ঐতিহ্য

আইসিসিবির ইফতারি স্বাদ ও মানে অনন্য

নিজস্ব প্রতিবেদক
নিজস্ব প্রতিবেদক
শেয়ার
আইসিসিবির ইফতারি স্বাদ ও মানে অনন্য
ইন্টারন্যাশনাল কনভেনশন সিটি বসুন্ধরায় (আইসিসিবি) পুরান ঢাকার ঐতিহ্যবাহী ইফতারি বেচাকেনা চলছে। গতকাল তোলা। ছবি : কালের কণ্ঠ

সারা দিন রোজা রাখার পর সন্ধ্যায় সেরা মানের সেরা স্বাদের খাবারটি খেতে চান সবাই। সযত্নে বানানো ঘরের খাবারে সব সময় মন ভরে না। আবার বাইরের সব ইফতারির ওপর পূর্ণ আস্থাও রাখা যায় না। এসব বিষয় মাথায় রেখে আইসিসিবির ইফতারির বাজারকে বেছে নেওয়া বলে জানালেন নায়লা রহমান।

তিনি স্বাদ ও মানে আস্থা অর্জন করতে পারা এই বাজার থেকে ইফতারি কিনতে এসেছিলেন বসুন্ধরা থেকে।

প্রশস্ত তিন শ ফিট সড়কসংলগ্ন ইন্টারন্যাশনাল কনভেনশন সিটি বসুন্ধরার (আইসিসিবি) পুষ্পাঞ্জলি হলে বসেছে নবম আইসিসিবি পুরান ঢাকার ইফতার বাজার। ঢাকার উত্তরাংশের মানুষের নাগালে পুরান ঢাকার ঐতিহ্যবাহী ইফতারসামগ্রী পৌঁছে দিতে প্রায় ১০ বছর আগে আয়োজনটি শুরু হয়েছিল। শীতাতপ নিয়ন্ত্রিত পরিচ্ছন্ন পরিবেশে ইফতারি সাজিয়ে বসা এখানকার ব্যবসায়ীরা মনে করেন, এ কয় বছরে তাঁরা ভোক্তাদের আস্থা অর্জন করতে পেরেছেন।

পবিত্র রমজানে পুরান ঢাকার ইফতারির প্রতি রয়েছে মানুষের বিশেষ আকর্ষণ। ঐতিহ্যবাহী এই ইফতারির স্বাদ নিতে অনেকেই ছুটে চলেন চকবাজারে। কিন্তু যানজটের এই শহরে চাইলেও পুরান ঢাকায় গিয়ে ইফতারি কেনা সম্ভব হয় না। এ কারণেও ঢাকার উত্তর অংশের রোজাদারদের পছন্দের বাজার হয়ে উঠেছে এটি।

রমজানের মাঝামাঝি এসে ব্যাপক ক্রেতাসমাগমে জমে উঠেছে এই বাজার। শুধু ইফতারি নয়, আইসিসিবিতে রয়েছে সাহরিরও আয়োজন। তবে এই বাজারে পুরান ঢাকার মতো হাঁকডাক নেই। ধুলো, ধোঁয়া আর অস্বাস্থ্যকর পরিবেশমুক্ত।

আইসিসিবির ডেপুটি ব্র্যান্ড ম্যানেজার মেহেদী হাসান মোল্লা কালের কণ্ঠকে জানান, আইসিসিবি নবমবারের মতো আয়োজন করেছে পুরান ঢাকার ইফতারি বাজারের।

ঢাকাই ঐতিহ্যের স্বাদের সঙ্গে স্বাস্থ্যসম্মতভাবে নতুন ঢাকার ভোজনরসিকদের পরিচিত করাতেই আইসিসিবির এই উদ্যোগ। যানজটের ভোগান্তি ছাড়াই এখানে সম্পূর্ণ শীতাতপ নিয়ন্ত্রিত, ধুলাবালিমুক্ত ও স্বাস্থ্যকর পরিবেশে পুরান ঢাকার ইফতারি পাওয়া যাচ্ছে। রয়েছে নানা ধরনের শাহি আইটেম, আচার ও তাজা ফলের জুসের সমাহার। দামও মোটামুটি নাগালের ভেতর। আইসিসিবি নবম পুরান ঢাকার ইফতার বাজার চলবে ২৭ রমজান পর্যন্ত। মেহেদী হাসান মোল্লা জানান, এবার ২০টি প্রতিষ্ঠান ইফতারি নিয়ে বসেছে। প্রতিদিন বাজার শুরু হয় বিকেল ৩টা থেকে। রয়েছে বসে ইফতারি গ্রহণের ব্যবস্থাও।

