ঢাকা, মঙ্গলবার ১৮ মার্চ ২০২৫
৩ চৈত্র ১৪৩১, ১৭ রমজান ১৪৪৬

ভারতে হোলি উৎসবে হামলার এই ভিডিও নিয়ে যা জানা গেল

অনলাইন ডেস্ক
অনলাইন ডেস্ক
শেয়ার
ভারতে হোলি উৎসবে হামলার এই ভিডিও নিয়ে যা জানা গেল
সংগৃহীত ছবি

ভারতে হোলি উৎসবের সময়ে একজন মুসলিম ব্যক্তির ওপর হামলা করা হচ্ছে এমন ইঙ্গিত দিয়ে একটি ভিডিও সম্প্রতি ভাইরাল হয়েছে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে। ভিডিওতে দেখা যায়, দুই ব্যক্তিকে কয়েকজন মিলে পেটাচ্ছেন। এ সময় একটি গাড়িও ভাঙচুর করতে দেখা যায়। তবে ভিডিওটিতে হামলার শিকার ভুক্তভোগী মুসলিম নন বলে জানিয়েছে তথ্য যাচাইকারী প্রতিষ্ঠান ডিসমিসল্যাব।

 

প্রতিষ্ঠানটি জানিয়েছে, ‘অসাম্প্রদায়িকতার সবক দেওয়া ভারতে মুসলমানদের অবস্থা কোন পর্যায়ে আছে তার একটি ছোট্ট নমুনা!’— এমন শিরোনামে একটি ভিডিও সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুকে ছড়িয়ে পড়েছে। এতে কয়েকজন ব্যক্তি গাড়িতে বসা দুজনকে বেধড়ক মারধর করতে দেখা যাচ্ছে। একপর্যায়ে একজন ভুক্তভোগীকে গাড়ির ভেতর এবং অন্যজনকে গাড়ির বাইরে আহত অবস্থায় পড়ে থাকতে দেখা যায়।

ডিসমিসল্যাব জানিয়েছে, ঘটনার সূত্র যাচাই-বাছাই করে ভারতীয় গণমাধ্যম জি নিউজের একটি প্রতিবেদন খুঁজে পাওয়া যায়।

প্রতিবেদন থেকে জানা যায়, হামলার ভুক্তভোগী রাজু কুমার এবং তার বন্ধু রাজেশ। জি নিউজের প্রতিবেদনে আরো জানা যায়, ৩৫ বছর বয়সী রাজু কুমার তার বন্ধুর সাথে হোলি উদযাপন করতে দ্বারকার গোয়লা ডেইরির কাছে ছটঘাট পার্কে গিয়েছিলেন। উদযাপনের সময়, হোলির রং দুর্ঘটনাক্রমে একটি ছেলের ওপর পড়ে যায়, যার ফলে উভয়ের মধ্যে তীব্র বাগবিতণ্ডা শুরু হয়। রাজু কুমার ছেলেটিকে মারধর করার অভিযোগে পরিস্থিতি ভয়াবহ রূপ নেয়।
কিছুক্ষণ পরে, ছেলেটি তার বন্ধুদের নিয়ে ফিরে আসে এবং রাজু কুমার ও তার বন্ধু রাজেশকে মারধর করতে শুরু করে। মারামারির সময়, আক্রমণকারীরা রাজুর গাড়িটিও ভাঙচুর করে, গাড়ির কাচের জানালা ভেঙে দেয়।

ভারতীয় সাংবাদিক কলিম আহমেদের বরাত দিয়ে ডিসমিসল্যাব নিশ্চিত করেছে, ভুক্তভোগী ব্যক্তিরা মুসলিম নন। ভুক্তভোগীর করা অভিযোগপত্রে হামলার শিকার ব্যক্তিদের নাম বলা হয়েছে রাজু কুমার এবং রাজেশ পাসওয়ান। অর্থাৎ এটি কোনো সাম্প্রদায়িক হামলার ঘটনা নয় এবং ভুক্তভোগীরা মুসলিম নন।

প্রসঙ্গত, গত ১৫ মার্চ ভারতের উত্তর প্রদেশে মসজিদ থেকে ফেরার পথে হোলির রং মাখানোকে কেন্দ্র করে বিরোধের জের ধরে হামলার শিকার একজন মুসলিম ব্যক্তি মারা যান। 

