৩ মাসে কোটিপতি অ্যাকাউন্টধারীর সংখ্যা বেড়েছে প্রায় ৫ হাজার

অনলাইন ডেস্ক
অনলাইন ডেস্ক
শেয়ার
৩ মাসে কোটিপতি অ্যাকাউন্টধারীর সংখ্যা বেড়েছে প্রায় ৫ হাজার

গত তিন মাসে ব্যাংকগুলোতে কোটিপতি অ্যাকাউন্ট বা হিসাবধারীর সংখ্যা বেড়েছে ৪ হাজার ৯৫৪টি। বাংলাদেশ ব্যাংকের সর্বশেষ হালনাগাদ প্রতিবেদনে এমন চিত্র উঠে এসেছে।

সংশ্লিষ্টরা জানান, জুলাই গণঅভ্যুত্থানের পর রাজনৈতিক অস্থিরতায় অনেকেই ব্যাংক থেকে আমানত তুলে নিতে থাকেন। ফলে কমে যায় কোটিপতিদের সংখ্যা।

তবে দেশের মধ্যে রাজনৈতিক অস্থিরতা কমে আসতে শুরু করায় মানুষের হাতে থাকা অর্থ ব্যাংকে ফিরতে শুরু করেছে। ফলে কোটিপ্রতি হিসাবধারী সংখ্যা বাড়ছে।

কেন্দ্রীয় ব্যাংকের তথ্য অনুযায়ী, ২০২৪ সালের ডিসেম্বর শেষে ব্যাংক খাতে মোট অ্যাকাউন্টের (হিসাব) সংখ্যা ১৬ কোটি ৩২ লাখ ৪৭ হাজার ৫৩২টি। এসব হিসাবে মোট আমানতের স্থিতি দাঁড়িয়েছে ১৮ লাখ ৮৩ হাজার ৭১১ কোটি টাকা।

 

গত সেপ্টেম্বর শেষে ব্যাংক খাতে মোট অ্যাকাউন্টের (হিসাব) সংখ্যা ছিল ১৬ কোটি ২০ লাখ ২৮ হাজার ২৫৫টি। এসব হিসাবে জমা ছিল ১৮ লাখ ২৫ হাজার ৩৩ কোটি টাকা। সেই অনুযায়ী তিন মাসে ব্যাংক খাতের হিসাব সংখ্যা বেড়েছে ১২ লাখ ১৯ হাজার ২৭৭টি আর আমানতের পরিমাণ বেড়েছে ৪৫ হাজার ৬২৮ কোটি টাকা।

খাত সংশ্লিষ্টরা বলছেন, কোটি টাকার হিসাব মানেই কোটিপতি ব্যক্তির হিসাব নয়।

কারণ ব্যাংকে এক কোটি টাকার বেশি অর্থ রাখার তালিকায় ব্যক্তি ছাড়া অনেক প্রতিষ্ঠানও রয়েছে। আবার ব্যক্তি ও প্রতিষ্ঠান কতটি ব্যাংক হিসাব খুলতে পারবে, তার কোনো নির্দিষ্ট সীমা নেই। ফলে এক প্রতিষ্ঠান বা ব্যক্তির একাধিক অ্যাকাউন্টও রয়েছে। এর মধ্যে সরকারি বিভিন্ন প্রতিষ্ঠান ও সংস্থার কোটি টাকার হিসাবও রয়েছে।

প্রতিবেদনে উঠে এসেছে, ডিসেম্বর শেষে এক কোটি টাকার বেশি আমানত রয়েছে এমন ব্যাংক হিসাবের সংখ্যা দাঁড়িয়েছে ১ লাখ ২২ হাজার ৮১টি।

তিন মাসে আগে (সেপ্টেম্বর শেষে) ছিল ১ লাখ ১৭ হাজার ১২৭টি। সে হিসাবে তিন মাসের ব্যবধানে কোটিপতি হিসাব সংখ্যা বেড়েছে ৪ হাজার ৯৫৪ টি।
 

