আ. লীগ ইস্যুতে সবাই একাট্টা, জোড়ালো হচ্ছে নিষিদ্ধের দাবি

অনলাইন ডেস্ক
অনলাইন ডেস্ক
শেয়ার
আ. লীগ ইস্যুতে সবাই একাট্টা, জোড়ালো হচ্ছে নিষিদ্ধের দাবি
সংগৃহীত ছবি

গণঅভ্যুত্থানের পর থেকে আওয়ামী লীগ ও ছাত্রলীগ নিষিদ্ধের দাবি জানিয়ে আসছে তৎকালীন বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের নেতারাসহ অনেকে। দাবির প্রেক্ষিতে ছাত্রলীগকে নিষিদ্ধ করে অন্তবর্তী সরকার। তবে পরবর্তীতে আওয়ামী লীগ নিষিদ্ধের বিষয়ে ভিন্ন ভিন্ন মন্তব্য আসে রাজনৈতিক রাজনীতিবিদদের কাছ থেকে। গতরাতে এনসিপি নেতা হাসনাত আব্দুল্লাহর একটি ফেসবুক স্ট্যাটাস ঘিরে আবারো আলোচনায় আসে আওয়ামী লীগ নিষিদ্ধের ইস্যু।

এর পর থেকে গণঅভ্যুত্থানের পক্ষের রাজনৈতিক দলগুলোকে একই সুরে কথা বলতে দেখা যাচ্ছে। বিক্ষোভ কর্মসূচি হয়েছে দেশের বিভিন্ন স্থানে।

আজ শুক্রবার আওয়ামী লীগকে নিষিদ্ধ করার দাবিতে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে (ঢাবি) বেশ কয়েকটি পক্ষকে বিক্ষোভ মিছিল করতে দেখা গেছে। বিভিন্ন ব্যানারে বিক্ষোভ হয়েছে দেশের বিভিন্ন জেলা ও বিভাগীয় শহরে এবং বিশ্ববিদ্যালয় ও কলেজে।

জানা যায়, শুক্রবার জুমা নামাজের পর থেকে ঢাবির কেন্দ্রীয় মসজিদের সামনে থেকে মিছিল শুরু করে বাংলাদেশ গণতান্ত্রিক ছাত্রসংসদ। সংগঠনটি আওয়ামী লীগ ও নৌকা প্রতীক দ্রুত নিষিদ্ধের দাবি জানায়। পরে তারা বিশ্ববিদ্যালয় এলাকা প্রদক্ষিণ করে কেন্দ্রীয় লাইব্রেরির সামনে এসে সমাবেশ করে।

একই সময় আওয়ামী লীগ নিষিদ্ধ করা ও সম্প্রতি যুদ্ধবিরতি চুক্তি লঙ্ঘন করে ফিলিস্তিনের ওপর গণহত্যা চালানোর প্রতিবাদ জানিয়ে মিছিল আয়োজন করে ইনকিলাব মঞ্চ।

জুমার নামাজের পর তারা কেন্দ্রীয় মসজিদ থেকে মিছিল শুরু করে রাজু ভাস্কর্যে এসে সংক্ষিপ্ত সমাবেশ করে মিছিলের সমাপ্তি টানে।

এদিকে বিকেল সাড়ে ৩টায় ‘ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সাধারণ শিক্ষার্থীবৃন্দে’র ব্যানারে বিশ্ববিদ্যালয়ের হলপাড়া থেকে মিছিল নিয়ে এসে রাজু ভাস্কর্যের সামনে আওয়ামী লীগ নিষিদ্ধ চেয়ে মিছিল করে শিক্ষার্থীদের একটি দল। এদিন একই দাবিতে রাজধানীতে বিক্ষোভ করেছে গণঅধিকার পরিষদ। 