প্রাসঙ্গিক
মন্তব্য

সম্পর্কিত খবর

বিয়ে করেছেন সমন্বয়ক রাফি, নববধূর পরিচয়ে যা জানা গেল

অনলাইন ডেস্ক
অনলাইন ডেস্ক
শেয়ার
বিয়ে করেছেন সমন্বয়ক রাফি, নববধূর পরিচয়ে যা জানা গেল
সংগৃহীত ছবি

বিয়ে করেছেন সমন্বয়ক তালাত মাহমুদ রাফি। সোমবার (১৭ মার্চ) তিনি তার ফেসবুক স্ট্যাটাসে এ তথ্য জানান। 

স্ট্যাটাসে খান তালাত মাহমুদ রাফি লেখেন, ‘আলহামদুলিল্লাহ। নতুন যাত্রায় আপনাদের দোয়া একান্ত কাম্য।

ফেসবুক পোস্ট তিনি স্ত্রীকে ট্যাগ করেছেন। সেখান থেকে জানা যায়, রাফির স্ত্রীর নাম জান্নাতুল ফেরদাউস মিতু। ফেসবুকে তার বাড়ি বরিশাল উল্লেখ আছে। পড়াশোনা লেখা আছে, বরগুনা সরকারি মহিলা কলেজ।

তার আইডিতে ঢুকে দেখা গেছে, রাফির সঙ্গে ছবি কাভার ফটো করেছেন জান্নাত।

আরো পড়ুন
নিয়োগে সুপারিশ, নাহিদ ও নুসরাতকে নিয়ে যা বললেন হান্নান মাসউদ

নিয়োগে সুপারিশ, নাহিদ ও নুসরাতকে নিয়ে যা বললেন হান্নান মাসউদ

 

এদিকে তার বিয়ের খবর প্রকাশের পর বন্ধু, সহযোদ্ধা এবং অনুসারীরা তাকে শুভেচ্ছা জানাচ্ছেন। সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে অনেকে তার নতুন জীবনের জন্য শুভকামনা জানিয়েছেন।

কোটা সংস্কার আন্দোলন এবং বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের অন্যতম সংগঠক হিসেবে রাফি দীর্ঘদিন ধরে আন্দোলনে সক্রিয় ছিলেন।

তালাত মাহমুদ রাফি চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের নাট্যকলা বিভাগের (২০২২-২৩) শিক্ষার্থী। নেত্রকোনার মোহনগঞ্জ উপজেলার বাসিন্দা রাফি।

মন্তব্য

নিয়োগে সুপারিশ, নাহিদ ও নুসরাতকে নিয়ে যা বললেন হান্নান মাসউদ

অনলাইন ডেস্ক
অনলাইন ডেস্ক
শেয়ার
নিয়োগে সুপারিশ, নাহিদ ও নুসরাতকে নিয়ে যা বললেন হান্নান মাসউদ
নাহিদ ইসলাম, আব্দুল হান্নান মাসউদ ও নুসরাত তাবাসসুম।

ওয়াসার আটসোর্সিংয়ের নিয়োগে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের কয়েকজন নেতা ও সাবেক তথ্য উপদেষ্টা নাহিদ ইসলাম সুপারিশ করেছেন, এমন কিছু নথি সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ভাইরাল হয়েছে। যা নিয়ে পক্ষে-বিপক্ষে চলছে আলোচনা-সমালোচনা।

বিষয়টি নিয়ে মুখ খুলেছেন জাতীয় নাগরিক পার্টির (এনসিপি) সিনিয়র যুগ্ম মুখ্য সমন্বয়ক আব্দুল হান্নান মাসউদ। তিনি নিজের ভেরিফায়েড ফেসবুক পেজে এক পোস্টে বিষয়টির ব্যাখ্যা দেন।

সোমবার বিকেল সাড়ে ৪টার দিকে দেওয়া পোস্টে মাসউদ বলেন, আউটসোর্সিং নিয়োগে বিজ্ঞপ্তি কিংবা পরীক্ষা হয় না। এটা দৈনন্দিন ব্যাসিসে স্বল্প সময়ের চাকরি। ক্রাইসিস মোমেন্টে জনবল সংকট নিরসনে বিভিন্ন সুপারিশের ভিত্তিতে সাধারণত এই আউটসোর্সিং পদ্ধতিতে নিয়োগ দেওয়া হয়ে থাকে।

এটা নিয়েই চলছে মিডিয়া ট্রায়াল ও চরিত্র হননের অপচেষ্টা চলছে বলে অভিযোগ করেছেন হান্নান মাসউদ।

