সাবেক এমপি ছানোয়ার ১৯ দিনের রিমান্ডে

টাঙ্গাইল প্রতিনিধি
টাঙ্গাইল প্রতিনিধি
শেয়ার
সাবেক এমপি ছানোয়ার ১৯ দিনের রিমান্ডে
সংগৃহীত ছবি

টাঙ্গাইল-৫ (সদর) আসনের সাবেক সংসদ সদস্য ও জেলা আওয়ামী লীগের সহসভাপতি ছানোয়ার হোসেনকে চার মামলায় ১৯ দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেছেন আদালত। সোমবার (১৭ মার্চ) টাঙ্গাইল সদর আমলি আদালত একটি হত্যাসহ তিন মামলায় ১৩ দিন এবং মির্জাপুর আমলি আদালত একটি হত্যা মামলায় পাঁচ দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেন।

ছানোয়ারকে পাঁচটি মামলায় গ্রেপ্তার দেখিয়ে প্রতিটি মামলায় সাত দিন করে রিমান্ড চেয়ে টাঙ্গাইল সদর আমলি আদালতে হাজির করা হয়। টাঙ্গাইল সদর থানায় স্কুলছাত্র মারুফ হত্যা মামলা এবং আরো দুটি ভাঙচুর ও বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনকারীদের ওপর হামলার ঘটনায় করা মামলায় গ্রেপ্তার দেখানো হয়।

এ মামলাগুলোতে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য পুলিশ সাত দিন করে রিমান্ড আবেদন করে। শুনানি শেষে আদালতের বিচারক গোলাম মাহবুব খান মারুফ হত্যা মামলায় ও দ্রুত বিচার আইনে করা মামলায় পাঁচ দিন এবং বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনকারীদের ওপর হামলা মামলায় চার দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেন।

ছানোয়ারকে মির্জাপুর আমলি আদালতে হাজির করা হয়। এ সময় বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনে গুলিতে নিহত কলেজ ছাত্র মারুফ হত্যা মামলায় পুলিশ জিজ্ঞাসাবাদের জন্য সাত দিনের রিমান্ড আবেদন করে।

শুনানি শেষে আদালতের বিচারক মোছাম্মৎ রুমি খাতুন পাঁচ দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেন।  

টাঙ্গাইল সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) তানবীর আহম্মদ জানান, সোমবার থেকেই ছানোয়ারকে তারা জিজ্ঞাসাবাদ শুরু করবেন।  

ছানোয়ার ২০১৪ ও ২০১৮ সালে আওয়ামী লীগের মনোনয়ন পেয়ে টাঙ্গাইল-৫ (সদর) আসন থেকে সংসদ সদস্য নির্বাচিত হন। ২০২৪ সালের জাতীয় সংসদ নির্বাচনে তিনি দলীয় মনোনয়ন না পেয়ে স্বতন্ত্র প্রার্থী হিসেবে নির্বাচনে অংশ নিয়ে বিজয়ী হন।

শেখ হাসিনা সরকারের পতনের পর তিনি আত্মগোপনে চলে যান। ১৫ ফেব্রুয়ারি রাতে ঢাকা মহানগরীর ভাটারা এলাকা থেকে তাকে গ্রেপ্তার করা হয়। পরে ভাটারা থানায় একটি মামলায় তাকে রিমান্ডে নিয়ে পুলিশ জিজ্ঞাসাবাদ করে। তার পর থেকে কেরানীগঞ্জে কেন্দ্রীয় কারাগারে ছিলেন ছানোয়ার।

মন্তব্য

সম্পর্কিত খবর

‘তারেক রহমানের হাতেই দেশের স্বাধীনতা নিরাপদ’

নিজস্ব সংবাদদাতা, আনোয়ারা
নিজস্ব সংবাদদাতা, আনোয়ারা
শেয়ার
‘তারেক রহমানের হাতেই দেশের স্বাধীনতা নিরাপদ’
ছবি: কালের কণ্ঠ

বিএনপির জাতীয় নির্বাহী কমিটির সদস্য সাবেক সাংসদ সরওয়ার জামাল নিজাম বলেছেন, দিন দিন বিএনপির প্রতি মানুষের ভালোবাসা বৃদ্ধি পাচ্ছে। কারণ তারেক রহমানের হাতেই দেশের স্বাধীনতা-সার্বভৌমত্ব শক্তিশালী ও সুদৃঢ় হবে।

