গ্রামীণ ট্রাস্টের অধীনে নতুন বিশ্ববিদ্যালয়ের অনুমোদন দিল সরকার

অনলাইন ডেস্ক
অনলাইন ডেস্ক
শেয়ার
গ্রামীণ ট্রাস্টের অধীনে নতুন বিশ্ববিদ্যালয়ের অনুমোদন দিল সরকার

গ্রামীণ ইউনিভার্সিটি, ঢাকা নামে নতুন আরো একটি বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ের অনুমোদন দিয়েছে সরকার। প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ ইউনূসের প্রতিষ্ঠান গ্রামীণ ট্রাস্টের অধীনে বিশ্ববিদ্যালয়টি হবে। 

সোমবার (১৭ মার্চ) শিক্ষা মন্ত্রণালয় ২২টি শর্তে গ্রামীণ বিশ্ববিদ্যালয় স্থাপনের অনুমোদন দিয়ে আদেশ জারি করে।বিশ্ববিদ্যালয়টির বোর্ড অব ট্রাস্টিজের চেয়ারম্যানের দায়িত্বে থাকছেন গ্রামীণ ট্রাস্টের চেয়ারম্যান মো. আশরাফুল হাসান।

আজ মঙ্গলবার বিশ্ববিদ্যালয়টির বোর্ড অব ট্রাস্টিজের চেয়ারম্যান মো. আশরাফুল হাসানকে চিঠি দিয়ে অনুমোদনের বিষয়টি জানানো হয়েছে।

এ নিয়ে দেশে অনুমোদিত বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ের সংখ্যা দাঁড়াল ১১৬টি।
 

মন্তব্য

সম্পর্কিত খবর

আইআইটি-জেইউ স্পোর্টস ক্লাবের পুরস্কার বিতরণী

অনলাইন ডেস্ক
অনলাইন ডেস্ক
শেয়ার
আইআইটি-জেইউ স্পোর্টস ক্লাবের পুরস্কার বিতরণী
সংগৃহীত ছবি

জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের ইনস্টিটিউট অব ইনফরমেশন টেকনোলজিতে আইআইটি-জেইউ স্পোর্টস ক্লাবের পুরস্কার বিতরণী হয়েছে। অনুষ্ঠানে ক্রিকেট, ফুটবল এবং শাটলচ্যাম্পস ২.০ (ব্যাডমিন্টন)-এর প্রতিযোগীদের কৃতিত্বকে স্বীকৃতি দেওয়া হয়।

অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন আইআইটির পরিচালক ড. রিসালা তাসিন খান। তিনি অংশগ্রহণকারীদের প্রশংসা করেন এবং শিক্ষার্থীদের জীবনে খেলাধুলার গুরুত্ব সম্পর্কে আলোকপাত করেন।

তিনি এবং অন্যান্য শিক্ষকরা বলেন, ‘এমন প্রতিযোগিতা শিক্ষার্থীদের মধ্যে দলগত চেতনা, শৃঙ্খলা ও মানসিক সুস্থতা গড়ে তুলতে সাহায্য করে।’

আইআইটি-জেইউ-এর সাবেক পরিচালক ড. এম. কায়সার অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন এবং অন্যান্য শিক্ষকদের সঙ্গে বিজয়ীদের হাতে পুরস্কার ও সনদ তুলে দেন।

আইআইটি-জেইউ স্পোর্টস ক্লাবের সাবেক সভাপতি (২০২৩-২৪) মুয়াম্মার শাহরিয়ার শিক্ষার্থীদের মানসিক স্বাস্থ্যের ওপর খেলাধুলার ইতিবাচক প্রভাব সম্পর্কে আলোচনা করেন। তিনি বলেন, ‘এমন কার্যক্রম শিক্ষার্থীদের একাডেমিক চাপ কমাতে সহায়তা করে এবং তাদের নেতিবাচক কার্যকলাপ থেকে দূরে রেখে গঠনমূলক ও ইতিবাচক কর্মকাণ্ডে যুক্ত রাখে।

অন্যদিকে, আইটিপিএল ক্রিকেট এ প্রাইজমানি স্পন্সর করার জন্য সাধারণ সম্পাদক আতিকুল ইসলাম তন্ময় ৪২ আবর্তনকে ধন্যবাদ জানান।

মন্তব্য

আওয়ামী লীগ নিষিদ্ধের দাবিতে জবিতে বিক্ষোভ মিছিল

জবি প্রতিনিধি
জবি প্রতিনিধি
শেয়ার
আওয়ামী লীগ নিষিদ্ধের দাবিতে জবিতে বিক্ষোভ মিছিল
জবিতে বিক্ষোভ মিছিল

আওয়ামী লীগকে নিষিদ্ধ করার দাবিতে বিক্ষোভ মিছিল ও সমাবেশ করেছে জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের (জবি) শিক্ষার্থীরা।

