জীবননগরে ‘শুদ্ধ বানান ও উচ্চারণে ভাষার যত্ন’ কর্মশালা অনুষ্ঠিত

অনলাইন ডেস্ক
অনলাইন ডেস্ক
শেয়ার
জীবননগরে ‘শুদ্ধ বানান ও উচ্চারণে ভাষার যত্ন’ কর্মশালা অনুষ্ঠিত

বসুন্ধরা শুভসংঘের জীবননগর উপজেলা শাখার উদ্যোগে অনুষ্ঠিত হয়েছে এক দিনের কর্মশালা ‘শুদ্ধ বানান ও উচ্চারণে ভাষার যত্ন’। বুধবার জীবননগর থানা মডেল মাধ্যমিক বিদ্যালয়ে আয়োজিত এই কর্মশালায় ষষ্ঠ শ্রেণির ৮০ জন শিক্ষার্থী অংশগ্রহণ করে।

কর্মশালাটি পরিচালনা করেন ব্যাকরণ মল্লিকা গ্রন্থের লেখক ও ফ্রিল্যান্স শিক্ষক মো. রুহুল আমিন মল্লিক।

অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন জীবননগর উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা দপ্তরের একাডেমিক সুপারভাইজার সৈয়দ আব্দুল জব্বার, জীবননগর ডিগ্রি কলেজের অধ্যক্ষ মো. মোজাফ্ফর হোসেন, দৈনিক ইত্তেফাকের জীবননগর প্রতিনিধি ও স্থানীয় দৈনিক মাথাভাঙ্গা পত্রিকার ব্যুরো প্রধান মুন্সী মাহবুবুর রহমান বাবু, সাংবাদিক মিথুন মাহমুদ, বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক রেবেকা সুলতানা এবং সহকারী শিক্ষক আলিমা খাতুন, মাহবুব আরা, মুনিয়া আহমেদ, জেসমিন আরা, সুমাইয়া সিদ্দিকা প্রমুখ।

কর্মশালায় বক্তব্য রাখতে গিয়ে একাডেমিক সুপারভাইজার সৈয়দ আব্দুল জব্বার বলেন, শুভসংঘের এমন আয়োজন সত্যিই প্রশংসনীয়। আমাদের দেশে প্রতি আট কিলোমিটার অন্তর আঞ্চলিক ভাষার পরিবর্তন লক্ষ্য করা যায়। শুদ্ধ ভাষা চর্চায় এ কর্মশালা শিক্ষার্থীদের অনেক কাজে আসবে।

জীবননগর ডিগ্রি কলেজের অধ্যক্ষ মো. মোজাফ্ফর হোসেন বলেন, বাংলা ভাষার ভিত্তি মজবুত করতে এ কর্মশালা শিক্ষার্থীদের ভাষাজ্ঞান বাড়াতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখবে।

সাংবাদিক মুন্সী মাহবুবুর রহমান বলেন, ভাষার শ্রীবৃদ্ধিতে শুদ্ধ বানান ও উচ্চারণ খুবই গুরুত্বপূর্ণ। একজন ব্যাকরণবিদ এই কর্মশালা পরিচালনা করায় শিক্ষার্থীরা বিশেষভাবে উপকৃত হবে। শুভসংঘের এমন আয়োজন ছড়িয়ে পড়ুক সারা দেশে।

বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক রেবেকা সুলতানা বলেন, বসুন্ধরা শুভসংঘের এ মহতী উদ্যোগ আমাদের বিদ্যালয়কে বেছে নেওয়ায় আমরা কৃতজ্ঞ।

আমাদের ছাত্রছাত্রীরা এ কর্মশালা থেকে অনেক কিছু শিখতে পারবে যা তাদের ভবিষ্যতে কাজে লাগবে।

কর্মশালায় অংশ নেওয়া ছাত্রী উম্মে মারিয়াম জানায়, আমরা এখানে অনেক নতুন কিছু শিখেছি। জটিল বানান রীতি সহজে আয়ত্ত করতে পেরেছি।

অনুষ্ঠান পরিচালনা করেন শুভসংঘের উপদেষ্টা ও কালের কণ্ঠের প্রতিনিধি মো. জহিরুল ইসলাম। তিনি বলেন, সামাজিক দায়বদ্ধতার অংশ হিসেবে স্বেচ্ছাসেবী সংগঠন ও ব্যক্তি পর্যায়ে সবাইকে এগিয়ে আসতে হবে।

