ভারতে হোলি উৎসবে হামলার এই ভিডিও নিয়ে যা জানা গেল

অনলাইন ডেস্ক
অনলাইন ডেস্ক
শেয়ার
ভারতে হোলি উৎসবে হামলার এই ভিডিও নিয়ে যা জানা গেল
সংগৃহীত ছবি

ভারতে হোলি উৎসবের সময়ে একজন মুসলিম ব্যক্তির ওপর হামলা করা হচ্ছে এমন ইঙ্গিত দিয়ে একটি ভিডিও সম্প্রতি ভাইরাল হয়েছে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে। ভিডিওতে দেখা যায়, দুই ব্যক্তিকে কয়েকজন মিলে পেটাচ্ছেন। এ সময় একটি গাড়িও ভাঙচুর করতে দেখা যায়। তবে ভিডিওটিতে হামলার শিকার ভুক্তভোগী মুসলিম নন বলে জানিয়েছে তথ্য যাচাইকারী প্রতিষ্ঠান ডিসমিসল্যাব।

 

প্রতিষ্ঠানটি জানিয়েছে, ‘অসাম্প্রদায়িকতার সবক দেওয়া ভারতে মুসলমানদের অবস্থা কোন পর্যায়ে আছে তার একটি ছোট্ট নমুনা!’— এমন শিরোনামে একটি ভিডিও সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুকে ছড়িয়ে পড়েছে। এতে কয়েকজন ব্যক্তি গাড়িতে বসা দুজনকে বেধড়ক মারধর করতে দেখা যাচ্ছে। একপর্যায়ে একজন ভুক্তভোগীকে গাড়ির ভেতর এবং অন্যজনকে গাড়ির বাইরে আহত অবস্থায় পড়ে থাকতে দেখা যায়।

ডিসমিসল্যাব জানিয়েছে, ঘটনার সূত্র যাচাই-বাছাই করে ভারতীয় গণমাধ্যম জি নিউজের একটি প্রতিবেদন খুঁজে পাওয়া যায়।

প্রতিবেদন থেকে জানা যায়, হামলার ভুক্তভোগী রাজু কুমার এবং তার বন্ধু রাজেশ। জি নিউজের প্রতিবেদনে আরো জানা যায়, ৩৫ বছর বয়সী রাজু কুমার তার বন্ধুর সাথে হোলি উদযাপন করতে দ্বারকার গোয়লা ডেইরির কাছে ছটঘাট পার্কে গিয়েছিলেন। উদযাপনের সময়, হোলির রং দুর্ঘটনাক্রমে একটি ছেলের ওপর পড়ে যায়, যার ফলে উভয়ের মধ্যে তীব্র বাগবিতণ্ডা শুরু হয়। রাজু কুমার ছেলেটিকে মারধর করার অভিযোগে পরিস্থিতি ভয়াবহ রূপ নেয়।
কিছুক্ষণ পরে, ছেলেটি তার বন্ধুদের নিয়ে ফিরে আসে এবং রাজু কুমার ও তার বন্ধু রাজেশকে মারধর করতে শুরু করে। মারামারির সময়, আক্রমণকারীরা রাজুর গাড়িটিও ভাঙচুর করে, গাড়ির কাচের জানালা ভেঙে দেয়।

ভারতীয় সাংবাদিক কলিম আহমেদের বরাত দিয়ে ডিসমিসল্যাব নিশ্চিত করেছে, ভুক্তভোগী ব্যক্তিরা মুসলিম নন। ভুক্তভোগীর করা অভিযোগপত্রে হামলার শিকার ব্যক্তিদের নাম বলা হয়েছে রাজু কুমার এবং রাজেশ পাসওয়ান। অর্থাৎ এটি কোনো সাম্প্রদায়িক হামলার ঘটনা নয় এবং ভুক্তভোগীরা মুসলিম নন।

প্রসঙ্গত, গত ১৫ মার্চ ভারতের উত্তর প্রদেশে মসজিদ থেকে ফেরার পথে হোলির রং মাখানোকে কেন্দ্র করে বিরোধের জের ধরে হামলার শিকার একজন মুসলিম ব্যক্তি মারা যান। 

প্রাসঙ্গিক
মন্তব্য

সম্পর্কিত খবর

বহিষ্কৃতদের তালিকায় নেই ঢাবি ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদকের নাম

