ট্রেনের অগ্রিম ঈদ টিকিট বিক্রি শুরু, কাটবেন যেভাবে

অনলাইন ডেস্ক
অনলাইন ডেস্ক
শেয়ার
ট্রেনের অগ্রিম ঈদ টিকিট বিক্রি শুরু, কাটবেন যেভাবে
সংগৃহীত ছবি

অনলাইনে আসন্ন ঈদুল ফিতর উপলক্ষে ট্রেনের অগ্রিম টিকিট বিক্রি শুরু হয়েছে। শুক্রবার (১৪ মার্চ) সকাল ৮টায় পশ্চিমাঞ্চলের আন্তঃনগর ট্রেনের টিকিট বিক্রি শুরু হয়। দুপুর ২টায় শুরু হবে পূর্বাঞ্চলের আন্তঃনগর ট্রেনগুলোর টিকিট বিক্রি। বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন ঢাকা রেলওয়ের (কমলাপুর) স্টেশনের স্টেশন মাস্টার মোহাম্মদ আনোয়ার হোসেন।

আরো পড়ুন
কেমন কাটতে পারে আজ ১৪ মার্চের দিনটি? জেনে নিন রাশিফল

কেমন কাটতে পারে আজ ১৪ মার্চের দিনটি? জেনে নিন রাশিফল

 

তিনি বলেন, সকাল ৮টায় অনলাইনে পশ্চিমাঞ্চলের আন্তঃনগর ট্রেনের টিকিট বিক্রি শুরু হয়েছে। দুপুর ২টায় শুরু হবে পূর্বাঞ্চলের ট্রেনের টিকিট বিক্রি। অন্যান্যবারের মতো এবারও শতভাগ টিকিট অনলাইনে বিক্রি করা হবে।

আরো পড়ুন
রাতের রানি রজনীগন্ধা

রাতের রানি রজনীগন্ধা

 

বাংলাদেশ রেলওয়ের সিদ্ধান্ত অনুযায়ী, ঈদের আগে আন্তঃনগর ট্রেনের ২৪ মার্চের টিকিট বিক্রি করা হবে ১৪ মার্চ, ২৫ মার্চের টিকিট বিক্রি করা হবে ১৫ মার্চ, ২৬ মার্চের টিকিট বিক্রি করা হবে ১৬ মার্চ, ২৭ মার্চের টিকিট বিক্রি করা হবে ১৭ মার্চ, ২৮ মার্চের টিকিট বিক্রি করা হবে ১৮ মার্চ, ২৯ মার্চের টিকিট বিক্রি করা হবে ১৯ মার্চ এবং ৩০ মার্চের টিকিট বিক্রি করা হবে ২০ মার্চ।

চাঁদ দেখার ওপর ভিত্তি করে ৩১ মার্চ, ১ ও ২ এপ্রিলের টিকিট বিক্রি করা হতে পারে।

টিকিট কাটবেন যেভাবে

এবারও টিকিট শতভাগ অনলাইনেই বিক্রি হবে। রেলওয়ের ওয়েবসাইট থেকে সহজেই যাত্রীরা টিকিট সংগ্রহ করতে পারবেন। সেক্ষেত্রে রেলওয়ের ওয়েবসাইটে একবার রেজিস্ট্রেশন করলেই চলবে।

যারা আগে রেজিস্ট্রেশন করেছেন, তারা শুধুমাত্র লগইন করেই টিকিট সংগ্রহ করতে পারবেন।
 
রেজিস্ট্রেশন প্রক্রিয়া
প্রথমে বাংলাদেশ রেলওয়ের (https://railapp.railway.gov.bd) ওয়েবসাইটে প্রবেশ করতে হবে। পরে ওয়েবসাইটের উপরের দিকে রেজিস্ট্রেশন ট্যাব ক্লিক করতে হবে। এতে রেজিস্ট্রেশন নামে নতুন একটি পেজ আসবে। এ পেজে ব্যক্তিগত তথ্যাদি দিয়ে সংশ্লিষ্ট ঘরগুলো পূরণ করতে হবে।
মোবাইল নম্বরে একটি ওটিপি চলে আসবে। সেটি সঠিকভাবে পূরণ করে ভেরিফাই বাটনে ক্লিক করতে হবে।
 
