এখন তো আমি বাংলাদেশেরই হয়ে গেছি

রানা শেখ, হবিগঞ্জ থেকে
রানা শেখ, হবিগঞ্জ থেকে
শেয়ার
এখন তো আমি বাংলাদেশেরই হয়ে গেছি
বাংলাদেশের পতাকা হাতে হামজা। ছবি : সংগৃহীত

ওসমানী বিমানবন্দর থেকে তাঁকে নিয়ে কালো রঙের প্রাডো গাড়িটা ছুটতেই একটু দম ফেলার ফুরসত মিলল হামজা চৌধুরীর। এর আগে সিলেটে নামার পর থেকে পুরো সময়টাই তো মানুষের ভিড়ে নিজেকে হারিয়ে খুঁজেছেন বাংলাদেশের হয়ে মাঠ দাপানোর অপেক্ষায় থাকা এই ফুটবলার।

হামজা এবং তাঁর পরিবারের গন্তব্য হবিগঞ্জ জেলার বাহুবল থানার স্নানঘাট গ্রামের নিজ বাসভবনের পথে ছুটতে থাকা গাড়ি অবশ্য বিমানবন্দর ছেড়ে আসার ৪০ মিনিট পর আচমকা এক যাত্রাবিরতিও নিল। সঙ্গে সঙ্গে সেখানে থেমে গেল হামজাকে অনুসরণ করা বাংলাদেশ ফুটবল ফেডারেশনের (বাফুফে) একটি গাড়িও।

একই সমান্তরালে অন্য একটি গাড়িতে থাকা কালের কণ্ঠের প্রতিবেদকেরও না থেমে উপায় কী! নেমে জানা গেল, হামজা এবং তাঁর পরিবারের জন্য খাবারদাবার তোলা হয়েছিল বাফুফের গাড়িতে। সন্তানের ক্ষুধা লেগে যাওয়ায়ই ক্ষণিকের যাত্রাবিরতি নেওয়ায় হামজাকে এই সুযোগে পাওয়া গেল একান্তে। ক্রীড়া সাংবাদিক পরিচয় দিতেই সিলেটি টানের বাংলায় হামজার জিজ্ঞাসা, ‘ভালো আছেন?’ কুশল বিনিময় থেকেই এগোতে শুরু করে আলাপ। আলাপে আলাপে বাংলাদেশের হয়ে ক্যারিয়ার শুরুর লগ্নে তাঁর ভাবনাই শুধু নয়, জানা হয় হবিগঞ্জের দূর গ্রামে হামজার ‘চ্যারিটি’র গল্পও।

কালের কণ্ঠের পাঠকদের জন্য সেই আলাপের বিস্তারিত  

প্রশ্ন : এর আগেও আপনি বাংলাদেশে এসেছেন। কিন্তু এবার এলেন বাংলাদেশের হয়ে খেলতে। কেমন লাগছে?

হামজা চৌধুরী : এখানে আসতে পেরে অনেক ভালো লাগছে। এখানে আমি বারবার আসতে চাই।

এখন তো আমি বাংলাদেশেরই হয়ে গেছি। ইনশাআল্লাহ আরো অনেকবার আসব।

প্রশ্ন : বিমানবন্দরে এত এত ভালোবাসা পেলেন। কথাই বলতে পারলেন না...।

হামজা চৌধুরী : সত্যি, অনেক ভালো লাগা কাজ করছে।

আমি রোমাঞ্চিত। বাংলাদেশের মানুষ আমাকে অনেক ভালোবাসে। এই অনুভূতি অন্য রকম। আমি বাংলাদেশের মানুষের এই ভালোবাসার প্রতিদান দিতে চাই।

প্রশ্ন: প্রতিদান কিভাবে দিতে চান?

হামজা চৌধুরী : আমার লক্ষ্য থাকবে বাংলাদেশকে এশিয়ান কাপের মূল পর্বে নিয়ে যাওয়া। এরপর এই দেশের ফুটবলের শক্ত ভিত গড়ে দিতে চাই। সবার মধ্যে ভালো করার মানসিকতা ঢুকিয়ে দিতে পারলে ভালো কিছু করা সম্ভব। আশা করি, আমি সাহায্য করতে পারব।

প্রশ্ন : ভারতের বিপক্ষে বাংলাদেশের ম্যাচ। জেতার ব্যাপারে কতটুকু আশাবাদী?

