মাজার ভাঙচুরে জড়িতদের বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা : রিজওয়ানা

অনলাইন ডেস্ক
অনলাইন ডেস্ক
শেয়ার
মাজার ভাঙচুরে জড়িতদের বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা : রিজওয়ানা
সংগৃহীত ছবি

দেশে কোনো ধরনের মাজার ভাঙচুর বরদাশত করা হবে না বলে জানিয়েছেন পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তন বিষয়ক উপদেষ্টা সৈয়দা রিজওয়ানা হাসান। মাজার ভাঙচুরে জড়িতদের বিরুদ্ধে কঠোর আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে বলেও জানান তিনি।

সোমবার (১৭ মার্চ) রাজধানীর বেইলি রোডের ফরেন সার্ভিস একাডেমিতে আয়োজিত এক প্রেস ব্রিফিংয়ে রিজওয়ানা হাসান এ কথা বলেন।

সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, ‘আমরা লক্ষ করছি, মাজার ভাঙার নামে একটা নৈরাজ্য চলছে।

মাজার ভাঙার অপরাধে অনেককে গ্রেপ্তার করা হয়েছে এবং আইনের মুখোমুখিও করা হচ্ছে। তবে সরকার এখন সবার উদ্দেশে সতর্ক করে দিয়ে বলতে চায়, এই মাজার ভাঙার ব্যাপার আর কোনোভাবে বরদাশত করা হবে না। এ ধরনের ঘটনায় যারা জড়িত থাকবে তাদের বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা নেওয়া হবে।’

উপদেষ্টা পরিষদের সভায় নিত্যপ্রয়োজনীয় দ্রব্যমূল্যের আলোচনার প্রসঙ্গ উল্লেখ করে উপদেষ্টা বলেন, ‘দ্রব্যমূল্য স্থিতিশীল রয়েছে।

এই পরিস্থিতি ধরে রাখতে নিত্যপ্রয়োজনীয় পণ্যের চাহিদা অনুযায়ী আমদানি ও সরবরাহ ঠিক রাখা এবং বাজার মনিটারিংয়ের জন্য প্রধান উপদেষ্টা সংশ্লিষ্ট উপদেষ্টাদের প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণের নির্দেশ দিয়েছেন।’ 

মন্তব্য

সম্পর্কিত খবর

বাংলাদেশকে সব ধরনের সহায়তা দিতে আগ্রহী কাতার : রাষ্ট্রদূত

অনলাইন ডেস্ক
অনলাইন ডেস্ক
শেয়ার
বাংলাদেশকে সব ধরনের সহায়তা দিতে আগ্রহী কাতার : রাষ্ট্রদূত
সংগৃহীত ছবি

বাংলাদেশের অন্তর্বর্তী সরকার গৃহীত সংস্কার কর্মসূচিতে পূর্ণ সমর্থন জানিয়েছে উপসাগরীয় রাষ্ট্র কাতার।

মঙ্গলবার (১৮ মার্চ) রাষ্ট্রীয় অতিথি ভবন যমুনায় কাতারের রাষ্ট্রদূত সেরায়া আলি আল-কাহতানি প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ ইউনূসের সঙ্গে সাক্ষাৎ করেন এবং তার সরকারের বার্তা পৌঁছে দেন।

রাষ্ট্রদূত প্রধান উপদেষ্টাকে বলেন, ‘বাংলাদেশকে সব ধরনের সহায়তা দিতে কাতার আগ্রহী।’

বাংলাদেশের সংস্কার কর্মসূচিতে কাতারের পূর্ণ সমর্থনকে চমৎকার অভিহিত করে অধ্যাপক ইউনূস দেশটির আমিরকে ধন্যবাদ জানান।

তিনি বাংলাদেশের ঘনিষ্ঠ বন্ধু হিসেবে পাশে থাকার জন্য কাতার সরকারের প্রতি কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করেন।

প্রধান উপদেষ্টা কাতারের সঙ্গে বাণিজ্য ও বিনিয়োগ সম্পর্ক আরো গভীর করার ওপর গুরুত্বারোপ করেন। তিনি কাতারের ব্যবসায়ীদের বাংলাদেশে বিনিয়োগ এবং দেশের বিভিন্ন অর্থনৈতিক অঞ্চলে তাদের কারখানা স্থানান্তর করার আহ্বান জানান।

