চাঁদা না পেয়ে ব্যবসায়ীকে কোপানোর ঘটনায় নেত্রকোনার মোহনগঞ্জ পৌর যুবদলের সদস্যসচিব ফয়সাল আহমেদ খোকনকে দল থেকে বহিষ্কার করা হয়েছে।
আজ শনিবার কেন্দ্রীয় যুবদলের সহ-দপ্তর সম্পাদক মিনহাজুল ইসলাম ভুঁইয়া স্বাক্ষরিত এক প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়েছে।
বিজ্ঞপ্তিতে উল্লেখ করা হয়, দলীয় শৃঙ্খলা পরিপন্থী কাজে জড়িত থাকার সুস্পষ্ট অভিযোগে কেন্দ্রীয় যুবদলের সভাপতি আবদুল মোনায়েম মুন্না ও সাধারণ সম্পাদক মোহাম্মদ নুরুল ইসলাম নয়নের সিদ্ধান্তে ফয়সাল আহমেদ খোকনকে বহিষ্কার করা হয়েছে।
আরো পড়ুন
ফেনসিডিলসহ স্বেচ্ছাসেবক দল নেতা আটক
প্রেস বিজ্ঞপ্তি আরও জানানো হয়, বহিষ্কৃত নেতৃবৃন্দের কোনো ধরনের অপকর্মের দায়দায়িত্ব দল নিবে না।
যুবদলের সকল পর্যায়ের নেতাকর্মীদের তাদের সঙ্গে সাংগঠনিক সম্পর্ক না রাখার নির্দেশনা প্রদান এবং আইনশৃঙ্খলা বাহিনীকে উক্ত বিষয়ে প্রয়োজনীয় আইনি ব্যবস্থা নেয়ার অনুরোধ জানানো হয়েছে।
বহিষ্কারের বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন মোহনগঞ্জ উপজেলা যুবদলের যুগ্ম আহ্বায়ক মাইনুল ইসলাম।
পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, চাঁদা না পেয়ে শুক্রবার (১৪ মার্চ) বিকালে জসীম উদ্দীন নামের এক ব্যবসায়ীকে কুপিয়ে জখম করে পৌর ছাত্রদলের সদস্যসচিব ফয়সাল আহমেদ খোকন ও তার সহযোগীরা। পরে তাকে উদ্ধার করে ময়মনসিংহ মেডিক্যাল কলেজ হাসাপাতালে পাঠানো হয়।
অবস্থার অবনতি হলে পরে রাতেই ঢাকা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়।
গুরুতর আহত জসীম উদ্দীন মোহনগঞ্জের পানুর গ্রামের বাসিন্দা। তিনি রাজধানীর রিক্রুটিং এজেন্সি মেসার্স আফিফ ইন্টারন্যাশনালের স্বত্বাধিকারী ভুক্তভোগী পরিবারসহ ঢাকায় বসবাস করেন।
আহত ব্যবসায়ী জসীম উদ্দীনের স্ত্রী নিশা আক্তার বলেন, গত ৫ আগস্টের পর থেকে যুবদল নেতা খোকন ও তার সহযোগীরা জসীম উদ্দীনের কাছে ১০ লাখ টাকা চাঁদা দাবি করে আসছিলেন।
চাঁদা না দেওয়ার তারা ক্ষিপ্ত হন। শুক্রবার বিকালে মোহনগঞ্জ শহরের পাথরঘাটা এলাকায় জসীমের ওপর হামলা হয়। হামলায় রামদাসহ দেশীয় অস্ত্র নিয়ে খোকনসহ ১০-১২ জন অংশ নেয়।