যারা যড়যন্ত্র, গুলি করেছে তাদেরও একই সাজা হবে : পিপি ফারুক

নিজস্ব প্রতিবেদক
নিজস্ব প্রতিবেদক
শেয়ার
যারা যড়যন্ত্র, গুলি করেছে তাদেরও একই সাজা হবে : পিপি ফারুক
ছবি : কালের কণ্ঠ

গণভবনে বসে যারা যড়যন্ত্র করেছে, রাস্তায় গিয়ে ছাত্র-জনতার ওপর গুলি করেছে, তাদেরও একই সাজা হবে বলে মন্তব্য করেছেন ঢাকা মহানগর দায়রা জজ আদালতের পাবলিক প্রসিকিউটর (পিপি) ওমর ফারুক ফারুকী। আজ সোমবার ঢাকার মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট এম এ আজহারুল ইসলামের আদালতে রিমান্ড শুনানিতে তিনি এ কথা বলেন। 

বাড্ডা থানার হত্যা মামলায় সাবেক মন্ত্রী শাজাহান খানের পাঁচ দিনের রিমান্ড প্রার্থনা করে তিনি বলেন, ‘শেখ হাসিনাকে ফ্যাসিস্ট বানানো ও তাকে রক্ষা করার জন্য তিনি বিভিন্ন সময় বৈঠকে অংশ নিয়েছেন। বিভিন্নভাবে শেখ হাসিনাকে সহযোগিতা করেছেন।

’ 

আরো পড়ুন

১৯ দেশের মিশন প্রধানদের সঙ্গে নির্বাচন কমিশনের বৈঠক

১৯ দেশের মিশন প্রধানদের সঙ্গে নির্বাচন কমিশনের বৈঠক

 

আসামিপক্ষের এক প্রশ্নের জবাবে পিপি ফারুক বলেন, ‘ফৌজদারি মামলায় মামা/ভাগ্নে, কালো/সাদা সেটা দেখার কোনো সুযোগ নেই। মামলার বাদী শুধু তথ্য প্রদানকারী। রফিকুল ইসলামকে রাস্তায় গুলি করে হত্যা করা হয়েছে। কে মামলা করেছে, সেটা মুখ্য না।

বিচার্য বিষয় ঠিক আছে কি না সেটা দেখতে হবে।'

শেখ মুজিবুর রহমানের হত্যা মামলার প্রসঙ্গ তুলে ধরে ওমর ফারুক ফারুকী বলেন, ‘শেখ মুজিবুর রহমান ও তার পরিবারের সদস্যদের হত্যার ঘটনায় চার লাইনের জিডি হয়েছিল। এ হত্যার ২১ বছর পর মামলা হয়েছিল। এ হত্যাকাণ্ডে যারা ষড়যন্ত্রকারী ও যারা গুলি করেছে, তাদের সবাইকে মৃত্যুদণ্ড দেওয়া হয়।

আরো পড়ুন

দেশে পা রাখলেন হামজা চৌধুরী

দেশে পা রাখলেন হামজা চৌধুরী

 

বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনে শাজাহান খান অপরাধমূলক ষড়যন্ত্রের সঙ্গে জড়িত ছিলেন। তারা গণভবনে বসে যড়যন্ত্র করেছেন, রাস্তায় ছাত্র-জনতার আন্দোলনে গুলি করেছেন। দুজনের একই সাজা হবে। 

আরো পড়ুন

‘ধর্ষণ’ নিয়ে দেওয়া বক্তব্যে ‘দুঃখ প্রকাশ’ করলেন ডিএমপি কমিশনার

‘ধর্ষণ’ নিয়ে দেওয়া বক্তব্যে ‘দুঃখ প্রকাশ’ করলেন ডিএমপি কমিশনার

 

যেহেতু মামলাটি তদন্তাধীন। তাই মামলার স্বার্থে তাকে পাঁচ দিনের রিমান্ডে নেওয়া প্রয়োজন।

’ পরে শুনানি শেষে আদালত তার চার দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেন।

