মা-বাবার যেসব ভুলে ওজন বাড়ে সন্তানের

জীবনযাপন ডেস্ক
জীবনযাপন ডেস্ক
শেয়ার
মা-বাবার যেসব ভুলে ওজন বাড়ে সন্তানের
সংগৃহীত ছবি

বর্তমানে শিশুদের মধ্যে স্থূলতা একটি বড় উদ্বেগের বিষয় হয়ে দাঁড়িয়েছে। অনিয়ন্ত্রিত জীবনযাপন, অস্বাস্থ্যকর খাদ্যাভ্যাস ও শারীরিক কার্যকলাপের অভাব শিশুর ওজন বৃদ্ধি ও স্থূলতার কারণ হয়ে দাঁড়াচ্ছে। চিকিৎসকদের মতে, ছোটবেলা থেকেই স্বাস্থ্যকর খাদ্যাভ্যাস ও নিয়মিত শারীরিক কর্মকাণ্ডের মাধ্যমে এই সমস্যা প্রতিরোধ করা সম্ভব।

সন্তানদের ওজন ও স্থূলতা বাড়ানোর ক্ষেত্রে মা-বাবারও কারণ রয়েছে।

তাদের কারণে সন্তানরা কিছু অভ্যাসে অভ্যস্ত হয়ে ওঠে। আর সে কারণেই সন্তানদের স্থূলতা বৃদ্ধি পায়। কিভাবে শিশুদের ওজন কমানো ও স্থূলতা রোধ করা যায়, তা জানিয়েছেন বিশেষজ্ঞরা। চলুন, জেনে নেওয়া যাক কিছু পরামর্শ।

আরো পড়ুন
চুল পড়া কমাবে নারকেলের পানি, কিভাবে ব্যবহার করবেন

চুল পড়া কমাবে নারকেলের পানি, কিভাবে ব্যবহার করবেন

 

সুষম ও স্বাস্থ্যকর খাবার নিশ্চিত করুন

শিশুদের ওজন নিয়ন্ত্রণে রাখতে তাদের সুষম ও পুষ্টিকর খাবার খাওয়ানো অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। প্রতিদিনের খাদ্যতালিকায় প্রচুর শাক-সবজি, ফলমূল ও শস্য রাখুন। প্রক্রিয়াজাত ও টিনজাত খাবার এড়িয়ে চলুন। কারণ এতে থাকা সংরক্ষণকারী রাসায়নিক শিশুর স্বাস্থ্যের জন্য ক্ষতিকর।

শিশুদের যথেষ্ট পরিমাণে পানি খাওয়ানোর অভ্যাস গড়ে তুলুন। পরিবারের সঙ্গে বসে খাওয়ার অভ্যাস করান এবং খাবার খাওয়ার সময় স্ক্রিন (মোবাইল/টিভি) থেকে দূরে রাখুন, যাতে শিশু খাবারে মনোযোগ দিতে পারে।

জাংক ফুড এড়িয়ে চলুন

অনেক মা-বাবা শিশুদের আবদারে জাংক ফুড খেতে দেন, যা অত্যন্ত ক্ষতিকর। জাংক ফুডের প্রতি শিশুর আকর্ষণ কমাতে বাড়িতেই স্বাস্থ্যকর বিকল্প তৈরি করুন। টিভি বা মোবাইলে ফাস্ট ফুডের লোভনীয় বিজ্ঞাপনের প্রভাব থেকে শিশুকে দূরে রাখার চেষ্টা করুন।

শারীরিক কার্যকলাপের প্রতি উৎসাহ দিন

শিশুর স্বাস্থ্য ভালো রাখতে তাকে নিয়মিত শারীরিক কার্যকলাপে যুক্ত করা প্রয়োজন। দৌড়ানো, লাফানো, সাইক্লিং, সাঁতার বা খেলার মাঠে খেলতে উৎসাহ দিন। শিশুদের বাইরে খেলতে নিয়ে যান। এতে তাদের মানসিক ও শারীরিক স্বাস্থ্য ভালো থাকবে।