শুভসংঘের এ আয়োজন করতে পেরে ভালো লাগছে। শিক্ষার্থীরা আজকের কর্মশালায় যা শিখবে তা তাদের সারা জীবনের সঙ্গী হবে।

কর্মশালা শেষে অংশগ্রহণকারী শিক্ষার্থীদের মাঝে সার্টিফিকেট ও স্কেল বিতরণ করা হয়।


 

মন্তব্য

ক্ষেতলালে পথচারীদের মাঝে বসুন্ধরা শুভসংঘের ইফতারসামগ্রী বিতরণ

ক্ষেতলাল (জয়পুরহাট) প্রতিনিধি
ক্ষেতলাল (জয়পুরহাট) প্রতিনিধি
শেয়ার
ক্ষেতলালে পথচারীদের মাঝে বসুন্ধরা শুভসংঘের ইফতারসামগ্রী বিতরণ
ক্ষেতলালে পথচারীদের মাঝে শুভসংঘের ইফতারসামগ্রী বিতরণ

বসুন্ধরা শুভসংঘ ক্ষেতলাল শাখার উদ্যোগে পথচারীদের মাঝে ইফতারসামগ্রী বিতরণ করা হয়েছে। বৃহস্পতিবার (১৩ মার্চ) বিকেল ৪টার দিকে ক্ষেতলাল বিলের ঘাট এলাকায় এ কার্যক্রমের উদ্বোধন করা হয়। বসুন্ধরা শুভসংঘ ক্ষেতলাল শাখার উপদেষ্টা মো. নজরুল ইসলাম এ কার্যক্রমের উদ্বোধন করেন। 

এ সময় তিনি বলেন,  রমজানে একজন রোজাদারকে ইফতার করানো সওয়াবের কাজ।

ইফতারে কোনো ধনী-গরিব থাকে না। সবাই আল্লাহর সন্তুষ্টির জন্য ইফতার করেন। বসুন্ধরা শুভসংঘ সওয়াবের একটি কাজ করতে এগিয়ে এসেছে। সবাই মিলে ইফতার করলে আমাদের পারস্পরিক সম্পর্ক বৃদ্ধি পায়।
এই ধরনের উদ্যোগ আরো বেশি নেওয়া দরকার। তাহলে আমাদের বন্ধন আরো বৃদ্ধি পাবে।

আরো পড়ুন
সংস্কার কমিশনের সুপারিশ নিয়ে মতামত দিয়েছে ৭ রাজনৈতিক দল

সংস্কার কমিশনের সুপারিশ নিয়ে মতামত দিয়েছে ৭ রাজনৈতিক দল

 

ক্ষেতলাল বসুন্ধরা শুভসংঘ সভাপতি ও কালের কণ্ঠের প্রতিনিধি এম রাসেল আহমেদ বলেন, ‘বসুন্ধরা শুভসংঘের পক্ষ থেকে সবাইকে ধন্যবাদ জানাই। শুভ কাজে সবার পাশে বসুন্ধরা শুভসংঘ, প্রতিদিন দেশ ও মানুষের কল্যাণে কাজ করে যাচ্ছে।

পবিত্র রমজান মাস হচ্ছে আত্মশুদ্ধির মাস। পারস্পরিক সম্পর্ক বৃদ্ধি ও আল্লাহর সন্তুষ্টি অর্জন আমাদের মূল লক্ষ্য।’

এ সময় উপস্থিত ছিলেন ক্ষেতলাল উপজেলা প্রেস ক্লাবের সহসভাপতি মোস্তাফিজার রহমান, বসুন্ধরা শুভসংঘের প্রচার সম্পাদক মো. আরমান হোসেন, সাংবাদিক গোলাম মোস্তফা, শুভসংঘ সাধারণ সদস্য হুজায়ফা, আ. হান্নান, রওশনারা রিফাহ ও ফাহমিদা রোশনি প্রমুখ।

