পাবনায় গৃহবধূকে ধর্ষণচেষ্টা

পাবনা প্রতিনিধি
পাবনা প্রতিনিধি
শেয়ার
পাবনায় গৃহবধূকে ধর্ষণচেষ্টা

পাবনার সুজানগরে এক গৃহবধূকে জোরপূর্বক ধর্ষণচেষ্টার অভিযোগে মামলা হয়েছে। ঘটনাটি সুজানগর পৌরসভার কারিগরপাড়া (গবড়েপাড়া) এলাকায়।

মঙ্গলবার (১৮ মার্চ ) এ ঘটনায় ওই গৃহবধূর স্বামী বাদী হয়ে মো. নয়ন খাঁ নামে এক যুবকের বিরুদ্ধে সুজানগর থানায় মামলা দায়ের করেছেন। নয়ন খাঁ ওই এলাকার মো. আন্টু খাঁর ছেলে।

মামলা সূত্রে জানা যায়, গত বৃহস্পতিবার দুপুরে গৃহবধূ তার নিজ বাড়ির আঙিনায় গাছের পাতা ঝাড়ু দিচ্ছিলেন। এ সময় বখাটে যুবক নয়ন খাঁ বাড়িতে প্রবেশ করে ওই গৃহবধুকে এক গ্লাস পানি পান করার কথা বলে। এ সময় বাড়িতে অন্য কেউ না থাকায় গৃহবধূ তাকে পানি এনে দিলে এ সময় ওই গৃহবধূর পেছন দিক থেকে জড়িয়ে ধরে মুখ চেপে ধরে ঘরের মধ্যে নিয়ে গিয়ে জোরপূর্বক ধর্ষণের চেষ্টা করে। 

এ বিষয়ে সুজানগর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মজিবর রহমান বলেন, এ ঘটনায় থানায় একটি মামলা হয়েছে।

পলাতক নয়ন খাঁকে গ্রেপ্তার করতে পুলিশ অভিযান অব্যাহত রয়েছে।

মন্তব্য

সম্পর্কিত খবর

মধুখালীতে স্বপ্নতরী স্বর্ণপদক হিফজুল কোরআন প্রতিযোগিতা অনুষ্ঠিত

মধুখালী (ফরিদপুর) প্রতিনিধি
মধুখালী (ফরিদপুর) প্রতিনিধি
শেয়ার
মধুখালীতে স্বপ্নতরী স্বর্ণপদক হিফজুল কোরআন প্রতিযোগিতা অনুষ্ঠিত
ছবি: কালের কণ্ঠ

ফরিদপুরের মধুখালীতে স্বপ্নতরী স্বর্ণপদক হিফজুল কোরআন তেলাওয়াত প্রতিযোগিতা ২০২৫ অনুষ্ঠিত হয়েছে। বৃহস্পতিবার (২৭ মার্চ) সকাল ৯টায় মধুখালী উপজেলা পরিষদের ৩ নম্বর হলরুমে এ প্রতিযোগিতা অনুষ্ঠিত হয়।

অনুষ্ঠানে বিচারকের দায়িত্ব পালন করেন হাফেজ মোহাম্মদ আনোয়ার হোসাইন, হাফেজ মোহাম্মদ আল-আমিন, হাফেজ মোহাম্মদ মনিরুজ্জামান ও মাওলানা মুহাম্মদ শাহজাহান শেখ।

অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন মধুখালী প্রেস ক্লাবের সভাপতি মো. মনিরুজ্জামান মৃধা মন্নু, মধুখালী উপজেলা যুবদলের সদস্য সচিব তারিকুল ইসলাম এনামুল, পৌর বিএনপির ভারপ্রাপ্ত সাধারণ সম্পাদক মোহাম্মদ ফরিদুল ইসলাম সাগর, স্বপ্নতরী স্বেচ্ছাসেবী সংগঠনের প্রতিষ্ঠাতা সভাপতি মো. হাসিব শেখ, সাধারণ সম্পাদক সাদী আব্দুল্লাহ, অর্থ সম্পাদক শেখ নাঈম, প্রতিষ্ঠাকালীন উপদেষ্টা গোলাম মহিম মোল্লা, মোহাম্মদ সিয়াম হোসেন, সদস্য গোলাম শরাফত সরত, মাহফুজুর রহমান, আব্দুল্লাহ আজিজ, মোহাম্মদ রাব্বি, মো. আপন ও মো. মিতায়েব প্রমুখ।

প্রতিযোগিতা শেষে বিজয়ীদের হাতে পুরস্কার তুলে দেন মধুখালী উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) মো. আবু রাসেল।

