নায়িকার লুক সেট হয় এই চরিত্রের জন্য। কিন্তু ছবির শুটিং তখন শুরু হয়নি। এরপর জল অনেক দূর গড়িয়েছে। ছবির শুটিং করার জন্য সৃজিত আবার বেছে নিলেন শুভশ্রীকেই।
নায়িকার লুক সেট হয় এই চরিত্রের জন্য। কিন্তু ছবির শুটিং তখন শুরু হয়নি। এরপর জল অনেক দূর গড়িয়েছে। ছবির শুটিং করার জন্য সৃজিত আবার বেছে নিলেন শুভশ্রীকেই।
‘লহো গৌরাঙ্গের নাম রে’ শিরোনামে নতুন সিনেমা নির্মাণ করছেন সৃজিত মুখার্জি। ছবিটির জন্য বিনোদিনী রূপে প্রিয়াঙ্কা সরকারের লুক সেট করা হয়েছিল। কিন্তু তার পরেও সিনেমাটি থেকে বাদ পড়েন তিনি।
যদিও পরিচালক বলছেন, যখন ছবিটি নিয়ে ভাবনা শুরু করেন তখন শুরু থেকেই তার মাথায় ছিল শুভশ্রী গাঙ্গুলির নাম।
এর পর তিনি জানান, এই চরিত্রের জন্য নায়িকার লুক সেট হয়।
এরপর জল গড়ায় অনেক দূর। চলতি বছরের জুনে শুরু ছবির শুটিং আর সিনেমাটির জন্য সৃজিত সবশেষে চূড়ান্তভাবে বেছে নিলেন শুভশ্রীকেই।
সিনেমাটির প্রযোজক রানা সরকার জানান, ‘প্রথমে যখন ছবিটার শুটিং হওয়ার কথা ছিল, তখন শুভশ্রী প্রেগন্যান্ট ছিলেন। তাই তখন কাজটা করতে পারতেন না।
‘লহো গৌরাঙ্গের নাম রে’ ছবিটি প্রযোজনা করছে একই সঙ্গে এসভিএফ এবং দাগ ক্রিয়েটিভ মিডিয়া। চলতি বছরের জুনে শুরু হবে ছবির শুটিং।
সম্পর্কিত খবর
রবিবার সকালে তীব্র বুকে ব্যথা নিয়ে চেন্নাইয়ের এক বেসরকারি হাসপাতালে ভর্তি হয়েছিলেন অস্কারজয়ী সুরকার এ আর রহমান। তবে কিছু রুটিন চেক আপ করেই সুরকারকে ছুটি দিয়ে দেওয়া হয়েছে বলে জানা গেছে।
ধারণা করা হচ্ছে, সম্প্রতি লন্ডন সফর শেষে চেন্নাই ফিরছিলেন রহমান। রোজা রেখে দীর্ঘ পথ পাড়ি দিতে গিয়ে অসুস্থ হয়ে পড়েন তিনি।
অস্কারজয়ী সুরকারের পুত্র আমিন জানান, তার বাবা এখনো দুর্বল। তবে ভয়ের কোনো কারণ নেই।
সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে একটি পোস্ট দিয়ে তিনি লেখেন, ‘আমাদের বন্ধু-বান্ধব, শুভানুধ্যায়ীদের সবাইকে ধন্যবাদ আমাদের সংকটে প্রার্থনা করার জন্য এবং পাশে থাকার জন্য। শরীরে পানিশূন্যতার কারণে খানিক দুর্বল হয়ে পড়েন বাবা।
রহমানের অসুস্থতার খবর পেয়ে চিকিৎসকদের সঙ্গে যোগাযোগ রেখেছিলেন তামিলনাড়ুর মুখ্যমন্ত্রী এমকে স্ট্যালিন।
চিকিৎসকরা জানিয়েছেন, সম্ভবত শরীরে পানিশূন্যতার কারণে অসুস্থ হয়ে পড়েছিলেন রহমান। শনিবার রাতে লন্ডন থেকে চেন্নাই ফিরছিলেন তিনি। তখন থেকেই শারীরিক অস্বস্তির কথা জানাচ্ছিলেন।