অনলাইন ডেস্ক
অনলাইন ডেস্ক
শেয়ার
বহিষ্কৃতদের তালিকায় নেই ঢাবি ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদকের নাম
সংগৃহীত ছবি

জুলাই-আগস্ট গণ-অভ্যুত্থানের সময় আন্দোলনকারী ছাত্র-জনতার ওপর হামলায় জড়িত থাকার অভিযোগে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ১২৮ জন শিক্ষার্থীকে সাময়িক বহিষ্কার করেছে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন। বহিষ্কৃত ছাত্রদের তালিকায় নিষিদ্ধ ছাত্র সংগঠন ছাত্রলীগের কেন্দ্রীয় সভাপতি সাদ্দাম হোসেন ও সাধারণ সম্পাদক ওয়ালি আসিফ ইনানসহ ১২৮ জনের নামের তালিকা প্রকাশ করা হয়েছে। তবে নাম নেই ঢাবির সাধারণ সম্পাদক তানভীর হাসান সৈকতের।

এ ছাড়া ছাত্রদের ওপর হামলায় জড়িত অনেকের নাম তালিকায় না থাকায় ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন জাতীয় নাগরিক পার্টির অনেকেই।

বিষয়টি নিয়ে আজ মঙ্গলবার (১৮ মার্চ) নিজের ফেসবুকে পোস্ট করেছেন জাতীয় নাগরিক পার্টির যুগ্ম সদস্যসচিব রিফাত রশিদ।

তিনি ফেসবুক পোস্টে লিখেছেন, ‘ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে বহিষ্কার করা ১২৮ জনের লিস্ট কারা তৈরি করছে, এটা আমরা জানতে চাই। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সবচেয়ে বড় সন্ত্রাসী তানভীর হাসান সৈকতের নাম আসেনি তালিকায়। এ ছাড়া আবু ইউনুসের মতো সন্ত্রাসীদের নামও আসেনি।

চোখের সামনে জসিমউদদীন হলের মাঠে ফেলে আমাকে আর Hamza Mahbub ভাইকে পিটিয়ে মাথা ফাটানো মেহেদী হাসান শান্তর নামও নেই। আমার বোনেদের যারা ভিসি চত্বরে পেটাল তাদের নাম আসেনি। প্রলয় গ্যাংয়ের একাধিক সন্ত্রাসীর নাম আসেনি তালিকায়।’

তিনি আরো লিখেছেন, সায়েন্সের তিন হল থেকে সম্ভবত একজনের নাম এসেছে বহিষ্কারের তালিকায়।

ডিপার্টমেন্টগুলো থেকে যে এত শিক্ষার্থীদের বয়কট করা হয়েছে, সেই তালিকা ধরেও বহিষ্কার করতে পারত। সবচেয়ে মজার ব্যাপার হলো, একটা সিঙ্গেল নারীকেও ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় বহিষ্কার করেনি। অথচ নির্যাতনের মাত্রা হিসাব করলে এরা পুরুষ ছাত্রলীগের থেকেও ভয়ংকর ছিল। নারী ছাত্রলীগার সন্ত্রাসীদের কারা শেল্টার দিচ্ছে? 

এই বহিষ্কারের তালিকা বানানোর সিন্ডিকেটের সঙ্গে কারা কারা আছে এটা জানতে চাই আমরা। কাদের শেল্টার দিচ্ছে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রশাসন? আপাতদৃষ্টিতে মনে হচ্ছে তানভীর হাসান সৈকত নিজে বসে এই লিস্ট বানিয়েছে।

অবিলম্বে এই তালিকায় সব হামলাকারীকে অন্তর্ভুক্ত করে বহিষ্কার না করা হলে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনকে এর ফল ভুগতে হবে।

মন্তব্য

জামায়াতকে নিয়ে করা মন্তব্যের জন্য রাফের দুঃখপ্রকাশ

অনলাইন ডেস্ক
অনলাইন ডেস্ক
শেয়ার
জামায়াতকে নিয়ে করা মন্তব্যের জন্য রাফের দুঃখপ্রকাশ
রাফে সালমান রিফাত।