বাংলাদেশের মানুষ তারেক রহমানকে দেশে এনে ভোট দিয়ে নির্বাচিত করে সরকার গঠন করাবে। গত ১৫ বছর ফ্যাসিবাদী সরকার পার্শ্ববর্তী দেশের সঙ্গে আঁতাত করে এদেশের স্বাধীনতা সার্বভৌমত্বকে বিলীন করেছে।

তাই দেশের স্বাধীনতা রক্ষা করতে তারেক রহমানের হাতকে বিশ্বাস করতে হবে।

এসময় নির্বাচনের বিষয়ে তিনি বলেন, দেশের বিভিন্ন জায়গায় বিশৃঙ্খলা দেখা দিয়েছে। কিন্তু অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের পক্ষে তা নির্বাপণ করা সম্ভব হচ্ছে না। সব বিশৃঙ্খলা নির্বাচিত গণতান্ত্রিক সরকারের মাধ্যমেই সমাধান করা সম্ভব।

তাই দ্রুত নির্বাচনের রোডম্যাপ ঘোষণা করতে সরকারকে আহ্বান করেন তিনি।

মঙ্গলবার (১৮ মার্চ) চট্টগ্রামের তৈলারদ্বীপ এলাকায় বিএনপির কেন্দ্রীয় নির্দেশনা মোতাবেক আনোয়ারা উপজেলা বিএনপি ও অঙ্গসংগঠনের উদ্যোগে ইফতার ও দোয়া মাহফিলে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত হয়ে তিনি এসব কথা বলেন।

এসময় উপজেলা বিএনপির সাবেক সাধারণ সম্পাদক শফিউল আলম চৌধুরী জকুর সভাপতিত্বে উপজেলা যুবদলের সদস্য সচিব মো. ফারুকের সঞ্চালনায় সাবেক এমপিপুত্র শাহীন জামাল, উপজেলা বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম আহ্বায়ক এম মঞ্জুর উদ্দিন চৌধুরী, দক্ষিণ জেলা বিএনপির সদস্য আখতার নবী চৌধুরী, উপজেলা বিএনপির যুগ্ম আহ্বায়ক ভিপি মোজাম্মেল, দক্ষিণ জেলা যুবদলের সভাপতি মো. শাহজাহান, উপজেলা ছাত্রদলের সাবেক সভাপতি নজরুল ইসলাম।

এ ছাড়া বিএনপি নেতাদের মধ্যে ইকবাল করিম শিফু, মাসুদুল আলম, আব্দুর রহিম বাঙালি, মোহাম্মদ জাফর, আবদুল জলিল, মো. নুর আলী, মো. ফরিদ, আহমদ নুর, যুবদল নেতা রাশেদ আহমদ, নুরুল কবির, মো. লোকমান, মো. নিজাম প্রমুখ বক্তব্য রাখেন।

এদিন অনুষ্ঠানে বিভিন্ন ইউনিয়নের বিএনপি ও অঙ্গসংগঠনের কয়েক হাজার নেতাকর্মীরা উপস্থিত ছিলেন।

মন্তব্য

ফরিদপুরে হোটেল-রেস্তোরাঁয় মিলছে পচা-বাসি খাবার

ফরিদপুর প্রতিনিধি
ফরিদপুর প্রতিনিধি
শেয়ার
ফরিদপুরে হোটেল-রেস্তোরাঁয় মিলছে পচা-বাসি খাবার
ছবি: কালের কণ্ঠ

ফরিদপুরে রমজান মাসে হোটেল-রেস্তোরাঁয় সামনের সারিতে সাজিয়ে রাখা হয়েছে ইফতার সামগ্রী। সারি সারি পসরা দেখে লোভনীয় হয়ে পড়ে ভোক্তারা। এসব পসরার মধ্যে রয়েছে জিলাপিসহ বিভিন্ন খাবার সামগ্রী। রং বেরঙের পসরার মধ্যে বাসি-পচা খাবারের সন্ধান পেয়ে অভিযান পরিচালনা করেছে জেলা নিরাপদ খাদ্য কার্যালয়।

মঙ্গলবার (১৮ মার্চ) বিকেল ৫টার দিকে শহরের কয়েকটি রেস্তোরাঁ ও মিষ্টিপট্টিতে অভিযানে নেতৃত্ব দেন জেলা চিফ জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আসিফ এলাহি। অভিযানকালে নিরাপদ খাদ্য কর্মকর্তা মো. আজমুল ফুয়াদ রিয়াদসহ জেলা পুলিশের সদস্যরা উপস্থিত ছিলেন।