বাংলাদেশ এখন ব্যবসার জন্য প্রস্তুত উল্লেখ করে অধ্যাপক ইউনূস বলেন, ‘আমরা চাই কাতারের ব্যবসায়ীরা এখানে সম্ভাবনা অন্বেষণ করুক।

’ তিনি জানান, আগামী এপ্রিলের শুরুতে বাংলাদেশ একটি বিনিয়োগ সম্মেলন আয়োজন করবে।

রাষ্ট্রদূত বিনিয়োগ আমন্ত্রণের প্রশংসা করে বলেন, কাতারের আরো বেশি ব্যবসায়ী খুব শিগগিরই বাংলাদেশ সফর করবে বলে তিনি আশা করছেন। 

সাক্ষাৎকালে অধ্যাপক ইউনূস তার সরকারের সংস্কার কর্মসূচি এবং রাজনৈতিক দলগুলোর সঙ্গে সংলাপের জন্য গঠিত ঐকমত্য কমিশনের কার্যক্রম তুলে ধরেন।

ড. ইউনূস জানান, আগামী মাসে তিনি কাতার সফরে যাবেন, সেখানে গ্যাসসমৃদ্ধ উপসাগরীয় দেশটিতে একটি আন্তর্জাতিক সম্মেলনে যোগ দেবেন।

প্রাসঙ্গিক
মন্তব্য

কেনা হচ্ছে ২ কার্গো এলএনজি

অনলাইন ডেস্ক
অনলাইন ডেস্ক
শেয়ার
কেনা হচ্ছে ২ কার্গো এলএনজি
সংগৃহীত ছবি

দেশের ক্রমবর্ধমান চাহিদা মেটাতে দুই কার্গো এলএনজি কেনার প্রস্তাব অনুমোদন দিয়েছে সরকার।

মঙ্গলবার (১৮ মার্চ) সচিবালয়ে অর্থ উপদেষ্টা সালেহউদ্দিন আহমেদের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত সরকারি ক্রয়সংক্রান্ত উপদেষ্টা পরিষদ কমিটির বৈঠকে এই এলএনজি আমদানির প্রস্তাব অনুমোদিত হয়। বৈঠক সূত্রে এ তথ্য জানা গেছে।

জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ বিভাগের প্রস্তাবের ভিত্তিতে সরকার যুক্তরাজ্যের মেসার্স টোটালএনার্জিস গ্যাস অ্যান্ড পাওয়ার লিমিটেড থেকে আন্তর্জাতিক কোটেশন সংগ্রহ প্রক্রিয়ায় স্পট মার্কেট হতে প্রায় ৬৯৪ কোটি ৪৭ লাখ টাকায় এক কার্গো এলএনজি ক্রয় করবে।

 প্রতি একক এলএনজির মূল্য হবে ১৪.৪৮ মার্কিন ডলার।

জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ বিভাগের আরেক প্রস্তাবের পরিপ্রেক্ষিতে সরকার যুক্তরাজ্যের মেসার্স টোটালএনার্জিস গ্যাস অ্যান্ড পাওয়ার লিমিটেড থেকে আন্তর্জাতিক কোটেশন সংগ্রহ প্রক্রিয়ায় স্পট মার্কেট হতে প্রায় ৬৮২ কোটি টাকায় এক কার্গো এলএনজি ক্রয় করবে। প্রতি একক এলএনজির দাম হবে ১৪ দশমিক ২২ মার্কিন ডলার।

২০১৭ সালের মাঝামাঝি সময়ে তৎকালীন সরকার আন্তর্জাতিক স্পট মার্কেট থেকে এলএনজি আমদানির জন্য আগ্রহী বিক্রেতা বা সরবরাহকারীদের তালিকা চেয়ে বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করে।

এতে সাড়া দিয়ে ২৯টি প্রতিষ্ঠান অংশ নেয়। তাদের মধ্য থেকে ১৭টির সঙ্গে প্রথম দফায় মাস্টার সেল অ্যান্ড পারচেজ অ্যাগ্রিমেন্ট (এমএসপিএ) অনুস্বাক্ষর করা হয়।