দেশের একটি বেসরকারি টেলিভিশন টকশোতে রাজনৈতিক দল জামায়াত ইসলামীকে নিয়ে মন্তব্য করেছেন জাতীয় নাগরিক কমিটির সাবেক যুগ্ম সদস্যসচিব রাফে সালমান রিফাত। সেই মন্তব্যকে অনাকাঙ্ক্ষিত ভুল উল্লেখ করে এর জন্য দুঃখপ্রকাশ করেছেন রাফে।

আজ মঙ্গলবার নিজের ভেরিফায়েড ফেসবুক পেজে দুঃখপ্রকাশ করে পোস্ট করেন তিনি।

ওই পোস্টে রাফে বলেন, গতকাল মিডিয়ায় আমার এক টকশোতে আমি জামায়াতে ইসলামী নিয়ে একটি আনাকাঙ্ক্ষিত মন্তব্য করেছি।

এই মন্তব্যটি অপ্রয়োজনীয় ছিলো এবং বাংলাদেশের একটি বড় রাজনৈতিক দলের জন্য অসম্মানজনকও ছিল। এই ভুলবশত করা মন্তব্য এবং জেশ্চারের জন্য আমি আন্তরিক ভাবে দুঃখিত।

আরো পড়ুন
নিয়োগে সুপারিশ, নাহিদ ও নুসরাতকে নিয়ে যা বললেন হান্নান মাসউদ

নিয়োগে সুপারিশ, নাহিদ ও নুসরাতকে নিয়ে যা বললেন হান্নান মাসউদ

 

তিনি আরো বলেন, জুলাইয়ের গণঅভ্যুত্থানের মধ্য দিয়ে আওয়ামী লীগের পতনের পর বিএনপি এবং জামায়াতে ইসলামী বাংলাদেশের বড় দুইটা রাজনৈতিক দল। আগামী দিনে এই দুটো দল বাংলাদেশে গণতন্ত্রের অগ্রযাত্রা এবং উন্নয়নে বড় ভূমিকা রাখবে বলেই আমরা বিশ্বাস করি।

অতীতের গণতান্ত্রিক নির্বাচনে এবং সাম্প্রতিক সময়ে দেশীয় ও আন্তর্জাতিক বিভিন্ন সংস্থার করা জনমত জরিপেও বিএনপি এবং জামায়াত ইসলামীর এই জনসমর্থন দেখা গেছে। জুলাইয়ের গণঅভ্যুত্থানেও এই দল দুটোর ভূমিকা ছিল।

জুলাইয়ের গণঅভ্যুত্থানের আকাঙ্ক্ষা ধারণ করে আমারা যারা নতুন প্লাটফরমের উদ্যোগ নিয়েছি, আমরা বিএনপি, জামায়াত, এনসিপি সহ সকল রাজনৈতিক দলের প্রতি শ্রদ্ধাশীল এবং সবাই দেশের জন্য এক সাথে কাজ করবে এই আকাঙ্ক্ষা রাখি।

মন্তব্য

বিয়ে করেছেন সমন্বয়ক রাফি, নববধূর পরিচয়ে যা জানা গেল

অনলাইন ডেস্ক
অনলাইন ডেস্ক
শেয়ার
বিয়ে করেছেন সমন্বয়ক রাফি, নববধূর পরিচয়ে যা জানা গেল
সংগৃহীত ছবি

বিয়ে করেছেন সমন্বয়ক তালাত মাহমুদ রাফি। সোমবার (১৭ মার্চ) তিনি তার ফেসবুক স্ট্যাটাসে এ তথ্য জানান। 

স্ট্যাটাসে খান তালাত মাহমুদ রাফি লেখেন, ‘আলহামদুলিল্লাহ। নতুন যাত্রায় আপনাদের দোয়া একান্ত কাম্য।

ফেসবুক পোস্ট তিনি স্ত্রীকে ট্যাগ করেছেন। সেখান থেকে জানা যায়, রাফির স্ত্রীর নাম জান্নাতুল ফেরদাউস মিতু। ফেসবুকে তার বাড়ি বরিশাল উল্লেখ আছে। পড়াশোনা লেখা আছে, বরগুনা সরকারি মহিলা কলেজ।