সব তথ্য ঠিক থাকলে রেজিস্ট্রেশন সফল হবে এবং বাংলাদেশ রেলওয়ে নামে নতুন একটি পেজ আসবে। এখানে ইউজার অটো লগইন হয়ে যাবে।

টিকিট কেনার পদ্ধতি
প্রথমে বাংলাদেশ রেলওয়ের ওয়েবসাইটে প্রবেশ করতে হবে। অটো লগইন না হয়ে থাকলে প্যানেলে ই-মেইল ও পাসওয়ার্ড পূরণ করে লগইন বাটনে ক্লিক করতে হবে। লগইনের পর যে পেজ আসবে তাতে কাঙ্ক্ষিত ভ্রমণ তারিখ, প্রারম্ভিক স্টেশন, গন্তব্য স্টেশন, শ্রেণি পূরণ করে ফাইন্ড টিকিট বাটনে ক্লিক করতে হবে। পরের পেজে ট্রেনের নাম, সিট অ্যাভেলেবিলিটি (আসন আছে কি নেই) ও ট্রেন ছাড়ার সময় দেখাবে।
 
ট্রেন অনুযায়ী ভিউ সিটস বাটনে ক্লিক করে আসন খালি থাকাসাপেক্ষে পছন্দের আসন সিলেক্ট করে কন্টিনিউ পারচেজে ক্লিক করতে হবে। ভিসা, মাস্টার কার্ড কিংবা বিকাশে পেমেন্ট করলে একটি ই-টিকিট অটো ডাউনলোড হবে। পাশাপাশি যাত্রীর ই-মেইলে টিকিটের কপি চলে যাবে। ই-মেইলের ইনবক্স থেকে টিকিট প্রিন্ট করে ফটো আইডিসহ ই-টিকেট প্রদত্ত টিকিট প্রিন্ট ইনফরমেশন দিয়ে সংশ্লিষ্ট সোর্স স্টেশন থেকে যাত্রার আগে ছাপানো টিকিট সংগ্রহ করা যাবে।

মন্তব্য

সম্পর্কিত খবর

রোহিঙ্গাদের সহায়তায় বিশ্ববাসীকে এগিয়ে আসার আহ্বান জাতিসংঘ মহাসচিবের

অনলাইন ডেস্ক
অনলাইন ডেস্ক
শেয়ার
রোহিঙ্গাদের সহায়তায় বিশ্ববাসীকে এগিয়ে আসার আহ্বান জাতিসংঘ মহাসচিবের
শুক্রবার কক্সবাজারের উখিয়ায় বক্তব্য দেন জাতিসংঘ মহাসচিব আন্তোনিও গুতেরেস। ছবি : ছবি: সংগৃহীত

জাতিসংঘ মহাসচিব আন্তোনিও গুতেরেস বলেছেন, এটি সেই জায়গা, যেখানে বাজেট কাটছাঁটের প্রভাব সবচেয়ে বেশি অনুভূত হচ্ছে, বিশেষ করে যাদের সহায়তা পাওয়ার প্রয়োজনীয়তা সবচেয়ে জরুরি। 

শুক্রবার (১৪ এপ্রিল) কক্সবাজারের উখিয়ায় শরণার্থী শিবিরে রোহিঙ্গাদের সঙ্গে ইফতারে যোগ দিয়ে এ কথা বলেন তিনি।

তিনি বলেন, আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ের এখনই বিনিয়োগ করা উচিত, কারণ এই মানুষগুলো ইতিমধ্যে অসীম কষ্টের মধ্যে দিয়ে জীবন পার করছে।