মন্তব্য

সম্পর্কিত খবর

প্রাক-বাজেট আলোচনায় এনবিআরকে বিজিবিএর ৫ প্রস্তাব

অনলাইন ডেস্ক
অনলাইন ডেস্ক
শেয়ার
প্রাক-বাজেট আলোচনায় এনবিআরকে বিজিবিএর ৫ প্রস্তাব
বিজিবিএর সহ-সভাপতি এ কে এম সাইফুর রহমান। সংগৃহীত ছবি

জাতীয় রাজস্ব বোর্ডের (এনবিআর) চেয়ারম্যানের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত প্রাক-বাজেট আলোচনায় বেশ কয়েকটি নীতি সহায়তা চেয়ে প্রস্তাব দিয়েছে বাংলাদেশ গার্মেন্টস বায়িং হাউজ অ্যাসোসিয়েশন (বিজিবিএ)।

বৃহস্পতিবার (১৩ মার্চ) দুপুরে আগারগাঁওয়ের এনবিআর ভবনে এ আলোচনায় বিভিন্ন সংগঠনের ব্যবসায়ী নেতারা উপস্থিত ছিলেন।  

বিজিবিএর সিনিয়র সহ-সভাপতি এ কে এম সাইফুর রহমান এ সহায়তা চেয়ে পাঁচটি প্রস্তাব দিয়েছেন। সেগুলো হলো অগ্রিম আয়কর (এআইটি) সাড়ে ৭ শতাংশ করা, নমুনার জন্য একটি পৃথক পাস বই চালু, লোকাল সোর্স ফ্যাব্রিক ও ট্রিমস ব্যবহার করে রপ্তানির অনুমতি, রপ্তানির পর শুল্ক প্রত্যাহার এবং আন্তর্জাতিক ট্রেড মেলার জন্য ভর্তুকি।

 

এ ছাড়াও পোশাক রপ্তানি বাড়ানোর ক্ষেত্রে ভূমিকা রাখবে এমন কিছু সহায়তা চেয়েছেন সাইফুর রহমান। 

আলোচনায় বাংলাদেশ টেরি টাওয়েল অ্যান্ড লিলেন ম্যানুফ্যাকচারার্স অ্যান্ড এক্সপোর্টার্স অ্যাসোসিয়েশন উৎসে কর্তনের হার হ্রাস, নগদ প্রণোদনা থেকে উৎসে কর কর্তনের হার কমানো এবং ১০ কাউন্ট ও ২০ কাউন্ট সুতায় শুল্ক ও কর কমানোর প্রস্তাব দেওয়া হয়।

রপ্তানি লক্ষ্যমাত্রা পূরণে সরকারের নীতি সহায়তা চায় বাংলাদেশ গার্মেন্ট অ্যাক্সেসরিজ অ্যান্ড প্যাকেজিং ম্যানুফ্যাকচারার্স অ্যান্ড এক্সপোর্টার্স অ্যাসোসিয়েশন (বিজিএপিএমইএ)। পাশাপাশি আসন্ন বাজেটে রপ্তানির বিপরীতে প্রযোজ্য উৎসে কর অর্ধেক কমানোর দাবি জানিয়েছে সংগঠনটি।

সংগঠনটি আগামী ৫ বছরের জন্য উৎসে কর ১ শতাংশ থেকে কমিয়ে ০.৫০ শতাংশ করার, ব্যক্তি পর্যায়ে করমুক্ত আয়ের সীমা সাড়ে ৩ লাখ থেকে বাড়িয়ে ৪ লাখ টাকা করার, কোম্পানির ক্ষেত্রে সঞ্চয়ী আমানত, স্থায়ী আমানত ইত্যাদির সুদ/মুনাফার ওপর উৎসে কর ২০ শতাংশ থেকে কমিয়ে ১০ শতাংশ করার প্রস্তাব করেছে।