মন্তব্য

ক্ষেতলালে পথচারীদের মাঝে শুভসংঘের ইফতার বিতরণ

ক্ষেতলাল, জয়পুরহাট প্রতিনিধি
ক্ষেতলাল, জয়পুরহাট প্রতিনিধি
শেয়ার
ক্ষেতলালে পথচারীদের মাঝে শুভসংঘের ইফতার বিতরণ
বসুন্ধরা শুভসংঘ ক্ষেতলাল শাখার উদ্যোগে পথচারীদের মাঝে ইফতার বিতরণ। ছবি : কালের কণ্ঠ

বসুন্ধরা শুভসংঘ ক্ষেতলাল শাখার উদ্যোগে পথচারীদের মাঝে ইফতার বিতরণ করা হয়েছে। আজ বৃহস্পতিবার (১৩ মার্চ) বিকেল ৪টায় ক্ষেতলাল বিলের ঘাট এলাকায় এ কার্যক্রমের উদ্বোধন করেন বসুন্ধরা শুভসংঘ ক্ষেতলাল শাখার উপদেষ্টা মো. নজরুল ইসলাম।

নজরুল ইসলাম বলেন, ‘রমজানে একজন রোজাদারকে ইফতার করানো সওয়াবের কাজ। ইফতারে কোনো ধনী-গরিব থাকে না।

সবাই আল্লাহর সন্তুষ্টির জন্য ইফতার করেন। বসুন্ধরা শুভসংঘ সওয়াবের একটি কাজ করতে এগিয়ে এসেছে। সবাই মিলে ইফতার করলে আমাদের পারস্পরিক সম্পর্কও বৃদ্ধি পায়। এই ধরনের উদ্যোগ আরো বেশি নেওয়া দরকার।
তাহলে আমাদের বন্ধন আরো বৃদ্ধি পাবে।’

ক্ষেতলাল বসুন্ধরা শুভসংঘ সভাপতি ও কালের কণ্ঠ প্রতিনিধি এম রাসেল আহমেদ বলেন, ‘‘বসুন্ধরা শুভসংঘের পক্ষ থেকে সবাইকে ধন্যবাদ জানাই। ‘শুভ কাজে সবার পাশে’ বসুন্ধরা শুভসংঘ প্রতিদিন  দেশ ও মানুষের কল্যাণে কাজ করে যাচ্ছেন। পবিত্র রমজান মাস হচ্ছে আত্মশুদ্ধির মাস।

পারস্পরিক সম্পর্ক বৃদ্ধি  ও আল্লাহর সন্তুষ্টি অর্জন আমাদের মূল লক্ষ্য।’’

আরো পড়ুন
জবিতে বসুন্ধরা শুভসংঘের ‘ভাষার মাসে আপন ভাবনা’ শীর্ষক ভিডিও প্রতিযোগিতার পুরস্কার বিতরণ

জবিতে বসুন্ধরা শুভসংঘের ‘ভাষার মাসে আপন ভাবনা’ শীর্ষক ভিডিও প্রতিযোগিতার পুরস্কার বিতরণ

 

এ সময় উপস্থিত ছিলেন ক্ষেতলাল উপজেলা প্রেস ক্লাবের সহসভাপতি মোস্তাফিজার রহমান, বসুন্ধরা শুভসংঘের প্রচার সম্পাদক মো. আরমান হোসেন, সাংবাদিক গোলাম মোস্তফা, বসুন্ধরা শুভসংঘ সাধারণ সদস্য হুজায়ফা, আ. হান্নান, রওশনারা রিফাহ ও ফাহমিদা রোশনি প্রমুখ।

মন্তব্য

জবিতে বসুন্ধরা শুভসংঘের ‘ভাষার মাসে আপন ভাবনা’ শীর্ষক ভিডিও প্রতিযোগিতার পুরস্কার বিতরণ

জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিনিধি
জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিনিধি
শেয়ার
জবিতে বসুন্ধরা শুভসংঘের ‘ভাষার মাসে আপন ভাবনা’ শীর্ষক ভিডিও প্রতিযোগিতার পুরস্কার বিতরণ
ছবি: কালের কণ্ঠ

জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় বসুন্ধরা শুভসংঘের আয়োজনে আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবস উপলক্ষে ‘ভাষার মাসে আপন ভাবনা’ শীর্ষক ভিডিও প্রতিযোগিতার পুরস্কার বিতরণ করা হয়েছে। আজ বৃহস্পতিবার (১৩ মার্চ) সকালে জবি সাংবাদিক সমিতির কার্যালয়ে এটি অনুষ্ঠিত হয়। এ সময় বিজয়ীদের মাঝে পুরস্কার বিতরণ করা হয়।