বিগত প্রায় দুই যুগেরও বেশি সময় ধরে বিদেশি নাগরিকদের নিয়ে আমাদের লোকজ সংস্কৃতি, ইতিহাস ও ঐতিহ্যকে নিয়মিতভাবে তুলে ধরা হয়েছে বিনোদনমূলক ম্যাগাজিন অনুষ্ঠান ইত্যাদিতে। শুরুর দিকে বিষয়টি ১০-১২ জন বিদেশির মধ্যে সীমাবদ্ধ থাকলেও বর্তমানে কখনো কখনো শতকের ঘরেও পৌঁছে যায়। আর এই বিদেশিদের মাধ্যমে আমাদের সংস্কৃতি ছড়িয়ে পড়ছে বিশ্বের নানা প্রান্তে।
বিদেশিদের নিয়ে তাদের মাতৃভাষার বদলে বাংলা ভাষায় গ্রামের সহজ-সরল মানুষের চরিত্রে অভিনয় করিয়ে তুলে ধরা হয় আমাদের লোকজ সংস্কৃতি, গ্রামীণ কুসংস্কার, বিভিন্ন অসংগতি, সামাজিক সমস্যা, গ্রামীণ খেলাধুলা ইত্যাদি।
তাই ঢাকায় বসবাসরত বিদেশিদের কাছে হানিফ সংকেত ও ইত্যাদি দুটি প্রিয় নাম। এ দেশে না থাকলেও বিদেশিরা তাদের বন্ধু-বান্ধব ও নতুন সহকর্মীদের ইত্যাদির এই পর্বটির ব্যাপারে উৎসাহিত করেন।
তা ছাড়া ইত্যাদি প্রচারের পর ইত্যাদিতে অংশগ্রহণ করা বিদেশিরা বাইরে বের হলে দর্শকরা যখন তাদের চিনতে পারেন, তাদের করা চরিত্র নিয়ে সুন্দর সুন্দর মন্তব্য করেন-তখন তাদের ভালো লাগে।
এবারের পর্বে অংশগ্রহণ করেছেন জাপান, ইটালি, নেদারল্যান্ডস, অস্ট্রেলিয়া, ফ্রান্স, চীন, সুইডেন, রুমানিয়া, ডেনমার্ক, ইন্দোনেশিয়া, প্যারাগুয়ে, যুক্তরাষ্ট্রসহ বিভিন্ন দেশের নাগরিক। যারা এ দেশে বিভিন্ন দূতাবাস ও বিদেশি বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানে কর্মরত রয়েছেন। শত ব্যস্ততার মধ্যেও বিদেশিরা তাদের ছুটির দিনগুলোতে ইত্যাদির জন্য মহড়া করেন। বিদেশিদের নিয়ে এবারের ঈদে হানিফ সংকেত নির্মাণ করেছেন গুজব নিয়ে একটি চমৎকার নাটিকা।
‘গুজব’ মানে হচ্ছে ‘অপতথ্য’, অর্থাৎ অযাচাইকৃত তথ্য। যা দিনকে রাত করে, সত্যকে মিথ্যা বানিয়ে দেয়, নিশ্চিত বিষয়কে অনিশ্চিত করে দেয়। একটি পরিবারের মধ্যে গুজব ছড়ানোর কারণে সম্পর্কে টানাপড়েন, পারিবারিক কলহ এবং মানসিক অশান্তি হতে পারে। সামাজিক সম্প্রীতি ও সংহতি ব্যাহত করতে পারে। গুজবের কারণে সম্পর্কের এই টানাপড়েন নিয়েই করা হয়েছে এবারের বিদেশিদের পর্ব। পাশাপাশি বরাবরের মতোই রয়েছে বিদেশিদের অংশগ্রহণে একটি গানের সাথে অসাধারণ নৃত্য।
বিদেশিদের সঙ্গে কাজ করতে গিয়ে অভিজ্ঞতার কথা জানতে চাইলে হানিফ সংকেত বলেন, ‘তারা অপেশাদার তবে অনেক পেশাদার শিল্পীরও তাদের কাছ থেকে অনেক কিছু শেখার আছে। বিশেষ করে বিদেশিদের সময়জ্ঞান, নিষ্ঠা, একাগ্রতা, কষ্ট সহিষ্ণুতা, আন্তরিকতা দেখে আমি মুগ্ধ। মাত্র কয়েক দিনের পরিচয়ে বিদেশিদের সাথে যে আত্তিক বন্ধন তৈরি হয় তা কখনোই ভোলার নয়। আশা করি, প্রতিবারের মতো এবারও এই পর্বটি দর্শকদের অনেক আনন্দ দেবে।’