মন্তব্য

বেতন ও ঈদ বোনাস নিয়ে দুশ্চিন্তায় শিক্ষক-কর্মচারী

মির্জাপুর (টাঙ্গাইল) প্রতিনিধি
মির্জাপুর (টাঙ্গাইল) প্রতিনিধি
শেয়ার
বেতন ও ঈদ বোনাস নিয়ে দুশ্চিন্তায় শিক্ষক-কর্মচারী

 

 

টাঙ্গাইলের মির্জাপুর উপজেলায় ইলেক্ট্রনিক ফান্ড ট্রান্সফার (ইএফটি) জটিলতায় ফেব্রুয়ারি মাসের বেতন ও ঈদ বোনাস পাচ্ছেন না বেসরকারি স্কুল-কলেজ ও মাদরাসার এমপিওভুক্ত সহস্রাধিক শিক্ষক কর্মচারী। এছাড়া গত চার মাস ধরে নিয়মিত বেতন-ভাতাও পাচ্ছেন না অধিকাংশ শিক্ষক-কর্মচারী। 

ঈদুল ফিতরের আগে আজ বৃহস্পতিবার (২৭ মার্চ) শেষ কর্মদিবস থাকলেও দুপুর ২টা পর্যন্ত বেতন-ভাতা পাওয়ার কোনো নিশ্চয়তা পাওয়া যায়নি বলে খবর পাওয়া গেছে। ফলে এসব শিক্ষক-কর্মচারীর ঈদ কাটবে হতাশায়।

উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা অফিসের তথ্যমতে, মির্জাপুর উপজেলায় ৫৪টি মাধ্যমিক বিদ্যালয়, ১০টি কলেজ এবং ১৪টি দাখিল মাদরাসা রয়েছে। এসব প্রতিষ্ঠানে ১ হাজার ৩৭০ জন শিক্ষক-কর্মচারী রয়েছেন। এসব শিক্ষক-কর্মচারীর বেতন-ভাতা প্রাপ্তি সহজ করতে শিক্ষা মন্ত্রণালয়, মাধ্যমিক ও উচ্চশিক্ষা অধিদপ্তর সরাসরি ব্যাংকে ইএফটির মাধ্যমে দেওয়ার জন্য গত বছরের জুলাই মাস থেকে কার্যক্রম শুরু করেন। এরপর নানা জটিলতায় তাদের বেতন আটকে যায়।

বিপাকে পড়েন শিক্ষক-কর্মচারীরা। প্রথম ধাপে কিছু শিক্ষক-কর্মচারী ডিসেম্বর মাসের বেতন পেলেও পরবর্তী সময়ে আবার তা আটকে যায়। কবে নাগাদ ইএফটি চালু হবে তা অনিশ্চিত হয়ে পড়ে। 

ইএফটি জটিলতায় জানুয়ারি থেকে মার্চ মাসের বেতন এবং ঈদুল ফিতরের বোনাস এখনও পাননি তারা।

ঈদের আগে ২৭ মার্চের শেষ কর্মদিবসে বেতন-বোনাস না পাওয়ায় এই বিপুল সংখ্যক শিক্ষক-কর্মচারীর মধ্যে হতাশা বিরাজ করছে বলে জানা গেছে।

ভুক্তভোগী শিক্ষকদের মধ্যে আব্দুল কাদের খান, শিরিন আক্তার, ফরিদ হোসেন, কামরুল সঠিকভাবে তথ্য দেওয়ার পরও ইএফটি জটিলতার কারণ তাদের বোধগম্য নয়।

টাঙ্গাইল জেলা মাধ্যমিক শিক্ষক সমিতির সাধারণ সম্পাদক, উপজেলা শিক্ষক সমিতির সভাপতি ও রানাশাল উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক আতিকুর রহমান বলেন, শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান থেকে সঠিক তথ্য দেওয়া হলেও ইএফটি জটিলতার কারণে উপজেলায় সহস্রাধিক শিক্ষক-কর্মচারী গত চার মাস যাবত বেতন ও ঈদ বোনাস না পেয়ে বিপাকে পড়েছেন।

উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা কর্মকর্তা নজরুল ইসলাম বলেন, সারাদেশে চার লাখ শিক্ষক কর্মচারীর মধ্যে প্রথম ধাপে এক লাখ ৫৮ হাজার শিক্ষক-কর্মচারী বেতন পেয়েছেন। ইএফটি জটিলতার কারণে মন্ত্রণালয় সব শিক্ষক-কর্মচারীর বেতন-বোনাস দিতে পারছেন না।