এ ছাড়া শুক্রবার সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুকে আওয়ামী লীগকে নিষিদ্ধকরণ ও গণহত্যার বিচার দাবিতে পোস্ট করেছেন জাতীয় নাগরিক পার্টির দুই মুখ্য সংগঠক হাসনাত আব্দুল্লাহ ও সারজিস আলমকে। একই বিষয়ে দলটির মুখ্য সমন্বয়ক নাসিরউদ্দিন পাটওয়ারীসহ আরো বেশ কয়েকজনকে কথা বলতে দেখা গেছে।

আওয়ামী লীগ নিষিদ্ধের ইস্যুতে নিজের ভেরিফায়েড ফেসবুক আইডিতে একটি পোস্ট দিয়েছেন বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর আমির ডা. শফিকুর রহমান। জামায়াত আমির তার পোস্টে বলেন, আওয়ামী লীগের পুনর্বাসন জনগণ মেনে নেবে না। বর্তমান পরিস্থিতিতে সর্বস্তরের জনগণকে সংযত, সতর্ক ও ঐক্যবদ্ধ থেকে দল-মতের ঊর্ধ্বে উঠে দেশের বৃহত্তর স্বার্থে দায়িত্বশীল ভূমিকা পালন করার আহ্বান জানাই।

তিনি বলেন, বাংলাদেশের নির্যাতিত ১৮ কোটি মানুষের দাবি, গণহত্যাকারীদের বিচার, ২৪-এর শহীদ পরিবারগুলোর পুনর্বাসন, আহত এবং পঙ্গু অসংখ্য ছাত্র, তরুণ, যুবক ও মুক্তিকামী মানুষের সুচিকিৎসা একটি সুষ্ঠু নির্বাচনের লক্ষ্যে ১৫ বছরের সৃষ্ট জঞ্জালগুলোর মৌলিক সংস্কার সাধন করে প্রয়োজনীয় প্রস্তুতি গ্রহণ করা। এ সময় জনগণ অগ্রাধিকার ভিত্তিতেই গণহত্যার বিচারটাই দেখতে চায়। এর বাহিরে অন্য কিছু ভাবার কোনো সুযোগ নেই। 

বিএনপির অফিসিয়াল ফেসবুক পেজে দলের স্থায়ী কমিটির সদস্য সালাহউদ্দিন আহমেদের গত ১৭ তারিখের একটি বক্তব্য একাধিকবার পোস্ট করা হয়েছে। যেখানে সালাহউদ্দিন আহমেদ বলেছিলেন, শেখ হাসিনা ফ্যাসিবাদের মাধ্যমে আওয়ামী লীগের কবর রচনা করে গেছে। দেশের মানুষ আওয়ামী লীগকে রাজনীতি করার অনুমতি দিবে না।

এদিন আওয়ামী লীগ নিষিদ্ধের প্রশ্নে নিজের অবস্থান স্পষ্ট করেছেন এনডিএমের চেয়ারম্যান ববি হাজ্জাজ। নিজের ভেরিফায়েড ফেসবুক পেজে দেওয়া এক পোস্টে তিনি বলেন, ছাত্র-জনতার রক্তক্ষয়ী অভ্যুথানে পতিত স্বৈরাচার ফ্যাসিস্ট হাসিনার বিদায়ের পর এদেশে এক নবদিগন্তের সূচনা হয়েছিলো। ২০১৭ সালের প্রতিষ্ঠালগ্ন থেকেই দল হিসাবে জাতীয়তাবাদী গণতান্ত্রিক আন্দোলন-এনডিএম আওয়ামী ফ্যাসিবাদের বিরুদ্ধে রাজপথে সোচ্চার থেকেছে। বিএনপির নেতৃত্বে হাসিনা পতনের একদফা দাবি আদায়ে যুগপৎ আন্দোলন করেছে এনডিএম। জুলাই গণঅভ্যুথানেও আমরা রাজপথে রক্ত ঝড়িয়েছি। 