ঈদের বিশেষ ইত্যাদি বিটিভিতে প্রচারিত হবে ঈদের পরদিন রাত ৮টার বাংলা সংবাদের পর। ইত্যাদি রচনা, পরিচালনা ও উপস্থাপনা করেছেন হানিফ সংকেত। নির্মাণ করেছে ফাগুন অডিও ভিশন। স্পন্সর করেছে কেয়া কসমেটিকস লিমিটেড।
প্রয়াতদের স্মরণ এবং অসুস্থ সদস্যদের আরোগ্য কামনা করে শনিবার (১৫ মার্চ) বাংলাদেশ শিল্পকলা একাডেমির জাতীয় চিত্রশালা প্লাজায় অনুষ্ঠিত হয়েছে দেশের চলচ্চিত্রের সবচেয়ে বড় সংগঠন বাংলাদেশ চলচ্চিত্র সাংবাদিক সমিতির (বাচসাস) ইফতার ও দোয়া মাহফিল। সংগঠনটির আহ্বানে সাড়া দিয়ে অনুষ্ঠানে এসেছিলেন চলচ্চিত্র, টেলিভিশন ও সংগীত জগতের অনেক শিল্পী।
আয়োজন নিয়ে বাচসাস সভাপতি কামরুল হাসান দর্পণ ও সাধারণ সম্পাদক রাহাত সাইফুল বলেন, ‘প্রতিবছরের মতো এবারও বাচসাস প্রয়াত সদস্যদের স্মরণ ও জ্যেষ্ঠদের আরোগ্য কামনায় দোয়া ও ইফতার মাহফিলের আয়োজন করে। সদস্যদের স্বতঃস্ফূর্ত অংশ গ্রহণে আমরা সুন্দর একটি আয়োজন উপহার দেওয়ার চেষ্টা করেছি।
বাচসাসের ইফতারে উপস্থিত ছিলেন তারকা দম্পতি আজিজুল হাকিম ও জিনাত হাকিম, জাজ মাল্টিমিডিয়ার কর্ণধার আব্দুল আজিজ, চলচ্চিত্র প্রদর্শক সমিতির সাধারণ সম্পাদক আওলাদ হোসেন উজ্জ্বল, চলচ্চিত্র পরিচালক বদিউল আলম খোকন, বিএফডিসির ব্যবস্থাপনা পরিচালক মাসুমা রহমান তানি, অভিনেতা শিবা শানু, চলচ্চিত্র পরিচালক সমিতির সাবেক মহাসচিব শাহীন সুমন, চলচ্চিত্র শিল্পী সমিতির সাংগঠনিক সম্পাদক জয় চৌধুরী, কোষাধ্যক্ষ কমল পাটেকর, নির্বাহী সদস্য রুমানা ইসলাম মুক্তি, সনি রহমান, ডিরেক্টরস গিল্ডের সাধারণ সম্পাদক ফরিদুল হাসান, সহসভাপতি রাশেদা আক্তার লাজুক, ফিল্ম ক্লাবের সভাপতি লায়ন এম নজরুল ইসলাম, চিত্রনায়ক শিপন মিত্র, কায়েস আরজু, সাঞ্জু জন, অভিনেতা আব্দুন নূর সজল, চিত্রনায়িকা তানিন সুবহা, নিঝুম রুবিনা, পরিচালক সাজ্জাদ হোসেন দোদুল প্রমুখ।
অনুষ্ঠানে চলচ্চিত্র ও সংস্কৃতি অঙ্গনের নির্মাতা, শিল্পী ও কলাকুশলীদের অংশ গ্রহণে পুরো পরিবেশ উৎসবমুখর ও মিলনমেলায় পরিণত হয়।
বলে রাখা ভালো, কামরুল হাসান দর্পণ ও রাহাত সাইফুল নেতৃত্বাধীন কমিটি বাচসাস অফিস, পরিবার দিবস, ইফতার আয়োজন ছাড়াও বড় উদ্যোগের মধ্যে ‘বাচসাস ভয়েস’ নামে ত্রৈমাসিক ম্যাগাজিন প্রকাশ করে। তা ছাড়া বেশ কয়েকটি নামিদামি হাসপাতালের সঙ্গে সদস্যদের সুবিধার্থে ‘চিকিৎসা সেবা চুক্তি’ অচিরেই সম্পন্ন হবে।
