হিজবুত তাহরীরের মোনায়েম হায়দারকে গ্রেপ্তার

নিজস্ব প্রতিবেদক
নিজস্ব প্রতিবেদক
শেয়ার
হিজবুত তাহরীরের মোনায়েম হায়দারকে গ্রেপ্তার
মোনায়েম হায়দার

নিষিদ্ধ ঘোষিত হিজবুত তাহরীরের উগ্রবাদী মতাদর্শ প্রচারকারী ও অন্যতম সংগঠক মোনায়েম হায়দারকে (২৬) গ্রেপ্তার করেছে ডিএমপির কাউন্টার টেরোরিজম অ্যান্ড ট্রান্সন্যাশনাল ক্রাইম (সিটিটিসি) ইউনিট। 

রবিবার (১৬ মার্চ) সন্ধ্যায় রাজধানী থেকে তাকে গ্রেপ্তার করা হয়। রাতে বিষয়টি নিশ্চিত করেন ডিএমপির মিডিয়া অ্যান্ড পাবলিক রিলেশন্স বিভাগের উপ-পুলিশ কমিশনার মুহাম্মদ তালেবুর রহমান।

সিটিটিসি সূত্রে জানা যায়, গোপন সংবাদের ভিত্তিতে রবিবার সন্ধ্যায় ঢাকা মহানগর এলাকায় অভিযান পরিচালনা করে তাকে গ্রেপ্তার করে সিটিটিসির সাইবার ক্রাইম ইনভেস্টিগেশন বিভাগ।

সিটিটিসি সূত্রে আরো জানা যায়, গ্রেপ্তার মোনায়েম হায়দার বিভিন্ন নামে ফেসবুকে ভুয়া পেজ খুলে নিষিদ্ধ ঘোষিত হিজবুত তাহরীরের উগ্রবাদী মতাদর্শ প্রচার করে আসছিল এবং গোপনে হিজবুত তাহরীরকে সংগঠিত করে আসছিল। গ্রেপ্তারকৃতের বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ প্রক্রিয়াধীন।

মন্তব্য

সম্পর্কিত খবর

চকবাজারে ছিনতাইকারী সন্দেহে তিনজনকে গণপিটুনি, নিহত ১

নিজস্ব প্রতিবেদক
নিজস্ব প্রতিবেদক
শেয়ার
চকবাজারে ছিনতাইকারী সন্দেহে তিনজনকে গণপিটুনি, নিহত ১
প্রতীকী ছবি

রাজধানীর চকবাজারে ছিনতাইকারী সন্দেহে স্থানীয়দের গণপিটুনিতে তিনজন আহত হওয়ার পর একজন হাসপাতালে মারা গেছেন। আজ শুক্রবার ভোরের দিকে চকবাজারের চম্পাতলী সোয়ারীঘাট এলাকায় এই ঘটনা ঘটে।

পুলিশ জানিয়েছে, সোয়ারীঘাট এলাকায় ছিনতাই করার সময় গণধোলাইয়ের শিকার হন ওই তিনজন। পরে তাদের ঢাকা মেডিকেল কলেজ (ঢামেক) হাসপাতালের জরুরি বিভাগে নেওয়া হলে একজনকে মৃত ঘোষণা করা হয়।

 

নিহতের বয়স ২৫ বছরের মতো। আহতদের একজনের বয়স ২০ ও আরেকজন ১৮ বছর। তাদের বিস্তারিত পরিচয় পাওয়া যায়নি। আহতদের হাসপাতালে চিকিৎসা দেওয়া হচ্ছে।

মরদেহ মর্গে রাখা হয়েছে। 

চকবাজার থানার উপ পরিদর্শক (এসআই) মো. শোয়েব বলেন, ভোরে চাম্পাতলের সোয়ারীঘাটে ছিনতাই করার সময় স্থানীয় জনতা গণধোলাই দেন ওই তিন ছিনতাইকারীকে। পরে আমরা খবর পেয়ে ঘটনাস্থল থেকে তাদের উদ্ধার করে ঢাকা মেডিকেলে নিয়ে আসি। ঢামেকের জরুরি বিভাগের দায়িত্বরত চিকিৎসক পরীক্ষা-নিরীক্ষা শেষে তাদের একজনকে মৃত ঘোষণা করেন।

 

এসআই বলেন, আহত দুজনকে হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। আমরা এখনো ওই ছিনতাইকারীদের নাম-পরিচয় জানতে পারেনি। তবে এ বিষয়ে আমাদের আইনি প্রক্রিয়া চলমান রয়েছে।