তবে আইনি পরীক্ষা-নিরীক্ষার (ভেটিং) পর অর্থনৈতিক বিষয়সংক্রান্ত মন্ত্রিসভা কমিটি পেট্রোবাংলার সঙ্গে এমএসপিএ স্বাক্ষরের অনুমোদন দেওয়া হয় ১৪টি প্রতিষ্ঠানকে। পরে প্রতিষ্ঠানের সংখ্যা অবশ্য ২৩টিতে উন্নীত হয়।

টোটাল এনার্জিস গ্যাস অ্যান্ড পাওয়ার সেই ২৩টিরই একটি।

প্রাসঙ্গিক
মন্তব্য

অপতথ্য রোধে মার্কিন সিনেটরের সহায়তা চাইলেন প্রধান উপদেষ্টা

অনলাইন ডেস্ক
অনলাইন ডেস্ক
শেয়ার
অপতথ্য রোধে মার্কিন সিনেটরের সহায়তা চাইলেন প্রধান উপদেষ্টা
সংগৃহীত ছবি

সংখ্যালঘু নির্যাতনসহ ভুল তথ্য ছড়ানো নিয়ে মার্কিন সিনেটর গ্যারি পিটার্সের সহায়তা চেয়েছেন প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক মুহাম্মদ ইউনূস।

মঙ্গলবার (১৮ মার্চ) রাষ্ট্রীয় অতিথি ভবন যমুনায় মার্কিন সিনেটর গ্যারি পিটার্স সাক্ষাৎ করতে এলে প্রধান উপদেষ্টা এ কথা বলেন। ঘণ্টাব্যাপী বৈঠকে দুই নেতা পারস্পরিক স্বার্থসংশ্লিষ্ট বিষয় এবং বন্ধুত্বপূর্ণ দুই দেশের মধ্যে সম্পর্ক আরো গভীর করার উপায় নিয়ে আলোচনা করেন।

সিনেটর পিটার্স বলেন, ডেট্রয়েট শহরসহ মিশিগানে তার নির্বাচনী এলাকায় অনেক বাংলাদেশি বংশোদ্ভূত বসবাস করেন।

তাদের কেউ কেউ সাম্প্রতিক সময়ে সংখ্যালঘুদের ওপর হামলার ঘটনায় উদ্বেগ প্রকাশ করেছেন।

তিনি বলেন, সংখ্যালঘু নির্যাতন নিয়েও ব্যাপক ভুল তথ্য ছড়ানো হয়েছে। এই ভুল তথ্যের কিছু মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে ছড়িয়ে পড়েছে, যা সংখ্যালঘু গোষ্ঠীর মধ্যে উদ্বেগ বাড়িয়ে তুলেছে।

এ বিষয়ে ড. ইউনূস বলেন, ‘ধর্ম-বর্ণ, জাতি-লিঙ্গ-নির্বিশেষে দেশের প্রতিটি নাগরিকের মানবাধিকার সমুন্নত রাখতে তার সরকার অঙ্গীকারবদ্ধ।

তিনি বলেন, ‘গত বছরের আগস্টে দেশের রাজনৈতিক পটপরিবর্তনের পর সংখ্যালঘুদের, বিশেষত হিন্দুদের ওপর আক্রমণগুলো রাজনৈতিক ছিল, ধর্মীয় উদ্দেশ্যপ্রণোদিত ছিল না, তবে তার সরকার দোষীদের বিরুদ্ধে দ্রুত ব্যবস্থা নিয়েছে।’

প্রফেসর ইউনূস মার্কিন সিনেটরকে বাংলাদেশের বিভিন্ন শহর পরিদর্শন এবং অন্যান্য মার্কিন রাজনৈতিক নেতা, সাংবাদিক ও কর্মীদের বাংলাদেশ সফরের আমন্ত্রণ জানান।

তিনি বলেন, ‘আপনাদের সাহায্য আমাদের দরকার। আপনার সহকর্মীদের বাংলাদেশ ভ্রমণ করতে বলুন।

আমরা একসঙ্গে ভুল তথ্য প্রচার মোকাবেলা করতে পারি।’

মার্কিন সিনেটর পিটার্স অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের সংস্কার উদ্যোগ, মূল কমিশনগুলোর প্রতিবেদন এবং অবাধ ও সুষ্ঠু নির্বাচন অনুষ্ঠানের জন্য অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের পরিকল্পনা সম্পর্কে জিজ্ঞাসা করেন।