আইসিসিবির ৫ নম্বর হলে আয়োজিত এই বাজারে এক ছাদের নিচে পাওয়া যাচ্ছে নানা রকম কাবাব, ডিমের চপ, আস্ত খাসির রোস্ট, খাসির লেগ রোস্ট, হোল চিকেন মুসাল্লাম, চিকেন রোস্ট, মাটন কাচ্চি (বাসমতী ও চিনিগুঁড়া), বিফ তেহারি ও বিফ পাক্কি, ভেজিটেবল আইটেমসহ বিভিন্ন ধরনের মিষ্টান্ন ও শরবত। আছে আনারস, তরমুজ, বাঙ্গি, আঙুর, পেঁপে, স্ট্রবেরি, পেয়ারাসহ বিভিন্ন ফল ও ফলের সালাদ।

ঢাকায় মোগলাই খাবারের জন্য খ্যাতি রয়েছে আইসিসিবি হেরিটেজ রেস্টুরেন্টের। এই ইফতারির বাজারে রয়েছে তাদেরও বড় একটি স্টল। তাদের রয়েছে চার ধরনের বিরিয়ানি, চার ধরনের রোস্ট, ৯ ধরনের কাবাব। এ ছাড়া রয়েছে আরো ১৭ পদের ইফতারির আয়োজন। বিরিয়ানির মধ্যে রয়েছে মাটন কাচ্চি বিরিয়ানি (বাসমতী ও চিনিগুঁড়া), মোরগ-পোলাও, বিফ তেহারি। চিকেন রোস্ট বিক্রি হচ্ছে প্রতিটি ১৭০ টাকা দরে। রোস্টের মধ্যে আরো রয়েছে হোল চিকেন মুসাল্লাম, মাটন লেগ রোস্ট ও হোল মাটন রোস্ট। এ ছাড়া ঢাকাই ইফতারির অতি পরিচিত পদ ছোলা ভুনা, পিঁয়াজু, বেগুনি, ডিমের চপ, আলুর চপ, লুচি-পরোটা, হালিমসহ কয়েক রকমের জিলাপি। গরুর হালিম পাওয়া যাচ্ছে ৩৫০, ৫০০ ও ৭০০ টাকা দরে। খাসির হালিম বিক্রি হচ্ছে ৪৫০, ৬০০ ও ৮০০ টাকা করে।

আইসিসিবি হেরিটেজ রেস্টুরেন্টের নির্বাহী তন্ময় শিকদার কালের কণ্ঠকে বলেন, এবারও আমরা মোগল খাবার নিয়েই এসেছি। আমাদের বিখ্যাত বিরিয়ানি, আস্ত খাসির লেগ রোস্ট, বিভিন্ন রকমের কাবাব তো থাকছেই। আমাদের বিরিয়ানি, জিলাপি আর কাবাব আইটেমের চাহিদা সবচেয়ে বেশি। তিনি জানান, এবার হেরিটেজ সুইটসের রসমালাই ৬৫০ টাকা, মালাই জর্দা ১০০ থেকে ৪০০ টাকা, রেশমি জিলাপি ৭০০ টাকা, তিলের জিলাপি ৭০০ টাকা, দই ১৩০ থেকে ৩০০ টাকা ও মালাই বুন্দিয়া বিক্রি হচ্ছে ১০০ থেকে ৪০০ টাকায়। আইসিসিবি হেরিটেজ রেস্টুরেন্টে বোরহানি বিক্রি হচ্ছে প্রতি লিটার ২৮০ টাকায়। লাবান বিক্রি হচ্ছে ৩৫০ টাকায়।

গতকাল মাস্টার শেফ সুব্রত আলী ও জসিম উদ্দিন ক্যাটারিংয়ের কর্মীরা ব্যস্ত সময় কাটিয়েছেন। ক্রেতাদের আগ্রহ ছিল নাজিলাস কিচেন অ্যান্ড ক্যাটারিং, রাইসা লাইভ জুস বার, ঠাণ্ডা-গরমের ইফতারির বিভিন্ন পদেও। ইফতারি ছাড়াও আইসিসিবিতে অবস্থিত হেরিটেজ রেস্টুরেন্টে রয়েছে সাহরির আয়োজন। মোগল-এ-মজলিস সাহরি নাইট শিরোনামের তাদের এই বিশেষ আয়োজনে রয়েছে মোগল খাবারের স্বাদ নেওয়ার সুযোগ। রেস্টুরেন্টটি বিকেল ৫টা থেকে ভোর ৪টা পর্যন্ত খোলা থাকছে। পরিবার-পরিজন নিয়ে খাবার গ্রহণের সুব্যবস্থা রয়েছে বলে জানিয়েছে রেস্টুরেন্টটি।