পুরস্কার বিতরণী অনুষ্ঠানে শুভসংঘের সভাপতি মো. জুনায়েত শেখের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানটি পরিচালনা করেন বসুন্ধরা শুভসংঘের সদস্য ফাতেমাতুজ জোহরা।

জানা যায়, ভিডিও বক্তব্য প্রতিযোগিতায় সেরা পাঁচ জন পুরস্কার পেয়েছেন। তারা হলেন-রাষ্ট্রবিজ্ঞান বিভাগের মো. রহিম, একই বিভাগের ফাতেমা তুজ জহুরা, ইংরেজি বিভাগের মো. জিসান ইসলাম জিহাদ, গণযোগাযোগ ও সাংবাদিকতা বিভাগের জান্নাতুন নাইম ও সমাজবিজ্ঞান বিভাগের সুহাইল আহমেদ। এ ছাড়া প্রতিযোগিতায় অংশগ্রহণকারী সকল প্রতিযোগীকে সনদপত্র দেওয়া হয়েছে।

অতিথির বক্তব্যে জবি সাংবাদিক সমিতির সাধারণ সম্পাদক মো. মাহতাব হোসেন লিমন বলেন, ‘বসুন্ধরা শুভসংঘ জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় শাখা যে আয়োজন করেছে সেটা সত্যিই প্রশংসার দাবিদার।

এ সকল কার্যক্রমের ফলে শিক্ষার্থীদের মাঝে আগ্রহ ও উদ্দীপনা বৃদ্ধি পাবে। এই আগ্রহ উদ্দীপনার ফলে তাদের মাঝে মানসিকতার বিকাশ ঘটবে। যেটি তাদের ভবিষ্যৎ জীবনে কাজে লাগবে। এ আয়োজন করার জন্য বসুন্ধরা শুভসংঘ জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় শাখার প্রতি কৃতজ্ঞতা।
এ ছাড়া ভবিষ্যতে আরো ভালো কার্যক্রম করার জন্য শুভসংঘের প্রতি তিনি আশাবাদ ব্যক্ত করেন। 

বক্তব্যে জবি সাংবাদিক সমিতির সভাপতি ইমরান হোসাইন বলেন, বসুন্ধরা শুভসংঘ মেধাবী ও অসচ্ছলদের পাশে দাঁড়িয়েছে। এর আগে অন্য কোনো সংগঠন এই কাজ করেনি। বসুন্ধরা শুভসংঘ যে সকল কার্যক্রম হাতে নিয়েছে তা অব্যাহত থাকুক। এ ছাড়া তিনি শুভসংঘের উত্তরোত্তর সফলতা কামনা করেছেন।

যারা প্রতিযোগিতায় অংশগ্রহণ করেছে তাদেরকে অভিনন্দন ও তাদের সফলতা কামনা করেছেন। 

এ সময় উপস্থিত বসুন্ধরা শুভসংঘের সদস্যরা সংগঠনটি নিয়ে তাদের পরিকল্পনা এবং মানুষের কল্যাণের কাজ করে যাওয়ার আশাবাদ ব্যক্ত করেন। 

জবি বসুন্ধরা শুভসংঘের সভাপতি মো.  জুনায়েত শেখ বলেন, আমরা মানুষের জন্য কাজ করতে চাই। যদি নিজ পকেটের টাকা দিয়েও করতে হয়, তবুও আমরা পিছপা হবো না। তিনি বলেন, সংগঠনটি সবার। আমরা সবাই মিলেমিশে কাজ করবো। সুন্দর বাংলাদেশ গড়ে তুলবো।

মন্তব্য

আগুনে স্বপ্ন পুড়ে যাওয়া পরিবারটির পাশে দাঁড়াল বসুন্ধরা শুভসংঘ

বসুন্ধরা শুভসংঘ ডেস্ক
বসুন্ধরা শুভসংঘ ডেস্ক
শেয়ার
আগুনে স্বপ্ন পুড়ে যাওয়া পরিবারটির পাশে দাঁড়াল বসুন্ধরা শুভসংঘ
ছবি : কালের কণ্ঠ