আরো পড়ুন
গরমে ফিট রাখবে যে ৫ সুপারফুড

গরমে ফিট রাখবে যে ৫ সুপারফুড

 

স্ক্রিন টাইম কমান

আজকাল শিশুদের অধিকাংশ সময় স্ক্রিনের সামনে কাটে। যা স্থূলতার অন্যতম কারণ। শিশুদের মোবাইল বা টিভি দেখার সময়সীমা নির্দিষ্ট করুন। স্ক্রিন টাইম কমিয়ে বই পড়া, খেলাধুলা বা সৃজনশীল কাজে তাদের আগ্রহী করে তুলুন।

পর্যাপ্ত ঘুম নিশ্চিত করুন

শিশুর শারীরিক ও মানসিক সুস্থতার জন্য পর্যাপ্ত ঘুম অপরিহার্য। প্রতিদিন নির্দিষ্ট সময়ের মধ্যে শিশুকে ঘুমাতে পাঠান। ঘুমের ঘাটতি ওজন বৃদ্ধির কারণ হতে পারে। তাই ঘুমের রুটিন বজায় রাখুন।

বাড়িতে স্বাস্থ্যকর খাবার তৈরি করুন

বাইরের খাবারের বদলে বাড়িতে স্বাস্থ্যকর ও পুষ্টিকর খাবার রান্না করুন। বেকিং বা গ্রিলিংয়ের মাধ্যমে তেল কমিয়ে সুস্বাদু খাবার তৈরি করুন। শিশুকে রান্নার কাজে যুক্ত করুন। এতে তার স্বাস্থ্যকর খাবারের প্রতি আগ্রহ বাড়বে।

আরো পড়ুন
ইফতারের পর ক্লান্তিভাব দূর করবেন যেভাবে

ইফতারের পর ক্লান্তিভাব দূর করবেন যেভাবে

 

মানসিক স্বাস্থ্যেও খেয়াল রাখুন

শিশুর মানসিক চাপ বা হতাশাও ওজন বৃদ্ধির কারণ হতে পারে। তার অনুভূতির প্রতি সংবেদনশীল হন। প্রয়োজনে শিশু মনোবিদের পরামর্শ নিন।

কৃত্রিম পানীয় এড়িয়ে চলুন

সফট ড্রিংকস বা অতিরিক্ত চিনিযুক্ত পানীয় শিশুদের স্থূলতার ঝুঁকি বাড়ায়। শিশুদের ফলের রস বা স্বাভাবিক পানি পান করতে উৎসাহিত করুন। ফ্লেভার্ড মিল্ক বা প্যাকেটজাত পানীয়ের বদলে ঘরে তৈরি লাচ্ছি, লেবুর শরবত দিন।

ভালো অভ্যাস গড়ে তুলুন

শিশুকে ছোটবেলা থেকেই নিয়মিত শরীরচর্চা, সঠিক সময় ঘুমানো ও খাবারের রুটিন মেনে চলার অভ্যাস গড়ে তুলুন। এতে ভবিষ্যতে স্থূলতার ঝুঁকি অনেকটাই কমে যাবে।

আরো পড়ুন
ইনস্টাগ্রামে ফলোয়ার বাড়ানোর কৌশল

ইনস্টাগ্রামে ফলোয়ার বাড়ানোর কৌশল

 

বিশেষজ্ঞের পরামর্শ নিন

যদি শিশুর ওজন নিয়ন্ত্রণে না থাকে বা ডায়েট ও শরীরচর্চার পরও ওজন বৃদ্ধি পায়, তাহলে দ্রুত বিশেষজ্ঞের পরামর্শ নিন। শিশু পুষ্টিবিদ বা চিকিৎসকের সঙ্গে পরামর্শ করে ডায়েট ও রুটিন নির্ধারণ করুন।