মন্তব্য

সম্পর্কিত খবর

কিশোরীকে ধর্ষণের পর গলা কেটে হত্যা, আসামির মৃত্যুদণ্ড

নিজস্ব প্রতিবেদক
নিজস্ব প্রতিবেদক
শেয়ার
কিশোরীকে ধর্ষণের পর গলা কেটে হত্যা, আসামির মৃত্যুদণ্ড

সাত বছর আগে ঢাকার দোহার থানাধীন এলাকায় এক কিশোরীকে ধর্ষণের পর হত্যা দায়ে পলাতক আসামি জিয়াউর রহমানের মৃত্যুদণ্ডের আদেশ দিয়েছেন আদালত। আজ মঙ্গলবার ঢাকার নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনাল-৪ এর বিচারক মুন্সি মো. মশিয়ার রহমান এ রায় ঘোষণা করেন। 

পাশাপাশি তাকে দুই লাখ টাকা অর্থদণ্ড দেওয়া হয়েছে। আসামির স্থাবর/অস্থাবর সম্পত্তি বিক্রি করে জরিমানার টাকা আদায় করে ভুক্তভোগী ও তার পরিবারকে দেওয়ার জন্য নির্দেশ দেন ট্রাইব্যুনাল।

সংশ্লিষ্ট ট্রাইব্যুনালের পাবলিক প্রসিকিউটর (পিপি) এরশাদ আলম জর্জ বলেন, সাজাপ্রাপ্ত আসামি জিয়াউর রহমান ঢাকা জেলার দোহার থানার বানাঘাটা গ্রামের শেখ সোনা মিয়ার ছেলে। তিনি পলাতক থাকায় গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি করা হয়েছে। 

মামলার অভিযোগে থেকে জানা যায়, ২০১৮ সালের ২১ অক্টোবর সকাল ৯টার দিকে তাদের বাড়ির পাশে সবজি ক্ষেতে সবজি আনতে যায় ওই কিশোরী। সবজি নিয়ে ফেরার পথে আসামি জিয়াউর রহমান সকাল ৯টা ৪৫ মিনিটে তাকে জোর করে পার্শ্ববর্তী ধইঞ্চা ক্ষেতের মধ্যে নিয়ে গিয়ে ধর্ষণ করে।

এরপর ধারালো অস্ত্র (চাকু) দিয়ে ভিকটিমের গলা কেটে হত্যা করে লাশ ফেলে চলে যায়। 

ওই ঘটনায় ভিকটিমের বাবা দোহার থানায় মামলাটি দায়ের করেন। তদন্ত শেষে ২০১৯ সালের ১২ মার্চ মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা উপপরিদর্শক সৈয়দ মেহেদী হাসান আদালতে অভিযোগপত্র দাখিল করেন। এ মামলার বিচার চলাকালে আদালত ১৮ জনের সাক্ষ্য গ্রহণ করেন।

 

মন্তব্য

স্বতন্ত্র সচিবালয় প্রতিষ্ঠার তাগিদ প্রধান বিচারপতির

নিজস্ব প্রতিবেদক
নিজস্ব প্রতিবেদক
শেয়ার
স্বতন্ত্র সচিবালয় প্রতিষ্ঠার তাগিদ প্রধান বিচারপতির

বিচার বিভাগের জন্য স্বতন্ত্র সচিবালয় প্রতিষ্ঠার জন্য সরকারকে তাগিদ দিয়েছেন প্রধান বিচারপতি সৈয়দ রেফাত আহমেদ। তিনি বলেছেন, ‘একটি স্বাধীন বিচার বিভাগ কেবল তখনই কার্যকরভাবে দায়িত্ব পালন করতে পারে, যখন স্বতন্ত্র সচিবালয় প্রতিষ্ঠার মাধ্যমে বিচার বিভাগের প্রাতিষ্ঠানিকীকরণ নিশ্চিত করা হয়।’ 

সোমবার (১৭ মার্চ) এক ইফতার মাহফিল অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এ কথা বলেন। সুপ্রিম কোর্ট আইনজীবী সমিতির মিলনায়তনে অনুষ্ঠানটির আয়োজন করে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের আইন বিভাগের সাবেক শিক্ষার্থীদের সংগঠন বাংলাদেশ আইন সমিতি।