তিনি বলেন, ৫ আগস্ট হাসিনার পতনের পর নতুনভাবে গঠিত আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইবুনালে মানবতাবিরোধী অপরাধে দল হিসাবে আওয়ামী লীগের বিচার চেয়ে অভিযোগ দায়ের করে এনডিএম। একইসাথে আমরা আওয়ামী লীগ নেতৃত্বাধীন ১৪ দলের বিচারও চেয়েছি। দুঃখজনক হলেও সত্য, নতুন খসড়া আইনে এই ট্রাইবুনাল কর্তৃক সংগঠনের বিচার করার এখতিয়ার দেয়া হয় নাই। তবে আমাদের লড়াই থেমে যায় নাই। আমাদের কথা পরিষ্কার, বাংলাদেশের পবিত্র জমিনে অগনিত ছাত্র-জনতা, রাজনৈতিক কর্মী, আলেম-ওলামা, শিল্পী, সাহিত্যিক, সাংবাদিকদের রক্ত ঝড়ানো আওয়ামী লীগ রাজনীতি করতে পারবে না। আওয়ামী লীগকে ফিরিয়ে আনার যেকোনো ‘প্রকল্প’ আমরা রক্তের বিনিময়ে রুখে দিব ইনশাআল্লাহ। 

আওয়ামী লীগ নিষিদ্ধে করার লক্ষ্যে সবাইকে ঐক্যবদ্ধ হওয়ার আহ্বান জানিয়েছেন জাতীয় নাগরিক কমিটির যুগ্ম আহ্বায়ক আলী আহসান জুনায়েদ। তিনি বলেন, ‘জুলাই অভ্যুত্থানের পক্ষের সকল শক্তি যদি ঐক্যবদ্ধ হয়, তবে গণহত্যাকারী আওয়ামী লীগকে নিষিদ্ধ করতে কোনো বাধা থাকবে না।’ আজ শুক্রবার বিকেলে নিজের ভেরিফায়েড ফেসবুক পেজে এ আহ্বান জানান জুনায়েদ। তিনি ওই পোস্টে বলেন, আমি বিএনপি, জামায়াতসহ সকল রাজনৈতিক দল ও সাধারণ জনগণকে আওয়ামী লীগ নিষিদ্ধ করার লক্ষ্যে ঐক্যবদ্ধ হওয়ার আহ্বান জানাই।

প্রাসঙ্গিক
মন্তব্য

সম্পর্কিত খবর

সেনাবাহিনী প্রসঙ্গে যা বললেন সারজিস আলম

অনলাইন ডেস্ক
অনলাইন ডেস্ক
শেয়ার
সেনাবাহিনী প্রসঙ্গে যা বললেন সারজিস আলম
সারজিস আলম। ফাইল ছবি

সেনাবাহিনীকে প্রতিপক্ষ করার কোনো সুযোগ নেই বলে মন্তব্য করেছেন জাতীয় নাগরিক পার্টির উত্তরাঞ্চলের মুখ্য সংগঠক সারজিস আলম।

শনিবার (২২ মার্চ) জাতীয় প্রেস ক্লাবে রংপুর বিভাগ রিপোর্টার্স ফোরামের (আরডিআরএফ) ইফতার অনুষ্ঠানে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে তিনি এ মন্তব্য করেন।

সারজিস আলম বলেন, সেনাবাহিনীর প্রধানকে সরানোর কোনো প্রশ্ন কখনো আসেনি। বরং এ নিয়ে এখন ‘গুজব ছড়ানো হচ্ছে’।

আমরা মনে করি এ অবস্থাও তৈরি হয়নি। এ অবস্থা যেন নির্বাচনের আগ পর্যন্ত তৈরি না হয়, সেটি আমরা প্রত্যাশা করি।

তিনি বলেন, সেনাবাহিনীর সঙ্গে রাজনৈতিক দলগুলোর যে শ্রদ্ধার জায়গা, আমরা মনে করি সবসময় ছিল, আছে এবং আগামীতেও থাকবে।