হামজা চৌধুরী : ইনশাআল্লাহ আমরা জিতব। কোচের সঙ্গে আমার কথা হয়েছে। অনেক বিষয় নিয়ে আলোচনা করেছি। আমরা যদি ঠিকঠাক খেলতে পারি তাহলে জিতে ফিরব। সেই বিশ্বাস আমার আছে।

প্রশ্ন : বাংলাদেশের ফুটবলাররা আপনার সঙ্গে খেলার জন্য খুব আগ্রহ নিয়ে অপেক্ষা করছেন। এটা কি আপনি জানেন?

হামজা চৌধুরী : হ্যাঁ, শুনেছি। তাঁদের সঙ্গে খেলতে আমি নিজেও উত্সুক হয়ে আছি। আশা করি, আমরা সবাই মিলে ভালো একটা ফলই এনে দিতে পারব।

প্রশ্ন : পুরো পরিবার নিয়ে এসেছেন। বাংলাদেশের জার্সিতে খেলবেন বলে তারা কতটা রোমাঞ্চিত?

হামজা চৌধুরী : অনেক রোমাঞ্চিত। আগে তো শুধু আমি একা এসে গ্রামে ঘুরে যেতাম। এবার আমার স্ত্রী ও বাচ্চাদের নিয়ে এসেছি। ওরা বাংলাদেশের প্রাকৃতিক দৃশ্য দেখতে চেয়েছে। যদিও আমরা খুব কম সময় নিয়ে এসেছি।

প্রশ্ন : শুনেছি, আপনার অর্থায়নে গ্রামে একটি মাদরাসা চলে। কোন ভাবনা থেকে এই উদ্যোগ?

হামজা চৌধুরী : আল্লাহ খুশি হবেন বলে। আমার খুব ভালো লাগে। বাচ্চাদের আমি খুব ভালোবাসি।

প্রশ্ন : এখন তো রোজার মাস চলছে। কিভাবে ফিটনেস ধরে রাখার কাজ করেন?

হামজা চৌধুরী : বিশেষ কিছু করা হয় না। সাধারণত যা যা করি, এখনো তা-ই করি। ঘুম, নামাজ, অনুশীলন ও ম্যাচ; খেলেই নিজেকে ফিট রাখি।

প্রশ্ন : আপনার দল শেফিল্ড ইউনাইটেড প্রিমিয়ার লিগে ওঠার পথে অনেকটা এগিয়ে গেছে। কতটা আশাবাদী আপনি?

হামজা চৌধুরী : এই দলে খেলতে পেরে নিজেকে ভাগ্যবান মনে করছি। খুব ভালো কাটছে আমার সময়। ইনশাআল্লাহ, আমরা ধারাবাহিকতা ধরে রেখে প্রিমিয়ার লিগে খেলতে পারব।

প্রাসঙ্গিক
মন্তব্য

সম্পর্কিত খবর

শান্তর সেঞ্চুরিতে আবাহনীর টানা পঞ্চম জয়

ক্রীড়া ডেস্ক
ক্রীড়া ডেস্ক
শেয়ার
শান্তর সেঞ্চুরিতে আবাহনীর টানা পঞ্চম জয়
এবারের ডিপিএলে প্রথম সেঞ্চুরি পেয়েছেন শান্ত। সৌজন্য ছবি

দীর্ঘদিন ধরেই নামের মতোই শান্ত ছিল নাজমুল হোসেন শান্তর ব্যাট। তবে আজ হেসেছে তার ব্যাট। লিজেন্ড অব রূপগঞ্জের বিপক্ষে দুর্দান্ত এক সেঞ্চুরি হাঁকিয়ে আবাহনী লিমিটেডকেও এনে দিয়েছেন দারুণ জয়। আগের ৪ ইনিংসে কোনোটিতেই ফিফটির দেখা পাননি তিনি।