সূত্র : আজতক বাংলা

মন্তব্য

সম্পর্কিত খবর

কিভাবে রসুন খেলে কমবে ওজন

জীবনযাপন ডেস্ক
জীবনযাপন ডেস্ক
শেয়ার
কিভাবে রসুন খেলে কমবে ওজন
সংগৃহীত ছবি

হাজারটা সমস্যার সমাধান রয়েছে রসুনে। শুধু রান্নার স্বাদ বাড়ায় না, সংক্রমণজাতীয় রোগ ও ওজন কমানো থেকে সব কিছুরই সমাধান করে রসুন। রসুন হজমশক্তি উন্নত করে, বিপাক হার বাড়ায়। কোলেস্টেরল, ব্লাড সুগারেরও মোক্ষম দাওয়াই এই রসুন।

রসুন একটি শক্তিশালী অ্যান্টিবায়োটিক। সকালের নাশতায় রসুন খেলে ঠাণ্ডা লাগার সমস্যা কমে অনেকটাই। রসুনের অ্যান্টি-অক্সিড্যান্ট রক্তকে পরিশুদ্ধ করে। কিছু ভাইরাস ও সংক্রমণজনিত অসুখ, যেমন নিউমোনিয়া, ব্রংকাইটিস, হাঁপানি, হুপিং কাফ প্রতিরোধ করে রসুন।

যক্ষ্মায় আক্রান্ত রোগীর ওষুধে সারা দিনে কয়েক কোয়া রসুন খাওয়ার পরামর্শ দেন চিকিৎসকরা। তবে এত উপকার পেতে হলে কাঁচা রসুন খেতে হবে বিশেষ উপায়ে। কিভাবে রসুন খেলে উপকার পাবেন, চলুন জেনে নেওয়া যাক।

আরো পড়ুন
আমলকী চায়ের যত গুণ

আমলকী চায়ের যত গুণ

 

আয়ুর্বেদ শাস্ত্র মতে, রক্তে খারাপ কোলেস্টেরলের নিয়ন্ত্রণে রাখতে প্রতিদিন অন্তত একটি করে রসুনের কোয়া খাওয়া প্রয়োজন।

নিয়মিত রসুন খেলে মোট কোলেস্টেরল ও খারাপ কোলেস্টেরল এলডিএলের প্রায় ১০–১৫ শতাংশ কমে যায়।

রসুনের মধ্যে এলিসিন নামক যে উপাদান রয়েছে সেটিই রক্তে খারাপ কোলেস্টেরল, ট্রাইগ্লিসারাইডের সমতা বজায় রাখতে সাহায্য করে। রক্তচাপ স্বাভাবিক থাকলে আচমকা স্ট্রোক বা হার্ট অ্যাটাক হওয়ার ঝুঁকিও কমে।

রসুন ওজন কমাতে এক্সপার্ট। বিশেষ করে পেটের মেদ।

কাঁচা রসুনের মধ্যে থাকা সালফার শরীর থেকে টক্সিন দূর করতে সাহায্য করে, খাবার হজম করায়, বিপাক হার উন্নত হয়। ফলে শরীরের ভেজাল মেটাবলিক রেট বাড়ে ও ওজন কমে ঝটপট।

আরো পড়ুন
ওয়াই-ফাইয়ের তরঙ্গ কি স্বাস্থ্যের জন্য ক্ষতিকর?

ওয়াই-ফাইয়ের তরঙ্গ কি স্বাস্থ্যের জন্য ক্ষতিকর?

 

রসুন রক্তে শর্করার পরিমাণ নিয়ন্ত্রণ করে, ফলে ব্লাড সুগার রোগীদের জন্য রসুন খুব উপকারী। রসুন শরীর থেকে টক্সিন দূর করে। আমাদের শরীরে প্রচুর ফ্রি-র‌্যাডিক্যালস তৈরি হয়, যা হার্ট ও অন্যান্য অঙ্গের জন্য ক্ষতিকর। রসুনের অ্যান্টি-অক্সিড্যান্ট প্রপার্টি সেই ক্ষতির হাত থেকে শরীরকে বাঁচায়।