এ সময় অধ্যাপক মুহাম্মদ ইউনূস বলেন, ‘রাজনৈতিক দলগুলো কম সংস্কারে সম্মত হলে চলতি ডিসেম্বরে নির্বাচন। তবে দলগুলো যদি সরকারের কাছ থেকে সংস্কারের আরো বড় প্যাকেজ চায় তবে কয়েক মাস পরে সাধারণ নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে।’

তিনি বলেন, ‘উৎসবমুখর পরিবেশে আগামী নির্বাচন অবাধ ও সুষ্ঠু হবে।

নির্বাচনের দিন বড় রকমের উৎসব হবে, যেমনটা আমরা অতীতে দেখেছি।’

ড. ইউনূস বলেন, ‘কমিশনগুলোর প্রস্তাবিত সংস্কারের ব্যাপারে রাজনৈতিক দলগুলো একমত হলে তারা জুলাই সনদে সই করবে।’ এই জুলাই সনদ দেশের ভবিষ্যৎ গতিপথ নির্ধারণ করবে বলেও জানান তিনি।

সিনেটর পিটার্স সরকারের সংস্কার এজেন্ডার প্রশংসা করে বলেন, ‘যুক্তরাষ্ট্র বাংলাদেশে একটি মসৃণ গণতান্ত্রিক উত্তরণ প্রত্যাশা করছে।’

বৈঠকে দুই নেতা সামাজিক ব্যবসা, দারিদ্র্যমুক্ত বিশ্ব এবং যুক্তরাষ্ট্র ও বিশ্বের অন্যান্য দেশে দারিদ্র্যের বিরুদ্ধে লড়াইয়ের হাতিয়ার হিসেবে ক্ষুদ্রঋণ নিয়েও আলোচনা করেন।

মন্তব্য
৩৭তম বিসিএস প্রশাসন ক্যাডার অ্যাসোসিয়েশনের কমিটি

তাছবীর সভাপতি, নাছিম সম্পাদক

বিশেষ প্রতিনিধি
বিশেষ প্রতিনিধি
শেয়ার
তাছবীর সভাপতি, নাছিম সম্পাদক
সংগৃহীত ছবি

৩৭তম বিসিএস প্রশাসন ক্যাডার অ্যাসোসিয়েশনের নতুন কমিটি গঠিত হয়েছে। নতুন কমিটিতে সভাপতি হয়েছেন ঢাকা জেলা প্রশাসকের কার্যালয়ের সিনিয়র সহকারী কমিশনার মো. তাছবীর হোসেন ও সাধারণ সম্পাদক নির্বাচিত হয়েছেন গলাচিপা উপজেলার সহকারী কমিশনার (ভূমি) মো. নাছিম রেজা।

আরো পড়ুন
ভোটের অধিকার প্রতিষ্ঠায় প্রয়োজনে আবারও লড়াই করব : শহিদুল ইসলাম বাবুল

ভোটের অধিকার প্রতিষ্ঠায় প্রয়োজনে আবারও লড়াই করব : শহিদুল ইসলাম বাবুল

 

মঙ্গলবার (১৮ মার্চ) রাজধানীর বিয়াম মিলনায়তনে ৩৭তম বিসিএস প্রশাসন ক্যাডারের সদস্যেদের উপস্থিতিতে এই নতুন কমিটি ঘোষণা করা হয়েছে। আংশিক এই কমিটিতে সহসভাপতি হিসেবে নির্বাচিত হয়েছেন রেলপথ মন্ত্রণালয়ের সিনিয়র সহকারী সচিব কাসপিয়া তাসরিন।

কোষাধ্যক্ষ হয়েছেন নান্দাইল উপজেলার সহকারী কমিশনার (ভূমি) ফয়জুর রহমান।

এ ছাড়া মুন্সীগঞ্জে সিনিয়র সহকারী কমিশনার কায়েসুর রহমানকে যুগ্ম সম্পাদক ও পাংশার সহকারী কমিশনার (ভূমি) আমিনুল ইসলামকে দপ্তর সম্পাদক হিসেবে নির্বাচন করা হয়েছে।

গণমাধ্যমে পাঠানো এক বিজ্ঞপ্তিতে সংগঠনটির পক্ষ থেকে বলা হয়েছে, অতি শিগগির পূর্ণাঙ্গ কমিটি গঠন করা হবে।

প্রাসঙ্গিক
মন্তব্য

সর্বশেষ সংবাদ