তার আইডিতে ঢুকে দেখা গেছে, রাফির সঙ্গে ছবি কাভার ফটো করেছেন জান্নাত।

আরো পড়ুন
নিয়োগে সুপারিশ, নাহিদ ও নুসরাতকে নিয়ে যা বললেন হান্নান মাসউদ

নিয়োগে সুপারিশ, নাহিদ ও নুসরাতকে নিয়ে যা বললেন হান্নান মাসউদ

 

এদিকে তার বিয়ের খবর প্রকাশের পর বন্ধু, সহযোদ্ধা এবং অনুসারীরা তাকে শুভেচ্ছা জানাচ্ছেন। সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে অনেকে তার নতুন জীবনের জন্য শুভকামনা জানিয়েছেন।

কোটা সংস্কার আন্দোলন এবং বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের অন্যতম সংগঠক হিসেবে রাফি দীর্ঘদিন ধরে আন্দোলনে সক্রিয় ছিলেন।

তালাত মাহমুদ রাফি চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের নাট্যকলা বিভাগের (২০২২-২৩) শিক্ষার্থী। নেত্রকোনার মোহনগঞ্জ উপজেলার বাসিন্দা রাফি।

মন্তব্য

নিয়োগে সুপারিশ, নাহিদ ও নুসরাতকে নিয়ে যা বললেন হান্নান মাসউদ

অনলাইন ডেস্ক
অনলাইন ডেস্ক
শেয়ার
নিয়োগে সুপারিশ, নাহিদ ও নুসরাতকে নিয়ে যা বললেন হান্নান মাসউদ
নাহিদ ইসলাম, আব্দুল হান্নান মাসউদ ও নুসরাত তাবাসসুম।

ওয়াসার আটসোর্সিংয়ের নিয়োগে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের কয়েকজন নেতা ও সাবেক তথ্য উপদেষ্টা নাহিদ ইসলাম সুপারিশ করেছেন, এমন কিছু নথি সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ভাইরাল হয়েছে। যা নিয়ে পক্ষে-বিপক্ষে চলছে আলোচনা-সমালোচনা।

বিষয়টি নিয়ে মুখ খুলেছেন জাতীয় নাগরিক পার্টির (এনসিপি) সিনিয়র যুগ্ম মুখ্য সমন্বয়ক আব্দুল হান্নান মাসউদ। তিনি নিজের ভেরিফায়েড ফেসবুক পেজে এক পোস্টে বিষয়টির ব্যাখ্যা দেন।

সোমবার বিকেল সাড়ে ৪টার দিকে দেওয়া পোস্টে মাসউদ বলেন, আউটসোর্সিং নিয়োগে বিজ্ঞপ্তি কিংবা পরীক্ষা হয় না। এটা দৈনন্দিন ব্যাসিসে স্বল্প সময়ের চাকরি। ক্রাইসিস মোমেন্টে জনবল সংকট নিরসনে বিভিন্ন সুপারিশের ভিত্তিতে সাধারণত এই আউটসোর্সিং পদ্ধতিতে নিয়োগ দেওয়া হয়ে থাকে।

এটা নিয়েই চলছে মিডিয়া ট্রায়াল ও চরিত্র হননের অপচেষ্টা চলছে বলে অভিযোগ করেছেন হান্নান মাসউদ।

তিনি ওই পোস্টে আরো বলেন, নাহিদ ইসলাম ভাই, Nusrat Tabassum আপুকে আমি অন্তত ৪ বছর ধরে চিনি। উনাদের পাশে দাঁড়াচ্ছি। কিছু মানুষ চিলে কান নিয়ে গেছে শুনে, চিলের পেছনেই দৌড়াচ্ছে। কিন্তু কান কানের জায়গায় আছে কি না তা আর হাত দিয়ে ধরে দেখছে না।

এই মানুষগুলাকে সামনের ক্রাইসিস সময়ে এ দেশের মানুষ পাশে পাবে না। নিজেদের পিঠ বাঁচানোর জন্যে ঠিকই কারো না করো লুঙ্গির নিচে গিয়ে আশ্রয় নেবে।

এই পোস্টে কিছুক্ষণ আগে আরো একটি পোস্ট দেন তিনি। সেখানে হান্নান মাসউদ বলেন, মিডিয়া ট্রায়াল চলছেই... আর সেই ফাঁদে সবাই পা দিচ্ছেন।

মন্তব্য

সর্বশেষ সংবাদ