পবিত্র রমজান মাসে তিনি আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়কে আহ্বান জানান যে তারা যেন শুধুমাত্র কথায় নয়, বরং বাস্তব পদক্ষেপ ও কার্যকর সহায়তার মাধ্যমে রোহিঙ্গা জনগোষ্ঠী এবং তাদের বাংলাদেশি আশ্রয়দাতাদের প্রতি সংহতি প্রকাশ করে।

আন্তোনিও গুতেরেস বলেন, ‘আমরা একটি গভীর মানবিক সংকটের মধ্যে রয়েছি। ঘোষিত অর্থের সহায়তা হ্রাসের কারণে, ২০২৫ সালে মানবিক সহায়তার জন্য বরাদ্দকৃত অর্থের মাত্র ৪০ শতাংশ পাওয়া যাবে, যা ২০২৪ সালের তুলনায় ভয়াবহ সংকট সৃষ্টি করবে। এটি সম্পূর্ণ বিপর্যয় হবে’। তিনি মানবিক সহায়তার আহ্বান জানিয়ে বলেন, ‘মানুষ এখানে কষ্ট পাবে, মারা যাবে।

শুক্রবার উখিয়ায় প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ ইউনূস এবং জাতিসংঘ মহাসচিব আন্তোনিও গুতেরেস শরণার্থী শিবিরে এক লাখ রোহিঙ্গাদের সঙ্গে ইফতার করেন। এর আগে তারা বিকেল ৫টা ৩৫ মিনিটে শরণার্থী শিবিরে পৌঁছালে রোহিঙ্গারা হাত নেড়ে তাদের উষ্ণ অভ্যর্থনা জানায়। উভয় নেতা সাদরে হাত নেড়ে তাদেরকেও অভিবাদন জানান।

জাতিসংঘের মহাসচিব গুতেরেস বলেন, জাতিসংঘের বিভিন্ন সংস্থা এবং মানবিক ও উন্নয়নমূলক কর্মকাণ্ডে নিয়োজিত অনেক এনজিও বর্তমানে ব্যাপক তহবিল সংকোচনের মুখোমুখি।

প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক মুহাম্মদ ইউনূসের উদ্যোগে আয়োজিত রোহিঙ্গা শরণার্থী শিবিরে ইফতারে যোগদানের আগে গুতেরেস বলেন, এই তহবিল সংকোচনের সরাসরি এবং ভয়াবহ প্রভাব পড়বে। মানুষ পর্যাপ্ত খাবার পাবে কি না, মৌলিক স্বাস্থ্যসেবা মিলবে কি না, অন্যান্য জরুরি সেবা ও সুরক্ষা বজায় থাকবে কি না, তা নির্ভর করবে এই অর্থায়নের ওপর।

তিনি বলেন, ‘সম্পূর্ণ রোহিঙ্গা জনগোষ্ঠী মানবিক সহায়তার ওপর নির্ভরশীল। এখানে স্পষ্ট, বাজেট কমানো শুধুমাত্র হিসাবের সংখ্যা নয়।’ তহবিল সংকোচনের মানবিক মূল্য অত্যন্ত গুরুতর উল্লেখ করে জাতিসংঘ মহাসচিব বলেন, ‘চূড়ান্তভাবে এই সমস্যার সমাধান মিয়ানমারেই খুঁজে বের করতে হবে।

তিনি বলেন, যতদিন না পর্যন্ত শরণার্থীদের স্বেচ্ছায়, নিরাপদ ও টেকসই প্রত্যাবর্তনের উপযুক্ত পরিস্থিতি তৈরি হচ্ছে, ততদিন তারা হাল ছাড়বেন না।

গুতেরেস বলেন, ‘এর আগ পর্যন্ত, আমি আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়কে এগিয়ে আসার আহ্বান জানাই। রোহিঙ্গা শরণার্থীদের প্রতি সংহতি এখন আগের যেকোনো সময়ের চেয়ে বেশি প্রয়োজন, ঠিক যেমন বাংলাদেশের প্রতিও সংহতি দরকার।’ 