অভিযান সূত্রে জানা যায়, রমজান মাস উপলক্ষে শহরের প্রতিটি রেস্তোরাঁয় সামনে সারি সারিভাবে সাজানো রাখা হয়েছে শাহী জিলাপিসহ বিভিন্ন পসরা। গোপন সংবাদের ভিত্তিতে আজ বিকেলে শহরের বিভিন্ন হোটেল রেস্তোরাঁয় জেলা চিফ জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আসিফ এলাহি নিরাপদ খাদ্য কার্যালয় অভিযান পরিচালনা করেন।

 

এ সময় শহরের নিউমার্কেট সংলগ্ন সুলতানি ভোজ নামক হোটেলের ফ্রিজে পচা খাদ্যসামগ্রী পাওয়া যায়। এ ছাড়া আরো কয়েকটি হোটেল মিষ্টির দোকানে পচা-বাসিসহ খতিকারক খাদ্যসামগ্রী পায় অভিযানকারী দল। 

এ ছাড়া ভেজাল তেলে শাহী জিলাপি তৈরি করা হচ্ছে মর্মে তাৎক্ষণিক পরীক্ষায় প্রমাণ পাওয়া যায়। খাদ্যে ভেজাল, জিলাপির তেলে ভেজাল ও মিষ্টির দোকানে অস্বাস্থ্যকর পরিবেশ পাওয়ায় দুটি মিষ্টান্ন ভান্ডার ও একটি রেস্তোরাঁয় খাদ্য নিরাপদ আইনে তিনটি প্রতিষ্ঠানের বিরুদ্ধে নিয়মিত মামলা দিয়ে সতর্ক করা হয়েছে।

এর আগে গত ১২ মার্চ শহরের খন্দকার রেস্টুরেন্ট, নিউ স্টার কাবাব, খলিলের মিষ্টির দোকানে অভিযানে পচা-বাসি খাদ্যসামগ্রী পাওয়ায় ৪টি প্রতিষ্ঠানের বিরুদ্ধে মামলা হয়। অভিযানকালে খন্দকার হোটেল থেকে পচা মাংস ও বাসি শরবত জব্দ করা হয়।

এ ব্যাপারে জেলা খাদ্য নিরাপদ কর্মকর্তা মো. আজমুল ফুয়াদ রিয়াদ জানান, মানুষের নিরাপদ খাদ্য নিশ্চিতকরণে রমজান মাসে নিয়মিত মনিটরিংয়ের অংশ হিসেবে বিশুদ্ধ খাদ্য আদালত পরিচালনা করা হচ্ছে। আজ তিনটি প্রতিষ্ঠানের বিরুদ্ধে মামলা দিয়ে বাকি দুটিকে সতর্কতামূলক নোটিশ করা হয়েছে।

মন্তব্য

বাড়ি ফেরার পথে প্রাণ গেল শিক্ষার্থীর

আঞ্চলিক প্রতিনিধি গাজীপুর
আঞ্চলিক প্রতিনিধি গাজীপুর
শেয়ার
বাড়ি ফেরার পথে প্রাণ গেল শিক্ষার্থীর
প্রতীকী ছবি

টঙ্গীতে ট্রেনের ধাক্কায় সিয়াম (২০) নামের এক যুবক মারা গেছেন। মঙ্গলবার (১৮ মার্চ) টঙ্গীর বউ বাজার এলাকায় এই ঘটনা ঘটে। 

সিয়াম উত্তরা হাই স্কুল এন্ড কলেজের দশম শ্রেণীর শিক্ষার্থী। গাজীপুর জেলার কালিগঞ্জ উপজেলার ভাটিরা গ্রামের মো. মুজাহিদের ছেলে তিনি।

 

রেলওয়ে সূত্র জানায়, সিয়াম উত্তরায় কাজ শেষে বাড়ি ফেরার পথে বউ বাজার এলাকায় রেললাইন পার হওয়ার সময় দুর্ঘটনার শিকার হন। ঢাকা থেকে ছেড়ে আসা খুলনাগামী আন্তঃনগর চিত্রা এক্সপ্রেসের ধাক্কায় মারা যান তিনি।

আরো পড়ুন
মসজিদ থেকে টেনেহিঁচড়ে ৩ ভাইকে কুপিয়ে হত্যা : চিকিৎসাধীন আরো একজনের মৃত্যু

মসজিদ থেকে টেনেহিঁচড়ে ৩ ভাইকে কুপিয়ে হত্যা : চিকিৎসাধীন আরো একজনের মৃত্যু

নিহতের প্রতিবেশী আরিফ জানান, সিয়াম উত্তরা হাই স্কুল এন্ড কলেজের দশম শ্রেণীর শিক্ষার্থী। তিনি পড়াশোনার পাশাপাশি পল ওয়েল মার্কেটের নীচ তলায় নিজেদের চশমার দোকানে বসতেন।