আবাহনীর টানা পঞ্চম জয়টি এসেছে ৪ উইকেটের। ডিপিএলের প্রথম ম্যাচ হার দিয়ে শুরু করলেও এরপর আর কোনো ম্যাচ হারেনি তারা। তবে দল দুর্দান্ত ছন্দে থাকলেও সামনে থেকে নেতৃত্ব দিতে পারছিলেন না শান্ত। আজ বড় লক্ষ্য তাড়া করতে নেমে অধিনায়কের দায়িত্বটাই পালন করলেন তিনি।

বিকেএসপির ৩ নম্বর মাঠে ২৯৩ রান তাড়া করতে নেমে অবশ্য শুরুতেই ধাক্কা খেয়েছিল আবাহনী। ইনিংসের দ্বিতীয় বলেই ‘গোল্ডেন ডাক’ মারেন ওপেনার পারভেজ হোসেন ইমন। উইকেটে এসে আরেক ওপেনার জিসান আলমের সঙ্গে শুধু শুরুর ধাক্কাই সামলালেন না শান্ত, জয়ের ভিতও গড়ে দেন তিনি। 

ব্যক্তিগত ৪৩ রানে যখন জিশান আউট হন তখন দুজনের জুটি দাঁড়ায় ১০৭ রানের।

সেঞ্চুরির জুটির পর মোহাম্মদ মিঠুন (৩৪) ও মোসাদ্দেক হোসেন সৈকতের (১৯) সঙ্গে দুটি পঞ্চাশ রানের জুটি গড়ে তবেই থেমেছেন শান্ত। তাদের সঙ্গে জুটি গড়ার পথে লিস্ট ‘এ’ ক্যারিয়ারের ১৮তম সেঞ্চুরি তুলে নিয়েছেন তিনি। ১২ চার ও ২ ছক্কায় ১০১ রানে যখন থামলেন আবহনীর জয়ের জন্য তখন প্রয়োজন ৮৭ রান। শেষ দিকে সেই সমীকরণটা মেলান দুই অপরাজিত ব্যাটার মমিনুল হক (৩৫) ও মাহফিজুর রহমান রাব্বি (৩১)। দুজনের মাঝে ১৮ রানের ইনিংস খেলে আউট হয়েছেন এসএম মেহেরব হাসান।

এর আগে সাইফ হাসান ও মাহমুদুল হাসান জয়ের ফিফটিতে ৬ উইকেটে ২৯২ রান করেছিল রূপগঞ্জ। ওপেনার সাইফের ৬৭ রানের বিপরীতে ৫৮ রান করেন জয়।

বিজয়ের সেঞ্চুরিতে জিতেছে গাজী গ্রুপ

শান্তর মতোই আজ গাজী গ্রুপ ক্রিকেটার্সকে সামনে থেকে নেতৃত্ব দিয়েছেন এনামুল হক বিজয়। তার দুর্দান্ত সেঞ্চুরিতে ভর করেই ৬৫ রানের জয় পেয়েছে গাজী গ্রুপ। 

এতে টানা চার ম্যাচ জয়ের পর হার দেখল মোহামেডান স্পোর্টিং ক্লাব। ৩৩৭ রানের বড় লক্ষ্য তাড়া করতে নেমে অবশ্য দারুণ শুরু করেছিলেন দুই ওপেনার তামিম ইকবাল ও রনি তালুকদার। দুজনে মিলে ৭৪ রানের জুটি গড়েন। ৪৫ রানে অধিনায়ক তামিম আউট হলে মোহামেডানের ছন্দপতন ঘটে। কেননা বাঁহাতি ওপেনারের পর পরেই ৩ রানে বিদায় নেন মাহিদুল ইসলাম অঙ্কনও।

তবে অন্য প্রান্তে নিজের সহজাত ব্যাটিং করে যাচ্ছিলেন দলের হয়ে সর্বোচ্চ রানের ইনিংস খেলা রনি। তাওহিদ হৃদয়ের (৩৬) সঙ্গে তৃতীয় উইকেটে ৮০ রানের জুটি গড়ে আবারো ম্যাচের নিয়ন্ত্রণ নেওয়ার চেষ্টা করছিলেন রনি। তবে ১১ রানের ব্যবধানে দুজনই বিদায় নিলে আর ম্যাচে ফেরা হয়নি মোহামেডানের। শেষ দিকে ৪৯ রানের ইনিংস খেলে শুধু পরাজয়ের ব্যবধানটাই কমিয়েছেন মুশফিকুর রহিম।