শুক্রবার (২১ মার্চ) জুমার নামাজের পর বিশ্ববিদ্যালয়ের কেন্দ্রীয় মসজিদ থেকে বিক্ষোভ মিছিল শুরু হয়ে ক্যাম্পাস ঘুরে ভিক্টোরিয়া পার্ক প্রদক্ষিণ করে বিশ্ববিদ্যালয়ের মূল ফটকের সামনে অবস্থা নেন তারা। 

এসময় শিক্ষার্থীরা ‘আওয়ামী লীগের রাজনীতি, বন্ধ করো করতে হবে’ , ‘ছাত্রলীগ বাংলাদেশ, একসাথে চলে না’ ; ‘অ্যাকশন টু অ্যাকশন, ডাইরেক্ট অ্যাকশন’ ; ‘গড়িমশি বন্ধ করো, আওয়ামী লীগ নিষিদ্ধ করো’ ;  ‘চব্বিশের হাতিয়ার, গর্জে ওঠো আরেকবার’ বিভিন্ন স্লোগান দিতে থাকেন।

শাখা ছাত্র অধিকার পরিষদের সাধারণ সম্পাদক রায়হান রাব্বি বলেন, ‘কথা ছিলো আওয়ামী লীগকে নিষিদ্ধ করা হবে।

কিন্তু এখন বলা হচ্ছে হবে না। কেন করা হবে না। আমরা বিপ্লবীরা কি মরে গেছি? জুলাই বিপ্লবে যারা আমাদের ভাইদের পাখির মতো হত্যা করেছে তাদেরকে আমরা বেচে থাকতে এই বাংলাদেশে আওয়ামী লীগকে রাজনীতি করতে দেবো না। আমরা এখানে জড়ো হয়েছি আওয়ামী লীগ নিষিদ্ধের দাবিতে।
যতদিন না আওয়ামী লীগ নিষিদ্ধ হয়, আমরা আন্দোলন চালিয়ে যাবো ‘

শাখা ছাত্র শিবিরের সাধারণ সম্পাদক রিয়াজুল বলেন, ‘হাজার মায়ের বুক খালি হওয়ার মধ্য দিয়ে আমরা নতুন বাংলাদেশে বসবাস করছি। শত সহস্র ভাইয়ের রক্তে যাদের হাত রঞ্জিত, তাদের আমরা বাংলাদেশের রাজনীতি করতে দিতে চাই না। গুম, খুন সন্ত্রাসের রাজনীতি আমরা ফিরে আসতে দিতে চাই না। ইন্টেরিম সরকারকে হুঁশিয়ার করে বলে দিতে চাই আপনারা ভুলে যাবেন না, আপনার ওই ক্ষমতার চেয়ার আমার ভাইয়ের রক্তের ওপর বসে আছে।

রক্তের সাথে বেইমানি করবেন না। 

তিনি আরো বলেন, আওয়ামী লীগ আমাদের শত্রু, দেশের শত্রু। সুতরাং যারা আওয়ামী লীগের গোলামী করতে চাইবে তারাও আমাদের শত্রু হিসেবে গণ্য হবে।

মন্তব্য

আওয়ামী লীগ নিষিদ্ধের দাবিতে জাহাঙ্গীরনগরে বিক্ষোভ

জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিনিধি
জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিনিধি
শেয়ার
আওয়ামী লীগ নিষিদ্ধের দাবিতে জাহাঙ্গীরনগরে বিক্ষোভ
ছবি: কালের কণ্ঠ

আওয়ামী লীগ নিষিদ্ধের দাবি জানিয়ে বিক্ষোভ মিছিল ও সমাবেশ করেছেন জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের (জাবি) শিক্ষার্থীরা।

আজ শুক্রবার দুপুরে বিশ্ববিদ্যালয়ের শহীদ মিনার প্রাঙ্গণ থেকে বিক্ষোভ মিছিল বের করেন তাঁরা। মিছিলটি বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রধান ফটকসংলগ্ন ঢাকা-আরিচা মহাসড়কে গিয়ে শেষ হয়।

এরপর সেখানে সংক্ষিপ্ত সমাবেশ করেন শিক্ষার্থীরা।

সমাবেশে সাভার-আশুলিয়ার বিভিন্ন শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের কয়েকজন শিক্ষার্থীও অংশ নেন।

সমাবেশের সঞ্চালনা করেন বিশ্ববিদ্যালয়ের সরকার ও রাজনীতি বিভাগের শিক্ষার্থী জিয়া উদ্দিন আয়ান। এ সময় বাংলাদেশ গণতান্ত্রিক ছাত্রসংসদের কেন্দ্রীয় কমিটির সিনিয়র যুগ্ম আহ্বায়ক তৌহিদ সিয়াম বলেন, ‘যে ফ্যাসিস্ট দল বাংলাদেশে একাধিক গণহত্যা চালিয়েছে তাদের নিষিদ্ধ করার জন্য নতুন কোনো কারণ দরকার নেই। আমরা মনে করি, ৫ আগস্ট ছাত্র-জনতা শেখ হাসিনাকে বিদায় করার মাধ্যমে আওয়ামী লীগকে প্রত্যাখান করেছে।