জটিলতা নিরসনে মন্ত্রণালয় কাজ করছেন। দ্রুত সময়ের মধ্যে শিক্ষক-কর্মচারীদের এ সমস্যা সমাধান হবে। এছাড়া যাদের তথ্যে ভুল রয়েছে তাদের সংশোধন করতে হবে। তা সংশোধন করা না হলে তাদের বেতন ভাতা পেতে সময় লাগবে বলে তিনি জানান। 

মন্তব্য
ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়ক

ঈদযাত্রায় স্বস্তির নাম সেনাবাহিনী

কুমিল্লা (উত্তর) প্রতিনিধি
কুমিল্লা (উত্তর) প্রতিনিধি
শেয়ার
ঈদযাত্রায় স্বস্তির নাম সেনাবাহিনী
ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কের নিমসার এলাকায় যানজট নিরসনে দায়িত্ব পালন করছে সেনাবাহিনী। ছবি: কালের কণ্ঠ

প্রিয় মানুষদের সঙ্গে ঈদের আনন্দ ভাগাভাগি করতে বাড়ি ছুটছেন মানুষ। ঘরমুখো এই মানুষরা যাতে স্বাচ্ছন্দ্যে বাড়ি ফিরতে পারে সে জন্য ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কে দায়িত্ব পালন করছেন সেনাবাহিনীর সদস্যরা। এতে কোনো রকম যানজট ও ভোগান্তি ছাড়াই গন্তব্যে ফিরে যাচ্ছেন সাধারণ মানুষ। ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়ক ছাড়াও কুমিল্লা-সিলেট আঞ্চলিক মহাসড়ক, লক্ষ্মীপুর, চাঁদপুর ও নোয়াখালী জেলা সড়কের গুরুত্বপূর্ণ অবস্থানে সেনাবাহিনী মোতায়েন রয়েছে।

বৃহস্পতিবার (২৭মার্চ) দুপুরে ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কের কুমিল্লার নিমসার বাজার এলাকায় অতিরিক্ত যানবাহনের চাপ, যত্রতত্র পার্কিং এবং সম্ভাব্য অপরাধমূলক কর্মকাণ্ড রোধে অভিযান চালায় যৌথবাহিনী। এতে পুরো মহাসড়ক ফাঁকা হয়ে যায়। এবার সব চালকদের নিয়ম মেনে যানবাহন চালনা করতে দেখা গেছে।

নিমসার বাজারের ব্যবসায়ী কাউছার মিয়া বলেন, প্রতি ঈদেই দেখেছি এই মহাসড়কে যানজট লেগে থাকে।

এবারই প্রথম দেখলাম যে মানুষ কোনো ভোগান্তি ছাড়াই বাড়ি ফিরছেন। যানজট নিরসনে সেনাবাহিনী কিছুদিন ধরে এই মহাসড়কে কাজ করছে। এবারের ঈদে মানুষের মনে স্বস্তি ফিরেছে।

কুমিল্লা-সিলেট আঞ্চলিক মহাসড়কের দিগন্ত পরিবহনের বাসচালক সিরাজুল ইসলাম বলেন, দেবিদ্বার নিউ মার্কেট ও কংশনগর বাজারের মাঝের এলাকায় মাঝে মধ্যে যানজটের সৃষ্টি হয়।

এছাড়া পুরো সড়কের কোথাও যানজট নেই। বাসের যাত্রীরাও স্বস্তি ভোগ করেছেন।
    
ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কে দায়িত্বরত মেজর সানিউল আলম বলেন, 'পরিবারের সঙ্গে ঈদের আনন্দ ভাগাভাগি করার লক্ষ্যে সাধারণ মানুষের যাত্রাপথে ভোগান্তি দূর করতে বাংলাদেশ সেনাবাহিনী সকল বাস মালিকদের নিয়ম মেনে গাড়ি চালানোর অনুরোধ করছে। এছাড়া কুমিল্লা অংশের যেসব পয়েন্টে যানজট হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে সেসব এলাকায় নিয়মিত চেকপোস্ট এবং টহলের মাধ্যমে দায়িত্ব পালন করছে সেনাবাহিনীর সদস্যরা। 

অবৈধ পার্কিং, যত্রতত্র যাত্রী ওঠানামা, অতিরিক্ত গতিতে গাড়ি চালানোসহ বিষয়ে ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে।

ঘরমুখী মানুষের ঈদ যাত্রা নির্বিঘ্ন করতে যেকোনো পরিস্থিতিতে সেনাবাহিনীর পাশাপাশি হাইওয়ে পুলিশ, সিভিল প্রশাসনসহ সকলে একসঙ্গে কাজ করে যাচ্ছেন।

