এবার রিমান্ডে শাজাহান খানের ছেলে আসিবুর

নিজস্ব প্রতিবেদক
নিজস্ব প্রতিবেদক
শেয়ার
এবার রিমান্ডে শাজাহান খানের ছেলে আসিবুর
সংগৃহীত ছবি

বাড্ডা থানার রফিকুল ইসলাম হত্যা মামলায় সাবেক মন্ত্রী শাজাহান খানের ছেলে আসিবুর রহমানের চার দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেছেন আদালত। আজ সোমবার ঢাকার মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট এম এ আজহারুল ইসলামের আদালত শুনানি শেষে এ আদেশ দেন। 

এদিন তাকে আদালতে হাজির করা হয়। এরপর মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা তার পাঁচ দিনের রিমান্ড চেয়ে আবেদন করেন।

এ সময় আসামিপক্ষ রিমান্ড বাতিল চেয়ে আবেদন করেন। অন্যদিকে রাষ্ট্রপক্ষে পাবলিক প্রসিকিউটর (পিপি) ওমর ফারুক ফারুকী রিমান্ডের পক্ষে শুনানি করেন। শুনানি শেষে আদালত চার দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেন।

মামলার সূত্রে জানা গেছে, ১৯ জুলাই বাড্ডা থানা এলাকায় বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনে অংশ নেন রফিকুল ইসলাম।

সেখানে আসামিদের ছোড়া গুলিতে আহত হন তিনি। পরে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা যান। 

এ ঘটনায় গত ২৭ সেপ্টেম্বর নিহতের মামা পরিচয়ে লুৎফুর রহমান বাদী হয়ে মামলা করেন।

মন্তব্য

সম্পর্কিত খবর

৩৪ জন সহকারী অ্যাটর্নি জেনারেল নিয়োগ

অনলাইন ডেস্ক
অনলাইন ডেস্ক
শেয়ার
৩৪ জন সহকারী অ্যাটর্নি জেনারেল নিয়োগ
সংগৃহীত ছবি

নতুন ৩৪ জন সহকারী অ্যাটর্নি জেনারেল নিয়োগ দিয়েছে সরকার। সুপ্রিম কোর্টে সরকারের পক্ষে মামলা পরিচালনার জন্য তাদের নিয়োগ দেওয়া হয়েছে।

মঙ্গলবার (১৮ মার্চ) এসংক্রান্ত প্রজ্ঞাপন জারি করেছে আইন, বিচার ও সংসদ বিষয়ক মন্ত্রণালয়।

ভারপ্রাপ্ত সলিসিটর সানা মো. মাহরুফ হোসাইনের সই করা পৃথক দুটি প্রজ্ঞাপনে বলা হয়, ল’ অফিসার্স অর্ডার, ১৯৭২ (পিও নম্বর ৬ অব ১৯৭২)-এর ৩ (২) অনুচ্ছেদ অনুযায়ী বাংলাদেশ সুপ্রিম কোর্টের নিম্নবর্ণিত ৩৪ আইনজীবীকে পুনরাদেশ না দেওয়া পর্যন্ত সহকারী অ্যাটর্নি জেনারেল পদে নিয়োগ দেওয়া হয়েছে।

প্রজ্ঞাপনে বলা হয় আরো বলা হয়, গত ১২ আগস্টের মধ্যে অ্যাটর্নি জেনারেলসহ তার কার্যালয়ে বিভিন্ন দায়িত্বে থাকা নিয়োগপ্রাপ্ত সব সহকারী অ্যাটর্নি জেনারেলের নিয়োগ আদেশ বাতিল করে সুপ্রিম কোর্টের ১৬১ জন আইনজীবীকে পুনরাদেশ না দেওয়া পর্যন্ত সহকারী অ্যাটর্নি জেনারেল পদে নিয়োগ করা হলো। একই দিন আরেকটি প্রজ্ঞাপনে ৬৬ জন ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল নিয়োগ দেওয়ার কথা জানানো হয়।

গত বছরের ৫ আগস্ট ছাত্র-জনতার গণ-আন্দোলনের মুখে শেখ হাসিনা সরকারের পতনের পর থেকে অ্যাটর্নি কার্যালয়ের কর্মকর্তাদের পদত্যাগ চলতে থাকে। এরপর গত ৮ আগস্ট সুপ্রিম কোর্টের জ্যেষ্ঠ আইনজীবী মো. আসাদুজ্জামানকে অ্যাটর্নি জেনারেল হিসেবে নিয়োগ দেওয়া হয়।