তথ্য প্রযুক্তিখাতে কর অব্যাহতি ২০৩১ সাল পর্যন্ত অব্যাহত রাখার দাবি জানিয়েছে বেসিস। পাশাপাশি ডিজিটাল পেমেন্ট ইকোসিস্টেম গড়ে ওঠার আগে ক্যাশলেস ট্রানজেকশনের শর্ত শিথিল করার, দেশি সফটওয়্যার ও তথ্য প্রযুক্তির ওপর ভ্যাট প্রত্যাহার, সফটওয়্যার রপ্তানিতে প্রণোদনা ৬ শতাংশ থেকে বাড়িয়ে ১০ শতাংশ করার প্রস্তাব দিয়েছে।

প্লাস্টিকের খেলনা প্রস্তুতে ২৪ ধরনের কাঁচামাল আমদানিতে করছাড় চেয়েছে বাংলাদেশ প্লাস্টিক গুডস ম্যানুফ্যাকচারার অ্যান্ড এক্সপোর্টার্স অ্যাসোসিয়েশন (বিপিজিএমইএ)।

আমদানি করা ১৪টি কাঁচামালে কর ছাড় চেয়েছে বাংলাদেশ ফার্নিচার শিল্প মালিক সমিতি। রপ্তানির উদ্দেশে উৎপাদিত পণ্যের কাঁচামাল আমদানিতে নির্দিষ্ট সময়ের জন্য কাঁচামাল বাবদ আরোপযোগ্য শুল্ক ও করের বিপরীতে শতভাগ ব্যাংক গ্যারান্টির মাধ্যমে বন্ড সুবিধা দেওয়ার দাবি জানিয়েছে বাংলাদেশ ফার্নিচার এক্সপোর্টার্স অ্যাসোসিয়েশন।

বাংলাদেশ এলপিজি অটোগ্যাস স্টেশন অ্যান্ড কনভারসন ওয়ার্কশপ ওনার্স অ্যাসোসিয়েশন এলপিজি অটোগ্যাস সেক্টরকে ট্যাক্স হলিডে সুবিধা প্রদান, এলপিজি কনভারসন কিট, সিলিন্ডার ও অন্যান্য যন্ত্রপাতি আমদানিতে শুল্কমুক্ত সুবিধা চেয়েছে। পাশাপাশি ভোক্তা পর্যায়ে অটোগ্যাসের বিক্রয়মূল্যের সঙ্গে সংযোজিত মূসক প্রত্যাহারের প্রস্তাব করেছে।

বন্ডেড ওয়্যারহাউস সুবিধা প্রদান, নগদ সহায়তার ওপর ১০ শতাংশ হারে অগ্রিম আয়কর প্রত্যাহারের প্রস্তাব দিয়েছে বাংলাদেশ ফ্রোজেন ফুডস এক্সপোর্টার্স অ্যাসোসিয়েশন (বিএফএফইএ)।

বাংলাদেশ বিস্কুট, ব্রেড ও কনফেকশনারি প্রস্তুতকারক সমিতি কেক, বিস্কুট ও কনফেকশনারি পণ্যে শুল্ক অব্যাহতি চেয়েছে।

দি বাংলাদেশ জুয়েলারি ম্যানুফ্যাকচারার্স অ্যান্ড এক্সপোর্টার্স অ্যাসোসিয়েশন হিরা আমদানির রপ্তানিতে মূসকের ওপর ২০ শতাংশ ভর্তুকি ও স্বর্ণের গহনার ক্ষেত্রে তিন বছরের জন্য মূসকের ওপর ৫০ শতাংশ ভর্তুকি প্রদানের প্রস্তাব করেছে। আর বাংলাদেশ গার্মেন্ট বায়িং হাউস অ্যাসোসিয়েশন ১০ শতাংশ থেকে কমিয়ে এআইটি ৫ শতাংশ করার প্রস্তাব করেছে।