টানা পঞ্চম জয় পাওয়ার আগে লিস্ট ‘এ’ ক্যারিয়ারের ২১তম সেঞ্চুরি তুলে নেন বিজয়। তার অপরাজিত ১৪৯ রানের ইনিংসে ৩৩৬ রানের সংগ্রহ পায় গাজী গ্রুপ। ইনিংসটি সাজান ৪ ছক্কা ও ১২ চারে। দলের সংগ্রহে অবশ্য অবদান রেখেছেন জোড়া ফিফটি করা সাদিকুর রহমান (৬০) ও তোফায়েল আহমেদ (৬৩)। মোহামেডানের হয়ে সর্বোচ্চ ৩ উইকেট নেওয়া তাসকিন আহমেদ আজ লিস্ট ‘এ’ ক্রিকেটে সর্বোচ্চ ১০৭ রান দেওয়ার বিব্রতকর রেকর্ড গড়েছেন।

জয়ে ফিরেছে প্রাইম ব্যাংক

সর্বশেষ টানা দুই ম্যাচে হারের মুখ দেখে প্রাইম ব্যাংক ক্রিকেট ক্লাব। আজ অবশ্য হ্যাটট্রিক হার নয়, জয়ে ফিরেছে তারা। প্রতিপক্ষ ধানমণ্ডি স্পোর্টস ক্লাবের বিপক্ষে ৫৫ রানে জয়ে ফিরেছে তারা।

প্রথমে ব্যাটিং করে ৩০৮ রানের বড় সংগ্রহ দাঁড় করায় প্রাইম ব্যাংক। চার ব্যাটার ফিফটি পেলেও কেউই সেঞ্চুরি করতে পারেননি। ফিফটি করা ব্যাটাররা হচ্ছেন-সাব্বির হোসেন (৫০), জাকির হাসান (৬৪), ইরফান শুক্কুর (৫৬*) ও শামীম হোসেন পাটোয়ারী (৬২*)। 

লক্ষ্য তাড়া করতে নেমে ২৫৩ রানে থেমে যায় ধানমণ্ডির ইনিংস। দলের হয়ে সর্বোচ্চ ৭৯ রানের ইনিংস খেলেন ফজলে মাহমুদ রাব্বি। প্রতিপক্ষকে অল্পতে আটকাতে ৩টি করে উইকেট নিয়েছেন হাসান মাহমুদ ও আরাফাত সানি।

মন্তব্য

বাংলাদেশের ক্রিকেটে ৪০০ রানের বিরল রেকর্ড মুস্তাকিমের

ক্রীড়া ডেস্ক
ক্রীড়া ডেস্ক
শেয়ার
বাংলাদেশের ক্রিকেটে ৪০০ রানের বিরল রেকর্ড মুস্তাকিমের
যেকোনো পর্যায়ে ৪০০ রান করা বাংলাদেশের প্রথম ব্যাটার মুস্তাকিম। ছবি : বিসিবি

বিরল এক রেকর্ড গড়েছেন মুস্তাকিম হাওলাদার। যেকোনো পর্যায়ে যেকোনো সংস্করণে ৪০০ রানের ইনিংস খেলার রেকর্ড নেই বাংলাদেশের কোনো ব্যাটার। সেই আক্ষেপ এবার ঘুচিয়েছেন মুস্তাকিম।

স্কুল ক্রিকেটে কোয়াড্রপল হাঁকিয়েছেন মুস্তাকিম।

ওয়ানডে সংস্করণের ক্রিকেটে রেকর্ডটি গড়েছেন সেন্ট গ্রেগরিস স্কুল অ্যান্ড কলেজের বিপক্ষে। ওপেনিংয়ে নেমে ৪০৩ রানে অপরাজিত থাকেন ক্যামব্রিয়ান স্কুল অ্যান্ড কলেজের এই ব্যাটার। ১৭০ বলের ইনিংসটি সাজিয়েছেন ৫০ চার ও ২২ ছক্কায়। ব্যাটিং করেছেন ৪ ঘণ্টা ২০ মিনিট।

