ঢাকা, শনিবার ২২ মার্চ ২০২৫
৭ চৈত্র ১৪৩১, ২১ রমজান ১৪৪৬

খেলা শুরু করছো তোমরা, শেষ করব আমরা : সন্ত্রাসী সাজ্জাদের স্ত্রী

অনলাইন ডেস্ক
অনলাইন ডেস্ক
শেয়ার
খেলা শুরু করছো তোমরা, শেষ করব আমরা : সন্ত্রাসী সাজ্জাদের স্ত্রী
সংগৃহীত ছবি

চট্টগ্রামে পুলিশের তালিকাভুক্ত শীর্ষ সন্ত্রাসী ছোট সাজ্জাদ ওরফে বুড়ির নাতি সাজ্জাদের স্ত্রী তামান্না স্বামীর চেয়ে স্ত্রী আরো এক ধাপ এগিয়ে। সাজ্জাদকে গ্রেপ্তারের পর তার স্ত্রী তামান্নার একটি ভিডিও সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ছড়িয়ে পড়েছে। 

শনিবার রাতে ঢাকা থেকে চট্টগ্রাম মেট্রোপলিটন পুলিশের (সিএমপি) একটি টিম সাজ্জাদকে গ্রেপ্তার করে। 
এরপর লাইভে এসে সাজ্জাদের স্ত্রী তামান্না বলে, ‘হ্যাঁ আমার জামাই গতকাল রাতে অ্যারেস্ট হয়েছে।

এটা নিয়ে এত হায়-উল্লাস করার কিছু নেই। ঠিক আছে। মামলা যখন আছে অ্যারেস্ট হবেই। এগুলো নিয়ে দুঃখ প্রকাশ করার, কান্নাকাটি করার কিছু নেই।
আপনারা যারা ভাবতেছেন আমার জামাই আর কোনো দিন বের হবে না। ওদের জন্য এক বালতি সমবেদনা।’

তিনি বলেন, ‘আমরা কাঁড়ি কাঁড়ি, বান্ডিল বান্ডিল টাকা ছেড়ে আমার জামাইকে নিয়ে আসব। আমার জামাই বীরের বেশে চলে আসবে।

যারা এ ঘটনা ঘটাইছে (গ্রেপ্তার করেছে) তাদের ছাড় দেওয়া হবে না। মাথায় রেখো। এতদিন আমরা পলাতক ছিলাম। এখন তোমাদের পলাতক থাকার পালা। আমার জামাই আইনি প্রক্রিয়া শেষ করে আমার কাছে চলে আসবে।
তখনই খেলা শুরু হবে। খেলা মাত্র শুরু করেছ তোমরা। শেষ করব আমরা। ঠিক আছে? আমার জামাই সাজ্জাদের যারা সাপোর্টার আছে, আমার জামাইয়ের জন্য দোয়া করো- যেন ১০-১২ দিনের মধ্যে জামিন করে ফেলতে পারি। ধন্যবাদ।’

মন্তব্য

সম্পর্কিত খবর

আওয়ামী লীগকে নিষিদ্ধের দাবিতে সিলেটে বিক্ষোভ মিছিল ও সমাবেশ

নিজস্ব প্রতি‌বেদক, সি‌লেট
নিজস্ব প্রতি‌বেদক, সি‌লেট
শেয়ার
আওয়ামী লীগকে নিষিদ্ধের দাবিতে সিলেটে বিক্ষোভ মিছিল ও সমাবেশ
ছবি: কালের কণ্ঠ

আওয়ামী লীগের বিচার না হওয়া পর্যন্ত দল‌টি কোনো রাজনৈতিক প্রক্রিয়ায় অংশ নিতে পারবে না মন্তব্য করে জাতীয় নাগরিক পার্টির (এনসিপি) যুগ্ম আহ্বায়ক এহতেশাম হক বলেছেন, ‘যে আওয়ামী লীগের হাতে আমার হাজারো ভাইয়ের রক্ত লেগে আছে সে আওয়ামী লীগের নৌকা মার্কার মানুষ দেখতে চায় না।