জাতিসংঘ মহাসচিব বলেন, সময় নষ্ট করার সুযোগ নেই, কারণ মানবিক সহায়তা বাস্তবিক পরিবর্তন আনছে। তিনি বলেন, ‘আমাদের অবশ্যই বাংলাদেশের জনগণের বিশাল সহায়তার স্বীকৃতি দিতে হবে, যারা তাদের জমি, বন, সীমিত পানি ও স্বল্প সম্পদ রোহিঙ্গাদের সঙ্গে ভাগ করে নিচ্ছেন।’

২০১৮ সালে সর্বশেষ কক্সবাজার সফর করা গুতেরেস বলেন, তারা শরণার্থী শিবিরগুলোতে অনেক উন্নতি দেখতে পেয়েছেন। ‘কিন্তু বিভিন্ন স্তরে এখনো বিশাল চ্যালেঞ্জ রয়ে গেছে।’

জাতিসংঘ মহাসচিব বলেন, এই ক্যাম্পগুলো এবং আশ্রয়দানকারী স্থানীয় জনগোষ্ঠী জলবায়ু সংকটের সম্মুখভাগে রয়েছে।

তিনি বলেন, গ্রীষ্মকাল অসহনীয়ভাবে গরম, যার ফলে আগুন লাগার ঝুঁকি বহুগুণ বেড়ে যায়। এ ছাড়া, ঘূর্ণিঝড় ও বর্ষা মৌসুমে বন্যা ও বিপজ্জনক ভূমিধস বাড়িঘর এবং জীবন ধ্বংস করে।

প্রয়োজনীয় খাদ্য সহায়তার পাশাপাশি, এখানকার মানুষ শিক্ষার সুযোগ, দক্ষতার উন্নয়ন এবং স্বাধীন জীবিকার জন্যও আকুল।

জাতিসংঘ মহাসচিব বলেন, ‘সীমিত সুযোগের কারণে সহিংসতা, অপরাধ ও অন্যান্য নিরাপত্তাজনিত সমস্যাগুলো স্বাভাবিকভাবেই বৃদ্ধি পায়। কিছু রোহিঙ্গা পরিবার অনুভব করে যে তাদের সামনে আর কোনো পথ খোলা নেই, ফলে তারা প্রাণঘাতী সমুদ্রযাত্রার ঝুঁকি নিতে বাধ্য হয়।’

গুতেরেস বলেন, রোহিঙ্গা শরণার্থীদের কাছে সহায়তা পৌঁছানো নিশ্চিত করা তাদের বিশেষ দায়িত্ব এবং এটি প্রমাণ করতে হবে যে বিশ্ব এখনো তাদের ভুলে যায়নি।

তিনি বলেন, ‘সবচেয়ে ভালো সময়েও এই সহায়তা কখনোই পর্যাপ্ত ছিল না। আর এখন আমরা একেবারেই ভালো সময়ে নেই।’

পবিত্র রমজান মাসে সংহতির বার্তা নিয়ে গুতেরেস কক্সবাজার সফরে এসেছেন, রোহিঙ্গা শরণার্থীদের প্রতি সংহতি জানাতে।

গুতেরেস বলেন, ‘তিনি এসেছেন শরণার্থীদের উদার আশ্রয়দাতা বাংলাদেশি সম্প্রদায়ের প্রতিও সংহতি জানাতে। আমি এখানে এসেছি রোহিঙ্গাদের দুর্দশার পাশাপাশি তাদের সম্ভাবনার ওপরও বৈশ্বিক দৃষ্টি আকর্ষণ করতে।’ 

প্রায় ১০ লাখের বেশি রোহিঙ্গা শরণার্থীর কথা উল্লেখ করে জাতিসংঘ প্রধান বলেন, তারা অত্যন্ত সহনশীল। তারা বিশ্ববাসীর সহায়তা চায়। তিনি বলেন, কয়েক দশকের বৈষম্য ও নির্যাতনের ধারাবাহিকতায় আট বছর আগে রাখাইন রাজ্যে সংঘটিত গণহত্যার ফলে তাদের বিশাল সংখ্যায় দেশত্যাগ করতে বাধ্য হয়।