 

আরো পড়ুন
আউটসোর্সিং পদ্ধতিতে জনবল নিয়োগ, যা বলছে ঢাকা ওয়াসা

আউটসোর্সিং পদ্ধতিতে জনবল নিয়োগ, যা বলছে ঢাকা ওয়াসা

 


অন্তর্বর্তী সরকারের নেওয়া সংস্কার উদ্যোগ নিয়ে অনুষ্ঠানে বিচার বিভাগের প্রধান বলেন, ‘অন্তর্বর্তী সরকারের গৃহীত সংস্কার উদ্যোগগুলোর দীর্ঘমেয়াদি স্থায়িত্ব অনেকাংশেই বিচার বিভাগের স্বাধীনতার ওপর নির্ভরশীল। তাই বিচার বিভাগের স্বাধীনতা নিশ্চিত করতে হলে সুপ্রিম কোর্টের অধীনে বিচার বিভাগের জন্য একটি স্বতন্ত্র সচিবালয় প্রতিষ্ঠার কোনো বিকল্প নেই। বিচার বিভাগের স্বতন্ত্র সচিবালয় অন্তর্বর্তী সরকারের সংস্কার কার্যক্রমকে টেকসই ও অর্থবহ করে তুলতে সক্ষম হবে।’

আরো পড়ুন
বিয়ে করেছেন সমন্বয়ক তালাত মাহমুদ রাফি

বিয়ে করেছেন সমন্বয়ক তালাত মাহমুদ রাফি

 

প্রধান বিচারপতি বলেন, ‘আগামী দিনগুলো বিচার বিভাগের প্রাতিষ্ঠানিক স্বায়ত্তশাসন অর্জনের জন্য খুবই গুরুত্বপূর্ণ।

বাংলাদেশ আইন সমিতির সদস্যদের মেধা, আইনি দক্ষতা ও প্রাতিষ্ঠানিক সংযোগ দেশে ন্যায়বিচার, দক্ষতা ও জবাবদিহিমূলক বিচারিক সংস্কারে ভূমিকা রাখবে। 

অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি ছিলেন আপিল বিভাগের বিচারপতি মো. আশফাকুল ইসলাম ও অ্যাটর্নি জেনালের মো. আসাদুজ্জামান। অনুষ্ঠানটিতে সভাপতিত্ব করেন সুপ্রিম কোর্টর আইনজীবী মনির হোসেন।

মন্তব্য

নতুন দলের নিবন্ধনে ইসির গণবিজ্ঞপ্তি চ্যালেঞ্জ করে রিট

বাসস
বাসস
শেয়ার
নতুন দলের নিবন্ধনে ইসির গণবিজ্ঞপ্তি চ্যালেঞ্জ করে রিট
সুপ্রিম কোর্ট। ফাইল ছবি

নতুন রাজনৈতিক দলের নিবন্ধনের জন্য নির্বাচন কমিশনের (ইসি) জারি করা গণবিজ্ঞপ্তি চ্যালেঞ্জ করে হাইকোর্টে রিট পিটিশন করা হয়েছে।

রাষ্ট্রসংস্কার আন্দোলনের প্রধান সমন্বয়ক ও সুপ্রিম কোর্টের আইনজীবী হাসানাত কাইয়ুম রবিবার (১৬ মার্চ) হাইকোর্টের সংশ্লিষ্ট শাখায় রিটটি করেন।

রিটে প্রধান নির্বাচন কমিশনার (সিইসি), নির্বাচন কমিশনের সচিব, নির্বাচনব্যবস্থা সংস্কার কমিশনকে বিবাদী করা হয়েছে।

রিটকারী আইনজীবী হাসানাত কাইয়ুম বলেন, ‘ইসির গণবিজ্ঞপ্তি চ্যালেঞ্জ করে আমরা গতকাল রিট করেছি।

এই রিটে পাহাড়ি জনগোষ্ঠীর রাজনৈতিক দল গঠনের অধিকার থেকে বঞ্চিত হওয়ার বিষয় চ্যালেঞ্জসহ আরো কয়েকটি বিষয় উল্লেখ করা হয়েছে।’