শুক্রবার (২২ মার্চ) রাতে সিলেট নগরের বিক্ষোভ মিছিল শেষে সমাবেশে তিনি এ কথা বলেন।

‘গণহত্যায় সরাসরি জড়িত আওয়ামী লীগকে নতুন মোড়কে ফিরিয়ে আনার অপচেষ্টার প্রতিবাদে ও আওয়ামী লীগকে নিষিদ্ধ করার দাবিতে’ দেশব্যাপী কর্মসূচির অংশ হিসেবে এ বিক্ষোভ মিছিল ও সমাবেশের আয়োজন করে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন।

মন্তব্য

লক্ষ্মীপুরে বিএনপির দুই গ্রুপের সংঘর্ষ, আহত ১০

লক্ষ্মীপুর প্রতিনিধি
লক্ষ্মীপুর প্রতিনিধি
শেয়ার
লক্ষ্মীপুরে বিএনপির দুই গ্রুপের সংঘর্ষ, আহত ১০
ছবি: কালের কণ্ঠ

ফেসবুকে মন্তব্য করাকে কেন্দ্র করে লক্ষ্মীপুরের রায়পুরে বিএনপির দুই গ্রুপের নেতাকর্মীদের মধ্যে সংঘর্ষ হয়েছে। এতে উভয়পক্ষের অন্তত ১০ নেতাকর্মী আহত হয়েছেন। উপজেলার হায়দারগঞ্জ বাজার এলাকায় শুক্রবার (২১ মার্চ) রাত ৮টার দিকে এ ঘটনা ঘটেছে বলে হায়দারগঞ্জ পুলিশ ফাঁড়ির ইনচার্জ (পরিদর্শক) আবুল কালাম আজাদ জানিয়েছেন।

এ ঘটনার পর হায়দারগঞ্জ বাজার এলাকায় থমথমে পরিস্থিতি বিরাজ করছে।

সেনাবাহিনী ও পুলিশ টহল দিচ্ছে। যেকোনো সময় ফের রক্তক্ষয়ী সংঘর্ষের আশঙ্কা করছেন স্থানীয় লোকজন।

আহতরা হলেন- লিটন হাওলাদার, হোসেন মাতাব্বর, কাশেম বেপারী, মোস্তফা, মো. হেলাল, মো. কাউছার, ইসারুল্লা, মুর্তজা মাহি, জয়নালসহ ১০ জন। তাদের  উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সসহ স্থানীয় বিভিন্ন ক্লিনিকে চিকিৎসার জন্য দেওয়া হয়েছে।

তাদের মাথা, হাতসহ শরীরের বিভিন্ন অংশে রক্তাক্ত জখমের চিহ্ন রয়েছে। 

স্থানীয় বিএনপির ৩ নেতা জানায়, ফেসবুকে একটি পোস্টে মন্তব্য করাকে কেন্দ্র করে উত্তর চর আবাবিল ইউনিয়ন বিএনপির আহ্বায়ক আবদুল বাছেদ হাওলাদার ও যুগ্ম আহ্বায়ক মিজানুর রহমান সর্দারের লোকজনের মধ্যে উত্তেজনা দেখা দেয়। এর জের ধরে ঘটনার সময় দুই গ্রুপের নেতাকর্মীরা সংঘর্ষে জড়িয়ে পড়ে।

ইউনিয়ন বিএনপির যুগ্ম আহ্বায়ক মিজানুর রহমান সর্দার বলেন, বিএনপির লোকজন সন্ধ্যায় আওয়ামী লীগ এবং মাদকের বিরুদ্ধে মিছিল বের করে।

কিন্তু বাছেদ হাওলাদারের লোকজন বিএনপি ও আওয়ামী লীগের কয়েকজনকে সঙ্গে নিয়ে ওই মিছিলে হামলা করে। এতে সংঘর্ষ বেঁধে যায়। হামলায় আমাদের ৬-৭ জন আহত হয়।