টঙ্গী রেলওয়ে ফাড়ি পুলিশের উপপরিদর্শক (এসআই) মিজানুর রহমান জানান, ঢাকা থেকে ছেড়ে আসা চিত্রা এক্সপ্রেসের ধাক্কায় এক যুবক মারা গেছেন। এ বিষয়ে আইনগত ব্যবস্থা প্রক্রিয়াধীন।

মন্তব্য

মসজিদ থেকে টেনেহিঁচড়ে ৩ ভাইকে কুপিয়ে হত্যা : চিকিৎসাধীন আরো একজনের মৃত্যু

আঞ্চলিক প্রতিনিধি, মাদারীপুর
আঞ্চলিক প্রতিনিধি, মাদারীপুর
শেয়ার
মসজিদ থেকে টেনেহিঁচড়ে ৩ ভাইকে কুপিয়ে হত্যা : চিকিৎসাধীন আরো একজনের মৃত্যু

মাদারীপুরে আধিপত্য বিস্তার ও বালু ব্যবসার দ্বন্দ্বের জেরে প্রতিপক্ষের হামলায় আহত তাজেল হাওলাদার (২৫) চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা গেছেন। মঙ্গলবার (১৮ মার্চ) সন্ধ্যা ৭টার দিকে রাজধানীর ঢাকা মেডিকেলে চিকিৎসাধীন অবস্থায় তিনি মারা যান। এ ঘটনায় তিনভাইসহ ৪ জন মারা গেলেন।

নিহতরা হলেন, সদর উপজেলার খোয়াজপুর ইউনিয়নের খোয়াজপুর-টেকেরহাট এলাকার আজিবর সরদারের ছেলে সাইফুল সরদার ও আতাউর সরদার, একই এলাকার মুজাম সরদারের ছেলে ও সাাইফুলের চাচাতো ভাই পলাশ সরদার এবং আজিজুল হাওলাদারের ছেলে তাজেল হাওলাদার।

জানা গেছে, দীর্ঘদিন ধরে সদর উপজেলার খোয়াজপুরে কীর্তিনাশা নদী থেকে অবৈধভাবে বালু উত্তোলন ও এলাকার আধিপত্য নিয়ে বিরোধ চলে আসছিল খোয়াজপুর ইউনিয়ন স্বেচ্ছাসেবকলীগের সাংগঠনিক সম্পাদক সাইফুল সরদার ও প্রতিবেশী আওয়ামী লীগ নেতা শাজাহান খানের লোকজনের সঙ্গে। এরই জেরে গত ৮ মার্চ বেলা সাড়ে ১১টার দিকে খোয়াজপুর সরদারবাড়ি জামে মসজিদের সামনে একা পেয়ে সাইফুলের উপর হামলা চালায় শাজাহানের লোকজন। সাইফুলের চিৎকারে এগিয়ে আসেন পরিবারের সদস্য ও এলাকাবাসী। ঘটনাস্থলেই কুপিয়ে হত্যা করা হয় সাইফুল ও তার বড়ভাই আতাউর সরদারকে।

বাধা দেয়ায় আহত হয় অন্তত ৫ জনকে। পরে আহতদের উদ্ধার করে ভর্তি করা হয় মাদারীপুর ২৫০ শয্যার জেলা সদর হাসপাতালে। সেখান থেকে আশঙ্কাজনক অবস্থায় তিনজনকে পাঠানো হয় ঢাকা মেডিক্যালে। ঢাকা মেডিক্যালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় ওইদিনই মারা যায় সাইফুলের চাচাতো ভাই পলাশ সরদার।
এরপর ঘটনার ১০দিন পর আজ ১৮ মার্চ সন্ধ্যা ৭টায় ঢাকা মেডিক্যালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা যায় প্রতিবেশি তাজেল হাওলাদার। এ নিয়ে প্রতিপক্ষের হামলায় ৪ জনের মৃত্যু হলো। 

মাদারীপুর সদর মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. মোকছেদুর রহমান বলেন, ‘নিহতের মরদেহ ঢাকা মেডিক্যালে রয়েছে। আইনি প্রক্রিয়া শেষে গ্রামের বাড়ি নিয়ে আসা হবে। এলাকায় অতিরিক্ত পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে।

পুলিশি টহলও বাড়ানো হয়েছে। এছাড়া এই ঘটনায় এখন পর্যন্ত ৫ জনকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ।’

প্রাসঙ্গিক
মন্তব্য

সর্বশেষ সংবাদ