চার দিনের বাংলাদেশ সফরে জাতিসংঘ মহাসচিব বৃহস্পতিবার ঢাকায় পৌঁছান।

মন্তব্য

ফেলানীর পরিবারের সঙ্গে সাংবাদিকদের ইফতার ও ঈদ উপহার

অনলাইন ডেস্ক
অনলাইন ডেস্ক
শেয়ার
ফেলানীর পরিবারের সঙ্গে সাংবাদিকদের ইফতার ও ঈদ উপহার
ছবি: কালের কণ্ঠ

কুড়িগ্রামে ভারতীয় সীমান্তরক্ষী বাহিনী বিএসএফের হত্যাকাণ্ডের শিকার শহীদ ফেলানীর বাবা-মা ও পরিবারের সদস্যদের সঙ্গে ইফতার করেছেন সাংবাদিকরা। এসময় ফেলানীর পরিবারকে ঈদ উপহার হিসেবে নগদ অর্থ দেওয়া হয়।

মিডিয়া মনিটরের পক্ষ থেকে এই ইফতার আয়োজন ও ফেলানীর পরিবারকে ঈদ উপহার প্রদান করা হয়। এসময় মিডিয়া মনিটরের প্রধান সমন্বয়ক ও ইয়ুথ জার্নালিস্ট কমিউনিটির সভাপতি আহসান কামরুল, মিডিয়া মনিটরের সমন্বয়ক নাজমুল হাসানসহ প্রতিনিধি দল এবং বিজিবির মিডিয়া কনসালটেন্ট সাঈফ ইবনে রফিক, বিজিবি লালমনিরহাট ব্যাটালিয়নের (১৫ বিজিবি) সহকারী পরিচালক মো. মিজানুর রহমানসহ কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।

ফেলানীর বাবা মো. নুরুল ইসলাম বলেন, ভারতীয় বাহিনী সীমান্তে আমার চোখের সামনে মেয়েকে হত্যা করে কাঁটাতারে ঝুলিয়ে রেখেছিল। এত বছর পরও আমি আমার ফেলানীর হত্যার বিচার পাইনি। খুনি বিএসএফ সদস্য অমীয় ঘোষ মুক্ত বাতাসে ঘুরে বেড়াচ্ছে। আমি তার সর্বোচ্চ শাস্তি চাই।

ফেলানীর মা বলেন, দেশে আসলে আমার মেয়ের বিয়ে হওয়ার কথা ছিল। আসার পথেই আমার মেয়েকে নির্মমভাবে হত্যা করল বিএসএফ। আমার মেয়ে তো কোনো অন্যায় করেনি। কেন তাহলে আমার মেয়েকে হত্যা করা হলো? কেউ যদি অপরাধ করেও সেজন্য আইন-কানুন আছে।

নিয়ম আছে। খুন করে ফেলার অধিকার কারো নেই। আমি এই হত্যাকাণ্ডের বিচার চাই। আমার মেয়ের হত্যার বিচার হলে সীমান্তে হত্যাকাণ্ড হবে না। আর কোনো মায়ের বুক খালি হবে না।

মন্তব্য

আলোচিত-১০ (১৪ মার্চ)

অনলাইন ডেস্ক
অনলাইন ডেস্ক
শেয়ার

রোহিঙ্গাদের উদ্দেশে আঞ্চলিক ভাষায় কথা বললেন প্রধান উপদেষ্টা

বিশেষ প্রতিনিধি, কক্সবাজার
বিশেষ প্রতিনিধি, কক্সবাজার
শেয়ার
রোহিঙ্গাদের উদ্দেশে আঞ্চলিক ভাষায় কথা বললেন প্রধান উপদেষ্টা
সংগৃহীত ছবি