বাংলাদেশ টেক্সটাইল মিলস অ্যাসোসিয়েশন (বিটিএম) ২০৩০ সাল পর্যন্ত ১৫ শতাংশ হারে আয়কর দেওয়ার দাবি জানায়।

প্রাসঙ্গিক
মন্তব্য

রমজানে বসুন্ধরা ট্রয়লেট্রিজে ৪০ শতাংশ ছাড়

নিজস্ব প্রতিবেদক
নিজস্ব প্রতিবেদক
শেয়ার
রমজানে বসুন্ধরা ট্রয়লেট্রিজে ৪০ শতাংশ ছাড়
সংগৃহীত ছবি

পবিত্র রমজান উপলক্ষে বসুন্ধরা টয়লেট্রিজের চলছে বিশেষ মেলা। বসুন্ধরা টয়লেট্রিজের উদ্বোধনী অফার হিসেবে রমজান মাসজুড়ে প্রয়োজনীয় টয়লেট্রিজ সব পণ্যের ওপর মিলছে ৪০ শতাংশ পর্যন্ত বিশেষ মূল্য ছাড়। গ্রাহকরা প্রতি শুক্রবার মসজিদ এবং বাজার এলাকায় চলমান বিশেষ মেলা থেকে এই ছাড়ের সুবিধা নিতে পারবেন। 

শুক্রবার (১৪ মার্চ) রাজধানীর বসুন্ধরা আবাসিক এলাকার ডি ব্লকে মসজিদ ও ইসলামিক রিসার্চ সেন্টারের সামনেসহ সারাদেশের জেলা শহরের বিভিন্ন মসজিদের সামনে এই ছাড়ে পণ্য বিক্রি শুরু হয়।

এদিকে বিশেষ ছাড়ে পণ্য পেয়ে ক্রেতারাও ব্যাপক খুশি। 

আজ জুমার নামাজের পর ইসলামিক রিসার্চ সেন্টারের সামনে সরেজমিনে দেখা যায়, বসুন্ধরা টয়লেট্রিজের হোম কেয়ার, পার্সোনাল কেয়ার বিভিন্ন আইটেমর পণ্য নিতে ক্রেতা হুমড়ি খেয়ে পড়েছেন। বিশেষ করে বিভিন্ন প্রকারের টিস্যু, মশার কয়েল ও স্প্রে, ডিটারজেন্ট, এয়ার ফ্রেসনার, টুথপেস্টসহ বিভিন্ন প্রকার আইটেম নিচ্ছেন তারা। 

আরো পড়ুন
আ‌ছিয়ার মৃত্যুতে হবিগঞ্জে গা‌য়েবানা জানাজা ও কফিন মি‌ছিল অনুষ্ঠিত

আ‌ছিয়ার মৃত্যুতে হবিগঞ্জে গা‌য়েবানা জানাজা ও কফিন মি‌ছিল অনুষ্ঠিত

 

এদের একজন আব্দুর রহমান।

তিনি কালের কণ্ঠকে বলেন, রমজানে যেখানে অনেকে পণ্যের দাম বাড়িয়ে দেয়, সেখানে ৪০ শতাংশ ছাড়ে পণ্য বিক্রি, এটা নিঃসন্দেহে ভালো ও কল্যাণকর উদ্যোগ। আমি এখান থেকে বেশ কয়েকটি প্রয়োজনীয় পণ্য নিয়েছি। আশা করব এ ধরনের উদ্যোগ বসুন্ধরা ট্রয়লেট্রিজ অব্যাহত রাখবে।

বসুন্ধরা ট্রয়লেট্রিজের ডেপুটি ম্যানেজার (মার্কেটিং) শোয়েব মাহমুদ বলেন,  চলমান মূল্যবৃদ্ধির প্রেক্ষাপটে পবিত্র এই মাসে সবার হাইজিন সুরক্ষার কথা চিন্তা করেই বসুন্ধরা টয়লেট্রিজের এই বিশেষ উদ্যোগ।