একাধিক গবেষণায় দেখা গেছে, রসুন হাই ব্লাড প্রেশার কমায়। রসুনের রস হার্টের জন্যও খুব উপকারী। ইউনিভার্সিটি অব কানেটিকাটের স্কুল অব মেডিসিনের কার্ডিওভাসকুলার রিসার্চ টিমের বিজ্ঞানীদের দাবি, কাঁচা রসুন খেলে হার্ট অনেক বেশি সুস্থ থাকে।

রসুন যকৃত ও মূত্রাশয়কে ভালো রাখে। রসুন পেটের নানা গোলমাল, হজমের সমস্যা, ডায়ারিয়া সারায়, ফলে যকৃত থাকে সুস্থ। পাশাপাশি, রসুন স্নায়বিক চাপ কমিয়ে মানসিক চাপ নিয়ন্ত্রণে রাখে।

আরো পড়ুন
নিত্যদিনের যেসব অভ্যাসে হতে পারে ক্যান্সার

নিত্যদিনের যেসব অভ্যাসে হতে পারে ক্যান্সার

 

কতটা রসুন খাবেন

পূর্ণবয়স্কদের ক্ষেত্রে ২-৩টি রসুনের কোয়া খেতে বলছেন পুষ্টিবিদরা। প্রতিদিন সকালে এক কোয়া রসুন কাঁচা চিবিয়ে খেলে সবচেয়ে বেশি উপকার মেলে। তবে, একান্তই সকালে খেতে না পারলে কোনো ক্ষতি নেই। বিকেল-দুপুর বা রাতে খেতে পারেন। তবে খেতে হবে কাঁচা।

কিভাবে রসুন খেলে উপকার পাবেন

সকালে খালি পেটে কাঁচা রসুনের সঙ্গে ঈষদুষ্ণ পানি মিশিয়ে খান। কিংবা, রসুনের সঙ্গে লেবুর রস মিশিয়ে খান। রসুনের সঙ্গে মধু মিশিয়ে খেলেও ওজন কমে ঝটপট। সামান্য একটু লবণ দিয়ে রসুন খেলেও পেটের মেদ ঝরে দ্রুত।

আয়ুর্বেদ শাস্ত্র মতে, সবচেয়ে ভালো ফল পেতে গেলে সাপ্লিমেন্ট না খেয়ে খেতে হবে কাঁচা রসুন। কাঁচা রসুনের যত উপকার, রান্না করার পর আর তত থাকে না। কাঁচা রসুনে থাকে এলিসিন, যা ওষুধের মতো কাজ করে।

আরো পড়ুন
আলু-পেঁয়াজ একসঙ্গে রাখলে কী ক্ষতি

আলু-পেঁয়াজ একসঙ্গে রাখলে কী ক্ষতি

 

রসুন কাটা বা বাটার পর সঙ্গে সঙ্গে খেয়ে না নিলে এলিসিন আস্তে আস্তে উবে যায়। সে জন্যই রসুন শুকিয়ে বা রান্নায় দিয়ে খেলে উপকার কমে যায়। প্যাকেটের রসুন বাটা বা সাপ্লিমেন্টেও এই উপকার থাকে না। তা ছাড়া অ্যান্টি-অক্সিড্যান্টের মাত্রাও বেশি থাকে কাঁচা রসুনে।

সকালে খালি পেটে এক কোয়া কাঁচা রসুন খেতে পারলে ভালো হয়। না হলে গরম ভাতে অল্প কাঁচা রসুন বাটা মিশিয়েও খেতে পারেন। অনেকে কাচের শিশিতে মধু ভরে তার মধ্যে কাঁচা রসুনের কোয়া দিয়ে মজিয়ে রাখেন। সঠিক পদ্ধতিতে সংরক্ষণ করতে পারলে তা সপ্তাহ দুয়েক পর্যন্ত ভালো থাকে। মধু আর রসুনের মিশ্রণ রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়ায়, হার্ট ভালো রাখে।

আরো পড়ুন
ইনস্টাগ্রামে ফলোয়ার বাড়ানোর কৌশল

ইনস্টাগ্রামে ফলোয়ার বাড়ানোর কৌশল

 