মন্তব্য

নাঈমুল ইসলাম খানের ১৬৩ ব্যাংক হিসাব অবরুদ্ধের আদেশ

নিজস্ব প্রতিবেদক
নিজস্ব প্রতিবেদক
শেয়ার
নাঈমুল ইসলাম খানের ১৬৩ ব্যাংক হিসাব অবরুদ্ধের আদেশ
সংগৃহীত ছবি

ক্ষমতাচ্যুত প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সাবেক প্রেস সচিব নাঈমুল ইসলাম খান ও তার পরিবারের ১৬৩টি ব্যাংক হিসাব অবরুদ্ধের আদেশ দিয়েছেন আদালত। 

আরো পড়ুন
গলাচিপায় নাব্য সংকটে ব্যাহত নৌ চলাচল, ভোগান্তি চরমে

গলাচিপায় নাব্য সংকটে ব্যাহত নৌ চলাচল, ভোগান্তি চরমে

 

মঙ্গলবার ঢাকা মহানগর দায়রা জজ মো. জাকির হোসেন গালিবের আদালত দুদকের আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে এ আদেশ দেন। এসব হিসাবে ছয় কোটি ২৫ লাখ ৪৯ হাজার ৯৪৪ টাকা রয়েছে। দুদকের জনসংযোগ কর্মকর্তা আকতারুল ইসলাম এ তথ্য জানিয়েছেন।

 

আদালত সূত্র জানায়, দুদকের উপপরিচালক আফরোজ হক খান এসব হিসাব অবরুদ্ধ চেয়ে আবেদন করেন। আবেদনে তিনি উল্লেখ করেছেন, নাঈমুল ইসলাম খানের বিরুদ্ধে ঘুষ বা অবৈধ উপায়ে অর্জিত অর্থ ও এর উৎস আড়াল করতে তার নামে, স্ত্রী নাসিমা খান মন্টি, তাদের তিন সন্তান লাবিবা নাঈম খান, আদিভা নাঈম খান ও যুলিকা নাঈম খানের ১৬৩টি ব্যাংক হিসাবে ৩৮৬ কোটি টাকা জমা করেন। এর মধ্যে ৩৭৯ কোটি টাকা উত্তোলন করা হয়েছে। বর্তমানে ৮ কোটি ৭৬ কোটি টাকা স্থিতি রয়েছে।

 

আরো পড়ুন
উপদেষ্টা মাহফুজ ও আসিফের পদত্যাগ চায় গণঅধিকার পরিষদ

উপদেষ্টা মাহফুজ ও আসিফের পদত্যাগ চায় গণঅধিকার পরিষদ

 

আবেদনে আরো বলা হয়, নাঈমুল ইসলাম খানের বিরুদ্ধে মানিলন্ডারিং করারসহ নিজ ও পরিবারের সদস্যদের নামে জ্ঞাত আয় বহির্ভূত সম্পদ অর্জনের অভিযোগটি অনুসন্ধানে টিম গঠন করা হয়েছে। অনুসন্ধানকালে তার বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানের নামে ১৬টি ব্যাংক ও একটি আর্থিক প্রতিষ্ঠানে সর্বমোট ১৬৩টি হিসাবে কোটি কোটি টাকা লেনদেনের তথ্য পাওয়া গেছে। বিভিন্ন সূত্র থেকে প্রাপ্ত তথ্যের ভিত্তিতে জানা যায়, অভিযোগ সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিরা এসব হিসাবে রাখা অর্থ অন্যত্র হস্তান্তর, স্থানান্তর বা বেহাত করার চেষ্টা করছেন। অনুসন্ধান শেষ হওয়ার আগে ব্যাংক হিসাবগুলোতে রাখা অর্থ হস্তান্তর বা স্থানান্তর হয়ে গেলে অনুসন্ধানের ক্ষতির সম্ভাবনা রয়েছে।

সুষ্ঠু তদন্তের স্বার্থে এসব ব্যাংক হিসাব অবরুদ্ধ করা আবশ্যক।

মন্তব্য

নতুন দলের নিবন্ধন বিষয়ে ইসির গণবিজ্ঞপ্তি স্থগিত

নিজস্ব প্রতিবেদক
নিজস্ব প্রতিবেদক
শেয়ার
নতুন দলের নিবন্ধন বিষয়ে ইসির গণবিজ্ঞপ্তি স্থগিত

নতুন রাজনৈতিক দলের নিবন্ধন আবেদন চেয়ে নির্বাচন কমিশনের (ইসি) জারি করা গণবিজ্ঞপ্তি স্থগিত করেছেন হাইকোর্ট। একই সঙ্গে এ গণবিজ্ঞপ্তি কেন বেআইনি ও বাতিল ঘোষণা করা হবে না, তা জানতে চেয়ে রুল জারি করা হয়েছে। পাশাপাশি চার সপ্তাহের মধ্যে এ রুলের জবাব দিতে বিবাদীদের নির্দেশ দিয়েছেন আদালত। 

