ঢাকা, মঙ্গলবার ১৮ মার্চ ২০২৫
৪ চৈত্র ১৪৩১, ১৭ রমজান ১৪৪৬

ঢাকা, মঙ্গলবার ১৮ মার্চ ২০২৫
৪ চৈত্র ১৪৩১, ১৭ রমজান ১৪৪৬

নিষিদ্ধ পল্লির নেত্রী ও আ. লীগ নেতা গ্রেপ্তার

অনলাইন ডেস্ক
অনলাইন ডেস্ক
শেয়ার
নিষিদ্ধ পল্লির নেত্রী ও আ. লীগ নেতা গ্রেপ্তার
সংগৃহীত ছবি

দেশের সর্ববৃহৎ দৌলতদিয়া যৌনপল্লির আলোচিত বাড়িওয়ালী ও যৌনকর্মীদের নেত্রী ঝুমুর বেগম (৪২) ও তার স্বামী আওয়ামী লীগ নেতা আব্দুল জলিল ফকিরকে গ্রেপ্তার করেছে গোয়ালন্দ ঘাট থানা পুলিশ। 

রবিবার বেলা সাড়ে ১১টার দিকে দৌলতদিয়া রেলস্টেশনসংলগ্ন তাদের মালিকানাধীন নিরালা বোর্ডিং থেকে ঝুমুর বেগমকে আটক করে থানা পুলিশ। এ সময় তার কক্ষ থেকে দুই বোতল বিয়ার এবং এক বোতল বিদেশি মদ উদ্ধার করা হয়। এর আগে শনিবার দিনগত রাত পৌনে ২টার দিকে ওই একই বোর্ডিং থেকে জলিল ফকিরকে আটক করে থানা পুলিশ।

গত ৫ আগস্টের পর হতে তারা দুজনেই আত্মগোপনে ছিলেন। 

আরো পড়ুন
ধর্ষণ জঘন্য অপরাধ, যথাযথ নামেই ডাকা উচিত : প্রধান উপদেষ্টার কার্যালয়

ধর্ষণ জঘন্য অপরাধ, যথাযথ নামেই ডাকা উচিত : প্রধান উপদেষ্টার কার্যালয়

 
জলিল ফকির দৌলতদিয়া সোরাপ মণ্ডলপাড়ার মৃত সৈজদ্দিন ফকিরের ছেলে। তিনি দৌলতদিয়া ইউনিয়নের ৫নং ওয়ার্ড আওয়ামী লীগের সাবেক সভাপতি এবং ওই ওয়ার্ডের নির্বাচিত ইউপি সদস্য ছিলেন। 

ঝুমুর বেগম যৌনকর্মীদের সংগঠন অসহায় নারী ঐক্য সংগঠনের সভানেত্রী এবং উত্তরণ ফাউন্ডেশনের একজন কর্মী হিসেবে কাজ করতেন।

উত্তরণ ফাউন্ডেশনের চেয়ারম্যান ছিলেন পুলিশের ঢাকা রেঞ্জের সাবেক ডিআইজি হাবিবুর রহমান। তার দাপটে ঝুমুর যৌনপল্লিতে ব্যাপক আধিপত্য সৃষ্টি করে একচ্ছত্রভাবে মাদকদ্রব্য ও নারী ব্যবসা নিয়ন্ত্রণ করত বলে অভিযোগ রয়েছে। 

এভাবে তারা অঢেল অর্থ-বিত্তের মালিক হন। সাভারে গড়ে তোলেন বহুতল আলিশান বাড়ি।

এলাকাতেও রয়েছে অনেক স্থাবর-অস্থাবর সম্পদ। 

গোয়ালন্দ ঘাট থানার ওসি রাকিবুল ইসলাম জানান, ঝুমুর বেগমের বিরুদ্ধে মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ আইনে একটি মামলা দায়ের করা হয়েছে। এছাড়া তার বিরুদ্ধে আদালতে বিচারাধীন একটি মানবপাচার মামলা রয়েছে। 