তিনি ওই পোস্টে আরো বলেন, নাহিদ ইসলাম ভাই, Nusrat Tabassum আপুকে আমি অন্তত ৪ বছর ধরে চিনি। উনাদের পাশে দাঁড়াচ্ছি। কিছু মানুষ চিলে কান নিয়ে গেছে শুনে, চিলের পেছনেই দৌড়াচ্ছে। কিন্তু কান কানের জায়গায় আছে কি না তা আর হাত দিয়ে ধরে দেখছে না।

এই মানুষগুলাকে সামনের ক্রাইসিস সময়ে এ দেশের মানুষ পাশে পাবে না। নিজেদের পিঠ বাঁচানোর জন্যে ঠিকই কারো না করো লুঙ্গির নিচে গিয়ে আশ্রয় নেবে।

এই পোস্টে কিছুক্ষণ আগে আরো একটি পোস্ট দেন তিনি। সেখানে হান্নান মাসউদ বলেন, মিডিয়া ট্রায়াল চলছেই... আর সেই ফাঁদে সবাই পা দিচ্ছেন।

মন্তব্য

আত্মহত্যা করতে চাইলেন সেই তরমুজ বিক্রেতা, যা বললেন শামীম

বিনোদন প্রতিবেদক
বিনোদন প্রতিবেদক
শেয়ার
আত্মহত্যা করতে চাইলেন সেই তরমুজ বিক্রেতা, যা বললেন শামীম
শামীম হাসান সরকার ও তরমুজ বিক্রেতা রনি

রাজধানীর কারওয়ান বাজারের তরমুজ বিক্রেতা রনি। ‘ওই কিরে ওই কিরে’, ‘মধু রসমালাই’সহ আরো নানা মন্তব্য করে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে এখন ভাইরাল তিনি। ভাইরাল হওয়ার পর থেকেই সেই তরমুজ বিক্রেতাকে দেখতে প্রতিদিন ভিড় জমাচ্ছে অনেক মানুষ। ফলে নতুন এক বিড়ম্বনার মুখে পড়েছেন ভাইরাল সেই তরমুজ বিক্রেতা।

 

সেই তরমুজ বিক্রেতার দোকানে অনেকেই বিনা কারণে এসে ভিড় জমাচ্ছেন। ভিডিও করছেন। ফলে ক্রেতারা সেই তরমুজ বিক্রেতার দোকান এড়িয়ে যাচ্ছেন। এমন অবস্থায় তরমুজ বিক্রি করতে না পেরে ভেঙে পড়েছেন সেই বিক্রেতা।

তার প্রায় দেড় লাখ টাকার তরমুজ এখনো অবিক্রীত রয়ে গেছে বলে জানিয়েছেন তিনি। 

আরো পড়ুন
লাদেন ছিলেন অলকা ইয়াগনিকের বিরাট ভক্ত!

লাদেন ছিলেন অলকা ইয়াগনিকের বিরাট ভক্ত!

 

বিষয়টি নিয়ে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে এক স্ট্যাটাস দিয়েছেন অভিনেতা শামীম হাসান সরকার। তিনি লিখেছেন, ‘তরমুজ ব্যবসায়ীকে দিয়ে সবাই ফেসবুকে বা নিজের ব্র্যান্ডিং করে ডলার কামাইলো, অপরদিকে ওই তরমুজ ব্যবসায়ী নিজের তরমুজ বিক্রি করতে না পেরে কাঁদছে, তার দেড় লাখ টাকার তরমুজ নষ্ট হয়ে যাচ্ছে।’

এরপর শামীম লেখেন, ‘ভাইরাল হওয়ার লোডই আলাদা! জুস আছে, সবাই তোমার পাশে আছে! জুস খাওয়া শেষ, বিদায় বাংলাদেশ! লোকটার জন্য মায়াই লাগতেসে।

ঐ কিরে? ব্যবসা করতে দেন ওনারে!’

আরো পড়ুন
আমি কারো সংসারে আগুন লাগাতে চাই না : সুবাহ

আমি কারো সংসারে আগুন লাগাতে চাই না : সুবাহ

 

শামীমের সেই পোস্টে মন্তব্য করে সমর্থন জানিয়েছেন অনেক ভক্ত-অনুরাগী। কারো মতে, বিষয়টা কারো পৌষ মাস কারো সর্বনাশের মতো। কারো কারো মতে, সবাই আসলে নিজ নিজ ধান্দাতেই ব্যস্ত। অন্যের ব্যবসা না হলে কার কি আসে যায়!