মন্তব্য

‘গুলশানে গুলিতে নিহত যুবকের বিরুদ্ধে ৬ মামলা ছিল’

অনলাইন ডেস্ক
অনলাইন ডেস্ক
শেয়ার
‘গুলশানে গুলিতে নিহত যুবকের বিরুদ্ধে ৬ মামলা ছিল’
সংগৃহীত ছবি

রাজধানীর গুলশানে সুমন (৩৩) নামে যে যুবককে গুলি করে হত্যা করা হয়েছে তার বিরুদ্ধে ছয়টি মামলা ছিল। বৃহস্পতিবার (২০ মার্চ) রাতে হত্যাকাণ্ডের ঘটনাস্থল গুলশানের পুলিশ প্লাজার সামনে গিয়ে সাংবাদিকদের এ তথ্য জানান ডিএমপির অতিরিক্ত কমিশনার (ক্রাইম অ্যান্ড অপস) এসএম নজরুল ইসলাম।

হত্যাকারীদের শনাক্তে সিসি ক্যামেরার ফুটেজসহ বিভিন্ন প্রযুক্তির সহায়তা নেওয়া হবে বলেও জানান অতিরিক্ত কমিশনার নজরুল ইসলাম।

নিহতের গ্রামের বাড়ি রংপুরের মিঠাপুকুর উপজেলায়।

রাজধানীর ভাষানটেক এলাকায় ভাড়া বাসায় থাকতেন তিনি। সুমনের বাবার নাম মাহফুজুর রহমান। মৃত সুমন এক ছেলে ও এক মেয়ের জনক।

এর আগে, বৃহস্পতিবার রাত ৯টার দিকে গুলশানের পুলিশ প্লাজার পাশে ফজলে রাব্বী পার্কের কোনায় এ হত্যাকাণ্ড ঘটে।

পরিবারের অভিযোগ, ব্যবসায়িক বিরোধের জেরে সুমনকে হত্যা করা হয়েছে।

তারা জানায়, মহাখালী এলাকায় ইন্টারনেট সংযোগ ব্যবসার সঙ্গে জড়িত ছিলেন সুমন। তবে রাজনৈতিক পটপরিবর্তনের পর প্রতিদ্বন্দ্বী গ্রুপের হুমকির মুখে ব্যবসা ছাড়তে বাধ্য হন তিনি।

গুলশান থানার উপ-পরিদর্শক (এসআই) মারুফ আহামেদ গুলশান থানাধীন পুলিশ প্লাজার উত্তর পাশের রাস্তার বাম পাশ থেকে গুরুতর আহত অবস্থায় সুমনকে উদ্ধার করেন।

তিনি সুমনকে ঢাকা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালের জরুরি বিভাগে নিয়ে যান। রাত ১১টায় কর্তব্যরত চিকিৎসক পরীক্ষা-নিরীক্ষার পর সুমনকে মৃত ঘোষণা করেন।

মৃতদেহটি হাসপাতালের জরুরি বিভাগের মর্গে রাখা হয়েছে বলে নিশ্চিত করেন পুলিশের ওই কর্মকর্তা। তার মাথায় বুকের বামপাশে গুলির ক্ষতচিহ্ন রয়েছে।

নিহতের স্বজন রুবেল জানান, স্থানীয় সেভেন স্টার নামের এক সন্ত্রাসী গ্রুপের সঙ্গে তার দ্বন্দ্ব রয়েছে।

তারাই হত্যা করতে পারে বলে তার ধারণা।

প্রাসঙ্গিক
মন্তব্য

ছুটির দিনে ‘অস্বাস্থ্যকর’ ঢাকার বাতাস

অনলাইন ডেস্ক
অনলাইন ডেস্ক
শেয়ার
ছুটির দিনে ‘অস্বাস্থ্যকর’ ঢাকার বাতাস
সংগৃহীত ছবি

বায়ুদূষণে বিশ্বের শহরগুলোর তালিকায় আজ ষষ্ঠ স্থানে রয়েছে বাংলাদেশের রাজধানী ঢাকা। এয়ার কোয়ালিটি ইনডেক্সে (একিউআই) ১৭৭ স্কোর নিয়ে ঢাকার বাতাসের মান ‘অস্বাস্থ্যকর’ পর্যায়ে রয়েছে। শুক্রবার সকাল সাড়ে ৯টার সময় সুইজারল্যান্ডভিত্তিক বাতাসের মান পর্যবেক্ষণকারী সংস্থা আইকিউএয়ারের সূচক থেকে এ তথ্য জানা গেছে। 