জলিল ফকিরকে গোয়ালন্দ ঘাট থানায় গত ১০ ডিসেম্বর দায়ের হওয়া ছাত্র-জনতার ওপর হামলা মামলার সন্দিগ্ধ আসামি হিসেবে গ্রেপ্তার করা হয়। তাদের দুজনকেই রবিবার দুপুরে রাজবাড়ীর আদালতে পাঠানো হয়েছে।

প্রাসঙ্গিক
মন্তব্য

সম্পর্কিত খবর

১৫ মাসের শিশুকে যৌন নিপীড়নের অভিযোগ, বৃদ্ধ গ্রেপ্তার

নিজস্ব প্রতিবেদক, রাজশাহী
নিজস্ব প্রতিবেদক, রাজশাহী
শেয়ার
১৫ মাসের শিশুকে যৌন নিপীড়নের অভিযোগ, বৃদ্ধ গ্রেপ্তার
গ্রেপ্তার আব্দুর রশিদ

রাজশাহীর পুঠিয়ায় ১৫ মাসের শিশুকে ধর্ষণচেষ্টার অভিযোগে এক বৃদ্ধকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। সোমবার (১৭ মার্চ) বিকাল সাড়ে ৩টার দিকে উপজেলার জিউপাড়া ইউনিয়নের মধুখালি গ্রামে এ ঘটনা ঘটে। গ্রেপ্তারকৃত বৃদ্ধের নাম আব্দুর রশিদ (৬০)। সে উপজেলার মধুখালি গ্রামের মৃত সইমুদ্দিনের ছেলে।

পুলিশ জানায়, তাদের প্রতিবেশী আব্দুর রশিদ তার মেয়েকে বিকাল সাড়ে ৩টার দিকে আদর করে বাড়িতে নিয়ে যায়। পরে তাকে ধর্ষণচেষ্টা করে। এসময় শিশুটি চিৎকার দিলে আশেপাশের লোকজন ছুটে এসে রশিদকে পাশের বাড়ির একটি ঘরে আটক রাখে।

খবর পেয়ে পুলিশ গিয়ে রশিদকে গ্রেপ্তার করে থানায় নিয়ে যায়।

রাতে তার বিরুদ্ধে ধর্ষণচেষ্টা অভিযোগে মামলার দায়ের করে শিশুটির বাবা।

পুঠিয়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা কবির হোসেন জানান, প্রাথমিক তদন্তে ধর্ষণচেষ্টার আলামত পাওয়া গেছে। শিশুটি বর্তমানে চিকিৎসাধীন আছে। আমরা আসামি রশিদকে গ্রেপ্তার করেছি।

মন্তব্য

সঙ্গে থাকা বাচ্চা মেরে কুকুর কামড়ালো বৃদ্ধ ও শিশুসহ ছয়জনকে

ব্রাহ্মণবাড়িয়া প্রতিনিধি
ব্রাহ্মণবাড়িয়া প্রতিনিধি
শেয়ার
সঙ্গে থাকা বাচ্চা মেরে কুকুর কামড়ালো বৃদ্ধ ও শিশুসহ ছয়জনকে
সংগৃহীত ছবি

ব্রাহ্মণবাড়িয়ার আখাউড়ায় সোমবার সন্ধ্যায় ঘণ্টা দু'য়েকের ব্যবধানে শিশু, বৃদ্ধসহ ছয়জনকে কামড়েছে একটি পাগলা কুকুর। এর আগে এটি সঙ্গে থাকা একটি বাচ্চা কুকুরকে কামড়ে মেরে ফেলে।

আহতরা হলো, প্রহলাদ ঘোষ (১২), রবিউল ইসলাম (১৩), আবুল হোসেন (৭৮) সুকুমার দাস (৬২), মো. মোজাহিদ (১২) ও শিউলী বেগম (২০)। পৌর এলাকার রাধানগর চৌরাস্তা ও ঘোষ পাড়া মোড় এলাকায় তারা কুকুরের কামড়ের শিকার হন।