আওয়ামী লীগকে এই বাংলায় কোনো নির্বাচনী কার্যক্রম, রাজনৈতিক কার্যক্রম চালাতে দেওয়া যাবে না।’

ইসলামী ছাত্রশিবিরের জাবি শাখার সেক্রেটারি মোস্তাফিজুর রহমান বলেন, ‘বাংলাদেশে আওয়ামী লীগের রাজনীতি চলা মানে আমাদের শহীদদের রক্তের সাথে বেইমানি করা। আমাদের শরীরে এক ফোঁটা রক্ত থাকা পর্যন্ত আমরা বাংলাদেশে আওয়ামী লীগকে রাজনীতি করতে দেব না। আওয়ামী লীগকে নিষিদ্ধ না করা পর্যন্ত আমরা রাজপথ ছাড়ব না।

আমরা রক্ত দিতে চাই না, আমরা প্রচুর রক্ত দিয়েছি। এই রক্তের বদলা আওয়ামী লীগকে নিষিদ্ধের মাধ্যমেই দিতে হবে।’

বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের জাবি শাখার আহ্বায়ক আরিফুজ্জামান উজ্জ্বল বলেন, ‘আওয়ামী লীগকে গণহত্যাকারী দল হিসেবে চিহ্নিত করে অতিদ্রুত নিষিদ্ধ করতে হবে। বাংলাদেশে কারা রাজনীতি করবে সেটা ঠিক করবে বাংলাদেশের ছাত্র-জনতা। পার্শ্ববর্তী কোনো দেশের প্রেসক্রিপশনে আর বাংলাদেশ চলবে না।

মন্তব্য

জীবন দেব, জুলাই দেব না

রংপুর অফিস
রংপুর অফিস
শেয়ার
জীবন দেব, জুলাই দেব না
সংগৃহীত ছবি

আওয়ামী লীগের রাজনীতি নিষিদ্ধ ও গণহত্যাকারী এবং ফ্যাসিবাদীদের ফিরিয়ে আনার ষড়যন্ত্রকারীদের বিচারের দাবিতে মানববন্ধন করেছে রোকেয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা।

শুক্রবার (২১ মার্চ) বেলা আড়াইটায় ক্যাম্পাসের প্রধান ফটকের সামনে বিভিন্ন প্ল্যাকার্ড হাতে নিয়ে শিক্ষার্থীরা মানববন্ধনে অংশ নেন।

এসময় সমাবেশে বক্তব্য রাখেন বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের মহানগর সদস্য সচিব রহমত আলী, রোকেয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের সমন্বয়ক শামসুর রহমান সুমন, জাহিদ হাসান জয়, জাকের হোসেন পাশা, আশিক মিয়া প্রমুখ।

বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের রোকেয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের সমন্বয়ক শাসমুর রহমান সুমন বলেন, ‘আওয়ামী লীগের গণহত্যার বিচার না হওয়া পর্যন্ত যে বা যারাই আওয়ামী লীগকে পুনর্বাসিত করার চেষ্টা করবে, তাদেরকে ছাত্র জনতা প্রতিহত করবে।

আওয়ামী লীগ যে গণহত্যা চালিয়েছে বিশ্বে এর আর কোন নজির নেই। তারা শিশু, কিশোর, যুবক , তরুণ, ছাত্র, জনতা, কৃষক মজুরসহ ২ হাজার মানুষকে হত্যা করেছে। ৩০ হাজার মানুষ পঙ্গুত্ব বরণ করিয়েছে। সেই আওয়ামী লীগকে কোনভাবেই বাংলার মাটিতেক পুনর্বাসন করা হবে না।
সেনাবাহিনী আমাদের সার্বভৌমত্বের প্রতীক। তাদের যারা কলুষিত করার চেষ্টা করছে। তাদেরকেও আমরা প্রতিহত করবো।’

আরো পড়ুন
প্রেমের দায়ে কারাগারে ইয়াশ, পাগলা গারদে নিহা!

প্রেমের দায়ে কারাগারে ইয়াশ, পাগলা গারদে নিহা!

 

বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের মহানগর সদস্য সচিব  রহমত আলী বলেন, ‘প্রয়োজনে বাংলাদেশের ৪ কোটি তরুণ জীবন দেব।

তবু আর জুলাই ফিরতে দেব না। বাংলাদেশ চলবে জনগণের ইচ্ছানুযায়ী। যারা অপতৎপরতায় লিপ্ত তাদের বিরুদ্ধে আবারও ছাত্র-জনতা মাঠে দাড়াবে। আওয়ামী লীগকে নিষিদ্ধ করতেই হবে। রক্তের দাগ এখনও শুকায়নি তাতেই আওয়ামী লীগকে ফেরাতে যারা কলকাঠি নাড়ছেন তাদের বিরুদ্ধে রাজপথে থাকবো আমরা।
গণহত্যাকারীদের বিচার ছাড়া বাংলার জমিনে আর কিছুই মানি না আমরা।

মন্তব্য

সর্বশেষ সংবাদ