মঙ্গলবার বিচারপতি মো. আকরাম হোসেন চৌধুরী ও বিচারপতি কেএম রাশেদুজ্জামান রাজার দ্বৈত হাইকোর্ট বেঞ্চ এ আদেশ দেন।

আদালতে রিটের পক্ষে শুনানি করেন অ্যাডভোকেট আবেদা গুলরুখ।

আরো পড়ুন
‘কন্যা’-য় মজেছেন দর্শক, মুগ্ধ মেহজাবীন-তিশারাও

‘কন্যা’-য় মজেছেন দর্শক, মুগ্ধ মেহজাবীন-তিশারাও

 

এর আগে গতকাল সোমবার রাষ্ট্র সংস্কার আন্দোলনের প্রধান সমন্বয়ক ও সুপ্রিম কোর্টের আইনজীবী হাসনাত কাইয়ুম হাইকোর্টের সংশ্লিষ্ট শাখায় রিটটি দায়ের করেন। রিটে প্রধান নির্বাচন কমিশনার, নির্বাচন কমিশনের সচিব, নির্বাচন ব্যবস্থা সংস্কার কমিশনকে বিবাদী করা হয়।

গত ১০ মার্চ রাজনৈতিক দলের নিবন্ধনের জন্য গণবিজ্ঞপ্তি জারি করে নির্বাচন কমিশন।

বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, নতুন কোনো দল নিবন্ধন করতে চাইলে আগামী ২০ এপ্রিল পর্যন্ত আবেদন করতে পারবে।

মন্তব্য

কিশোরীকে ধর্ষণের পর গলা কেটে হত্যা, আসামির মৃত্যুদণ্ড

নিজস্ব প্রতিবেদক
নিজস্ব প্রতিবেদক
শেয়ার
কিশোরীকে ধর্ষণের পর গলা কেটে হত্যা, আসামির মৃত্যুদণ্ড

সাত বছর আগে ঢাকার দোহার থানাধীন এলাকায় এক কিশোরীকে ধর্ষণের পর হত্যা দায়ে পলাতক আসামি জিয়াউর রহমানের মৃত্যুদণ্ডের আদেশ দিয়েছেন আদালত। আজ মঙ্গলবার ঢাকার নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনাল-৪ এর বিচারক মুন্সি মো. মশিয়ার রহমান এ রায় ঘোষণা করেন। 

পাশাপাশি তাকে দুই লাখ টাকা অর্থদণ্ড দেওয়া হয়েছে। আসামির স্থাবর/অস্থাবর সম্পত্তি বিক্রি করে জরিমানার টাকা আদায় করে ভুক্তভোগী ও তার পরিবারকে দেওয়ার জন্য নির্দেশ দেন ট্রাইব্যুনাল।

সংশ্লিষ্ট ট্রাইব্যুনালের পাবলিক প্রসিকিউটর (পিপি) এরশাদ আলম জর্জ বলেন, সাজাপ্রাপ্ত আসামি জিয়াউর রহমান ঢাকা জেলার দোহার থানার বানাঘাটা গ্রামের শেখ সোনা মিয়ার ছেলে। তিনি পলাতক থাকায় গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি করা হয়েছে। 

মামলার অভিযোগে থেকে জানা যায়, ২০১৮ সালের ২১ অক্টোবর সকাল ৯টার দিকে তাদের বাড়ির পাশে সবজি ক্ষেতে সবজি আনতে যায় ওই কিশোরী। সবজি নিয়ে ফেরার পথে আসামি জিয়াউর রহমান সকাল ৯টা ৪৫ মিনিটে তাকে জোর করে পার্শ্ববর্তী ধইঞ্চা ক্ষেতের মধ্যে নিয়ে গিয়ে ধর্ষণ করে।

এরপর ধারালো অস্ত্র (চাকু) দিয়ে ভিকটিমের গলা কেটে হত্যা করে লাশ ফেলে চলে যায়। 

ওই ঘটনায় ভিকটিমের বাবা দোহার থানায় মামলাটি দায়ের করেন। তদন্ত শেষে ২০১৯ সালের ১২ মার্চ মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা উপপরিদর্শক সৈয়দ মেহেদী হাসান আদালতে অভিযোগপত্র দাখিল করেন। এ মামলার বিচার চলাকালে আদালত ১৮ জনের সাক্ষ্য গ্রহণ করেন।

 

মন্তব্য

সর্বশেষ সংবাদ