এ সময় ঢাকার সবচেয়ে দূষিত বাতাস বিরাজ করছে মিরপুরের ইস্টার্ন হাউজিং (২০৪) এলাকায়।

এই এলাকায় বাতাসের মান খুবই অস্বাস্থ্যকর পর্যায়ে রয়েছে। তালিকায় এর পরেই রয়েছে ঢাকার মার্কিন দূতাবাস (১৮৮),  বেচারাম দেউড়ি (১৮০), সাভারের হেমায়েতপুর (১৭৯), কল্যাণপুর (১৭৯), মাদানি সরণির বেজ এজওয়াটার (১৭৭), তেজগাঁওয়ের শান্তা ফোরাম (১৭০) এলাকা। এসব এলাকায় বাতাসের মান ‘অস্বাস্থ্যকর’ পর্যায়ে রয়েছে।

এদিন বিশ্বের শহরগুলোর তালিকায় শীর্ষে রয়েছে পাকিস্তানের লাহোর (২১২)।

তালিকায় দ্বিতীয় স্থানে রয়েছে ভারতের দিল্লি (২০৫)। শহর দুটির বাতাসের মান ‘খুবই অস্বাস্থ্যকর’ পর্যায়ে রয়েছে। তালিকায় এর পরেই রয়েছে ভিয়েতনামের হ্যানয় (১৯৮), নেপালের কাঠমাণ্ডু (১৮৪), আলজেরিয়ার আলজিয়ার্স (১৭৯)। এসব শহরের বাতাসের মান ‘অস্বাস্থ্যকর’ পর্যায়ে রয়েছে।
 

একটি শহরের বাতাস কতটা নির্মল বা দূষিত, তার লাইভ বা তাৎক্ষণিক সূচক জানিয়ে থাকে সুইজারল্যান্ডভিত্তিক প্রতিষ্ঠান আইকিউ এয়ার। প্রতিষ্ঠানটির মানদণ্ড অনুযায়ী, স্কোর শূন্য থেকে ৫০-এর মধ্যে থাকলে বায়ুর মান ভালো বলে বিবেচিত হয়। ৫১ থেকে ১০০ হলে মাঝারি বা সহনীয় ধরা হয় বায়ুর মান। সংবেদনশীল গোষ্ঠীর জন্য অস্বাস্থ্যকর হিসেবে বিবেচিত হয় ১০১ থেকে ১৫০ স্কোর।

আরো পড়ুন
ঢাকায় বজ্রবৃষ্টির আভাস

ঢাকায় বজ্রবৃষ্টির আভাস

 

১৫১ থেকে ২০০ পর্যন্ত অস্বাস্থ্যকর হিসেবে বিবেচিত হয়।

স্কোর ২০১ থেকে ৩০০ হলে খুবই অস্বাস্থ্যকর বলে বিবেচনা করা হয়। এ ছাড়া ৩০১-এর বেশি হলে তা দুর্যোগপূর্ণ বলে বিবেচিত হয়।

প্রাসঙ্গিক
মন্তব্য

আওয়ামী লীগ নিষিদ্ধের দাবিতে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে বিক্ষোভ

অনলাইন ডেস্ক
অনলাইন ডেস্ক
শেয়ার
আওয়ামী লীগ নিষিদ্ধের দাবিতে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে বিক্ষোভ
সংগৃহীত ছবি

‘আওয়ামী লীগকে নিষিদ্ধ করার পরিকল্পনা সরকারের নেই’ প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূসের এই বক্তব্যের পর মধ্যরাতে বিক্ষোভ দেখিয়েছেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের (ঢাবি) শিক্ষার্থীরা।

বৃহস্পতিবার দিবাগত রাত ২টায় ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের হলপাড়া থেকে মিছিল বের করেন শিক্ষার্থীরা। মিছিলটি ছাত্র-শিক্ষক কেন্দ্রে (টিএসসি) গিয়ে শেষ হয়।

এ সময় শিক্ষার্থীরা ‘আমার সোনার বাংলায় আওয়ামী লীগের ঠাঁই নাই’, ‘সাঈদ-ওয়াসিম-মুগ্ধ, শেষ হয়নি যুদ্ধ’, ‘ধরি ধরি ধরি না, ধরলে কিন্তু ছাড়ি না’, ‘আওয়ামী লীগের গদিতে আগুন জ্বালো একসাথে’সহ বিভিন্ন স্লোগান দেন।

মন্তব্য

সর্বশেষ সংবাদ