এর মধ্যে শিউলী বেগম ঢাকা থেকে আখাউড়ায় বেড়াতে আসেন। আহত সুকুমার দাস ও প্রহলাদ ঘোষকে ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় পাঠানো হয়েছে। 

এ ঘটনার পর পুরো এলাকাজুড়ে আতঙ্ক বিরাজ করছে। রাত সাড়ে ১১টায় শেষ খবর পাওয়া পর্যন্ত কুকুরটিকে মারতে এলাকার লোকজন মোড়ে মোড়ে লাঠি হাতে অবস্থান নিয়েছে।

 

উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের আরএমও লুৎফর রহমান জানান, কুকুরের কামড়ে আহত ছয়জন উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে চিকিৎসা নিয়েছে। আহতদের মধ্যে গুরুতর প্রহলাদ ঘোষ ও সুকুমার দাসকে ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় পাঠানো হয়েছে।

মন্তব্য

বাড়ির ছাদে রক্তাক্ত যুবকের মরদেহ

চাঁদপুর প্রতিনিধি
চাঁদপুর প্রতিনিধি
শেয়ার
বাড়ির ছাদে রক্তাক্ত যুবকের মরদেহ

চাঁদপুরের শাহরাস্তিতে বাড়ির ছাদ থেকে এক ব্যক্তির রক্তাক্ত মরদেহ উদ্ধার করেছে পুলিশ।  উপজেলার পূর্ব চিতোষী ইউনিয়নের মনিপুর গ্রামের প্রবাসী আবুল হোসেনের বাড়ির ছাদে কে বা কারা নির্মমভাবে হত্যা করে আলমগীর হোসেন (৩৫) নামে ওই যুবককে। 

সোমবার (১৭ মার্চ) রাত ৮টার পর পুলিশ ঘটনাস্থলে পৌঁছে মরদেহ উদ্ধার করে। 

প্রবাসী আবুল হোসেনের স্ত্রী খোদেজা বেগম জানান, তার দেবর নজরুল ইসলাম হঠাৎ চিৎকার শুরু করে বাড়িতে চোর ঢুকেছে এবং চোরের দল ছাদ থেকে পাশের গাছ দিয়ে বেয়ে নেমে গেছে।

এসময় বাড়ির ভেতরের সিঁড়ি দিয়ে ছাদে উঠে দেখেন, এক ব্যক্তির রক্তাক্ত মরদেহ পড়ে আছে। ওই নারী দাবি করেন, সন্ধ্যার আগেই বাড়ির ছাদে উঠার সিড়ির গেট বন্ধ করে দেওয়া হয়। তবে ছাদের আশপাশে কিছু গাছ আছে। যা দিয়ে ছাদে উঠানামা করা যায়।

এমন দৃশ্য দেখার পর থানা পুলিশকে জানানো হয়। রাতে থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তাসহ একদল পুলিশ ঘটনাস্থলে পৌঁছে। 

থানার (ওসি) ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা আবুল বাশার জানান, ঘটনার শিকার ব্যক্তির পরিচয় পাওয়া গেছে। তার নাম আলমগীর হোসেন।

একই গ্রামের মৃত শহীদ উল্লাহ ছেলে। ওসি আরো জানান, গরু জবাইয়ে ছোরা দিয়ে নির্মমভাবে হত্যা করা হয় আলমগীর হোসেনকে। তবে কে বা কারা এই ঘটনায় জড়িত। তাদের পরিচয় এখনো নিশ্চিত হওয়া যায়নি। পুলিশ নিহতের মোবাইল ফোনের কললিস্ট দেখে ঘাতকদের শনাক্ত করার চেষ্টা করছে।
কাউকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য আটক করা হয়েছে কি না, তা স্পষ্ট করে জানাননি পুলিশের এই কর্মকর্তা।