সম্প্রতি এক কনটেন্ট ক্রিয়েটর তার ভিডিও সোশ্যাল মিডিয়ায় পোস্ট করলে তা ব্যাপক শেয়ার হয়। সেই ভিডিওর কল্যানে ভাইরাল হয়ে যান তরমুজ বিক্রেতা রনি।

তবে ভাইরাল হয়েই তরমুজ বিক্রি নিয়ে পড়েছেন বিপাকে। কনটেন্ট ক্রিয়েটর ও উৎসুক মানুষ তার দোকানের সামনে প্রতিদিন ভিড় করায় ক্রেতারা তার দোকান এড়িয়ে যেতে থাকেন। এমন পরিস্থিতিতে প্রায় দেড় লাখ টাকার তরমুজ বিক্রি করতে না পেরে আত্মহত্যার হুমকি দিয়েছেন তিনি। রবিবার (১৬ মার্চ) এক ভিডিওতে রনি বলেন, ‘আমারে এরকম বিরক্ত করলে আমি গলায় ছুরি দিমু নয়তো ২৪ তলা থেকে পড়ে আত্মহত্যা করমু ভাই। আমার দেড় লাখ টাকার মাল পচে যাচ্ছে। আমি বিক্রি করতে পারতেছি না।’ এ সময় কান্নাজড়িত কণ্ঠে অনুরোধ জানিয়ে রনি বলেন, ‘আমারে বিরক্ত করবেন না ভাই।’

মন্তব্য

কেন আত্মহত্যার হুমকি দিলেন ভাইরাল তরমুজ বিক্রেতা রনি?

অনলাইন ডেস্ক
অনলাইন ডেস্ক
শেয়ার
কেন আত্মহত্যার হুমকি দিলেন ভাইরাল তরমুজ বিক্রেতা রনি?
সংগৃহীত ছবি

‘ওই কিরে, ওই কিরে’ বলে তরমুজ বিক্রি করা রনি এখন ভাইরাল। তার এই ডায়ালগটি এখন সোশ্যাল মিডিয়ার সবখানেই ব্যবহার করছেন নেটিজেনরা। এমনকি রনিকে ডেকে নিয়ে বিভিন্ন প্রতিষ্ঠান তরমুজ কেটে প্রতিষ্ঠানের প্রচারণা করছেন। কিন্তু এসব কর্মকাণ্ডে বিপাকে পড়েছেন ভাইরাল তরমুজ বিক্রেতা রনি।

তিনি এতটাই ভাইরাল হয়েছেন যে, কনটেন্ট ক্রিয়েটররা তার দোকানের সামনে গিয়ে ভিড় জমাচ্ছেন। এতে তিনি স্বাভাবিকভাবে তরমুজ বিক্রি করতে পারছেন না। তাই এখন আক্ষেপ করছে তিনি। এমনকি এভাবে চলতে থাকলে আত্মহত্যার হুমকিও দিয়েছেন।

গতকাল রবিবার (১৬ মার্চ) এক ভিডিওতে বলেছেন, ‘আমারে এরকম বিরক্ত করলে আমি গলায় ছুরি দিমু, নয়তো ২৪ তলা থেকে পড়ে আত্মহত্যা করমু ভাই। আমার দেড় লক্ষ টাকার মাল পচে যাচ্ছে। আমি বিক্রি করতে পারতেছি না।’ 

তিনি ওই ভিডিওতে আরো বলেন, "আমি তো ভিডিও করার জন্য 'না' বলি নাই।

আমি ভিডিও দিব। আপনারা যা বলবেন আমি তাই শুনবো, কিন্তু আমারে ভালো রাখেন। কর্ম করে খাইতে দেন ভাই।" তিনি কান্নাজড়িত কণ্ঠে অনুরোধ করে বলেন, ‘আমারে বিরক্ত করবেন না ভাই।’

সম্প্রতি কারওয়ান বাজারে তরমুজ বিক্রি করতে গিয়ে ভাইরাল হন রনি।

তরমুজ বিক্রির সময় এক কনটেন্ট ক্রিয়েটর তা ধারণ করে ছড়িয়ে দেন। তা মুহূর্তেই সোশ্যাল মিডিয়ায় ছড়িয়ে পড়ে। তারপর থেকেই রনির দোকানে ভিড় জমাতে থাকেন কনটেন্ট ক্রিয়েটররা। এদিকে, তরমুজ বিক্রেতার এমন বক্তব্যের পর অনেক প্রতিষ্ঠান তার পাশে দাঁড়ানোর আশ্বাস দিয়েছে। 

মন্তব্য

সর্বশেষ সংবাদ