বহির্বিশ্বে তারকাদের বিভিন্ন কাজের খবরের পাশাপাশি তাদের পারিশ্রমিকের খবর দেখা যায়। তারকাদের পারিশ্রমিক নিয়ে ভক্তদের আগ্রহও কম নয়, তারাও জানতে চান কোন নায়ক কত পারিশ্রমিক পান। হলিউড, বলিউডে এ বিষয়ে তথ্য থাকলেও ঢালিউডে এ নিয়ে প্রযোজক থেকে শুরু করে তারকারা এ নিয়ে কখনো কোনো তথ্য দেন না। তবে কয়েকজন প্রযোজক মারফত একটা ধারণা পাওয়া যায়।
সম্প্রতি দেশের একটি গণমাধ্যমে প্রকাশিত প্রতিবেদনে দাবি করা হয়েছে, দেশের শীর্ষ নায়ক শাকিব খান সিনেমাপ্রতি দেড় কোটি টাকা পারিশ্রমিক নেন। যার আসলে কোনো ভিত্তি নেই।
ঢাকাই ইন্ডাস্ট্রিতে নায়কদের পারিশ্রমিক অনেকটাই ওঠানামা করে প্রযোজক-শিল্পী সম্পর্কের কারণে। অনেক সময় গল্প ভালো হলে কিংবা প্রযোজকের সঙ্গে সম্পর্কের খাতিরে নায়কেরা তাদের পারিশ্রমিকের চেয়েও অনেক কমে কাজ করে দেন।
সাম্প্রতিক সময়ে কাজ করা প্রযোজনা প্রতিষ্ঠানগুলোর ঘনিষ্ঠ সূত্রে খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, শাকিব খান এখন পর্যন্ত কোনো সিনেমার জন্য কোটি টাকা পারিশ্রমিক নেননি। সূত্র জানাচ্ছে, ‘প্রিয়তমা’ সিনেমায় ৩৫ লাখ টাকা পারিশ্রমিক নেন শাকিব। এরপর সিনেমা তুমুল হিট করায় তার পরবর্তী সিনেমা ‘রাজকুমার’-এ তিনি নেন ৬৫ লাখ টাকা। ‘দরদ’ সিনেমায় নেন বরাবর ৭০ লাখ, এবং ‘তুফান’-এ এই নায়ক হাঁকান ৮০ লাখ টাকা।
শাকিবের পর নিজের প্রথম সিনেমা ‘সুড়ঙ্গ’ দিয়ে ঢাকাই ইন্ডাস্ট্রির মধ্যে এখন পর্যন্ত দ্বিতীয় সর্বোচ্চ পারিশ্রমিক নিয়েছেন আফরান নিশো।
এর বাইরে এবার ঈদে মুক্তি পেতে যাওয়া ‘জংলি’ সিনেমার জন্য কোনো পারিশ্রমিক নেননি সিয়াম আহমেদ। একাধিক সূত্র জানিয়েছে, সিনেমাটি থেকে এই নায়ক পারসেন্টেজ অর্থাৎ লভ্যাংশ নেবেন। তবে এই নায়ক সিনেমাপ্রতি ১৫-২০ লাখ টাকা নিয়ে থাকেন।
‘ঢাকা অ্যাটাক’, ‘মিশন এক্সট্রিম’, ‘মুজিব একটি জাতির রূপকার’ সিনেমার নায়ক আরিফিন শুভ সিনেমাপ্রতি নেন ১৫ লাখ টাকা। ঠিক একই পারিশ্রমিক নেন চিত্রনায়ক শরিফুল রাজও। ‘ওমর’ সিনেমার জন্য তিনি ১৫ লাখ নিয়েছেন বলেই খবর। চিত্রনায়ক বাপ্পী চৌধুরী নেন ৫-১০ লাখের মধ্যে এবং সাইমন সাদিকের পারিশ্রমিক ৩ থেকে ৫ লাখের ঘরে। এ ছাড়া চিত্রনায়ক নিরব ও ইমন সিনেমাপ্রতি ৩-৫ লাখ টাকা পারিশ্রমিক পেয়ে থাকেন। এদিকে আদর আজাদ এবং জিয়াউল রোশান দুজনেই নেন সিনেমাপ্রতি ৫ লাখ টাকা।