সাংবাদিকদের এক প্রশ্নে তিনি বলেন, আমরা একটি বিষয় স্পষ্ট করি।

আমরা মনে করি যে, সেনাবাহিনী এমন একটি প্রতিষ্ঠান, যে প্রতিষ্ঠানের ওপর আমাদের সবার আস্থা এবং শ্রদ্ধাবোধ আছে। আমরা এটা হারাতে চাই না। জাতীয় নাগরিক পার্টির জায়গা থেকে, আমার ব্যক্তিগত জায়গা থেকেও যদি বলি, তাদের প্রতি আমাদের শ্রদ্ধাবোধটি ছিল এবং আমরা এটা রাখতে চাই।

‘আমরা মনে করি অভ্যুত্থানের গুরুত্বপূর্ণ সময়ে তারা যেমন বাংলাদেশের মানুষের পাশে ছিল, একই ভাবে আগামীতে তারা বাংলাদেশের মানুষের পাশে থাকবে।

তিনি বলেন, যে ঘটনাটি সামগ্রিকভাবে আমরা শুনতে পাচ্ছি, আমরা মনে করি বিষয়টি এমন নয়। এখানে জনগণের সঙ্গে কিংবা জাতীয় নাগরিক পার্টির সঙ্গে কিংবা রাজনৈতিক দলগুলো সঙ্গে সরাসরি সেনাবাহিনীকে প্রতিপক্ষ করার কোনো সুযোগ নেই।

সারজিস বলেন, আমাদের যদি কোনো একটি নির্দিষ্ট প্রতিষ্ঠানকে নিয়ে প্রশ্ন থাকে, মতামত থাকে আমরা সেটি করব। যৌক্তিক আলোচনা ও সমালোচনা হবে। কিন্তু সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ হচ্ছে আমরা যারা অভ্যুত্থানের শক্তি ছিলাম এ বিষয়ে আমরা কখনোই মুখোমুখি দাঁড়াব না।

মন্তব্য

শেখ হাসিনার বিচার হতে হবে, নির্বাচন পেছানো যাবে না : টুকু

নিজস্ব প্রতিবেদক
নিজস্ব প্রতিবেদক
শেয়ার
শেখ হাসিনার বিচার হতে হবে, নির্বাচন পেছানো যাবে না : টুকু
ছবি: কালের কণ্ঠ

বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য ইকবাল হাসান মাহমুদ টুকু বলেছেন, যে সরকারই আসুক শেখ হাসিনার বিচার করতেই হবে। কিন্তু এজন্য জাতীয় সংসদ নির্বাচন পেছানো যাবে না।

শনিবার (২২ মার্চ) রাজধানীর আসাদ গেটে ফ্যামিলি ওয়ার্ল্ডের মিলনায়তনে ঢাকাস্থ সিরাজগঞ্জ সাংবাদিক সমিতি বার্ষিক সাধারণ সভা ও ইফতার মাহফিলে তিনি এসব কথা বলেন।

আওয়ামী লীগের যখন পতন হয় তখন তারা হওয়া হয়ে যায় মন্তব্য করে প্রধান অতিথির বক্তব্যে ইকবাল হাসান মাহমুদ টুকু বলেন, আমাদের মনে রাখতে হবে, ড. ইউনূস সাহেব আন্তর্জাতিক খ্যাতিসম্পন্ন একজন সম্মানিত ব্যক্তি।

