ঢাকার নবাবগঞ্জ উপজেলা বিএনপির সভাপতি আজাদুল ইসলাম হাই ওরফে পান্নুর (৭২) হদিস নেই আড়াই মাস ধরে। গত ৮ জানুয়ারি নবাবগঞ্জের বাড়ি থেকে রাজশাহীর উদ্দেশ্যে বের হন। রাজশাহীতে পৌঁছানোর পর এখনো বাসায় ফিরেনি বিএনপির এ নেতা। তার মোবাইল ফোনেও যোগাযোগ করতে পারছে না পরিবার।
এ ব্যাপারে নবাবগঞ্জ থানায় সাধারণ ডায়েরি করেছেন তাঁর ছেলে সিহাব তমাল।
সিহাব তমাল জানান, জানুয়ারি মাসের ৮ তারিখ ব্যক্তিগত কাজে রাজশাহী যাওয়ার উদ্দেশ্যে গ্রামের বাড়ি দেওতলা থেকে বের হন তার বাবা আজাদুল ইসলাম হাই পান্নু। ৯ তারিখের মধ্যে বাসায় ফিরে আসার কথা ছিল তার। কিন্তু মোবাইল ফোন বন্ধ থাকায় তার সঙ্গে যোগাযোগ করাও সম্ভব হয়নি।
গত ১০ জানুয়ারি পান্নুর ছেলে সিহাব তমাল নবাবগঞ্জ থানায় একটি সাধারণ ডায়েরি করেন। এরপর হতে প্রশাসনের পক্ষ থেকে তাকে উদ্ধারের সর্বোচ্চ চেষ্টা করা হলেও তার কোনো খোঁজ পাওয়া যায়নি। এ ঘটনায় পান্নুর পরিবার অজানা শঙ্কা ও আতঙ্কে দিন কাটছে।
সিহাব তমাল বলেন, বাবা রাজশাহী পৌঁছেছেন এ ব্যাপারে আমরা অনেকটাই নিশ্চিত।
কিছুদিন ধরে তার বাবা রাজনীতিসহ বিভিন্ন কারণে কিছুটা মনোক্ষুন্ন ছিলেন। তার বাবা আওয়ামী লীগ আমলে রাজনৈতিক মামলায় বেশ কয়েকবার কারাগারেও ছিলেন। আজাদুল ইসলাম হাই পান্নু নবাবগঞ্জ উপজেলা বিএনপির সভাপতি হওয়ার আগে ঢাকা জেলা বিএনপির সাবেক সহসভাপতি হিসেবেও দায়িত্ব পালন করেছেন।
নবাবগঞ্জ উপজেলা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক খন্দকার আবুল কালাম বলেন, সভাপতির নিখোঁজের বিষয়ে আমরাও খুব উদ্বিগ্ন। তিনি খুব নিরীহ প্রকৃতির একজন মানুষ।
একজন স্বচ্ছ শিক্ষিত ও মার্জিত রাজনৈতিক নেতা। তার কোনো ব্যক্তিগত শত্রু আছে বলে আমাদের বিশ্বাস হয় না। খুব দ্রুত প্রশাসন তার সন্ধান করবে এটাই আমাদের প্রত্যাশা।
নবাবগঞ্জ থানার অফিসার ইনচার্জ মো. মমিনুল ইসলাম বলেন, নবাবগঞ্জ উপজেলা বিএনপির সভাপতি রাজশাহী যাওয়ার পর নিখোঁজ হয়েছেন। তবে জিডি হওয়ার পর থেকে পুলিশ তাকে উদ্ধারের ব্যাপারে সর্বোচ্চ চেষ্টা করছে।
এ ব্যাপারে বুধবার (১৯ মার্চ) সকাল ১১টায় উপজেলা বিএনপির পক্ষ থেকে তার সন্ধান চেয়ে নবাবগঞ্জ কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারের সামনে মানববন্ধনের ডাক দিয়েছে।