তিনি বলেন, হাওলাদার পরিবার (বিএনপি নেতা বাছেদ হাওলাদার) আওয়ামী লীগের সময়ও সুবিধা নিতেন, এখন বিএনপির সময়ও সুবিধা নিচ্ছে- এ ধরনের একটি ফেসবুক পোস্টকে কেন্দ্র করে আমাদের লোকজনের ওপর এ হামলা করেছে।

এ বিষয়ে বিএনপি নেতা আবুল বাছেদ হাওলাদারের বক্তব্য জানা যায়নি।

তবে তার ছেলে লিটন হাওলাদার বলেন, আমার বাবার নামে মামুন ফেসবুকে কয়েকটি কমেন্ট করে। এর প্রতিবাদে লোকজন মিছিল করতে গেলে অতর্কিত হামলা করে আমাদের লোকজনকে জখম করে।

রায়পুর উপজেলা বিএনপির সদস্য সচিব নাজমুল ইসলাম মিঠু বলেন, হাওলাদার ও সরদার পরিবারের দীর্ঘদিনের বিরোধকে কেন্দ্র করে সংঘর্ষ হয়েছে। বিএনপির দলীয় বিরোধে ঘটেনি।

হায়দারগঞ্জ পুলিশ ফাঁড়ির ইনচার্জ (পরিদর্শক) আবুল কালাম আজাদ বলেন, পরিস্থিতি এখন নিয়ন্ত্রণে রয়েছে। আহতদের হাসপাতালে পাঠানো হয়। অপ্রীতিকর ঘটনা এড়াতে বাজারে পুলিশ ও সেনাবাহিনী মোতায়েন রয়েছে।

মন্তব্য

মায়ানমার থেকে ছোঁড়া গুলিতে বাংলাদেশি যুবক আহত

বিশেষ প্রতিনিধি, কক্সবাজার
বিশেষ প্রতিনিধি, কক্সবাজার
শেয়ার
মায়ানমার থেকে ছোঁড়া গুলিতে বাংলাদেশি যুবক আহত

বান্দরবান জেলার নাইক্ষ্যংছড়ির ঘুমধুম ইউনিয়নের সীমান্ত এলাকায় মায়ানমার থেকে ছোঁড়া গুলিতে এক বাংলাদেশি যুবক আহত হয়েছেন। 

শুক্রবার (২১ মার্চ) রাত সাড়ে ৮টার দিকে ইউনিয়নের শূন্যরেখা সীমান্ত সংলগ্ন ভাজাবুনিয়া গ্রামের চিতারখূমে এই ঘটনা ঘটে।

আহত মোহাম্মদ জাহাঙ্গীর (২০), ঘুমধুম ইউপির ৩নং ওয়ার্ডের বাসিন্দা নুরুল কবিরের ছেলে। গুলিবিদ্ধ জাহাঙ্গীরকে উদ্ধার করে স্থানীয়রা পার্শ্ববর্তী উখিয়ার কুতুপালংয়ের একটি বেসরকারি হাসপাতালে নিয়ে যান।

বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন, ঘুমধুম তদন্ত কেন্দ্রের ইনচার্জ জাফর ইকবাল। পুলিশের এই পরিদর্শক (নিরস্ত্র) জানান, আহত যুবক বর্তমানে চিকিৎসাধীন, তার বাম পায়ে দুটি গুলি লেগেছে। 

আহতের পরিবার বলছে, জাহাঙ্গীর সীমান্ত সংলগ্ন এলাকায় চাষাবাদের জমিতে পানি দিতে গিয়েছিলেন।

তবে স্থানীয় একটি সূত্রের দাবি, যে এলাকায় জাহাঙ্গীর আহত হয়েছেন সেখানে সীমান্তের চোরাকারবারিদের আনাগোনা আছে।

অন্যদিকে মায়ানমার অংশের পুরো সীমান্ত এলাকায় নিজেদের নিয়ন্ত্রণের কথা জানিয়ে আসছে রাখাইনে জান্তার সঙ্গে লড়াই অব্যাহত রাখা বিদ্রোহী গোষ্ঠী আরকান আর্মি।