 

 

মন্তব্য

সম্পর্কিত খবর

সবিশেষ

দুই আমিরাতি জেন-জির বই সাড়া জাগাল

কালের কণ্ঠ ডেস্ক
কালের কণ্ঠ ডেস্ক
শেয়ার
দুই আমিরাতি জেন-জির বই সাড়া জাগাল

যুক্তরাষ্ট্রের ক্যালিফোর্নিয়াভিত্তিক প্রকাশনা সংস্থা ক্রিয়েটিভ করপোরেশন মিডিয়া থেকে প্রকাশিত দ্য আর্ট অব মিরাকলস বইটি এরই মধ্যে বিশ্বের জেন-জি প্রজন্মকে বেশ নাড়া দিতে পেরেছে। বইটির লেখক দুই বোন আয়েশা হাসান ও ইউমুনা হাসান। দুজনই আমিরাতি জেন-জি। যুক্তরাষ্ট্রেই থাকেন।

তাঁরা শুধু বইটির মাধ্যমে বিশ্বের জেন-জি প্রজন্মকে কাছে টানছেন না, জেন-জিদের চিন্তাধারায়ও বিবর্তন আনার সক্ষমতা দেখাতে পেরেছেন।

ভাবতে অবাক লাগে, এই দুই বোনের ব্যাপারে আন্তর্জাতিক গণমাধ্যমে যা বলা হচ্ছে, তার সংক্ষিপ্ত রূপ হলো : এই দুই আমিরাতি জেন-জি প্রমাণ করতে পেরেছেন, তাঁদের পক্ষেও নতুন প্রজন্মের আইকনে পরিণত হওয়া অবাস্তব কিছু নয়। কারণ তাঁরা এখন স্বাপ্নিক, চিন্তক, যেকোনো বয়সী চেঞ্জমেকারদের আগ্রহ বাড়াতে পেরেছেন। বিশেষ করে নিজে খাঁটি থাকা সত্ত্বেও আধুনিকতার বিশৃঙ্খলার মধ্যে পড়ে যারা হা-পিত্যেশ করছেন, তাদের হতাশা কাটানোর এক উজ্জীবিত মন্ত্র হতে পারে দ্য আর্ট অব মিরাকলস বইটি।

আয়েশা ও ইউমুনা তাঁদের বইতে এটা বিমূর্ত করার চেষ্টা করেছেন, মানুষের বয়স একটা সংখ্যা ছাড়া আর কিছুই নয়। অর্থাত্ তাঁরা বোঝাতে চাইছেন, এমন কোনো আইন নেই, যার মাধ্যমে দাবি করা যেতে পারে, জ্ঞানী বিবেচিত হতে হলে অন্তত মাথার চুল আগে পাকাতে হবে। তাঁদের চিন্তাধারার ইতিবাচকতা হচ্ছে, এই দুই বোনের চিন্তাধারায় শুধু জেন-জি প্রজন্মই আকৃষ্ট হচ্ছে না, সব বয়সী মানুষই প্রভাবিত হচ্ছে।

টিকটক ফিড আর ইনস্ট্রাগ্রাম স্টোরিজুড়ে এখন দ্য আর্ট অব মিরাকলস বইটির প্রশংসা।

কোটিপতি ইনফ্লুয়েন্সার, হলিউড আইকন, বিভিন্ন বহুজাতিক কম্পানির সিইও, স্পোর্টস লিজেন্ড, এমনকি সাধারণ চিন্তকরাও মেনে নিচ্ছেন, বইটির চিন্তাধারার প্রভাব বেশ গভীর ও বাস্তব। সূত্র : খালিজ টাইমস

 

 

মন্তব্য

ভোজ্যতেলের সরবরাহে স্বস্তি, দাম কমেছে মুরগির

নিজস্ব প্রতিবেদক
নিজস্ব প্রতিবেদক
শেয়ার
ভোজ্যতেলের সরবরাহে স্বস্তি, দাম কমেছে মুরগির