আরো পড়ুন
কোরআন তেলাওয়াত প্রতিযোগিতা আয়োজন ছাত্রদলের

কোরআন তিলাওয়াত প্রতিযোগিতা আয়োজন ছাত্রদলের

 

গত ১০ মার্চ রাজনৈতিক দলের নিবন্ধনের জন্য গণবিজ্ঞপ্তি জারি করে নির্বাচন কমিশন (ইসি)। বিজ্ঞপ্তিতে আগামী ২০ এপ্রিলের মধ্যে নিবন্ধন পেতে রাজনৈতিক দলগুলোকে আবেদন করার আহ্বান জানানো হয়।

মন্তব্য

ড. ইউনূসের বিরুদ্ধে ‘শক্তি দই’ সংক্রান্ত মামলা হাইকোর্টে বাতিল

অনলাইন ডেস্ক
অনলাইন ডেস্ক
শেয়ার
ড. ইউনূসের বিরুদ্ধে ‘শক্তি দই’ সংক্রান্ত মামলা হাইকোর্টে বাতিল
সংগৃহীত ছবি

গ্রামীণ শক্তি দইয়ে ভেজালের অভিযোগে নোবেল পুরস্কার বিজয়ী ড. মুহাম্মদ ইউনূসের বিরুদ্ধে করা মামলা বাতিল করেছেন হাইকোর্ট।

মামলা বাতিলে জারি করা রুল মঞ্জুর করে সোমবার (১৭ মার্চ) বিচারপতি কে এম হাফিজুল আলম ও বিচারপতি মো. আতাবুল্লাহর সমন্বয়ে গঠিত হাইকোর্ট বেঞ্চ এ রায় দেন।

আদালতে ড. মুহাম্মদ ইউনূসের পক্ষে ছিলেন আইনজীবী তানিম হোসেইন শাওন। রাষ্ট্রপক্ষে ছিলেন ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল তাহেরুল ইসলাম তৌহিদ।

২০১০ সালে বংশালের একটি দোকান থেকে ১০০ গ্রামের একটি দইয়ে ভেজাল পাওয়ার অভিযোগ আনে তৎকালীন অবিভক্ত ঢাকা সিটি করপোরেশন। পরে ২০১১ সালের ১০ জানুয়ারি দোকানের মালিক মো. আবুল কাশেম, সরবরাহকারী প্রতিষ্ঠানের মো. তুষার এবং গ্রামীণ ডানোন ফুডস লিমিটেডের চেয়ারম্যান ড. ইউনূসের বিরুদ্ধে ঢাকা সিটি করপোরেশনের স্বাস্থ্য পরিদর্শক মোহা. কামরুল হাসান মামলা করেন।

এ মামলায় ২০১১ সালের ২৭ জানুয়ারি জামিন পান ড. ইউনূস। এরপর মামলাটি বাতিল চেয়ে হাইকোর্টে আবেদন করেন তিনি।

হাইকোর্ট মামলা বাতিলে রুল জারি করে স্থগিতাদেশ দেন। সেই রুলের শুনানি শেষে সোমবার রায় ঘোষণা করেন হাইকোর্ট।

ড. ইউনূসের আইনজীবী তানিম হোসেইন শাওন জানান, মামলায় কিছু ভুল ছিল। এ ছাড়া ড. ইউনূস ছিলেন প্রতিষ্ঠানের চেয়ারম্যান।

উনার নির্বাহী ক্ষমতা ছিল না। তার পরও উনাকে হয়রানির জন্য মামলাটি করা হয়েছিল। ২০১১ সালে তিনি মামলা বাতিলে হাইকোর্টে আবেদন করেন। সেই আবেদনের শুনানি নিয়ে হাইকোর্ট রুল জারি করেন। একই সঙ্গে স্থগিতাদেশ দেন।
সেই রুলের শুনানি শেষে আজ রায় ঘোষণা করেন। রায়ে রুল যথাযথ ঘোষণা করে মামলাটি বাতিল করেছেন আদালত।

মন্তব্য

সর্বশেষ সংবাদ