তাকে অসম্মান করাটা ঠিক হবে না। তাকে সুযোগ করে দেওয়া হোক, যে অতি দ্রুত নির্বাচন দিয়ে উনি চলে যান। এখন কেউ যদি বলে, হাসিনার বিচার যতদিন পর্যন্ত না হবে, নির্বাচন ততদিন হবে না! এখন হাসিনার বিচার কি আমরা চাই না? সে কি আমাদের নির্যাতন করেনি? হাসিনার বিচার অবশ্যই হতে হবে, যে সরকারই আসুক না কেন। এখন তার বিচার যদি নির্বাচনের সঙ্গে ট্যাগ করা হয়..., তার বিচার হতে সাত বছর লাগবে।
তাহলে কি আমরা এই সাত বছর বসে-বসে তামাক খাব? বললেই তো হবে না। অপ্রাপ্তবয়স্কদের মতো কথা বললে তো হবে না। সব মিলিয়ে আমাদের জুলাই আন্দোলনের যে বিজয়, এটা যেন উহুদের যুদ্ধের মতো না হয়। এটা খেয়াল রাখতে হবে।

আওয়ামী লীগের ইতিহাস শুধুই পালানোর মন্তব্য করে তিনি বলেন, দেখেন ৭৫ সালের ১৫ আগস্ট পর্যন্ত গাছের পাতা পর্যন্ত আওয়ামী লীগ ছিল। যেই সকাল বেলা খবর হল শেখ মুজিবুর রহমান সাহেব নিহত হয়েছেন, আওয়ামী লীগ কোথায় হাওয়া হয়ে গেল, কেউ খুঁজে পেল না। আবার যদি এরও পেছনে যাই, আমি ৭০ নির্বাচনে জনগণের হৃদয় নিংড়ানো ভালোবাসা দিয়ে তাদেরকে নির্বাচিত করল। তারপরে ক্ষমতায় যাওয়ার জন্য আলোচনা সমালোচনা অনেক কিছু করেছে। ৭ মার্চের ভাষণ যদি শোনেন গায়ের লোম দাঁড়িয়ে যাবে।

কিন্তু ওই ভাষণে সমঝোতার কথা ছিল। ভাষণের শেষের গিয়ে বললেন এবারের সংগ্রাম স্বাধীনতার সংগ্রাম। জয় বাংলা জয় পাকিস্তান। তো এইটা তো স্বাধীনতার ঘোষণা হলো না। তখন বলছিলেন আসুন বসুন, আলোচনা করুন পার্লামেন্টে আসুন, এটা কি স্বাধীনতার ঘোষণা? তারপরে ২৫ মার্চ নিরস্ত্র বাঙালির উপরে পাকিস্তানিরা যখন হামলা করল, তখনো আওয়ামী লীগ নাই। নাইতো নাই। এই সাত কোটি মানুষ কি করবে? কোথায় যাবে? কার কাছে যাবে? কার কাছে আশ্রয় নেবে? এমপি নেতা সব ভেগে গিয়েছিল। কেউ ছিল না। এই হলো আওয়ামী লীগ। তাদের ভেগে যাওয়ার অভ্যাস সেই ৭১ সাল থেকে।

বিএনপির সর্বোচ্চ নীতিনির্ধারণী কমিটির এই সদস্য বলেন, আওয়ামী লীগ জন্মগতভাবে ফ্যাসিস্ট। এ কথা এজন্য বললাম, যে মাওলানা ভাসানী এই দলটা তৈরি করেছিলেন। কিন্তু তিনি দলে থাকতে পারেনি। উনি যেদিন ন্যাশনাল আওয়ামী পার্টি করলেন, সেদিনও এই আওয়ামী লীগ উনাকে হেনস্থা করেছিল। তার মানে ওরা ছাড়া আর কেউ মানুষ না। এটাই হচ্ছে আওয়ামী লীগ। এমন চিন্তা ভাবনায় কি হয়? যখনই এদের (আওয়ামী লীগের) পতন হয় তখন এরা হাওয়া হয়ে যায়।

সম্প্রতি রাজনৈতিক পরিস্থিতি নিয়ে বিএনপির এই নেতা বলেন, গতকাল সারা ঢাকা শহরে একটা রিউমার ছড়িয়েছিল। তার মানে দেশে স্টাবিলিটি নাই। এ সরকার ভালো করেছে। এই যে রোজাটা গেল, এটলিস্ট মার্কেট দাম নিয়ে কেউ কথা বলতে পারে নাই। আলুর, পেঁয়াজের দাম তো কমই ছিল। পেঁয়াজের দামে প্রতি রোজাতেই আগুন লেগেছে, এবার লাগে নাই। কিন্তু এই অর্জনটা আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি (অবনতি) দিয়ে নষ্ট হয়ে যাচ্ছে।