সূত্র : নিউজ ১৮

মন্তব্য

কারি পাতার যত গুণ

জীবনযাপন ডেস্ক
জীবনযাপন ডেস্ক
শেয়ার
কারি পাতার যত গুণ
সংগৃহীত ছবি

রান্নার স্বাদ বাড়াতে অনেক সময় রাঁধুনিরা কারি পাতা ব্যবহার করেন। কিন্তু শুধু স্বাদে নয়, শরীরেরও অনেক উপকার করে এই পাতা। প্রতিদিন পাঁচ থেকে দশটি কারি পাতা চিবিয়ে খেলে অনেক রোগ নির্মূল হতে পারে। এ ছাড়া আর কী উপকার আছে এই পাতায়, তা জানুন এই প্রতিবেদনে।

কারি পাতা ডায়াবেটিসকে দূরে রাখতে এবং শরীরে রক্তে শর্করার মাত্রা নিয়ন্ত্রণে রাখতে কার্যকর। যাদের আগে থেকেই ডায়াবেটিস আছে, তাও নিয়ন্ত্রণ করে এই পাতা।

কারি পাতায় ভিটামিন ই পাওয়া যায়। এটি বার্ধক্য রোধে সহায়ক।

প্রতিদিন সকালে আট থেকে দশটি কারি পাতা চিবিয়ে খেলে ত্বকে উজ্জ্বলতা আসে এবং মুখে বার্ধক্যের প্রভাব দেখা যায় না।

আরো পড়ুন
ওয়াই-ফাইয়ের তরঙ্গ কি স্বাস্থ্যের জন্য ক্ষতিকর?

ওয়াই-ফাইয়ের তরঙ্গ কি স্বাস্থ্যের জন্য ক্ষতিকর?

 

কারি পাতা প্রচুর পরিমাণে ক্যালসিয়ামও পাওয়া যায়। এটি হাড় ও পেশি শক্তিশালী করে। জয়েন্টের ব্যথাও কমিয়ে দেয়।

এটা একটানা কয়েক মাস ব্যবহার করলে চমৎকার ফল পাওয়া যায়।

কোষ্ঠকাঠিন্য ও খাবার হজমে অসুবিধা হলে কারি পাতা খুবই উপকারী। এটিতে অ্যান্টি-ফাঙ্গাল ও অ্যান্টি-ব্যাকটেরিয়াল বৈশিষ্ট্য রয়েছে। এটি হজমেও সাহায্য করে।

কারি পাতায় ফলিক এসিড পাওয়া যায়, যা রক্তশূন্যতা দূর করে।

এর সেবন শুধু গর্ভাবস্থায়ই উপকারী নয়, এটি শরীরের রক্তশূন্যতাও দূর করে। এ ছাড়া গর্ভবতী নারী যদি এটি সেবন করেন তবে এটি ভ্রূণের মেরুদণ্ড ও মস্তিষ্কের বিকাশে খুব উপকারী।

আরো পড়ুন
আলু-পেঁয়াজ একসঙ্গে রাখলে কী ক্ষতি

আলু-পেঁয়াজ একসঙ্গে রাখলে কী ক্ষতি

 

সূত্র : নিউজ ১৮

মন্তব্য

গ্যাসের চুলায় কোন রঙের আগুন কী নির্দেশ করে

জীবনযাপন ডেস্ক
জীবনযাপন ডেস্ক
শেয়ার
গ্যাসের চুলায় কোন রঙের আগুন কী নির্দেশ করে
সংগৃহীত ছবি

অনেক সময় বাড়িতে যারা গ্যাসের চুলায় রান্না করেন, তারা বুঝতে পারেন না কখন গ্যাস শেষ হওয়ার উপক্রম হয়েছে। আবার অনেক সময় বার্নারের আগুনের রং দেখেও বোঝা যায় সব যন্ত্রপাতি ঠিকঠাক আছে কি না। গ্যাসের আগুনের রং দেখে গ্যাসের জ্বলনের অবস্থা এবং উপস্থিত অন্যান্য পদার্থের উপস্থিতি সম্পর্কে ধারণা পাওয়া যায়। দেখে নিন আগুনের রং দেখে কী  কী জিনিস জানা যায়।

