যাটেলাইট</p> </div> </div> </div> <a class="stretched-link" href="https://www.kalerkantho.com/online/science/2024/10/24/1438682" target="_blank"> </a></div> </div> <p>এখানেই প্রয়োজন সরলীকরণ পদ্ধতি। এই পদ্ধতি অসীম মানগুলো সংশোধন করে সীমিত বা সসীম কাঠামো দাঁড় করায়। যা বাস্তবসম্মত। তবে ভুল পাঠ দেয় না। এই পদ্ধতি কোয়ান্টাম পরিসরের সূত্রগুলো বাস্তব জগতে প্রয়োগে সাহায্য করে। এই পদ্ধতিতে ইলেকট্রনের জি-ফ্যাক্টর নির্ণয় করা হয়েছে।</p> <p>কোয়ান্টাম ক্ষেত্র তত্ত্বের অল্প কিছু সূত্রই টিকে রয়েছে। তার মধ্যে কোয়ান্টাম তড়িৎ-গতিবিজ্ঞান এবং কোয়ান্টাম বর্ণ বলবিদ্যা অন্যতম। এদের ওপর সরলীকরণের নিয়ম প্রয়োগ করা যায়। কিন্তু একটা তত্ত্ব ব্যতিক্রম। তা হলো কোয়ান্টাম গ্রাভিটি। এ নিয়ে আমরা শেষ অধ্যায়ে আলোচনা করব।</p> <p>সরলীকরণ মূলত গাণিতিক কৌশল। যা দিয়ে কোয়ান্টাম হিসেব নিকেশে অসীম মানগুলো এড়ানো যায়। এ পদ্ধতির জন্মদাতা রিচার্ড ফাইনম্যান। তবে এই পদ্ধতির কিছু দুর্বল দিক রয়েছে, যা তিনি এড়িয়ে যাননি। দুর্বল দিক বর্ণনা করে তিনি সরলীকরণ পদ্ধতিকে  'আ শেল গেম' বলে ঠাট্টাও করেছেন।</p> <div class="d-flex justify-content-center"> <div class="col-12 col-md-10 position-relative"><strong>আরো পড়ুন</strong> <div class="card"> <div class="row"> <div class="col-4 col-md-3"><img alt="কোয়ান্টামবিরোধী আইনস্টাইন" height="66" src="https://cdn.kalerkantho.com/public/news_images/2024/06/22/1719049583-3942d9fa37505ed452c1d5186d0c7cd7.jpg" width="100" /></div> <div class="col-8 col-md-9"> <p>কোয়ান্টামবিরোধী আইনস্টাইন</p> </div> </div> </div> <a class="stretched-link" href="https://www.kalerkantho.com/online/science/2024/06/22/1399435" target="_blank"> </a></div> </div> <p>সরলীকরণ কৌশলটি ভুল পাঠ দেয় না। এটি সঠিকভাবে অসীম মানগুলোকে বাস্তবসম্মত সসীম মানে তুলে ধরে। কিন্তু ফাইনম্যান সমসময় এই কৌশল ব্যবহারে স্বাচ্ছন্দ্যবোধ করতেন না। গাণিতিক পদার্থবিজ্ঞানের উজ্জ্বল নক্ষত্র পল ডিরাকের দুশ্চিন্তা ছিল অন্য। তিনি ভাবতেন, কোয়ান্টামের গণনায় যে অসীম মান তৈরি হয়, তা কি কেবল গাণিতিক বিড়ম্বনা! নাকি এই অসীমতায় লুকিয়ে আছে প্রকৃতির কোনো নিগূঢ় রহস্য! বা কোনো ইশারা!</p> <p><strong>সম্পর্কিত তত্ত্ব</strong><br /> কোয়ান্টাম ক্ষেত্র তত্ত্ব<br /> কোয়ান্টাম তড়িৎ-গতিবিজ্ঞান<br /> ফাইনম্যানের ডায়াগ্রাম</p> <p><strong>বিজ্ঞানী</strong><br /> রিচার্ড ফাইনম্যান<br /> ১৯১৮-১৯৮৮<br /> মার্কিন পদার্থবিদ, সরলীকরণ কৌশলের একজন উদ্ভাবক।</p> <p><strong>জুলিয়ান শোইঙ্গার</strong><br /> ১৯১৮-১৯৯৪<br /> মার্কিন পদার্থবিদ, তড়িৎ-গতিবিজ্ঞানে অবদান রয়েছে।</p> <p><strong>শিন ইতিরো তোমোনাগা</strong><br /> ১৯০৬-১৯৭৯<br /> জাপানি পদার্থবিদ, এককভাবে সরলীকরণ কৌশল নিয়ে গবেষণা করেছেন।</p> <p><br /> বর্ণনা<br /> লিওন ক্লিফর্ড<br />  </p>