মহাখালীর সাততলা বস্তিতে ভয়াবহ অগ্নিকাণ্ডে বহু ঘর পুড়ে গেছে। এর সঙ্গে সঙ্গে পুড়ে গেছে অনেকের বেঁচে থাকার সর্বশেষ অবলম্বনটিও। এই বস্তিতে থাকা সালমা বেগমের স্বপ্নের সেলাই মেশিনটিও পুড়ে গেছে। পুড়ে যাওয়া সেলাই মেশিনের কাছে অসহায় ভঙ্গিতে দাঁড়িয়ে আছেন সালমা।

 এমনই একটি ছবির গল্প আজ কালের কণ্ঠ পত্রিকা ও অনলাইনে প্রকাশিত হওয়ার পর সকালেই বসুন্ধরা শুভসংঘের প্রতিষ্ঠাতা ও বসুন্ধরা গ্রুপের উপদেষ্টা ইমদাদুল হক মিলন স্টাফ ফটো সাংবাদিক লুৎফর রহমানকে  জানান, মহাখালী সাততলা বস্তিতে অগ্নিকাণ্ডে ক্ষতিগ্রস্ত সালমাকে বসুন্ধরা গ্রুপের চেয়ারম্যান মহোদয়ের দেওয়া উপহার হিসেবে একটি সেলাই মেশিন সালমার হাতে তুলে দিতে চাই। পরে এ ব্যাপারে ক্ষতিগ্রস্ত সালমার সঙ্গে যোগাযোগ করা হলে তিনি খবরটি শুনে কান্নায় ভেঙে পড়েন। 

তিনি জানান, গতকাল চার মেয়েসহ স্বামীকে নিয়ে রাত্রে ছিলাম খোলা আকাশের নিচে। সকালেই এমন একটি খুশির খবর শুনব, কোনো দিন স্বপ্নেও ভাবিনি।

এ সময় বসুন্ধরা গ্রুপের চেয়ারম্যান ও পরিবারের সবার জন্য দোয়া করতে থাকেন। 

kaler kantho

কান্নাজড়িত কণ্ঠে সালমা আরো জানান, এই সেলাই মেশিনটি ছিল আমার সংসারের অনেক বড় একটি অবলম্বন। আমার বেঁচে থাকার স্বপ্ন। আমার ঘরে আবার সেলাই মেশিনের চাকা ঘুরবে আবার কাপড় সেলাই করতে পারব, এটি আমার কল্পনার বাইরে ছিল।

কাঠমিস্ত্রি স্বামীর রাসেলের সঙ্গে কথা হলে তিনি জানান, এই সেলাই মেশিনটি আমার স্ত্রীর অনেক বড় স্বপ্নের। আমার বড় মেয়ে জান্নাতুল ফেরদৌস ও মাঝেমধ্যে সেলাইয়ের কাজ করত মায়ের সঙ্গে। নবম শ্রেণিতে পড়ুয়া জান্নাতুল ফেরদৌস নতুন একটি সেলাই মেশিন ঘরে আসবে— এই খবরটি শুনে দুচোখের পানি মুছতে মুছতে বলেন, আমি পত্রিকা ও টেলিভিশনের খবরে দেখেছি বসুন্ধরা গ্রুপ শত শত গ্রামের নারীদের সেলাই মেশিন দিয়ে স্বাবলম্বী করে তুলছেন। তখন মনে হতো- এ রকম একটি নতুন সেলাই মেশিন যদি আমরা পেতাম, তাহলে খুব ভালো হতো, মা ও আমি দুজন মিলে বেশি কাজ করতে পারতাম। এ সময় জান্নাতুল ফেরদৌস আরো বলেন, এই ঈদে বসুন্ধরা গ্রুপের পক্ষ থেকে এমন একটি উপহার পাবো স্বপ্নেও ভাবিনি।
এটা আমার পরিবারের জন্য সত্যিই আশীর্বাদ ও আনন্দের।

বসুন্ধরা শুভসংঘের পরিচালক জাকারিয়া জামান বলেন, শিগগিরই সালমার পরিবারে একটি সেলাই মেশিন হস্তান্তর করা হবে। বসুন্ধরা শুভসংঘ সব সময়ই অসহায় মানুষের পাশে দাঁড়ায়।

মন্তব্য

সর্বশেষ সংবাদ