২০২৪ সালের ফেব্রুয়ারিতে বিদ্রোহী গোষ্ঠীটি ঘুমধুম সীমান্তের ওপারে থাকা জান্তার অধীনস্থ মায়ানমারের বর্ডার গার্ড পুলিশের দুটি বর্ডার অবজারভেশন পোস্ট দখল করে।

এ ছাড়াও সীমান্তের মায়ানমার অংশে বিভিন্ন রোহিঙ্গা সশস্ত্র গোষ্ঠীর তৎপরতার তথ্যও পাওয়া যায়। কাদের ছোঁড়া গুলিতে ওই যুবক আহত হয়েছে সে তথ্য নিশ্চিত হওয়া যায়নি।

মন্তব্য

হেলিকপ্টারে পালানোর মতো লজ্জাজনক ঘটনা আর নেই : ফজলুল হক মিলন

আঞ্চলিক প্রতিনিধি, গাজীপুর
আঞ্চলিক প্রতিনিধি, গাজীপুর
শেয়ার
হেলিকপ্টারে পালানোর মতো লজ্জাজনক ঘটনা আর নেই : ফজলুল হক মিলন
ছবি: কালের কণ্ঠ

বিএনপির সাবেক সাংগঠনিক সম্পাদক ও গাজীপুর জেলা বিএনপির আহবায়ক সাবেক এমপি এ কে এম ফজলুল হক মিলন বলেছেন, আমরা বলেছিলাম, একটি অবাধ সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষ নির্বাচন দেন। জনগণ যাকে ভোট দেবে তারাই ক্ষমতায় আসবে। কিন্তু তারা তা করলেন না। সর্বশেষ ২৪ সালে যে নির্বাচন করল, তারা ভেবেছিল, এই নির্বাচনে ৫/৬ বছর ক্ষমতায় থাকবে।

কিন্তু গণ-অভ্যুত্থানে হেলিকপ্টারে পালিয়ে গেল, এর চেয়ে লজ্জাজনক ঘটনা আর নেই।

শুক্রবার (২১ মার্চ) বিকেলে কালীগঞ্জ উপজেলার মোক্তারপুর ইউনিয়ন বিএনপি ও অঙ্গ সংগঠনের উদ্যোগে স্থানীয় বাঘুন উচ্চ বিদ্যালয় মাঠে সাবেক প্রধানমন্ত্রী বেগম খালেদা জিয়ার সুস্বাস্থ্য ও দীর্ঘায়ু কামনায় পবিত্র মিলাদ, দোয়া ও ইফতার মাহফিলে প্রধান অতিথির বক্তব্যে মিলন এসব কথা বলেন।

কালীগঞ্জের মোক্তারপুর ইউনিয়ন বিএনপির সভাপতি মো. ফজলুল হক নয়নের সভাপতিত্বে আলোচনা সভায় আরো বক্তব্য রাখেন উপজেলা বিএনপির যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মো. হুমায়ুন কবিরের সঞ্চালনায় অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন উপজেলা বিএনপির সভাপতি মো. হুমায়ুন কবির মাষ্টার, জেলা বিএনপির সাবেক যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক খাইরুল আহসান মিন্টু, উপজেলা বিএনপির সাবেক সাংগঠনিক সম্পাদক মনিরুজ্জামান খান লাভলু, সাবেক ছাত্র বিষয়ক সম্পাদক মনিরুজ্জামান পাঠান মিঠু, উপজেলা বিএনপির প্রচার সম্পাদক মো. ফজলুর রহমান, জামালপুর কলেজের সভাপতি মো. জাহাঙ্গীর আলম, জেলা স্বেচ্ছাসেবক দলের সদস্য সচিব আশরাফ নেওয়াজ চৌধুরী শাওন, জেলা ছাত্রদলের সাবেক সাধারণ সম্পাদক মো. ইয়াছিন মোল্লাসহ জেলা, উপজেলা ও পৌর বিএনপি ও অঙ্গ সংগঠনের নেতারা।

মন্তব্য

সর্বশেষ সংবাদ