গ্রাহকরা এ সময় নিত্যপ্রয়োজনীয় টয়লেট্রিজ পণ্যগুলো ৪০ শতাংশ পর্যন্ত ছাড়ে সংগ্রহ করতে পারবেন। যা তাদের নিত্যদিনের ব্যহারের জন্য অত্যন্ত সুবিধাজনক হবে বলে আশা করছে কর্তৃপক্ষ।

মন্তব্য

বসুন্ধরায় আপন ফ্যামিলি মার্টের দ্বিতীয় আউটলেট: বিভিন্ন পণ্যে ছাড়, খুশি ক্রেতারা

ইমানুল সোহান
ইমানুল সোহান
শেয়ার
বসুন্ধরায় আপন ফ্যামিলি মার্টের দ্বিতীয় আউটলেট: বিভিন্ন পণ্যে ছাড়, খুশি ক্রেতারা
ছবি: কালের কণ্ঠ

রাজধানীর বসুন্ধরা আবাসিক এলাকায় চালু হয়েছে রিটেইল চেইন আপন ফ্যামিলি মার্টের দ্বিতীয় আউটলেট। এই আউটলেটটি চালু হতেই ক্রেতাদের ভিড় দেখা যায়। একই ছাদের নিচে প্রায় সব সেবা পাওয়ায় বেজায় খুশি ক্রেতারা। এ ছাড়াও বিভিন্ন পণ্যে চলছে ছাড়।

তাই পছন্দের পণ্য কিনতে ক্রেতারা ছুটছেন সেখানে।

শুক্রবার (১৪ মার্চ) সরেজমিন ঘুরে দেখা গেছে, বসুন্ধরা আবাসিক এলাকার ব্লক- ডি, রোড নম্বর- ৪ এবং প্লট (৪৭৪)-এ শীতাতপ নিয়ন্ত্রিত পরিপাটি সজ্জার বিশাল বাজার সম্ভার বসিয়েছে আপন ফ্যামিলি মার্টের দ্বিতীয় আউটলেট। যেখানে মিলছে মানুষের প্রাত্যহিক জীবনের সবকিছুই। একই ছাদের নিচে মিলছে মাছ-মাংস, শাক-সবজি, ফল-মূল, চাল-ডালসহ প্রয়োজনীয় সকল নিত্যপণ্য।

এ ছাড়া রয়েছে মেডিক্যাল কর্নার, যেখানে মিলছে প্রয়োজনীয় ওষুধ। পাশাপাশি রয়েছে মোবাইল শপ, নারী-পুরুষের ত্বকের যত্ন ও রূপচর্চায় প্রসাধনী, বিভিন্ন ডিনার সেটসহ প্রয়োজনীয় সবকিছুই। দুপুর সাড়ে ৩টা থেকে ইফতারের আগ পর্যন্ত এবং ইফতারের পরে ক্রেতাদের ভিড় বেশি লক্ষ্য করা গেছে।

বসুন্ধরা আবাসিক এলাকায় আপন ফ্যামিলি মার্টের দ্বিতীয় আউটলেট
বসুন্ধরা আবাসিক এলাকায় আপন ফ্যামিলি মার্টের দ্বিতীয় আউটলেট।
ছবি: কালের কণ্ঠ

খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, আপন ফ্যামিলি মার্টের দ্বিতীয় আউটলেটে এক কেজি গরুর মাংসে ১০১ টাকা ছাড়ে মিলছে ৬৯৯ টাকায়, ব্রয়লার লাইভ প্রতি কেজি ১৫ টাকা ছাড়ে ১৭৫ টাকা, সোনালী লাইভ ৩৪ টাকা ছাড়ে ৩১৯ টাকা, দেশি হাঁস ২৫ টাকা ছাড়ে ৫৫৫ টাকা, দেশি মুরগ লাইভ ৩৫ টাকা ছাড়ে ৫৯৬ টাকায়। ছোট রুই প্রতি কেজিতে ৭১ টাকা ছাড়ে মিলছে ২১৯ টাকায়, চাষের পাঙাস কেজিতে ৭১ টাকা ছাড়ে ১২৯ টাকা, কোরাল ৩০০ টাকা ছাড়ে ৫৫০ টাকা, বড় তেলাপিয়া ৫৫ টাকা ছাড়ে ১৬৫ টাকা, আইড় ৪০০ টাকা ছাড়ে ৬০০ টাকায়, রূপচাঁদা ১৭০ টাকা ছাড়ে ১০৫০ টাকায়, কৈ ক্লিন ৮০ টাকা ছাড়ে ৩৬০ টাকা, বড় পাবদা ১০০ টাকা ছাড়ে ২৯৯ টাকা এবং গলদা চিংড়ি কেজিতে ২০৫ টাকা ছাড়ে  মিলছে ৮৯০ টাকায়।

এ ছাড়াও প্রতি ডজন ডিমে ২১ টাকা ছাড়ে মিলছে ১১৯ টাকায়। ছোলা বুটে ২৪ টাকা ছাড়ে প্রতি কেজি ৯৬ টাকা ও চিনি প্রতি কেজি মিলছে ১১৯ টাকায়। পাশাপাশি মাল্টা ৪৫ টাকা ছাড়ে প্রতি কেজি ২৮০ টাকা, আঙুর ৪১ টাকা ছাড়ে ৩৪৯ টাকা, আপেল ফুজি ৫৫ টাকা ছাড়ে ৩৪০ টাকা, পেঁপে থাই ৪৫ টাকা ছাড়ে প্রতি কেজি ১১০ টাকা, আনার ৫৬ টাকা ছাড়ে প্রতি কেজি ৭৭৯ টাকা, তরমুজ ১৪ টাকা ছাড়ে প্রতি কেজি ৫৫ টাকা, আনারস ২০ টাকা ছাড়ে প্রতি কেজি ৫৫ টাকা ও ড্রাগন মিলছে ৬৯৯ টাকা কেজিতে।

এ ছাড়াও অন্যান্য সামগ্রীতেও রয়েছে ছাড়। এই অফারগুলো চলবে আজ থেকে ১৭ মার্চ পর্যন্ত ।

ফল-মূল কিনছেন ক্রেতারা
আপন ফ্যামিলি মার্টের দ্বিতীয় আউটলেটে ফল-মূল কিনছেন ক্রেতারা। ছবি: কালের কণ্ঠ

ফ্যামিলি মার্টের দ্বিতীয় আউটলেটে বাজার করার অভিজ্ঞতার বিষয়ে খন্দকার হাবিবুর রহমান কালের কণ্ঠকে বলেন, আমি ‘জি’ ব্লকের আফরোজা রোডে থাকি। আগে অন্যান্য সুপারশপে বাজার করতাম। কিন্তু এই আউটলেট চালু হওয়ার পর থেকেই এখানে বাজার করছি। এই আউটলেটটির পরিবেশ চমৎকার। এ ছাড়া বিক্রয়কর্মীদের ব্যবহার ও পণ্যের মান ভালো। তাদের সেবায় আমি খুশি।

আউটলেটের বিক্রয়কর্মী ফজলে রাব্বির কাছে ক্রেতাদের সাড়ার বিষয়ে জানতে চাইলে তিনি কালের কণ্ঠকে বলেন, দুপুর হলেই ক্রেতাদের ভিড় হতে শুরু করে। যা চলে ইফতারের পরেও। যতই দিন যাচ্ছে ততই ভিড় বাড়ছে। আমরা সবাই আন্তরিকতার সঙ্গে ক্রেতাদের সেবা দিই।’