মুস্তাকিমের ৪০০ রানের রেকর্ডের দিনে ডাবল সেঞ্চুরি পেয়েছেন দলের অধিনায়ক সোয়াদ পারভেজ। ৩২ চার ও ১৩ ছক্কায় ২৫৬ রানে অপরাজিত থাকেন পারভেজ। তাদের তাণ্ডবের দিনে ২ উইকেটে ৭৭০ রানের পাহাড় গড়ে ক্যামব্রিয়ান।

লক্ষ্য তাড়া করতে নেমে ৩২ রানে অলআউট হয় সেন্ট গ্রেগরিস।

দলের হয়ে সর্বোচ্চ অপরাজিত ১০ রান করেন শেষ ব্যাটার অপূর্ব বাড়োই। মোট ব্যাটারের মধ্যে ৭ জনই ডাক মেরেছেন। হাসান হৃদয়ের ৬ উইকেটের বিপরীতে ৪ উইকেট নিয়েছেন অধিনায়ক পারভেজ। এতে ৭৩৮ রানের জয় পায় ক্যামিব্রিয়ান।

দেশের ক্রিকেটে আগের সর্বোচ্চ ব্যক্তিগত ইনিংস ছিল ৩৩৪ রানের।

মিরপুরে রেকর্ডটি গড়েন তামিম ইকবাল। ২০২০ সালে প্রথম শ্রেণির ম্যাচে ওয়ালটন মধ্যাঞ্চলের বিপক্ষে রেকর্ডটি গড়েন ইসলামী ব্যাংক পূর্বাঞ্চলের হয়ে খেলা তামিম। ৪২৬ বলের ইনিংসটি সাজিয়েছিলেন ৪২ চার ও ৩ ছক্কায়। তামিমের আগে প্রথম ব্যাটার হিসেবে ত্রিপল সেঞ্চুরি করেন রকিবুল হাসান। ২০০৭ সালে সিলেট বিভাগের বিপক্ষে ৩১৩ রানের ইনিংস খেলেছিলেন বরিশাল বিভাগের হয়ে।

মন্তব্য

চ্যাম্পিয়ন ওয়াদিফা এখন আন্তর্জাতিক মহিলা মাস্টার, খেলবেন বিশ্বকাপও

ক্রীড়া ডেস্ক
ক্রীড়া ডেস্ক
শেয়ার
চ্যাম্পিয়ন ওয়াদিফা এখন আন্তর্জাতিক মহিলা মাস্টার, খেলবেন বিশ্বকাপও
এশিয়ান জোনালে চ্যাম্পিয়ন হয়ে আন্তর্জাতিক মহিলা মাস্টার হয়েছেন ওয়াদিফা। ছবি : সংগৃহীত

আন্তর্জাতিক মহিলা মাস্টার রানী হামিদের সঙ্গে ড্র করেই হ্যাটট্রিক সুখবর পান ওয়াদিফা আহমেদ। শ্রীলঙ্কার কলম্বোয় এশিয়ান জোনাল দাবা চ্যাম্পিয়নশিপের মহিলা বিভাগে চ্যাম্পিয়ন তো হয়েছেনই সঙ্গে আরো দুটি সুসংবাদ পেয়েছেন তিনি।

চ্যাম্পিয়ন হওয়ায় ফিদে মাস্টার থেকে আন্তর্জাতিক মহিলা মাস্টার হওয়ার গৌরব অর্জন করেছেন ওয়াদিফা। সঙ্গে আগামী মহিলা বিশ্বকাপে খেলার টিকিটও পেয়েছেন দশম শ্রেণিরর ছাত্রী।

আগামী ৫ জুলাই জর্জিয়া হবে মহিলা দাবার বিশ্বকাপ।

নিয়ম অনুযায়ী, মহিলা আন্তর্জাতিক মাস্টার হতে ২২০০ রেটিং ও তিনটি নর্ম প্রয়োজন হয়। তবে এশিয়ান জোনাল কিংবা বিশ্বকাপ বাছাইয়ে ফিদে মাস্টারের কেউ চ্যাম্পিয়ন হলে তখন সরাসরি মহিলা আন্তর্জাতিক মাস্টারের খেতাব পাওয়া যায়। তখন নর্ম পূরণের শর্ত তো থাকেই না সঙ্গে রেটিং ২২০০ থেকে কমে ২০০০ হয়ে যায়।