মন্তব্য

ভালুকায় সীমানাপ্রাচীরের গেটে তালা, অবরুদ্ধ ২১ পরিবার

ভালুকা (ময়মনসিংহ) প্রতিনিধি
ভালুকা (ময়মনসিংহ) প্রতিনিধি
শেয়ার
ভালুকায় সীমানাপ্রাচীরের গেটে তালা, অবরুদ্ধ ২১ পরিবার
ছবি : কালের কণ্ঠ

ময়মনসিংহের ভালুকায় সীমানাপ্রাচীরের গেটে তালা দেওয়ায় অবরুদ্ধ হয়ে পড়েছে তিনটি বাড়ির ২১ পরিবার। স্থানীয় আরিফ টেক্সটাইল কারখানার বিরুদ্ধে এমন অভিযোগ করেছেন ভুক্তভোগীরা। উপজেলার হবিরবাড়ি ইউনিয়নের কাশর এলাকায় এ ঘটনা ঘটেছে। 

ভুক্তভোগী ও স্থানীয় বিভিন্ন সূত্রে জানা যায়, উপজেলার কাশর মৌজার ৭৭ দাগে হাজী বেলাল ফকির এবং তার ভাই প্রতিবন্ধী আইনুল ফকিরের দুই একর ৪৬ শতাংশ জমির মালিক।

সেখানে বেলাল ফকিরের একটি এবং তার ভাইয়ের দুইটি বাড়ি রয়েছে। এসব বাড়িতে কমপক্ষে ২১টি পরিবার ভাড়ায় বসবাস করে। স্থানীয় আরিফ টেক্সটাইল কারখানার সড়কের দুই পাশেই এসব বাড়ি। দীর্ঘদিন ধরে ভুক্তভোগী পরিবারগুলো ওই রাস্তা দিয়ে যাতায়াত করে আসছে।
সম্প্রতি কারখানা কর্তৃপক্ষ দুইটি উন্মুক্ত ফটক রেখে রাস্তার দুই পাশে বেলাল ও আইনুল ফকিরের জমির প্রান্ত ঘেঁষে সীমানাপ্রাচীর তৈরি করে। পরে তারা খোলা ফটকে লোহার দরজা লাগিয়ে গতকাল বুধবার (২৬ মার্চ) সকালে তাতে তালা ঝুলিয়ে দেয়। এতে অবরুদ্ধ হয়ে পড়ে দুই পাশের তিনটি বাড়ির ভাড়াটিয়ারা।

ভুক্তভোগীরা জানান, আরিফ টেক্সটাইলের লোকজন গেটে তালা দেওয়ায় গতকাল বুধবার সকাল থেকে তারা অবরুদ্ধ হয়ে আছেন।

যাতায়াতের বিকল্প ব্যবস্থা না থাকায় তারা বাড়ি থেকে বের হতে পারছেন না। কর্মস্থলেও যেতে পারছে না।

আরিফ কারখানার কর্তব্যরত একজন সিকিউরিটি গার্ড জানান, তাকে গেটে তালা লাগানোর জন্য বলা হয়েছে। আর গেটের অপরপাশে লোক আসলে খুলে দিতে বলা হয়েছে। 

হাজী বেলাল ফকির জানান, ওই স্থানে অনেক পুরনো একটি রাস্তা ছিল।

রাস্তায় তার কিছু জমিও আছে। তাদের বাড়ির ভাড়াটিয়াদের চলাচলে সুযোগ দেওয়ার শর্তে তিনি আরিফ টেক্সটাইল কর্তৃপক্ষকে তার জায়গার ওপর দিয়ে নতুন প্রশস্ত রাস্তা নেওয়ার সুযোগ দেন। এখন গেটে তালা দেওয়ায় তাদের বাড়ির ভাড়াটিয়া ২১টি পরিবার অবরুদ্ধ হয়ে পড়েছে। তার দাবি, আরিফ টেক্সটাইল কর্তৃপক্ষ তাদের দুই ভাইয়ের জমি সস্তায় কেনার পরিকল্পনা হিসেবে গেটে তালা লাগিয়ে বাড়ির ভাড়াটিয়াদের অবরুদ্ধ করে রেখেছে।

আরিফ টেক্সটাইল মিলের ম্যানেজার জি এম অবসরপ্রাপ্ত কমান্ডার বশির আহাম্মেদ জানান, গেটে তালা দেওয়ার বিষয়টি তার জানা ছিল না। এ বিষয়ে তিনি দ্রুত ব্যবস্থা নিবেন। তবে, সস্তায় জমি কেনার জন্য গেটে তালা দেওয়ার বিষয়টি অসত্য।

প্রাসঙ্গিক
মন্তব্য

সর্বশেষ সংবাদ