জানা গেছে, গত বৃহস্পতিবার আপন ফ্যামিলি মার্টের দ্বিতীয় আউটলেটের উদ্বোধন করেন বসুন্ধরা গ্রুপের ভাইস চেয়ারম্যান সাফওয়ান সোবহান এবং পরিচালক ইয়াশা সোবহান। এসময় মাশাল্লাহ গ্রুপের চেয়ারম্যান হাজি জহির রায়হান অতিথিদের স্বাগত জানান।

আপন ফ্যামিলি মার্টের অপারেশন বিভাগের প্রধান রাশেদুল ইসলাম বলেন, ‘এই সুপারশপে ৪৫ হাজার স্কয়ার ফিট জায়গাজুড়ে ২২ হাজারেরও বেশি পণ্য পাওয়া যাবে।’

মন্তব্য

১০০০ টাকার একটি নোট ছাপাতে কত খরচ হয়

মো. জয়নাল আবেদীন
মো. জয়নাল আবেদীন
শেয়ার
১০০০ টাকার একটি নোট ছাপাতে কত খরচ হয়
সংগৃহীত ছবি

এক হাজার টাকার নোট ছাপাতে পাঁচ টাকা ও ৫০০ টাকার নোট ছাপাতে চার টাকা ৭০ পয়সা খরচ হয় বলে জানিয়েছেন বাংলাদেশ ব্যাংক। এছাড়া ২০০ টাকার নোটে তিন টাকা ২০ পয়সা, ১০০ টাকার নোটে চার টাকা এবং ১০, ২০, ৫০ টাকার সব নোটেই দেড় টাকা। আর পাঁচ টাকা ও দুই টাকার নোট ছাপাতে খরচ পড়ে এক টাকা ৪০ পয়সা। সবচেয়ে বেশি খরচ হয় কয়েন তৈরিতে।

প্রতিটি কয়েনে প্রায় সমপরিমাণ টাকা খরচ হয়। তবে বিশ্বব্যাপী কাঁচামালের দাম বাড়ার কারণে এই খরচ কিছুটা বৃদ্ধি পেয়েছে বলে নিশ্চিত করেছেন সংশ্লিষ্ট বিভাগের কর্মকর্তারা।

এসব কারণে কেন্দ্রীয় ব্যাংক ডিজিটাল মুদ্রা তথা ক্যাশলেস ব্যবস্থার দিকে ঝুঁকছে। এছাড়াপ্রতি ঈদে ঘটা করে প্রয়োজনের চেয়ে বেশি টাকা ছাপানোর সংস্কৃতি থেকে সরে আসছে বাংলাদেশ ব্যাংক।

কারণ এতে অনেক খরচ। প্রতিবছর নতুন টাকা ছাপাতে সরকারের খরচ হয় সর্বনিম্ন ৫০০ কোটি টাকা। কোনো বছর ৭০০ কোটিও ছাড়িয়ে যায়। 

জানা গেছে, ঈদ উৎসবে দীর্ঘ ঐতিহ্যের অংশ হিসেবে সেলামিতে নতুন টাকা দেয় অনেকে।

এ কারণে বিশেষ দিনটির আগে চাহিদা বাড়ে ঝকঝকে টাকার। চাহিদাকে সামনে রেখে প্রতিবছর নতুন টাকা বাজারে ছাড়ে বাংলাদেশ ব্যাংক। এবারও ২১১ কোটি টাকা ছাড়ার কথা ছিল। কিন্তু শেষ পর্যন্ত সেই সিদ্ধান্ত থেকে সরে এসেছে কেন্দ্রীয় ব্যাংক। 

৫ আগস্ট দেশের রাজনীতিতে একটি বড় পরিবর্তনের পর টাকার নকশায় পরিবর্তনের সিদ্ধান্ত হয়েছে।