নীল আগুন

এটি সবচেয়ে আদর্শ ও নিরাপদ অবস্থা। নীল আগুন নির্দেশ করে যে গ্যাসটি সম্পূর্ণরূপে জ্বলছে এবং পর্যাপ্ত অক্সিজেন সরবরাহ হচ্ছে। নীল আগুন সাধারণত পরিষ্কার ও পরিপূর্ণ জ্বলনের লক্ষণ।

হলুদ বা কমলা আগুন

এই রঙের আগুন দেখলে বুঝতে হবে গ্যাসটি অসম্পূর্ণভাবে জ্বলছে।

এর প্রধান কারণ হতে পারে অক্সিজেনের অভাব বা বার্নারে ময়লা জমা। তা ছাড়া হলুদ বা কমলা আগুন কার্বন মনোক্সাইড তৈরি করতে পারে, যা একটি বিপজ্জনক গ্যাস। এই রঙের আগুন দেখলে বুঝবেন গ্যাসের অপচয় হচ্ছে।

আরো পড়ুন
ওয়াই-ফাইয়ের তরঙ্গ কি স্বাস্থ্যের জন্য ক্ষতিকর?

ওয়াই-ফাইয়ের তরঙ্গ কি স্বাস্থ্যের জন্য ক্ষতিকর?

 

লাল আগুন

লাল রঙের আগুন বার্নারে অন্য পদার্থের উপস্থিতি নির্দেশ করে।

যেমন- ধুলো-ময়লা বা অন্যান্য দূষিত পদার্থ। এটি গ্যাসের অসম্পূর্ণ জ্বলনের লক্ষণও হতে পারে। লাল রঙের আগুন জ্বললে বুঝবেন বার্নারে কোনো রকম ত্রুটি রয়েছে।

সবুজ আগুন

গ্যাসে সবুজ রং খুব একটা দেখা যায় না। সবুজ রং বার্নারে তামার মতো ধাতুর উপস্থিতি নির্দেশ করে।

সবমিলিয়ে বার্নারে নীল রঙের আগুন দেখা গেলেই ভালো। যদি আগুনের রং হলুদ, কমলা বা লাল হয়, তবে বার্নার পরিষ্কার করা বা একজন গ্যাস টেকনিশিয়ানের সঙ্গে যোগাযোগ করা উচিত।

আরো পড়ুন
নিত্যদিনের যেসব অভ্যাসে হতে পারে ক্যান্সার

নিত্যদিনের যেসব অভ্যাসে হতে পারে ক্যান্সার

 

সূত্র : আজকাল

প্রাসঙ্গিক
মন্তব্য

খাওয়ার পর লবঙ্গ চিবিয়ে খেলে কী উপকার

জীবনযাপন ডেস্ক
জীবনযাপন ডেস্ক
শেয়ার
খাওয়ার পর লবঙ্গ চিবিয়ে খেলে কী উপকার
সংগৃহীত ছবি

খাওয়াদাওয়ার বৈচিত্র্যে নজির রয়েছে বাংলাদেশে। আর খাওয়াদাওয়ার পরে একটু মুখশুদ্ধি না হলে অনেকেরই আবার চলে না। মৌরি থেকে মিছরি, এলাচ থেকে পান বা সুপারি, খাওয়ার পরে নানা মুখশুদ্ধিতে মুখের স্বাদ বদলান খাদ্যরসিকরা। কিছু মুখশুদ্ধি তো এমন রয়েছে, যা খাওয়ার পিছনে রয়েছে বৈজ্ঞানিক ও আয়ুর্বেদিক কিছু কারণ।

মুখশুদ্ধি হিসেবে লবঙ্গকে একদম ওপরের সারিতে রেখেছে আয়ুর্বেদ। লবঙ্গকে খাওয়ার পরে চিবিয়ে খাওয়ার পরামর্শ দেওয়া হয়। লবঙ্গ যে কেবল মুখের স্বাস্থ্য ভালো রাখে তাই নয়, হজমের প্রক্রিয়াকে মজবুত করতে এর জুড়ি মেলা ভার।