রাজধানীসহ সারা দেশের বাজারগুলোতে তিন মাস ধরে চলা ভোজ্যতেলের সংকট এখন অনেকটাই কেটে গেছে। ভোজ্যতেল সরবরাহকারী কম্পানিগুলো তেলের সরবরাহ বাড়ানোয় দোকানগুলোতে পর্যাপ্ত তেল পাওয়া যাচ্ছে। চাহিদামতো এক লিটার, দুই লিটার ও পাঁচ লিটার সয়াবিন তেলের বোতল কিনতে পারছেন ভোক্তারা। বাজারে চাহিদা কমায় কমেছে মুরগির দামও।

তবে মৌসুম না হওয়ায় বাজারগুলোতে পটোল, করলা, ঢেঁড়সসহ কয়েকটি সবজি চড়া দামে বিক্রি হচ্ছে। এই তিনটি সবজি ১০০ টাকার নিচে কেনা যাচ্ছে না। আগের বাড়তি দরেই বাজারে বেগুন বিক্রি হলেও শসা ও লেবুর দাম কিছুটা কমেছে। এর পরও লেবুর দাম ক্রেতার নাগালের বাইরে।

গতকাল বৃহস্পতিবার রাজধানীর কারওয়ান বাজার, মহাখালী কাঁচাবাজার, বাড্ডাসহ বিভিন্ন বাজার ঘুরে এবং বিক্রেতাদের সঙ্গে কথা বলে এসব তথ্য জানা গেছে।

বাজার ঘুরে দেখা গেছে, বাজারের প্রতিটি দোকানেই পর্যাপ্ত তেলের সরবরাহ আছে। প্রতি লিটার বোতলজাত সয়াবিন তেল সরকার নির্ধারিত দর ১৭৫ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। বোতলজাত তেলের সরবরাহ বাড়ায় খোলা তেলের দামও কিছুটা কমেছে।

কারওয়ান বাজারের মেসার্স হাজী স্টোরের বিক্রেতা মো. কামাল গাজী গতকাল কালের কণ্ঠকে বলেন, বাজারে এখন তেলের অভাব নেই, কিন্তু বিক্রির জন্য কাস্টমার পাচ্ছি না। কারণ রোজার প্রথম দিকে বোতলজাত তেল না পেয়ে অনেকে খোলা তেল কিনে নিয়েছে। এতে বাজারে এখন পর্যাপ্ত বোতলজাত তেল থাকলেও সে তুলনায় চাহিদা নেই। এখন একসঙ্গে প্রতিটি কম্পানির ডিলাররা তেল দিয়ে যাচ্ছেন বলেও তিনি জানান।

বাজার ঘুরে দেখা গেছে, সোনালি মুরগির দাম দুই সপ্তাহের ব্যবধানে কেজিতে মানভেদে ৪০ থেকে ৫০ টাকা কমেছে।

সোনালি মুরগি মানভেদে প্রতি কেজি ২৫০ থেকে ২৮০ টাকা। তবে সোনালি মুরগির দাম যে হারে কমেছে, ব্রয়লার মুরগির দাম সে অনুপাতে কমেনি। কেজিতে ২০ টাকা কমে ব্রয়লার মুরগি ১৯০ টাকা কেজি দরে বিক্রি হচ্ছে।

কারওয়ান বাজারের মুরগি বিক্রেতা মো. শহিদ কালের কণ্ঠকে বলেন, বাজারে মুরগির চাহিদার তুলনায় পর্যাপ্ত সরবরাহ থাকায় দাম কমেছে। ব্রয়লার মুরগির চেয়ে সোনালি মুরগির দাম বেশি কমেছে।

সবজির বাজার ঘুরে দেখা গেছে, মৌসুম না হওয়ার কারণে কয়েকটি সবজি চড়া দামে বিক্রি হচ্ছে। পটোল কেজি ৮০ থেকে ১০০ টাকা, করলা ১০০ টাকা, ঢেঁড়স ১০০ থেকে ১২০ টাকা কেজি।