টুকু তার এলাকা সিরাজগঞ্জের উন্নয়ন নিয়ে বলেন, আমি সিরাজগঞ্জবাসীর উন্নয়নে দলীয়করণ বিবেচনা করিনি। দল দেখে মুখ দেখে কারও উপকার করিনি। আওয়ামী লীগের বিন্দু মাত্র মায়া মমতা নেই। আমাদের উন্নয়নকে অস্বীকার করে। আওয়ামী লীগের চরিত্র সবাই জানে। 

ইফতার মাহফিলে আরো উপস্থিত ছিলেন, ঢাকাস্থ সিরাজগঞ্জ সাংবাদিক সমিতির নবগঠিত কমিটির সভাপতি কাওসার আজম, সাধারণ সম্পাদক আমিনুল ইসলাম মল্লিক, সংগঠনের সাবেক সভাপতি সেলিম খান, সদস্য সিনিয়র সাংবাদিক শহীদুল ইসলাম ও রায়হান মোর্শেদসহ ঢাকায় কর্মরত সিরাজগঞ্জ জেলার প্রায় দেড় শ সাংবাদিক।

প্রাসঙ্গিক
মন্তব্য

আ. লীগ ক্লিনিক্যালি ডেড, জীবিত হওয়ার সুযোগ নেই : আবু হানিফ

নিজস্ব প্রতিবেদক
নিজস্ব প্রতিবেদক
শেয়ার
আ. লীগ ক্লিনিক্যালি ডেড, জীবিত হওয়ার সুযোগ নেই : আবু হানিফ
সংগৃহীত ছবি

গণ অধিকার পরিষদের উচ্চতর পরিষদের সদস্য ও গণমাধ্যম সমন্বয়ক আবু হানিফ বলেছেন, ‘আওয়ামী লীগ ক্লিনিক্যালি ডেড, জীবিত হওয়ার সুযোগ নেই। সুতরাং আওয়ামী লীগ আর ফিরতে পারবে না। জুলাই গণ-অভ্যুত্থানে আওয়ামী লীগ যে গণহত্যা চালিয়েছিল তার বিচার হবে, তারপর দেখা যাবে আওয়ামী লীগের অবশিষ্ট কী থাকে।’

শনিবার গণ অধিকার পরিষদ গোপালগঞ্জ জেলার উদ্যোগে ইফতার মাহফিল অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে এসব কথা বলেন তিনি।

হানিফ বলেন, ‘অনেকেই নানাভাবে গুজব ছড়াচ্ছেন আওয়ামী লীগ চলে আসবে। তাদের বলব, আপনারা দিবাস্বপ্ন দেখছেন, সেই স্বপ্ন কোনো দিন পূরণ হবে না। আওয়ামী লীগ ফিরে আসার কোনো সম্ভাবনা থাকলে তারা দেশ থেকে পালাত না।’

আরো পড়ুন
আওয়ামী সরকার গণমাধ্যমের টুঁটি চেপে ধরে ছিল : দুলু

আওয়ামী সরকার গণমাধ্যমের টুঁটি চেপে ধরে ছিল : দুলু

 

তিনি বলেন, ‘জুলাই গণ-অভ্যুত্থানের সময় সব রাজনৈতিক দল যেভাবে ঐক্যবদ্ধ হয়েছিল, সেই ঐক্য এখন আর নেই।