নিহতদের স্ত্রী তাসলিমা বেগম জানান, তার স্বামী এলাকায় বিভিন্ন আয়োজনের মাইকিং করে সংসার চালাতেন। কারো সঙ্গে স্বামীর বিরোধ ছিল কি না, এমন তথ্যও তার কাছে নেই। কান্না জড়িত কণ্ঠে তাসলিমা বেগম জানান, স্বামী হত্যার বিচার পাব কি না জানি। তবে এখন নাবালক দুই সন্তান নিয়ে কোথায় যাব, তাদের নিয়ে কি খাব।

এদিকে, রাতেই ঘটনাস্থল থেকে নিহতের মরদেহ উদ্ধার করেছে পুলিশ। আজ মঙ্গলবার ময়নাতদন্তের জন্য চাঁদপুর জেনারেল হাসপাতাল মর্গে পাঠানোর কথা রয়েছে। রাতে এই রিপোর্ট লেখা পর্যন্ত হত্যাকাণ্ড নিয়ে থানায় কোনো অভিযোগ দেওয়া হয়নি।

মন্তব্য

ঘরে ঢুকে গৃহবধূকে ধর্ষণ ও ভিডিও ধারণ, হত্যার হুমকি

রায়পুরা (নরসিংদী) প্রতিনিধি
রায়পুরা (নরসিংদী) প্রতিনিধি
শেয়ার
ঘরে ঢুকে গৃহবধূকে ধর্ষণ ও ভিডিও ধারণ, হত্যার হুমকি
প্রতীকী ছবি

সনাতন ধর্মাবলম্বী এক গৃহবধূকে (৪০) ধর্ষণের অভিযোগ উঠেছে যুবক রাকিব মিয়ার বিরুদ্ধে। ওই সময় তার দুই সহযোগী ধর্ষণের ভিডিও মোবাইলে ধারণ করে। ঘটনাটি কাউকে জানালে ভুক্তভোগী ও তার স্বামীকে হত্যার হুমকি দেওয়া হয়।

রবিবার (১৬ মার্চ) রাত ৯টার দিকে নরসিংদীর রায়পুরা উপজেলায় এ ঘটনাটি ঘটেছে।

জানা যায়, ‘রবিবার রাতে ঘরে একা ছিলেন ওই গৃহবধূ। বাহিরে তখন দমকা হওয়ার সঙ্গে বৃষ্টি হচ্ছিল। এ সময় তার ঘরে তিন যুবক প্রবেশ করে। এর মধ্যে একজনের নাম রাকিব মিয়া।

অন্য দুজন তার সহযোগী। গৃহবধূকে ঘরে একা পেয়ে প্রথমে তার কান ও গলার সোনার গহনা ছিনিয়ে নেয়। তারপর রাকিব ওই গৃহবধূকে জোরপূর্বক ধর্ষণ করে। এ সময় ধর্ষণের ভিডিও মোবাইলে ধারণ করে তার দুই সহযোগী।
চলে যাওয়ার সময় রাকিব ও তার সহযোগীরা হুমকি দেয়, এ ঘটনা কাউকে জানালে ভুক্তভোগী ও তার স্বামীকে হত্যা করা হবে।’ 

অভিযুক্ত রাকিব মিয়া একই এলাকার রতন মিয়া ছেলে। তার বিরুদ্ধে মাদক কারবারের সঙ্গে জড়িত থাকার অভিযোগ আছে।

সোমবার বিকেলে ভুক্তভোগী গৃহবধূ নরসিংদী পুলিশ সুপার কার্যালয়ে উপস্থিত হয়ে অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (প্রশাসন ও অর্থ) মো. কলিমুল্লাহর কাছে ঘটনার বর্ণনা দেন। পরে তিনি রায়পুরা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তাকে (ওসি) ব্যবস্থ নিতে নির্দেশ দেন।

রায়পুরা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আদিল মাহমুদ জানান, রাতে ভুক্তভোগী নারী ও তার পরিবারের সদস্যরা অভিযোগ দিতে থানায় আসেন। এ ঘটনায় জড়িতদের ধরতে অভিযান চলছে বলে জানান তিনি।

মন্তব্য

সর্বশেষ সংবাদ