ইফতারে শরবতে লেবুর বাড়তি চাহিদা থাকার সুযোগে রোজার প্রথম দিকে অস্বাভাবিক দাম বেড়ে যায়। পরে ক্রেতা কমে যাওয়ায় বাজারে লেবুর বিক্রি কিছুটা কমে আসে। এখন হালিতে দাম কিছুটা কমে মাঝারি সাইজের লেবুর হালি ৫০ থেকে ৬০ টাকা। তবে বড় সাইজের লেবুর হালি এখনো ৮০ থেকে ১০০ টাকা। বেগুন মানভেদে ৮০ থেকে ১০০ টাকা, দেশি শসা ৬০ থেকে ৭০ টাকা, হাইব্রিড শসা ৫০ থেকে ৬০ টাকা কেজি দরে বিক্রি হচ্ছে। রোজার শুরুতে দেশি শসার দাম কেজিতে ১০০ থেকে ১২০ টাকায় ওঠে। ভালো মানের বেগুন কেজি ছিল ১২০ টাকা। টমেটো ৩০ টাকা, কাঁচা মরিচ ৮০ টাকা কেজি। লম্বা লাউ প্রতি পিস ৫০ থেকে ৬০ টাকা, মিষ্টি কুমড়ার কেজি ৪০ থেকে ৫০ টাকা। ফুলকপি প্রতি পিস ৩০ থেকে ৪০ টাকা।

বাজার ঘুরে দেখা গেছে, দেশি পেঁয়াজ প্রতি কেজি মানভেদে ৩৫ থেকে ৫০ টাকা, ছোলা মানভেদে ১০০ থেকে ১১৫ টাকা, বেসন মানভেদে ১২০ থেকে ১৪০ টাকা, চিনি ১২০ টাকা, আলু ২০ টাকা, দেশি আদা কেজি ১২০ থেকে ১৩০ টাকা, দেশি নতুন রসুন ১২০ থেকে ১৫০ টাকা, আমদানীকৃত রসুন ২৩০ থেকে ২৪০ টাকা কেজি।

 

 

মন্তব্য

বিশেষ বিসিএসের মাধ্যমে দুই হাজার চিকিৎসক নিয়োগের উদ্যোগ

নিজস্ব প্রতিবেদক
নিজস্ব প্রতিবেদক
শেয়ার
বিশেষ বিসিএসের মাধ্যমে দুই হাজার চিকিৎসক নিয়োগের উদ্যোগ

জরুরি ভিত্তিতে বিশেষ বিসিএসের মাধ্যমে দুই হাজার চিকিৎসক নিয়োগের উদ্যোগ নিয়েছে সরকার। গতকাল বৃহস্পতিবার স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের সভাকক্ষে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে প্রধান উপদেষ্টার বিশেষ সহকারী ডা. সায়েদুর রহমান এ কথা জানান।

ডা. সায়েদুর রহমান বলেন, হাইকোর্ট প্রিফিক্স হিসেবে ডাক্তার পদবি ব্যবহার করার বিষয়ে দীর্ঘ ১২ বছর ধরে চলা রিটের রায় প্রদান করেছেন, যা এ সম্পর্কিত সব ধরনের বিভ্রান্তি, দ্বিধা ও অস্বস্তি দূর করতে ইতিবাচক ভূমিকা রাখবে। এ ছাড়া ৪৫, ৪৬ এবং ৪৭ বিসিএসে যথাক্রমে ৪৫০, এক হাজার ৬৮২ ও এক হাজার ৩৩১ জন চিকিৎসক নিয়োগের উদ্যোগ চলমান আছে।

ডা. সায়েদুর বলেন, তিনটি বিসিএস চলমান থাকা সত্ত্বেও দেশের প্রত্যন্ত অঞ্চলে চিকিৎসকের ঘাটতি প্রকট আকার ধারণ করায় একটি বিশেষ বিসিএসের মাধ্যমে জরুরি ভিত্তিতে দুই হাজার চিকিৎসক নিয়োগে স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ মন্ত্রণালয়ের পক্ষ থেকে গত ৯ মার্চ জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ে চিঠি দেওয়া হয়েছে।

সব ক্যাডারের জন্য বয়সসীমা ৩২ করা হলে আনুপাতিক হারে বিসিএস (স্বাস্থ্য) ক্যাডারের ক্ষেত্রে তা ৩৪ হওয়ার কথা থাকলেও সেটি এবার করা হয়নি। জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়কে বিষয়টি নিয়ে অনুরোধ জানালেও সেটি গৃহীত হয়নি বলে জানান প্রধান উপদেষ্টার বিশেষ এই সহকারী।

স্বাস্থ্য সুরক্ষা আইনটি সব পক্ষের সঙ্গে আলোচনার পর চূড়ান্ত পর্যায়ে আছে জানিয়ে অধ্যাপক ডা. মো. সায়েদুর রহমান বলেন, সেটিতে সংস্কার কমিশনের সুপারিশের ভিত্তিতে কিছু বিষয় অন্তর্ভুক্তি, বর্জন বা পরিমার্জনে কমিশনের চূড়ান্ত রিপোর্টের জন্য অপেক্ষা করা হচ্ছে, যা শিগগির পাওয়া যাবে।