নিজেদের চাওয়া-পাওয়ার হিসাব মেলাতে গিয়ে বিভক্ত হয়ে গেছি আমরা। আমাদের এই বিভক্তি চলমান থাকলে পরাজিত শক্তি সুযোগ নিতে পারে। যেকোনো মূল্যে আমাদের ঐক্য ধরে রাখতে হবে। জুলাই-আগস্টের আন্দোলনের সময়ের সেই ঐক্য ফিরিয়ে আনতে হবে।

আওয়ামী লীগ নানাভাবে বিভেদ সৃষ্টির ষড়যন্ত্র করছে উল্লেখ করে হানিফ বলেন, ‘দেশকে নিয়ে পাশের দেশ থেকে গুজব ছড়াচ্ছে, তারা বাংলাদেশকে অস্থিতিশীল করতে চায়। বাংলাদেশ নিয়ে দেশে বিদেশে ষড়যন্ত্র অব্যাহত, দেশপ্রেমিক সবাইকে সজাগ থাকতে হবে। কিছুদিন আগে জাতিসংঘের তদন্ত কমিটি প্রতিবেদন দিয়েছে, সেখানে বলা হয়েছে আওয়ামী লীগের নেতারা মানবাধিকার লঙ্ঘন করেছেন, তারা মানবতাবিরোধী অপরাধ করেছেন। সেই অপরাধের বিচারের সুপারিশ করা হয়েছে। আওয়ামী লীগের শীর্ষ নেতাদের বিচার হবে।

তিনি বলেন, ‘দল হিসেবে আওয়ামী লীগেরও বিচার হতে হবে। গণহত্যার দায়ে আওয়ামী লীগকে নিষিদ্ধ করতে হবে। আওয়ামী লীগ বাংলাদেশে নয়, তারা চাইলে ভারতে রাজনীতি করতে পারে। কারণ তারা বাংলাদেশ থেকে বিতাড়িত হয়ে ভারতে আশ্রয় নিয়েছেন। বাংলাদেশে তাদের আর রাজনীতি করার অধিকার নেই।’

ইফতার মাহফিলে সভাপতিত্ব করেন গণ অধিকার পরিষদ গোপালগঞ্জ জেলার সভাপতি আল আমিন সরদার। সঞ্চালনা করেন গোপালগঞ্জ জেলা ছাত্র অধিকার পরিষদের সাধারণ সম্পাদক মুজাহিদ শেখ। 

এতে বক্তব্য দেন গণ অধিকার পরিষদ গোপালগঞ্জ জেলার সাংগঠনিক সম্পাদক মো. সাআদ শিকদার, ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশ গোপালগঞ্জ জেলার সভাপতি তসলিম হোসাইন শিকদার, বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামের জেলা সেক্রেটারি আল আসুদ খান, বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী যুবদল দল গোপালগঞ্জ জেলার সাধারণ সম্পাদক রাশেদুজ্জামান পলাশ, গোপালগঞ্জ বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয় শাখা ছাত্র অধিকার পরিষদের সভাপতি জসিম উদ্দিন, ঢাকা মহানগর উত্তর ছাত্র অধিকার পরিষদের সহ সভাপতি আরিফুল ইসলাম, গণঅধিকার পরিষদ কাশিয়ানী উপজেলার সদস্যসচিব ডা. আহমেদ আলী, গণঅধিকার পরিষদ মুকসুদপুর উপজেলার যুগ্ম আহ্বায়ক মো. আলী, গণঅধিকার পরিষদ টুঙ্গিপাড়া উপজেলার সভাপতি ডা. সাহেদ আলম, বাংলাদেশ যুব অধিকার পরিষদ ঢাকা মহানগর দক্ষিণের সাংগঠনিক সম্পাদক শেখ মো. মুনায়েম প্রমুখ।

প্রাসঙ্গিক
মন্তব্য

যেকোনো মূল্যে ঐক্য ধরে রাখতে হবে : তারেক রহমান

অনলাইন ডেস্ক
অনলাইন ডেস্ক
শেয়ার
যেকোনো মূল্যে ঐক্য ধরে রাখতে হবে : তারেক রহমান
সংগৃহীত ছবি