সেই টাকা বাজারে আসতে আরো মাস দেড়েক সময় প্রয়োজন। তাই কেন্দ্রীয় ব্যাংক এবারের ঈদে নতুন টাকা ছাড়ার সিদ্ধান্ত থেকে সরে এসেছে। 

এ বিষয়ে বাংলাদেশ ব্যাংকের নির্বাহী পরিচালক ও মুখপাত্র আরিফ হোসেন খান কালের কণ্ঠকে বলেন, ‘আমরা ধীরে ধীরে অনলাইনভিত্তিক লেনদেনের দিকে এগিয়ে যাচ্ছি। তাই নগদ টাকার ওপর নির্ভরশীলতা কমাতে হবে। এটার জন্য ব্যাংকগুলোর মধ্যে ইন্টার অপারেবিলিটি সক্রিয়ভাবে চালু করা খুব দরকার। আমরাও সে চেষ্টাই করছি। এক ব্যাংকের সঙ্গে অন্য ব্যাংক এবং এক মোবাইল অপারেটর থেকে অন্য অপারেটরের মধ্যে আন্ত লেনদেন চালু করতে পারলে নগদ টাকার প্রয়োজনীয়তা এমনিতেই কমে যাবে। যেহেতু এখনো ভালোভাবে অপারেবিলিটি কাজ করছে না, তাই ক্যাশেই লেনদেন করতে হচ্ছে। ঈদের পরপরই নতুন নকশার নোট পাওয়া যাবে বলে আশা করা যায়।’

টাকার প্রচলন কমানোর উদ্যোগ : তথ্য-প্রযুক্তির ব্যবহার বেড়ে যাওয়ায় বিশ্বের বিভিন্ন দেশেই এখন নগদ টাকার ব্যবহার কমেছে। বাংলাদেশ সেই পথে হাঁটতে শুরু করেছে। এ জন্য কেন্দ্রীয় ব্যাংক আন্ত ব্যাংকিং লেনদেনের সুবিধার্থে নিয়ে এসেছে ‘বিনিময়’ নামে অ্যাপ। এর সাহায্যে এক ব্যাংক থেকে অন্য ব্যাংকে সহজে লেনদেন করা যাবে। আর কেনাকাটায় গ্রাহক ও দোকানির মধ্যে সহজ লেনদেনের জন্য রয়েছে বাংলাদেশ ব্যাংকের ‘বাংলা কিউআর’। এগুলো এখন কার্যত নিষ্ক্রিয় হলেও নতুনরূপে এগুলো ফিরিয়ে আনার চেষ্টা করছে বাংলাদেশ ব্যাংক।

আরো পড়ুন
আজ যেমন থাকবে ঢাকা ও আশপাশের এলাকার আবহাওয়া

আজ যেমন থাকবে ঢাকা ও আশপাশের এলাকার আবহাওয়া

 

টাকার নকশা থেকে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ছবি বাদ যাচ্ছে। তাঁর পরিবর্তে যুক্ত হতে যাচ্ছে জুলাই বিপ্লবের গ্রাফিতি। আপাতত ২০, ১০০, ৫০০ ও এক হাজার টাকার নোটের নকশা পরিবর্তনের সিদ্ধান্ত নিয়েছে সরকার। এরই মধ্যে সরকারের পক্ষ থেকে এ বিষয়ে বাংলাদেশ ব্যাংককে চূড়ান্ত অনুমোদন দেওয়া হয়েছে। নতুন নোট ছাপানোর জন্য কার্যক্রম শুরু করেছে টাকশাল। কিন্তু এবারের ঈদে জুলাই আন্দোলনের গ্রাফিতি নয় বরং শেখ মুজিবুর রহমানের ছবিসহ নোটই বাজারে ছাড়া হচ্ছে। সব কিছু ঠিক থাকলে আগামী মে মাসের মধ্যেই বাজারে আসবে নতুন নকশার নোট।
 

মন্তব্য

সর্বশেষ সংবাদ