চিকিৎসকসহ অন্যান্য সেবাদানকারীদের দীর্ঘদিনের বঞ্চনা ও বৈষম্যেরও অবসান করার চেষ্টা করা হয়েছে জানিয়ে ডা. সায়েদুর আরো বলেন, প্রায় সব গুরুত্বপূর্ণ পদে বঞ্চিত ও বৈষম্যের শিকারদের মধ্য থেকে দক্ষতা ও যোগ্যতার ভিত্তিতে পদায়ন করা হয়েছে। পদোন্নতিযোগ্য বিশেষজ্ঞদের পদোন্নতি দানের জন্য বাংলাদেশের ইতিহাসে সর্বোচ্চসংখ্যক সুপারনিউমারি পদ সৃষ্টির কার্যকর উদ্যোগ গ্রহণ করা হয়েছে। চিকিৎসকদের জন্য নেওয়া উদ্যোগগুলোর পাশাপাশি আমরা নার্সসহ অন্যান্য সব সহায়ক জনশক্তির নিয়োগের প্রক্রিয়াকেও গতিশীল করেছি যেন সম্ভাব্য স্বল্পতম সময়ে সব শূন্যপদ পূরণ করা যায়।

 

মন্তব্য

১৩ মাসে ২৬০১ বাংলাদেশিকে গ্রেপ্তার করেছে বিএসএফ

কালের কণ্ঠ ডেস্ক
কালের কণ্ঠ ডেস্ক
শেয়ার
১৩ মাসে ২৬০১ বাংলাদেশিকে গ্রেপ্তার করেছে বিএসএফ

ভারতে প্রবেশের চেষ্টার সময় গত ১৩ মাসে ভারত-বাংলাদেশ সীমান্ত এলাকা থেকে দুই হাজার ৬০১ বাংলাদেশি নাগরিককে গ্রেপ্তার করেছে দেশটির আইন-শৃঙ্খলা রক্ষা বাহিনী। বুধবার ভারতের সংসদের উচ্চকক্ষ রাজ্যসভায় এক প্রশ্নের জবাবে এ তথ্য জানিয়েছেন দেশটির স্বরাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী নিত্যানন্দ রাই।

লিখিত প্রশ্নের জবাবে ভারতের এই মন্ত্রী রাজ্যসভায় বলেন, ২০২৪ সালের ১ জানুয়ারি থেকে চলতি বছরের ৩১ জানুয়ারি পর্যন্ত সীমান্তে মোট দুই হাজার ৬০১ জন বাংলাদেশিকে গ্রেপ্তার করা হয়।

দেশটির স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের তথ্য অনুযায়ী, কেবল গত জানুয়ারিতেই সীমান্ত থেকে অনুপ্রবেশকারী ১৭৬ বাংলাদেশিকে গ্রেপ্তার করেছে ভারতীয় সীমান্তরক্ষী বাহিনী (বিএসএফ)।

ভারত-বাংলাদেশ সীমান্তের অবৈধ কার্যক্রম প্রতিরোধে বিএসএফের মিশন অব্যাহত আছে বলে জানিয়েছে মন্ত্রণালয়।

প্রতিমন্ত্রী নিত্যানন্দ রাই বলেন, গত বছরের ডিসেম্বরে ২৫৩, নভেম্বরে ৩১০, অক্টোবরে ৩৩১, সেপ্টেম্বরে ৩০০, আগস্টে ২১৪, জুলাইতে ২৬৭ ও জুনে ২৪৭ জন বাংলাদেশিকে গ্রেপ্তার করেছে বিএসএফ।

তবে গত বছরের মে মাসে সবচেয়ে কমসংখ্যক বাংলাদেশি ভারতে প্রবেশের চেষ্টার সময় গ্রেপ্তার হয়েছে। ওই মাসে দেশটির সীমান্তরক্ষী বাহিনীর হাতে ৩২ জন বাংলাদেশি গ্রেপ্তার হয়।

এ ছাড়া ওই বছরের এপ্রিলে ৯১, মার্চে ১১৮, ফেব্রুয়ারিতে ১২৪ এবং গত বছরের জানুয়ারিতে ১৩৮ বাংলাদেশিকে গ্রেপ্তার করে বিএসএফ। সূত্র : এনডিটিভি

 

মন্তব্য

সর্বশেষ সংবাদ