যেকোনো মূল্যে ফ্যাসিবাদবিরোধী ঐক্য ধরে রাখতে হবে বলে মন্তব্য করে বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান বলেছেন, ‘রাজনৈতিক দলগুলোর মধ্যে ভিন্নমত থাকতে পারে, তবে সমস্যা সৃষ্টি হলে আলোচনায় বসব। গণতান্ত্রিক দেশ গড়তে সবাইকে ঐক্যবদ্ধ থাকতে হবে।’

শনিবার (২২ মার্চ) রাজধানীর মালিবাগে রাজনৈতিক দলের নেতৃবৃন্দের সম্মানে ১২ দলীয় জোট আয়োজিত ইফতার মাহফিলে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।

বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান বলেন, ‘আমাদের রাজনৈতিক দলগুলোর মধ্যে ভিন্নমত থাকতে পারে, তবে সমস্যা সৃষ্টি হলে আলোচনায় বসব।

যেকোনো মূল্যে ঐক্য ধরে রাখতে হবে, যাতে করে পতিত স্বৈরাচার শক্তি আমাদের কাঁধে চেপে বসতে না পারে। আদর্শ ভিন্ন হলেও আমরা দেশ ও দেশের মানুষের জন্য এক।’

তারেক রহমান বলেন, ‘এক উদ্ভব পরিস্থিতি সৃষ্টি হয়েছে, সংস্কার ও নির্বাচনকে মুখোমুখি দাঁড় করানো হচ্ছে। গণতন্ত্র হচ্ছে, নির্ভয়ে নির্বাচন করা।

অথচ এটিকে সংস্কারের মুখোমুখি করা হচ্ছে। অনেকে বলছেন, সংস্কারের আগে নির্বাচন হবে না। সংস্কার তো শেষ হয় না। এটি চলমান প্রক্রিয়া’, বলেন তিনি।

তিনি আরো বলেন, ‘দুই বছর আগে স্বৈরাচারের রক্তচক্ষুকে উপেক্ষা করে আমরা রাষ্ট্র কাঠামো মেরামতের জন্য ৩১ দফা দিয়েছি। বিএনপির মূল লক্ষ্য দেশ ও দেশের জনগণের কাজ করা।’

জাতীয় পার্টির চেয়ারম্যান মোস্তফা জামাল হায়দাদের সভাপতিত্বে ও জাতীয় দলের চেয়ারম্যান এহসানুল হুদার সঞ্চালনায় ইফতার মাহফিলে আরো বক্তব্য রাখেন বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর সেক্রেটারি জেনারেল মিয়া গোলাম পরওয়ার, নাগরিক ঐক্যের সভাপতি মাহমুদুর রহমান মান্না, জাতীয় নাগরিক পার্টি-এনসিপির সদস্যসচিব আখতার হোসেন, বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য বেগম সেলিমা রহমান, এবি পার্টির সভাপতি মজিবুর রহমান মঞ্জু, বিএলডিপির নেতা শাহাদত হোসেন সেলিম, জেএসডির সাধারণ সম্পাদক শহিদুল ইসলাম স্বপন।

ইফতার মাহফিলে আরো উপস্থিত ছিলেন বিএনপি চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা পরিষদের সদস্য অ্যাডভোকেট মাহবুব উদ্দিন খোকন, এনপিপি চেয়ারম্যান ড. ফরিদুজ্জামান ফরহাদ, জাগপা’র সহসভাপতি রাশেদ প্রধান, জাতীয় পার্টির মহাসচিব আহসান হাবিব লিঙ্কন, বিএনপির তথ্য ও গবেষণা সম্পাদক রিয়াজুদ্দিন নসু, নির্বাহী কমিটির সদস্য আব্দুস সাত্তার পাটোয়ারী প্রমুখ।

মন্তব্য

সর্বশেষ সংবাদ