আরো পড়ুন
কানের ফুটো ছোট করবেন যেভাবে

কানের ফুটো ছোট করবেন যেভাবে

 

খাবার পরে লবঙ্গ চিবিয়ে খেলে দাঁতের স্বাস্থ্যেও প্রভূত উপকার হয়।

এ ছাড়া শরীরের অন্যান্য নানা খাতে উপকারও রয়েছে। ভারতের ন্যাশনাল লাইব্রেরি অব মেডিসিনের ২০২৪- সালের এক গবেষণা বলছে, লবঙ্গে ব্যাকটেরিয়া রোধী, ফাঙ্গাস রোধী ও প্রদাহ রোধী বিশেষ গুণাবলি রয়েছে। পাশাপাশি এতে পাওয়া যায় ইউজেনল নামে এক বিশেষ উপাদান, যা হজমকে আরো ভালো করে এবং মুখের দুর্গন্ধ রোধ করতে সহায়তা করে।

লবঙ্গ যে শুধু এক ঘরোয়া দারুণ মশলা তাই নয়, এটির মধ্যে রয়েছে বিশেষ ঔষধিগুণও।

যা খাওয়ার পরে গ্যাস, এসিডিটি, বদহজমের মতো সমস্যা থেকে রেহাই দেয় শরীরকে। লবঙ্গের গুণ বিশেষ পাচনরসকে সক্রিয় করে যাতে খাবার তাড়াতাড়ি ও সহজে হজম হয়। 

লবঙ্গকে বলা হয় প্রাকৃতিক মাউথ ফ্রেশনার। দাঁতের যন্ত্রণা, মাড়ির ফোলাভাব কমাতে কার্যকরী ভূমিকা নিয়ে থাকে লবঙ্গ। বহুদিন ধরেই লবঙ্গ তেলকে দাঁতের স্বাস্থ্য ভালো রাখতে ব্যবহার করা হয়।

আরো পড়ুন
ওয়াই-ফাইয়ের তরঙ্গ কি স্বাস্থ্যের জন্য ক্ষতিকর?

ওয়াই-ফাইয়ের তরঙ্গ কি স্বাস্থ্যের জন্য ক্ষতিকর?

 

ঠাণ্ডা লাগলে লবঙ্গ চিবালে গলার জমা কফ সহজে বেরিয়ে আসতে পারে। এর ব্যাকটেরিয়ারোধী গুণ সর্দি ও কাশি থেকে রেহাই দেয়। বিভিন্ন গবেষণায় ওঠে এসেছে, ব্লাড সুগার নিয়ন্ত্রণে রাখতে লবঙ্গের ভূমিকা উল্লেখযোগ্য।

লবঙ্গের বিশেষ উপাদান শরীরে ইনসুলিনের কার্যকারিতা বাড়িয়ে তোলে, যাতে ডায়াবেটিক রোগীদের উপকার হয়। লবঙ্গে উপযুক্ত মাত্রায় রয়েছে অ্যান্টি-অক্সিডেন্ট। যা শরীরের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতাকে আরো শক্তিশালী করতে সাহায্য করে।

লবঙ্গের গুণে শরীর থাকে সুস্থ, নীরোগ। শরীরের নানা সংক্রমণ থেকে লড়ার ক্ষমতা তৈরি হয় লবঙ্গের বিশেষ উপাদানের ফলে।

আরো পড়ুন
নিত্যদিনের যেসব অভ্যাসে হতে পারে ক্যান্সার

নিত্যদিনের যেসব অভ্যাসে হতে পারে ক্যান্সার

 

বিশেষজ্ঞদের মতে, খাওয়ার পরে ১ থেকে ২টি লবঙ্গ চিবিয়ে খাওয়ার উপকার অনেক। ধীরে ধীরে চিবিয়ে খেতে হবে, যাতে এর রস মুখে ভালোভাবে মিশ্রিত হতে পারে।

সূত্র : আইএএনএস

মন্তব্য

সর্বশেষ সংবাদ