চ্যাম্পিয়ন ওয়াদিফার এখন রেটিং ২০৯১।

ওয়াদিফার আগেই বাংলাদেশের আরো তিনজন আন্তর্জাতিক মহিলা মাস্টার হয়েছেন। সেই তিনজনের প্রথমজন রানী হামিদের সঙ্গে আজ ড্র করে তার পাশে বসার সুযোগ পেয়েছেন ওয়াদিফা। আর বাকি দুজন হচ্ছেন শামীমা সুলতানা ও শিরিন সুলতানা।

তবে এখন পর্যন্ত কেউই মহিলা গ্র্যান্ড মাস্টার হওয়ার খেতাব পাননি।

মন্তব্য

বিজয়ের সেঞ্চুরির ম্যাচে তাসকিনের বিব্রতকর রেকর্ড

ক্রীড়া ডেস্ক
ক্রীড়া ডেস্ক
শেয়ার
বিজয়ের সেঞ্চুরির ম্যাচে তাসকিনের বিব্রতকর রেকর্ড
বিজয়ের সেঞ্চুরির ম্যাচে তাসকিনের বিব্রতকর রেকর্ড। সৌজন্য ছবি

রেকর্ড গড়তে সবাই ভালোবাসেন। তবে বিব্রতকর রেকর্ডে কেউই চান না নিজের নাম দেখতে। নিশ্চয়ই তাসকিন আহমেদও চাননি। তবে না চাইলেও আজ বিব্রতকর এক রেকর্ডে নাম লিখিয়েছেন বাংলাদেশি পেসার।

লিস্ট ‘এ’ ক্রিকেটে সেঞ্চুরির রেকর্ড গড়েছেন তাসকিন। সেঞ্চুরি অবশ্য ব্যাটিংয়ে নয়, বোলিংয়ে করেছেন তিনি। আজ গাজী গ্রুপ ক্রিকেটার্সের বিপক্ষে ১০৭ রানে দিয়ে বিব্রতকর রেকর্ড গড়েছেন তিনি। বোলিং কোটা পূরণ করে ৩ উইকেট পেলেও বাংলাদেশের আর কোনো বোলার মোহামেডানের পেসারের চেয়ে বেশি রান দেননি।

আগের রেকর্ডটি ছিল যৌথভাবে দুই পেসারের দখলে। তারা হচ্ছেন শাহাদাত হোসেন ও ইকবাল হোসেন। দুজনই ১০৪ রান খরচ করেছিলেন। ২০১০ সালে দক্ষিণ আফ্রিকার ‘এ’ দলের বিপক্ষে শাহাদাত দিলেও গত বছর ডিপিএলে তার পাশে বসেন ইকবাল।

আবাহনীর বিপক্ষে বিব্রতকর রেকর্ডটি গড়েছিলেন গাজী টায়ার্স ক্রিকেট একাডেমির পেসার। এবার দুই হোসেনকেই মুক্তি দিলেন তাসকিন।

তাসকিনের এমন বিব্রতকর রেকর্ডদের দিনে সেঞ্চুরি পেয়েছেন এনামুল হক বিজয়। গাজী গ্রুপের অধিনায়ক খেলেছেন ১৪৯ রানের অনবদ্য এক ইনিংস। লিস্ট ‘এ’ ক্যারিয়ারের ২১তম সেঞ্চুরির ইনিংসটি সাজিয়েছেন ১২ চার ও ৪ ছক্কায়।

তার সেঞ্চুরিতে রানের পাহাড় গড়েছে গাজী গ্রুপ। নির্ধারিত ওভার শেষে ৫ উইকেটে ৩৩৬ রান করেছে তারা। বড় সংগ্রহে জোড়া ফিফটি করেছেন সাদিকুর রহমান (৬০) ও তোফায়েল আহমেদ (৬৩)।

মন্তব্য

সর্বশেষ সংবাদ