প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূস রোহিঙ্গাদের উদ্দেশ্য আঞ্চলিক ভাষায় বলেছেন, ‘অনরার দুঃখ-কষ্ট বুঝিলইবার লাই ও (জাতিসংঘের মহাসচিব) আইস্সে। ও (মহাসচিব) বুঝি লই দুনিয়ার মাইনসরে জানাইব অনরারে অনরার দেশত ফেরত পাঠাইবার লাই কি গরার দরকার ইন গরিব (আপনাদের দুঃখ-কষ্ঠ বুঝার জন্য মহাসচিব এসেছেন। তিনি বুঝে বিশ্ববাসীকে জানাবেন এবং আপনাদের স্বদেশে ফেরত পাঠানোর জন্য কাজ করবেন)।

শুক্রবার (১৪ মার্চ) কক্সবাজারের উখিয়া রোহিঙ্গা ক্যাম্প পরিদর্শনে গিয়ে তিনি এ কথা বলেন।

কক্সবাজারের উখিয়ার কুতুপালং রোহিঙ্গা ক্যাম্পে লাখের অধিক রোহিঙ্গাদের সঙ্গে নিয়ে ইফতার করেছেন প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূস ও জাতিসংঘের মহাসচিব অ্যান্তোনিও গুতেরেস।

আরো পড়ুন
আগামী ঈদ নিজ দেশে করবে রোহিঙ্গারা, প্রত্যাশা প্রধান উপদেষ্টার

আগামী ঈদ নিজ দেশে করবে রোহিঙ্গারা, প্রত্যাশা প্রধান উপদেষ্টার

 

ইফতার আগে রোহিঙ্গাদের উদ্দেশ্যে টানা ৫ মিনিটের অধিক আঞ্চলিক ভাষায় কথা বলেন প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূস। তিনি যখন আঞ্চলিক ভাষায় বক্তব্য রাখছিলেন তখন রোহিঙ্গারা আনন্দ - উচ্ছ্বাসে মেতে উঠে। 

এর আগে শুক্রবার বিকেলে কক্সবাজার জেলা প্রশাসন আয়োজিত অপর মতবিনিময় সভায় ড. ইউনূস বলেন, ‘আঁর হতা হইবাল্লাই ন আইয়ি, অনারাত্তুন জাইনত আইসসিদে’।

এছাড়াও তিনি ওই সভায় আঞ্চলিকে তরুণদের প্রশ্নের উত্তর দেন। দুপুর ১২টা ৫০মিনিটে বাংলাদেশে সফররত জাতিসংঘের মহাসচিব অ্যান্তোনিও গুতেরেস ও প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূসকে বহনকারী বাংলাদেশ বিমানের একটি চার্টার্ড ফ্লাইট কক্সবাজার বিমানবন্দরে অবতরণ করে। দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা ফারুক ই আজম বিমানবন্দরে তাদের স্বাগত জানান। জাতিসংঘের মহাসচিব কক্সবাজার বিমানবন্দরে নেমে বেশ কিছু অনুষ্ঠানিকতা সেরে উখিয়ায় রোহিঙ্গা শরণার্থী শিবিরের উদ্দেশে রওনা দেন।

বেলা ২টা ১০ মিনিটের দিকে রোাহিঙ্গা ক্যাম্পে পৌঁছান তিনি। 

জাতিসংঘ মহাসচিবের রোহিঙ্গা লার্নিং সেন্টার, রোহিঙ্গাদের সাংস্কৃতিক কেন্দ্র ও পাটজাত পণ্যের উৎপাদন কেন্দ্র পরিদর্শন করেন এবং সাংবাদিকদের সঙ্গে কথা বলেন। শেষে প্রধান উপদেষ্টা সহ  জাতিসংঘ মহাসচিব উখিয়ায় এক লাখ রোহিঙ্গা শরণার্থীর সঙ্গে ইফতারে যোগ দেন।

মন্তব্য

সর্বশেষ সংবাদ